unfinished..........................please DO NOT PUBLISH UNTIL THE WHOLE SERIES IS DONE
Please inform if feature image need to change.I use only aggressive photo
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে বীর প্রতীক থেকে শুরু করে বীরশ্রেষ্ঠ পর্যন্ত পদক পেয়েছেন ৬৭৬ জন। আর এদের মধ্যে ২৯ জন পেয়েছেন কেবল কামালপুর (জামালপুর জেলা) যুদ্ধের জন্যই। কী হয়েছিল সেখানে?
কামালপুরের সামরিক গুরুত্ব
অপারেশন সার্চলাইটের পর দেশের গুরুত্বপূর্ণ সব স্থানেই পাকবাহিনী জেঁকে বসে। কৌশলগতভাবে এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ছিল বর্তমান জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়ন। কামালপুর কিছু জায়গায় 'কমলপুর' নামেও পরিচিত। পাকবাহিনী জানত মুক্তিবাহিনী ভারত থেকে দেশে প্রবেশ করে সীমান্ত এলাকা থেকে পাক বাহিনীকে তাড়াতে তাড়াতে ঢাকার দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করবে। মুক্তিবাহিনীর এ রকম অগ্রসর হওয়ার সম্ভাব্য কিছু পথ ছিল-
- কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া হয়ে মেঘনা নদী পাড়ি দিয়ে ঢাকা অভিযান
- খুলনা-মাগুরা হয়ে পদ্মা নদী পার হয়ে ঢাকা অভিযান
- রাজশাহী-বগুড়া-পাবনা হয়ে যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদী পার হয়ে ঢাকা অভিযান
- জামালপুর-ময়মনসিংহ হয়ে ঢাকা অভিযান, ইত্যাদি
ঢাকা অভিযানের সম্ভাব্য সব পথেই বড় নদী ছিল। কিন্তু জামালপুর-ময়মনসিংহ পথে অন্য পথগুলোর মতো এত প্রশস্ত নদী নেই। এছাড়াও টাঙ্গাইল অঞ্চলে কাদেরিয়া বাহিনীর কারণে বিশাল এক মুক্তাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছিল। টাঙ্গাইল ছিল জামালপুরের দক্ষিণে। জামালপুর থেকে পাক বাহিনীকে হটানো গেলে জামালপুর-টাঙ্গাইল মিলে এক বিশাল এলাকা মুক্তিবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসত এবং এখান থেকে ঢাকা অভিযান খুবই সহজ হতো। ময়মনসিংহ-ঢাকা মহাসড়কের প্রবেশদ্বারও এটি। তাই মুক্তিবাহিনীর মোক্ষম লক্ষ্য জামালপুর।
গুরুত্ব বুঝেই পাকবাহিনী কামালপুরে ব্যাপক সেনা সমাবেশ ঘটায়। পাক আর্মির ৯৩ ব্রিগেডের ৩১ বালুচ রেজিমেন্ট অবস্থান নিয়েছিল কামালপুর, নকশী আর বারোমারিতে। কামালপুরে ৩১ বালুচের সাথে ছিল-
- ৭০ রেঞ্জার্সের (পাকিস্তান সীমান্তরক্ষা বাহিনী) একটি প্লাটুন
- ইস্ট পাকিস্তান সিভিল আর্মড ফোর্স (পাকিস্তানি সেনাবাহিনী প্রায় ২০ হাজার বিহারিকে অস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘সিভিল আর্মড ফোর্সেস’ নামের একটি বাহিনী গঠন করে)
- ১ প্লাটুন রাজাকার
ঘাঁটি নির্মাণ
মূল ঘাঁটিকে কেন্দ্র করে কয়েক ধাপে প্রচুর রিইনফোর্সমেন্ট কংক্রিটের বাংকার, ছোট ছোট পিলবক্স (শক্তিশালী দেয়াল ঘেরা ছোট একধরনের ঘর। দেয়ালে বন্দুকের নল বের করার জন্য ছিদ্র থাকে, সেখান দিয়ে ফায়ার করা হয়) তৈরি করা হয়। মুক্তিযোদ্ধারা ৩ ইঞ্চি মর্টার ব্যবহার করত। কিন্তু রিইনফোর্সমেন্ট কংক্রিটের কারণে এই মর্টার দিয়ে ক্ষতি করা রীতিমতো অসম্ভব ছিল। এছাড়াও টিন এবং লোহার বিম ব্যবহার হয়েছিল বাংকারে।
বাংকারগুলোর যোগাযোগের জন্য সুড়ঙ্গ বা communication trenches খোঁড়া হয়। সামনে বসে মাইনফিল্ড (Anti-Tank ও Anti-Personal) এবং বুবি ট্র্যাপ। ঘাঁটির চারপাশে গাছের গুঁড়ি আর কংক্রিট ব্লক ফেলা হয়। বাংকারের সামনের দিকে অন্তত ৫০০ মিটার গাছ এবং সমস্ত জঙ্গল কেটে সাফ করে রাখা হয়, যাতে কেউ আসলে বন্দুকের গানার খুব সহজেই লক্ষ করতে পারে। পদাতিক সেনাদের সাথে ৮১ মিলিমিটার মর্টার ও আর্টিলারি মোতায়েন করা হয়।
একটি ওয়াচ টাওয়ারও নির্মাণ করা হয়। ঢাকা দিয়ে নিয়মিত হেলিকপ্টারে এখানে রসদ সরবরাহ করা হতো। সব মিলিয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনী কামালপুরকে রীতিমতো দুর্গে পরিণত করে। তাদের ধারণা ছিল মুক্তিবাহিনী আক্রমণ করলে এটা তাদের জন্য কবরস্থানে পরিণত হবে এবং সুরক্ষিত দুর্গের ভেতরে থাকার জন্য তাদের কোনো ক্ষতি হবে না। কামালপুরের নিকটবর্তী ঘাঁটি বকশীগঞ্জেও সেনাদের সাথে মর্টার (৮৩ মর্টার ব্যাটারি) মোতায়েন করেছিল পাক বাহিনী। যেকোনো দরকারে এরা কামালপুরের দিকে এগিয়ে যেতে পারত।
জুন-জুলাই থেকে মেজর জিয়াউর রহমানের (পরে লেফট্যানেন্ট জেনারেল, বীর উত্তম) নেতৃত্বে গঠিত মুক্তিবাহিনীর সামরিক ব্রিগেড জেড ফোর্স গড়ে উঠেছে। ব্রিগেডটি বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর অধীনে গঠিত নিয়মিত বাহিনী হিসেবে কাজ করতো, এটি গঠিত হয়েছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ১, ৩, ৮ ব্যাটালিয়ন দ্বারা। জেড ফোর্সকে দায়িত্ব দেওয়া হয় কামালপুর আক্রমণের।
২৮ জুলাই, গভীর রাত।
মুক্তিবাহিনীর একটা দল গোপনে চলে যায় কামালপুর ঘাঁটির কাছাকাছি। এই দলে ছিলেন ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ (বীর উত্তম), লেফটেন্যান্ট আব্দুল মান্নান (পরে লেফটেন্যান্ট কর্নেল, বীর বিক্রম), নায়েক সুবেদার আব্দুল হাই (বীর প্রতীক), সুবেদার আবুল হাশেম (বীর প্রতীক), নায়েক শফি। এর আগেও দুবার রেকি করা হয়েছে। কিন্তু ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন স্বচক্ষে দেখতে চান সব।
হঠাৎ পেট্রলিং করে ফিরে যাওয়া ২ সেনার মুখোমুখি হয় রেকি করতে আসা দলটি। ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন ঝাঁপিয়ে পড়লেন একজনের ওপর। শুরু হলো ধস্তাধস্তি। অন্যজন সুবেদার হাইয়ের দিকে অস্ত্র উঁচিয়ে ‘হ্যান্ডস আপ’ বলার সাথে সাথেই ত্বরিত বেগে রাইফেলের বাঁট দিয়ে তাকে কুপোকাত করলেন সুবেদার হাই। ততক্ষণে ৬ ফুট লম্বা অন্য খানসেনাটি ৫ ফুট ৫ ইঞ্চি ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিনকে মাটিতে চেপে গলা টিপে ধরেছে। সালাহউদ্দিন ডাকলেন ‘মান্নান’। লে. মান্নান ও হাই ছুটে এসে স্টেনগানের ব্যারেল দিয়ে গুঁতো মারতেই ছুটে পালাল খানসেনাটি। পাকসেনার দিকে অন্ধকারেই গুলি ছুড়লেন সুবেদার হাই।
ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন সুবেদার হাশেমের কাঁধে ভর দিয়ে দ্রুত কাঁদাপানির মধ্যে দিয়ে দৌড়ে নিরাপদ এলাকায় ছোটেন। সুবেদার হাশেমের কাঁধে তখন দখল করা অস্ত্র দুটিও ছিল। কিন্তু পাক বাহিনী সতর্ক হয়ে যায়। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণ আসন্ন ভেবে সেনা বাড়িয়ে করে ২ কোম্পানি। ২৯ জুলাই পাক সেনাপ্রধান জেনারেল নিয়াজি এই ঘাঁটি পরিদর্শন করে যান।
৩১ জুলাই রাতে মুক্তিবাহিনী প্রথম কামালপুরে হামলার সিদ্ধান্ত নেয়। জেড ফোর্সের মেজর মইনুল হোসেন (পরে মেজর জেনারেল, বীর বিক্রম) নেতৃত্বে ১ ইস্ট বেঙ্গল ব্যাটালিয়নকে কামালপুরে হামলা করতে বলা হয়। মেজর মইন এত দ্রুত এমন মিশনে রাজি ছিলেন না। আর্টিলারি/কামান সাপোর্ট ছাড়া এরকম দুর্গ আক্রমণ করার কথা সাধারণত কেউ চিন্তা করে না।
তার মতে কামালপুরের মতো যথেষ্ট শক্তিশালী পাকিস্তানি ঘাঁটিতে সেটপিস যুদ্ধের (যে যুদ্ধে শত্রু বাহিনীর ওপর আক্রমণকারীও বড় বাহিনী নিয়ে হামলা করে। বড় বাহিনী ছোট ছোট দলে বিভক্ত থাকে। অবস্থা বুঝে কখনো আক্রমণাত্মক কিংবা রক্ষণাত্মক পজিশনে যাওয়া হয়। অনেকটা দাবা খেলার মতো) মাধ্যমে আক্রমণ করার সক্ষমতা (অস্ত্র এবং সেনাসংখ্যায়) জেড ফোর্সের বা তার ব্যাটালিয়নের নেই। মেজর মইন চাইছিলেন Hit & Run (ছোট অতর্কিত হামলা, চোখের পলকে হামলা করে আবার শত্রুর দৃষ্টির বাইরে চলে যাওয়া) এবং গেরিলা পদ্ধতিতে পাকিস্তানি ফোর্সকে দুর্বল ও নাজেহাল করা। শক্তি ক্ষয় করে দুর্বল করে তারপর পূর্ণ আক্রমণ করা। কিন্তু জিয়াউর রহমান সিদ্ধান্ত পাল্টালেন না, যার মূল কারণ ছিল হাই কমান্ডের নির্দেশ এবং ঘাঁটিটির স্ট্র্যাটেজিক গুরুত্ব।
কামালপুর আক্রমণে মুক্তিবাহিনীর সেনাবিন্যাস
১ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সাংকেতিক নাম ‘সিনিয়র টাইগার্স’। এই ব্যাটালিয়নের অধীনে ৪ কোম্পানি সৈন্য আছে। পুরো ব্যাটালিয়নটাই পাক বাহিনীর দুর্গে হামলা করবে।
১. ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান (বীর উত্তম) শত্রু ঘাঁটির পেছনে অবস্থান নেবেন তার কোম্পানিসহ;
২. ক্যাপ্টেন হাফিজ উদ্দিন আহেমদ (বীর বিক্রম) ও ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ পাক ঘাঁটির ৬০০ মিটার সামনে অবস্থান নেবেন;
৩. মেজর মইনুল হোসেন মইন তার ওয়্যারলেস অপারেটর এবং ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট লিয়াকত আলী খানসহ পাটক্ষেতে অবস্থান নেবে;
৪. একটু দূরে টিলায় মেজর জিয়া মেশিনগানসহ অবস্থান নেবে;
৫. কাট অফ পার্টি (যারা শত্রুর দুই ঘাঁটির মাঝের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়) হিসেবে একটি বাহিনী কামালপুর-বকশীগঞ্জ সড়কে মাইন পুঁতে রেখে কামালপুর-শ্রীবর্দি জংশন এবং উঠানীপাড়ায় অবস্থান গ্রহণ করবে, যাতে বকশীগঞ্জ থেকে কোনো পাকিস্তানি রিইনফোর্সমেন্ট (নতুন করে আনা সেনা-রসদ) কামালপুরে আসতে না পারে।
কামালপুরে প্রথম হামলা: দ্যা ফার্স্ট স্ট্রাইক
৩০ তারিখ সূর্যাস্তের পরই রাতের খাবার খেয়ে মুক্তিবাহিনী ভারতের মহেন্দ্রগঞ্জ ক্যাম্প থেকে রওনা দেয়। তুমুল বৃষ্টি আর কাদার মধ্যে চলতে শুরু করে তারা।
কামালপুর আক্রমণের H hour (আক্রমণ শুরুর সময়, যে সময় সব অবস্থান থেকে শত্রুর ওপর এক সাথে ফায়ার শুরু হয়) ছিল ৩১ তারিখ রাত সাড়ে তিনটা। কিন্তু শুরুতেই ঘটল বিপত্তি। Cut off party এবং মেজর জিয়ার মেশিনগান বাহিনী ছাড়া কেউই সময়মতো Forming up place (আক্রমণের আগে যে অবস্থানে গিয়ে সেনারা অবস্থান নেয়)-এ পৌঁছাতে পারেনি।
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কর্দমাক্ত এলাকায় হাঁটার গতি অনেক শ্লথ হয়ে এসেছিল। ঘাঁটির কাছাকাছি এসে মুক্তিবাহিনীর শুয়ে ক্রল করে আগাতে হচ্ছিল, কারণ সোজা হয়ে হাঁটলে পাক বাহিনী দূর থেকেই দেখে ফেলবে। এদিকে ঐ H hour শুরু হয়ে যাওয়ায় টিলা থেকে মেশিনগানের গুলি শুরু হয়ে যায়। কিন্তু অন্য পজিশনে আক্রমণকারী সেনারা পৌঁছাতেই পারেনি। চাইলেই H hour ২০-৩০ মিনিট পেছানো যত। কিন্তু আরেক বিপদ সামনে এসে দাঁড়ায়! ওয়্যারলেসগুলো কাজ করছে না। সমস্যার ষোলকলা পূর্ণ হয়েছিল আনা ওয়্যারলেস জ্যাম হয়ে। ফলে মুক্তিবাহিনীর কোম্পানিগুলো নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়।
এদিকে মুক্তিবাহিনীর ফায়ার শুরুর সাথে সাথেই পাল্টা কামান দাগা শুরু করে পাকিস্তানি সেনারা। ইস্ট বেঙ্গলের নতুন নিয়োগ পাওয়া সেনারা প্রাণপণ তখন Forming up place এর দিকে দৌড়ে যাচ্ছেন। কিন্তু সদ্য রিক্রুটদের সামনে এসে দাঁড়ায় আবার আরেক বিপদ। কাদা আর কামানের ভয়ানক শব্দে নিজেদের মধ্যে হট্টগোল শুরু হয়। জোরে দৌড়াতে গিয়ে একজন আরেকজনের গায়ের ওপর পড়ে। সব মিলিয়ে আক্রমণকারী দল নিজেরাই একটা বিশৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে যায়।
মুক্তিবাহিনীর সৈন্যরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ল। পাকিস্তানি সৈন্যরা সুরক্ষিত অবস্থান থেকে পুরো মাত্রায় গুলি শুরু করেছে। ভারি কামানের গোলা এসে পড়ছে সামনে, পেছনে। কাদামাটি ভেঙে একসঙ্গে এত লোকজনের দৌড়োদৌড়িতে যে শব্দ তৈরি হচ্ছিল তা থেকে পাকিস্তানিদের পক্ষে নিশানা ঠিক করা সহজ হলো। তার ওপর ওয়্যারলেস জ্যাম। বিশৃঙ্খলা চরমে পৌঁছায়। এ অবস্থায় ১ ইস্ট বেঙ্গলের পক্ষে আক্রমণের ব্যূহ রচনা করা আদৌ সম্ভব ছিল না। যে সেনাটির মেশিনগান নিয়ে কোনো গাছের নিচে অবস্থান নেয়ার কথা ছিল সে তখনো তার পজিশনে পৌঁছাতে পারেনি, যে সেনাটির রাইফেল নিয়ে বাংকারের দিকে গুলি করার কথা ছিল সেও কাদায় হাবুডুবু খাচ্ছে।
এ অবস্থায় সৈন্য দলের পালিয়ে আসাটাই অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল। কারণ Attacking Troops এর যদি ঠিকমতো ফর্ম আপ না হতো তাদের পক্ষে আক্রমণ করার প্রশ্নই উঠে না। ১৯৬৫ সালের পাক-ভারত যুদ্ধের সময় বিশাল এক ভারতীয় সেনা দল যখন ফর্ম আপ করছিল তখন ৩টি পাকিস্তানি ট্যাংক এসে হাজির হয়, ফলে ভারতীয়রা পালিয়ে যায়। পাকিস্তানিরা ভাবছিল এবারও তা-ই হবে। এদিকে ভয় জেঁকে ধরে বাংলাদেশী সেনাদের মধ্যে। আর ভয়ের কোনো বাছবিচার নেই। এটা সবাইকে সমানভাবে গ্রাস করে।
কিন্তু প্রতিকূলতার মধ্যেই অনেকসময় কেউ কেউ হয়ে উঠেন মহামানব। চমৎকার কোনো অতিমানবীয় কাজ দিয়ে প্রতিকূলতাকে প্রতিপক্ষের দিকে ঠেলে দেন। মুক্তিবাহিনী যখন রীতিমতো নাকাল তখন নতুন অস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন ডেল্টা কোম্পানির কম্যান্ডার ক্যাপ্টেন সালাউদ্দিন মমতাজ।
কী সেই অস্ত্র? তার বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে সিরিজের ২য় পর্বে।
As Pakistani troops occupying Bangladesh in 1971, Freedom Fighters trying to kick out the enemy from the border & move toward the capital. Kamalpur was a BOP where the enemy build heavy fortification as it could be the quickest access to the capital. Almost 10 battles had been fought to siege the fortification. The series is about the 'Battle of Kamalpur'-a long conventional frontline war during Bangladesh's liberation war.
References
১. ১৯৭১: ফ্রন্টলাইনের সেরা অপারশেন, সারতাজ আলীম (একই লেখকের বইয়ের অংশবিশেষের পরিমার্জিত সংস্করণ)
২. মুক্তিযুদ্ধের সামরিক অভিযান- সামরিক বাহিনী কর্তৃক সংগৃহীত সম্মুখযুদ্ধের তথ্যবিবরণী
৩. কর্নেল আবু তাহেরের বক্তব্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (১০)
৪. জামালপুর জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস- রজব বকসী
৫. কামালপুরের যুদ্ধ ১৯৭১- মুহম্মদ লুৎফুল হক সম্পাদিত
৬. এক জেনারেলের নীরব সাক্ষ্য– জেনারেল মইনুল হোসেন চৌধুরী
৭. মুক্তিযুদ্ধের দুশো রণাঙ্গন– মেজর রফিকুল ইসলাম পিএসসি সম্পাদিত
৮. মুক্তিযুদ্ধ কোষ- মুনতাসীর মামুন
৯. পতাকার প্রতি প্রণোদনা– মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.)
১০. রক্তভেজো একাত্তর, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদে বীর বিক্রম
১১. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর সাক্ষাৎকার
১২. সুবেদার আবুল হাশেম(বীর প্রতীক) এর সাক্ষাৎকার
১৩. ‘উইটনেস টু সারেন্ডার’ ব্রিগেডিয়ার সিদ্দিক সালিক
Feature Image: গেরিলা ১৯৭১