প্রুশিয়া থেকে জার্মানি (পর্ব-২১): পোল্যান্ডের বিভক্তির সূচনা

সেভেন ইয়ার্স ওয়ারে ফ্রেডেরিক যুদ্ধের ময়দানে সফল হয়েছেন ঠিকই, কিন্তু তার দেশ ভুগেছে ভীষণভাবে। রাজার নিজের লেখা থেকে জানা যায় প্রুশিয়ার খাদ্য সরবরাহ প্রচণ্ডভাবে বিধ্বস্ত, তের হাজার ঘরবাড়ি একেবারেই মাটির সাথে মিশে গেছে। শহর-বন্দর জ্বলে পুড়ে শেষ। ধনী-গরিব কাউকেই ছাড়েনি ভয়াবহ এই লড়াই। যুদ্ধফেরত সৈনিকদের পকেটে অর্থ নেই, অনেকে চিরদিনের মতো পঙ্গু। প্রুশিয়ার জনসংখ্যাও বহুলাংশে হ্রাস পেয়েছে। ফ্রেডেরিকের হাতে এখন অনেক কাজ।

পুনর্গঠন

ফ্রেডেরিকের মূল লক্ষ্য জলাভূমি পুনরুদ্ধার করে নতুন করে লোকবসতি স্থাপন করা, প্রশাসনিক এবং খাদ্যশস্যের যোগান ব্যবস্থার সংস্কারসাধন এবং ভঙ্গুর সেনাবাহিনীকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া। তিনি মনোযোগ দিলেন দক্ষিণের পোলিশ ভাষাভাষী মাসুরিয়া’র(Masuria) দিকে। মাসুরিয়া ছিল জলমগ্ন স্বল্প জনবসতির এক এলাকা। সেখানে খাল কেটে পানি বের করে ফেলে দেয়া হলো অমুলেফ এবং ভাইডপুশ (Omulef and Waldpusch) নদীতে। খালের দুই পাশে গজিয়ে উঠল গ্রাম ও শহর। জার্মানির প্যালাটাইন, হেসে এবং ভুর্তেমবার্গ (Württemberg) থেকে সুযোগ সুবিধার প্রলোভন দিয়ে লোক ভাগিয়ে ফ্রেডেরিক মাসুরিয়াতে নতুন অনেকগুলো বসতি তৈরি করলেন: লিপ্নিয়াক (১৭৭৯), জাইকেন (১৭৮১), পুভেচেন (১৭৮২), ভেসেলোয়েন (১৭৮৩), ইটোকেন (১৭৮৫) এবং শুডমাখ (১৭৮৬) এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

মাসুরিয়ার একটি শহর; Image Source: photoblog.pl

সামাজিক নিরাপত্তারও প্রচলন করলেন ফ্রেডেরিক এই সময়ে। যুদ্ধাহত সৈনিকদের জন্য ১৭৬৮ সালে বার্লিনে তৈরি হলো একটি ভবন, যেখানে ৬০০ জনের বসবাসের সুবিধা ছিল। যুদ্ধলব্ধ সম্পদের একাংশ বরাদ্দ দেয়া হলো যুদ্ধফেরত গরিব সৈন্যদের জন্য। স্বল্প বেতনের সরকারি চাকরিতে তাদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করে দিলেন ফ্রেডেরিক। কলকারখানা স্থাপনেও তিনি বরাদ্দ দেন। প্রশাসনিকভাবে শিল্পোন্নয়নের জন্য ফিফথ ডিপার্টমেন্ট নামে এক সংস্থা তৈরি করা হয়, সামরিক বিষয়াদি দেখাশোনা করতে দায়িত্ব দেয়া হয় সিক্সথ ডিপার্টমেন্টকে।

খাদ্যশস্যের ব্যাপারে ফ্রেডেরিকের চিন্তার অনেক কারণ ছিল। প্রুশিয়ার খাদ্য উৎপাদনের কেন্দ্র ছিল পূর্ব প্রুশিয়া, যা লড়াইয়ে কয়েকবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেভেন ইয়ার্স ওয়ার ফ্রেডেরিককে শিখিয়েছে যে পূর্ব প্রুশিয়া শত্রুদের হামলার সামনে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। দীর্ঘ সংঘর্ষে প্রুশিয়ার খাদ্যাভাবের অন্যতম কারণই ছিল পূর্ব প্রুশিয়াতে শত্রুপক্ষের আক্রমণ। কাজেই তিনি পূর্ব প্রুশিয়া থেকে খাদ্য শস্য সরবরাহ আস্তে আস্তে কমিয়ে দেন। ১৭৬৬ সালে শুল্ক উঠিয়ে দিয়ে পোল্যান্ড থেকে সস্তায় খাদ্য আমদানি উৎসাহিত করলেন। যদিও তিন বছর পর শুল্ক পুনরায় আরোপ করা হলো, তবে তা সীমাবদ্ধ ছিল গমের উপর। সমস্ত প্রুশিয়াতে খাদ্য সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে সরকারি কর্তৃত্ব কঠোরভাবে জারি হয়, যা কাজে দিয়েছিল ১৭৭১-৭২ এর শীতে। সারা ইউরোপে তখন দুর্ভিক্ষ, কিন্তু ফ্রেডেরিকের সুশৃঙ্খল সিস্টেমে প্রুশিয়াতে খাদ্যের যোগান সহনীয় পর্যায়ে থাকায় তারা এই দুর্যোগ থেকে রক্ষা পায়।

পররাষ্ট্রনীতি

সেভেন ইয়ার্স ওয়ারের পরে ড্যানিশ মন্ত্রী কাউন্ট বার্নস্টফ (Johann Hartwig Count Bernstorff) বলেন, এই সংঘাতের ফলে হলি রোমান এম্পায়ারে ক্ষমতার দুটি কেন্দ্রের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। যদিও মারিয়া থেরেসার পুত্র দ্বিতীয় জোসেফ নামে হলি রোমান এম্পেররের পদ গ্রহণ করেছেন, কিন্তু জার্মান ইলেক্টরেদের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রশিয়ার আবির্ভাব আসলে এই পদে দীর্ঘদিনের হাবসবুর্গ প্রভাবকেই চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিয়েছে। ফলে শক্তির ভারসাম্যে অস্ট্রিয়া আর প্রুশিয়ার অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ফ্রেডেরিকের চেষ্টা ছিল নতুন এই মেরুকরণ যেকোনো উপায়ে বজায় রাখা এবং হাবসবুর্গরা যাতে তাকে ছাপিয়ে যেতে না পারে তা নিশ্চিত করা। এ কারণে তার দরকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শক্তিশালী মিত্র। একইসাথে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে ক্ষমতার সুষ্ঠু হস্তান্তরের ব্যবস্থা তৈরি করা ছিল ফ্রেডেরিকের লক্ষ্য, যাতে তার পর সিংহাসন নিয়ে কোনো গোলমালের সুযোগ বহিঃশত্রু নিতে না পারে। তাই ফ্রেডেরিক সচেষ্ট ছিলেন অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করতে, যাতে তার মৃত্যুতে ক্ষমতার শূন্যতা তৈরি না হয়। বহির্বিশ্বে রাশিয়ার সাথে ঝামেলা মিটিয়ে ক্যাথেরিন দ্য গ্রেটের বন্ধুত্ব পাওয়ার জন্যেও তিনি পদক্ষেপ নেন। ফলে ১৭৬৪ সালে রাশিয়া এবং প্রুশিয়ার মধ্যে একটি অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যদিও ১৭৮১ সালে তা ভেস্তে যায়। 

কাউন্ট বার্নস্টফ; Image Source: picryl.com

সামরিক বাহিনী

যুদ্ধের পর নতুন করে সামরিক বাহিনী বৃদ্ধি এবং প্রশিক্ষণের কাজ আরম্ভ হয়। ১৭৮৬ সালে ইউরোপের তৃতীয় বৃহত্তম সেনাবাহিনী ছিল প্রুশিয়ার। ১,৯৫,০০০ সৈনিকের এই সেনাদল ছিল প্রুশিয়ার পুরো জনসংখ্যার প্রায় সাড়ে তিনভাগ। প্রতি ২৯ জনের একজন ছিল সেনাবাহিনীর অংশ। তবে শুভঙ্করের ফাঁকি এখানে ছিল। মূল বাহিনীর ৮১ হাজার ছিল প্রুশিয়ান, বাকিরা ভাড়াটে সেনা। তবে তাতে প্রুশিয়ার কোনো ক্ষতিবৃদ্ধি হয়নি।

পোল্যান্ডের বিভক্তির সূত্রপাত

৫ অক্টোবর, ১৭৬৩ সাল।

পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথের রাজা তৃতীয় অগাস্টাস মারা গেলে নতুন রাজা নির্বাচনের প্রয়োজন দেখা দিল। এখানে পোলিশ সংসদের দুই কক্ষ ডায়েট আর সেইমের সদস্যদের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়। অনেক অভিজাতই বহিঃশক্তি, বিশেষ করে রাশিয়া আর প্রুশিয়া দ্বারা প্রভাবান্বিত ছিল। সংসদের সদস্যদের ক্ষমতা ছিল যেকোনো সিদ্ধান্তে ভেটো প্রদানের এবং প্রয়োজনে ছোট ছোট সশস্ত্র উপদল, বা কনফেডারেশেন গঠন করার, যারা রাজার পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করতে পারত। ফলে আইনসিদ্ধ উপায়ে গৃহযুদ্ধের পথ খুলে রাখা ছিল। ১৭০৪, ১৭১৫ এবং ১৭৩৩ সালে তিনবার কনফেডারেশন গঠিত হয়, যার পুনরাবৃত্তি ঘটে ১৭৬৭, ১৭৬৮ এবং ১৭৯২-এ।

পোল্যান্ড-লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চল; Image Source: Wikimedia Commons

প্রায় ২ লাখ ৮৪ হাজার বর্গ মাইলের পোল্যান্ডের অধিবাসী ২০ মিলিয়ন। এর রাজার হাতে আছে জার্মান স্যাক্সোনি ছাড়াও ব্র্যান্ডেনবার্গ আর পূর্ব প্রুশিয়ার মধ্যখানের রয়্যাল প্রুশিয়ার কিছু এলাকা, হাঙ্গেরির কিছু দ্বীপ ইত্যাদি। পোল্যান্ডের মূল ভূখণ্ডকে ঘিরে আছে অস্ট্রিয়া, রাশিয়া আর প্রুশিয়া। পোলিশদের বেশ কিছু অঞ্চলের দিকে অস্ট্রিয়ানদের চোখ বহুদিন ধরেই। আর ফ্রেডেরিক তো পোল্যান্ডকে দেখতেনই রসাল এক ফল হিসেবে যার রয়্যাল প্রুশিয়ার অংশ তার চাই-ই চাই। রাশিয়ার কাছে পোল্যান্ড ছিল স্যাটেলাইট স্টেটের মতো, যা মধ্য ইউরোপে নিজ প্রভাব বিস্তৃত করবার একটি পথ। ফলে প্রত্যেক শক্তিরই পোল্যান্ডের প্রতি আগ্রহ ছিল, যে কারণে একবিন্দুতে মিলতে তাদের বেশি সময় লাগেনি।

ফ্রেডেরিকের পরিকল্পনা

তৃতীয় অগাস্টাসের পর পোলিশ রাজার ব্যাপারে ফ্রেডেরিক এবং ক্যাথেরিন হস্তক্ষেপ করলেন। তাদের প্রচ্ছন্ন সমর্থনে নতুন রাজা নির্বাচিত হলেন রাশানপন্থী হিসেবে পরিচিত স্ট্যানিস্ল (Stanislaus Poniatowski)। দ্বিতীয় স্ট্যানিস্ল হিসেবে তিনি দায়িত্ব নেন ১৭৬৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৭ তারিখে। তার নির্বাচনে অজস্র অর্থ খরচ করে ক্যাথেরিন কিনে নিয়েছিলেন পোলিশ প্রভাবশালী অভিজাতদের। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই স্ট্যানিস্লই আবির্ভূত হন একজন দেশপ্রেমিক সংস্কারপন্থিরূপে, যা প্রুশিয়া বা রাশিয়ার কাছে ছিল অপ্রত্যাশিত এবং অগ্রহণযোগ্য। স্ট্যানিস্ল জোর গলাতে পোলিশ শাসনব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তুললেন, পোলিশ-লিথুয়ানিয়ান কমনওয়েলথ নিয়ে অভিন্ন একটি শুল্ক অঞ্চলের প্রস্তাবও তিনি দিলেন। ফ্রেডেরিক শুল্ক এলাকার বিরোধিতা করলেন।

পোলিশ রাজা স্ট্যানিস্ল © Angelica Kauffmann

এদিকে স্ট্যানিস্লর বিভিন্ন প্রস্তাবনা নিয়ে ১৭৬৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেইমের বৈঠক বসল ওয়ারশ’তে। ক্যাথেরিন পোল্যান্ডে সেনা পাঠিয়ে জানান দিলেন তাদের প্রভু রাশিয়াই, কাজেই ক্যাথেরিনের মতের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। রাশিয়ান বাহিনী সেইমের অধিবেশনের সময় ওয়ারশতে ঘাঁটি করে বসে রইল। এতে সংস্কারের চেষ্টা বানচাল হয়ে যায়। ক্যাথেরিনের চাপে ক্যাথলিক পোলিশ সংসদ প্রোটেস্ট্যান্ট এবং অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের পূর্ণ ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রদানে বাধ্য হয় এবং পোল্যান্ডকে মূলত রাশিয়ার একটি প্রটেক্টোরেট (protectorate), বা অধীনস্থ এলাকা বলে স্বীকার করে নেয়।

এই পরিস্থিতিতে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ কামিয়েনিয়েৎস (Kamieniec) এলাকার বিশপ অ্যাডাম ক্রাসিনস্কি ২৯ ফেব্রুয়ারি একটি কনফেডারেশন গঠন করলেন। তার সাথে একত্র হন পুলাস্কি এবং মাইকেল ক্রাসিনস্কি নামে আরো দুই পোলিশ ব্যক্তিত্ব। পোডোলিয়া অঞ্চলের ছোট্ট দুর্গ বারে উৎপত্তি বলে একে বারের কনফেডারেশন (Confederation of Bar) বলে অভিহিত করা হয়। তারা রাশিয়ান হস্তক্ষেপের পাশাপাশি স্ট্যানিস্লরও বিরোধিতা করলেন।

রাজকীয় পোলিশ বাহিনীর আগমনের খবরে ক্রাসিনস্কি বার থেকে সরে যান এবং পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমে তাদের কার্যক্রম সীমিত হয়ে পড়ে। তবে তাদের স্বপক্ষে পোল্যান্ডের বহু শহর নগরে বিক্ষোভ সংঘটিত হয়। উৎসাহিত কনফেডারেশন সশস্ত্র বিপ্লবের বার্তা ছড়িয়ে দিতে থাকে। তাদের প্রতি প্রেরিত হয় অটোমান এবং ফ্রান্সের সহায়তা। সহিংসতা প্রশমনে ফ্রান্স ভূখণ্ডগত পুনর্বিন্যাসের প্রস্তাব করে, যেখানে সিলিসিয়ার কিছু অংশ অস্ট্রিয়াকে প্রদানের বিপরীতে পোল্যান্ডের এলাকা ফ্রেডেরিক লাভ করবেন। বলাই বাহুল্য যে অস্ট্রিয়ার সাথে সিলিসিয়া নিয়ে তিনটি সংঘাতের পর কোনোক্রমেই সিলিসিয়া বিসর্জন দিতে ফ্রেডেরিক ইচ্ছুক ছিলেন না। পোল্যান্ডে উত্তেজনা চলাকালেই অক্টোবরের ৮ তারিখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অটোমানরা যুদ্ধ ঘোষণা করে বসে, যদিও ১৭৭৪ সাল অবধি চলা এই লড়াইয়ে শেষ হাসি হাসে রাশিয়াই।

এদিকে পোল্যান্ডে কনফেডারেটরা ১৭৭০ সালের অক্টোবরের ২২ তারিখে স্ট্যানিস্লকে সিংহাসনচ্যুত ঘোষণা করে। এমনকি একপর্যায়ে স্বল্প সময়ের জন্য হলেও পোলিশ রাজা তাদের হস্তগত হয়েছিলেন। কিন্তু ক্যাথেরিন স্ট্যানিস্লকে রক্ষায় সেনাবাহিনী প্রেরণ করেন, এবং ১৭৭১ সালের মে-তে জেনারেল সুভোরভ (Aleksandr Vasilyevich Suvorov) ল্যাঙ্ক্রোনার (Lanckorona) নিকটে কনফেডারেট শক্তিকে গুঁড়িয়ে দেন।

ব্যাটল অফ ল্যাঙ্ক্রোনা © Artur Grottger

ফ্রেডেরিকের প্রস্তাব

১৭৬৮ সালের সেপ্টেম্বরেই গোপনে পোল্যান্ডকে ভাগবাটোয়ারা করবার একটি প্রস্তাব ক্যাথেরিনকে ফ্রেডেরিক দিয়েছিলেন। অটোমানদের নিয়ে ব্যস্ত রাশিয়া সেদিকে কোনো মনোযোগই দেয়নি, কিন্তু হলি রোমান এম্পেরর এবং অস্ট্রিয়ান সিংহাসনের উত্তরাধিকারী জোসেফ আগ্রহী হয়ে উঠলেন। গোপনীয়তার ভেতরে নিসে শহরে ১৭৬৯ সালের ২৫ অগাস্ট তিনি ফ্রেডেরিকের সাথে সাক্ষাৎ করেন।

ফ্রেডেরিকের সাথে হলি রোমান এম্পেরর দ্বিতীয় জোসেফের সাক্ষাৎ © Adolph Menzel

পরের বছর সেপ্টেম্বরের ২ তারিখের নেস্টাদে (Neustadt)-এর পুনরাবৃত্তি হলো। জোসেফের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে অস্ট্রিয়া, রাশিয়া আর প্রুশিয়ার মধ্যে পোল্যান্ডের ভাগাভাগির চূড়ান্ত একটি পরিকল্পনা ফ্রেডেরিক পেশ করলেন। মারিয়া থেরেসার কাছে সার্বভৌম একটি দেশকে লুটেপুটে খাওয়ার এই চিন্তা ছিল অন্যায্য। কিন্তু ছেলের চাপে তিনি সম্মতি দিতে বাধ্য হন, যা মৃত্যু পর্যন্ত তাকে কুড়ে কুড়ে খেয়েছিল। তবে এই ভাগাভাগির আগেই কিন্তু অস্ট্রিয়া ১৭৬৯-৭০ সালে দক্ষিণ হাঙ্গেরিতে পোল্যান্ডের অংশ স্পিজ (Spisz) দ্বীপপুঞ্জ এবং পার্শ্ববর্তী নুভে টার্ক এবং নুভে সঞ্চ (Nowy Targ and Nowy Sącz) দখল করে নিয়েছিল।

This is a Bengali language article about the rise and eventual downfall of Prussia and how it led to a unified Germany. Necessary references are mentioned below.

References

  1. Clark, C. M. (2007). Iron kingdom: The rise and downfall of Prussia, 1600-1947. London: Penguin Books.
  2. Abbott, J. S. C. (1882). The history of Prussia. New York, Dodd, Mead, and company.
  3. Partitions of Poland. Encyclopedia Brtiannica.

Related Articles