যেকোনো যুদ্ধে সৈন্য সংখ্যা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই গুরুত্বপূর্ণ হলো রণকৌশল। এ দুয়ের সম্মিলনই বিজয়ের দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে পারে একজন সেনানায়কের সামনে, একটি পুরো জাতির সামনে। চীনের যুদ্ধবিগ্রহের ইতিহাসে এমনই সাতটি অসাধারণ কাহিনী আজ শোনাবো আপনাদের যেখানে কেবল বুদ্ধির জোরই বিজয় এনে দিয়েছিলো কোণঠাসা বাহিনীর মুঠোয়!
দুই রমণীর নৃত্য
৬২৩ খ্রিষ্টাব্দের কথা। ট্যাং সাম্রাজ্যের দিকে পাহাড় থেকে ঝড়ের বেগে এগিয়ে আসছিলো তুয়ুহুন যাযাবর গোত্রের লোকেরা।
ট্যাং সাম্রাজ্যের জেনারেল চাই শাও নিজের দুরবস্থা উপলব্ধি করতে পারলেন। সৈন্য সংখ্যা, শক্তি-সামর্থ্য সবদিক থেকেই প্রতিপক্ষ ছিলো এগিয়ে। স্বাভাবিক নিয়মে যুদ্ধ করতে গেলে তা স্বেচ্ছায় নিজেদের পরাজয় ডেকে আনা ছাড়া আর কিছুই হতো না। তাই কৌশল খাটালেন চাই শাও।
যুদ্ধের ময়দানে নিজের সেনাবাহিনী পাঠানোর পরিবর্তে তিনি পাঠালেন অসাধারণ রুপবতী দুই রমণী ও একদল বাজনা বাদককে। সেখানে গিয়ে বাজনার তালে তালে মোহনীয় ভঙ্গিতে নাচতে থাকলো সেই নর্তকীরা।
দুই রমণীর নৃত্য
ক্রমাগত যুদ্ধের ভয়াবহতা দেখতে দেখতে হঠাৎ করে এমন আকর্ষণীয় নৃত্য দেখতে মোটেই প্রস্তুত ছিলো না আক্রমণকারী তুয়ুহুনরা। তারা মুগ্ধ দৃষ্টিতে সেই দৃশ্য উপভোগ করতে লাগলো।
ওদিকে চাই শাও-ও সেই নর্তকীদের পাঠিয়ে বসে ছিলেন না। নিজের সেনাবাহিনী নিয়ে পাহাড়-পর্বত পেরিয়ে তিনি সুবিধাজনক অবস্থানে পৌঁছে গেলেন। এরপর? এরপর ঝড়ের বেগে আক্রমণকারী তুয়ুহুনদের উপরই পেছন থেকে ঝাঁপিয়ে পড়লো চাই শাওয়ের নেতৃত্বাধীন ট্যাং সেনারা। এমন কিছুর জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলো না তারা। তাই অল্প সময়ের মাঝেই শেষ হয়ে যায় সেই তুয়ুহুন বাহিনী!
এভাবেই বছরের পর বছর ধরে চীনে ত্রাসের রাজত্ব কায়েমকারী তুয়ুহুনদের পতন ঘটেছিলো শুধুমাত্র দুই রমণীর মোহনীয় নৃত্যের কাছেই!
সুইসাইড স্কোয়াড
৪৯৬ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে সিংহাসনে বসেন য়ু রাজ্যের রাজা গৌজিয়ান। দায়িত্ব নেবার অল্প কিছুদিনের মাঝেই তার রাজ্যের দিকে ধেয়ে আসা শুরু করে শত্রুরা। কিন্তু দেশ কিংবা সেনাবাহিনী- কোনোটিই পরিচালনার পূর্বাভিজ্ঞতা ছিলো না গৌজিয়ানের। তিনি শুধু জানতেন অতর্কিত আক্রমণ আর ত্রাসের সঞ্চারের মাধ্যমেই শত্রুকে পরাজয়ের স্বাদ দেয়া সম্ভব। এ লক্ষ্যেই তিনি এমন এক কাজ করলেন যা ইতিহাসে আজও ভয়াবহ এক ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে।
রাজা গৌজিয়ান
যুদ্ধের আগে নিজের সবচেয়ে অনুগত সুইসাইড স্কোয়াডকে একেবারে সামনের সারিতে দাঁড় করালেন গৌজিয়ান। এরপর তাদেরকে কিছুটা এগিয়ে যেতে নির্দেশ দিলেন তিনি। শত্রু সেনাদের কাছাকাছি গিয়ে থেমে যায় গৌজিয়ানের সেই সুইসাইড স্কোয়াড। প্রতিপক্ষের সাথে একেবারে চোখাচোখি করে দাঁড়িয়ে ছিলো তারা। এরপর? এরপর তারা এমন এক কাজ করে বসলো যা তাদের প্রতিপক্ষ কোনোদিন দুঃস্বপ্নেও দেখে নি। গৌজিয়ানের সেই বাহিনী শত্রুর চোখে চোখ রেখেই এক এক করে নিজেদের গলা কেটে আত্মহত্যা করতে শুরু করলো!
গৌজিয়ানের বাহিনীর এহেন কাজকারবার দেখে একেবারেই আশ্চর্য হয়ে গেলো তার প্রতিপক্ষ, ভয়ের এক শীতল স্রোত যেন বয়ে গেলো তাদের মেরুদন্ড দিয়ে। ওদিকে গৌজিয়ানের অবশিষ্ট বাহিনী ততক্ষণে আক্রমণ শুরু করে দিয়েছে তাদের উপর। প্রতিপক্ষ তখন ভাবলো যে তারা বোধহয় একদল সোশিওপ্যাথের সাথে যুদ্ধ করতে এসেছে যারা তাদের নেতার নির্দেশে যেকোনো কিছু করতে পারে।
এরপরই একে একে ভেঙে পড়তে শুরু করে প্রতিপক্ষের প্রতিরোধ ও সৈন্য সমাবেশ। এভাবেই প্রতিপক্ষের মনে ত্রাসের সঞ্চার করে সেদিন জয়ের পাল্লাটা নিজের দিকে ঝুঁকিয়ে নিয়েছিলেন গৌজিয়ান।
চেংপুর যুদ্ধ
৬৩২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের কথা। চু বাহিনীর দিকে এগিয়ে আসছিলো জিন বাহিনী। তবে একটি জিনিস লক্ষ্য করে বেশ আশ্চর্য হয়ে যায় চু বাহিনীর সেনারা। তারা দেখে যে, জিন বাহিনীর প্রতিটি ঘোড়ার গাড়ির পেছনেই বাঁধা আছে গাছ।
কিছুক্ষণের মাঝেই যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যাপারটা নিয়ে আর ততটা মাথা ঘামালো না চু বাহিনী। যুদ্ধ শুরু হবার কিছুক্ষণ পর পিছু হটতে শুরু করে দেয় জিন বাহিনী। নিজেদের জয় নিশ্চিত ভেবে তাদের পিছনে ধাওয়া শুরু করে দেয় চু বাহিনী। আর এটাই ছিলো তাদের মস্ত বড় ভুল।
জিন বাহিনীর ঘোড়ার গাড়ির পেছনে থাকা গাছগুলো তখনো ছিলো। সেগুলো ধুলাবালুর উপর দিয়ে টেনেহিচড়ে নেয়া হচ্ছিলো বলে অল্প সময়ের মাঝেই ধুলার কারণে থমকে যেতে বাধ্য হয় ধাওয়াকারী চু বাহিনী।
চু বাহিনী জানতো না যে তারা জিন বাহিনীর কেবল একটা অংশই দেখেছে। আরেকটা অংশ তখনও তাদের সামনে আসেই নি! অদেখা সেই বাহিনী এই ধুলার সাগরে তাদের উপর পেছন থেকে চড়াও হয়। চু বাহিনী তাদের উপর চড়াও হলে এবার জিনদের পালিয়ে যাবার ভান ধরা সেই বাহিনী আবার তাদের উপর পাল্টা আক্রমণ করে বসে।
এভাবে সবদিক থেকে জিন বাহিনী কর্তৃক ঘেরাও হয়ে যাওয়া চু বাহিনী এরপর আর খুব বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারে নি।
জ্বলন্ত ষাঁড়
দীর্ঘ প্রায় পাঁচ বছর ধরে শত্রুদের হাতে অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলো চীনের শহর চি-মো। ২৭৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে চি-মোর সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পান তিয়েন তান। তার বাহিনীতে সৈন্য সংখ্যা ছিলো মোটে ৭,০০০ এর মতো। অপরদিকে প্রতিপক্ষের ছিলো প্রায় ১,০০,০০০ এর মতো সেনা। তাই সবদিক থেকেই বেশ খারাপ অবস্থায় ছিলো তিয়েন তানের বাহিনী।
শত্রুর হাত থেকে মুক্তি পেতে এক অভিনব পরিকল্পনা করলেন তিয়েন তান। প্রথমেই প্রায় ১,০০০ ষাঁড় জোগাড় করলেন তিনি। এরপর তাদের গায়ে লাল কাপড় ও শিংয়ে ব্লেড লাগানো হলো। এরপর ঘর ছাওয়ার কাজে ব্যবহৃত নলখাগড়ার শুষ্ক কাণ্ড চর্বিতে ডুবিয়ে সেগুলো সেই ষাঁড়গুলোর লেজে বেঁধে দেয়া হলো। মাঝরাতে সেই শুষ্ক কান্ডগুলোয় আগুন ধরিয়ে ছেড়ে দেয়া হলো ষাঁড়গুলোকে।
এই ষাঁড় কি জানে তার পূর্বপুরুষের যুদ্ধজয়ের কাহিনী?
ওদিকে নগরবাসী মাঝরাতে যুদ্ধের দামামা বাজাতে বসে গেলো। রাতের বেলায় এমন বাজনা শুনে ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে অবস্থা খারাপ হবার দশা হলো শত্রুপক্ষের। কারণ তাদের দিকে তখন ছুটে আসছিলো ১,০০০ জ্বলন্ত ষাঁড়!
ওদিকে তিয়েন তানের নেতৃত্বাধীন চি-মো বাহিনীও তাদেরকে ঘিরে ফেলছিলো আস্তে আস্তে। একদিকে ঘুম থেকে উঠে এমন যুদ্ধের দামামা, তারপর হঠাৎ করে জ্বলন্ত ষাঁড়ের আক্রমণ, আবার সেই সাথে তিয়েন তানের পরিকল্পিত আক্রমণ! এত আক্রমণ আর সামলে উঠতে পারে নি শত্রুরা। তাই রণক্ষেত্র ছেড়ে পালিয়েই জীবন বাঁচিয়েছিলো শত্রুরা।
উই নদীর বাধ
সময়টা তখন ২০৪ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হান জিন বয়সে যেমন ছিলেন তরুণ, তেমনই অভিজ্ঞতাও ছিলো তার যৎসামান্য। ওদিকে প্রতিপক্ষ লং জু’র ছিলো যুদ্ধ সম্পর্কে বিস্তর জানাশোনা। হান জিনকে সহজেই হারানোর ব্যাপারে মারাত্মক আত্মবিশ্বাসী ছিলেন লং জু। আর এই অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসকেই তার সবচেয়ে বড় দুর্বলতায় পরিণত করতে সক্ষম হয়েছিলেন তরুণ হান জিন। সেই গল্পই এখন শোনাচ্ছি।
হান জিন ও লং জু’র বাহিনীর মাঝখানে প্রতিবন্ধকতা হিসেবে ছিলো উই নদী। উভয় পক্ষই অপর পক্ষের নদী পেরোনোর জন্য অপেক্ষা করছিলো। অবশেষে হান জিন নিজের বাহিনীর কিছু লোক পাঠিয়ে বালুর বস্তা দিয়ে নদীতে বাধ নির্মাণ করেন।
এরপরই লং জু’র বাহিনীর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হান জিনের বাহিনী। তবে যুদ্ধ শুরুর অল্প সময়ের মাঝেই পিছু হটার ভান করে হান জিনের বাহিনী। এখানেই আসলে লুকিয়ে ছিলো তরুণ হান জিনের মূল কৌশল, তবে সেটা ধরতে পারেননি অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী লং জু। হান জিনের বাহিনীকে কাপুরুষ ভেবে তিনি তাদের পেছনে নিজ বাহিনী নিয়ে ধাওয়া করা শুরু করেন।
ওদিকে নদীর অপর পাড়ে পৌঁছেই হান জিন তার চাল চেলে দেন। ভেঙে দেয়া হয় বাধ। স্রোতের তোড়ে ভেসে যায় লং জু’র সেনাদের একটি অংশ, আরেক অংশ আটকা পড়ে যায় নদীর অপর পাড়ে।
লং জু’র দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। কারণ স্বল্প সংখ্যক সৈন্য নিয়ে তিনি আটকা পড়ে গিয়েছিলেন হান জিন যে পাড়ে আছেন সেখানেই। ফলে কিছুক্ষণের মাঝেই তলোয়ারের আঘাতে বেরিয়ে যায় তার প্রাণপাখি।
ঈর্ষান্বিত স্ত্রী
প্রতিটি যুদ্ধেই জিয়ংনু বাহিনীর কাছে কচুকাটা হতে হচ্ছিলো হান সাম্রাজ্যকে। এভাবে একসময় আসলো ১৯৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ। হান সম্রাট পিছু হটে আশ্রয় নিলেন পিংচেং শহরে। তবে সেখানেও তার পিছু পিছু এলো জিয়ংনু বাহিনী। এসেই শহরের সাথে বাইরের দুনিয়ার যোগাযোগের সমস্ত রাস্তা বন্ধ করে দিলেন তারা। ফলে পিংচেং শহরের অধিবাসীরা অনাহারে-অর্ধাহারে দিনাতিপাত করতে লাগলো।
ওদিকে শহরের ভেতরে রাজা তার ঘনিষ্ঠজনদের সাথে নিয়মিতই এ থেকে পরিত্রাণের পথ খুঁজতে আলোচনা চালাচ্ছিলেন। এমন সময় অদ্ভুত এক আইডিয়া দেন রাজার পরামর্শক চেন পিং। তার সেই পরামর্শ রাজাকে যুদ্ধক্ষেত্রের জয় এনে না দিলেও শত্রুর অবরোধের হাত থেকে মুক্তির আলো দেখাচ্ছিলো।
এ লক্ষ্যে চেন পিং এক চিত্রকরকে ডেকে আনালেন। তারপর সেই চিত্রকরকে দিয়ে তার সামর্থ্যের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে অসাধারণ সুন্দর এক নারীর ছবি আঁকিয়ে নিলেন তিনি। এরপর সেই ছবি তিনি পাঠিয়ে দিলেন জিয়ংনু বাহিনীর কমান্ডারের স্ত্রীর কাছে। এর সাথে ছিলো একটি নোট। এতে লেখা ছিলো- “আমার সম্রাট আপনার স্বামীর নিকট আত্মসমর্পন করতে ইচ্ছুক। এজন্য উপহার হিসেবে তিনি চীনের অন্যতম সুন্দরী এ রমণীকে তার উপপত্নী হিসেবে দিতে চান।”
ভালোবাসার আবার ভাগাভাগি হয় নাকি? ছবির সুন্দরী সেই নারীকে দেখে ঈর্ষায় জ্বলেপুড়ে গেলো কমান্ডারের স্ত্রীর মন। রাগে নোটটি ছিঁড়ে ফেললেন তিনি। এরপরই ছুটে গেলেন কমান্ডারের কাছে, দাবি জানালেন যত দ্রুত সম্ভব এ অবরোধ তুলে বাড়ি ফিরে যাওয়ার!
অবশেষে স্ত্রীর দাবির কাছে মাথা নত করে পরদিন সকালেই অবরোধ তুলে নিয়ে চলে যেতে দেখা যায় জিয়ংনু বাহিনীকে!
খড়কুটোর তীর
এবার চলে যাওয়া যাক ৭৫৫ খ্রিষ্টাব্দের সময়কালে। য়িন জিকির নেতৃত্বাধীন বাহিনী ছুটে চললো ট্যাং সাম্রাজ্যে আক্রমণ করতে। সুদক্ষ ও কৌশলী এ সেনানায়ককে বেশ শ্রদ্ধা করতো তার সেনাবাহিনী। এ তথ্যটি জানা ছিলো ট্যাং বাহিনীরও। তাদের জেনারেল ঝ্যাং জুন বুঝতে পেরেছিলেন যে, শুধুমাত্র যদি য়িন জিকিকে হত্যা করা যায়, তাহলেই শত্রু বাহিনীর মনোবলে চিড় ধরিয়ে দেয়া সম্ভব।
ঝ্যাং জুন
তবে সমস্যা বাধলো অন্য জায়গায়। য়িন জিকি দেখতে কেমন সেটাই জানতেন না ঝ্যাং জুন। তাই বিচিত্র এক ফাঁদ পাতলেন তিনি। প্রথমেই তিনি তার তীরন্দাজ বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন নিজেদের আসল তীরের পরিবর্তে খড়কুটো দিয়ে বানানো তীর ব্যবহার করতে। জেনারেলের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করলো তীরন্দাজরা।
য়িন জিকির বাহিনী এসে যখন দেখলো যে, তাদের দিকে খড়কুটোর তৈরি তীর ছুটে আসছে, তখন তারা বুঝতে পারলো যে অস্ত্রভান্ডার ফুরিয়ে এসেছে প্রতিপক্ষের। তারা এই খবর জানাতে ছুটে গেলো য়িন জিকির কাছে। আর এভাবেই য়িন জিকিকে দূর থেকে চিনে নিলেন ঝ্যাং জুন!
য়িন জিকি শত্রুকে দুর্বল মনে করে সামনে এগোনো অব্যাহত রাখলেন। ওদিকে ঝ্যাং জুন তার বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন প্রতিটি তীর য়িন জিকির দিকে নিক্ষেপ করতে! এবার আসল তীর হাতে তুলে নেয় ট্যাং বাহিনী। অল্প সময়ের মাঝেই একটি তীর য়িন জিকির চোখ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। নিজেদের নেতার এমন মৃত্যুতে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়ে য়িন জিকির বাহিনী। কিছুক্ষণ পরেই যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালাতে দেখা যায় তাদের।
This article is in Bangla language. It discusses about 7 ancient tales of win of China.
References:
1. China at War: An Encyclopedia: An Encyclopedia
2. The Hutchinson Dictionary of Ancient and Medieval Warfare
3. 36 Stratagems for Investors: Timeless Financial Wisdom from a Chinese Classic
4. chinaknowledge.de/History/Zhou/rulers-yue.html
5. Military Culture in Imperial China
Featured Image: zen.yandex.ru