Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মিখিয়েল ডি রুইটার: সাধারণের কাতার থেকে || পর্ব-৩

[পর্ব ২ পড়ুন এখানে]

মার্চ ২৪, ১৬০৭ সাল। ঘড়ির কাঁটা সকাল আটটা ছুঁই ছুঁই করছে।

জিল্যান্ড প্রদেশের ভ্লিস্লিঞ্জেন (আরেক নাম ফ্লাশিং) গ্রামে (Vlissingen /বর্তমান নেদারল্যান্ডসের দক্ষিণপশ্চিমে ওয়ালচেরেন দ্বীপের অন্তর্গত) দরিদ্র এক পরিবারে জন্ম নিল এক শিশু, মিখিয়েল ডি রুইটার। তার বংশপরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা আছে। কেউ বলেন- তার পূর্বপুরুষ ছিলেন স্কটিশ এক সেনা, যিনি হল্যান্ডে এসেছিলেন যুদ্ধ করতে। তবে এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ নেই।

বর্তমান ভ্লিসিঞ্জেনের বন্দর, যার পোতাশ্রয়ের নামকরন হয়েছে মিখিয়েল ডি রুইটারের নামে; Image Source: marinas.com

যা জানা যায় তা হলো- ডি রুইটারের দাদার নাম ছিল মিখিয়েল। মিখিয়েলের কোনো বংশগত নাম না থাকায় তিনি নিজের পিতার নাম জুড়ে হয়ে যান মিখিয়েল আড্রিয়ানোসোজেন, যার মানে অ্যাড্রিয়ানের ছেলে মিখিয়েল। মিখিয়েল আড্রিয়ানোসোজেন ডাচ সেনাদলে সৈনিক ছিলেন এবং স্প্যানিশদের বিরুদ্ধে লড়াই করেন।

সেনাবাহিনী থেকে অবসর নিয়ে মিখিয়েল ব্র্যাবান্ট অঞ্চলের বারগেন অপ জুম এলাকাতে ছোট্ট খামার করে এক ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে মোটামুটি ভালভাবেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তার দু’খানা ঘোড়া ছিল, যা তার আয়ের প্রধান উৎস। কিন্তু একবার শহরে ঘাঁটি করল তার পুরনো রেজিমেন্টের সেনারা। স্পেনের সাথে তখন আবার লড়াই শুরু হয়েছে, ওদিকে ডাচদের আছে ঘোড়ার স্বল্পতা। ফলে সেনারা মিখিয়েলের ঘোড়া চুরি করে নিয়ে গেল।

ডাচ-স্প্যানিশ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন ডি রুইটারের পূর্বপুরুষ; Image Source: useum.org

মিখিয়েলের তো মাথায় হাত, ঘোড়া না থাকলে খাবার আসবে কোথা থেকে? তিনি ঠিকই ধরতে পেরেছিলেন কারা এই কাজ করেছে। তিনি তাই ঘোড়াগুলো উদ্ধার করে দূরে লুকিয়ে রাখলেন। সেনারা বহু খুঁজেও আর ঘোড়ার দেখা পেল না। রাগান্বিত হয়ে তারা মিখিয়েলের ঘরে আগুন দিয়ে চলে গেল।

মিখিয়েল, তার স্ত্রী ও ভৃত্য দৌড়ে জ্বলন্ত ঘর থেকে বেরিয়ে এলেন। হঠাৎ খেয়াল হল আরে! ছেলে তো ভেতরেই ঘুমাচ্ছে! মিখিয়েলের স্ত্রী আগুনের উত্তপ্ত শিখার মধ্যে দিয়েই দৌড়ে আবার ঘরে ঢুকলেন। ছেলেকে নিয়ে জানালা দিয়ে ছুঁড়ে দিলেন বাইরে অপেক্ষমান মিখিয়েলের হাতে, নিজেও এরপর লাফিয়ে পড়ে প্রাণরক্ষা করেন। এরপর শহরবাসীর সহায়তায় মিখিয়েল নতুন করে পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পেলেন। তার পরিবার নিয়ে পরে তিনি চলে আসেন ভ্লিসিঞ্জেনে।     

ভ্লিসিঞ্জেন ছিল সাগরপাড়ে। বহু বণিক আর তিমি শিকারির আনাগোনা ছিল সর্বত্র। বন্দরে অবিরাম চলাচল করত জাহাজ। ফলে ভ্লিসিঞ্জেনের ছেলেরা অনেকেই বড় হয়ে নাবিকের পেশাই বেছে নিত। মিখিয়েলের ছেল, অ্যাড্রিয়ান মিখিয়েলসোজেন সেই পথই বেছে নেন।

১৫৯৮ সালে অ্যাড্রিয়ান বিয়ে করেন স্থানীয় আইডা জ্যান্সকে। প্রথম সন্তান জন্ম দিতে গিয়ে আইডা ও অ্যাড্রিয়ানের সন্তান মারা যায়। এরপর ১৬০১ সালে তিনি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। এই স্ত্রীরও নাম নাকি ছিল আইডা। তাদের এগার সন্তানের মধ্যে ডি রুইটার ছিলেন চতুর্থ। ডাচ ভাষায় ডি রুইটার মানে অশ্বারোহী। এই নাম তিনি পান মায়ের কাছ থেকে। তার নানা সেনাবাহিনীর অশ্বারোহী দলে কাজ করতেন, তাই তাকে ডাকা হতো রুইটার। আবার অনেকে বলেন, ডি রুইটার চব্বিশ পঁচিশ বছর বয়সে নিজেই এই নাম নেন। এর আগপর্যন্ত তিনি নিজেকে সম্বোধন করতেন মাইকেল অ্যাড্রিয়ানোসোজেন হিসেবে। এর কারণ- জিল্যান্ডের কথ্যভাষায় ডি রুইটার উচ্চারণ আসে না।

ভ্লিসিঞ্জেনের সাগরপাড়ে, নাবিক আর জাহাজের মাঝে বেড়ে ওঠা ডি রুইটার সাগরের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবেন এতে আশ্চর্য হবার কিছু ছিল না। ছোটবেলা থেকেই তার দুঃসাহসী স্বভাব পরিচিত হতে থাকে। ডি রুইটারের বয়স যখন দশ তখন গ্রামের এক গির্জা মেরামত করছিল একদল লোক। গির্জার উঁচু টাওয়ারে মই লাগিয়ে তারা যখন ঠুকুর ঠাকুর করছে সেই অবসরে মই বেয়ে পিচ্চি ডি রুইটার সোজা চূড়ায় উঠে যান, সেখানে দাঁড়িয়ে নিচ দিয়ে চলে যাওয়া মানুষের দিকে টুপি নাড়াতে লাগলেন। এদিকে মেরামতকারীরা কাজ শেষে করে মই নিয়ে চলে গেল। ডি রুইটার মইয়ের তোয়াক্কা না করে টাওয়ার ধরে ধরে নিজেই মাটিতে নেমে এলেন। সেখানে তার বাবা দ্রুত দুরন্ত সন্তানকে বগলদাবা করেন। 

সাগরের ডাক

ছোট্ট ডি রুইটারকে তার বাবা দড়ি বানানোর এক কারখানায় কাজে লাগিয়ে দিলেন। দিনে ঘন্টাখানেক কারখানাতে চাকা ঘুরিয়ে দড়ি বানাতে সাহায্যের জন্য ডি রুইটারের পকেটে আসত এক পেনি করে। কিন্তু কানে সাগরের গর্জন তিনি শুনতে পাচ্ছিলেন প্রতিদিন। ফলে এগার বছর বয়সে ব্রাজিলগামী এক জাহাজে নাবিক হয়ে তিনি গ্রাম ছাড়লেন। যে দড়ির কারখানায় কাজ করতেন ডি রুইটার, তা কালক্রমে ব্যবসা গুটিয়ে নিলেও তার স্পর্শ করা সেই চাকা সংরক্ষিত রয়ে গেছে, এর নাম দেয়া হয়েছে হেট রুইটারজ (het Ruitertje/the little Ruyter)।

সৈনিক ডি রুইটার

১৬২২ সালে স্পেন আর ডাচ প্রজাতন্ত্রের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ফলে ডি রুইটারসহ অনেকেই দেশের ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন। তবে জাহাজে নয়, তার সূচনা হলো সেনাবাহিনীতে। কিছুদিন কামান চালানোর কাজ করার পর মাস্কেটিয়ার বা বন্দুকধারী হিসেবে তিনি প্রিন্স অফ অরেঞ্জ মরিসের নেতৃত্বে বারগেন অপ জুম অবরোধকারী স্প্যানিশ জেনারেল স্পিনোলার বিরুদ্ধে লড়াই করেন। রণাঙ্গনে বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য তিনি যথেষ্ট অর্থ লাভ করেন। এই অর্থ দিয়ে তিনি একটি ঘোড়া কিনতে সক্ষম হন, তখনকার দিনে যা কেবল সম্পদশালী লোকেরাই কেনার ক্ষমতা রাখত।

মরিস, প্রিন্স অফ অরেঞ্জ; Image Source: alchetron.com

সৈনিক হিসেবে ডি রুইটার একবার এক স্প্যানিশ জাহাজে লাফিয়ে পড়তে গিয়ে শত্রুর অস্ত্রে মাথায় কিছুটা আঘাত পান। তিনি দাবি করতেন, মৃত্যু পর্যন্ত সেটাই ছিল শত্রুর থেকে পাওয়া তার একমাত্র ক্ষত। এই আক্রমণ ব্যর্থ হয় এবং ডি রুইটার এবং তার সঙ্গীসাথীরা শত্রুর হাতে বন্দি হন। তবে জাহাজ ফ্রান্সের পশ্চিম উপকূলে বিস্কে উপসাগরে প্রবেশ করলে দুজন সাথি নিয়ে ডি রুইটার পালিয়ে তীরে চলে যান। ফ্রান্স, স্পেন আর বেলজিয়ামের মধ্য দিয়ে পায়ে হেঁটে তিনি জন্মভূমিতে ফিরে এলেন।

বাণিজ্য জাহাজের দায়িত্ব

সেনাবাহিনীতে থাকলেও জাহাজে ক্যারিয়ার গড়ার স্বপ্ন ডি রুইটার জলাঞ্জলি দেননি। সৈনিকের দায়িত্ব শেষ করেই কয়েক বন্ধুর মালিকানায় থাকা ডাচ বাণিজ্য জাহাজে তিনি কাজ আরম্ভ করেন। নিজ যোগ্যতায় খুব দ্রুতই তিনি উচ্চপদের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে থাকলেন। এসময় তিনি সমুদ্র নিয়েও অনেক পড়াশোনা করেন। ১৬৩১ সালের ১৬ মার্চ সংসার গড়ার ইচ্ছায় বিয়ে করেন মাইকা ভেল্ডার্স নামে এক কৃষককন্যাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে মাত্র দশ মাস পরই বাচ্চা জন্ম দিতে গিয়ে মাইকা মারা যায়। সন্তানটিও পৃথিবীর বুকে টিকে ছিল মাত্র তিন সপ্তাহ।

১৬৩৩-৩৫ সাল পর্যন্ত ফার্স্ট মেট হিসেবে তিমিশিকারি জাহাজে কাজ করেন ডি রুইটার। ১৬৩৫ সালে ক্যাপ্টেন হয়ে পাড়ি জমান চিলির দক্ষিণে আটলান্টিক আর প্রশান্ত মহাসাগরের মধ্যবর্তী ম্যাগেলান প্রণালীতে। সেখানে হিমবাহের সাথে ঠোকাঠুকিতে আর একটু হলেই জাহাজসহ তার সলিল সমাধি হতে যাচ্ছিল। ফাঁড়া কাটিয়ে দেশে ফিরে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নেন- অনেক হয়েছে, নতুন করে আবার সংসার শুরু করা দরকার।

১৬৩৬ সালে ডি রুইটার সম্পদশালী এক লোকের কন্যা নিল্টজ ইঙ্গলসকে বিয়ে করলেন। এই দম্পতির চার সন্তানের মধ্যে তিনজন পরিণত বয়সে পৌঁছেছিল। চৌদ্দ বছর পর ইঙ্গলসের মৃত্যু পর্যন্ত তারা একসাথেই ছিলেন।

এদিকে ফ্রান্সের উত্তরে সাগরপাড়ে ডানকার্ক এলাকা। এর উপকূলে জমে উঠেছিল জলদস্যুদের মেলা। প্রায়ই তারা ঝাঁপিয়ে পড়ত ডাচ বাণিজ্য জাহাজের উপর। ফলে ১৬৩৭ সালে ডাচ বণিকেরা দুটি জাহাজ পাঠাল এই দস্যুদের শিক্ষা দিতে। ভ্লিসিঞ্জেন নামে একটি জাহাজের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন ডি রুইটার। খুব বেশি সফলতা এই অভিযানে আসেনি। দস্যুদের একটি জাহাজ কব্জা করতে পারলেও বাকিরা ডি রুইটারকে ধাওয়া করলে প্রাণ নিয়ে পালিয়ে আসতে হয় তাকে। দেশে ফিরে বাণিজ্য জাহাজে কাজ করে জীবন চালাতে থাকেন ডি রুইটার। ১৬৪০-৪১ সালের মধ্যে বন্ধুদের জাহাজ নিয়ে দুবার বেচাকেনার কাজে ব্রাজিল ভ্রমণ করেন তিনি। 

ডাচ বানিজ্য্ জাহাজে কাজ করে নিজেকে গড়ে তুলতে থাকেন ডি রুইটার; Image Source: mutualart.com

পর্তুগালের সাহায্যে ডাচ নৌবহর

ডাচ প্রজাতন্ত্রের মতো পর্তুগালও এককালে স্পেনের অধীনে ছিল। তবে তারাও ততদিনে স্বাধীনতার দাবিতে ফুঁসে উঠেছে, চলছে স্পেনের সাথে লড়াই। তাদের সাহায্যে ১৬৪১ সালের শেষদিকে জিল্যান্ডের নৌবাহিনী থেকে ডি রুইটারকে ডেকে পাঠানো হলো। হাস নামে ২৬ কামানের এক জাহাজের ক্যাপ্টেন হয়ে পনের জাহাজের একটি বহরের সাথে যোগ দিলেন তিনি। বহরের কমান্ডে ছিলেন অ্যাডমিরাল গিজেল। ডি রুইটার পদাধিকারের দিক থেকে ছিলেন তৃতীয়। এই বহর চলল পর্তুগিজদের সহায়তায়। স্পেন আর পর্তুগালের সীমান্তবর্তী আয়ামন্টে (Ayamonte) শহর আর সেন্ট ভিনসেন্ট অন্তরীপের মাঝে পর্তুগিজ নৌবহরের সাথে মিলিত হয়ে সম্মিলিত বাহিনী দ্রুত পাল তুলল সেন্ট ভিনসেন্টের দিকে, খবর আছে- সেখানেই পাওয়া যাবে স্প্যানিশ বহরের দেখা।

নভেম্বরের ৩ তারিখ, মধ্যরাতে সেন্ট ভিনসেন্টের কাছে দেখা হলো দুই পক্ষের। স্প্যানিশদের বিশটি জাহাজ অগ্রবর্তী পর্তুগিজদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরদিন সকাল আটটার দিকে ডাচরা মিত্রদের সাথে যোগ দিল। তবে বেশ কিছু ডাচ ক্যাপ্টেন দূর দাঁড়িয়ে নির্লিপ্তভাবে যুদ্ধ দেখে যাচ্ছিল। পর্তুগিজদের সাথে ডাচদের ব্যবসায়িক বিরোধের জের ধরে বহুদিন ধরেই থেমে থেমে সংঘাত হচ্ছিল, ফলে স্পেন দু’পক্ষেরই শত্রু হলেও এই ক্যাপ্টেনরা পর্তুগালকে সাহায্য করতে খুব উৎসাহী ছিলেন না।

ডি রুইটার এই দলে ছিলেন না। তিনি শত্রুর মোকাবেলায় উৎসাহ নিয়ে নেমে পড়লেন। তাদের একটি জাহাজ দুই পাশে স্প্যানিশ জাহাজ দিয়ে বেষ্টিত হয়ে পড়েছিল। ডি রুইটার এগিয়ে গেলেন সহায়তায়। কিন্তু শত্রুর আঘাতে তার নিজের জাহাজ কয়েক জায়গাতে ফুটো হয়ে গেলে তিনি বাধ্য হন পিছিয়ে যেতে। প্রয়োজনীয় মেরামত শেষে আবার তিনি রণাঙ্গনে প্রবেশ করলেন। তার তীব্র আক্রমণে বেশিক্ষণ স্প্যানিশরা তিষ্ঠোতে পারল না। দুটি জাহাজ আর প্রায় ১,১০০ লোক হারিয়ে তারা পালিয়ে যায়।

ডাচরা এরপর লিসবনে গিয়ে নোঙ্গর ফেললে ডি রুইটারকে পর্তুগালের রাজা নানা পুরস্কারে ভূষিত করেন। ১৬৪২ সালের জানুয়ারিতে ভ্লিসিঞ্জেনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করল ডাচ বহর। তেরদিনের ঝঞ্ঝাবিক্ষুদ্ধ পথ পাড়ি দিয়ে শেষ পর্যন্ত নিরাপদেই বাড়ি পৌঁছলেন ডি রুইটার।

বেসামরিক জীবনে ফিরে ডি রুইটার নিজেই একটি জাহাজ কিনলেন, স্যালাম্যান্ডার। ব্যবসার কাজে তিনি আফ্রিকা আর ওয়েস্ট ইন্ডিজে প্রচুর যাতায়াত করতে থাকেন। এ সময় জলদস্যুদের সাথেও কয়েকবার তার মোলাকাত হয়। এই সূত্রে ডি রুইটারের বুদ্ধিমত্তা আর বীরত্বের নানা কাহিনী ডাচ নাবিকদের মাঝে ডি রুইটারের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

একটি কাহিনী এমন ছিল যে আয়ারল্যান্ড থেকে মাখনের চালান নিয়ে আসার সময় দস্যু জাহাজ ধাওয়া করে। দস্যুদের গতির সাথে পেরে ওঠা যাবে না বুঝে ডি রুইটার সমস্ত মাখন জাহাজের ডেকে ছড়িয়ে দিলেন। এরপর সবাইকে নিয়ে লুকিয়ে পড়লেন নিচে। দস্যুরা খুশিতে বাগবাগ হয়ে জাহাজে লাফিয়ে পড়তেই তাদের চক্ষুস্থির। এ কী? ডেক এত পিচ্ছিল কেন? সোজা হয়ে দাঁড়ানোই তো যাচ্ছে না! কোনোমতে নিজেদের ভারসাম্য রক্ষা করতে করতে তারা ফিরে গেল নিজেদের জাহাজে। ডি রুইটারকে ছেড়ে চলে যায় অন্যদিকে।

১৬৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর স্ত্রী ইঙ্গলসের মৃত্যুর পর মানসিকভাবে কিছুটা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন ডি রুইটার। ১৬৫১ সালে জাহাজ নিয়ে ফিরে এসে তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন অনেক অর্থকড়ি জমেছে, এবার এসব ছেড়ে অবসর জীবন কাটানো উচিত। ১৬৫২ সালে তিনি সহকর্মী ক্যাপ্টেন জ্যান পলাসোজেনের বিধবা স্ত্রী অ্যানা ভ্যান গেল্ডারকে বিয়ে করে ভ্লিসিঞ্জেনে একটি বাড়ি কিনে নেন। অ্যানা জন্ম দিলেন দুটি ফুটফুটে মেয়ের।

This is a Bengali language article about the intrepid Dutch Admiral, Michiel De Ruyter. The article describes the De Ruyter’s lie and achievements. Necessary references are mentioned below.

References

  1. Douglas, P. Michiel De Ruyter, Held van Nederland. New Netherland Institute.
  2. Grinnell-Milne, G.(1896). Life of Lieut.-Admiral de Ruyter. London: K. Paul, Trench, Trübner & Company.
  3. Curtler, W. T. (1967). Iron vs. gold : a study of the three Anglo-Dutch wars, 1652-1674. Master's Theses. Paper 262.
  4. Michiel Adriaanszoon De Ruyter. Encyclopedia Britannica

Image Source: artuk.org

Related Articles