প্রথম পর্বে মার্শাল আর্টের উৎপত্তি এবং প্রাচীন মার্শাল আর্টসমূহ নিয়ে লেখা হয়েছে। যারা পড়েননি তারা পড়ে নিতে পারেন এখানে ক্লিক করে। তো মার্শাল আর্টের শুরুটা প্রথমত আত্মরক্ষার প্রয়োজনে হলেও সেটি আস্তে আস্তে ধর্মীয় চেতনা এবং বিনোদনের মাধ্যমে পরিণত হয়েছে যুগের পর যুগ ধরে। কিছু মার্শাল আর্ট হারিয়ে গিয়েছে, আবার কিছু টিকে আছে। কিছু মার্শাল আর্ট হয়েছে কোনো জাতির স্বাধীনতার অন্যতম পন্থা।
তবে বর্তমানের মার্শাল আর্ট বলতে মূলত মিশ্র মার্শাল আর্টকেই বোঝানো হয়। মিশ্র মার্শাল আর্ট হচ্ছে বিভিন্ন প্রকার মৌলিক মার্শাল আর্টের সমন্বয়। যে মাস্টার কারাতে-তে অভিজ্ঞ তিনি রেসলিংয়ে অভিজ্ঞ না-ও হতে পারেন। এখন তাকে যদি রেসলিংয়ে অভিজ্ঞ কোনো মাস্টারের সাথে দ্বন্দ্ব করতে হয় তাহলে সেটা অসম হয়ে যাবে। এর থেকেই মূলত মিশ্র মার্শাল আর্টের সৃষ্টি। এতে করে কোনো একধরনের মার্শাল আর্টের দুর্বল দিকে বিশেষ নজর দিয়ে শক্তিশালী করা যায়।
পৃথিবীতে বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার মার্শাল আর্টের অস্তিত্ব থাকলেও এদেরকে কয়েকটি নির্দিষ্ট ভাগে ভাগ করা যায়।
মার্শাল আর্টের প্রকারভেদ
সাধারণত সারাবিশ্বে মার্শাল আর্টের বিভিন্ন প্রকার কলাকৌশল থাকলেও বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী এদেরকে কয়েকটি বিভাগে ভাগ করা যায়। যেমন, অস্ত্রসহ (Armed) অথবা অস্ত্রবিহীন (Unarmed), স্ট্যান্ড-আপ স্টাইল বা গ্রাউন্ড ফাইটিং স্টাইল ইত্যাদি। তবে সাধারণ হিসেবে ছয়টি ভাগে এদের ভাগ করা হয়ে থাকে। যেগুলো হলো-
১) স্ট্রাইকিং স্টাইল বা স্ট্যান্ড-আপ স্টাইল যেমন, বক্সিং, কারাতে, ক্রাভ মাগা, কুংফু, কিক-বক্সিং, তাইকুন্ডু ইত্যাদি।
২) গ্রেপ্লিং স্টাইল বা গ্রাউন্ড ফাইটিং স্টাইল যেমন, ব্রাজিলীয় জুজুৎসু, রাশিয়ান সাম্বো, শুটফাইটিং, রেসলিং ইত্যাদি।
৩) থ্রোয়িং স্টাইল বা টেক-ডাউন স্টাইল যেমন, আইকিডো, জুডো, হাপকিডো, শুয়াই জাও ইত্যাদি।
৪) ওয়েপন বেসড স্টাইল যার মধ্যে আছে গতানুগতিক অস্ত্রভিত্তিক (ফেন্সিং, গাটকা, কালি, কেন্ডো সিলামবাম ইত্যাদি) এবং আধুনিক অস্ত্রভিত্তিক (এসক্রিমা, জুগো ডু পাউ, জুকেন্ডো ইত্যাদি)
৫) লো ইম্প্যাক্ট অথবা মেডিয়েটিভ স্টাইল যেমন, বাগুয়াজাং, তাই চাই, চাই গং ইত্যাদি।
৬) মিক্সড মার্শাল আর্টস
বিবর্তন এবং আধুনিক মার্শাল আর্ট
মার্শাল আর্টকে স্বাভাবিক দৃষ্টিকোণ থেকে দুই ভাগেই ভাগ করা হয়; অস্ত্রসহ এবং অস্ত্রবিহীন। অস্ত্রসহ মার্শাল আর্টের মধ্যে আছে আর্চারি (Archery অর্থাৎ, তীর-ধনুক), তলোয়ার পরিচালনা কিংবা বর্শা নিক্ষেপ। আবার অস্ত্রবিহীন যেসব মার্শাল আর্ট প্রচলিত ছিলো, ধারণা করা হয় সেসব চীনে জন্ম নেয়। এসব অস্ত্রহীন মার্শাল আর্টের উদ্দেশ্য হচ্ছে শুধুমাত্র হাত-পায়ের সাহায্যে যুদ্ধ করার কৌশল। জাপানে সাধারণত মিলিটারিদের মধ্যে মার্শাল আর্টের প্রচলন ছিলো। তবে সাধারণ মানুষজনও মার্শাল আর্টের প্রতি অনুরক্ত ছিলো।
জাপানের বহুল প্রচলিত মার্শাল আর্ট পরিচিত ছিলো নিনজুৎসু নামে। নিনজা (Ninja) বলতে আমরা যাদের বুঝি মূলত এরা এই নিনজুৎসু টাইপের মার্শাল আর্ট অনুশীলন করে। তবে নিনজাদের অনেকে আততায়ীও মনে করেন। যদিও নিনজুৎসু অনুশীলন করতো প্রাদেশিক জাপানের মিলিটারি গুপ্তচরেরা। এই মার্শাল আর্টের মধ্যে শেখানো হতো গুপ্তবেশ ধারণ করা, পালিয়ে আসার বিভিন্ন পদ্ধতি ইত্যাদি। এমনকি এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত ছিলো ভূগোল, ঔষধি এবং বিস্ফোরক সমূহের জ্ঞান।
প্রায় ঊনবিংশ শতকের দিকে পূর্ব এশিয়ার মার্শাল আর্টের প্রতি পশ্চিমাদের আগ্রহ বৃদ্ধি পায়। যদিও তখন চীনের মার্শাল আর্ট বেশ সমৃদ্ধ হয়েছে। কিন্তু চীন প্রথমদিকে মার্শাল আর্টের সংস্কৃতিকে তাদের দেশের বাইরে বের হতে দেয়নি। তবে পরবর্তীতে যখন পশ্চিমাদের সাথে পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়তে থাকে, তখন চীন মার্শাল আর্টকে আর গুপ্ত রাখতে পারেনি। অপরদিকে পশ্চিমারাও মার্শাল আর্টের গুরুত্ব অনুভব করেছিলো খুব ভালোভাবেই। সেইসময়ে হাতেগোনা কিছু পশ্চিমা মার্শাল আর্টের অনুশীলন করতো। তবে স্রেফ একপ্রকার ব্যায়াম বা দক্ষতা হিসেবে।
এডওয়ার্ড উইলিয়াম বারটন রাইট নামক রেলওয়ের একজন ইঞ্জিনিয়ার জাপানে থাকাকালীন সময়ে জুজুৎসু শেখেন। ধারণা করা হয় যে, তিনিই প্রথম ইউরোপীয় দেশসমূহে এই জুজুৎসু মার্শাল আর্টকে নিয়ে আসেন। তিনি নতুন একপ্রকার মার্শাল আর্টের প্রচলন করেন যার নাম দেন ব্রিটিৎসু। এটি ছিলো জুজুৎসু, জুডো, বক্সিং, স্যাভাট এবং স্টিক ফাইটিং স্টাইলের সমন্বয়। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলোর মিলিটারিরা মার্শাল আর্টের প্রতি আকৃষ্ট হয় এবং তারা চীন, জাপান এবং কোরিয়াতে গিয়ে মার্শাল আর্ট শিখতে শুরু করে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে উইলিয়াম ফেয়ারবার্নকে নিয়োগ করা হয় যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডিয়ান কমান্ডো এবং রেঞ্জার ফোর্সকে জুজুৎসু শেখানোর জন্য। উইলিয়াম ফেয়ারবার্ন ছিলেন সাংহাই পুলিশের একজন অফিসার এবং এশিয়ান ফাইটিং স্টাইলের একজন অভিজ্ঞ ব্যক্তি।
এভাবে আস্তে আস্তে মার্শাল আর্ট ছড়িয়ে পড়ে পড়ে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে এবং অন্যান্য দেশের মার্শাল আর্টের সাথে মিশে গিয়ে নতুন ধরনের মার্শাল আর্টের জন্ম দিতে থাকে। যেমন জাপানের তে-ইন-ওকিনাওয়া, জুজুৎসু এবং কেনজুৎসু কিংবা কোরিয়ার তাইকিয়ন বা সুবাক অন্যান্য মার্শাল আর্টের সাথে মিশে সৃষ্টি হয় কারাতে, আইকিডো বা তাইকুন্ডুর মতো আধুনিক এবং জনপ্রিয় মার্শাল আর্টের।
১৯৭০ এবং ১৯৮০ সালের দিকে মার্শাল আর্টের প্রতি মিডিয়াও অনেক আকৃষ্ট হয়। এর ফলে মার্শাল আর্টের জনপ্রিয়তা আরো বৃদ্ধি পায়। মার্শাল আর্টের এই জনপ্রিয়তার জন্য এশিয়ান এবং হলিউডের মার্শাল আর্ট সিনেমাগুলো অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ী এবং ব্রুস লি, জ্যাকি চ্যান, কিংবা জেট লির মতো মার্শাল আর্ট অভিনেতারাও ধন্যবাদ পাওয়ার দাবীদার। ১৯৬৪ সালে জুডো এবং ২০০০ সালে তাইকুন্ডু অলিম্পিকের ইভেন্ট হিসেবে যুক্ত হয়। একবিংশ শতকের শুরুর দিকে মিশ্র মার্শাল আর্ট পরিচিত লাভ করতে শুরু করে। মিশ্র মার্শাল আর্ট মানে নানাপ্রকার মার্শাল আর্টের মিশ্রণ।
বর্তমান সময়ে অস্ত্রসহ মার্শাল আর্টের বিভিন্ন জাতক, যেমন- কেন্ডো অথবা কিডো (আর্চারি) জনপ্রিয় খেলা হিসেবে অনুশীলন করা হয়। আবার অস্ত্রবিহীন মার্শাল আর্ট যেমন জুডো, সুমো, কারাতে কিংবা তাইকুন্ডুর বিভিন্ন জাতক যেমন- আইকিডো, হাপকিডো অথবা কুংফু মূলত আত্মরক্ষার জন্য অনুশীলন করা হয়। তাই চাই নামক চীনের একটি সহজ মার্শাল আর্ট মূলত অনুশীলন করা হয় একধরনের শারীরিক কসরত হিসেবে। যদিও অনেকে একে প্রকৃত মার্শাল আর্ট হিসেবে মানতে চান না।
ইতিহাসের কয়েকজন বিখ্যাত মার্শাল আর্টিস্ট
মাশাহিকো কিমুরা
কিমুরা (Masahiko Kumura) ছিলেন একজন বিস্ময়কর মার্শাল আর্টিস্ট। মাত্র ছয় বছরের অনুশীলনকে মুলধন করে কিমুরা ১৫ বছর বয়সে ইয়োনড্যান বা চতুর্থ ড্যান হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৩৫ সালে আটজন প্রতিদ্বন্দ্বীকে পরাজিত করে কিমুরা হয়ে উঠেছিলেন সর্বকনিষ্ঠ ফিফথ ডিগ্রী ব্লাকবেল্টধারী। মাত্র ২০ বছর বয়সে তিনি সমগ্র জাপানের মুক্ত ভর (Open weight) জুডো বিজয়ী খেতাব লাভ করেন। এই খেতাব তিনি পরবর্তী ১৩ বছর বহন করেছিলেন।
১৮৫১ সালে তিনি ব্লাজিলে একটি জুজুৎসু ম্যাচে হেলিও গ্রেসিয়ে কে পরাজিত করেন। তিনি এমন একটি কৌশলের প্রদর্শন করেন, যেটির কারণে তার প্রতিপক্ষের হাত ভেঙে যায়। তিনি প্রতিপক্ষের আক্রমণের এই যে পাল্টা কৌশল দেখিয়েছিলেন, সেটি পরবর্তীতে তার নামানুসারে ‘কিমুরা’ কৌশল নামে পরিচিত হয়।
ইপ ম্যান
সিনেমার কল্যাণে ইপ ম্যান (Yip Man) নামের সাথে আমরা মোটামুটি সবাই পরিচিত। অনেকে আবার ইপ ম্যান চরিত্রে অভিনয় করা ডনি ইয়েনকেই সত্যিকার ইপ ম্যান মনে করে বসেন। মূলত ইপ ম্যান ছিলেন একজন উচ্চ পর্যায়ের ঊইং চুন (Wing chun) এবং ঊশু (Wushu) নামক চায়নিজ মার্শাল আর্টের মাস্টার। পরবর্তীতে তার ছাত্রেরা চীনের বিভিন্ন প্রান্তে মার্শাল আর্টকে সমৃদ্ধ করেন। ব্রুস লী এবং উইলিয়াম চেং ছিলেন এদের মধ্যে অন্যতম যারা মার্শাল আর্টের সমূহ উন্নতি করেন। তার কিংবদন্তী নিয়েই তৈরী হয়েছে ‘ইপ ম্যান’ সিনেমা সমূহ।
চাক নরিস
চাক নরিস (Chuck Norris) মূলত ট্যাং সু ডু (Tang soo do) নামক মার্শাল আর্টের উপর প্রশিক্ষণ নেন এবং ব্লাকবেল্ট লাভ করেন। এছাড়াও তিনি তাইকুন্ডু, ব্রাজিলিয়ান জুজুৎসু এবং জুডোর উপর ব্ল্যাকবেল্ট লাভ করেন। তিনি নিজেও নতুন একধরনের মার্শাল আর্টের সূচনা করেন যার নাম তিনি দেন চুন কুক ডু (Chun kuk do)। মাঝারি ওজনের (Medium weight) কারাতে-তে তিনি ছিলেন প্রফেসনাল চ্যাম্পিয়ন। প্রায় ৩০টির মতো টুর্নামেন্ট তিনি জিতেছেন। এছাড়া তিনি অভিনয়ও করেছেন বেশ কিছু সিনেমায়। বিশেষ করে ব্রুস লী-র বিপরীতে মার্শাল আর্ট দৃশ্যে।
জিগোরো কানো
কানো (Jigoro Kano) ছিলেন একজন জুজুৎসু অভিজ্ঞ ব্যক্তি। তিনি জুজুৎসু থেকে জুডো নামক মার্শাল আর্টের সৃষ্টি করেন। তার কোদোকান জুডো স্টাইল এখনও বেশ প্রসিদ্ধ। তিনি জাপানের স্কুলগুলোতে জটিল কলাকৌশলে ভরা মার্শাল আর্ট-কে সরিয়ে জুডোকে প্রতিষ্ঠিত করেন।
গিচিন ফুনাকোশি
গিচিন ফুনাকোশি (Gichin Funakoshi) ছিলেন একমাত্র ব্যক্তি যিনি কারাতে-তে সর্বোচ্চ উপাধি ‘পঞ্চম ড্যান’ লাভ করেন। কোনো মানুষের জীবদ্দশায় এর বেশি উপাধি লাভ করা সম্ভব না। তিনি নিজস্ব একপ্রকার মার্শাল আর্টের প্রতিষ্ঠা করেন যেটি শটোকান (Shotokan) নামে পরিচিত। শটোকান বর্তমানে সর্বাধিক প্রচলিত কারাতে কৌশল। ফুনাকোশির লেখা "The Twenty Guiding Principles of Karate" কারাতের উপর লেখা তার কারাতে দর্শন। এই ২০টি সূত্রই শটোকান কারাতের মূলভিত্তি।
হেলিও গ্রেসিয়ে
হেলিও গ্রেসিয়ে (Helio Gracie) ছিলেন ব্রাজিলিয়ান জুজুৎসুর জনক। তিনি যুবা বয়সে তার অন্যান্য ভাইদের থেকে ছিলেন বেশ দুর্বল। অন্ততপক্ষে কারাতে, জুডো বা তাইকুন্ডু শেখার পক্ষে দুর্বল তো ছিলেন। তাই তিনি নিজেই এসব মার্শাল আর্টকে নিজের মতো করে পরিবর্তিত করে নেন, যেন খুব সবল না হলেও সেই মার্শাল আর্ট অনুশীলন করা যায়। এই পরিবর্তনের ফলাফলই ব্রাজিলিয়ান জুজুৎসু। জীবদ্দশায় তিনি এই মার্শাল আর্টের সাহায্যে বেশ কিছু টুর্নামেন্ট জেতেন। পরবর্তীতে তার ছেলে রয়েস গ্রেসিয়ে এই মার্শাল আর্টের মাধ্যমে আরো উন্নতি করেন।
রয়েস গ্রেসিয়ে
রয়েস গ্রেসিয়ে (Royce Gracie) ছিলেন হেলিও গ্রেসিয়ের ছেলে। তিনি তার বাবার সৃষ্টি করা জুজুৎসুর মাধ্যমে পর পর তিনটি ‘আল্টিমেট ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশীপ’ (UFC) টুর্নামেন্ট জেতেন। সেই সময়ে কোন মার্শাল আর্ট শ্রেষ্ঠ, সেটি নিয়ে বেশ তর্ক-বিতর্ক ছিলো। কারাতে, কুংফু, তাইকুন্ডু এবং বক্সিং-কে সেই সময়ে বেশি প্রাধান্য দেয়া হতো। কিন্তু রয়েস গ্রেসিয়ে তিনটি ইউএফসি জিতে এই শ্রেষ্ঠত্বের ধারণা পাল্টে দেন। এভাবে তিনি মিশ্র মার্শাল আর্টকে সবার সাথে পরিচিত করিয়ে দেন। বর্তমানে মিশ্র মার্শাল আর্টই সর্বাধিক প্রচলিত মার্শাল আর্ট।
ব্রুস লী
ব্রুস লী (Bruce Lee) বেশি পরিচিত মূলত তার অভিনয় পেশার জন্য। কিন্তু তার অভিনয়ের মাধ্যমেই তিনি মার্শাল আর্টকে নিয়ে গিয়েছেন অন্য উচ্চতায়। ইউএফসির সভাপতি ডানা হোয়াইটের ভাষ্যমতে ব্রুস লী-ই মিশ্র মার্শাল আর্টের জনক। অনেক উচ্চ পর্যায়ের মার্শাল আর্টিস্ট এবং অভিনেতা লী-কে তাদের অনুপ্রেরণা বলে উল্লেখ করেন। লী ছিলেন মূলত একজন ঊইং চুন মার্শাল আর্টে অভিজ্ঞ ব্যক্তি। একইসাথে তিনি জুডো, জুজুৎসু, বক্সিং এবং ফিলিপিনো মার্শাল আর্টেও দক্ষ ছিলেন। তাকে বলা হয় সর্বকালের সর্বাধিক প্রভাবশালী মার্শাল আর্টিস্ট।
এভাবে বিভিন্ন মার্শাল আর্ট পথিকৃৎদের চেষ্টায় এবং অনুশীলনের মাধ্যমে মিশ্র মার্শাল আর্টের সৃষ্টি হয়েছে। মৌলিক মার্শাল আর্টের থেকে সরে এসে মিশ্র এসব মার্শাল আর্ট এখন জনপ্রিয় হচ্ছে সবার মধ্যে।
মার্শাল আর্ট সম্পর্কে আরও জানতে পড়ুন এই বইটি
This article is in Bengali language. It describes the evolution of martial art and modern martial arts. Necessary references have been hyperlinked inside.
Featured Image © beemat.co.uk