'ট্রেন থামাইতে শিকল টানুন, অযথা টানিলে ২০০ টাকা দণ্ড'। ট্রেনের মধ্যে বড় বড় অক্ষরে এমন লেখা প্রায়ই চোখে পড়ে। নিজের সুবিধামতো ট্রেন থামাতে গিয়ে জরিমানা গোনা ভদ্রলোকের সংখ্যা উপমহাদেশে নেহাতই কম নয়। এইযে দেখুন না, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে অযথা চেন টানার কারণে ট্রেনের বিলম্বে ৩ হাজার কোটি রুপি ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে। শেষমেশ বাধ্য হয়ে সেদেশের রেল কর্তৃপক্ষ ট্রেন থেকে চেন সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে উপরোক্ত বাক্য থেকে এতটুকু বোঝা যায়, ট্রেন সড়কপথের বাহনের ন্যায় যত্রতত্র থামতে পারে না। ট্রেন থামার জন্য একটা নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে। আর এই নির্দিষ্ট স্থানটিই হলো রেল স্টেশন। বাংলাদেশের প্রথম রেল স্টেশন হলো কুষ্টিয়ার জগতি এবং সবচেয়ে বড় রেলওয়ে জংশন ঈশ্বরদী।
তবে বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহত্তম রেলওয়ে স্টেশন ঢাকার কমলাপুর। ব্রিটিশ স্থাপত্যের সমাপ্তি ঘটিয়ে দেশের প্রথম এবং আধুনিক রেলওয়ে স্থাপনা এই কমলাপুর স্টেশন; একে ঢাকা তথা সমগ্র বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রেলওয়ে স্টেশন বলা হয়ে থাকে। আজকের এ লেখায় আমরা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ইতিহাস সম্পর্কে জানব।
ঢাকায় রেলপথ এসেছে ১৮৮৪ সালে। ঢাকা স্টেট রেলওয়ে কোম্পানির হাত ধরে নারায়ণগঞ্জ-ময়মনসিংহ মিটারগেজ রেলপথ নির্মাণের অংশ হিসেবে ঢাকায় রেলযুগের সূচনা ঘটে। বাংলাদেশ ভূখণ্ডে রেলপথ আসার দীর্ঘ ২২ বছর পর ঢাকায় রেলপথ এসেছে। ঢাকা-ময়মনসিংহ অঞ্চলে রেলপথ নিয়ে আসার পেছনে প্রধান কারণ ছিল উক্ত অঞ্চলের সমৃদ্ধ পাটশিল্পকে কাজে লাগানো।
ফুলবাড়িয়া থেকে কমলাপুর
বর্তমানে কমলাপুরে ঢাকার প্রধান রেলস্টেশন অবস্থিত হলেও ১৮৮৪ সালে কমলাপুরের কোনো অস্তিত্বই ছিল না। সে সময় কমলাপুর ছিল অজপাড়াগাঁ। এমনকি পাকিস্তান শাসনামলেও কমলাপুরে ছিল দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ ধানক্ষেত। তৎকালীন ঢাকা শহরের বিস্তৃতি ছিল বুড়িগঙ্গার পাড় থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত। তাই ঢাকা স্টেট রেলওয়ে কোম্পানি তৎকালীন ঢাকার প্রাণকেন্দ্র ফুলবাড়িয়াতে রেলস্টেশন স্থাপন করেন। ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হয় ১৮৮৫ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে।
ঢাকা তখন এক ছোট্ট মফস্বল, বাংলার রাজধানী নয়, তাই কলেবরে স্টেশনটিও ছিল ছোট। একটা একতলা স্টেশন ভবন, একটি প্লাটফর্ম এবং মাত্র তিনটি লুপ লাইন নিয়ে ফুলবাড়িয়া স্টেশন। ঐতিহাসিক ম্যানরিকের বিবরণ অনুযায়ী, সপ্তদশ শতকের দিকে ফুলবাড়িয়াতে প্রচুর ফুলের চাষ হতো। আর এ ফুল সরবারহ করা হতো গান্ধি গলিতে, সেখানে তৈরি হতো সুগন্ধি ও আতর। স্টেশনে পেছনের অংশে ছিল বিশাল বাঁশবাগান, এ জায়গাটাকে বলা হতো বাঁশপট্টি। ফুলবাড়িয়া ছাড়াও নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির স্থানে আরেকটি রেল স্টেশন ছিল, যার নাম ছিল ঢাকেশ্বরী স্টেশন। অবশ্য লোকাল স্টেশন হওয়ায় এখানে সব ট্রেন থামত না।
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ঢাকা হলো পূর্ব পাকিস্তানের রাজধানী। মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে এ এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ হয়ে পড়তে শুরু করল। বিলুপ্ত হয়ে গেল বাঁশপট্টি নাম আর বাঁশবাগান দুটোই। বিশাল জনসংখ্যার যাত্রীচাপ সামাল দেওয়া ফুলবাড়িয়া স্টেশনের পক্ষে আর সম্ভব হলো না। আবার এ রেলপথের কারণে নতুন ও পুরাতন ঢাকা দু'ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল। রেলপথগুলো দুই ঢাকার মধ্যে সংযোগ রক্ষাকারী একাধিক মহাসড়কের পথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করে। ধারণা করা হয়, স্টেশনটিকে তুলনামূলক কম ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে স্থানান্তর করলে উত্তর-দক্ষিণের যানবাহনের প্রবাহ সহজ হবে। তাছাড়া পুরনো ও নতুন ঢাকা শহরও একত্র হবে।
তাই পাকিস্তান সরকার সিদ্ধান্ত নিল, যেভাবেই হোক স্টেশন স্থানান্তর করতে হবে। কিন্তু কোথায়? বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে সরকারকে জানিয়ে দিলেন, কমলাপুরে করা যেতে পারে। এরপর সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় শুরু হয়ে যায় কমলাপুরে ধানক্ষেতের মধ্যে জরিপ কার্যক্রম। এভাবেই চলে গেল বেশ কয়েক বছর। কাজ খুব বেশি এগোল না।
প্রায় ১০ বছর পর, ১৯৫৮ সালে প্রাদেশিক সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য দায়িত্বগ্রহণ করে। এক্ষেত্রে ঢাকার রেলপথ ম্যাপেও বেশ পরিবর্তন আনতে হয়। তেজগাঁও থেকে বামদিকে রেলপথের গতিমুখ পরিবর্তন করে খিলগাঁও হয়ে কমলাপুরে নেওয়া হয়। এদিকে কমলাপুর থেকে সায়েদাবাদ হয়ে গেণ্ডারিয়াতে পুরাতন লাইনের সাথে মিলিত হয়। ফলে তেজগাঁও থেকে গেণ্ডারিয়া পর্যন্ত পুরনো লাইন সম্পূর্ণ অকার্যকর হয়ে পড়ে। পরবর্তী সময়ে এ রেলপথ তুলে ফেলে তার উপর সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, স্টেশনটি ফুলবাড়িয়াতে হলেও প্ল্যাটফর্মের দুই মাথায় নামফলকে খোদাই করা ছিল- 'ঢাকা'।
কালের সাক্ষী ফুলবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন আজ বিলুপ্ত। অধিকাংশ মানুষেরই অজানা রয়ে গেছে এ স্টেশনের ইতিহাস। এমনকি ফুলবাড়িয়া স্টেশনের অবস্থান যে কোথায় ছিল, তা খুঁজে বের করাও রীতিমতো কষ্টকর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সে সময়ে রেলপথও ছিল কিছুটা ভিন্ন পথে। মূল রেললাইন ছিল তেজগাঁও স্টেশন থেকে কারওয়ান বাজারের উপর দিয়ে, সোনারগাঁও রোড ধরে হাতিরপুল, আজিমপুর, জহির রায়হান রোড হয়ে পলাশী চত্বরের উপর দিয়ে- মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের নিচ দিয়ে ওয়ারী হয়ে সোজা গেণ্ডারিয়া স্টেশন পর্যন্ত।
ফুলবাড়িয়া স্টেশনটি ছিল গুলিস্তান বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে শুরু করে বঙ্গবাজার পর্যন্ত। আর স্টেশনঘরটি ছিল ঠিক ফায়ার সার্ভিস ভবনের স্থানে। খেয়াল করলে দেখা যায়, ঢাকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলো এই ফুলবাড়িয়াকে কেন্দ্র করেই অবস্থিত। ফুলবাড়িয়ার উত্তরপাশ থেকে শুরু হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, রমনার বাগান এবং গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা।
কমলাপুরের যাত্রা
কমলাপুর বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। এটি ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত। পুরো স্টেশনটি প্রায় ১৫৬ একর জমির উপর স্থাপিত। ১৯৫৮ সালে প্রাদেশিক সরকারের অধীনে কমলাপুরে রেলস্টেশন স্থানান্তর কার্যক্রম শুরু হয়। এ স্টেশনের স্থপতি ছিলেন দু'জন মার্কিন নাগরিক, ড্যানিয়েল বার্নহ্যাম এবং বব বুই। দু'জনেই এ দেশে এসেছিলেন 'লুই বার্জার অ্যান্ড কনসাল্টিং ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড'-এর স্থপতি হিসেবে।
ড্যানিয়েল বার্নহ্যাম পড়াশোনা করেছিলেন হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। এদিকে বব বুই ছিলেন নিউইয়র্কের প্র্যাট ইনস্টিটিউট ও লন্ডনের আর্কিটেকচারাল আসোসিয়েশন স্কুলের ছাত্র। এই দু'জন বিখ্যাত স্থপতি কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনকে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে এক বিরল স্থাপত্যকর্ম হিসেবে গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন। তাছাড়া স্থাপনাটি গ্রীষ্মমণ্ডলীয় উষ্ণ আবহাওয়ার জন্য উপযোগী করেই নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তারা প্রস্তাব করলেন, কংক্রিটের অনেকগুলো প্যারাবোলিক ডোমের সমন্বয় ছাতার ন্যায় একটি স্থাপনা তৈরি করতে হবে। আর স্টেশনের সমস্ত কার্যক্রম সংঘটিত হবে ছাতার নিচে।
কমলাপুর রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ সমাপ্ত হয় ১৯৬৮ সালে। তবে তখনও ট্রেন চলাচল শুরু হয়নি। শেষবারের মতো ঢাকার পুরাতন স্টেশন ফুলবাড়িয়া থেকে ট্রেন ছেড়ে যায় ১৯৬৮ সালের ৩০শে এপ্রিল। ট্রেনটি ছিল ৭নং আপ, যা ২০০০ নং লোকোমোটিভ নিয়ে রাত ১১:১০ মিনিটে ফুলবাড়িয়া ছেড়ে যায়। এই লোকোমোটিভটি ছিল পূর্ব পাকিস্তান তথা বাংলাদেশের প্রথম ডিজেল লোকোমোটিভ। বর্তমানে এটি চট্টগ্রামের পাহাড়তলী ডিজেল শপে সংরক্ষিত রয়েছে। পরদিন ১ মে থেকে কমলাপুর স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু করে। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন উদ্বোধন করা হয়েছিল ১৯৬৮ সালের ২৭ এপ্রিল।
কমলাপুর স্টেশন ভবনের বৃহৎ বর্গাকৃতির ছাতাটি মোট ৩৬টি খণ্ড খণ্ড বর্গক্ষেত্রে বিভক্ত। এই ৩৬টি কংক্রিটের ছাতা দাঁড়িয়ে রয়েছে ৪৯টি পিলারের উপর। মাটি থেকে এ স্তম্ভের উচ্চতা ৫৯ ফুট। প্রতিটি কলাম উপরের দিকে উঠে চারটি শাখা বিস্তার করে ছাতাটিকে ধরে রেখেছে। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের নির্মাণশৈলীর সাথে বিশ্বের বিখ্যাত কয়েকটি স্থাপনার সামঞ্জস্যপূর্ণ মিল পাওয়া যায়; যেমন- ডেনমার্কের স্থপতি জন উটজনের ডিজাইন করা সিডনির বিখ্যাত অপেরা হাউস, এরও সারিনেনের ডিজাইন করা নিউইয়র্কের টিডব্লিউএ টার্মিনাল, মোগল স্থাপত্যের প্যাভিলিয়ন ধাঁচের স্থাপনা ইত্যাদি।
কমলাপুর স্টেশনের সকল কার্যক্রম এক ছাদের নিচেই সম্পন্ন হয়। চারদিকে নেই কোনো প্রাচীর। এ যেন গণমানুষের আশ্রয়স্থল। ১৯৬০ সালের সেই সময় কমলাপুর রেল স্টেশনের স্থাপত্য নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছিল বিশ্বব্যাপী। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে মুম্বাইয়ের ভিক্টোরিয়া টার্মিনাল এবং কলকাতার হাওড়া স্টেশন ছাড়া এমন আধুনিক এবং দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা তখনকার সময়ে খুব কমই ছিল। তাই এ স্থাপত্যকর্মের রাজনৈতিক তাৎপর্য বুঝে খোদ পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান কমলাপুরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন।
কমলাপুর রেল স্টেশনে রয়েছে মোট ১০টি প্লাটফর্ম। টিকেট সংগ্রহের জন্য রয়েছে ১১টি টিকেট কাউন্টার। এছাড়াও রয়েছে প্রশাসনিক অফিস, যাত্রী বিশ্রামকেন্দ্র ও ওয়েটিং এরিয়াসহ বিভিন্ন কার্যকরী কক্ষ। ২০১৮ সালে সরকারি এক সিদ্ধান্তে জানা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশনকে ঘিরে মাল্টিমোডাল হাব করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এর ফলে কমলাপুর স্টেশনের চারপাশে শপিংমল, বিলাসবহুল হোটেল, পাতাল ও উড়ালপথসহ আধুনিক সব অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে।
শেষ হচ্ছে কমলাপুরের যাত্রা
'ঐতিহ্যবাহী' কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রা শেষ হলেও নতুন স্টেশনের নামও 'কমলাপুর'-ই থাকবে। তবে থাকবে না দৃষ্টিনন্দন প্রায় সাত দশকের পুরাতন এই স্থাপনাটি। এ স্থাপনার সাথে জড়িয়ে রয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ের আবেগ। তবুও বৃহৎ পরিকল্পনার স্বার্থে এই স্থাপনাটিতে চালানো হবে বুলডোজার।
ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য নির্মিত হচ্ছে মেট্রোরেল। ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ঢাকা মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন-৬ এর সঙ্গে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের সংযোগ ঘটাতে হবে। কিন্তু বর্তমানে কমলাপুর স্টেশনের স্থাপনাটি এমআরটি-৬ এর সঙ্গে মেলানো সম্ভব হচ্ছে না। আর ঠিক এ কারণেই এই স্থাপনাটি ভেঙে ফেলা হবে। এরপরে বর্তমান স্টেশন হতে ১৩০ মিটার উত্তরে এমআরটি-৬ এর সাথে মিল রেখে নির্মাণ করা হবে নতুন স্টেশন ভবন। জাপানের কাজিমা করপোরেশন এই কাজের দায়িত্বগ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে একাধিকবার বিকল্প উপায় খোঁজার চেষ্টা করা হলেও কোনোভাবেই এ সমস্যার সমাধান করা যায়নি। অবশেষে বাংলাদেশ রেলওয়ে সব আবেগ বিসর্জন দিয়ে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানির পরিকল্পনায় সায় দিয়েছে।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি আইকনিক স্থাপনা। ফুলবাড়িয়া থেকে কমলাপুর এবং কমলাপুর ভেঙে নতুন আরেকটি স্থাপনা; ঢাকার রেলস্টেশনের এ বিবর্তন চলছেই। ঢাকা শহরের অর্থনীতি এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে যাত্রীচাপ। ফলে প্রতিনিয়ত যোগ হচ্ছে নতুন নতুন ট্রেন। বর্তমানে কমলাপুর স্টেশন থেকে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী নিয়ে ৬০টি ট্রেন দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মেট্রোরেল এবং কমলাপুর কেন্দ্রিক মাল্টিমোডাল হাব নির্মাণের মধ্য দিয়ে ঢাকার রেল যোগাযোগ এক নতুন যুগে প্রবেশ করবে বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।
This is a Bengali article. It is the eighth part of the series 'History of Railway in Bangladesh'. Here the history of Kamalapur railway station is described.
Necessary references have been hyperlinked inside the article.
Featured Image: Prothom Alo