দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে জানার আগ্রহ আছে ইতিহাসপ্রেমী যেকোনো মানুষেরই। আর সেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধেরই এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হলো জাপানের হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা, যা এই যুদ্ধকেই সমাপ্তির দিকে নিয়ে গিয়েছিল।
এই বোমা হামলার পর হিরোশিমা ও নাগাসাকির যারা বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদেরকে বলা হয় হিবাকুশা। তবে তারা কেউই হিবাকুশা হতে চাননি, চেয়েছিলেন আর দশজন স্বাভাবিক মানুষের মতোই সুন্দর একটা জীবন কাটাতে। কিন্তু ফ্যাট ম্যান ও লিটল বয় নামক দুটো অভিশাপ তছনছ করে দেয় তাদের সাজানো সংসার, সাজানো স্বপ্নসহ সবকিছুই।
তেমনই একজন হিবাকুশা হলেন সাচিকো ইয়াসুই, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ কেড়ে নিয়েছিল যার সর্বস্ব। কেমন ছিলো তার যুদ্ধ-পূর্ববর্তী দিনগুলো? বোমা হামলার ঠিক পরমুহূর্তে কেমন পরিস্থিতির মাঝ দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি ও তার পরিবার? নতুন করে পথচলার শুরু ও সেই প্রক্রিয়াটা কেমন ছিল? পরবর্তী জীবনটাই বা কেমন করে কাটিয়েছিলেন তিনি?
শ্বাসরুদ্ধকর এই বাস্তব কাহিনীই উঠে এসেছে কারেন স্টেলসনের লেখা ‘সাচিকো – অ্যা নাগাসাকি বোম্ব সারভাইভার্স স্টোরি’ বইটিতে। ২০টি পর্বে সাজানো সেই কাহিনীই রোর বাংলার পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হচ্ছে সম্পূর্ণ বাংলা ভাষায়। আজ থাকছে এর দ্বিতীয় পর্ব।
ইভ্যাকুয়েশন
মে-আগস্ট ১৯৪৫
বাবা অবশ্যই বুঝতে পেরেছিলেন যে, যুদ্ধের অন্তিম মুহুর্ত ঘনিয়ে এসেছে।
১৯৪৪ সালের জুন মাসের কথা, সাচিকোর বয়স যখন পাঁচ বছরের মতো, তখন থেকেই মার্কিন বোমারু বিমানগুলো জাপানী শহরগুলোর উপর আক্রমণের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। প্রথমদিকে যেসব শহরে বোমা হামলা করা হয়েছিল, নাগাসাকিও ছিলো সেগুলোর মাঝে একটি, যদিও সেখানে ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ছিলো তুলনামূলকভাবে কম।
১৯৪৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে রাজধানী টোকিওসহ জাপানের বড় বড় শহরগুলোতে বোমারু বিমান থেকে হামলা শুরু করে আমেরিকা। মার্চ মাসে টোকিওতে চালানো হামলায় মারা যায় লক্ষাধিক মানুষ, আহত হয় প্রায় দশ লক্ষ এবং গৃহহীন হয় আরো প্রায় দশ লক্ষের মতো জাপানী নাগরিক। ১৯৪৫ সালের এপ্রিলে নাগাসাকিতে আবারও হামলা চালানো হয়। তিনবারের মতো চালানো হামলায় নাগাসাকি পোতাশ্রয়ের জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। জনমনে আতঙ্ক দিনকে দিন বাড়তেই লাগলো। আবারও মার্কিন আক্রমণ অবশ্যম্ভাবী বুঝতে পেরে জাপানী সেনারা নাগাসাকির কিয়ুশু দ্বীপে জড়ো হয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে থাকলো।
বাবা পরিবারকে একটি নিরাপদ জায়গায় স্থানান্তরের ব্যাপারে ভাবছিলেন। তল্পিতল্পা গুটিয়ে ট্রেনে করে সপরিবারে শিমাবারায় চলে যাবার পরিকল্পনা ছিল তাদের। নাগাসাকির পাহাড়গুলোর কাছাকাছি দুর্গবেষ্টিত শিমাবারা শহরেই এককালে বেড়ে উঠেছিলেন বাবা। চলে যাবার কোনো ইচ্ছাই সাচিকোর ছিলো না। বাড়ি এবং বন্ধুবান্ধবদের হারিয়ে ফেলার ভয়টা ছিলো সবচেয়ে বেশি। বাবা অবশ্য তার আদরের মেয়েটিকে নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন এই বলে যে,
সাচিকো, শিমাবারায় পাহাড়ের বুকে তোমার জন্য অপেক্ষা করছে সুন্দর একটা বাড়ি। এর চারদিকে রয়েছে পাইন গাছের সারি। সেখানের হ্রদগুলো তোমার কানে ফিসফিসিয়ে বলবে, 'আমার বুকে এসে সাঁতার কাটো'।
পুরনো জামাকাপড় আর পারিবারিক ছবি দিয়ে মা স্যুটকেস ভরিয়ে ফেললেন। সেখানে ছিল আকি আর ইচিরোর ছোটবেলার ছবি, বাবার বাগান থেকে আনা চন্দ্রমল্লিকাবেষ্টিত অবস্থায় বান্ধবী ও আত্মীয়দের সাথে মা এবং লালরঙা কিমোনো পরিহিতা পাঁচ বছর বয়সী সাচিকো। মামা তাদেরকে বিদায় জানাতে এসেছিলেন। এই মামা সাচিকোকে নিজের মেয়ের মতোই ভালোবাসতেন। স্নেহের উষ্ণ আলিঙ্গনে মেয়েটিকে বিদায় জানান তিনি।
সাচিকো জানতে চেয়েছিলো, "আবার কবে মামার সাথে দেখা হবে?" এ প্রশ্নের জবাব কারোরই জানা ছিলো না।
... ... ... ...
অল্প কিছুদিনের মাঝেই সাচিকোর পরিবারকে শিমাবারা থেকে তাদের আগের বাড়িতে ফেরত আসতে হয়েছিলো, যা ছিলো তাদের কাছে কল্পনাতীত ব্যাপার।
শিমাবারায় থাকাকালে বাবার কাছে সরকারের পক্ষ থেকে একটি নোটিস আসে, যেখানে সম্রাট হিরোহিতোর পক্ষ থেকে যুদ্ধে যোগদানের স্পষ্ট নির্দেশ এসেছিলো। আসন্ন মার্কিন আক্রমণকে সামনে রেখে পনেরো বছর বয়সী কিশোর থেকে ষাট বছর বয়সী বৃদ্ধ- সবাইকেই যুদ্ধে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। এমনকি সতের থেকে চল্লিশ বছর বয়সী অবিবাহিতা নারীদেরও যুদ্ধে অংশ নিতে বলা হয়েছিল। সম্রাটের জন্য প্রাণোৎসর্গ করাই হবে এ সৈনিকদের আরাধ্য বস্তু।
আকিই সবার আগে কথা বলে উঠলো। বাবার একাকী নাগাসাকিতে ফিরে যাওয়া ঠিক হবে না। বরং পুরো পরিবারই একসাথে শিমাবারা ছেড়ে যাওয়া উচিত, যাতে তারা বাবার সাথে যতটা বেশি সম্ভব আনন্দময় মুহুর্ত পার করতে পারে। মা-ও এতে সায় দিলেন। বাবা যুদ্ধে যাবার আগে তারা যতটা সম্ভব একসাথে থাকবে সবাই।
... ... ... ...
১৯৪৫ সালের আগস্টে সাচিকোর পরিবার পূর্বের বাসস্থানে ফিরে গেলো। সেখানে গিয়ে আগের মতোই সন্ধ্যাবেলায় সূর্যকে দিগন্তের অতলে হারিয়ে যেতে দেখলো সে। আকাশ অন্ধকার হয়ে এলো। রাতের আঁধার বিদীর্ণ করে ঘটলো চাঁদের আগমন। সাচিকো, মা, আকি, ইচিরো, মিসা আর তোশি- সবাই মিলে গেলো সামনের বারান্দায়। সেখানে দাঁড়িয়ে রাতের আঁধারে সবাই-ই শিপইয়ার্ড থেকে বাবার ফিরে আসার জন্য মুখিয়ে রইলো। আকির হাতে ছিলো একটি ফ্ল্যাশলাইট।
বেশ কিছু দূরে সাচিকো একটি ফ্ল্যাশলাইটের দিকে ইশারা করলো। ওটা ছিলো বাবার ফ্ল্যাশলাইট। আকির ফ্ল্যাশলাইট বারকয়েক জ্বলা-নেভা করলো, ঠিক যেভাবে জ্বলা-নেভা করে জোনাকির আলো। উরাকামি স্টেশন থেকে ক্লান্ত দেহে বাড়ির দিকে আসতে থাকা বাবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতে থাকলো সাচিকো।
... ... ... ...
নিচু টেবিলে রাখা দাদীমার দেয়া গামলাটা থেকে ধোঁয়া পাকিয়ে উঠছিলো। মা সবাইকে গমের বল এবং ফুটানো পানি কাপে তুলে দিচ্ছিলেন। বাবা, মা, আকি, ইচিরো, মিসা, তোশি এবং সাচিকো হাতে হাত রেখে (সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতায়) মাথা নত করলো। সকলেই জানতো, একসাথে কাটানো প্রতিটি দিন, প্রতিটি রাতই মহামূল্যবান।
... … … …
১৯৪৫ এর গ্রীষ্মে সাচিকোর বাবা যখন ইম্পেরিয়াল জাপানিজ আর্মিতে যোগদানের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, সম্রাট হিরোহিতো তখন তার উপদেষ্টা ও জেনারেলদের একে অপরের সাথে বাদানুবাদে লিপ্ত অবস্থায় দেখছিলেন।
পরিস্থিতি ছিলো বেশ সংকটাপন্ন। মিত্রবাহিনীর কাছে নৌ ও আকাশপথে যুদ্ধে সম্পূর্ণরুপে পরাজিত হয়েছে জাপানী সেনারা। এশীয় সাম্রাজ্য জুড়ে পরাজিত হয়েছে জাপানের সেনাবাহিনী। দেশজুড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে চৌষট্টিটি শহর। ততদিনে সামরিক ও বেসামরিক মিলিয়ে মারা গেছে বিশ লক্ষাধিক জাপানী নাগরিক। আমেরিকানরা যদি জাপানে প্রবেশ করে, তাহলে কত সংখ্যক জাপানী মারা যাবে?
জাপানের সামনে পথ খোলা ছিলো কয়েকটি-
১) আমেরিকার চাহিদামতো বিনাশর্তে আত্মসমর্পণ করা এবং সম্রাট হিরোহিতোর সিংহাসনচ্যুতি। অথবা
২) সোভিয়েত ইউনিয়নের দ্বারস্থ হয়ে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সম্রাটকে সিংহাসনে রাখার ব্যবস্থা করা। কিংবা
৩) যুদ্ধ চালিয়ে গিয়ে জাতির চূড়ান্ত পরাজয়ের পথ সুগম করা।
সম্রাট হিরোহিতো, যার সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছিলো পুরো জাপানের জনগণের ভবিষ্যৎ, একেবারে নিশ্চুপ হয়ে রইলেন।
সেই গ্রীষ্মে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান রুজভেল্ট। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হয়ে আসেন হ্যারি ট্রুম্যান। জাপানকে হারাতে পরামর্শক এবং জেনারেলদের নানা মতামতই শুনলেন তিনি। মিত্রবাহিনীর পরিকল্পিত অপারেশন ডাউনফলের অস্তিত্ব তখনও কেবল কাগজ-কলমেই। যদি এটা বাস্তবায়িত হতো, তবে তা হতো মানব ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা বড় নৌ-আক্রমণ। ট্রুম্যান জানতে চেয়েছিলেন, এর ফলে আমেরিকান জনগণের ক্ষয়ক্ষতির হার কেমন হতে পারে। আহত-নিহত-নিখোঁজের সংখ্যা কি একত্রিশ হাজারে মতো হবে? সম্ভবত আরও বেশি। কেউই এই সংখ্যার ব্যাপারে কোনো নিশ্চয়তা দিতে পারলো না। এই আক্রমণের বদলে এতগুলো মার্কিন জনগণের জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে দেয়া কতটা যুক্তিযুক্ত হবে? প্রায় ভেঙে পড়া জাপানের বিরুদ্ধে এমন আক্রমণের সিদ্ধান্ত নিতে ঠিক একমত হতে পারছিলেন না উপদেষ্টাগণ। ফলে অপারেশন ডাউনফলের সপক্ষে লোকের সংখ্যা আস্তে আস্তে কমতে লাগলো।
বিনাশর্তে আত্মসমর্পণের ব্যাপারে কিছুটা শৈথিল্য প্রদর্শন করে সম্রাটকে কি তার সিংহাসনে থাকতে দেয়া হবে? এতে কি যুদ্ধের কাঙ্ক্ষিত পরিসমাপ্তি ঘটবে? ট্রুম্যানের উপদেষ্টাগণ এমনই নানা প্রশ্ন নিয়ে দ্বিধান্বিত হয়ে পড়লেন। কিন্তু ট্রুম্যান জানতেন, মার্কিন জনগণ চায় বিনাশর্তে জাপানের পুরোপুরি আত্মসমর্পণ।
আর সোভিয়েত ইউনিয়নের ব্যাপারেই বা কী হবে? মিত্রবাহিনীর সাথে জার্মানির বিরুদ্ধে লড়লেও জাপানের ব্যাপারে তারা নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছে। তবে জার্মানির আত্মসমর্পণের পর সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্টালিন জাপানের বিরুদ্ধেও যুদ্ধে অংশ নেয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছিলেন। সোভিয়েতদের অন্তর্ভুক্তি কি যুদ্ধের পরিসমাপ্তি দ্রুততর করে তুলবে? নিঃসন্দেহে। কিন্তু ট্রুম্যান আসলে স্টালিনকে বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। কারণ তিনি এটা ভেবে শঙ্কিত ছিলেন যে, যুদ্ধের পর স্টালিন হয়তো জাপান এবং এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের উপর কর্তৃত্ব দাবি করে বসতে পারেন।
শেষপর্যন্ত উপদেষ্টাদের সাথে আলোচনা করে ট্রুম্যান সিদ্ধান্ত নিলেন, পারমাণবিক বোমা হামলা চালিয়েই এর ইতি টানার চেষ্টা করা হবে। বোমাটি কিছুদিন আগেই বানানো হয়েছিল, কিন্তু তখনও কোথাও এর পরীক্ষা চালানো হয়নি। ট্রুম্যান এবং তার উপদেষ্টাগণ বোমাটির সফল পরীক্ষণের ব্যাপারে আশাবাদী থাকলেও এটা যে যুদ্ধকে একেবারে থামিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে, সেটা তারা ঘুণাক্ষরেও কল্পনা করেননি।
বোমা হামলার সম্ভাব্য লক্ষ্যস্থল ঠিক করতে কমিটি গঠন করা হলো। বোমটির ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা সবাইকে দেখানো এবং জাপানী জনগণের মাঝে ভীতির সঞ্চার করতে এমন একটি শহর ঠিক করা দরকার ছিলো, যেখানে আগে তেমন বোমা হামলা চালানো হয়নি। তবে অধিকাংশ জাপানী শহরেই বোমা হামলা চালানো হয়েছিল। শেষপর্যন্ত সতেরটি শহরের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। চূড়ান্ত তালিকায় ছিলো চারটি শহরের নাম: হিরোশিমা, কোকুরা, নাগাসাকি এবং নীগাতা।
১৯৪৫ সালের ৬ জুলাই জার্মানির আত্মসমর্পণের বিষয়ে ব্রিটিশ ও সোভিয়েত নেতাদের সাথে আলাপ করতে জার্মানির পটসডামে যান ট্রুম্যান। পটসডাম কনফারেন্সে মিত্রবাহিনীর মৈত্রীতে ভাঙন ধরে। জার্মানির পরাজয়ের পর পূর্ব ইউরোপের উপর কর্তৃত্ব ফিরে পেলো সোভিয়েত ইউনিয়ন। ট্রুম্যান ভাবছিলেন, জাপান যত তাড়াতাড়ি আত্মসমর্পণ করবে, এশিয়ার বিষয়ে নাক গলানোর জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন তত কম সময় পাবে।
কনফারেন্সের প্রথম দিনই ট্রুম্যানের কাছে একটি বার্তা আসে- ১৬ জুলাই নিউ মেক্সিকোতে পারমাণবিক বোমার পরীক্ষণ সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, মানবজাতির ইতিহাসের সর্বাপেক্ষা ধ্বংসাত্মক অস্ত্রটি এখন আছে তার দখলে। ২৬ জুলাই মিত্রবাহিনীর পক্ষ থেকে জাপানকে আল্টিমেটাম দেয়া হয় এটা জানিয়ে,
“জাপানের প্রতিটি সশস্ত্র বাহিনীর নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ নিশ্চিত করার জন্য আহ্বান জানানো যাচ্ছে জাপান সরকারের প্রতি। এবং সেই সাথে এ কাজটি যথাযথভাবে সম্পন্ন করার জন্য পরিপূর্ণ নিশ্চয়তা ও সহযোগিতাও কাম্য। অন্যথায় জাপানের জন্য অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত ধ্বংস।”
এই সিরিজের পূর্ববর্তী পর্বসমূহ
১) পর্ব - ১
This article is in Bangla language. It describes the story of Sachiko, a hibakusha from nagasaki. Necessary references have been hyperlinked inside.
Reference Book:
1. Sachiko - A Nagasaki Bomb Survivors Story by Caren Stelson
Image Source: Wikimedia Commons