প্রায় তিন হাজার বছর আগের কথা। লোকে লোকারণ্য ময়দান। হেরাক্লসের নাম বিজড়িত পবিত্র ভূমি অলিম্পিয়াতে জড়ো হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। উৎসুক দৃষ্টিতে দেখছেন ইতিহাসের প্রথম অলিম্পিকের পর্দা উন্মোচন। একটি মাত্র খেলাই হবে এই অলিম্পিকে। দৌড়ের সেই প্রতিযোগিতা জয়ের সাথে জড়িয়ে আছে গ্রিক নগররাষ্ট্রগুলোর মর্যাদা। বিজয়ীর জন্মভূমি সারা গ্রিকের ঈর্ষার পাত্র হবে, অন্তত আগামী চার বছর পর্যন্ত।
দৌড়ের দৈর্ঘ্য ঠিক হয়েছে এক স্টাড (Stade, বর্তমান স্টেডিয়াম শব্দের পূর্বসূরী)। আমাদের মাপে তা প্রায় ১৯২ মিটার, ৬০০ ফুটের কিছু বেশি। সবাইকে হারিয়ে বিজয়ী হলেন এলিস নগর রাষ্ট্রে বাবুর্চির কাজ করে জীবনধারণ করা এক ব্যক্তি, নাম তার করোবাস। হর্ষোৎফুল্ল জনতা আনন্দে মেতে উঠল। বিচারকেরা তাকে পরিয়ে দিলেন হেরাক্লসের নিজের হাতে রোপণ করা অলিভ গাছের পাতার মালা আর মুকুট। প্রাচীন ইতিহাসের প্রথম অলিম্পিক বিজয়ী হিসেবে নাম উঠল করোবাসের।
আরেকটু এগিয়ে চলে যাই ৬৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এক গ্রীষ্মে। আগস্টের কোনো এক বিকেলে মাঠে বসে খেলা দেখছেন ট্রাইফন আর রোডোন। দুজনেই পূর্ববর্তী অলিম্পিক বিজয়ী। স্টাডা দৌড়ে বিজয়মাল্য ছিনিয়ে নিয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন তারা। প্রাচীন অলিম্পিক মোটমাট চার স্টাডার দৌড় হতো। ১৯২ মিটার ছিল স্বল্প দৈর্ঘ্য, ২ স্টাডা বা ৩৮৪ মিটার মধ্যম, আর ৭-২৪ স্টাডা, বা ১,৩৪৪ থেকে ৪,৬০৮ মিটারের দুটি দৌড় ছিল লম্বা দৈর্ঘ্যের। এগুলো অনুষ্ঠিত হতো একই দিনে।
বর্তমান তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমের কারিয়া শহরের এক যুবক পলাইটস (Polites) রোডন আর ট্রাইফনের বাজি। উত্তেজিত হয়ে দৌড় দেখছেন তারা। কিছুটা পিছিয়ে পড়েছে পলাইটস। সেদিন সকালেই লম্বা দৈর্ঘ্যের দৌড় জিতে কিছুটা ক্লান্ত মনে হচ্ছে তাকে।
“পারবে না, পারবে না!” আফসোস করে উঠলেন ট্রাইফন। “সকালের শক্তির ছিটেফোঁটা তার মাঝে আর নেই!” দ্বিমত পোষণ করলেন রোডোন, “না! না! দেখো, ও অন্য প্রতিযোগীদের ধরে ফেলছে কিন্তু!” ঠিকই সবাইকে পাশ কাটিয়ে সমাপ্তির দাগ পার হয়ে গেল পলাইটস। একইদিনে স্বল্প আর লম্বা দৈর্ঘ্যের দৌড় জেতার এই কীর্তি আর কখনো কেউই করে দেখাতে পারেননি।
দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খেলাধুলার আসর কোনটি। খেলার সংখ্যা আর দর্শক চিন্তা করলে অবশ্যই অলিম্পিক। ২০১৬ সালে ব্রাজিলের রিও অলিম্পিক টিভির পর্দায় উপভোগ করেছেন ৩.৬ বিলিয়নের কিছু বেশি মানুষ, যা বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক। তবে বিশ্বকাপ ফুটবলও গ্রেটেস্ট শো-র দাবিদার হতে পারে। একটিমাত্র খেলা নিয়েই ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপ প্রায় সাড়ে তিন বিলিয়নের মতো দর্শক টেনে নিয়েছে। তবে প্রাচীনত্ব আর প্রভাবের কথা ভাবলে অলিম্পিকই এগিয়ে থাকে।
অলিম্পিক গেমস বেশিরভাগ অ্যাথলেটের জন্যই সর্বোচ্চ সম্মানের স্থান। নিজেদের সেরাটা নিয়েই তারা হাজির হন এখানে। শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতেই মুখিয়ে থাকেন তারা। অলিম্পিকে অংশগ্রহণ একজন অ্যাথলেটের পাশাপাশি তার দেশের জন্যেও অত্যন্ত গৌরবের।
প্রাচীন গ্রীক নগররাষ্ট্র এবং প্রতিযোগীরা যেমন অলিম্পিক গেমসকে নিজেদের মর্যাদার প্রতীক হিসেবে দেখত, তেমনি আধুনিক কালেও অলিম্পিক নিয়ে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দেশের লক্ষ্য থাকে বিশ্বমঞ্চে নিজেদের উপস্থিতি জাহির করবার।
ইলিয়াড ও অডিসি
শারীরিক কসরত আর খেলাধুলায় প্রাচীন গ্রীকদের পারদর্শিতা ছিল সর্বজনবিদিত। তাদের আগের ইজিপশিয়ান আর প্রাচ্যিয় বেশ কিছু সভ্যতাতেও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে খেলাধুলার প্রমাণ মেলে। অন্ধ কবি হোমার তার ইলিয়াড আর অডিসিতেও এর ইঙ্গিত দিয়েছেন। এই কাহিনী থেকে খেলাধুলার আসরের প্রতি গ্রীকদের ঝোঁক সহজেই অনুমান করা সম্ভব।
ইলিয়াডের পুরো কাহিনী ট্রয় দখলের নয় বছরের যুদ্ধের। এখানে গ্রীকদের সম্বোধন করা হয়েছে আকিয়ান (Achaeans) নামে। একিলিসের বন্ধু পেট্রোক্লিস হেক্টরের হাতে নিহত হলে তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়াতে আয়োজিত হলো খেলাধুলার আসর। প্রাচীন গ্রীসে অন্ত্যেষ্টিতে কসরত আর খেলাধুলার প্রতিযোগিতা ছিল খুব স্বাভাবিক। এর মাধ্যমে তারা দেবতাদের প্রতি অর্ঘ্য নিবেদন করত।
একিলিসের আয়োজনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার ধার্য ছিল রথদৌড়ে। এই নিয়ে দুই গ্রীক বীর অ্যাজাক্স আর আইডোমেনেসের মধ্যে বাজি ধরা নিয়ে বচসা হলে একিলিস নিজে হস্তক্ষেপ করেন। এই সূত্র ধরে পরবর্তীতে কোনো গ্রীক সাহিত্যেই খেলাধুলা নিয়ে বাজি ধরার কথা বলা হয়নি। একে গ্রীকরা পরিত্যাজ্য বিবেচনা করত।
রথদৌড়ে জয়ী হয়ছিলেন দক্ষ অশ্বারোহী ডায়োমেডেস। দ্বিতীয় খেলা ছিল বক্সিং, যেখানে প্রথম স্থান অধিকার করেন এপিয়োস। যোদ্ধা হিসেবে তিনি একবারেই কাঁচা ছিলেন, তাই হোমার বলতেন- বক্সাররা ভাল সৈনিক হয় না।
হোমারের এই মনোভাব থিবসের চতুর্থ শতাব্দীর গ্রীক জেনারেল এপিমিনোডেসের (Epaminondas) ভেতরেও দেখা যায়। একধাপ এগিয়ে তিনি নিজের সেনাদের যেকোনো খেলায় অংশ নিতে মানা করতেন। তার উত্তরসূরি ফিলোপেনেম তো সরাসরি নিষেধাজ্ঞাই দিয়ে বসেন, তার মতে- এসব নিষ্ফল কাজে শরীরের কোনো উপকার হয় না।
একিলিসের আসরে কুস্তির খেলায় মুখোমুখি হন অডিসিউস আর অ্যাজাক্স। এই খেলা হয় ড্র। এরপর ৪০০ মিটারের দৌড়ে (ডায়ালুস/400) নামেন অডিসিউস আর আরেক গ্রীক। এথেনার ইশারায় প্রতিদ্বন্দ্বী হোঁচট খেলে জিতে যান ওডিসিউস। এরপর পর্যায়ক্রমে তলোয়ারবাজি, তীর নিক্ষেপ আর ওজন ছোড়ার প্রতিযোগিতা হয়। এর মধ্যে তৃতীয়টি পরে অলিম্পিকে অন্তর্ভুক্ত হয়।
অডিসির কাহিনী ওডিসিউসের দেশে ফেরা নিয়ে। যাত্রাপথে জাহাজডুবি হলে তিনি আশ্রয় নেন ফেইশিয়ানদের (Phaeacians) দ্বীপে। গ্রীক অতিথিদের সম্মানে ফেইশিয়ান রাজার ডাকে রাজ্যের যুবকেরা নানা কসরত প্রদর্শন করল। এসময় রাজার ছেলে লাওডেমাস ওডিসিউস খেলায় নামতে আমন্ত্রণ জানালে ওডিসিউস উত্তর দেন যতদিন একজন মানুষ বেঁচে আছে, খেলায় জেতার থেকে বড় কোনো পুরস্কার সে পেতে পারে না।
ওডিসিউস ওজন, আজকের দিনে যাকে আমরা ডিস্কাস নামে ডাকি, তা হাতে নিয়ে এত দূরে ছুড়ে মারলেন যে কেউ এরপর আর ডিস্কাস ছোড়ার সাহসই করল না। এরপর তিনি যে কাউকে তার সাথে মুষ্টিযুদ্ধের চ্যালেঞ্জ করেন। এবারও ফেইশিয়ানরা বুদ্ধিমানের মতো পিছিয়ে গেল।
উৎপত্তির পুরাণ
আধুনিক অলিম্পিক কাগজে-কলমে শুরু হয়েছে ১৮৯৬ সাল থেকে। আর প্রাচীন অলিম্পিকসের খোঁজ জানতে ফিরে যেতে হবে খ্রিস্টের জন্মের ৭৭৬ বছর আগে, যখন লিখিত রেকর্ডে এই আসর নথিভুক্ত হয়েছিল। তবে গ্রীক পুরাণে অলিম্পিকের শুরুর বহু আগেই। হোমারের কাহিনী ছাড়াও বিচ্ছিন্নভাবে গ্রীসে অনেক খেলাধুলার আসরের কথা এলেও অলিম্পিকই ছিল প্রধান। প্রাচীন গ্রীক কবি পিন্ডার দাবি করেছেন, অলিম্পিকের আসর খেলাধুলার সবচেয়ে পুরাতন প্রতিযোগিতা, যার সূচনা জিউসপুত্র হেরাক্লসের হাত ধরে।
হেরাক্লসের গল্প
দেবরাজ জিউস আর মর্ত্যমানবী অ্যাল্কমেনের সন্তান হেরাক্লসের বিখ্যাত বারটি কাজের একটি ছিল এলিস রাজ্যের রাজা ইজিয়াসের আস্তাবল পরিষ্কার। ময়লার স্তূপে পরিষ্কার করতে হেরাক্লস পার্শ্ববর্তী নদীতে বাঁধ দিয়ে সমস্ত পানি আস্তাবলে দিয়ে প্রবাহিত করেন। ফলে নিমেষেই সব দাগ মুছে গেল!
কিন্তু ইজিয়াস হেরাক্লসকে প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিতে অস্বীকার করলে হেরাক্লস তাকে হত্যা করেন। এলিস লুণ্ঠন করে ধনরত্ন নিয়ে চলে গেলেন পিসা শহরে। এর নিকটেই অলিম্পিয়ার বনাঞ্চল, যার অবস্থান দক্ষিণ গ্রীসের পেলোপন্নেস পর্বতমালার পশ্চিম উপকূলে।
হেরাক্লস এখানেই এক পবিত্র স্থান নির্ধারণ করলেন, নিজ হাতে লাগালেন অলিভ গাছ। এরপর পুরো জায়গা বেড়া দিয়ে ঘিরে এর বাইরে আয়োজন করলে জিউসের সম্মানে জাঁকজমকপূর্ণ আসর। প্রাচীন গ্রীক ইতিহাসবিদ পিন্ডার দাবি করেন- এভাবেই শুরু হয় অলিম্পিক। প্রতি চার বছর পর পর হওয়া এই আসরের অন্তর্ভুক্ত ছিল দৌড়, মুষ্টিযুদ্ধ, কুস্তি, বর্শা নিক্ষেপ, ডিস্কাস ছোড়ার মতো খেলা।
পেলপ আর হাউজ অফ অ্যাট্রেউস
এশিয়া মাইনরের লিডিয়ার গ্রীক রাজা ট্যান্টেলাস। দেবতাদের সাথে তার প্রচুর দহরম মহরম। একবার তাদের পর্যবেক্ষণশক্তি পরীক্ষা করতে ট্যান্টেলাস পুত্র পেলপসকে কেটেকুটে দেবতাদের সামনে পরিবেশন করেন। টের পেয়ে কেউই খাবার মুখে দিলেন না, কিন্তু দেবী ডেমেটার তখন কন্যাবিয়োগে অন্যমনস্ক। তিনি পেলপসের কাঁধের অংশ ভক্ষণ করে ফেলেন। দেবতারা পুনরায় পেলপসকে শরীর ফিরিয়ে দেন, কাঁধের অংশ প্রতিস্থাপিত হয় আইভরি দিয়ে।
পিন্ডার কিন্তু এই কাহিনী ভুয়া বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, পেলপসকে আসলে অপহরণ করে নিয়ে যান পসেইডন, নিজের কুকীর্তি ঢাকতে ট্যান্টেলাসের উপর দোষ চাপিয়ে দেন তিনি। কিন্তু ট্যান্টেলাস যখন দেবতাদের অনেক গোপন বিষয় মানুষকে জানিয়ে দিতে থাকেন, তখন তাকে সরিয়ে দিয়ে পেলপসকে তার জায়গায় অধিষ্ঠিত করা হলো।
যুবক পেলপস মজে গেলেন পিসার রাজকন্যা হিপোডেমিয়ার প্রেমে। তার পিতা যুদ্ধদেব এরিসের পুত্র অনোম্যানাসের শর্ত ছিল একমাত্র রথদৌড়ে যে তাকে পরাজিত করতে পারবে তার হাতেই তিনি সঁপে দেবেন নিজের আদরের ধনকে। তবে পরাজিত হলে ভাগ্যে জুটবে মৃত্যু।
তেরজন তরুণ এরই মধ্যে অনোম্যানাসের হাতে প্রাণ হারিয়েছে। ফলে পেলপস পসেইডনের সাহয্য প্রার্থনা করলেন। দেবতার আশীর্বাদে তিনি অনোম্যানাসকে পরাজিত ও হত্যা করেন। আরেক মতে বলা হয়, পেলপস অনোম্যানাসের সহিস মির্টিলাসকে ঘুষ দিয়ে জয় হাসিল করেছিলেন। রাজা মারা যাবার পর মির্টিলাসের মুখ বন্ধ করতে পেলপস তাকে সাগরে ফেলে দেন। সেই সাগরের নাম হয়ে যায় মির্টোয়ান সাগর।
পেলপস আর হিপোডেমিয়া প্রতিষ্ঠা করেন হেলেনিস্টিক গ্রীসের পূর্বসূরি সাম্রাজ্য, মাইসেনিয়া। অনোম্যানাসের বিরুদ্ধে নিজের জয় স্মরণীয় করে রাখতে এবং দেবতাদের ধন্যবাদ দিতে পেলপস চালু করেন অলিম্পিক গেমসের। তার পুত্র অ্যাট্রেউসের নামানুসারে তার রাজবংশ পুরানে খ্যাতি পায় হাউজ অফ অ্যাট্রেউস বলে। তারাই নাকি শুরু করেছিলেন প্রাচীন অলিম্পিকের আসর।
জিউস আর ক্রোনাস
অলিম্পাস পর্বতে বসবাসকারী জিউস ও অন্যান্য দেবতারা ছিল প্রাচীন গ্রীকদের মূল দেবদেবী। তাদের পূর্বে দেবরাজ্যের শাসক ছিল টাইটানরা, যাদের নেতা ছিলেন ক্রোনাস। কোনো এক সন্তানের হাতে তার পতন লেখা এই ভবিষদ্বাণীর পর স্ত্রী রিয়ার গর্ভের সব ছেলেমেয়ের জায়গা হলো ক্রোনাসের উদরে।
শেষ সন্তান জিউস মায়ের সাহায্যে কোনো রকমে বেঁচে গেলেন। পরিণতবয়সে ক্রোনাসকে পরাজিত করে তিনিই হলেন দেবরাজ। টাইটানদের বিরুদ্ধে নিজ জয়কে উদযাপন করতে তিনিই আরম্ভ করেন অলিম্পিকের। অ্যাপোলো সেখানে হার্মেসকে দৌড় প্রতিযোগিতায় হারান, এরপর এরিসকেও পরাস্ত করেন মুষ্টিযুদ্ধে। বলা হয়, এজন্যই প্রাচীন অলিম্পিকে বাঁশির বাজনা অন্যতম অনুষঙ্গ ছিল, কারণ সূর্য আর কলার দেবতা অ্যাপোলর কাছে বাদ্যবাজনা অত্যন্ত প্রিয়। এবং অ্যাপোলো ছিলেন দেবতাদের অলিম্পিক বিজয়ী।
পুরাণের অলিম্পিকের সূচনা তাই লিখিত ইতিহাসের অনেক আগেই। তবে প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষণা কী বলে? সেই কথা তোলা থাক আরেকদিনের জন্য।
This is a Bengali language article about the mythology of ancient Olympic games. Necessary references are mentioned below.
Referenes
- Young, D.C. (2004) A brief History of the Olympic Games. Blackwell Publishing Ltd, Victoria, Australia. SBN 1–4051–1130–5
- Gill, N.S. "The History of the Olympics." ThoughtCo, Aug. 27, 2020,
- The Olympic Games.
- Yates, D. C. Olympic Games. Encyclopedia Britannica.
- Encyclopedia Britannica
- Encyclopedia Britannica
Feature image: olympics.com