'চিরঞ্জীবী' শব্দকে ভাঙলে দুটো অংশ পাওয়া যায়। ‘চির' ও ‘জীবী'। 'চির' মানে অনাদিকাল এবং 'জীবী'র অর্থ, যারা বাস করছেন। চিরঞ্জীবী শব্দটির অর্থ, 'যারা অনেকদিন ধরে বেঁচে আছেন এবং থাকবেন' হলেও পুরাণমতে চিরঞ্জীবীগণ পুরোপুরি অমর নন। এদের জীবনকাল এক কল্পকাল।
সৃষ্টির দেবতা ব্রহ্মা জগত সৃষ্টি করেন। অনেকদিন পর্যন্ত জগতের উৎকর্ষ-অপকর্ষ সাধিত হয়। তারপর প্রলয় এসে সব ধ্বংস করে দেয়। তখন আবার নতুন করে সৃষ্টির কাজে হাত দেন ব্রহ্মা। মহাবিশ্বের একবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কালকে এক কল্পকাল ধরা হয়। পুরাণে যে আট চিরঞ্জীবীর কথা বলা হয়েছে, একমাত্র দৈত্যরাজ বলি ব্যতীত বাকিদের আয়ু এই কল্পকাল অবধি। চিরঞ্জীবীদের নিয়ে শ্লোকটি নিম্নরূপ:
अश्वत्थामा बलिर्व्यासो हनूमांश्च विभीषण:।
कृप: परशुरामश्च सप्तएतै चिरजीविन:॥
सप्तैतान् संस्मरेन्नित्यं मार्कण्डेयमथाष्टमम्।
जीवेद्वर्षशतं सोपि सर्वव्याधिविवर्जित।।
বাংলা অর্থ: অশ্বত্থামা, বলি, ব্যাস, হনুমান, বিভীষণ, কৃপা, পরশুরাম- এই সাতজন নিত্য চিরঞ্জীব। মার্কণ্ডেয় শিবের বরে চিরঞ্জীব হয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই শত বছরের অধিককাল বাঁচবেন এবং সর্বপ্রকার জরা-ব্যাধি থেকে মুক্ত।
১. অশ্বত্থামার জন্য অমরত্ব ছিল অভিশাপ
মহাভারতের একজন মহান যোদ্ধা অশ্বত্থামা। গুরু দ্রোণের পুত্র অশ্বত্থামা জন্মেছিলেন কপালে একটি মণি নিয়ে, যেটি ছিল তার পূর্বজন্মের পুণ্যের ফসল। অশ্বত্থামা দুর্যোধনের পরম বন্ধু ছিলেন। মহাভারতের যুদ্ধে তিনি তাই কৌরবদের হয়ে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। যুদ্ধে কৌরবরা পরাজিত ও নিহত হয়।
দুর্যোধনের উরুভঙ্গ হয়। ভীম গদা দিয়ে তার উরু ভেঙে দেন। পরাজিত দুর্যোধনের কাছে অশ্বত্থামা প্রতিজ্ঞা করেন, পাণ্ডবদের শেষ বংশধরকেও যেকোনো প্রকারে মেরে ফেলবেন। পাণ্ডবপুত্রদের হত্যা করার পরে তিনি তৃতীয় পাণ্ডব অর্জুনের পুত্র অভিমন্যুর গর্ভবতী স্ত্রী উত্তরার গর্ভের সন্তানকে হত্যা করতে তার গর্ভে ব্রহ্মাস্ত্র নিক্ষেপ করেন। এমন দুষ্কর্মের জন্য শ্রীকৃষ্ণ সুদর্শন চক্র দিয়ে তার কপালের মণি কেটে নেন এবং তাকে মহাপ্রলয়ের আগপর্যন্ত নিকৃষ্ট জীবনের অভিশাপ দেন। চিরঞ্জীবীদের মধ্যে একমাত্র অশ্বত্থামাই অভিশাপগ্রস্ত হয়ে অমরত্ব লাভ করেছেন।
২. দৈত্যরাজ বলি মহাপ্রলয়ের পরেও জীবিত থাকবেন
দৈত্যরাজ বলি দৈত্যরাজ হিরণ্যকশিপুর প্রপৌত্র। হিরণ্যকশিপুর পুত্র বিষ্ণুভক্ত প্রহ্লাদ এবং প্রহ্লাদের পুত্র বিরোচন। বিরোচনের পুত্র বলি। হিরণ্যকশিপুকে বিষ্ণু নৃসিংহ অবতার নিয়ে বধ করেছিলেন। হিরণ্যকশিপুর মৃত্যুর পরে তার পুত্র প্রহ্লাদকে সিংহাসনে বসিয়ে বিষ্ণু তাকে আশীর্বাদ করেন যে প্রহ্লাদের পরবর্তী চব্বিশ অধস্তন পুরুষকে বিষ্ণু রক্ষা করবেন। প্রহ্লাদের নাতি দৈত্যরাজ বলি রাজাসনে বসার পরে অশ্বমেধ যজ্ঞ করার সিদ্ধান্ত নেন।
তখন নিয়ম ছিল, কোনো রাজা সফলভাবে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ সম্পন্ম করলে তিনি দেবতাদের রাজা ইন্দ্র পদে অধিষ্ঠিত হবেন। তাই, কেউ অশ্বমেধ যজ্ঞের আয়োজন করলেই যেকোনো প্রকারে ইন্দ্র তাতে বাধা দিতেন। বলিকে যজ্ঞ করা থেকে বিরত করতে বিষ্ণু আবার একটি অবতার ধরেন। ব্রাহ্মণবেশে বামন অবতারে তিনি বলির যজ্ঞে গিয়ে উপস্থিত হন। ব্রাহ্মণদের উপহার দেওয়ার পালা শুরু হলে বামন বলির কাছে তিন পা রাখার মতো জমির আবদার করেন।
ধার্মিক বলি খুশিমনে তা দিতে রাজি হন। তারপর বামন বিশাল আকার ধারণ করে এক পা স্বর্গে, এক পা পৃথিবীতে রেখে বলির কাছে তৃতীয় পা রাখার জায়গা চাইলে বলি নিজের মাথা পেতে দেন। বলির একাগ্রতা ও ভক্তিতে বিষ্ণু সন্তুষ্ট হয়ে বলিকে পাতালের রাজত্ব দান করেন। পাতাল থেকে বছরে একদিন পৃথিবীতে এসে নিজের প্রজাদের অবস্থা স্বচক্ষে দেখার বর দেন। সবশেষে বলিকে অমরত্ব দান করেন ভগবান বিষ্ণু এবং এই কল্পের পরের কল্পে দেবতাদের রাজা ইন্দ্র পদে তাকে অধিষ্ঠিত করার প্রতিশ্রুতি দেন। দক্ষিণ ভারতের কেরালায় বলির পৃথিবীতে আগমনের দিনটিতে ওনাম উৎসব পালন করা হয়।
৩. বেদব্যাসের অমরত্ব
মহর্ষি বেদব্যাসের পুরো নাম কৃষ্ণদ্বৈপায়ন ব্যাস। তিনি বেদকে চারভাগে ভাগ করেছিলেন বলে এর নাম হয় বেদব্যাস। ইনি মহাভারত ও শ্রীমদভগবত গীতার রচয়িতা। মহর্ষি পরাশর বেদব্যাসের পিতা এবং রামের কূলগুরু বশিষ্ঠ মুনি পিতামহ। বেদব্যাসের মা সত্যবতী, যাকে হস্তিনাপুরের রাজা শান্তনু বিয়ে করেছিলেন। বেদব্যাস পুরো ভরতবংশীয়দের কাহিনী এবং কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের কাহিনী মহাভারতে বর্ণিত করেন।
কথিত আছে, তিনিই গণেশকে দিয়ে মহাভারত লিখিয়েছিলেন। গণেশ সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দীর্ঘায়ুর বর দেন। মহর্ষি ব্যাস বুদ্ধি ও জ্ঞানের প্রতীক। ভগবান বিষ্ণুও তাকে চিরঞ্জীবের বর দিয়েছিলেন।
৪. পবনপুত্র হনুমানের অমরত্বপ্রাপ্তি
হনুমানকে বলা হয় শিবের অবতার। বানররাজ কেশরীর ঔরসে রানী অঞ্জনার গর্ভে হনুমান জন্মগ্রহণ করেছিলেন। হনুমানের জন্মে বায়ুদেবতার ভূমিকা থাকায় এবং বায়ুদেবতার বিশেষ আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় তাকে পবনপুত্রও বলা হয়। হনুমান জগতে রামভক্ত হিসেবে বিখ্যাত। লঙ্কা থেকে সীতার খোঁজ নিয়ে আসা, লেজে আগুন নিয়ে পুরো লঙ্কা জ্বালিয়ে দেওয়া, লক্ষ্মণের জন্য জড়িবুটি নিয়ে আসা, পাতালে রাবণের ভাই অহিরাবণের বন্দীত্ব থেকে রাম-লক্ষ্মণকে উদ্ধার করা ছাড়াও পুরাণ ও রামায়ণে হনুমানের অনেক ভূমিকার কথা বর্ণিত রয়েছে।
হনুমান বাল-ব্রহ্মচারী। অর্থাৎ, সংসারধর্ম পালন করেননি তিনি। হনুমান তার চাঞ্চল্য ও গতির জন্য প্রসিদ্ধ। মহাভারতে একবার হনুমানের উপস্থিতি দেখা যায়। ভীমকে যুদ্ধকলা শেখানোর উদ্দেশ্যে তিনি হাজির হয়েছিলেন। ত্রেতাযুগে জন্মানো হনুমান একাগ্রভাবে রামভক্তির কারণে রাম ও সীতা কর্তৃক অমর হওয়ার বর প্রাপ্ত হন। যেখানেই রামনাম করা হবে বা রামভক্তি প্রকটিত হবে, হনুমান সেখানেই গিয়ে বাস করবেন।
৫. বিভীষণও রামের বরে অমরত্ব পেয়েছিলেন
বাংলা তথা আধুনিক ভারতীয় সাহিত্যে বিভীষণকে বিশ্বাসঘাতক বলেই উল্লেখ করা হয়। কিন্তু রামায়ণে বিভীষণকে একজন ধার্মিক রাজা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। বিভীষণ রামশিবিরে যোগ না দিলে রাবণকে হারানো খুব কঠিন হতো রামের পক্ষে। রাবণকে বধ করার পরে শ্রীরাম বিভীষণকে লঙ্কার রাজা ঘোষিত করেন। রাজা হয়ে বিভীষণ লঙ্কার প্রজাদের মাঝে ধর্মপ্রচারে ব্রতী হন। অসুরপ্রবৃত্তি থেকে সরিয়ে এনে ধর্মে মতি করেন লঙ্কার রাক্ষসদের।
বিভীষণ সপরিবারে ধর্ম প্রচার করেছিলেন। পত্নী সরমা ও কন্যা ত্রিজাতাকে সাথে নিয়ে তিনি লঙ্কার প্রজাদের প্রভূত কল্যাণ সাধন করেছিলেন। বিভীষণের ধার্মিকতা ও সততায় প্রসন্ন হয়ে রাম লঙ্কাত্যাগের পূর্বে তাকে অমরত্বের বর দান করেন। অমর হওয়ার পাশাপাশি তার কাঁধে কিছু দায়িত্বও প্রদান করেন। বিভীষণকে শ্রীরাম পৃথিবীতে অবস্থান করে সত্য, সুন্দর ও ধার্মিকতা পালন করতে তথা প্রচার করতে নির্দেশ দেন।
৬. কৃপাচার্য অমর হয়েছিলেন কৃষ্ণের বরে
মহাভারতে যে কয়জন মহান গুরুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তন্মধ্যে কৃপ অন্যতম। তিনি গুরু দ্রোণাচার্যের শ্যালক ও অশ্বত্থামার মামা। 'কৃপ' অর্থ তীরের ডগা। মহাভারতে কৃপের জন্মের ব্যাপারে বলা হয়েছে, কৃপ ও তার বোন কৃপীর জন্ম হয়েছিল তীরের ডগা থেকে। পরিণত বয়সে কৃপীর সাথে দ্রোণের বিয়ে দিয়ে কৃপ কুরুবংশের গুরুর দায়িত্ব নেন। ধার্মিক হওয়া সত্ত্বেও শুধু গুরুধর্ম পালনের জন্য কৃপাচার্য কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে কৌরবদের পক্ষাবলম্বন করেন।
যুদ্ধ শেষে কৌরবপক্ষীয় যে তিনজন মহারথী বেঁচেছিলেন, তাদের মধ্যে কৃপাচার্য একজন। বাকি দুজন হলেন কৃতবর্মা ও অশ্বত্থামা। কৃষ্ণ পরীক্ষিতকে বাঁচানোর পরে কৃপের হাতে তার বিদ্যাশিক্ষার ভার দেন। কৃপ পরীক্ষিতকে শিক্ষিত করেন। দ্বারকার অন্ত হওয়ার পূর্বে শ্রীকৃষ্ণ কৃপাচার্যকে অমরত্বের আশীর্বাদ দিয়ে বলেন, শুধু দ্বাপরযুগেই নয় কলিযুগেও আপনাকে গুরুধর্ম পালন করতে হবে। কল্কি অবতারকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব আপনার।
৭. পরশুরামের চিরঞ্জীবিতা
পরশুরামকে বলা হয় বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার। পরশুরাম, রাম, কৃষ্ণ– এ অবতারগুলোকে বলা হয় আবেশ অবতার। কূর্ম বা নৃসিংহের মতো অবতারগুলোতে বিষ্ণু সরাসরি কোনো প্রাণী বা সত্ত্বার রূপ ধারণ করে অবতারিত হয়েছেন। কিন্তু আবেশ অবতারগুলোতে বিষ্ণু মানুষের দেহে পরমাত্মা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। পুরাণানুযায়ী, মানুষরূপে ভগবান অবতারিত হলে তাকে বলা হয় আবেশ অবতার। পরশুরাম ঋষি জমদগ্নির ঔরসে, মা রেণুকার গর্ভে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগতভাবে ব্রাহ্মণ হলেও প্রবৃত্তিতে ছিলেন ক্ষত্রিয়। এজন্য তাকে বলা হয় ‘ব্রাহ্ম-ক্ষত্রিয়'।
পরশুরাম শিবের কাছে শিক্ষালাভ করেন। শিব সন্তুষ্ট হয়ে তাকে একটি কুড়াল বা পরশু উপহার দিয়েছিলেন বলে তার নাম 'রাম' থেকে পরশুরাম হয়। ক্ষত্রিয় রাজা কার্তবীর্যার্জুন অন্যায়ভাবে তার বাবা জমদগ্নিকে হত্যা করে তাদের গরু কামধেনুকে চুরি করে নিয়ে গেলে পরশুরাম কুটিরে এসে দেখেন, তার মা বুক চাপড়ে আহাজারি করছেন। একুশবার বুক চাপড়ানোর জন্য পরশুরাম পৃথিবীকে একুশবার নিঃক্ষত্রিয় করেছিলেন। অন্যায়কারী ও আততায়ী ক্ষত্রিয়দের তিনি বধ করেন। তিনিও অমরত্ব লাভ করেছেন কলিযুগের শেষে কল্কিকে যুদ্ধকলায় পারদর্শী করার জন্য। পরশুরাম হবেন কল্কির প্রধান গুরু।
৮. বালক ঋষি মার্কণ্ডেয়
অন্যান্য চিরঞ্জীবীগণের চেয়ে মার্কণ্ডেয় ঋষির গল্পটি একটু আলাদা। মার্কণ্ডেয়র পিতার নাম মৃকান্ডু ও মাতার নাম মারুদমতি। মৃকাণ্ডুর সন্তান তাই মার্কণ্ডেয়। মার্কণ্ডেয় ছিলেন ভৃগুবংশজাত। তিনি একাধারে শিব ও বিষ্ণুর পরমভক্ত ছিলেন, যা সচরাচর দেখা যায় না পুরাণে। মৃকান্ডু ঋষিপত্নীকে নিয়ে পুত্রলাভের বাঞ্ছায় একবার শিবের তপস্যা শুরু করেন। শিব এসে তাদের দুটো বরের ভেতর একটি পছন্দ করতে বলেন। প্রথমটি হলো, সন্তান হবে বিচক্ষণ ও মহাধার্মিক; কিন্তু আয়ু হবে একদম কম। দ্বিতীয়টি হলো, সন্তান হবে স্থূলবুদ্ধি তবে দীর্ঘায়ু। মৃকান্ডু ও তার পত্নী প্রথমটি বেছে নেন। যথাসময়ে তাদের সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়।
সন্তানের আয়ু হবে পূর্বনির্ধারিত- ষোলো বছর। এটি জানার পরে মার্কণ্ডেয় শিবের তপস্যা শুরু করেন। বালক ঋষি তপস্যায় এতই লীন হতেন যে শিবলিঙ্গ জড়িয়ে ধরে জপ করতে করতে ঘুমিয়ে পড়তেন। মার্কণ্ডেয়র মৃত্যুর সময় হলে যমদূতরা এসে তার সামনে হাজির হয়। কিন্তু তার তপের প্রভাবে যমদূতেরা তার ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারে না। শেষে স্বয়ং যমরাজ মহিষে চড়ে সে স্থলে হাজির হন। তিনি তার ধর্মপাশ, যেটি কারো উপর পড়লে মৃত্যু অবধারিত- তা মার্কণ্ডেয়র উপর ফেলতে গিয়ে ভুলক্রমে শিবলিঙ্গে ফেলেন। শিব এতে প্রচণ্ড ক্ষেপে যান। ভক্তকে রক্ষার জন্য স্বয়ং এসে হাজির হন। যমের দিকে ত্রিশূল উঁচিয়ে ধরলে যম ভয় পেয়ে যান। মার্কণ্ডেয়কে দীর্ঘায়ুর বর দিয়ে তাড়াতাড়ি স্থানত্যাগ করেন যমরাজ। মহাদেবও মার্কণ্ডেয়কে আশীর্বাদ করেন। মার্কণ্ডেয়র নামে একটি পুরাণই প্রচলিত আছে- 'মার্কণ্ডেয়পুরাণ' নামে।
আট চিরঞ্জীবী বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দেবতার বরে অমরত্ব লাভ করলেও একটি জায়গায় তারা এক। প্রত্যেকেই কল্কি অবতারের সাথে সংযুক্ত। পুরাণ বলছে, এরা সবাই কল্কিকে শিক্ষিত, সংগঠিত ও শক্তিমান করতে ভূমিকা পালন করবেন। মহাপ্রলয়ের সাথে অমৃতপানকারী দেবতাদের যেমন অন্ত হবে, তেমনই তারাও প্রাণত্যাগ করবেন। মহাপ্রলয়ে সবকিছু, সব প্রাণ ধ্বংস হলেও বেঁচে থাকেন শুধু তিনজন। যাদের পুরাণে বলা হয় ত্রিমূর্তি। পরের পর্বে বলা হবে ত্রিমূর্তির গল্প।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: বিভিন্ন পুরাণভেদে এসব কাহিনীতে মতান্তর রয়েছে, তাই অমিল পাওয়ার সম্ভাবনা রয়ে যায়। এই লেখাতে সর্বাধিক প্রচলিত কাহিনীই রাখার চেষ্টা করা হয়েছে।
This article is in Bangla. It describes the story of ‘Astha Cheranjeevis' who are immortal without having amrita according to Purans and Mahabharata.
Most of the necessary references have been hyperlinked inside the article and here are some reference books:
- বৃহৎ, সটীক ও সচিত্র সপ্তকাণ্ড কৃত্তিবাসী রামায়ণ (মূল রামায়ণ থেকে কৃত্তিবাস পণ্ডিত কর্তৃক পয়ার ত্রিপদী ছন্দে অনুবাদিত). সম্পাদনা : শ্রী বেনীমাধব শীল, প্রকাশক : অক্ষয় লাইব্রেরি (কলকাতা).
- সচিত্র কিশোর পুরাণ সমগ্র (২০১৫). দীন ভক্তদাস বিরচিত. প্রকাশক : অক্ষয় লাইব্রেরি (কলকাতা).
- পুরাণের গল্প. লেখক : উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী. মূল বই : উপেন্দ্রকিশোর সমগ্র (২০০৪). প্রকাশক : দে'জ পাবলিকেশন্স (কলকাতা, ৭০০ ০৭৩)
Featured Image: Newsgram