Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

পাখিদের নিয়ে যত উপকথা ও কিংবদন্তী

মানুষ কতকিছুই না করতে পারে। সে একদিকে যেমন এভারেস্ট জয় করতে পারে, তেমনই অতল সমুদ্রে ডুব দিয়ে মণিমুক্তাও সংগ্রহ করে আনতে পারে। উড়োজাহাজের মাধ্যমে সে আকাশ জয় তো করেইছে, এমনকি জয় করে ফেলেছে মহাকাশও। তাই মানুষের সক্ষমতা দিয়ে প্রশ্ন তুলতে যাওয়া অনর্থক। তবে একটি কাজ কিন্তু মানুষ বহুদিন ধরে করার চেষ্টা করেও, আজও সফল হতে পারেনি। সেটি হলো নিজের শরীরে ডানা লাগিয়ে, সেই ডানা ঝাঁপটে যেখানে খুশি উড়ে বেড়ানো, শূন্যে হারিয়ে যাওয়া। ঠিক যেমনটা পাখি করে থাকে!

অদ্যাবধি মানুষ পাখির মতো ওড়ার সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি বলেই, এই বিশেষ প্রাণীটির প্রতি মানুষের মনে আজও বিশেষ সমীহ রয়েছে। তাছাড়া অধিকাংশ পাখিই দেখতে বড় সুন্দর; তাদের নানা বর্ণ, নানা আকার। আবার খুবই সুরেলা তাদের কণ্ঠ। তাই পাখির প্রতি মানুষের কেবল সমীহ বা সম্মানই নয়, রয়েছে ভালোবাসাও। পাখির প্রতি মানুষের মুগ্ধতা অনন্তকাল ধরে। আর এসব সমীহ, ভালোলাগা ও মুগ্ধতার কারণবশতই, সেই আদিম যুগ থেকেই মানুষের সৃষ্ট গান, কবিতা, রূপকথা, উপকথা, কিংবদন্তী, প্রবাদ-প্রবচন সবখানে ঘুরেফিরে এসেছে পাখির উল্লেখ। এমনকি ধর্মগ্রন্থেও পাখিকে বিশেষ সম্মান দেয়া হয়েছে। পায়রাই যে প্রধান অগ্রপথিক ছিল মহাপ্লাবনের সমাপ্তিতে!

পাখির প্রতি মানুষের মুগ্ধতা অনন্তকাল ধরে; Image Source: Reddit

যুগে যুগে পাখি নিয়ে অসংখ্য উপকথা ও কিংবদন্তীর সৃষ্টি হয়েছে। কালের বিবর্তনে কিছু বিলীন হয়ে গেছে। আবার কিছু সময়কে ফাঁকি দিয়ে কালজয়ী হয়ে আছে। চলুন আপনাদেরকে পরিচয় করিয়ে দিই তেমনই কিছু কালোত্তীর্ণ উপকথা ও কিংবদন্তীর সাথে।

  • মর্ত্য ও স্বর্গের মাঝামাঝি তথা শূন্যে বিচরণ করা পাখিদেরকে মূলত মনে করা হতো স্রষ্টার বার্তাবাহক, দূত কিংবা দেবতা হিসেবে। পায়রা, দাঁড়কাক, সারস, ঈগল প্রভৃতি হলো এমনই কিছু পাখি যাদেরকে উপকথা ও কিংবদন্তীতে স্বর্গ থেকে আগত প্রাণী হিসেবে উপস্থাপিত করা হয়েছে। পায়রা রয়েছে অসিরীয় দেবী ও আফ্রোদিতির কাহিনীতে, এছাড়া পায়রাই হলো মর্ত্যলোকে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার প্রতীক। নর্স উপকথায় হাগিন ও মানিন নামের একজোড়া দাঁড়কাক পৃথিবীর যাবতীয় খবরাখবর ঈশ্বর ওডিনের কাছে নিয়ে আসত। সারস ছিল হারমেস/মারকিউরির পবিত্র পাখি, আবার চাঁদের সেল্টিক পাখিও। এটোস ডিওস নামে জিউসের একটি বিশালাকার সোনালী বর্ণের ঈগল পাখি ছিল, যেটি তার ব্যক্তিগত বার্তাবাহক হিসেবে কাজ করত এবং তাকে সঙ্গ দিত।
  • কিছু কিছু পাখিকে মৃত মানুষের আত্মার প্রতিনিধি হিসেবে ধরা হয়। ঐতিহাসিকভাবেই, কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানুষ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত যে একদিকে পায়রা হলো ‘সাইকোপম্প’, যারা মৃতের আত্মাকে পরবর্তী জগতে নিয়ে যায়, এবং একইসাথে তারা বর্তমান জগতে মৃতের প্রতিনিধিত্বও করে। এমনকি আজকের দিনেও এই বিশ্বাস অনেকের মনে অক্ষুণ্ন রয়েছে।
    সোয়ান মেইডেন; Image Source: YouTube
  • রাজহাঁস হলো অনন্য সাধারণ সৌন্দর্যের প্রতীক। তাই রাজহাঁসকে কেন্দ্র করেই পৃথিবীব্যাপী অসংখ্য উপকথা ও কিংবদন্তীর জন্ম হয়েছে। বিশেষ করে ‘সোয়ান মেইডেন’-এর উপকথা, যেখানে দেখা যায় একজন অবিবাহিত তরুণ সোয়ান মেইডেনের থেকে রাজহাঁসের পালক দিয়ে তৈরি পোশাক চুরি করছে, যাতে সোয়ান মেইডেন উড়ে না যায়, এবং তাকে বিয়ে করে। ফিনল্যান্ড, শ্রীলংকা, ইরান, অস্ট্রেলিয়া, ইন্দোনেশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশেই এই উপকথাটির রয়েছে তুঙ্গস্পর্শী জনপ্রিয়তা।
  • খ্রিস্টান সমাজে একটি প্রচলিত বিশ্বাস রয়েছে যে, যেসব পাখির গায়ে লাল বা গোলাপি দাগ রয়েছে; যেমন ভরত, রবিন, গোল্ডফিঞ্চ, ক্রসবিল প্রভৃতি পাখি যিশুখ্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করার সময় উপস্থিত ছিল, এবং তাঁর কপাল থেকে কাঁটা টেনে বের করতে গিয়ে তাদের শরীরে রক্তের ছিটা এসে লেগেছিল (কিংবা ক্রসবিলের ক্ষেত্রে, যখন সে নখ দিয়ে যিশুখ্রিস্টকে বিদ্ধ করছিল)।
  • দ্য ডেভিড ও গোলিয়াথের কাহিনীতে একটি ছোট পাখির কথা আছে, যে ঈগলের ডানার নীচে লুকিয়ে থেকে ঈগলটিকে বোকা বানিয়েছিল। এই ছোট পাখিটির উল্লেখ অন্য আরও অনেক সংস্কৃতিতেই রয়েছে। সাধারণত পাখিটিকে রেন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তবে নেটিভ আমেরিকান উপকথা অনুযায়ী পাখিটি হলো উড থ্রাশ। ধারণা করা হয়, পাখির স্বাভাবিক আচরণ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই কাহিনীর উদ্ভব ঘটেছে। সাধারণত বড় কোনো পাখি যদি ছোট পাখির পিছু ধাওয়া করে, তাহলে আত্মরক্ষার্থে ছোট পাখিটি পাল্টা আক্রমণের বদলে নিজের শারীরিক ক্ষুদ্রতাকে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন ছলচাতুরির আশ্রয় নেয়।
  • কালো পাখিদেরকে সাধারণত শয়তান বা দুষ্ট পাখি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। সবচেয়ে পরিচিত কালো পাখি হলো কাক। দাঁড়কাক মৃতদেহ ঠোকরাতে থাকে, চোখ উপড়ে ফেলে। এছাড়া সাধারণ কাক ও রুক জাতীয় কাককে বিভিন্ন সংস্কৃতিতে মৃত্যুর পূর্বলক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। ম্যাগপাই বা নীলকণ্ঠ পাখিকে অর্ধকৃষ্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, কারণ যিশুক্রিস্টকে ক্রুশবিদ্ধ করার পর শোক অনুষ্ঠানে এই পাখিটি উপস্থিত থাকতে না পারায়, এটিকে শাপ-শাপান্ত করা হয়েছিল। তবে কিছু কিছু ইংরেজি উপকথায় একে ভালো-খারাপ দু’ভাবেই দেখানো হয়েছে। একটি নীলকন্ঠ পাখি মানে হলো দুঃখ, আর দুটি নীলকণ্ঠ পাখি মানে ফূর্তি। জার্মানির উপকথায় একে নিম্নজগতের পাখি হিসেবে দেখানো হয়েছে, আর স্ক্যান্ডিনেভিয়ায় এই পাখি অত্যাচারিত ও শাসিত হয় ডাইনিদের হাতে।
    আত্ম-বিসর্জনের সবচেয়ে বড় উদাহরণ কিউই; Image Source: The Dodo
  • কেবল পাখির গাত্রবর্ণের উপর ভিত্তি করেও অনেক উপকথা ও কিংবদন্তী রয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে সকল কালো পাখিই একসময়ে সাদা রঙের ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কোনো পাপের শাস্তিস্বরূপ তাদেরকে কালো হয়ে যাওয়ার অভিশাপ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ওসব উপকথায় আরও বলা হয়েছে, সকল বাদামি বা পিঙ্গল বর্ণের পাখিই একসময় উজ্জ্বল বর্ণের ছিল। কিন্তু তারা কেউ শাস্তি হিসেবে, কেউ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, আবার কেউ কেউ এমনকি আত্ম-বিসর্জনের মাধ্যমে নিজেদের উজ্জ্বলতা হারিয়েছে। যেমন: কিউই পাখি হলো আত্ম-বিসর্জনের সেরা উদাহরণ। মাউরি উপকথা মোতাবেক, এই পাখিটি উজ্জ্বল বর্ণ ও উড্ডয়ন ক্ষমতার জলাঞ্জলি দিয়ে রাজি হয়েছিল অন্ধকার বনের মাটিতে থাকে এবং বৃক্ষনিধনকারী সকল পোকা-মাকড় খেয়ে সাবাড় করতে। এবং এমন মহানুভবতার কারণেই এই পাখিটি অন্য সকল পাখির চেয়ে বেশি সম্মানিত ও পূজনীয় হয়ে উঠেছে।

মানুষ কিছু পাখিকে ভয় পায় কেন?

১৯৬৩ সালে আলফ্রেড হিচকক ‘দ্য বার্ডস’ নামে একটি হরর চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন, যেখানে পাখিকে খুবই ভীতিপ্রদ হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। এর পেছনে মূল কারণ এটাই যে, অধিকাংশ পাখি যতই সুন্দর ও মনোমুগ্ধকর হোক না কেন, এমন কিছু কিছু পাখি আছে যাদের সাথে মানবমনের সৌন্দর্যবোধের কোনো সংশ্লিষ্টতাই নেই, বরং তাদের দেখলে ভীতিজাগানিয়া অনুভূতি হয়।

পাখিদেরকে ভয় পাওয়ার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন:

  • কিছু পাখির শারীরিক আকৃতিই এমন যে তাদের ভয় না পেয়ে থাকা যায় না। বিশাল বড় ও কালো ডানা, শক্ত নখর, তীক্ষ্ণ ঠোঁট, এই সব মিলিয়েই কিছু পাখিকে দেখতে অতিমাত্রায় কিম্ভূতকিমাকার, যাদের দেখলে দুর্বল হৃদয়ের মানুষ ভয় না পেয়ে পারে না।
  • আবার কিছু পাখি আছে যাদের মধ্যে উপরের বৈশিষ্ট্যসমূহ তো আছেই, পাশাপাশি তাদের খাদ্যতালিকাও এখানে একটি বড় ভূমিকা পালন করে। যেমন ধরুন, দাঁড়কাক বা শকুনের কথা। এদের দেখলে এমনিতেই ভয় লাগে, তার উপর আবার এরা মৃতদেহের মাংস ছিড়ে খায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই এদের দেখলে হিংস্র ডাইনির মতো শয়তান মনে হয়।
    সবচেয়ে ভীতিপ্রদ পাখিদের একটি শকুন; Image Source: Vulture Conservation Foundation
  • সাধারণত পাখি মানুষের প্রতি আক্রমণাত্মক নয়। তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। যেমন অস্ট্রেলিয়ান পুরুষ ম্যাগপাই প্রজনন মৌসুমে অন্যান্য পাখি ও জীবজন্তুকে আক্রমণ করে। কখনও কখনও এমনকি তারা মানুষের উপরও হামলা চালিয়ে বসে। পাখির আক্রমণ খুবই ভয়ংকর হয়, বিশেষত তীক্ষ্ণ নখ ও অবিশ্বাস্য গতির কারণে। পেরেগ্রিন ফ্যালকন পাখি যখন শিকারের প্রতি হামলে পড়ে, তার গতি থাকে ১৮৬ মাইল প্রতি ঘণ্টা। ফলে এমন পাখি আক্রমণ করলে মুহূর্তেই আক্রান্ত প্রাণী বা মানুষের মৃত্যু অবধারিত। আর এই বিষয়টিও পাখির প্রতি মানুষের ভীতির অন্যতম প্রধান কারণ।
  • রাতের বেলা পাখির উপস্থিতিও পিলে চমকানোর জন্য যথেষ্ট হতে পারে। উত্তর আমেরিকায় যখন রাতের বেলা পাখিরা অবিরল কিচিরমিচির করতে থাকত, স্থানীয় মানুষ সেটিকে মৃত্যুর আহবান বলে মনে করত। এছাড়া ব্রিটেনের অনেক স্থানে আজকের দিনেও হ্যালোইনের কিছুদিন আগে থেকে টনি আউলস নামের একধরনের পেঁচা মাঝরাতে ডাকতে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই মানুষ সেটিকে অমঙ্গলের বার্তা বলেই ধরে নেয়। তবে মূলত ওই সময়টায় কমবয়সী পাখিগুলো বাসা বানানোর জন্য বাইরে বেরিয়ে আসে, এবং কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান করতে থাকে।

পাখি বিষয়ক কিছু কিংবদন্তীর জন্ম রহস্য

  • একটি অতি প্রাচীন বিশ্বাস হলো, সারস পাখির আগমনে নাকি বাচ্চার জন্ম হয়। এমন অন্ধবিশ্বাসের মূল কারণ সম্ভবত পাখির অভিবাসন প্রথা ও দাঁড়ে বসে বিশ্রাম নিতে থাকার অভ্যাসের সাথে সম্পর্কিত। ইউরোপীয় অঞ্চলে এমন বিশ্বাস বেশি দেখা যায়। কেননা বসন্তকালে সারসসহ অন্যান্য পাখিরা বাইরে থেকে লোকালয়ে এসে উপস্থিত হয়, এবং তারা মানুষের বাড়ির ছাদ বা অন্যান্য উঁচু জায়গায় বাসা বেঁধে প্রজনন শুরু করে। এদিকে ইউরোপে বসন্তকালে মানবশিশুর জন্মগ্রহণের প্রবণতাও বেশি থাকে। কেননা গ্রীষ্মের নয় মাস পর আসে বসন্ত, আর ইউরোপীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালেই পুরুষেরা পরিবারের সাথে বেশি সময় কাটায়, ফলে ওই সময়ই নারীদের গর্ভবতী হওয়ার মাত্রা বেশি থাকে।
    গোল্ডেন ফিঞ্চ; Image Source: National Geographic
  • পেঁচাকে অনেক দেশের সংস্কৃতিতেই ‘বুদ্ধিমান’ হিসেবে ধারণা করা হয়। এ. এ. মিলনের রচিত ‘উইনি দ্য পুহ’ এবং আরও অনেক শিশুতোষ বইয়ে পেঁচাকে বুদ্ধিমান হিসেবে দেখানোর মাধ্যমে এই ধারণাকে আরও পাকাপোক্ত করা হয়েছে। তবে পেঁচাকে বুদ্ধিমান ভাবার সূচনা কিন্তু আরও আদিতে। গ্রিক উপকথায় জ্ঞান ও প্রজ্ঞার দেবী এথিনের সার্বক্ষণিক সঙ্গী ছিল একটি ছোট পেঁচা। তাই ধারণা করা হয়, মালকিনের বুদ্ধি ও প্রজ্ঞা কিছুটা ওই পেঁচাটিও নিজের মধ্যে ধারণ করেছিল।
  • শকুনকে মানুষের ঘৃণা করা পাখির তালিকায় একদম শুরুর দিকেই রাখা যায়। এর প্রধান দুটি কারণ হলো: শকুনের কদর্য রূপ এবং পচা-গলা মাংস খাওয়ার প্রবণতা। টেকো মাথা, জপমালার মতো চোখ, এবড়ো-খেবড়ো ডানা, কাঁটাওয়ালা ঠোঁট, ভয়ংকর থাবা- এককথায় অনেকের কাছেই ভয়ের শেষ কথা হলো শকুন। তারপরও এই শকুনরা এক সময় মায়া সভ্যতার মানুষের কাছে দেবতুল্য পাখি বলেই বিবেচিত হতো। এছাড়া এশিয়ায় জরথ্রুষ্ট ও বুদ্ধদের শূন্যে সমাধি প্রথা (যেখানে শকুন ও অন্যান্য মাংসভোজী প্রাণী এসে পাহাড়ের উপর রাখা মৃতদেহের মাংস খেয়ে যাওয়া) পরিচালিত হয়ও মূলত শকুনের মাংস খাওয়ার অভ্যাসের উপর ভিত্তি করেই।
    শুভ্রতার প্রতীক পায়রা; Image Source: Guardian Angel Reading
  • পাখিদের মধ্যে শকুন যদি সবচেয়ে ঘৃণিত হয়, তবে সবচেয়ে ইতিবাচক ভাবমূর্তির অধিকারী হলো পায়রা। একে একাধারে বিবেচনা করা হয় শান্তি, পবিত্রতা, ভালোবাসা, স্নিগ্ধতা, স্থিরতা ও স্বর্গীয়তার প্রতীক হিসেবে। এর প্রধান কারণ সম্ভবত পায়রা শুভ্র গাত্রবর্ণ। সাদা পায়রার প্রথম সর্বোচ্চ সম্মানের হদিস মেলে প্রাচীন মেসোপটেমিয়ায়। সুমেরীয় ভালোবাসা, যুদ্ধ ও উর্বরতার দেবী ইনান্না এবং তার ব্যবহার্য জিনিসপত্রের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হতো সাদা পায়রা। ওই একই সময়ে অসিরীয় দেবী ইশতারকেও সংজ্ঞায়িত করা হতো সাদা পায়রা দিয়েই। ইরাকে খ্রিস্টপূর্ব ৩,০০০ অব্দ সময়কার সাদা পাথরের হস্তশিল্প পাওয়া গেছে, যার উপর খোদাই করা রয়েছে পায়রার ছবি। ধারণা করা হয়, দেবীর প্রতি উৎসর্গ করার উদ্দেশে ওগুলো তৈরি করা হয়েছিল। ওভিড অনুযায়ী, আকাশ পথে ভেনাসের রথ টেনেছিল পায়রাই, আর তার মাধ্যমে সংযোগ ঘটেছিল ঈশ্বর ও ভালোবাসার।

চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/

This article is in Bengali language. It is about some of the most known myths and legends regarding birds, and how they came to be.  Necessary references have been hyperlinked inside.

Featured Image © National Geographic

Related Articles