Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

অ্যাডলফ হিটলার যখন মনোনীত হয়েছিলেন নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য!

আলফ্রেড নোবেল, আমাদের সবারই বেশ পরিচিত একটি নাম। তার নামে মোট ৩৫৫টি ভিন্ন ভিন্ন পেটেন্ট থাকলেও মানবজাতি তাকে মনে রেখেছে মূলত দুটি বিষয়ের জন্য- ডিনামাইট ও নোবেল পুরস্কার। এ দুয়ের মাঝে শেষোক্তটির জন্য মানুষ তাকে এখন সবচেয়ে বেশি স্মরণ করে। তবে অদ্ভুত ব্যাপার হলো, ডিনামাইটের মতো বিষ্ফোরকের উদ্ভাবন না হলে আসলে নোবেল পুরস্কারও আসতো না!

আলফ্রেড নোবেল; Source: medium.com

নোবেল যে কেবলমাত্র ডিনামাইট উদ্ভাবন করেই বিষ্ফোরকের জগত থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন, সে কথা মোটেও বলা যাবে না। পরবর্তীতে তিনি আবিষ্কার করেছিলেন গ্যালিগনাইট নামক আরো একটি বিষ্ফোরক যার বিধ্বংসী ক্ষমতা ছিলো ডিনামাইটের চেয়েও বেশি। বুলেট ও কামানের শেলে ব্যবহারের জন্য ব্যালিস্টিট নামক একপ্রকার প্রোপ্যালেন্টও তৈরি করেছিলেন তিনি।

অস্ত্রের এ ব্যবসা থেকে ভালোই অর্থ পকেটে আসছিলো আলফ্রেড নোবেলের। তবু তার মনের ভেতর খচখচ করতো সবসময়। কারণ তার আবিষ্কার তো আসলে কাজে আসছে যুদ্ধবাজ রাষ্ট্রনেতাদের জন্য, মরছে সাধারণ মানুষ। এমন চিন্তা তাকে সবসময়ই অস্থিরতার মাঝে রাখতো। এরই মাঝে ঘটে যায় আরেকটি ঘটনা যা তার জীবনের গতিপথ একেবারেই পাল্টে দিলো। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মে একসময় পরপারে পাড়ি জমান নোবেলের ভাই। এক পত্রিকা এ খবর ছাপতে গিয়ে ভুলক্রমে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যু সংবাদই ছেপে বসে, শিরোনাম দেয়- ‘মৃত্যু ব্যবসায়ীর মৃত্যু!’।

এ শিরোনাম পড়ে জীবনের খুব নির্মম এক সত্যের মুখোমুখি হলেন তিনি, বুঝতে পারলেন অঢেল ধন-দৌলত থাকলেও জনগণ আসলে তাকে মনে-প্রাণে ঘৃণা করে। কিন্তু মৃত্যুর পর মানুষের মনে ঘৃণার পাত্র হয়ে থাকতে চাইলেন না নোবেল। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন এমন কিছু করার যাতে করে সবাই ভালো কাজের জন্যই তাকে মনে রাখে, তার ভালো কাজের মাত্রা যেন ছাড়িয়ে যায় বিষ্ফোরকের ভয়াবহতাকে।

এ চিন্তা থেকেই নিজের বিশাল সম্পত্তির চুরানব্বই শতাংশ দান করে দিলেন তিনি, উদ্দেশ্য ‘নোবেল পুরস্কার’ নামক এক বিশেষ পুরস্কারের প্রচলন করা। পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, সাহিত্য ও শান্তি- এ পাঁচটি ক্ষেত্রকে তিনি নির্দিষ্ট করে যান পুরষ্কার প্রদানের জন্য। বিগত দিনগুলোতে এসব বিভাগে যাদের কাজ মানবজাতির উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে, শুধুমাত্র তাদেরকেই এ পুরস্কার প্রদানের কথা বলে যান তিনি। ১৮৯৬ সালে মারা যান আলফ্রেড নোবেল। এর পাঁচ বছর পর থেকে এখন পর্যন্ত নিয়মিতভাবেই দেয়া হয়ে আসছে এ পুরষ্কারটি। বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে একে আখ্যায়িত করলেও অত্যুক্তি হবে না।

মানুষজন আজকে ডিনামাইটের উদ্ভাবক হিসেবে আলফ্রেড নোবেলের নাম জানলেও এর থেকে বেশি গুরুত্ব দেয় তার চালু করা নোবেল পুরস্কারের প্রতি। ফলে মানবজাতির প্রতি নিজের ধ্বংসাত্মক ভূমিকা ঢাকতে নোবেল যে অনেকাংশেই সফল হয়েছেন, তা বোধহয় নির্দ্বিধায় বলা যায়।

নোবেল পুরস্কার; Source: Business Insider

নোবেল শান্তি পুরস্কার ঠিক কারা পাবে এ ব্যাপারেও পুরোপুরি দিকনির্দেশনা রেখে গিয়েছিলেন নোবেল। যারা বিশ্বের বিভিন্ন জাতির মাঝে ভ্রাতৃত্ব রক্ষায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, কোনো জায়গায় যুদ্ধ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে কিংবা বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করছে, শুধুমাত্র তাদেরকেই এ শান্তি পুরস্কার দেয়ার কথা বলেছিলেন নোবেল।

১৯৩৫ সালে জার্মান শান্তিবাদী কার্ল ভন অসিয়েৎয্‌কি জিতে নেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার। আর গন্ডগোলটা বাধে এখানেই। কারণ হিটলারের সরকার অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে পুনরায় যুদ্ধায়োজন করছিলো। এই সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস করে দেয়াতেই মূলত পুরস্কার জোটে অসিয়েৎয্‌কির কপালে।  প্রকৃতপক্ষে জার্মানির এ পুনরায় যুদ্ধায়োজন ছিলো ভার্সাই চুক্তিবিরোধী, যা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পরপরই জার্মানি ও অন্যান্য মিত্রশক্তির মাঝে স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির নানা দিকের মাঝে একটি ছিলো জার্মানির সেনাসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক। কিন্তু অসিয়েৎয্‌কি যখন হিটলারের নেতৃত্বাধীন সরকারের পুনরায় যুদ্ধায়োজনের খবরটি ফাঁস করে দিলেন, তখন জানা যায় ভার্সাই চুক্তি স্বাক্ষরের অল্প কিছুদিনের মাঝেই পুনরায় সৈন্য সমাবেশ শুরু করে দিয়েছিলো জার্মানি।

কার্ল ভন অসিয়েৎয্‌কি; Source: Wikimedia Commons

১৯৩৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হবার পর ১৯৩৬ সালে অসিয়েৎয্‌কি এ পুরস্কারটি লাভ করেন। তবে কেউ যদি ভেবে থাকেন ১৯৩৫ সালেই অসিয়েৎয্‌কি এ খবরটি ফাঁস করেছিলেন, তবে তিনি ভুল করছেন। অসিয়েৎয্‌কি এ কাজটি করেছিলেন ১৯৩১ সালে। পরবর্তীতে দেশদ্রোহীতা ও গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ তুলে সে বছরই কারাগারে প্রেরণ করা হয় তাকে। পরের কয়েক বছর বিভিন্ন জেল আর পুলিশি জেরার মুখোমুখি হয়ে পার করে দেন তিনি। অবশেষে যক্ষ্মাক্রান্ত হয়ে ১৯৩৮ সালে মৃত্যুর মধ্য দিয়েই মুক্তি মেলে তার। অসিয়েৎয্‌কির এ পুরস্কার জেতার ব্যাপারটি নোবেল মনোনয়ন কমিটির মাঝেও তোলপাড় সৃষ্টি করে। কারণ দোষী সাব্যস্ত হওয়া কোনো অপরাধীকে শান্তি পুরস্কার দেয়ার ব্যাপারে তাদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দেয়। এমনকি এর জের ধরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কেউ কেউ।

অসিয়েৎয্‌কির পুরস্কার জেতার খবর জার্মানি জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়। ওদিকে তার বিরুদ্ধাচরণকারীকে এভাবে সম্মানীত করার ব্যাপারটি মোটেও ভালো নজরে দেখেন নি হিটলার। তাই তিনি ঘোষণা দিয়ে বসলেন, জার্মানি থেকে কেউ নোবেল পুরস্কার জেতা তো দূরের কথা, মনোনীতই হতে পারবে না! এমনকি এ পুরস্কার সংক্রান্ত কোনো খবরও যেন দেশটির মিডিয়াতে প্রচার করা না হয়, সে ব্যাপারেও নির্দেশ দেয়া হয় সরকারের পক্ষ থেকে।

অ্যাডলফ হিটলার; Source: clipmass.com

যে হিটলার আর নোবেল পুরস্কারের মাঝে এমন দা-কুমড়ো সম্পর্ক, সেই দুয়ের মাঝেই সবচেয়ে অদ্ভুত ব্যাপারটি ঘটে ১৯৩৯ সালে। সেই বছরের পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে যায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ওদিকে একই বছরের শুরুর দিকে নোবেল কমিটির কাছে এক চিঠি আসে, যেখানে সেই বছরের শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিলো স্বয়ং অ্যাডলফ হিটলারের নামই! আপনি ভুল পড়েন নি, আসলেই শান্তি পুরস্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিলো হিটলারের নাম। আর বিচিত্র এ সুপারিশ এসেছিলো সুইডিশ পার্লামেন্টের সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক মেম্বার এরিক গটফ্রিড ক্রিস্টিয়ান ব্র্যান্ডটের কাছ থেকে। তার সেই চিঠির ভাষা দেখলে আপনার চোখ জোড়া নির্ঘাত বিস্ময়ে গোলগোল হয়ে যাবে! চলুন এবার সেই চিঠিটি পড়ে নেয়া যাক।

“নরওয়ের নোবেল কমিটির উদ্দেশ্যে,

আমি বিনীতভাবে অনুরোধ করছি যে, ১৯৩৯ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারটা যেন জার্মান চ্যান্সেলর ও ফ্যুয়েরার অ্যাডলফ হিটলারকে দেয়া হয়, বিশ্বের লক্ষ লক্ষ জনতার মতে যিনি সম্মানজনক এ পুরস্কারটি পাবার জন্য যোগ্যতম ব্যক্তি।

নির্ভরযোগ্য দলিল থেকে জানা যায়, ১৯৩৮ সালে বিশ্বশান্তি ছিলো হুমকির সম্মুখীন, ইউরোপে আরেকটি বড়সড় যুদ্ধ বেঁধে যাওয়া ছিলো সময়ের ব্যাপার মাত্র। এ ক্রান্তিকালে আমাদের এ অঞ্চলটিকে ভয়াবহ সেই দুর্যোগের হাত থেকে যে মানুষটি বাঁচিয়েছিলেন, তিনি নিঃসন্দেহে জার্মানদের সেই মহান নেতা। সেই ক্রান্তিকালে তার বাহিনীর অস্ত্রগুলো গর্জে ওঠে নি, যদিও চাইলেই তিনি আরেকটি বিশ্বযুদ্ধ বাঁধিয়ে দিতে পারতেন।

শান্তির জন্য তার অত্যুজ্জ্বল ভালোবাসার মাধ্যমে, পূর্বে যার নমুনা দেখা গিয়েছিলো তার বিখ্যাত বই ‘Mein Kampf’-এ, জনপ্রিয়তা ও উৎকৃষ্টতার দিক থেকে বাইবেলের পরেই যে সাহিত্যকর্মের স্থান, শান্তিপূর্ণভাবে অস্ট্রিয়া দখলের মাধ্যমে, সামরিক শক্তির ব্যবহার ব্যতিরেকে তার দেশের জনগণকে সাডেটেনল্যান্ডে জায়গা দেয়ার মাধ্যমে অ্যাডলফ হিটলার তার পিতৃভূমিকে আরো সম্প্রসারিত ও ক্ষমতাবান করে তুলেছেন। যুদ্ধবাজ নেতারা যদি তাকে উত্যক্ত না করে শান্তিতে থাকতে দেয়, তাহলে সম্ভবত হিটলার ইউরোপ এবং পুরো বিশ্বেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করবেন।

দুঃখজনক ব্যাপার হলো অধিকাংশ মানুষই শান্তির জন্য হিটলারের এ কঠোর সংগ্রামকে অনুধাবন করতে পারে না। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নেভিল চেম্বারলেইনকে ক’জন সুইডিশ পার্লামেন্টারিয়ান নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করায় আমি হিটলারকে এ পুরস্কারের জন্য মনোনীত করার এর চেয়ে উপযুক্ত কোনো সময় খুঁজে পাই নি। (তাদের) এ মনোনয়নকে আমার কাছে একেবারেই অপরিপক্ব চিন্তা-ভাবনা বলে মনে হয়েছে। যদিও এটা সত্য যে, শান্তির জন্য হিটলারের সংগ্রামের মাহাত্ম্য উপলব্ধি করতে পেরে চেম্বারলেইন নিজেও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার পথে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন, তারপরেও সর্বশেষ সিদ্ধান্তটা হিটলারেরই ছিলো, চেম্বারলেইনের না। ইউরোপের অধিকাংশ এলাকা জুড়ে এখন যে শান্তির সুবাতাস বইছে, তার জন্য হিটলার ছাড়া আর কেউই ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য নয়, এবং অনাগত দিনগুলোতেও এ মানুষটিই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ধন্যবাদ পাওয়ার দাবীদার। যদিও শান্তি প্রতিষ্ঠার দাবি চেম্বারলেইনও তুলতে পারেন, তবে তাকে নোবেল পুরস্কারের সামান্য ভাগই দেয়া যেতে পারে। তাই সবচেয়ে ভালো কাজ হবে হিটলারের নামের পাশে কাউকে না বসানো এবং তার উপর কারো ছায়া পড়তে না দেয়া। নিঃসন্দেহে অ্যাডলফ হিটলারই স্রষ্টার পক্ষ থেকে প্রেরিত শান্তির জন্য লড়তে থাকা যোদ্ধা এবং বিশ্বের লক্ষ লক্ষ মানুষ ‘শান্তির রাজপুত্র’ হিসেবে তার উপরই তাদের ভরসা স্থাপন করেছে।”

স্টকহোম, জানুয়ারি ২৭, ১৯৩৯

এ চিঠির খবর প্রকাশিত হবার সাথে সাথেই বেশ শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সুইডিশ কমিউনিস্ট, সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট এবং লিবারেল অ্যান্টি-ফ্যাসিস্টদের পক্ষ থেকে। ব্র্যান্ডটকে উন্মাদ, অবিবেচক এবং সমাজের খেটে খাওয়া মানুষের মূল্যবোধের প্রতি বিশ্বাসঘাতক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। জনতার এমন প্রতিক্রিয়া দেখে বিস্মিত হয়ে যান ব্র্যান্ডট। কারণ তিনি ঐ চিঠি লিখেছিলেন ঠিকই, তবে সেটা তার সত্যিকার বিশ্বাসের প্রতিফলন ছিলো না, কেবলমাত্র মজা করার জন্যই তিনি অমন চিঠি লিখেছিলেন!

সুইডিশ পত্রিকা সভেন্সকা মর্গনপোস্টেন সাক্ষাৎকার নেয় ব্র্যান্ডটের। সেখানেই তিনি প্রথম জানান কেবলমাত্র বিদ্রুপ করার উদ্দেশ্যেই হিটলারকে মনোনয়ন করা নিয়ে সেই চিঠি তিনি নোবেল কমিটির কাছে পাঠিয়েছিলেন। চেম্বারলেইনের মনোনয়ন পাওয়াই মূলত ক্ষেপিয়ে দিয়েছিলো ব্র্যান্ডটকে, এজন্যই তিনি হিটলারকেও মনোনয়ন দিয়ে চিঠি লেখেন। মিউনিখ চুক্তির ফলে শান্তি রক্ষার নাম করে সাডেটেনল্যান্ডকে জার্মানির হাতে দিয়ে দেয় পশ্চিমা শক্তি, যা ছিলো চেকোস্লোভাকিয়ার জন্য বেশ অপমানজনক। প্রকৃতপক্ষে হিটলার বা চেম্বারলেইনের কেউই শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। নাৎসিবিরোধী সংবাদপত্র ট্রটস অ্যাল্টের সম্পাদকের কাছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবার পর একটি চিঠি পাঠান ব্র্যান্ডট, যাতে তিনি জানান হিটলারকে মনোনয়নের মাধ্যমে তিনি আসলে প্রকারান্তরে এটাই বোঝাতে চেয়েছেন যে, বিশ্বশান্তির পথে সবচেয়ে বড় শত্রু এই হিটলারই।

তবে সুইডেনের জনগণ যে তার এই ব্যাঙ্গাত্মক চিঠির প্রকৃত অর্থ ধরতে পারবে না এবং তার বিরুদ্ধে যে এভাবে আন্দোলন শুরু হবে তা তিনি দুঃস্বপ্নেও ভাবেন নি। তাই ফেব্রুয়ারির ১ তারিখই মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন তিনি, সেদিনই ছিলো মনোনয়ন জমা দেয়ার শেষ দিন।

ফিচার ইমেজ- qz.com

Related Articles