Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

পাকিস্তানের সাত দশকের অর্থনীতির দুরাবস্থা ও ব্যর্থতা

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভৌগোলিক অবস্থান আর পরাশক্তিদের রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশে দীর্ঘ সময় ধরে পাকিস্তান গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক নেতৃত্বে ভারতের উত্থানের পর আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে পাকিস্তানের প্রাসঙ্গিকতা আরো বেড়েছে। পাকিস্তানকে দেখা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ায় ব্যালেন্স অব পাওয়ার বজায় রাখার জন্য একটি প্রয়োজনীয় কাঠামো হিসেবে।

পরাশক্তিদের এই হিসাব-নিকাশে একটা দীর্ঘ সময় ধরেই পাকিস্তানের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ছিল। দেশটিতে পারমাণবিক অস্ত্রের মজুত আছে, কাশ্মীর সংকটে গুরুত্বপূর্ণ স্বার্থগোষ্ঠী হিসেবে সাত দশক ধরে নিজেদের ধরে রেখেছে, রয়েছে বিশাল সামরিক বাহিনী। ফলে, ভারতের সাথে ব্যালেন্স অব পাওয়ার রক্ষায় পরাশক্তিগুলোর কাছে বিকল্প একটি অপশন হিসেবে পাকিস্তানের প্রাসঙ্গিকতা দীর্ঘ সময় ধরেই আছে।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে সবসময়ই প্রাসঙ্গিক থেকেছে তুরস্ক; Image Source: The Indian Express

সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তান সংকটকে কেন্দ্র করে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বেড়েছে পাকিস্তানের অংশগ্রহণ, পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে বেড়েছে পাকিস্তানের প্রাসঙ্গিকতা। গত বছরের ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর পশতুন সংখ্যাগরিষ্ঠ যে সরকার আফগানিস্তানে এসেছে, সেটির উপর কর্তৃত্ব আছে কেবলমাত্র পাকিস্তান সরকার আর গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর। ফলে, আফগানিস্তানে মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবেলায় পশ্চিমা দেশগুলোকে নিতে হচ্ছে ‘Play Nice With Pakistan’ পলিসি।

রাজনৈতিক এই প্রাসঙ্গিকতা থাকলেও, বর্তমান সময়ে পাকিস্তান আলোচিত হচ্ছে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে। পাকিস্তানের মুদ্রা গত ৬ মাসে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত দুর্বল হয়েছে ডলারের বিপরীতে। ২৬৩ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি ছুঁয়েছে দুই অঙ্কের ঘর, গত বছর মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ১০.১ শতাংশ। জিডিপির ১০ শতাংশ রপ্তানির বিপরীতে আমদানি হচ্ছে ১৭ শতাংশ। ফলে সংকট দেখা দিয়েছে ব্যালেন্স অব পেমেন্টে। সবকিছু মিলিয়ে পাকিস্তানে ২০১৮ সালের সংকটের পুনরায় আবির্ভাব ঘটছে, মহামারি ক্ষেত্রবিশেষে এই সংকটকে আরো গভীর করেছে পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য।

মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি

পাকিস্তানের অর্থনীতিতে গত কয়েক বছর ধরেই ক্রমাগত উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি অধিকাংশ সময়ই ঘোরাফেরা করেছে দুই অঙ্কের কাছাকাছি সংখ্যায়। ২০০৯ সালে পাকিস্তানের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১৯.৫৬ শতাংশ, গত দশকের শুরুতে ২০১০ সালে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.১ শতাংশ, ২০১১ সালে এই হার ছিল ১৩.৬৬ শতাংশ। ২০১৩ সালে এই হার নেমে আসে ৭.৩৬ শতাংশে, ২০১৫ সালে মুদ্রাস্ফীতির হার ছিলো ৪.৫৩ শতাংশ, ২০১৬ সালে এই হার ছিলো মাত্র ২.৮৬ শতাংশ। মুদ্রাস্ফীতির এই ধারা ২০১৮ সাল পর্যন্ত বজায় থাকলেও, অর্থনৈতিক সংকট বাড়িয়ে দেয় ২০১৯ সালের মুদ্রাস্ফীতি, ২০২০ সালে এই মুদ্রাস্ফীতি ছিল ১০.৭৪ শতাংশ।

পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি; Image Source: BOL News

২০২০ সালের শুরুর দিক থেকেই পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতির ব্যাপক প্রভাব দেখা যাচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে, নিম্ন আয় আর নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষরা নিজেদের দৈনন্দিন জিনিসপত্র কিনতে পারছে না। এরমধ্যে প্রতিনিয়ত জিনিসপত্রের দাম বাড়া পাকিস্তানের অর্থনীতির পিরামিডের নিচের দিকে থাকা মানুষদের জীবনযাপনকে কঠিন করে তুলছে, ২০২১ সালের মুদ্রাস্ফীতি ছিল ৯ শতাংশের কাছাকাছি। একই ধারা বজায় থাকবে ২০২২ সালেও।

পাকিস্তান সরকারের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় সঠিক নীতি আর কার্যকর ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া শুরুর কথা বললেও, অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নয়নে এসব উদ্যোগ খুব কমই কাজে দিয়েছে। মাস হিসেবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২৩.৬ শতাংশ, জুলাইয়ে ১৭.৮ শতাংশ আর ২০২১ সালের এপ্রিলেও এই হার ছিল ১৫.৯ শতাংশ। এর ফলাফল হিসেবে খাদ্যদ্রব্য, ফলমূল, দুধ আর মাংসের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে, নিম্নবিত্তদের সংগ্রাম করতে হচ্ছে প্রোটিন আর ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার সংগ্রহ করতে।

পাকিস্তানে আইএমএফের বেইলআউট

ইন্টারন্যাশনাল মনিটরি ফান্ড (আইএমএফ) এর ১৮৯টি সদস্য দেশ রয়েছে। আন্তর্জাতিক সংস্থা হিসেবে আইএমএফ বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যে সহযোগিতা করে, অর্থনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখে, উৎসাহিত করে স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিকে। সদস্য দেশ হিসেবে আইএমএফ পাকিস্তানের অর্থনৈতিক ও অর্থায়নের নীতিগুলো দেখাশুনা করে। বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানকে স্বল্পমেয়াদী ঋণ দিয়েছে আইএমএফ। ১৯৫৮ সালে সদস্য হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত পাকিস্তান আইএমএফের সাথে ২২টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, ২১টি ঋণের মধ্যে ১২টি বেইলআউট নিয়েছে আইএমএফ থেকে।

সংকটকালে বারবার আইএমএফের দ্বারস্থ হতে হয়েছে পাকিস্তানকে; Image Source: The New York Times

১৯৮০ সালে ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান, ১৯৮১ সালে নেয় ১ বিলিয়ন ডলার, ১৯৮৮ সালে নেয় ০.৭ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে প্রায় অর্ধেকটাই ছিল বেইলআউট। ১৯৯৪ সালে আইএমএফ থেকে ১.২ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয় পাকিস্তান, ৬০০ মিলিয়ন বেইলআউট নেয় ১৯৯৫ সালে। ২০০০ সালে আবারো ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বেইলআউট নেয়, ২০০১ সালে ঋণ নেয় ১ বিলিয়ন ডলার। ২০০৮ সালে ৭.২ বিলিয়ন ডলারের বেইলআউট নেয়, ৪.৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নেয় ২০১৩ সালে।

আইএমএফের উপর পাকিস্তানের এই নির্ভরশীলতার বিভিন্ন দিক রয়েছে, রয়েছে বিভিন্ন মাত্রার বিশ্লেষণ। রপ্তানির চেয়ে আমদানি ব্যয় অনেক বেশি হওয়ায় ২০১৯ সালে আবারো আইএমএফের দ্বারস্থ হয়ে পাকিস্তান, চেষ্টা করে ৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে। তবে, পূর্ববর্তী সংস্কারগুলো নিয়ে আইএমএফের হতাশা লুকিয়ে থাকেনি, এই ঋণ না পেয়ে পরবর্তীতে পাকিস্তানকে দ্বারস্থ হতে হয় সৌদি আরবের কাছে।

আইএমএফের কাছ থেকে বার বার ঋণ নিলেও পাকিস্তানের ব্যবসায়িক পরিবেশের উন্নতি ঘটেনি। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেনি, অর্থনৈতিক কাঠামোতে রয়েছে সামরিক বাহিনীর বিপুল প্রভাব।

সৌদি আরবের কাছ থেকে সহযোগিতা

ব্রিটিশদের কাছ থেকে স্বাধীনতা অর্জনের পর থেকেই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার মধ্যে দিয়ে গেছে পাকিস্তান, যার ফলে সবসময়ই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক খাত। সাত দশকের ধরেই পাকিস্তানের অর্থনীতি নিষ্প্রভ প্রবৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, মুদ্রাস্ফীতি অধিকাংশ সময়েই থেকেছে দুই অঙ্কের কাছাকাছিতে, আমদানি ব্যয় আর রপ্তানি আয়ের মধ্যে বিদ্যমান অসামঞ্জস্য দূর করতে বিভিন্ন জায়গা থেকে নিতে হয়েছে ঋণ। পাকিস্তানের এই ভঙ্গুর অর্থনীতির বোঝা আরো বাড়িয়েছে তাদের বিপুল সামরিক ব্যয়, বাজেটের ৫ থেকে ১০ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে এই খাতে।

সৌদি আরবের প্রথাগত মিত্র পাকিস্তান; Image Source: Brookings Instite

ভঙ্গুর অর্থনীতিতে আমদানি ব্যয় মেটাতে ২০১৮ সালে সৌদি আরবের কাছ থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয় পাকিস্তান। সৌদি আরব পাকিস্তানের বন্ধুপ্রতিম দেশ হলেও, এই ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের জন্য প্রায় ৪ শতাংশ সুদ আরোপ করে তারা। পরবর্তীতে দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটলে পাকিস্তান চীনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে তিন দফায় এই ঋণ পরিশোধ করে। মূলত, ভারত কাশ্মীরকে কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নেওয়ার পর, কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে সৌদি আরবের।

প্রতিরক্ষা ব্যয়

পাকিস্তান ব্রান্ডিট লাইনের দক্ষিণে অবস্থিত উন্নয়নশীল দেশগুলোর একটি। ভঙ্গুর অর্থনীতির মধ্যে থেকেই গড়ে মোট সরকারি ব্যয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর পেছনে খরচ করেছে পাকিস্তান। নব্বইয়ের দশকের পুরোটা সময় জুড়েই বজায় ছিল এই ধারা। গত দশকে এই হার ২০ এর নিচে আসে, ২০১৫ সালে মোট সরকারি ব্যয়ের প্রায় ১৮ শতাংশ ব্যয় হয় সামরিক বাহিনীর পেছনে। পরের দুই বছর এই ব্যয়ের হার কিছুটা কমলেও, ২০১৮ সালে সামরিক ব্যয় আবার পৌঁছায় মোট সরকারি ব্যয়ের ১৯ শতাংশে। ২০১৯ ও ২০২০ সালে ব্যয়ের শতাংশ কমলেও, বেড়েছে সামরিক বাজেট। জিডিপির হিসেবে এটি পাকিস্তানের মোট জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশের কাছাকাছি। প্রতিবেশী দেশ ভারতের ক্ষেত্রে এই হার ২.৫ এর কাছাকাছি, মোট জনসংখ্যার অনুপাতে সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যাও পাকিস্তানে তুলনামূলকভাবে বেশি।

সামরিক বাহিনীর পেছনে বিপুল ব্যয় করে পাকিস্তান; Image Source: Modern Diplomacy

ভঙ্গুর অর্থনীতির দেশের সামরিক বাহিনীর পেছনে এই বিপুল ব্যয় পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য সুখকর হয়নি, অর্থনীতির নেতিবাচক দিকগুলোকেই বেশি প্রকাশ করেছে। পাকিস্তানের এই অর্থনৈতিক সংকটের সময়ও সামরিক বাহিনীর ব্যয় কমানো সম্ভব হয়নি। আঞ্চলিক নিরাপত্তা ঝুঁকিকে কেন্দ্র করে এই বিপুল সামরিক ব্যয় পাকিস্তানের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করেছে, শিল্পায়নের গতিকে আঁটকে দিয়েছে, বেসরকারি খাতের বিকাশকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে।

ভবিষ্যৎ সংকট

১৯৯০ সালে পাকিস্তানের অর্থনীতির আকার ছিল ৪০ বিলিয়ন ইউএস ডলার, বর্তমানে সেই অর্থনীতির আকার প্রায় ২৬৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার। জনসংখ্যা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মতো পাকিস্তানের জন্যও আবির্ভূত হয়েছিল স্বাধীনতার পরপরই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পাকিস্তান সরকার বিভিন্ন বিষয়ে সাফল্য দেখিয়েছে, ১৯৯০ সালে নারীপ্রতি প্রজনন সংখ্যা যেখানে ছিলো ৬.২, বর্তমানে সেটি ৩.৫। বেড়েছে প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি হচ্ছে শতকরা ৯৬ শতাংশ শিশু, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যাচ্ছে এদের প্রায় অর্ধেক। এই অর্জনগুলোর পরেও, পাকিস্তানের জনসংখ্যা দ্রুতগতিতে বাড়ছে, গত ত্রিশ বছরে দ্বিগুণ হয়েছে পাকিস্তানের জনসংখ্যা। বর্তমানে পাকিস্তানের জনসংখ্যা ২২ কোটির বেশি, ২০৫০ সালের মধ্যে যেটি ৪০ কোটিতে পৌঁছাবে। এটি বিশাল বাজার তৈরির সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিলেও, বেসরকারি খাত বিকশিত না হওয়ায় এই জনগণের চাপে পাকিস্তানের অর্থনীতি আরো গভীর সংকটের মুখে, যেটি পরবর্তীতে তৈরি করতে পারে রাজনৈতিক সংকটও।

পাকিস্তানের অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে নীতিনির্ধারকদের উপর; Image Source: Geo.tv

২০১০ সালে পাকিস্তানে বেকারত্বের হার ছিল ০.৬৫ শতাংশ, যেটি ২০১৪ সালে দাঁড়ায় ১.৮৩ শতাংশে। পরবর্তীতে এই হার দ্রুতগতিতে বেড়েছে, বর্তমানে বেকারত্বের হার প্রায় ৫ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারও সংকুচিত হচ্ছে, পাকিস্তানের অর্থনীতির জন্য সামনে আরো গভীর সংকটের ইঙ্গিত দিচ্ছে। এই সংকটগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে পাকিস্তানের অর্থনীতিকে ঢেলে সাঁজাতে হবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ দিতে হবে, বেসরকারি খাতের বিকাশকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে হবে।

This article is written in Bangla about the state of Pakistan's economy. All the necessary links are hyperlinked inside. 

Feature Image: India Express

Related Articles