Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

নাবতা প্লায়া: স্টোনহেঞ্জের চেয়েও প্রাচীন যে মিশরীয় স্থাপনা

প্রাচীন মিশরের যে কাহিনিগুলো ইতিহাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে, তাতে মূলত ফারাও, মমি, বা পিরামিডের আধিক্য চোখে পড়ে। ক্যালেন্ডার ধরে হিসেব কষলে সেটা হবে চার-পাঁচ হাজার বছর আগের। কিন্তু মিশরের ধুলো-বালি সাক্ষী হয়ে আছে পিরামিডের বহু আগেকার সভ্যতারও। প্রাগৈতিহাসিক মিশরে সভ্যতার এক উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে ‘নাবতা প্লায়া’। বর্তমানে এটি দক্ষিণ মিশরের আবু সিম্বেল থেকে প্রায় শত কিলোমিটার পশ্চিমে নুবিয়ান মরুর বুকে অবস্থিত।

নাবতা প্লায়া আর দশটা স্থান থেকে আলাদা হবার কারণ হলো, এটি শত শত প্রাগৈতিহাসিক টুমুলি (মাটির বৃহৎ টিলা এবং কবরের উপর স্থাপিত উঁচু পাথর), স্টেলা, ও মেগালিথিক কাঠামো ধারণ করে আছে। ‘মেগালিথিক’ শব্দটা বুঝতে হলে আগে ‘মেগালিথ’ শব্দের মানে বোঝা লাগবে। প্রাগৈতিহাসিক কোনো স্থাপত্য, মিনার কিংবা সৌধ নির্মাণে যে পাথর ব্যবহার করা হত, সেই পাথরই মেগালিথ নামে পরিচিত। আর এই স্থাপত্য বা মিনার কোনো কংক্রিটের ব্যবহার ছাড়া শুধুমাত্র মেগালিথ (বিশেষ প্রাচীন পাথর) দিয়ে তৈরি হয়ে থাকলে সেই নির্মাণশিল্পকে বলা হয় ‘মেগালিথিক’। পৃথিবীর জনপ্রিয় এক মেগালিথিক হলো স্টোনহেঞ্জ।

স্টোনহেঞ্জ; Image Source: Walkerssk/Pixabay.

যেভাবে আবিষ্কার

১৯৬০-এর দশকে, গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলোকে প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা করতে মিশর নীল নদীর তীরে একটি বড় বাঁধ নির্মাণের পরিকল্পনা করেছিল। সেই কাজে সরকারকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় ইউনেস্কো। ঐসময় ফ্রেড ওয়েনডর্ফ নামে একজন আমেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদ নীল নদ থেকে দূরে ফারাওদের প্রাচীন উৎস উন্মোচনে ব্যাপক আগ্রহী ছিলেন। ১৯৭৩ সালে, বেদুইন- আরব গাইড ইদে মারিফ সাহারা অতিক্রম করার সময় বিশাল পাথুরে স্থাপত্যের মতো কিছু একটা দেখতে পান। ওয়েনডর্ফের সাথে আগে থেকে পরিচয় থাকায়, মারিফ তাকে সেই স্থানে নিয়ে যান।

প্রথমে ওয়েনডর্ফ ভেবেছিলেন এগুলো প্রাকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে। তাই বিষয়টাকে প্রথমে তিনি আমলে নেননি। কিন্তু কিছুদিন পর বিষয়টা তার মনে সন্দেহের দোলা দিতে লাগল। কয়েক দশক ধরে তিনি বহুবার আসা-যাওয়া করলেন জায়গাটিতে। ‘৯০ দশকের গোড়ার দিকে ওয়েনডর্ফ এবং পোলিশ প্রত্নতাত্ত্বিক রোমুয়াল্ড শিল্ডসহ খননকারীদের একটি দল পাথরের একটি বৃত্ত উন্মোচন করতে সক্ষম হন। কিন্তু এর মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারল না কেউ। দীর্ঘ সাত বছরেও রহস্যের কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে পর ওয়েনডর্ফ আমেরিকান প্রত্নতাত্ত্বিক-জ্যোতির্বিদ ম্যালভিলের শরণাপন্ন হন। স্থানটির জ্যামিতিক গঠন দেখে দারুণ বিস্মিত হন ম্যালভিল। তিনি প্রথম দেখাতেই বুঝতে পেরেছিলেন, এটি প্রাচীন জ্যোতির্বিদ্যার সাথে যেকোনোভাবে সম্পৃক্ত। তিনি আবিষ্কার করেছিলেন, পাথরের বৃত্তটি আকাশের আর্কটারাস, লুব্ধক এবং আলফা সেন্টোরি নক্ষত্রের সাথে সংযুক্ত ছিল। এ নিয়ে বিস্তর গবেষণার পর ১৯৯৮ সালে নেচার জার্নালে ‘সাহারায় স্টোনহেঞ্জ’ নামে এক গবেষণাপত্র প্রকাশ করেন।

ইদে মারিফ, যিনি প্রত্নতত্ত্ববিদদের সাথে নাবতা প্লায়াতে মেগালিথিক ভাস্কর্য খননে সাহায্য করেছেন; Image Source: J. McKim Malville.

মিশরবিদদের ধারণা অনুযায়ী, নাবতা প্লায়ার মাটিতে আজ থেকে প্রায় এগারো হাজার বছর পূর্বে উন্নত এক জনগোষ্ঠীর বসবাস ছিল। তারাই ছিল হাজার বছর পর নীল নদের অববাহিকায় গড়ে ওঠা ফারাওকেন্দ্রিক মিশরীয়দের পূর্বপুরুষ। বর্তমানে পশ্চিম মিশরীয় মরুভূমি সম্পূর্ণ শুষ্ক হলেও, এটি সবসময় এমন অবস্থায় ছিল না। গবেষকদের অনুমান, খ্রি.পূ. প্রায় ১০,০০০ অব্দে গ্রীষ্মকালীন মৌসুমি বায়ু উত্তরমুখী হয়ে যাওয়ায় উত্তর আফ্রিকা জলবায়ু পরিবর্তনের সম্মুখীন হয়। এই পরিবর্তনই ওই শুষ্ক স্থানে বয়ে এসেছিল আশীর্বাদ হিসেবে। প্রাচীনকালে এখানে প্রতি বছর প্রায় ৫০০ মি.মি. পর্যন্ত বৃষ্টিপাত হতো বলে বিজ্ঞানীরা প্রমাণ পেয়েছেন। প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে মানুষ, পশু-পাখি এই অঞ্চলের প্রতি ক্রমশ আগ্রহী হতে থাকে। প্রত্নতত্ত্ববিদ ওয়েনডর্ফের মতে, নাবতা প্লায়াতে প্রথম মানব বসতির গোড়াপত্তন ঘটে ১১,০০০ থেকে ৯,৩০০ বছর পূর্বে। মাটিতে খুঁটি গেড়ে স্থায়ী হতে চাওয়া প্রথম দলটা ছিল যাযাবর প্রকৃতির। বৃষ্টিপাতের মৌসুমে তারা এখানে শিবির স্থাপন করত।

অ্যাসাসিন্স ক্রিড অরিজিন্স গেমে মেগালিথিক স্থাপনা; Image Source: Ubisoft.

সেসময় নাবতা প্লায়ার সামাজিক ও জীবিকার কাঠামোও ছিল বেশ চমৎকার। এখানের বাসিন্দারা গবাদিপশু পালনের পাশাপাশি সিরামিকের বিভিন্ন পাত্রও তৈরি করত। পাত্রগুলো ছিল জটিল চিত্রিত বিন্যাস দ্বারা সজ্জিত। তবে এই সময়ের নিদর্শন হিসেবে সিরামিকের পাত্র সংখ্যায় অতি অল্প। সেটাও প্রাচীন আফ্রিকার ইতিহাসে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর সাথে সাহারার দক্ষিণাঞ্চলের সাধারণ মৃৎশিল্পের প্রভূত মিল পাওয়া যায়।
এরা মাছের হাড় থেকে তৈরি চিরুনি ব্যবহার করত।

নাবতা প্লায়ায় প্রাপ্ত মাটির পাত্রের টুকরা। প্রাক-নবপ্রস্তরযুগ, খ্রি.পূ. ৭০৫০-খ্রি.পূ. ৬১০০ অব্দ; Image Source: Flicker/Anthony Huan.

যাযাবরেরা এদিক-ওদিক না ঘুরে একসময় তারা এই প্লায়াতে থিতু হতে চাইল। সেজন্য তারা পরিকল্পনামাফিক সারি সারি কুঁড়েঘর নির্মাণের পাশাপাশি বসতিগুলো আকারে আরও বড় করে সাজিয়েছিল। পুরো বছরের পানির খোরাক মেটানোর জন্য তারা খনন করেছিল গভীর কূপ। অনেক বড় চুলারও অস্তিত্ব মেলে এই সময়ে। নাবতা প্লায়ার লোকেরা তাদের গ্রাম নির্মাণ করেছিল রুক্ষ ও শক্ত দিয়ে পাথরে। তখনও সেখানের বাসিন্দারা কৃষিকাজের প্রতি নির্ভরশীল হয়ে ওঠেনি। বিস্তীর্ণ তৃণভূমি থাকায়, প্রাগৈতিহাসিক কালে মহিষ, জিরাফ, বিভিন্ন ধরণের অ্যান্টিলোপ এবং গজলা হরিণের পাল সবসময় এই স্থান চষে বেড়াত। তাই, মানুষ বন্য ফল-মূল (লেবু, বাজরা, জোয়ার, কন্দ) এবং শিকারের মাধ্যমেই তাদের খাদ্যের চাহিদা মেটাত। খ্রিস্টপূর্ব ৭০০০ অব্দের শেষের দিকে, পশ্চিম এশিয়া থেকে এখানে ছাগল এবং ভেড়া আনা হয়।

প্রায় ৮০০০ থেকে ৭০০০ বছর পূর্বে, এই অঞ্চল মুখোমুখি হয় ভয়ানক দুই খরার, যা এখানকার পানির স্তরকে অনেক নিচে নামিয়ে দেয়। সেই ধারায়, নাবতা প্লায়া রূপান্তরিত হয় অতি শুষ্ক, প্রাণহীন, ও নির্জীব এক প্রান্তরে। ফলশ্রুতিতে, বসতিগুলো হয় পরিত্যক্ত ও জনশূন্য। প্রায় ১০০০ বছর পর খরার রিক্ত প্রাদুর্ভাব কেটে গেলে, স্থানটি আবারও হয়ে উঠতে থাকে জনবহুল। বাড়তে থাকে মানুষের আনাগোনা। সেই থেকেই এখানে জটিল ও উন্নত সমাজের আবির্ভাব ঘটার পাশাপাশি গড়ে ওঠে বিভিন্ন মেগালিথিক কাঠামো।

নাবতা প্লায়ার বর্তমান অবস্থা; Image Source: The Archaeologist.

নাবতা প্লায়ার পাথরের কাঠামোগুলো কয়েক বছরে গড়ে উঠেনি। এর পেছনে রয়েছে সুদীর্ঘ কয়েক হাজার বছরের ইতিহাস। হাজার বছর ধরে এখানকার বাসিন্দারা অগণিত ভূগর্ভস্থ সমাধি, বিশাল পাথরের স্ল্যাব, পাথরের বৃত্তের মতো দৃষ্টিনন্দন মেগালিথিক স্থাপনা নির্মাণ করেছে। তবে এর মধ্যে বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য ছিল ২,৫০০ মিটার জুড়ে বিস্তৃত স্টেলার সারি। এই স্থাপনাগুলো বিশ্বের প্রাচীনতম কাঠামো হিসেবে বিবেচিত। আবার কিছু কিছু স্থাপনা তো জনপ্রিয় মেগালিথিক স্টোনহেঞ্জের চেয়েও প্রাচীন।

পাথরের একটি বৃত্তকে নাবতা প্লায়ার সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ কাঠামো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। চার মিটার ব্যাসবিশিষ্ট এই পাথুরে গড়ন চার জোড়া বড় পাথর এবং বহু সারি সারি ক্ষুদ্র পাথর দিয়ে গঠিত। বৃত্তের মধ্যে আবার তিনটি পাথরের দুটি সারি বিদ্যমান। প্রত্নতত্ত্ববিদ ওয়েনডর্ফ এবং কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ম্যালভিলে প্রমাণ করেন, দুই জোড়া পাথর ছিল উত্তর-দক্ষিণ বরাবর, আর বাকি দুই জোড়া পাথর ছিল পূর্ব-পশ্চিম বরাবর। এজন্য তারা স্যাটেলাইট প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছিলেন। অনুমান সাপেক্ষে তারা জানান, পাথরের এই বৃত্ত নাবতা প্লায়াবাসীরা ব্যবহার করত নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ এবং গ্রীষ্মকালে সৌর বিন্দুর অবস্থান নির্ণয়ে। প্রাচীন সমাজ নক্ষত্রপুঞ্জ অধ্যয়ন করে রাতের আকাশের গতিবিধি বুঝতে পারত। খানিকটা ভিন্ন ধাঁচের সুর দিয়েছেন নাসার সাবেক পদার্থবিদ টমাস জি. ব্রোফি। তিনি বলেছেন, বৃত্তের ভেতরের দক্ষিণ সারির তিনটি পাথর কালপুরুষ বেল্টের তিনটি নক্ষত্র এবং বাকি তিনটি পাথর কালপুরুষের মাথা এবং কাঁধের প্রতিনিধিত্ব করত। কালপুরুষ বেল্টের সাথে ক্যালেন্ডার সার্কেলের সম্পর্ক ৬৪০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ থেকে ৪৯০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে ঘটেছিল। এই এলাকার কিছু ক্যাম্প ফায়ারের রেডিও কার্বন টেস্ট করেও এই তারিখের সাথে মিল পাওয়া গেছে।

কালপুরুষ তারামণ্ডল; Image Source: Pixabay.

দক্ষিণে গেলে দুটি সমতল-শীর্ষ ঢিবি পাওয়া যায়। সেখানে ভাঙা পাথরের গুচ্ছ দ্বারা অসংখ্য এবড়োখেবড়ো মেগালিথিক কাঠামো গঠিত হয়ে আছে। উত্তরের অংশে বেলে পাথরের তৈরি প্রায় দশটি টুমুলি এবং গবাদিপশুর দেহাবশেষের সন্ধান মিলেছে। এর থেকে প্রমাণিত হয় যে, ওই যুগে পশু উৎসর্গ বা পশুবলির রীতি চালু ছিল। হয়তো সেই বলির আয়োজন করা হতো কোনো দেব-দেবীর সন্তুষ্টি অর্জনের চেষ্টায়। খ্রিস্টপূর্ব ৬০০০ অব্দের দিকে এখানে একটি প্রাগৈতিহাসিক ধর্ম পালনের প্রমাণ পাওয়া যায়। উত্তরের পাহাড় বরাবর আবার এমন এক মেগালিথের নিদর্শন মেলে, যেটা ওজনে ছিল কয়েক টনের মতো, আর লম্বায় ছিল ৬০০ মিটারের মতো উঁচু।

নাবতা প্লায়াতে প্রাপ্ত গোরু আকৃতির মেগালিথিক পাথুরে ভাস্কর্য। ধারণা করা হয়, ঐসময় লোকেরা গরুর পূজা করত; Image Source: Wikimedia Commons.

অনুসন্ধিৎসু মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, পাথরগুলো কীভাবে এসেছিল নাবতা প্লায়াতে? ঐসময় তো আশেপাশে কোনো পাথরের পাওয়া যেত না। এটার উত্তরে গবেষকরা বলেছেন, পানির জন্য কূপ খনন করলে ঐখানে হয়তো পাথরের সন্ধান পায় তারা। তারপর ওই সময়কার বিভিন্ন ধারালো যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে পাথরকে বিভিন্ন আকৃতি দিয়েছিল নাবতার বাসিন্দারা। তবে এটি নিশ্চিত করে বলা যায় না, স্রেফ একটি ধারণা।

পাথরের বৃত্ত এবং নক্ষত্রের সাথে মিল রেখে মেগালিথকে একই সরলরেখায় সুবিন্যস্তকরণের প্রক্রিয়া থেকে ধারণা হয়, এই অঞ্চলটি সম্ভবত আঞ্চলিক আনুষ্ঠানিক কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হতো। ওই আমলের তুলনায় আফ্রিকায় এমন জিনিস প্রায় নজিরবিহীন। তবে অন্যান্য এলাকায় মেগালিথিকের অস্তিত্ব মিললেও, তা নির্মিত হয়েছে নাবতা প্লায়ার মেগালিথের অনেক পর।

নাবতা প্লায়ায় প্রাপ্ত পশুর দেহাবশেষ; Image Source: R. Schild/Semantic Schooler.

বেশিরভাগ প্রাচীন সভ্যতার মতো একই দুর্দশা বরণ করে নিতে হয়েছিল নাবতা প্লায়াকেও। তার আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে আসে ৫০০০ বছর আগে ঘটা এক জলবায়ু পরিবর্তনের মাধ্যমে। এই পরিবর্তনে ভেঙে পড়ে মেগালিথ নির্মাতাদের নাবতা প্লায়ার সভ্যতা। এলাকাটি গ্রাস করে মরুর তপ্ত বালি। বাঁচার তাগিদে এই অঞ্চলের বাসিন্দারা বাসযোগ্য কোনো স্থানে বসতি গড়তে বাধ্য হয়েছিল। কিন্তু কোথায় স্থানান্তরিত হয়েছিল তারা?

নাবতা প্লায়ার জ্যোতির্বিজ্ঞান; Image Source: The Archaeologist.

কিছু কিছু প্রত্নতত্ত্ববিদ এবং ঐতিহাসিকের মতে, নাবতার জনগণ এসে আস্তানা গেড়েছিল নীল নদের উপত্যকার উর্বর ভূমিতে। বলা যায়, তারাই নীল নদকেন্দ্রিক মিশরীয় সভ্যতা নির্মাণের সব্যসাচী রূপকার।

প্রত্নতত্ত্ববিদ ম্যালভিলের ভাষায়,

নাবতার বাসিন্দারা ওখান থেকে সরে আসার ৫০০ বছরের মধ্যেই সাক্কারার ধাপ পিরামিড নির্মাণ করেছিল। এর থেকে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, আগে থেকেই তাদের একটি প্রাক-সাংস্কৃতিক ভিত্তি বিদ্যমান ছিল, যা তাদেরকে পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রাচীন সভ্যতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে সাহায্য করেছে।

Related Articles