Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

প্রুশিয়া থেকে জার্মানি (পর্ব-৩৭): প্রুশিয়ান ডায়েট এবং চতুর্থ ফ্রেডেরিক উইলিয়াম

যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে, তখন প্রুশিয়া নেপোলিয়নিক যুদ্ধের পূর্বের আয়তন থেকে প্রায় পঞ্চাশ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছিল। অধিবাসীর সংখ্যা প্রায় ১৩ মিলিয়ন, যাদের ভাষা-সংস্কৃতি ভিন্ন ভিন্ন। পুরো প্রুশিয়াতে এমনকি একটি একক আইনবিধিও প্রচলিত ছিল না। পশ্চিমে রাইনল্যান্ড আর ওয়েস্টফ্যালেয়ার দিকের এলাকাগুলোতে চলত নেপোলিয়নের সময়ের প্রণীত বিধি। পোমেরানিয়া চলত সুইডিশ আইন অনুসারে। এসব অঞ্চলের মানুষের ভাষাও ছিল আলাদা। বার্লিন প্রুশিয়ার অন্তর্গত ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের অঞ্চলগুলোকে অনেকটা উপনিবেশের মতো দেখত।

প্রুশিয়ান ডায়েট

তৃতীয় ফ্রেডেরিক উইলিয়াম শাসনব্যবস্থায় নাগরিকদের প্রবেশের সুযোগ দিতে প্রাদেশিক ডায়েট বা সংসদের অনুমতি দিলেও তিনি ও রক্ষণশীল রাজনৈতিক গোষ্ঠী জাতীয়ভাবে এরকম কোনো পরিষদের ঘোর বিরোধী ছিলেন। সামাজিক শ্রেণীবিভাগ এখানেও পরিস্ফুট ছিল। ডায়েটের ভোট আসত তিনটি সামাজিক শ্রেণী থেকে, মোটা দাগে যাদের ভাগ করা হয়েছিল সর্বোচ্চ থেকে সর্বনিম্ন কর প্রদানের মাধ্যমে। তবে নির্বাচনে দাঁড়াতে ভূসম্পত্তির অধিকারি হওয়া লাগত। নিয়ম ছিল প্রতিটি শ্রেণী ভোট দিয়ে নিজেদের মধ্য থেকে কয়েকজনকে নির্বাচিত করবে (ইলেক্টর)। এই ইলেক্টরেরা এরপর নিজ নিজ শ্রেণী থেকে ডায়েটের সদস্য বেছে নিত। প্রাদেশিক ডায়েটেও প্রত্যেক শ্রেণীর আলাদা সংখ্যা নির্দিষ্ট ছিল, এবং তাদের বলা হতো স্টান্ডা (Stande)।

প্রাদেশিক প্রুশিয়ান ডায়েটের সভা © Johann Peter Hasenclever

সংবিধান এবং জাতীয় প্রতিনিধিত্বের ব্যাপারে জনগণের উচ্ছাস থাকলেও রাজা ও তার মন্ত্রীপরিষদ এই ব্যাপারে ভীত ছিলেন। তারা ভুর্তেমবার্গের উদাহরন টানতেন, যেখানকার রাজা একটি সংবিধান প্রস্তাব করেছিলেন। সংবিধান অনুমোদনের উদ্দেশ্যে ১৮১৫ সালের মার্চে এককক্ষ বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি পরিষদে ভোট হয়েছিল। গঠিত পরিষদের সদস্যেদের মধ্যে ঐকমত্যের বালাই ছিল না। অভিজাতেরা চাইছিলেন তাদের পূর্বের প্রতিপত্তি ফিরে পেতে, আইনজ্ঞদের দাবি ছিল পরিষদে সঠিক অনুপাতে শহরগুলোর প্রতিনিধিত্ব, আর উগ্রপন্থীরা কোনো কিছুতেই খুশি ছিল না। তবে প্রস্তাবিত সংবিধানের বিরোধিতায় সকলেই এককাট্টা ছিল।ফলে পুরো পরিকল্পনাই মাঠে মারা যায়।

১৮১৮ সালে সাংবাদিক এবং লেখক গোরেস কব্লেঞ্জ শহরে প্রকাশিত মতামতে আইনের ভিত্তিতে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি জাতীয় পরিষদের প্রয়োজনীয়তার কথা বললেও প্রুশিয়াসহ সব জার্মান দেশের রাজাই বিচলিত হয়ে পড়েন। ফ্রেডেরিক উইলিয়ামের ধারণা ছিল জাতীয় প্রতিনিধি পরিষদের মাধ্যমে কেবল বিপ্লবী চিন্তা-চেতনাই উস্কে দিয়ে প্রুশিয়ার স্থিতিশীল সরকারব্যবস্থার পতন তরান্বিত হবে। ফলে তিনি বেঁচে থাকতে এই পরিষদ বাস্তবায়িত হয়নি।

এদিকে প্রাদেশিক ডায়েটকে রাজা মোটামুটি খোঁড়া করে রেখেছিলেন। তারা না পারত রাজার অনুমতি ছাড়া সভা আহ্বান করতে, না পারত আলোচনার খবরাখবর প্রকাশ করতে। ১৮৩৮-৪০ পর্যন্ত ডায়েটের কোনো সভাই করা হয়নি। তবে একটি তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন ডায়েট আনতে পেরেছিল, তা হলো বংশপরিচয়ের ভিত্তিতে সামাজিক শ্রেণী নির্ধারণ অনেকটা সীমিত করে। কারণ ডায়েটে নির্বাচিত হবার মাপকাঠি ছিল ভূসম্পত্তি। এই সম্পত্তি বংশানুক্রমিক না খেটে অর্জিত তা কোনো বিষয় ছিল না।

প্রাদেশিক ডায়েটগুলো নিজেদের ক্ষমতার দাবিতে প্রচুর হৈচৈ করছিল। অনেক জায়গাতে প্রস্তাব আসতে থাকে সভার কার্যবিবরণ লিখিত আকারে প্রকাশ করবার, যা আইন অনুযায়ী অবৈধ। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, লিখিত সংবিধান, জাতীয় ডায়েট ইত্যাদি বিষয়েও তুমুল তর্ক-বিতর্ক হতে থাকে। ১৮২৯ সালের জানুয়ারিতে মোহর‍্যুমান (Mohrungen) শহর থেকে সেখানকার ডায়েটে একটি পিটিশন উত্থাপিত হয়, যেখানে এই অঞ্চলের সমস্যা উপেক্ষা করবার জন্য বার্লিনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করা হয়েছিল। পিটিশনে ডায়েটকে মোটা দাগে অথর্ব বলে চিহ্নিত করা হয়, এবং তাদেরকে বলা হল রাজাকে লিখিত সংবিধান প্রণয়নের প্রতিজ্ঞা স্মরণ করিয়ে দিতে। কনিগসবার্গের অনতিদুরে স্ট্যালোপোনেন শহর থেকেও একই রকম পিটিশন আসে। ক্রমে ক্রমে সমাজের প্রায় সর্বস্তরে এই দাবি ছড়িয়ে পড়তে থাকে, এমনকি পূর্ব ও পশ্চিম প্রুশিয়ার অনেক অভিজাত পরিবারও সংবিধান এবং জাতীয় ডায়েটের ধারণা সমর্থন করে।

পোসেন গ্র্যান্ড ডাচি

পোসেনের অধিবাসীরা ছিল মূলত পোলিশ, যারা ১৮১৫ সালের ভাগবাটোয়ারাতে প্রুশিয়ার ভাগে পড়ে। তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফ্রেডেরিক উইলিয়াম ঘোষণা দিয়েছিলেন, এখানকার অধিবাসীরা প্রুশিয়ান বলে পরিগণিত হবে। তবে তাদের উপর জার্মান ভাষা ও সংস্কৃতি চাপিয়ে দেয়া হবে না। তারা নিজ ভাষা চর্চা করবে এবং প্রুশিয়ান সেনাদলেও আলাদা করে পোলিশ কন্টিনজেন্ট তৈরি হবে। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এই অঞ্চলের দাপ্তরিক এবং হাই স্কুলের ভাষা পোলিশ ছিল। কিন্তু এখানের অনেক প্রুশিয়ান কর্মকর্তাই পোলিশ জানতেন না। এদিকে একপর্যায়ে উপরের ক্লাসে জার্মান প্রবর্তন হলে অধিবাসীরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তার সাথে যোগ হলো প্রুশিয়ান সেনাবাহিনীতে আলাদা কন্টিনজেন্টের অভাব। ফলে ১৮২৭ সালের ডায়েটে তুমুল বিতর্কের একপর্যায়ে রাজতন্ত্রের সমর্থক ও বিরুদ্ধপন্থিদের মধ্যে হাতাহাতির উপক্রম হলো। এর সাথে যোগ হলো ১৮৩০ সালে রাশিয়ান পোল্যান্ডে পোলিশ জাতিসত্ত্বার মুক্তির বিদ্রোহ। সরাসরি প্রুশিয়াতে ছড়িয়ে না পড়লেও এই বিপ্লব পোসেনের পোলিশদের যথেষ্টই উদ্দিপ্ত করে।

গ্র্যান্ড ডাচি অফ পোসেন; image source: cambridge.org

বার্লিন কঠোর হাতে পোলিশ জাতীয়তাবাদ দমন করে। গ্র্যান্ড ডাচি হিসেবে পোসেন যেসব সুযোগ সুবিধা ভোগ করত তা কেড়ে নিয়ে একে সাধারণ এক প্রুশিয়ান প্রদেশের পর্যায়ে নামিয়ে দেয়া হলো। এতদিন পোসেনের শাসনকাজ পরিচালনা করতেন ভাইসরয় পদধারি একজন, যা ছিল প্রুশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের থেকে ভিন্ন ব্যবস্থা। তাকে বরখাস্ত করে ভাইসরয় পদই বিলুপ্ত করে দেয়া হলো। ফ্লটওয়েল নামে এক কট্টরপন্থী কর্মকর্তা দায়িত্ব নেন পোসেনের। বার্লিনের উদ্দেশ্য ছিল এদের পোলিশ পরিচয় চিরতরে মুছে প্রুশিয়ান বানাতে হবে। 

চতুর্থ ফ্রেডেরিক উইলিয়াম

১৮৪০ সালের জুনের ৭ তারিখ ৬৬ বছর বয়সে তৃতীয় ফ্রেডেরিক উইলিয়াম মারা যান। এটা সত্যি যে তিনি ফ্রেডেরিক দ্য গ্রেটের মতো দৃঢ়চেতা ব্যক্তি ছিলেন না। তবে প্রুশিয়াকে তিনি একটি ভয়ানক সময়ের ভেতর দিয়ে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং তার সতর্ক নীতি এর চূড়ান্ত ধ্বংস রোধ করেছিল। সেই স্থলে তার ৪৫ বছর বয়স্ক ছেলে চতুর্থ ফ্রেডেরিক উইলিয়াম হিসেবে অভিষিক্ত হলেন। তার অন্যতম শিক্ষক ছিলেন রক্ষণশীল গোষ্ঠীর প্রভাবশালী সদস্য অ্যানসিলন। নতুন রাজার কাছে লিখিত সংবিধান অনর্থক একগুচ্ছ কাগজ ছাড়া কিছুই নয়। তিনি রাজার সর্বোচ্চ ক্ষমতায় বিশ্বাসী, যেখানে ডায়েট উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করবে। তিনি ডায়েটের ক্ষমতার পরিসর বৃদ্ধি করতে চাইলেও তার মন্ত্রীপরিষদ বাধা হয়ে দাঁড়াল।

চতুর্থ ফ্রেডেরিক উইলিয়াম; image source: myorigins.org

দানা বেধে ওঠা অসন্তোষ

১৮৪০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ফ্রেডেরিক উইলিয়ামের শপথ গ্রহণ হয় কনিগসবার্গে। এখানে ছিলেন প্রাদেশিক ডায়েটের প্রেসিডেন্ট শ্যোন। ডায়েটে ৮৯-৫ ভোটে প্রস্তাব পাশ হয়েছিল যে এই সুযোগে রাজার কাছে জাতীয় ডায়েট এবং লিখিত সংবিধানের কথা তুলতে। প্রথমে রাজা ক্ষেপে গেলেও শ্যোন তাকে বোঝাতে সক্ষম হন যে জাতীয় ডায়েট তার জন্য মঙ্গলজনক। ফলে রাজা শ্যোনের সাথে খোলামেলা আলোচনা করেন। শ্যোন ফিরে গিয়ে বলেছিলেন ফ্রেডেরিককে তার নিজের থেকেও বেশি উদারপন্থী মনে হয়েছে।

কনিগসবার্গ; image source: wordpress.com

কিন্তু বিপক্ষ দল চুপ করে বসে ছিল না। রাজার ভাই রাজপুত্র উইলিয়াম কড়া ভাষায় শ্যোনকে চিঠি লিখে তাকে বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করলেন। বার্লিনে মন্ত্রী রঁশোর প্রভাবে রাজা অক্টোবরের চার তারিখ একটি ডিক্রি জারি করেন যা ছিল শ্যোনের সাথে তার সমঝোতার সম্পূর্ণ বিপরীত। শ্যোন প্রথমে ভেবেছিলেন পদত্যাগের কথা, শেষ পর্যন্ত তিনি ফ্রেডেরিককে আবার বোঝানোর জন্য মনস্থির করলেন। ডিসেম্বরের ১৪ তারিখে তিনি আরেকবার রাজার কাছে নিজের অবস্থানের স্বপক্ষে ব্যারন স্টেইনের কিছু মতামত পাঠান, যা স্টেইনের সাথে তিনি রচনা করেছিলেন। কিন্তু তার উদারপন্থী মতবাদ তার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করে রঁশো শ্যোনকে রাজার চক্ষুশূল করে তুললেন।

ফ্রেডেরিক উইলিয়াম চাইতেন প্রাদেশিক ডায়েটের ক্ষমতা কিছুটা বৃদ্ধি করতে, যা ছিল তার রক্ষণশীল মন্ত্রিদের অপছন্দ। ইতোমধ্যে তিনি বাবার আমলে আরোপিত কিছু বিধিনিষেধ তুলে নিয়েছিলেন, যার একটি ছিল ডায়েটের আলোচনা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যাবে। তবে ডায়েট যে পরিমাণ ক্ষমতা দাবি করছিল রাজা তা অনুমোদন করছিলেন না, ফলে তারা কোনো সমঝোতা প্রত্যাখ্যান করে। এতে ফ্রেডেরিক বিষম বিরক্ত হন। তার মন্ত্রিরা চাপ দিতে থাকে ডায়েটের উপর নিয়ন্ত্রণ আবার কঠোর করবার জন্য।

সংবিধান এবং জাতীয়ভাবে প্রতিনিধিত্বশীল সরকারের প্রতি সমর্থন ক্রমেই বাড়ছিল। জ্যাকোবি নামে এক বামপন্থী রাজনীতিবিদ এই বিষয়ে ছোট ছোট পুস্তিকা বিতরণ শুরু করলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ১৮৪১ এবং ১৮৪৫ সালে দুবার তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়। দুবারই তিনি বেকসুর খালাস পান। সংবাদপত্রগুলোতেও লিবারেল দর্শন গুরুত্ব পেতে থাকে। প্রাদেশিক ডায়েটগুলোতে এই ব্যাপারে জমা পড়তে শুরু করে একের পর এক পিটিশন। সিলিসিয়ান ডায়েটে ১৮৪১ সালে জমা পড়েছিল ১০০টি পিটিশন। এই সংখ্যা ১৮৪২ সালে হলো ১৩০ আর ১৮৪৫ এ গিয়ে দাঁড়াল ২২৫। ডায়েটের মধ্যেও তৈরি হয় দল-উপদল। নানামুখি চাপ সামাল দিতে ফ্রেডেরিক উইলিয়াম একটি ইউনাইটেড কমিটি খাড়া করলেন, যেখানে প্রতিটি প্রাদেশিক ডায়েটের প্রতিনিধি ছিলেন। তবে একে হাতের মুঠোয় রাখতে আলোচনার বিষয়বস্তু নির্দিষ্ট করে দেয়া হলো।

হত্যাচেষ্টা এবং জনগণের মনোভাব

প্রুশিয়ার রাজনৈতিক পরিস্থিতি তখন নতুন এক মেরুকরনের ভেতর দিয়ে যাচ্ছে। লিবারেলরা একত্রিত হয়ে শক্তিশালী একটি আদর্শ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। ফ্রেডেরিক উইলিয়ামের ক্ষমতা গ্রহণের পরে বেশ কিছু কট্টর রক্ষণশীল কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দিয়ে তুলনামূলক মধ্যপন্থী ব্যক্তিদের সেখানে বসানো হয়েছে। রাজা নিজে আবার একদম রক্ষণশীল বা লিবারেল কোনোটাই নন। এমন সময়ে স্টরকো নামে এক ছোট্ট গ্রামের মেয়র শেইখ (Tschech) তাকে হত্যার চেষ্টা চালালেন।

ফ্রেডেরিক উইলিয়ামকে হত্যার চেষ্টা; image source: pictokon.net

শেইখ (Tschech) নিজ গ্রামে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারী সহায়তা চেয়ে ব্যর্থ হয়েছিলেন। ফলে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার বদ্ধমূল ধারণা জন্মায় রাজা স্বয়ং তার দুর্ভাগ্যের জন্য দায়ী। ফলে ১৬ জুলাই, ১৮৪৪ সালে তিনি বার্লিনে আসেন। এখানে এক দোকানে ছবি তুলে তিনি রাজার গাড়ির জন্য প্রতিক্ষা করতে থাকেন। গাড়ি দেখতে পেয়েই তিনি দুবার গুলি ছোঁড়েন, কিন্তু কোনোবারই লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি। তার মানসিক অবস্থার কথা বিবেচনা করে জনগণ ভেবেছিল তাকে ক্ষমা করা হবে। ফ্রেডেরিকের ইচ্ছাও তা-ই ছিল। কিন্তু মন্ত্রীরা বোঝালেন শেইখকে একটি দৃষ্টান্ত হিসেবে দেখাতে। ফলে গোপনে তার প্রাণদণ্ড কার্যকর করা হয়। মানুষের কানে এ কথা পৌঁছালে তার ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে এবং শেইখের নামে গান বাধা হতে লাগল। মানসিক বিকারগ্রস্ত একজন মানুষ রাজার বিরুদ্ধে অসন্তোষের প্রতীক হয়ে উঠলেন।

This is a Bengali language article about the rise and eventual downfall of Prussia and how it led to a unified Germany. Necessary references are mentioned below.

References

  1. Clark, C. M. (2007). Iron kingdom: The rise and downfall of Prussia, 1600-1947. London: Penguin Books.
  2. Abbott, J. S. C. (1882). The history of Prussia. New York, Dodd, Mead, and company.
  3. Berdahl, R. M. (2014). The Politics of the Prussian Nobility: The Development of a Conservative Ideology, 1770-1848. Princeton University Press
  4. Levinger, M. (2000). Enlightened Nationalism: The Transformation of Prussian Political Culture 1806–1848. Oxford University Press. pp. 191-225.

Feature image: age-of-the-sage.org

Related Articles