Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মনের উপর রঙের প্রভাব

পাঠক, কখনও কি মনে প্রশ্ন জেগেছে যে, ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোর বেশিরভাগেরই লোগো কেন লাল বা কমলা রঙের হয়? কেন সুবিশাল নীল আকাশের দিকে তাকালেই মনটা শান্ত, স্থির হয়ে যায়? কেন আমরা ব্যস্ত শহুরে জীবনের ঝুট ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ছুটে যাই সবুজ প্রকৃতির কোলে? হয়তো না। আসলে চারিদিকে হরেক রকমের রং দেখে আমরা এতটাই অভ্যস্ত যে, আমাদের কার্যকলাপ ও আচরণের উপর একেক রংয়ের যে একেক ধরনের প্রভাব আছে, তা আর সচেতনভাবে লক্ষ্য করা হয়ে ওঠে না।

অথচ প্রতিনিয়তই আমরা আমাদের পরিচ্ছদ ও পারিপার্শ্বিক পরিবেশের রঙের দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছি। তাই একেকটি রং আমাদের শরীর ও মনের ওপর কী ধরনের প্রভাব ফেলে, তা জানাতেই আজকের এই আয়োজন। এর পাশাপাশি এসব প্রভাব বিবেচনায় রেখে কীভাবে পোশাকের রং এবং ঘরের রং নির্বাচন করা যায়, তাও তুলে ধরার চেষ্টা করা হবে।

লাল

লাল রং সাধারণত প্রণয়, ভালোবাসা, স্নেহময়তা, শক্তি, উত্তেজনা, সতেজতা এবং তীব্র আবেগ নির্দেশ করে।

এটি শরীরের অ্যাড্রেনাল গ্রন্থি এবং স্নায়ুকোষকে উদ্দীপ্ত করে। হৃদস্পন্দন ও শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি বৃদ্ধি করে। শরীরের ফাইট অর ফ্লাইট রেসপন্সকে সক্রিয় করে তুলতে পারে। এ রংটি পুরুষত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট

লাল রঙের শক্তিদায়ক বৈশিষ্ট্যের কারণে হাঁটা বা ব্যায়ামের সময়ে পরার জন্য এ রং উপযোগী। কারো মনোযোগ আকর্ষণ করার জন্যেও লাল একটি আদর্শ রং। গবেষণায় দেখা গেছে, লাল রংয়ের পোশাক পরিহিত নারীদের প্রতি পুরুষরা বেশি অনুরক্ত অনুভব করেন। তবে এই রঙের তীব্রতার কারণে আপোস, মীমাংসা বা মতবিরোধ জাতীয় আলোচনার সময় লাল রং এড়িয়ে যেতে পারলেই ভালো। এই রঙের পোশাকে শারীরিক গড়ন ভারী দেখাতে পারে

লাল প্রণয়ের প্রতীক; Source: Ткач ру.

লাল রং ঘরে প্রাণবন্ত আবহের সৃষ্টি করে। বসার ঘরে লাল রঙের ব্যবহারের ফলে সবাই একত্রিত হয়ে পারস্পরিক যোগাযোগের উপযুক্ত আবহ সৃষ্টি হয়। এ রং ক্ষুধা বৃদ্ধি করে, তাই খাওয়ার ঘরের জন্যে বেশ উপযোগী। এছাড়া ঘরের প্রবেশমুখে লাল রঙের ব্যবহার অতিথির মনে গভীর ছাপ ফেলে। তবে এ রং মেজাজকে প্রতিকূল ভাবাপন্ন ও খিটখিটে করে তুলতে পারে, তাই শিশুদের ঘরের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। খুব বেশি লাল রঙের মাঝে থাকলে তা মানসিক চাপ, হতাশা ও রাগের কারণ হতে পারে।

নীল

নীল রং প্রশান্তি, শীতলতা, বিশ্বস্ততা, প্রজ্ঞা, সততা, আবেগশূন্যতা, বিরাগ, কেন্দ্রীভূত আচরণ প্রভৃতিকে নির্দেশ করে।

নীল রং মস্তিষ্কে এমন কিছু রাসায়নিক পদার্থ নিঃসরণ করে যা মস্তিষ্ককে শান্ত রাখে। রক্তচাপ এবং হৃদস্পন্দনের হার কমাতে সাহায্য করে এটি। হালকা নীল রং যেখানে আকাশের মতো বিশালতা ও প্রফুল্লতা প্রকাশ করে, সেখানে গাঢ় নীল আবার বিষণ্নতা বা গভীর বিষাদের অনুভূতি জাগায়।

নীল রং বিশ্বস্ততার পরিচয় বহন করে। তাই ফ্যাশন ডিজাইনাররা চাকরিপ্রার্থীদেরকে ইন্টারভিউতে নীল পোশাক পরে যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তাছাড়া নীল রং স্থিতিশীলতারও প্রতীক, আর নারীরা সঙ্গী হিসেবে স্থিতিশীল, বিশ্বস্ত পুরুষদেরকে পছন্দ করেন। তাই সঙ্গীনির সাথে প্রথম সাক্ষাতের সময় নীল রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন

স্বচ্ছ নীল আকাশ মনকে প্রফুল্ল করে তোলে; Source : grist.files.wordpress.com

১৯৯৯ সালে ক্রেইটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখেন যে, কর্মক্ষেত্রে নীল রঙের ব্যবহার কর্মীদের মধ্যে শান্ত, নিবিষ্ট এবং আশাবাদী মনোভাব তৈরি করে, যা তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। তাই কর্মক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্যে নীল রং বেশ উপযোগী। বাড়িতে ব্যবহারের ক্ষেত্রে বসার ঘরে নীল রং না দেওয়াই ভাল। কারণ এটি মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ বা আলাপচারিতা করার ইচ্ছাকে বাধা দেয়। তবে যেহেতু নীল রং স্নায়ু শিথিল করে, সুতরাং শোবার ঘরে নীল রং ভাল ঘুমের জন্যে সহায়ক হতে পারে। নীল রং ক্ষুধা কমিয়ে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষ লাল বা হলুদ রঙের ঘরের তুলনায় নীল রঙের ঘরে খাবার খেলে তিনগুণ কম ক্যালরি গ্রহণ করে। সুতরাং, যারা ওজন কমাতে ইচ্ছুক, তারা চাইলে তৈজসপত্র ও খাওয়ার ঘরে নীল রং প্রয়োগ করতে পারেন

হলুদ

এটি খুশি, আনন্দ, উচ্ছ্বলতা, স্নেহময়তা, আশাবাদীতা, তীব্র আবেগ, ক্ষুধা, হতাশা এবং রাগ প্রকাশ করে।

হলুদ রং মস্তিষ্কে সেরোটোনিন নিঃসরণের হার বৃদ্ধি করে, যা মনে সুখের অনুভূতি তৈরি করে। বলা হয়ে থাকে, এই কারণেই ইমোজি হলুদ রঙের হয়ে থাকে। উজ্জ্বল সূর্যালোকের মতই হলুদ রং আমাদেরকে উজ্জীবিত করে তোলে, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়, আশাবাদী মনোভাবের সৃষ্টি করে।

হলুদ রঙের ঘরে উষ্ণ বোধ হয়, তাই বাড়ির উত্তরমুখী ঘরে এ রংটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এ রং ক্ষুধা ও বিপাকক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে, সুতরাং খাওয়ার ঘরে প্রয়োগের জন্যে হলুদ রং বেশ উপযোগী। যেহেতু এ রংটি কর্মচাঞ্চল্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সেহেতু যেসব ঘরে বিশ্রাম নেওয়া হয় (যেমন- শোবার ঘর), সেসব ঘরে এ রং মানানসই নয়।

মস্তিষ্কের যে অংশটি উদ্বেগ সৃষ্টির জন্যে দায়ী, হলুদ রং সেই অংশটিকে সক্রিয় করে তোলে। ফলে মেজাজ বিগড়ে গিয়ে ঝগড়ার সূচনা হতে পারে এ রং দেখলে। এমনকি হলুদ রঙের ঘরে শিশুদেরও কান্না করার প্রবণতা বেশি থাকে। এ রঙের অতিরিক্ত ব্যবহারে ক্লান্তি বোধ হতে পারে

হলুদ রংটি সুখানুভূতির সঙ্গে সম্পর্কিত; Source: shopify.com

গোলাপী

এই রংটি মূলত প্রণয়, ভালবাসা, নম্রতা, প্রশান্তি, নির্দোষিতা, সহমর্মিতা, সংবেদনশীলতার সাথে জড়িত।

গোলাপি রং মানব প্রজাতির টিকে থাকা ও প্রতিপালনের প্রতিনিধিত্ব করে। উদ্বেগ ও রাগ কমিয়ে শরীরে প্রশান্তির অনুভূতি ছড়িয়ে দেয় এই রং। এমনকি আমেরিকান ইনস্টিটিউট অব বায়োসোশ্যাল অ্যান্ড মেডিক্যাল রিসার্চের ড. অ্যালেকজান্ডার শাউস জানান যে,

“গোলাপি রঙের উপস্থিতিতে কোনো ব্যক্তি চাইলেও রাগান্বিত বা আগ্রাসী আচরণ করতে পারেন না। তার হৃদপেশীগুলো তখন দ্রুত স্পন্দিত হতে পারে না।”

ক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন এবং তাদের প্রভাবিত করা, জনসমক্ষে বক্তৃতা বা কোনো প্রস্তাবনা পেশ করা, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে বেতন বাড়ানো বা পদোন্নতি বিষয়ক আলোচনা- এসব সময়ে পরার জন্যে গোলাপী রং বেছে নেওয়া যেতে পারে। এই রংটিকে নারীসুলভ ভেবে অনেক পুরুষই এড়িয়ে চলতে চান। এমতাবস্থায় কোনো পুরুষ যদি গোলাপী রং পরেন, এটি তার নিজের ব্যক্তিত্বের প্রতি দৃঢ় আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতাকেই নির্দেশ করে।

গোলাপী রং মনে প্রশান্তির অনুভূতি জাগায়; Source: myrecipes.com

ঘরে গোলাপীর নানা ধরনের শেড ব্যবহার করে ভিন্ন ভিন্ন আবহ সৃষ্টি করা যেতে পারে। উজ্জ্বল, গাঢ় গোলাপী যেখানে জমকালো ভাব ফুটিয়ে তোলে, সেখানে চাপা, হালকা গোলাপী আবার শীতল, শান্তিদায়ক অনুভূতি ছড়ায়। নিজের রুচি অনুসারে গোলাপীর সঙ্গে গাঢ় নীল, বাদামী, কালো, সবুজ, সোনালী বা রূপালী রঙের সমন্বয় করে ঘর সাজানো যেতে পারে। শোবার ঘর, সাজঘর বা বাড়ির প্রবেশমুখে গোলাপী রং ব্যবহার করা যেতে পারে

অবশ্য অতিরিক্ত গোলাপীর ছড়াছড়ি শরীরের কর্মচাঞ্চল্য নিঃশেষ করে শরীরকে দুর্বল করে দিতে পারে।

কমলা

এটি আনন্দ, উত্তেজনা, উদ্দীপনা, উদ্ভাবনক্ষমতা, সক্রিয়তা, সহিষ্ণুতা, স্নেহময়তা, সম্পদ, উন্নতি ও পরিবর্তনের পরিচয় বহন করে।

কমলা রংটিতে লালের তীব্র আবেগ আর হলুদের আনন্দের সম্মিলন ঘটেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এটি মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে, মনোযোগ বাড়ায় এবং স্নায়ুগুলোকে চাঙ্গা করে তোলে। এটি মানুষের আগ্রহ ও সৃজনশীলতাকে উদ্দীপ্ত করে।

কমলা রং সক্রিয়তার প্রতীক; Source: pixers.pics

কমলা রং মানসিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করে, তাই সৃজনশীল কোনো কাজ, যেখানে মাথা খাটিয়ে প্রচুর উদ্ভাবন করতে হবে, সেসব ক্ষেত্রে পোশাক বা অনুষঙ্গে কমলা রঙের উপস্থিতি থাকা ভালো। এছাড়া এই রংটি শরীরকেও শক্তি দেয়, তাই ব্যায়াম বা জগিংয়ের সময়ও এটি পরা যেতে পারে

হলুদের মতো এটিও বাড়ির উত্তরদিকের ঘরগুলোতে ব্যবহার করা যেতে পারে। শোবার ঘরে এর ব্যবহার না করাই ভালো। ক্ষুধা ও বিপাক ক্রিয়ার গতি বৃদ্ধি করে বিধায় খাওয়ার ঘরে ব্যবহারের জন্যে এ রংটি বেশ উপযুক্ত। ঠিক একই কারণে ফাস্ট ফুডের দোকানগুলোর বেশিরভাগেরই লোগো লাল বা কমলা রঙের করা হয়। আবার অতিরিক্ত কমলা রঙের উপস্থিতিতে ক্লান্তি বোধ হতে পারে।

সবুজ

এই রং প্রকৃতি, শান্তি, শীতলতা, উন্নতি, স্বাস্থ্য, উর্বরতা, অর্থ, অসুস্থতা ও ঈর্ষার প্রতীক।

সবুজ রং চোখের জন্যে সবচেয়ে আরামদায়ক ও সহজ, কারণ এ রংটি দেখার জন্যে কোনো চোখে বাড়তি কোনো চাপ পড়ে না। তাছাড়া গবেষকগণ প্রমাণ করেছেন যে, সবুজ রং দৃষ্টিশক্তিরও উন্নতি ঘটায়। এটি ক্লান্তি ও মানসিক চাপ দূর করতে সাহায্য করে। সুতরাং কর্মস্থলে যাদেরকে লম্বা সময় ধরে কম্পিউটার স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করতে হয়, তারা সবুজ রঙের ডেস্কটপ ব্যাকগ্রাউন্ড রাখতে পারেন। এতে চোখের ওপর চাপ কম পড়বে এবং চোখের আরাম হবে।

একেক পরিস্থিতিতে একেক মাত্রার সবুজ রং মানানসই। ক্যাজুয়াল কোনো সাক্ষাতে গেলে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে উজ্জ্বল সবুজ পরা যেতে পারে। সংঘাতময় পরিস্থিতির সমাধানের সময় চাপা সবুজ রং উপযোগী। কিন্তু আবার কোনো দলের নেতৃত্ব দেওয়ার সময় বা জনসমক্ষে বক্তব্য দিতে গেলে চাপা সবুজ তেমন জুতসই নয়।

প্রকৃতির সবুজ চোখ ও মনে প্রশান্তি দেয়; Source: tvtropes.org

দেখা গেছে, সবুজ রঙের অফিসে যারা কাজ করেন, তারা তাদের চাকরি নিয়ে বেশি পরিতৃপ্ত বোধ করেন। এছাড়াও এ রং উদ্বেগ কমায় এবং এটি অর্থের সঙ্গেও জড়িত। তাই কর্মস্থলে ব্যবহারের জন্যে সবুজ রংটি বেশ উপযুক্ত। বাড়িতে শোবার ঘর, স্নানঘর এবং পড়ার ঘরে এই রং প্রয়োগ করা যেতে পারে। এছাড়া ঘরে ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবহার করেও আনতে পারেন সবুজের সতেজতা

সাধারণভাবে সবুজ রং সতেজতার প্রতীক হলেও জলপাই সবুজ রংটির মধ্যে কেমন যেন বিষণ্নতার আভাস পাওয়া যায়। আবার চাপা সবুজ চোখে যেমন আরামদায়ক অনুভূতি দেয়, উজ্জ্বল হলদে-সবুজ বা টিয়া রং তেমন স্বস্তিদায়ক মনে না-ও হতে পারে।

সাদা

সাদা রং শুদ্ধতা, পবিত্রতা, পরিচ্ছন্নতা, সরলতা, নির্দোষিতা, নিরপেক্ষতা, অজ্ঞতা, শূন্যতা ও দূরত্বের প্রতীক। কোনো কোনো সংস্কৃতিতে এটিকে শোকের প্রতীক বলেও ধরা হয়।

শিশুদের ব্যবহার্য অধিকাংশ সামগ্রীতে তাদের সরলতার প্রতীক হিসেবে সাদা রঙের উপস্থিতি থাকে। আবার চিকিৎসকদের সাদা রং ব্যবহার  তাদের পরিচ্ছন্নতা নির্দেশ করে। উপলক্ষ্য বুঝে  সঠিক কাপড় ও নকশা নির্বাচন করতে পারলে সাদা রং অফিস থেকে শুরু করে বিয়ের অনুষ্ঠান, সবখানেই পরার উপযোগী হতে পারে।

সাদা রং সতেজতার প্রতীক; Source: amazonaws.com

সাদার উপরে কোনো ময়লা বা দাগ পড়লে তা সহজেই চোখে পড়ে এবং তাড়াতাড়ি পরিস্কার করে নেয়া যায় বলে সাধারণত রান্নাঘর ও স্নানঘরে এই রঙের ব্যাপক প্রয়োগ দেখা যায়। সাদা রং আলোর সব ক’টি রংকে প্রতিফলিত করে, তাই যেকোনো ঘরকে বড় এবং উজ্জ্বল দেখাতে সাদা রং ব্যবহার করা যায়। যেকোনো চিত্রকর্ম, দেয়ালে সাজানোর শো-পিস প্রভৃতি সাদা রঙের পটভূমিতে ভালোভাবে ফুটে ওঠে

কালো

এ রং কর্তৃত্ব, ক্ষমতা, শক্তি, বুদ্ধি, নিরাপত্তা এবং কোনো কোনো সংস্কৃতিতে অমঙ্গল, দুর্দশা, মৃত্যু বা শোকের চিহ্ন বহন করে।

কালো রং স্বচ্ছতা ও অকপটতার প্রতীক। এটি প্রতিরক্ষা বা প্রতিবন্ধকতার অনুভূতি তৈরি করে। আলোর সবটুকু শোষণ করে নেয় বলে এই রং ক্ষেত্রবিশেষে ভয় ও প্রচ্ছন্নতার ভাব জাগিয়ে তোলে। কালো রং প্রায়শই আগ্রাসী মনোভাব তৈরি করতে পারে। গবেষকরা ৫২,০০০ এরও বেশি জাতীয় হকি লীগ গেমসের পরিসংখ্যান সংগ্রহ করে দেখেছেন যে, যেসব দল তাদের আগ্রাসী ব্যবহারের কারণে দণ্ডিত হয়েছে, তারা অধিকাংশই কালো জার্সি পরা দল ছিল। পরবর্তীতে জার্সির রং পরিবর্তনের পর তাদের আচরণেও ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়

কালো কখনো শোক, কখনো আভিজাত্যের প্রতীক; Source: monodomo.com

কালো পোশাক শরীরকে চিকন দেখাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি আনুষ্ঠানিক পরিবেশে মার্জিত ও পরিপাটি দেখানোর জন্যে এ রং বেশ উপযোগী। কখনো আবার কালো পোশাক পরিহিত ব্যক্তিকে নির্লিপ্ত ও অশুভ বলে মনে হতে পারে।

কালো রঙের সাথে যেকোনো রঙের উজ্জ্বল বা চাপা- উভয় ধরনের শেড চমৎকারভাবে মানিয়ে যায়। কালো পটভূমির ওপর বিভিন্ন রঙের অনুষঙ্গ সাজিয়ে ঘরকে আকর্ষণীয় করে তোলা যেতে পারে। সাদা ও সোনালী রঙের সাথে কালো রঙের সমন্বয় ঘরে এনে দেবে রাজকীয় আবহ

ফিচার ইমেজ- GoodWP.com

Related Articles