Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

অভিশপ্ত কেনেডি পরিবার!

যুক্তরাষ্ট্র এমন একটি দেশ যেখানে কখনো রাজতন্ত্র ছিল না, ছিল না সরাসরি পরিবারতন্ত্রের কোনো ছোঁয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্রে বাস করা কিছু পরিবার রয়েছে, যাদের শেকড় অনেক পুরনো। এসব পরিবার পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে এসে বসতি গেড়েছিল আমেরিকার মাটিতে, এরপর পরিশ্রম আর মেধা দিয়ে বিকশিত করেছে নিজেদের। এসব পরিবার নিয়ে অনেক গালগল্প শোনা যায়, যেমন অল্প কয়েকটি পরিবারের পুরো পৃথিবী শাসন করার কথা। কেনেডি পরিবার ঠিক তেমনি পুরাতন এক পরিবার, যে পরিবার আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে নিজেদের প্রায় অমর করে রেখেছে। কিন্তু এই পরিবারের সাথে যেন রয়েছে এক অভিশাপ, যে অভিশাপের কারণে পরিবারের সদস্যদের মৃত্যু হয় দুর্ঘটনায় কিংবা আততায়ীর হাতে! অস্বাভাবিক মৃত্যু ছাড়াও অনেকে শিকার হয়েছেন নানা রকম দুর্ঘটনার। চলুন এ অভিশাপের সাথে জেনে নেয়া যাক কেনেডি পরিবারের কিছু কথা।

শুরুর কথা

আয়ারল্যান্ডের দুর্ভিক্ষ থেকে বাঁচতে ১৮৪৯ সালে আমেরিকার মাটিতে পা রাখেন প্যাট্রিক কেনেডি ও তার স্ত্রী ব্রিজেট মারফি। আয়ারল্যান্ড থেকে এসে বোস্টনে নতুন জীবন শুরু করেন তারা। তাদের সন্তান প্যাট্রিক জোসেফ কেনেডি, যিনি পি. জে. কেনেডি নামে পরিচিত ছিলেন, ম্যাসাচুসেটসে ব্যবসা আর রাজনীতি শুরু করেন। প্যাট্রিক জোসেফের বড় ছেলে জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি সিনিয়র ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগ করে বেশ সাফল্য পান। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্যের অ্যাম্বাসেডর হিসেবেও ছিলেন তিনি কিছুদিন।

বাবা-মা ও ভাইবোনদের সাথে জন এফ কেনেডি; Source: AP photo

জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি সিনিয়র ও তার স্ত্রী রোজ এলিজাবেথ ফিৎজেরাল্ডের ছিল নয়জন ছেলে মেয়ে। সেই নয়জনের দ্বিতীয়জনই হচ্ছেন আমেরিকার বিখ্যাত প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি, যিনি ‘জেএফকে’ নামেই বেশি পরিচিত। তবে জেএফকেই একমাত্র ব্যক্তি নন, যিনি আমেরিকার রাজনীতির ময়দানে ছিলেন। ডেমোক্রেটিক দলকে সমর্থন করা কেনেডি পরিবারে প্রেসিডেন্ট ছাড়াও ছিলেন একাধিক সিনেটর, অ্যাটর্নি জেনারেল। তার পিতামহের সময় থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত কেনেডি পরিবারের কেউ না কেউ জনপ্রতিনিধি হিসেবে ছিলেনই। কিন্তু এতকিছুর পরেও কেনেডি পরিবারের পিছু ছাড়েনি অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিশাপ।

জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি জুনিয়র

জন এফ. কেনেডির বড় ভাই জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি জুনিয়র ছিলেন নয় ভাই-বোনের মধ্যে সবচেয়ে বড়। তার বাবা জোসেফ প্যাট্রিক সিনিয়র আশা করেছিলেন বড় ছেলে রাজনীতিতে যোগ দেবে এবং স্বপ্ন দেখতেন একদিন তার বড় ছেলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হবেন। ১৯৪১ সালে আমেরিকা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যোগ দিলে জোসেফ জুনিয়র হার্ভার্ডের আইন বিষয়ে পড়া ছেড়ে যোগ দেন নৌবাহিনীতে।

জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি জুনিয়র; Source: slice the life

১৯৪৪ সালে আমেরিকার নৌবাহিনী মনুষ্যবিহীন বিমান নিয়ে গবেষণা করছিল। পাইলটরা বোমাবহনকারী বিমান নিয়ে দু’হাজার ফুট উপরে উঠে প্যারাসুট নিয়ে লাফ দিত। অন্যদিকে মাটি থেকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিমানগুলো দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে লক্ষ্যে আত্মঘাতী হামলা চালানো হতো। ১৯৪৪ সালের ১২ আগস্ট সেরকমই এক মিশনে ছিলেন জোসেফ প্যাট্রিক। ইংলিশ চ্যানেলের উপরে বিশ হাজার পাউন্ড গোলাবারুদসহ বিস্ফোরিত হয় তার বিমান। মাত্র ২৯ বছর বয়সে মারা যান জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি জুনিয়র। সূচনা করেন কেনেডি পরিবারের অস্বাভাবিক মৃত্যুর।

ক্যাথলিন কেনেডি

জেএফকের বোন ছিলেন ক্যাথলিন, নয় ভাই-বোনের মধ্যে চতুর্থ। বাবার সাথে লন্ডনে থাকাকালীন ক্যাথলিনের বেশ কিছু বন্ধু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে জোসেফ প্যাট্রিক কেনেডি সিনিয়র পুরো পরিবারকে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ১৯৪৩ সালে রেড ক্রসের হয়ে কাজ করতে ক্যাথলিন আবারো যান ইংল্যান্ডে। সেসময় উইলিয়াম ক্যাভেন্ডিসের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তাকে বিয়ে করতে চাইলে ক্যাথলিনের বাবা রাজি হন না। বাবার অমতেই উইলিয়ামকে বিয়ে করেন ক্যাথলিন।

ক্যাথলিন কেনেডি; Source: CNN

বিয়ের মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পর উইলিয়াম যুদ্ধে যান। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাসে জার্মান স্নাইপারের গুলিতে মারা যান মাত্র পাঁচ মাস পরেই। ক্যাথলিন বড় ভাইকে হারানোর এক মাসের মধ্যে হারান তার স্বামীকেও। যুদ্ধ শেষে ১৯৪৮ সালের দিকে ক্যাথলিনের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে আর্ল ফিৎজউইলিয়ামের সাথে। এবারো তার বাবা বিয়েতে অমত করেন। ১৯৪৮ সালের ১৩ মে প্যারিসে বাবাকে রাজি করাতে প্লেনে করে যাচ্ছিলেন ক্যাথলিন ও আর্ল। কিন্তু ভাইয়ের মতো বিমান দুর্ঘটনায় মারা যান ক্যাথলিনও। পরিবারের দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্যাথলিনের।

প্যাট্রিক বোভেয়ার কেনেডি

প্যাট্রিক কেনেডি ছিল প্রেসিডেন্ট কেনেডির ছেলে, যে মারা যায় জন্মের মাত্র ৩৯ ঘন্টা পরেই! ১৯৬৩ সালের ৭ আগস্ট জন্ম নেয়া প্যাট্রিক জন্মেছিল সময়ের সাড়ে পাঁচ সপ্তাহ আগে। তার জন্ম হয়েছিল শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা নিয়ে। জন্মের পরপরই ডাক্তাররা তার শ্বাস নেয়ার সমস্যা খেয়াল করেন। ডাক্তারদের অনেক চেষ্টার পরেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি।

জন এফ কেনেডি

কেনেডি পরিবারের সবচেয়ে বিখ্যাত ব্যক্তি আমেরিকার ৩৫তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি। বড় ভাই জোসেফের মৃত্যুর পর তাদের বাবা জনকে প্রেসিডেন্ট বানানোর স্বপ্ন দেখতেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার নৌবাহিনীতে থাকা জন কেনেডি মারা যেতে পারতেন জাপানীদের হাতে, সাগরেই। কিন্তু ভাগ্য আর সাহসের কারণে পায়ে সামান্য আঘাত নিয়ে বেঁচে ফেরেন তিনি। যুদ্ধ শেষে যোগ দেন রাজনীতিতে।

জন এফ. কেনেডি; Source: Comicvine

১৯৬০ সালের নির্বাচনে জয়লাভ করে ১৯৬১ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন জেএফকে। প্রেসিডেন্সির সময়টা বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল তার জন্য। কিউবান মিসাইল সংকটের সময় তার সাহস ও বুদ্ধির জোরে পৃথিবী রক্ষা পায় পারমাণবিক যুদ্ধের হাত থেকে। ১৯৬৩ সালে হারান তার সদ্যজাত পুত্র প্যাট্রিককে। কিন্তু ১৯৬৩ সাল ছেলেকে হারানোর পাশাপাশি হয়ে যায় তার নিজেরও মৃত্যুর সাল।

১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর টেক্সাসের ডালাসে আততায়ীর গুলিতে মারা যান জন এফ কেনেডি। গাড়িতে তার স্ত্রীর পাশে বসে থাকা অবস্থায় মাথায় গুলি লাগে তার। তাকে হত্যার জন্য লি হারভে অসওয়াল্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু বিচারের আগে সে-ও মারা যায় আরেক আততায়ীর গুলিতে। ফলে জন এফ কেনেডির মৃত্যু নিয়ে রয়েছে অনেক গুজব, রয়েছে নানা মুনির নানা মত। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে লি হারভে অসওয়াল্ডকেই দায়ী করে আমেরিকান সরকার।

আততায়ীর শিকার হবার কয়েক মিনিট আগে গাড়িবহরে জেএফকে; Source: Getty image

রবার্ট এফ কেনেডি

দুই ভাই ও এক বোনকে হারানোর পর রবার্ট এফ কেনেডির পরিণতিও হয় তার ভাইয়ের মতোই, আততায়ীর হাতে মৃত্যু। নয় ভাই-বোনের মধ্যে সপ্তম রবার্ট তার ভাই জনের প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ছিলেন আমেরিকার অ্যাটর্নি জেনারেল। অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন তিনি এফবিআইয়ের সাহায্যে মাফিয়াদের উপর খড়গহস্ত হন। দিনরাত পরিশ্রম করে তিনি মাফিয়াদের অপরাধগুলোকে দমন করার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালান। ফলে তার শত্রুর সংখ্যাও বাড়তে থাকে।

ভাইয়ের মৃত্যুর পর তিনি রাজনীতিতে যোগ দেন এবং ১৯৬৫ সালে নিউ ইয়র্কের সিনেটর হিসেবে নির্বাচিতও হন। ১৯৬৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি ডেমোক্রেট দলের হয়ে নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য প্রাথমিক নির্বাচনে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন। ১৯৬৮ সালের ৫ জুন ক্যালেফোর্নিয়াতে প্রাথমিক বিজয়ের পর তিনি দ্য অ্যাম্বাসেডর হোটেলে তার সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা দেন। এরপর সংবাদ সম্মেলনের জন্য যাবার পথে আততায়ী তাকে গুলি করে। তিনটি গুলিবিদ্ধ রবার্ট পরদিন সকালে হাসপাতালে মারা যান। তাকে হত্যাকারী শিরহান এখনো জেলবন্দী।

রবার্ট কেনেডি; Source: Nils M. Solsvik Jr.

ডেভিড অ্যান্থনি কেনেডি

রবার্ট এফ কেনেডির এগারো সন্তানের মধ্যে ডেভিড ছিলেন চতুর্থ। বাবার মৃত্যুর ঠিক আগের দিন মারা যেতে পারতো ডেভিড নিজেও। প্রশান্ত মহাসাগরের সৈকতে ভাই-বোনদের সাথে খেলতে খেলতে সমুদ্রের ঢেউ এসে টেনে নিয়ে যায় ১৩ বছরের ডেভিডকে। কিন্তু বাবা রবার্টের সাহসিকতায় সে উদ্ধার পায় সেদিন। কিন্তু একদিন পরেই টিভিতে দেখতে হয় বাবার মৃত্যু।

১৯৭৩ সালে এক সড়ক দুর্ঘটনায় বেশ খারাপভাবে আহত হয় ডেভিড। দুর্ঘটনার জন্য দায়ী তারই বড় ভাই জোসেফ কেনেডি দ্বিতীয়। এ ঘটনার পর পেইনকিলারের প্রতি আসক্তি বেড়ে যায় ডেভিডের। হিরোইন, কোকেইনের প্রতিও আসক্তি আসতে থাকে ধীর ধীরে। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে দু’বছর আমেরিকার ইতিহাসের উপর পড়াশোনাও করেছিলেন তিনি। কিন্তু গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারেননি। ১৯৮৪ সালে রিহাবে থাকা অবস্থায় এপ্রিলের ১৯ তারিখে ফ্লোরিডায় যান ইস্টার পালনের জন্য। কিন্তু ২৫ এপ্রিল তাকে পাওয়া যায় মৃত হিসেবে। মারা যাবার পর তার শরীরে অতিরিক্ত কোকেইন, ডেমরোল এবং মেল্লারিল পাওয়া গিয়েছিল। অতিরিক্ত মাদক সেবনেই তার মৃত্যু হয়েছিল মাত্র ২৮ বছর বয়সে।

ডেভিড কেনেডি; Source: Alchetron

মাইকেল কেনেডি

রবার্ট এফ কেনেডির আরেক ছেলে মাইকেল কেনেডির মৃত্যুও হয় দুর্ঘটনায়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞানের ডিগ্রী আর ইউনিভার্সিটি অব ভার্জিনিয়া থেকে আইনের উপরে ডিগ্রী নেয়া মাইকেল বেশ শিক্ষিতই ছিলেন। তিনি তার ভাইয়ের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৯৭ সালের শেষ দিনে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কলোরাডোতে স্কি করছিলেন। স্কি করা অবস্থাতেই তিনি একটি গাছের সাথে বাড়ি খেয়ে আঘাতপ্রাপ্ত হন। সেসময় তিনি হেলমেট এবং অন্যান্য নিরাপত্তা সরঞ্জাম পড়ে ছিলেন না। ফলে আঘাতের ঘন্টাখানেক পরেই মারা যান হাসপাতালে।

মাইকেল কেনেডি; Source: Pinterest

জন এফ কেনেডি জুনিয়র

বাবার মতোই জনপ্রিয় ছিলেন জন এফ কেনেডি জুনিয়র। আইনবিদ এবং সাংবাদিক হিসেবে নিজেকে বেশ ভালোভাবেই প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তার নিজের প্রকাশিত একটি ম্যাগাজিনও ছিল। এসবের বাইরে প্লেন চালানোর শখ ছিল তার, কিনেছিলেন একটি নিজস্ব প্লেনও। আর সেটাই কাল হয়ে দাঁড়ায় তার।

১৯৯৯ সালের ১৬ জুলাই তার কাজিনের বিয়ে উপলক্ষ্যে স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে নিয়ে নিজেই প্লেনে করে যাত্রা করেন ম্যাসাচুসেটসের লক্ষ্যে। কিন্তু কেনেডির তখনো পাইলট প্রশিক্ষণ পুরোপুরি শেষ হয়নি। সন্ধ্যার দিকে রওনা দেয়ায় পৌঁছানোর আগেই রাত নেমে আসে। আর সেদিনের আবহাওয়ায় খুব একটা ভালো ছিল না। ফলে গন্তব্যে আর পৌছানো হয়নি জেএফকে জুনিয়রের। আটলান্টিক সাগরে তার লাশ পাওয়া যায় ২১ জুলাই। বড় চাচা আর ফুফুর মতো তার মৃত্যুও হয় বিমান দুর্ঘটনায়।

জন এফ কেনেডি জুনিয়র; Source: EVAN AGOSTINI

কারা কেনেডি

জেএফকে সিনিয়র ও রবার্ট কেনেডির ছোট ভাই টেড কেনেডির মেয়ে ছিলেন কারা কেনেডি। পেশাগত জীবনে পরিচালক ও লেখক হিসেবে কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। ২০০২ সালে তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। সার্জারির পর তার ক্যান্সার ভালোও হয়ে যায় একসময়। ৯ বছর পর ২০১১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির একটি হেলথ ক্লাবে শরীরচর্চা করার সময় তিনি হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৫১ বছর বয়সে সেই হৃদরোগেই মারা যান কারা কেনেডি।

টেড কেনেডি

২০০৯ সালে ৭৭ বছর বয়সে মারা যাওয়া টেড কেনেডি আততায়ী কিংবা দুর্ঘটনায় মারা না গেলেও মারা যাবার সময় তিনি আক্রান্ত ছিলেন ব্রেইন ক্যান্সারে। জন এফ কেনেডিদের সবচেয়ে ছোট ভাই টেড কেনেডি প্রায় ৪৭ বছর ম্যাসাচুসেটসের সিনেটের হিসেবে কাজ করেছেন। টেড কেনেডি মারা যেতে পারতেন তার বড় ভাই বা বোনের মতোই বিমান দুর্ঘটনায় কিংবা সড়ক দুর্ঘটনায়। দু’বার মৃত্যুর মুখে থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি।

টেড কেনেডি; Source: Boston Global

১৯৬৪ সালের জুন মাসে বিমান দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন টেড। তার মেরুদন্ডের হাড় ভেঙে যাওয়ায় পাঁচ মাস হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল থাকে। পাঁচ বছর পর মারা যেতে পারতেন আবারো। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে গেলেও মারা যায় তার সাথে থাকা মেরি কোপেচনে। দুর্ঘটনার জন্য মূলত টেডকেই দায়ী করা হয়। ১৯৭১ সালে মার্কিন সরকার পাকিস্তানের পক্ষে থাকলেও টেড কেনেডি কথা বলেছিলেন বাংলাদেশের পক্ষে। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশেও আসেন তিনি।

ফিচার ইমেজ- History.com

Related Articles