Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মিত্র বাহিনীর যেসব নিষ্ঠুরতার কথা জানে না অনেকেই

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাস নির্ভর কোনো বই পড়তে গেলে কিংবা কোনো সিনেমা-ডকুমেন্টরি দেখতে গেলে সবসময় একটা চিত্র দেখা যায়। অক্ষ শক্তির নেতৃত্বে থাকা জার্মানি, ইতালি ও জাপানের কারণে নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে দুনিয়ায়, কষ্টে আছে সাধারণ জনগণ। এরপরই অত্যাধুনিক নানা কৌশল নিয়ে, নিজেদের জীবন বাজি রেখে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে সোভিয়েত ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যের মতো আরো দেশ নিয়ে গঠিত মিত্র বাহিনী।

শেষপর্যন্ত বিজয় যে মিত্র বাহিনীরই হয়েছিলো, তা তো আজ সবারই জানা। কিন্তু বইপত্রে, সিনেমায় তাদেরকে যেভাবে মানবজাতির উদ্ধারকারী, খুব ভালো এক চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করা হয়, তা কি আসলেই ততটা ভালো ছিলো? অবশ্যই না!

বলা হয়ে থাকে, যুদ্ধ আমাদের মনের ভেতরে বাস করা সুপ্ত পশুর সবচেয়ে কদর্য রুপকে প্রকাশিত করে দেয়। এ কদর্য রুপ যেমন অক্ষ শক্তির দেশগুলো প্রকাশ করেছিলো, তেমনি পিছিয়ে ছিলো না মিত্র বাহিনীর দেশগুলোও। পার্থক্য হলো, আজকের ইতিহাস আমাদের কেবল অক্ষ শক্তির নির্মমতার কাহিনীগুলোই শোনায়, মিত্র বাহিনীর না। আজ তাই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর কিছু নৃশংসতার ইতিহাস তুলে ধরা হলো এ লেখার মাধ্যমে, যা হয়তো অনেকের কাছেই অজানা।

১) জাপানে সাধারণ জনগণের উপর লাগাতার বোমাবর্ষণ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কথা উঠলে প্রথমেই অল্প যে ক’টি ঘটনার কথা সকলের মনে আসে, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পারমাণবিক বোমা হামলা সেগুলোর মাঝে শীর্ষস্থানীয়। এর পেছনে আমেরিকান সরকারের যুক্তি ছিলো, কোনোভাবেই আত্মসমর্পণে রাজি না হওয়া জাপানীদের বশে আনতে এর বিকল্প কোনো পথ খোলা ছিলো না তাদের সামনে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে স্থলভাগে বেশ দীর্ঘকালীন যুদ্ধ ও ভবিষ্যতে অগণিত জানমালের ক্ষতি হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলো বিশ্ব- এমনটাই বলে থাকেন আমেরিকার হর্তাকর্তারা।

পারমাণবিক এই বোমা হামলার অনেক আগে থেকেই নিয়মিতভাবে বিভিন্ন যুদ্ধবিমান থেকে জাপানে বোমাবর্ষণ করে যাচ্ছিলো আমেরিকা। অগণিত সাধারণ মানুষের মৃত্যুর মধ্য দিয়ে শত্রুকে হতোদ্যম করে তোলাটাই ছিলো এই বোমাবর্ষণের মূল কারণ। এসব হামলার পেছনের কারিগর ছিলেন জেনারেল কার্টিস লিমে। জাপানের সাধারণ জনগণকে এভাবে মেরে ফেলার মতো বিষয়গুলো তার মনে বিন্দুমাত্র দাগ কাটে নি। বরং তিনি মনে করতেন, পুরোপুরিভাবে নিশ্চিহ্ন হওয়ার আগপর্যন্ত বুঝি জাপানীরা কোনোভাবেই মাথা নত করবে না। এজন্যই নিয়মিত বোমা হামলার বাইরে তিনি জাপানের বড় শহরগুলোতে আরো ব্যাপক মাত্রায় হামলা চালানোর পরিকল্পনা করলেন।

Source: abc.net.au

১৯৪৫ সালের ৯ মার্চ, জেনারেল লিমের নির্দেশে জাপানের দিকে উড়ে গেলো যুক্তরাষ্ট্রের বোমারু বিমানের বহর, উদ্দেশ্য টোকিওতে হামলা চালানো। তবে সেদিনের বোমা হামলাটি ছিলো অন্যান্য যেকোনো দিনের চেয়ে আলাদা। সেদিন নিক্ষেপ করা হয়েছিলো নাপাল্ম সিলিন্ডার ও পেট্রোলিয়াম জেলী। প্রায় চল্লিশ বর্গ কিলোমিটার পরিমাণ জায়গা জ্বলে-পুড়ে ছাড়খার হয়ে গিয়েছিলো সেদিন। পুড়ে যাওয়া মানুষগুলো একজনের উপর আরেকজন পড়ে ছিলো, সে এক ভয়াবহ দৃশ্য। আনুমানিক এক লক্ষ সাধারণ জাপানী নাগরিক সেদিন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নীতি নির্ধারকদের সিদ্ধান্তের জন্য প্রাণ হারিয়েছিলো।

২) সোভিয়েত সেনাবাহিনী কর্তৃক গণধর্ষণ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মিত্র বাহিনীর সদস্য হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের ভূমিকা ছিলো উল্লেখযোগ্য। অ্যাডলফ হিটলারের নাৎসি বাহিনীকে সফলতার সাথে মোকাবেলা করা এবং পাশাপাশি তাদের অগ্রযাত্রা ঠেকিয়ে বিভিন্ন এলাকা জার্মানদের দখলমুক্ত করে গর্জন করতে করতেই এগোচ্ছিলো দেশটির সেনাবাহিনী। তবে সমস্যা বাধলো অন্য জায়গায়। ক্রমাগত এই যুদ্ধবিগ্রহ আর রক্তপাত দেশটির সেনাদের মানবিকতাবোধ ধীরে ধীরে লোপ পাইয়ে দিচ্ছিলো। পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রীর সাথে না থাকতে পারার মতো বিষয়টিও তাদেরকে বেশ হতাশ করে তুলেছিলো। এ হতাশা কাটাতে তাদের কেউ কেউ বিজিত এলাকায় লুটতরাজের সাথে জড়িয়ে পড়ছিলো। সবচেয়ে ঘৃণ্য ব্যাপার হলো, তারা গণহারে ধর্ষণ করছিলো শত্রুপক্ষের নারীদের। উপরমহল থেকেও এমন ন্যাক্কারজনক কাজকে সমর্থন করা হচ্ছিলো এই যুক্তিতে যে, এভাবে ধর্ষণ চালিয়ে গেলে শত্রুপক্ষের মনোবল আস্তে আস্তে দুর্বল হতে বাধ্য।

Source: Wikimedia Commons

নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে ইউরোপকে মুক্ত করে তারা আসলে অনেক বড় কিছু করে ফেলেছে, এজন্য তারা যা খুশি সেটাই করতে পারে- এমন মনোভাব সোভিয়েত সেনাদেরকে এসব কাজে আরো প্ররোচিত করছিলো। তাদের হাতে ধর্ষিত নারীদের তালিকায় শুধু জার্মান নারীরাই ছিলো না। পোল্যান্ডেও বিভিন্ন ক্যাম্প দখলমুক্ত করার পর সেখানকার নারীদের উপর নিজেদের পশুবৃত্তিকে চরিতার্থ করছিলো তারা।

৩) মার্কিন সেনারা যখন সংগ্রহ করছিলো জাপানীদের খুলি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যুদ্ধবন্দীদের সাথে জাপানীরা কতটা নিষ্ঠুরতা প্রদর্শন করেছিলো, সেই ইতিহাস কম-বেশি অনেকেরই জানা। এর সবচেয়ে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে ইউনিট ৭৩১। সেখানে বন্দী মানুষগুলোর উপর জাপানী সেনাদের অত্যাচারের বর্ণনা শুনলে অবাক হয়ে যেতে হয়।

একজন রোগাক্রান্ত বন্দীকে আরেকজন নিরোগ বন্দীর সংস্পর্শে রেখে দেখা হতো রোগ কতটা দ্রুত ছড়াতে পারে। নারী বন্দীদেরকে সেখানকার প্রহরীরা রুটিনমাফিক ধর্ষণ করতো। ওদিকে চিকিৎসকেরা গ্যাস চেম্বার, খাবার, পানীয় ইত্যাদির মাধ্যমে বন্দীদের মাঝে নানা রোগের জীবাণু ছড়িয়ে দিতো। তাদের কোনো অঙ্গ কেটে দেয়া হতো রক্তক্ষরণ নিয়ে গবেষণার জন্য। প্রথম ডিভিশনে বিউবোনিক প্লেগ, কলেরা, অ্যানথ্রাক্স, টাইফয়েড, যক্ষার মতো ব্যাকটেরিয়াঘটিত রোগ নিয়ে গবেষণা করা হতো। রোগগুলোর জীবাণু আগে এই বন্দীদের দেহেই প্রবেশ করানো হতো। যৌনরোগ নিয়ে গবেষণার জন্য বন্দী নারী-পুরুষদের বন্দুকের মুখে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করা হতো। পাশাপাশি ফ্রস্টবাইট, নতুন নতুন অস্ত্র আর বিষ্ফোরকের পরীক্ষাও করা হতো বন্দীদের উপর।

Source: Pinterest

সবসময় কেবল জাপান কিংবা জার্মানীতে যুদ্ধবন্দীদের সাথে খারাপ আচরণের কথা উঠে আসলেও মার্কিন সেনারাও কিন্তু কম যায় নি। হয়তো তাদের নিষ্ঠুরতার মাত্রা অক্ষ শক্তির দেশগুলোর মতো হয় নি, তবে তাদের কাজগুলো সম্পর্কে জানলে সেটাকেও কম নৃশংস বলে মনে হবে না।

জাপানী যুদ্ধবন্দীদের মৃতদেহ ছিলো মার্কিন সেনাদের খেলার সামগ্রী। মৃতদেহগুলোকে বিকৃত করে এক অদ্ভুত আনন্দ পেত তারা, পাশাপাশি মৃতদেহ থেকে বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে নিতো ট্রফি হিসেবে। এরপর আরো একধাপ এগিয়ে অনেকে আবার সেই কাটা অংশ পাঠিয়ে দিতো জাপানে, খোদ দুর্ভাগা মানুষটির বাড়িতেই! তাদের সবচেয়ে প্রিয় অংশ ছিলো কান, কারণ সেটা সহজেই কাটা যায়।

সবচেয়ে নিন্দনীয় ছিলো খুলি নিয়ে মজা করার বিষয়টি, যেমনটা এ ছবিতে দেখা যাচ্ছে। এ উদ্দেশ্যে তারা দুটি পথ অবলম্বন করতো- হয় খুলিকে সিদ্ধ করে চামড়া-মাংস ছাড়িয়ে নিতো, নাহয় সেটাকে ফেলে রাখতো কিছুদিন, যাতে করে পোকামাকড় খেয়ে মাংস থেকে হাড়কে আলাদা করে ফেলে।

৪) সোভিয়েত ভিন্ন মতাবলম্বীদের দুর্দশা

১৯৪৫ সালের কথা। সেই বছরের ৪-১১ ফেব্রুয়ারি সোভিয়েত ইউনিয়নের লিভ্যাডিয়া প্যালেসে অনুষ্ঠিত হয় ইয়াল্টা কনফারেন্স, যা ক্রিমিয়া কনফারেন্স নামেও অনেকের কাছে পরিচিত। যুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ইউরোপের নানা বিষয় কীভাবে পরিচালিত হবে, সে সম্পর্কে আলোচনা করাই ছিলো এ কনফারেন্সের মূল উদ্দেশ্য। এখানে গৃহিত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের মাঝে একটি ছিলো যুদ্ধ শেষে এক মিত্র দেশে আটকা পড়া কিংবা বন্দী থাকা অপর মিত্র দেশের অধিবাসীদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

Source: Wikimedia Commons

যুদ্ধ শেষে দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে লাখ লাখ ভিন্ন মতাবলম্বী সোভিয়েত নাগরিক রয়েছে, যারা স্বদেশে ফিরে যেতে অনিচ্ছুক। শুরুতে তাদেরকে ফেরত পাঠাতে ধরপাকড়ের আশ্রয় নিয়েছিলো মার্কিন কর্তৃপক্ষ। তখন কেউ কেউ আত্মহত্যার পথ পর্যন্ত বেছে নেয়। এমন পরিস্থিতি এড়াতে এবার ছলনার আশ্রয় নেয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। তারা লোকগুলোকে জানাতে থাকে, তাদেরকে অন্য আরেক জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। এভাবে মিথ্যা বলে তাদেরকে আসলে সোভিয়েত ইউনিয়নেই ফেরত পাঠানো হয়েছিলো।

ভিন্ন মতাবলম্বীদের শেষ পরিণতি হয়েছিলো বেশ মর্মান্তিক। দেশ ত্যাগ সহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে তাদের অনেকের মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। বাকিদেরকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বিভিন্ন লেবার ক্যাম্পে, যেখানে আমৃত্যু কাজ করে যেতে হয়েছে মানুষগুলোকে।

৫) জার্মানির নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর দুর্ভাগ্য

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর পাল্টে গিয়েছিলো বিশ্বের অনেক সমীকরণই। তেমনই এক সমীকরণের অংশ ছিলো জার্মানির বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠীর সদস্যরা। মিত্র বাহিনীর দেশগুলো সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইউরোপের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এ মানুষগুলোকে জার্মানিতে পাঠাতে হবে, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে দরকারে আঙুল বাঁকা করে হলেও এমনটা করার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলো তারা। সমস্যা হলো, এসব মানুষের সংখ্যা কয়েক হাজার কিংবা কয়েক লাখ ছিলো না। প্রায় এক থেকে দেড় কোটি জার্মান নৃতাত্ত্বিক জনগণ বাস করতো মিত্র বাহিনীর বিভিন্ন সদস্য দেশগুলোতে। তাদের অনেকের জন্মও হয়েছিলো সেখানেই।

Source: Hoover Institution Archives

পাশ্চাত্যের অনেক বইয়েই এদের ব্যাপারে উল্লেখ নেই। বাধ্যতামূলক এ অভিবাসনের সময় প্রাণ হারায় প্রায় পাঁচ লাখের মতো মানুষ। জার্মানিতে গিয়ে তাদের দুর্ভাগ্য যেন নতুন মাত্রা পেলো। থাকার জায়গার অভাবে তাদের ঠাই মিললো বিভিন্ন পরিত্যক্ত কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে, তাদেরকে লাগানো হতে থাকলো বিভিন্ন শ্রমসাধ্য কাজকর্মে। বিপুল এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশ ছিল নারী, বৃদ্ধ ও কিশোর-কিশোরী, যুদ্ধে অংশ নেয়া যাদের পক্ষে সম্ভব ছিলো না। এভাবেই মিত্র বাহিনীর আক্রোশের শিকার হয়েছিলো অগণিত নিরপরাধ মানুষ।

৬) স্টালিনের জ্বালাও-পোড়াও নীতি

যদি শত্রুপক্ষ কোনো এলাকা দখল করে নিতে যেত, তাহলে নাৎসি বাহিনী সেই এলাকার সকল খাদ্যশস্যে আগুন লাগিয়ে দিতো, যত পারতো স্থাপনা ধ্বংস করতো এবং ক্ষতি করতো সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থার। এর পেছনে তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিলো যেন প্রতিপক্ষ আর এগোতে না পারে। তবে হিটলারের এমন নীতি পছন্দ হয় নি নাৎসি বাহিনীর অনেক কর্মকর্তারই। সেজন্য তাদের অনেকেই এর প্রতিবাদ করেছিলেন। তাদের যুক্তি ছিলো, ভবিষ্যতে হয়তো এ স্থানটি তারা আবার দখল করতেও পারেন, তখন জায়গাটিতে ধ্বংসের পরিমাণ কম হলে সংস্কার কাজ সহজ হবে।

এমন ধ্বংসাত্মক মানসিকতা কেবল নাৎসি বাহিনীর মাঝেই ছিলো- এমনটা ভাবলে আপনি ভুল করবেন। কারণ মিত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতা জোসেফ স্টালিনও একই নীতি অনুসরণ করতেন। সেনাবাহিনীর উপর তার কঠোর নিয়ন্ত্রণ ছিলো। ফলে তার নির্দেশ অমান্য করার দুঃসাহস সৈন্যরা দেখাতো না। কেবলমাত্র উচ্ছেদকরণের জন্যই সোভিয়েতদের আলাদা একটি ব্যাটালিয়ন ছিলো। জার্মানদের বিভিন্ন স্থাপনা ধ্বংস করা, ফসল নষ্ট করা, শহর জ্বালিয়ে দেয়ার মতো কাজই ছিলো তাদের মূল উদ্দেশ্য।

Source: Favobooks

স্টালিনের এ নীতির অন্যতম বড় শিকার হয়েছিলো ইউক্রেন। সেখানে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলো জার্মানি ও সোভিয়েত ইউনিয়ন। উভয়পক্ষই চেয়েছিলো জ্বালাও-পোড়াও নীতির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের অগ্রযাত্রাকে যেভাবেই হোক থামাতে। এজন্য তারা যেন প্রতিযোগিতা দিয়ে নেমেছিলো বিভিন্ন স্থাপনা আর খাদ্যশস্য ধ্বংসে। যুদ্ধ শেষে দেখা যায়, ইউক্রেনের স্থাপনার এক বিরাট অংশই মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ফিচার ইমেজ- Pinterst

Related Articles