.jpg)
মেট্রোপলিটন সুবিধাময় শহর কিংবা প্রত্যন্ত গ্রাম অঞ্চল, আমাদের দেশের স্কুলপড়ুয়া কিশোরীদের জীবনে প্রথম পিরিয়ডের অভিজ্ঞতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে ভীষণ ভীতিকর। নিজের শরীর ও স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠার সুযোগ না পেয়েই এই মানুষগুলোকে পরিচিত হতে হয় এমন একটি শারীরিক পরিবর্তনের সাথে, যেটি তার জীবনকে ঘিরে রাখবে পরবর্তী আরও অনেকগুলো বছর। এরপর সমাজ কিংবা পরিবার, নানাজনের নানা কথায় প্রভাবিত হয়ে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন মনোভাবের সাথে অভ্যস্ত হয়ে উঠতে হয় অনেককেই।
একজন সুস্থ স্বাভাবিক নারীর জীবনে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাভাবিক পরিবর্তনের প্রধান ধাপ হলো ঋতুচক্র বা পিরিয়ড। প্রতি চন্দ্রমাস পর পর হরমোনের প্রভাবে জরায়ুর কিছু স্বাভাবিক পরিবর্তনের ফলে রক্ত ও জরায়ু নিঃসৃত অপ্রয়োজনীয় অংশ শরীর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াই পিরিয়ড। সাধারণত ৯ থেকে ১২ বছর বয়সে মেয়েদের প্রথম পিরিয়ড হয়ে থাকে। বয়ঃসন্ধিকালে অন্যান্য পরিবর্তনের মতো এটিও অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমাদের সমাজে অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই রয়েছে এ সম্পর্কে সঠিক জ্ঞানের অভাব। এমনকি পিরিয়ডকালীন শারীরিক পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কেও সচেতনতার মাত্রাও খুবই কম। সব মিলিয়ে পিরিয়ড নিয়ে সমাজে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন রকমের ট্যাবু আর কুসংস্কার।
কীভাবে টিকে থাকছে কুসংস্কার?
আমাদের সমাজের বহু জায়গায় এখনও পিরিয়ড যে একটি স্বাভাবিক শরীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, সেটি না মেনে একে নারী জীবনের অপবিত্র অধ্যায় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পিরিয়ড চলাকালীন মেয়েদের স্বাভাবিক কাজকর্ম থেকে দূরে সরিয়ে রাখা হয়। অনেক জায়গায় মেয়েদেরকে নিজের বিছানায়, এমনকি ঘরেও থাকতে দেওয়া হয় না। লোকলজ্জা কিংবা বিব্রত হওয়ার ভয়ে স্কুলগামী কিশোরীরা স্কুলে যেতে পারে না পিরিয়ডের সময়। গবেষণা বলছে, বয়সন্ধিকালের আগে পিরিয়ড নিয়ে সচেতন নয় এদেশের ৬৪ শতাংশ কিশোরী।
পিরিয়ডকালীন মেয়েদের খাদ্যতালিকায়ও আরোপ করা হয় বিভিন্ন বিধিনিষেধ। যেখানে এই সময় অধিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শারীরিক সুস্থতার জন্য বেশি প্রয়োজনীয়, সেখানে বরং কম খাবার দেওয়া হয় তাদেরকে। এ কারণে শরীর হয়ে পরে আরও বেশি দুর্বল। অনেক পরিবারে, বিশেষত গ্রামাঞ্চলে এমনও প্রচলন রয়েছে যে, মেয়েদের পিরিয়ড শুরু হলেই তাড়াহুড়া করে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। আর বাল্যবিবাহের শিকার হয়ে অকালেই তাদের ঝরে পড়তে হয় শিক্ষাগত, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের পথ থেকে।
এখনও আমাদের দেশের বহু মানুষ পিরিয়ডকে মনে করে মেয়েদের একান্ত গোপনীয় ব্যাপার। এ বিষয়ে স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে এখনও সংকোচবোধ করে অনেক শিক্ষিত মানুষ। এমনকি মেয়েরা নিজেদের মধ্যেও পিরিয়ড নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করতে পারে না এই ট্যাবুর কারণে।
সারাজীবন একসাথে থেকেও পরিবারের নারী সদস্যদের প্রতি মাসে যে শারীরিক প্রক্রিয়া অতিক্রম করতে হয় সে বিষয়ে কোনো স্পষ্ট ধারণা নেই অনেক পুরুষের। ফলে একেবারে কিশোর বয়স থেকেই পুরুষদের কাছে একরকমের নিষিদ্ধ জ্ঞান হিসেবে আবির্ভূত হয় পিরিয়ডের প্রক্রিয়া। একারণে এই বিষয়টি নিয়ে বয়স বাড়ার সাথে সাথে এই মানুষগুলোর আচরণও হয়ে উঠে প্রচণ্ড অসংবেদনশীল।
কোথাও কুসংস্কারের প্রভাব এতদূর পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছে যে, ইসলাম ধর্মে পিরিয়ড চলাকালীন রোজা রাখা নিষিদ্ধ হলেও, রমজানের সময় ‘লোকে কী বলবে’ ভেবে শারীরিক অসুস্থতা নিয়েও সারাদিন না খেয়ে পার করতে হয় অনেক মেয়েকে। এমনকি রমজান মাসে মেয়েদেরকে "রোজা রেখেছো?" বা "কেন রোজা রাখোনি?" জাতীয় প্রশ্ন করে হেনস্তা করারও একটি অসুস্থ চল রয়েছে বহু জায়গায়।
দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে শারীরিক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য পিরিয়ড বিষয়ক অধ্যায় সংযুক্ত করা হলেও তা এড়িয়ে যাওয়া হয় অনেক ক্লাসরুমেই, কারণ, শিক্ষকরা স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না এ বিষয়ে কথা বলতে। এমন ঘটনাও আছে, বাবা-মা নিজেরাই তাদের সন্তানের পাঠ্যপুস্তকে পিরিয়ড বিষয়ক অধ্যায়ের উপস্থিতি নিয়ে এতটাই প্রতিক্রিয়াশীল হয়েছেন যে, নতুন বছরের শুরুতেই তারা সন্তানের বই থেকে পিরিয়ড বিষয়ক অধ্যায়টি ছিঁড়ে ফেলেছেন কিংবা ওই পাতাগুলো স্ট্যাপলার করে আটকে দিয়েছেন।
এই সমস্ত রকমের কুসংস্কার আর ট্যাবুর মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, পিরিয়ডকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতার অভাবে এদেশের অনেক নারীই পরিচ্ছন্ন স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রয়োজনীয়তা বিষয়ে অবগত নন। এদেশে প্রতিনয়তই বহু নারী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন পিরিয়ডে নোংরা কাপড় ব্যবহার করার জন্য। তবুও স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা সম্পর্কে রয়েছে বিভিন্ন কুসংস্কার ও অনীহা। আবার ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও, কখনো কখনো স্যানিটারি ন্যাপকিনের মূল্য সাধ্যের বাইরে থাকার কারণে সেগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছেন না সব শ্রেণীর নারীরা।
সমাধান কোথায়?
কিন্তু এসবের সমাধান তো দরকার। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সমাধান হিসেবে বিকল্প নেই সচেতনতার। তৃণমূল পর্যায় থেকেই বাড়ানো প্রয়োজন এমন সচেতনতা কার্যক্রম। স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্র্যান্ড ‘সেনোরা’ এক্ষেত্রে হতে পারে উদাহরণ। গত এক যুগের বেশি সময় ধরে স্কুলগামী মেয়েদের সচেতন করতে তারা আয়োজন করে আসছে ‘সেনোরা স্কুল প্রোগ্রাম’, এবং এই কাজটি দিয়েই তারা এর মধ্যে সচেতন করে তুলেছে ৩৭ লাখের বেশি স্কুলপড়ুয়াকে। এই দীর্ঘ সময়ে তারা কাজ করছে পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা আর ট্যাবুগুলো নিয়ে মানুষের সচেতনতা তৈরিতে, সেইসাথে সহায়তা করছে যারা এই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাদেরকে। আর এভাবে যথাযথ সচেতনতা তৈরির পাশাপাশি জরুরি স্যানিটারি ন্যাপকিনের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করাটাও।
সেইসাথে প্রত্যকে নারী ও তার পরিবারের সদস্যদের জানা থাকা খুবই জরুরি যে, সঠিক জ্ঞান ও সচেতনতার অভাবে পিরিয়ডকালীন নানা ভুল অভ্যাসের ফলে সৃষ্টি হয় বিভিন্ন জটিল রোগের। পিরিয়ডে অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার, দীর্ঘ সময় একই ন্যাপকিন বা কাপড় ব্যবহার করার অভ্যাস, পুষ্টিকর খাদ্যের অভাব ইত্যাদি কারণে প্রতিনিয়ত নারীরা ভুগছেন বিভিন্ন রোগে। ইউরিন ইনফেকশন, জরায়ুর ইনফেকশন, যোনীপথে ইনফেকশনের মতো রোগের আশঙ্কা থাকে এমন অসচতেনতার কারণে। এমনকি সার্ভিক্যাল বা জরায়ুর ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায় পিরিয়ডকালীন অপরিচ্ছন্নতায়।
প্রতিমাসের নির্দিষ্ট এই দিনগুলোয় মেয়েদের প্রয়োজন বিশেষ যত্ন ও সচেতনতা। প্রথমেই নিশ্চিত করতে হবে সর্বোচ্চ পরিচ্ছন্নতা। কোনোভাবেই পিরিয়ডের সময় ময়লা কাপড় ব্যবহার করা যাবে না। বাধ্য হয়ে একই কাপড় একাধিকবার ব্যবহার করতে হলে অন্তত ভালো করে ধুয়ে কড়া রোদে শুকিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে। অন্তর্বাস নিয়মিত ধুয়ে পরিষ্কার করা জরুরি। ব্যবহৃত কাপড় ও অন্তর্বাস অপরিষ্কার জায়গা শুকাতে দেওয়া যাবে না। প্রয়োজনে ব্যবহারের পূর্বে ভালোভাবে ঝেড়ে দেখে নেওয়া উচিৎ কাপড়ে কোনো পোকামাকড় আছে কিনা।
সেইসাথে খেয়াল রাখা জরুরি, স্যানিটারি ন্যাপকিন একটানা ৬ ঘন্টার বেশি ব্যবহার করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় পরপর পরিবর্তন করতে হবে ন্যাপকিন। দীর্ঘসময় ধরে এক ন্যাপকিন ব্যবহার করলে বেড়ে যায় ফাংগাল ইনফেকশনের ঝুঁকি। আর ন্যাপকিন পরিবর্তনের সময় ভালোভাবে পরিষ্কার করা দরকার যোনির চারপাশে। এক্ষেত্রে হালকা উষ্ণ পানি ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে পরিষ্কারের কাজে অতিরিক্ত সাবান বা রাসায়নিক পণ্য ব্যবহার করা যাবে না, নাহয় আবার ইনফেকশন সৃষ্টি হতে পারে।
স্যানিটারি ন্যাপকিন কমোডে ফ্ল্যাশ করা একেবারেই ঠিক নয়। কাগজে মুড়িয়ে ডাস্টবিন বা ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলতে হবে এটি। সেজন্য নারীদের জন্য নির্ধারিত টয়লেটে ঝুড়ির ব্যবস্থা ও নিয়মিত পরিষ্কার করাটাও জরুরি। পিরিয়ডের সময়কার অতিরিক্ত দুর্বলতা এড়াতে শুধু পিরিয়ডের সময়ই নয়, সবসময়ই নারীদের সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনীয় পরিমাণ পানি ও তরল খাবার খাওয়া জরুরি। অতিরিক্ত রক্তস্রাবের ফলে শরীরে অনেক সময় আয়রনের ঘাটতি দেখা যেতে পারে, রক্তে কমে যেতে পারে হিমোগ্লোবিন। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে নিয়মিত। শারীরিক দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে দৈনিক ডিম, দুধ খেতে হবে। আর নিয়মিত গোসলও জরুরি, এতে দূর হয় শারীরিক ও মানসিক অবসাদ।
বাইরে বের হওয়ার সময় অতিরিক্ত স্যানিটারি ন্যাপকিন, তোয়ালে, অন্তর্বাস ও স্যানিটাইজার সাথে রাখাটা নিরাপদ। পিরিয়ডকালীন শারীরিক ব্যথা উপশম করার জন্য নিয়মিত পেইনকিলার ব্যবহার করা উচিত নয়, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ সেবনই উচিৎ নয়। পেইনকিলারের বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থেকে আরও জটিলতা তৈরি হতে পারে। তলপেট, কোমর, পা ব্যথায় আরাম পেতে গরম পানির সেঁক অনেক কার্যকরী।
দায়িত্ব কি শুধুই নারীর?
সর্বোচ্চ সচেতনতা অবলম্বন করার পরও পিরিয়ডে নিয়মিত কিছু দুর্ভোগ সহ্য করতে হয় সব নারীরই। মাথা ব্যথা, বমি বমি ভাব, পেট ব্যথা, কোমর ব্যথা, গা ম্যাজম্যাজ করার মতো শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি মুড সুইং, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি মানসিক অবসাদে তাদের ভুগতে হয় নিয়মিতই। এসব কিছুর সাথে লড়াই করেও নারীরা প্রতিনিয়ত সমাজের সকল ক্ষেত্রেই পালন করে যাচ্ছেন তাদের দায়িত্ব।
পিরিয়ডকালীন এই দুর্ভোগগুলো নারীরা যেন আরও শক্তিশালী হয়ে মোকাবেলা করতে পারেন, সেজন্য অবশ্যই পাশে থেকে সাহায্য করতে হবে পরিবার ও সমাজের পুরুষ সদস্যদেরও। মনে রাখা দরকার, পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠ সদস্যদের কর্তব্য হলো বয়ঃসন্ধিকালেই মেয়েদের পাশাপাশি ছেলেদেরও পিরিয়ড বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা দেওয়া, যাতে তাদের মধ্যে মেয়েদের প্রতি সহানুভূতি ও সমানুভূতিসম্পন্ন মনোভাব গড়ে উঠে। পিরিয়ডকালীন মানসিক অবসাদ বিষয়ে ধারণা রেখে মেয়েদের সাথে সংবেদনশীল আচরণের শিক্ষাটাও প্রয়োজন। পরিবার ও কর্মস্থলে পিরিয়ডকালীন নারীদের শারীরিক বিশ্রাম নিশ্চিত করাটাও খুব জরুরি।
পিরিয়ড যে একটি স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া, তা নিজে জানা ও আশেপাশের মানুষদেরও সচেতন করাটা প্রত্যেকেরই দায়িত্ব। পিরিয়ড নিয়ে অযাচিত অন্যায় ইঙ্গিত ও রসিকতা করার মনোভাব পরিবর্তন করা জরুরি। নারীরা যাতে পিরিয়ডকালীন শারীরিক ও মানসিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রিয়জনদের সাথে আলোচনা করতে পারেন, সেই পরিবেশটা তৈরি করা দরকার। সর্বোপরি নিজের পরিবারের সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি সামাজিক কুসংস্কার দূর করারও উদ্যোগটা নিতে হবে সবার।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, পিরিয়ড নিয়ে নারীদের মনে যেসব লজ্জা ও হীনমন্যতা রয়েছে সেগুলো একেবারেই ঝেড়ে ফেলতে হবে। তাদের মনে রাখতে হবে, পিরিয়ড কোনো লজ্জার বিষয় নয়। একটি স্বাভাবিক বিষয় নিয়ে অকারণ লজ্জায় ভুগে, নিজের কোনো সমস্যা হলেও তা গোপন করে যাওয়া একেবারেই কাজের কথা নয়। সেইসাথে প্রশ্ন করতে হবে, পিরিয়ড নিয়ে সমস্ত সচেতনতার দায়িত্ব কি শুধুই নারীর? মানুষের ইতিহাসের চাকা যে হাজারও বছর ধরে ঘুরছে, তার অস্তিত্ব যে টিকে আছে সগৌরবে, সেই গৌরবের প্রধান অংশীদার তো এই নারীই, আর তার প্রধানতম অবদান তো এই কষ্টের চিহ্ন বহন করে চলে শারীরিক প্রক্রিয়াই। পিরিয়ড নিয়ে সচেতনতা তাই মানুষের টিকে থাকার দায় থেকেই, যে দায়িত্ব বহন করতে হবে নারী-পুরুষ সকলকেই।
.jpg)
This article is written on the taboos regarding menstruation and awareness.
Featured Image Source: sarahmaple.com