Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সালিভান ভাইদের বীরত্বগাঁথা

সময়টা ১৯৪২ সালের ১২ নভেম্বর। সন্ধ্যার আকাশে ধীরে ধীরে অন্ধকার যখন গাঢ় হয়ে উঠছে, ঠিক সেই সময়টায় গুয়াডালক্যানাল নামক এক স্থানে আমেরিকান নৌবাহিনীর জাহাজ ‘জুন্যো’ তে একটা টর্পেডো আঘাত করে। একমুহূর্তের মাঝে আমেরিকা আর জাপানের নৌবাহিনী এক নৃশংস যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। জাপানীজ ‘আমাতসুকেজ’ থেকে টর্পেডোর আঘাতের সঙ্গে সঙ্গেই জুন্যো বিকল হয়ে পড়ে।

রাতের এ যুদ্ধ গড়িয়ে ভোরের আলো ফোটে। জুন্যো বিকল হয়ে যাওয়াতে যুদ্ধের তালিকা থেকে নাম কেটে বাদ দেয়া হয়। ১৩ নভেম্বর, সকালের দিকে মোটামুটি সচল জাহাজগুলোকে ফিরিয়ে নেয়া হয় পোর্টে।

সকালের সাদা আকাশে বিধ্বংসী গোলার আগুন অন্ধকার ঘনিয়ে আনে। ঐদিন ১১টার দিকে জাপানীজ সাবমেরিনটি জুন্যোকে লক্ষ্য করে আরো একদফা টর্পেডো ছুঁড়ে। জুন্যোর অবশিষ্ট যাও ছিল, এবার সেটাও আর রইল না। আমেরিকার নৌবাহিনীর সর্বসাকুল্যে ৬৯৭ জনের মৃত্যু হয় সেবার। তাদের মাঝে ছিল আইওয়া স্টেটের ওয়াটারলু থেকে আগত পাঁচ ভাই। জুন্যোর ডেকের উপরে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যারা যুদ্ধ করেছিলেন সেদিন।

একই পরিবারের সেই পাঁচ ভাইকে নিয়েই আজকের লেখাটা সাজানোর চেষ্টা করেছি। এটুকু বলার পর সবার চোখে একটা নাম ভেসে উঠার কথা। “সেভিং প্রাইভেট রাইয়ান” পাঁচ ভাইয়ের বীরত্বগাঁথা নিয়ে চলচ্চিত্র শিল্পও পিছিয়ে থাকেনি, চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে। সেই ব্যাপারে সবার শেষে বলব। ওই পাঁচ ভাইকে নিয়ে মুভিটা বানানো হয়নি, তবে গল্প খানিকটা ওরকমই।

ঘটনার ঠিক দু’মাস পর আমেরিকান নৌবাহিনী গুয়াডালক্যানালকে শত্রুমুক্ত ঘোষণা করে। একই সাথে শ্রদ্ধাভরে গভীর সমবেদনা জানায় সেই সালিভান পরিবারের প্রতি, যে পরিবার থেকে আগত পাঁচ ভাই একসাথে জুন্যোতে জীবন দিয়ে শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত যুদ্ধ করে গেছে। তারা হল জর্জ, ফ্র্যাংক, জোসেফ, ম্যাট ও অ্যালবার্ট।

নৌবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেই সেই ভাইদের গল্প প্রচার করতে শুরু করে। সবার মনে সালিভান পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জন্ম দিতেই এই পদক্ষেপ। পত্র-পত্রিকা, চলচ্চিত্র নির্মাতা সকলের কাছেই এই গল্প অনেক গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে শুরু করে।

এই ঘটনার পরপরই সামনে উঠে আসে সালিভান ভাইদের শৈশব। পাঁচজনেরই অতি অল্প পড়াশোনা। কৈশোরে এসে সকলের পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছিলো। পড়াশোনা ছেড়ে ভাইয়েরা টুকটাক কাজ করার চেষ্টা করলেও সবসময় কাজ পাওয়া যেতো না।

১৯৩৭ সালে সবার বড়, জর্জ আর ফ্র্যাংক যোগ দেয় নৌবাহিনীতে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ তখনো শুরু হয়নি। চার বছর নৌবাহিনীতে কাটিয়ে ১৯৪১ সালে তারা দু’জন বাড়িতে ফিরে আসে। অন্য ভাইদের সাথে তাদেরও ওয়াটারলুতে কাজ জুটে যায়।

তৎকালীন সময়ে, শ্রমিক শ্রেণীর মাঝেও শ্বেতাঙ্গ-কৃষ্ণাঙ্গ ভেদাভেদ ছিল। শ্বেতাঙ্গরা বরাবরের মতোই কৃষ্ণাঙ্গদের এড়িয়ে চলতো। কিন্তু এলাকার মানুষজনদের থেকে জানা যায়, তারা পাঁচ ভাই-ই প্রচন্ড দুষ্টু ছিল, সারাদিনই কৃষ্ণাঙ্গদের এলাকায় থাকতো। সুযোগ খুঁজতো তাদের সাথে ঝগড়া করার, যেন আচ্ছামতো পেটাতে পারে। সবরকমের ঝামেলা সৃষ্টির জন্য অনেক সুখ্যাতি ছিল তাদের।

১৯৪০-১৯৪১ এর সময়ে, পাঁচ ভাই-ই বড় হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঘুরতে শুরু করে। তাদের সবার নামের সাথেই মদ্যপ, ঝগড়াটে, বজ্জাত বিশেষণগুলো জুড়ে যায়।

গল্পের মোড়টা ঘুরে যায় যখন জাপান পার্ল হার্বারে আক্রমণ করে বসে। ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর। এই হলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আমেরিকার প্রত্যক্ষভাবে যোগদান। পাঁচ ভাইয়ের মনেও দাগ কেটে যায় একদম। তারা যেন নতুন করে জীবনের লক্ষ্য খুঁজে পায়। এই ঘটনার জন্যেই যেন তারা অপেক্ষা করছিলো। সকলেই নৌবাহিনীতে যোগ দিয়ে একসাথে যুদ্ধে যোগদানের পরিকল্পনা করে।

অ্যালবার্ট হলো ভাইদের মাঝে সবথেকে ছোট, অ্যালবার্টও যুদ্ধে যেতে প্রস্তুত হয়ে যায়। অ্যালবার্টের ২১ মাস বয়সী এক শিশুসন্তানও ছিল, অ্যালবার্টের ত্যাগ নিঃসন্দেহে অবর্ণনীয়।

ডিসেম্বরের শেষ দিকে জর্জ নৌবাহিনীর দপ্তরে এক চিঠি পাঠায়, “আমাদের পাঁচ বন্ধু হাওয়াই অঞ্চলে নিহত হয়েছে, আমাদের সাহায্য করুন।” চিঠিতে সে অনুরোধ করে, তারা পাঁচ ভাই ও তাদের দুই বন্ধুকে যেন নৌবাহিনীতে চাকরি দিয়ে একসাথে যুদ্ধ করতে দেয়া হয়। সেই সাথে জর্জ আরো উল্লেখ করে, “আমাদের ভাইদের দলটি হবে অপ্রতিরোদ্ধ, অদম্য।”

নৌবাহিনীর “ডেস মঈন্স রিক্রুটিং হেড কোয়ার্টার”-এ ডাকা হলো পাঁচ ভাইকে, স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। পরীক্ষা শেষে রেজিস্ট্রার যখন জিজ্ঞাসা করলো, তোমরা কোন জায়গায় পোস্টিং চাও, ফ্র্যাংক জবাব দেয় নির্দ্বিধায়- “জ্বি হ্যাঁ, পার্ল হার্বারেই আমরা সবাই যেতে ইচ্ছুক।”

রেজিস্ট্রার ওদের ইন্টারভিউ শেষে নোট লিখলেন, “ওয়াটারলু থেকে আগত পাঁচ ভাইকে পার্ল হার্বারের জন্য নিয়োগ দেয়া গেল।”

নৌবাহিনীতে যোগদানের সময়ে, পুরো ওয়াটারলুতে সাড়া পড়ে যায়, ওয়াটারলুর সবথেকে দুষ্টু সালিভান ভাইয়েরা যুদ্ধে যাচ্ছে। স্থানীয় পত্রিকার ফটোগ্রাফারও এসে হাজির হয়। ছবিসূত্র: World War II (June, 2017)

সেই জানুয়ারীতেই শুরু হয় তাদের সবার ট্রেনিং, সাত জনের এক সাহসী দল। জর্জ আর ফ্র্যাংকের পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায়, তারা নৌবাহিনীতে ভালো পদ পেয়ে যায়।

নৌবাহিনীর কাছে তারা অনুরোধ করে তাদেরকে যেন একই জাহাজে অবস্থানের সুযোগ দেয়া হয়। যুদ্ধের সময়ে সাধারণত এমনটা করা হয় না, একসাথে একই পরিবারের সবাই মারা গেলে সেই কষ্টটা অনেকটাই ভারী হয়ে দেখা দেয়। তাও নৌবাহিনী তাদের অনুমতি দিল একসাথে যুদ্ধে অংশ নেয়ার।

১৪ই ফেব্রুয়ারী, ১৯৪২। জুন্যোতে পাঁচ ভাইয়ের একত্রে আরোহণের দিন। সেদিন থেকেই তাদের কর্তব্য শুরু। জাহাজে প্রথমদিন, পাঁচ ভাই একসাথে, এক ফটোগ্রাফার সেই দৃশ্যটা ক্যামেরাবন্দী করতেও ভুলেনি। নিয়মিত পত্র-পত্রিকায় তাদের ব্যাপারে লেখা হতে লাগলো, ওয়াটারলুতে যাদের ব্যাপারে এত বিচার, দুর্নাম ছিল, তারাই সেদিন এত বড় সাহসের পরিচয় দেখিয়েছে। এলাকার মানুষদের কাছে তাদের পরিচয় নতুন রূপ পেলো, “নৌবাহিনীর সেই পাঁচ সালিভান”

ডুবে যাওয়ার পূর্বমুহূর্তে জুন্যো কিছু জাপানীজ জাহাজকে তাড়া করছিলো, জুন্যো যখন ডুবে গেল, জাহাজগুলো এই সুযোগে দ্রুত নিরাপদ জোনে চলে যায়। কিন্তু আক্রমণকারী সাবমেরিনগুলো সেখানেই রয়ে যায়। সাবমেরিনগুলো সরে গেলে হয়তো জুন্যোর অনেককেই বাঁচানো সম্ভব হতো। ডুবে যাওয়ার আধঘন্টা পর আমেরিকান যুদ্ধবিমান বি-১৭ আসে সেখানে। প্রায় দু’শতাধিক সৈনিককে ভাসমান দেখা যাচ্ছিলো, তাদের অধিকাংশই প্রচন্ড আহত অবস্থায় জীবিত। বি-১৭ নিকটবর্তী যুদ্ধজাহাজ হেলেনা-র ক্যাপ্টেনকে বার্তা পাঠায়, কিন্তু হেলেনার ক্যাপ্টেন গিলবার্ট হোভার চাননি তার দলকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিতে, যেহেতু জাপানীজ সাবমেরিনগুলো তখনো সরে যায়নি। কি আর করা, বি-১৭ একাই সাহায্য করতে শুরু করে, খাবার পাঠাতে শুরু করে আহত সৈন্যদের কাছে। বেশ কিছুদিন এভাবেই কাটে, কিন্তু নৌবাহিনীর আর কোনো সাড়া শব্দ নেই। একে একে সৈন্যরা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে শুরু করে, কেউ রক্তক্ষরণে মারা যায়, কেউ ডিহাইড্রেশনে, তবে অধিকাংশের মৃত্যুই হয় হাঙ্গরের আক্রমণে।

জুন্যো ডুবেছিলো প্রশান্ত সাগরের দক্ষিণ অঞ্চলে। সেই অঞ্চলের কমান্ডার ছিলেন অ্যাডমিরাল উইলিয়াম এফ. হাসলি, ঘটনা যখন তার কাছে গড়ায়, সঙ্গে সঙ্গে তিনি হেলেনার ক্যাপ্টেন গিলবার্ট হোভারকে পদচ্যুত করেন। ঘটনাস্থলে সাহায্য পাঠানোর ব্যবস্থা করেন, ঘটনার প্রায় এক সপ্তাহ পর এই ব্যবস্থা নেয়া হয়। দশজনের মতো তখনো বেঁচে ছিল।

বেঁচে যাওয়া দশজনের থেকেই সালিভান ভাইদের সম্পর্কে কিছুটা জানা যায়। পাঁচভাইয়ের মাঝে এক-দুজনের মতো বেঁচে গিয়েছিল টর্পেডো আঘাতে।

১৯৪৩ সালে ১১ জানুয়ারী। নৌবাহিনীর লেফট্যানেন্ট কমান্ডার ট্রুম্যান জোনস, সকালে বেলাতেই এসে হাজির হন সালিভানদের বাসায়। সালিভান ভাইদের বাবা-মা আর অ্যালবার্টের স্ত্রীকে সামনে রেখে বলে যে, “নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে অতি দুঃখের সাথে জানাতে হচ্ছে যে, দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের যুদ্ধরত অবস্থায় আপনার ছেলে অ্যালবার্ট, ফ্রান্সিস, জর্জ, জোসেফ আর ম্যাডিসন সালিভানের মৃত্যু হয়েছে।”

অ্যালেটা সালিভান আরো একটা চিঠি পান। এবার লিখেন আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন ডি. রোজভেল্ট, “নৌবাহিনী এবং সেনাবাহিনীর প্রধান সেনাপতি হিসেবে, আমি আপনাকে বলতে চাই যে, পুরো রাষ্ট্র আজ আপনার দুঃখে আপনার পাশে রয়েছে। রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আপনার জন্য রইল অসংখ্য সহমর্মিতা। এই যুদ্ধকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে আমাদেরই, আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে যাতে করে তাদের মৃত্যু বৃথা না যায়।” নৌবাহিনী কর্তৃপক্ষ টম আর অ্যালেটা সালিভানকে স্বাগত জানায় ওয়াশিংটনে আসার জন্য, সেখানে তারা ফার্স্ট লেডি ইলিনর রোজভেল্ট আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি এ. ওয়ালেস-এর সাথে সাক্ষাৎ করেন।

প্রেসিডেন্ট রুজভেল্টের চিঠি হাতে সালিভানদের মা অ্যালেটা সালিভান। ছবিসূত্র: World War II (June, 2017)

সালিভান ভাইদের গল্প বলা শেষ, তবে আমার লেখা শেষ হয়নি। আরো কিছু কথা রয়েছে এই ঘটনার সাথে জড়িত, যেটা না বললেই নয়। আমি আগেও উল্লেখ করেছি, ঠিক কী কারণে জুন্যোর বেঁচে যাওয়া যোদ্ধাদের বাঁচানো সম্ভব হয়নি সেটা কিন্তু জনসাধারণকে জানানো হয়নি। উপরন্তু এই ব্যাপারে যেন কোনো প্রশ্ন না উঠে, তাই নৌবাহিনীর ভাইস অ্যাডমিরাল ক্লার্ক এইচ. ওডওয়ার্ড এক অদ্ভুত কিন্তু চৌকস চাল চাললেন।

ভাইস অ্যাডমিরাল সাহেব এক মিলনমেলার ব্যবস্থা করলেন পুরো দেশ জুড়ে। এর পরবর্তী চারমাস টম আর অ্যালেটা সালিভান আমেরিকার বিভিন্ন স্টেটে ঘুরে বেড়ালেন, যে সকল পরিবারের সদস্য যুদ্ধে নিহত হয়েছে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করলেন তারা। তাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করলেন দেশের প্রতিরক্ষার গুরুত্ব। প্রতিবারই তারা একই কথা আওড়ে গেলেন, “আমাদের কোনোরূপ আফসোস নেই এই ব্যাপারে যে, আমাদের সন্তানের নৌবাহিনী তে যোগদান করেছিল। তারা যদি এখনো বেঁচে থাকতো, আমি আবারো তাদের উৎসাহ দিতাম নৌবাহিনীতে যোগদানের। এটাই তাদেরকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। আমার এক নাতি রয়েছে; জিমি নাম ওর, বছর দুই হবে বয়স। সে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হবে, আমি তাকেও উৎসাহ দেব নৌবাহিনীতে যোগদানের। কেননা আমার সন্তানদের মৃত্যু বৃথা যায়নি।”

পুরো দেশব্যাপী ভ্রমণের সময়কালে। ছবিসূত্র: World War II (June, 2017)

নৌবাহিনীর স্বার্থ সিদ্ধি হল, কেউ আর জুন্যোর ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেনি। সেই সাথে টম আর অ্যালেটার কষ্টও কিছুটা লাঘব হল। অ্যালেটার সন্তান হারানোর কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হয়েছিল, নৌবাহিনীর আরেক যুদ্ধজাহাজের নামকরণের ভার দেয়া হয় অ্যালেটার উপর। অ্যালেটার সেটির নাম দেন, “USS The Sullivans”.

USS The Sullivans. ছবিসূত্র: World War II (June, 2017)

USS The Sullivans-এর নামকরণ অনুষ্ঠানে টম ও অ্যালেটা সালিভান। ছবিসূত্র: World War II (June, 2017)

এছাড়াও নৌবাহিনী টুয়েনটিথ সেঞ্চুরী ফক্সকে দিয়ে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সালিভান ভাইদের জুন্যোতে অবস্থানকে কেন্দ্র করে নির্মিত হয়েছিল চলচ্চিত্রটি, “দ্যা ফাইটিং সালিভান।”

The Fighting Sullivans-চলচ্চিত্রের পোস্টার। ছবিসূত্র: https://alchetron.com/The-Fighting-Sullivans-18673-W

সালিভান ভাইদের গল্প বলা শেষ। তাদের বীরত্বগাঁথাকে ভিত্তি করেই নির্মিত হয়েছিল মাস্টারপিস ‘সেভিং প্রাইভেট রাইয়ান’ নামের অসাধারণ এক চলচ্চিত্র। কারো যদি দেখা না হয়ে থাকে, তাহলে দেখে নিতে পারেন, আফসোস করবেন না কথা দিচ্ছি।

সবশেষে একটা কথা বলি, অ্যালবার্টের ছেলে বৃদ্ধ জিমি সালিভান কয়দিন পূর্বেই তার দাদা-দাদী টম আর অ্যালেটার কথা উল্লেখ করে বলেছিলেন, “আমার আসলে জানা নেই তারা কীভাবে সন্তানের মৃত্যুকে মেনে নিয়েছিলেন, আমি সত্যিই জানি না।”

ফিচার ইমেজঃ https://en.wikipedia.org/wiki/Sullivan_brothers

Related Articles