Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

প্রকৃত পরিচয় আড়াল হয়ে ভিন্ন কারণে ইতিহাসখ্যাত হয়েছেন যারা

রবার্ট ফিটজরয়

ব্রিটিশ ভাইস অ্যাডমিরাল রবার্ট ফিটজরয়কে আজকের দিনে সবাই চেনে এইচএমএস বিগলের ক্যাপ্টেন হিসেবে, যে বিখ্যাত জাহাজে চড়ে ভ্রমণ করেছিলেন বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইন। তার পাঁচ বছরব্যাপী এই অভিযানের ফলে নতুন করে লিখতে হয়েছিল মানবজাতির বিবর্তনের ইতিহাস।

রবার্ট আর চার্লস দুজনই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন, তবে ধর্মপ্রেমী রবার্ট স্বাভাবিকভাবেই তার আবিষ্কারগুলো সহজভাবে নিতে পারেননি। ডাইনোসর বিলুপ্ত হবার পেছনের কারণ খুঁজতে কিছু উদ্ভট হাইপোথেসিসও বানিয়েছিলেন তিনি। তবে তার নিজের কিন্তু আসলেই বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য আবিষ্কার আছে। যেগুলো বহুল প্রচলিত হওয়া সত্ত্বেও আবিষ্কারক হিসেবে তার নাম কিছুটা আড়ালেই থেকে গেছে।

রবার্ট ফিটজরয়; Image Source: BBC

১৮৫৪ সালে বোর্ড অফ ট্রেডের অধীনে মেটিরিওলজিকাল ডিপার্টমেন্টের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন ফিটজরয়। তাদের কাজ ছিল সামুদ্রিক আবহাওয়াবিষয়ক উপাত্ত সংগ্রহ করা। তবে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল উন্নতমানের উইন্ড চার্ট বানিয়ে সেলিং টাইম কমানোর চেষ্টা করা। ওদিকে ফিটজরয়ের কাছে মনে হয়েছিল, এ বিষয়ে আরো গবেষণা করলে সামুদ্রিক ঝড়ের ব্যাপারেও পূর্বাভাস পাওয়া সম্ভব হবে।

১৮৫৯ সালে ভয়ানক এক ঘূর্ণিঝড়ে ‘রয়্যাল চার্টার’ নামের এক জাহাজ সাগরে ডুবে যায়, নিহত হয় শত শত মানুষ। এরপরে পরেই ফিটজরয় তার প্রথম গ্যাল ওয়ার্নিং প্রকাশ করেন। এক্ষেত্রে তাকে সাহায্য করেছিল ইলেকট্রিক টেলিগ্রাফ। টেলিগ্রাফের মাধ্যমে উপকূলবর্তী সকল এলাকার উপাত্ত পেয়ে যেতেন তিনি, আর নির্দিষ্ট সময়ে আবহাওয়ার পূর্বাভাস পৌঁছে দিতেন লন্ডন অফিসে

তার চাপাচাপিতে এই রিপোর্টগুলো সংবাদপত্রেও প্রকাশের ব্যবস্থা করা হয়। ১৮৬১ সালের ১লা আগস্ট টাইমস ম্যাগাজিনে প্রথমবারের মতো প্রকাশিত হয় তার কাজ। এই মূল্যবান আবিষ্কারের জন্যই রবার্ট ফিটজরয়ের স্মরণীয় হয়ে থাকা উচিত।

জেপো মার্ক্স

তার আসল নাম ছিল হার্বার্ট মার্ক্স, কিন্তু সবার কাছে নিজের স্টেজ নাম ‘জেপো মার্ক্স’ দিয়েই পরিচিত তিনি। আমেরিকার সফলত কমেডিয়ানদের একজন তিনি। তিনি এবং তার চার ভাই মিলে গড়ে তুলেছিলেন ‘মার্ক্স ব্রাদার্স’, তাদের অভিনীত কমেডিগুলো দর্শকের মন জয় করে যাচ্ছে যুগের পর যুগ ধরে। আমেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউটে সেরা দশ কমেডি সিনেমার তালিকায় মার্ক্স ব্রাদার্সের ১৩টি সিনেমা জায়গা করে নিয়েছে। ১৯০৫ থেকে শুরু করে ১৯৪৯ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন তারা।

জেপো মার্ক্স; Image Source: Biography.com

হার্বার্ট অবশ্য বেশ আগেভাগেই কমেডিয়ানের ভূমিকা থেকে বেরিয়ে এসেছেন। তার খুব ঝোঁক ছিল মেকানিকাল বিষয়ে। নিজ উদ্যোগেই তিনি গড়ে তোলেন ‘মারম্যান প্রোডাক্টস’ নামের একটি কোম্পানি। সেখানে বিভিন্ন ধরনের মেশিন এবং যন্ত্রাংশ নির্মাণ করা হতো। মারম্যান টুইন নামের একটি মোটরসাইকেলও কিছুদিন চালু ছিল বাজারে।

তবে তার মূল নামডাকটা হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে। তখন তার কোম্পানি যুদ্ধক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্টস যোগান দিয়েছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল ‘মারম্যান ক্ল্যাম্প’, যা কার্গোকে দুর্ভেদ্য নিরাপত্তা দিতে সাহায্য করত। এই মারম্যান ক্ল্যাম্প কিন্তু বর্তমান যুগেও ব্যবহৃত হয়ে আসছে, বিশেষ করে স্পেসক্রাফট বানানোর কাজে।

‘ভেপার ডেলিভারি হিটিং প্যাড’ ও আবিষ্কার করেছিলেন জেপো। তবে তার সবচেয়ে বিখ্যাত আবিষ্কার হলো ‘কার্ডিয়াক পালস রেট মনিটর ওয়াচ’, অনিয়মিত হৃদস্পন্দন শনাক্ত করার জন্য এটি বহুল ব্যবহৃত।

বারবারা কার্টল্যান্ড

ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রেমের উপন্যাস লেখার জন্য জনপ্রিয় ছিলেন এই ব্রিটিশ ঔপন্যাসিকা। দ্রুতগতিতে উপন্যাস শেষ করার খ্যাতি ছিল তার, জীবদ্দশায় তার সর্বমোট ৭২৩টি উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছিল! যে সময়টায় টাইপরাইটারে ঝড় তুলতেন না, সেসময়টা তিনি দিতেন অ্যাভিয়েশন নিয়ে পড়াশোনার পেছনে। কাজেও লেগেছিল এই পড়াশোনা। তার সঙ্গে নিজের বুদ্ধিমত্তা কাজে লাগিয়ে তিনি বিভিন্ন মিলিটারি গ্লাইডার বানাতে সাহায্য করেছিলেন।

বারবারা কার্টল্যান্ড; Image Source: Allan Warren

গ্লাইডারের ব্যাপারে প্রথম তার আগ্রহ জন্মায় ১৯২০ সালে। জার্মানির এক উৎসবে এয়ারোটোয়িং করতে দেখেছিলেন তিনি। সেখানে গ্লাইডারকে দড়ি দিয়ে পেঁচিয়ে ছোট এক এয়ারক্রাফট অল্প কিছুদূরে উড়িয়ে নিয়ে গিয়েছিল। ব্যাপারটি কার্টল্যান্ডের পছন্দ হলেও তাকে সন্তুষ্ট করে তুলতে পারেনি। তিনি ভাবছিলেন লম্বা দূরত্ব পাড়ি দেবার কথা।

লম্বা যাত্রার সময়ে গ্লাইডার ব্যবহার করার বুদ্ধিটা পছন্দ হয়েছিল সেনাবাহিনীর। তাদের মনে হয়েছিল, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের নামানোর ক্ষেত্রে দারুণভাবে ব্যবহার করা যাবে এটি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ, জার্মান, সোভিয়েত, আমেরিকান সৈন্যদের কাছে ব্যাপকভাবে সরবরাহ করা হয় আমেরিকান গ্লাইডার। এই আবিষ্কারের জন্য ১৯৮৪ সালে বিশপ রাইট ইন্ডাস্ট্রি অ্যাওয়ার্ড পান কার্টল্যান্ড। তার ঔপন্যাসিক সত্তার তুলনায় এই গুণটিও কোনো অংশে কম যায় না।

অ্যামেলিয়া ব্লুমার

নারী অধিকার আন্দোলনের নেত্রী অ্যামেলিয়া ব্লুমারের সাথে সম্পর্কিত হয়ে আছে পোশাকের বিশেষ এক ধারা। কিন্তু নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের ক্ষেত্রে তিনি যে প্রভাব ফেলেছেন, তার কাছে এই সামান্য ফ্যাশন স্টেটমেন্ট কিছুই না।

অ্যামেলিয়া ব্লুমার; Image Source: lindabroday.com

তবে তার জীবনের সেরা অর্জন হলো ‘দ্য লিলি’ নামের একটি সংবাদপত্র প্রকাশ করা। নারী সম্পাদকের অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রকাশিত সংবাদপত্র ছিল এটি। প্রথম প্রথম এটি মদ্যপান, জুয়াখেলা ইত্যাদি দূর করে সদাচারপূর্ণ জীবনাভ্যাসকে উৎসাহিত করে প্রতিবেদন প্রকাশ করত। আস্তে আস্তে নারীদের বিভিন্ন মতামত প্রকাশের মঞ্চ হয়ে ওঠে এটি। পত্রিকাটি প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৮৪৯ সালের পয়লা জানুয়ারি।

‘দ্য লিলি’র সফলতার পরে নারীদের সম্পাদনায় পত্রিকা প্রকাশের হিড়িক পড়ে যায়। যার মূলে ছিলেন সুজান বি অ্যান্থনি এবং এলিজাবেথ ক্যাডি স্ট্যান্টন, নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের জন্য আন্দোলন করা আরো দুই বিখ্যাত নেত্রী।

১৮৫১ সালের এপ্রিল মাসে প্রথম নিজের ডিজাইন করা পোশাকের ব্যাপারে লেখেন অ্যামেলিয়া ব্লুমার। টার্কিশ পাজামার নিচের দিকে স্কার্টের মতো করে শেষ হওয়া এই পোশাকটি ছিল প্রচলিত সব পোশাকের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক। সেই পোশাক পরে চলে ফিরে বেরিয়ে দারুণ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করতে লাগলেন সবাই। ভিক্টোরিয়ান ধাঁচের অস্বস্তিকর জমকালো পোশাকের বদলে সকলের আলমারিতে জায়গা করে নেয় এটি। এই প্যান্টগুলোর নাম দেয়া হয়েছিল ‘ব্লুমার’, আর যারা এই ফ্যাশন অনুসরণ করতেন, তাদের বলা হত ‘ব্লুমেরিটস’।

ব্লুমার নিজে এই ফ্যাশনের প্রচারণা খুব বেশিদিন চালাননি অবশ্য। তার কাছে মনে হয়েছিল, মানুষ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাদ দিয়ে কেবল পোশাকের ডিজাইন নিয়েই মেতে আছে, অনেকটা আজকালের মতোই!

জন মন্ট্যাগু ওরফে আর্ল অফ স্যান্ডউইচ

আসল নামে খুব বেশি মানুষ চিনতে পারবেন না তাকে। কিন্তু তার উপাধি যে খাবারের নামানুসারে হয়েছে, তার নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া ভার।

মন্ট্যাগু অবশ্য খুব সাধু লোক ছিলেন না। জুয়াখেলার নেশা ছিল তার প্রবল। তিনি এমন এক জিনিস খেতে চেয়েছিলেন, যা খাওয়ার জন্য তাসের টেবিল ছেড়ে উঠতে হবে না। তাকে রুটির ভেতরে মাংস পুরে খেতে দেখে তার বন্ধুরাও মজা পেয়ে গেলেন। ফলে তারাও এই জিনিস অর্ডার করা শুরু করলেন।

এভাবেই খুব দ্রুতগতিতে জনপ্রিয়তা পেয়ে গেল স্যান্ডউইচ। অনেকে অবশ্য জুয়াড়ি হিসেবে তার কুখ্যাতিটাকে মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। তাদের মতে, অফিসের কাজে সারাক্ষণ নাক-মুখ গুঁজে থাকতে থাকতেই স্যান্ডউইচ উদ্ভাবন করেছিলেন মন্ট্যাগু।

আর্ল দ্য স্যান্ডউইচ; Image Source: Wikimedia

কর্মজীবনে তার সফলতা ঢাকা পড়ে গিয়েছে স্যান্ডউইচের আড়ালে। ১৭৪৮ সালে তিনি নৌবাহিনীর ফার্স্ট লর্ড অভ অ্যাডমিরালটি পদে উন্নীত হন। এই পদে তিনি কাজ করেছিলেন ১৭৫১ সাল পর্যন্ত। পরে ১৭৬৩ সালে এবং ১৭৭১-১৭৮২ সাল পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

প্রথম দফায় খুব একটা সফল ছিলেন না তিনি। আমেরিকান স্বাধীনতা সংগ্রামে সমর্থন জানানোর কারণে শিকার হয়েছিলেন সমালোচনার। পরবর্তীতে নিজের যোগ্যতার উপযুক্ত একটি কাজ করেন তিনি- ক্যাপ্টেন কুককে তার অভিযানের খরচ যোগান। হ্যাঁ, সেই ক্যাপ্টেন কুক, যিনি অস্ট্রেলিয়া আবিষ্কার করেছিলেন।

কুকের দুটি অভিযানে ব্যাপকভাবে সাহায্য করেছিলেন তিনি। ১৭৭৮ সালে হাওয়াইয়ান দ্বীপপুঞ্জ আবিষ্কারের পরে বন্ধুর নামানুসারে কুক সেখানকার একটি দ্বীপের নাম দেন ‘স্যান্ডউইচ আইল্যান্ড’।

এলিশা গ্রে

এলিশা গ্রে আর আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেল দুজনেই কাছাকাছি সময়ে টেলিফোনের প্রোটোটাইপ আবিষ্কার করেছিলেন। কিন্তু তার মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে প্যাটেন্ট অফিসে সেই প্রোটোটাইপের নিবন্ধন করে ফেলেন বেল।

অনেকে আবার বলেন, তার ডিজাইন করা টেলিফোন লিকুইড ট্রান্সমিটারের ব্যবহারের ব্যাপারে এলিশা গ্রের তত্ত্ব চুরি করেছিলেন বেল। তিনি নাকি গ্রের করা প্যাটেন্ট অ্যাপ্লিকেশনটি দেখে নিজের মেশিনে এ ব্যাপারটি কাজে লাগিয়েছিলেন।

এলিশা গ্রে; Image Source: Thoughtco

তারা দুজনেই কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন, কিন্তু আমরা সবাই জানি যে, জয় হয়েছিল বেলেরই। ইতিহাস কেবল বিজয়ীদেরই মনে রাখে, তাই গ্রের নাম ভুলে যেতে সময় লাগল না কারো। তবে তার গল্প কিন্তু ওখানেই থেমে যায়নি। এরপরেও বিভিন্ন জিনিস আবিষ্কার করে গেছেন তিনি। টেলিগ্রাফ নিয়ে কাজ করতে করতে তিনি আবিষ্কার করে ফেলেন টেলাটোগ্রাফ- যা আজকের দিনের ফ্যাক্স মেশিনের পুর্বসূরী। এর মাধ্যমে স্বাক্ষর, চিঠি, এমনকি ছবিও পাঠানো যেত। ব্যাংক, হাসপাতাল, রেলওয়ে কিংবা পুলিশ স্টেশনে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে এটি।

মৃত্যুর আগপর্যন্ত সর্বমোট ৭০টি জিনিস প্যাটেন্ট করে গেছেন তিনি। এছাড়াও তিনি ‘ওয়েস্টার্ন ইলেকট্রিক ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটি চালু আছে এখনো। এখন এর নাম ‘ফরচুন ফাইভ হানড্রেড করপোরেশন গ্রেবার’।

জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার

১৯৪১ সালে জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভারকে টাইম ম্যাগাজিন অভিহিত করে ‘কালো লিওনার্দো’ হিসেবে। দাস পরিবারে জন্ম নেবার পরেও কার্ভার হয়ে উঠেছিলেন দেশসেরা কৃষিবিদদের একজন। বিভিন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। এত কিছু করার পরেও সবার কাছে তার পরিচয় ‘পিনাট-বাটার মানব’ হিসেবে।

জর্জ ওয়াশিংটন কার্ভার; Image Source: Brittanica

ব্যাপারটি তার জন্য বেশ অবমাননাকর। শুধু তা-ই না, নামটি ভুল অর্থে দেয়া হয়েছে। কার্ভার আসলেই পিনাটের বিভিন্ন ব্যবহারিতা আবিষ্কার করেছিলেন বটে, কিন্তু পিনাট বাটার তার আবিষ্কার না। বহু আগেই অ্যাজটেকরা আবিষ্কার করেছিল এ বস্তু।

কার্ভার মূলত ভূমিকা রেখেছিলেন আমেরিকান কৃষকের কষ্ট লাঘবের কাজে। দক্ষিণ আমেরিকার মূল শস্য ছিল তুলা। জমির বেশিরভাগ পুষ্টিই খেয়ে নিত তুলা গাছ, তাই পরপর দুই বছর ভালো ফসল পাওয়া অসম্ভব ছিল। সেজন্য কার্ভার এক বছর পর পর তুলা চাষের নিয়ম প্রবর্তন করেন।

তিনি পরীক্ষা করে দেখেন, ঐসব এলাকার মাটি মিষ্টি আলু এবং পিনাট অর্থাৎ চিনাবাদাম চাষের উপযুক্ত। তুলা চাষের পরের বছর জমির পুষ্টি বাড়ানোর জন্য সেগুলো চাষ করার বুদ্ধি দেন তিনি। কিন্তু এই বিশাল পরিমাণ চিনাবাদাম দিয়ে কী করবেন কৃষকেরা? সেই প্রশ্নের উত্তর হিসেবে চিনাবাদামের হরেক রকম ব্যবহারের বুদ্ধি বের করে ফেলেন। এর ফলে চিনাবাদাম যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রধান শস্যে পরিণত হয়।

This article is in Bengali language. It is about some prominent historical figures, who are remembered for the wrong reasons. For further information, please check out the hyperlinked texts.

Featured Image: Crustblog.files

Related Articles