Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

দেবদাস: বাংলা সাহিত্যের বিখ্যাত ট্র্যাজেডি

কিছু কিছু বন্ধুত্ব জীবনে এমনই প্রবল হয়ে যায় যে আলাদা করে আর প্রেমের জন্য জায়গা থাকে না। বন্ধুত্বের শেকড়ে গাঁথা বাল্যকালের প্রেমের গল্প, জীবনশেষে কী পরিণতি হয় তার? সবচেয়ে শুদ্ধ, সবচেয়ে গভীর প্রেম হয় জীবনের প্রথম প্রেমটি। সবকিছুর পরেও মনে স্থায়ী দাগ ফেলে দেয় প্রথম মন দেয়া-নেয়া। দেবদাস-পার্বতীর ক্ষেত্রেও এর ব্যত্যয় ঘটেনি। শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’ উপন্যাসে বাল্যকালের এমনই এক করুণ প্রেমের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। এতে ফুটে উঠেছে প্রথম ব্যথা, প্রথম সুখ এবং প্রথম কারো জন্য নিজেকে ভুলে যাওয়ার গল্প।

এদের প্রেমের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায় সেই চিরাচরিত সমাজ এবং পার্বতীর আত্মসম্মান। দেবদাস পার্বতীকে প্রত্যাখ্যান করে তার পরিবার ও সমাজের জন্য, আদতে যারা শেষপর্যন্ত তার আপন হতে পারেনি। পার্বতী ঠিক একই কাজ করে আত্মসম্মান থেকে। যে রাতে পার্বতী সবকিছুর পরোয়া না করে শুধুমাত্র তার দেবদাদার টানে চলে গিয়েছিলো, দেবদাস তার মূল্য দিতে পারেনি। এবং অন্যের অপমান যতটা সহজে সহ্য করা যায়, যার জন্য সব অপমান সহ্য করে গিয়েছে পার্বতী, তার কাছ থেকে অপমান সে নিতে পারেনি। তাই জবাব দিয়েছে পাল্টা আঘাতে। সেই আঘাত তাদের দুজনের জন্যই ছিল অনেক কঠিন, কিন্তু আত্মসম্মানটা একেবারে ছুঁড়ে ফেলে দিতে পারেনি সে।

দেবদাস; Source: muktochintablog

উপন্যাসটির সবচেয়ে মধুর দিনগুলো ছিল তাদের বাল্যকাল, যখন তারা মণকষার অঙ্ক শিখতে থাকলেও দূরে ছিল জীবনের নানা হিসাব-নিকাশ থেকেই। সম্পর্ককে কোনোকিছুর মাপে পরিমাপ করতে শেখেনি তখনো। পাঠশালায় পড়তে গিয়ে দেবদাসের পড়ায় ফাঁকি, পালিয়ে যাওয়া, লুকিয়ে থাকা এসবকিছুর সময়ই তার একজন সঙ্গী ছিল। সে পার্বতী, শুধুই পার্বতী। এখানে দেখা মেলে ধর্মদাসেরও, দেবদাসের আরেক চির শুভাকাঙ্ক্ষী। দেবদাস আর পার্বতীর জন্য অনুকূল এক ব্যক্তি। দুষ্টুমি করে পালিয়ে যাবার পর পার্বতী খাবার লুকিয়ে নিয়ে যায় তার দেবদার জন্য। এরপরও সুযোগ পেলেই সেই পারুকেই মারতো দেবদাস। এ যেন তার নিজের অধিকার প্রতিষ্ঠার আরেক ছল। তবু বড় সহজ এই সম্পর্ক। জটিলতার কিছুই চেনে না।

-তামাক খাবার কথা বলে দিলি কেন?

–তুমি মারলে কেন?

-তুই জল আনতে গেলি না কেন?

পার্বতী চুপ করিয়া রহিল।

-তুই বড় গাধা, আর যেন বলে দিসনে।

পার্বতী মাথা নাড়িয়া বলিল, না।

-তবে চল, ছিপ কেটে আনি। আজ বাঁধে মাছ ধরতে হবে

এভাবেই দূর হয়ে যেত বাল্যকালের সকল অভিযোগ-অভিমান আর রাগের কৌতূহল। রোদ-বৃষ্টি-ঝড়ে সারাদিন একসাথে ঘুরে বেড়ানো, সকল ফন্দি-ফিকিরের সমান ভাগীদার। একজন দুঃখ দেয়, অপরজন হাসিমুখে তা মেনে নেয়। এই দুঃখ তার কাছে সকল সুখের চেয়ে বেশি দামি বলেই মনে হয়। যে দুঃখ দেয়, তার দুঃখ যেন অপরজনের চেয়েও বেশি। এমনই সহজ হিসেবে কেটে যায় তাদের দিনগুলো, যতটা নিজের জন্য, তার চেয়ে বহুগুণ বেশি অপরজনের জন্য। প্রেম বুঝি এভাবেই শুরু হয়!

এমন প্রেমের ঘড়িতে বুঝি মিলনের পরেই শুরু হয় বিরহের ক্ষণ। দেবদাসকে পড়াশোনা করতে পাঠিয়ে দেয়া হয় কলকাতা শহরে, নিত্যদিনের সঙ্গী পারু রয়ে যায় সেই গ্রামেই। দেবদাসের সাথে কাটানো মুহূর্তগুলোকে পুঁজি করে কাটে পারুর দিন, আর তার দেবদা হয়তো মিশে গিয়েছে আজ শহরের আলোয়। শীঘ্রই বাড়ি না ফেরত পাঠালে সে পালিয়ে আসবে- এমনটাই বলে গিয়েছিলো পারুকে। কিন্তু হায়! সে পণও বুঝি ভাঙলো। চিঠির অপেক্ষা আর চিঠি লেখা, এ দুই-ই হয়ে ওঠে পারুর দিনাতিপাতের উপায়। এমন করে একদিন পার্বতী আবার পাঠশালায় যেতে চাইলো, সে-ও পড়াশোনা করতে লাগলো। অভ্যেসের পরিবর্তন হলেও স্মৃতিকাতরতা তাকে কখনোই ছাড়েনি। গ্রীষ্মের ছুটি হয়, দেবদাস বাড়ি আসে। অনেক কথা হয়, অনেক সময় কাটানোও হয়। তবু কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছে আগেকার দিন! কেউই নেই আগের মতো, দেবদাস বদলে গিয়েছে একটু বেশিই।

“সমাজের কথা, রাজনীতির চর্চা, সভা-সমিতি-ক্রিকেট, ফুটবলের আলোচনা। হায় রে! কোথায় সেই পার্বতী, আর তাহাদের সেই তালসোনাপুর গ্রাম। বাল্যস্মৃতিজড়িত দুই-একটা সুখের কথা যে এখন আর মনে পড়ে না, তাহা নয়- কিন্তু নানা কাজের উৎসাহে সে-সকল আর বেশীক্ষণ হৃদয়ে স্থান পায় না”।

বিভিন্ন সময়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দেবদাস’; Source: channelionline.com

পরেরবার গ্রীষ্মের ছুটিতে দেবদাস বাড়ি আসেনি। বিদেশ বেড়াতে গিয়েছিল। তাই এবার পিতামাতার বহু জেদের ফলে তার আগমন ঘটলো। আগমনের দিন পারুর সাথে দেখা হলো না, সেও এলো না। পরের দিন যখন পারুদের বাড়ি গেল, সবকিছু যেন নতুন রূপে তার সামনে ধরা দিলো। আগের সহজতা কেটে গিয়ে এসেছে রহস্যের চেহারা। দুজনের মাঝেই লজ্জামাখা এক অনুভূতি তাতে চোখাচোখি যত হয়, কথা ততটা জমে না। একে অপরকে বিস্ময়ের চোখে দূর থেকে দেখে আর,

“মনে পড়ে, সেই পার্বতী এই পার্বতী হইয়াছে! পার্বতী মনে করে, সেই দেবদাস- এখন এই দেবদাসবাবু হইয়াছে!”

ঘটনাক্রমে দেবদাসের সাথে পারুর বিয়ের কথা ওঠে। প্রস্তাবটা আসে পারুর মায়ের কাছ থেকেই। কিন্তু জমিদারবাড়ির সাথে বুঝি ঠিক মিলটি হলো না, সে প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলো।

এই সম্পর্ক যে বিয়ে ছাড়া চিরস্থায়ী হতে পারে না, এমন ভাবনা তাদের কেউই ভাবেনি। কিন্তু সকলের আলোচনা আর চারপাশের আবহাওয়া, একে অপরের প্রতি প্রবাসী লজ্জা এসব যেন এই সত্যটির প্রতিই নির্দেশ করছিলো! তাই,

কে জানিত সেই কিশোর-বন্ধন বিবাহ ব্যতীত কোনোমতেই চিরস্থায়ী করা যায় না! ‘বিবাহ হইতে পারে না’ এই সংবাদটা পার্বতীর হৃদয়ের সমস্ত আশা-আকাঙ্ক্ষা তাহার বুকের চিতর হইতে ছিঁড়িয়া ফেলিবার জন্য টানাটানি করিতে লাগিল।

তবু মনে মনে দেবদাসকেই বর হিসেবে গ্রহণ করা পার্বতী যেন নিজের মধ্যে সকল কষ্ট সয়ে যেতে থাকে। সই মনোরমার কাছে সে একথা স্বীকার করে। এও বুঝতে পারে যে দেবদাস তাকে বিয়ে করবে কিনা এই প্রশ্ন তাকে নিজেকেই জিজ্ঞেস করতে হব। এখানে এসে পার্বতীর চরিত্রের দৃঢ়তা স্পষ্টভাবে প্রকাশ পায়। এখনের যুগেও মেয়েরা এমন পদক্ষেপ নিতে গেলে হাজারবার ভাববে, কিন্তু শরৎচন্দ্রের পার্বতী সে দ্বিধায় ভোগেনি।

গভীর রাতে সবার চোখে ফাঁকি দিয়ে দেবদার ঘরে যায় পার্বতী। তার এই সাহসই বুঝিয়ে দেয় দেবদাসের প্রতি তার প্রেমের গাঢ়তা। দেবদাস চমকে যায়। পার্বতী কেন এভাবে এসেছে তার চাইতেও তার কাছে বড় হয়ে ওঠে সম্মানের ব্যাপারটি। পার্বতীর বদনাম যাতে না ঘটে এজন্যই হয়তো তার এই দুর্ভাবনা। তারপর একটিমাত্র প্রশ্ন,

পারু, আমাকে ছাড়া কি তোমার উপায় নেই?

সে প্রশ্নের জবাব দেবার হয়তো প্রয়োজন ছিল না। নীরবতাই সার। সেদিন রাতে আবার পার্বতীকে বাড়ি পৌঁছে দেয় দেবদাস।

কিন্তু উপায় হলো না, পিতা মানলেন না।

দেবদাসও পারুকে কিছু না জানিয়েই শহরে চলে গেলো। পারুর মুখামুখি হবার সাহস আর বাকি ছিল না তার মধ্যে। সেখান থেকে একটা চিঠি পাঠালো, যাতে লেখা ছিলো পারু যেন তাকে ভুলে যায়। দেবদাসের চরিত্রের দুর্বলতা প্রথমবার প্রকাশ পায়, এবং এজন্যই প্রেমের গল্পটি মিলনের না হয়ে চির বিরহের খাতায় নাম লেখায়।

স্বাভাবিকভাবেই চিঠি পেয়ে পার্বতী ভেঙে পড়ে। কিন্তু আত্মসম্মান রক্ষার জন্যই তার মধ্যে দেবদাসের জন্য জন্ম নেয় ক্ষোভ। ভালোবাসার মানুষটির জন্য সকল অপমান সহ্য করা যায়, কিন্তু জীবনের সবচেয়ে বড় অপমানটি যখন তার কাছ থেকেই আসে, তখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে যায়। পারুরও তা-ই হয়!

দেবদাস তার ভুল বুঝতে পারে, তবে কিছুটা দেরিতে। সে আবার বাড়ি ফিরে আসে। পারুর সম্মতিতেই বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছে ততদিনে। অনেক চেষ্টা করেও দেবদাস কিছুদিন পারুর সাথে দেখা করতে পারলো না। একদিন, পুকুরঘাটে দেখা মিললো পার্বতীর।

পূর্বের কথা মনে করিয়ে দিয়েও পাথর হয়ে যাওয়া পার্বতীর রুক্ষতা দূর হলো না। এবার বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যান এলো অপরপক্ষ থেকেই।

বিবাহ সুসম্পন্ন হলো। দুজনেই ফিরে গেলো দুজনার গন্তব্যে, সঙ্গী থেকেও সঙ্গীবিহীন।

আত্মগ্লানি আর বিরহে দেবদাস বেছে নিলো চুনিবাবুর সঙ্গ। চুনিবাবুর সাথে গিয়ে দেখা মিললো চন্দ্রমুখীর

চন্দ্রমুখী, এই ত্রিভুজ প্রেমের আরেকটি অংশ। পেশায় বাইজী। সকলের মনোরঞ্জন করা তার কাজ, তবু স্বীয় ব্যক্তিত্বে সে প্রচন্ড প্রবল। এই প্রবলতা দেবদাসকে ছুঁতেও পারলো না, নাকি অনেকখানি ছুঁয়ে দিলো? প্রথম দেখা থেকেই চন্দ্রমুখীর মন জুড়ে রইলো দেবদাস। নিজের সর্বস্ব যেন বিনা ঘোষণায় সে সঁপে দিল দেবদাসের চরণে।

এমনই সম্পর্কের জন্য যেন বলা যায়, “যাহা চাই তাহা পাই না। যাহা পাই তাহা ভুল করে পাই।”

সারা দিনরাত মদ্যপানে ডুবে গেলো দেবদাস, চন্দ্রমুখী বা চুনিলাল কেউই তাকে ফেরাতে পারেনি। কী করে পারবে? এ ডুবে থাকা যে অন্য কারো জন্য। আজো সে শুধু পার্বতী!

বয়স্ক স্বামীর দ্বিতীয়া স্ত্রী হয়ে ঘরকন্যা সামলাতে লাগলো পার্বতী। এ ক’দিনেই তার মধ্যে এসে পড়েছে অদ্ভুত পরিপক্বতা! ভুবন চৌধুরীর জমিদারবাড়িতে পার্বতীই করত্রী, তাকে তো পরিপক্ব হতেই হবে। সে যে আর তার দেবদার খেলার সাথী নয়, আজ সে  জমিদারগিন্নী! সৎ ছেলে-মেয়ে সবার মন জয় করে নিলো পারু। তার সংসার বেশ ভালোই চলতে লাগলো। তবু মাঝে মাঝে আরশিতে এই সোনার মুখে চাঁদের সেই কলঙ্ক দেখে চোখ ভেজে কি? হয়তো ভেজে।

চন্দ্রমুখীই এখন দেবদাসের নিত্যদিনের সঙ্গী। কিন্তু জ্ঞানত তার কাছে দেবদাস আসতে পারে না। মাতাল না হলে এখানে সে পা ফেলতে পারে না। মদ্যপানে বারণ করলে সে বলে,

সহ্য করব বলে মদ খাইনে। এখানে থাকব বলে শুধু মদ খাই।

শয়নে-স্বপনে-আধো জাগরণে সে মদের নেশায় চুর হয়ে থাকে, চন্দ্রমুখীকে ‘সহ্য’ করে। চন্দ্রমুখী নিঃস্বার্থ বন্ধুর মতো তার সঙ্গ দিয়ে যায়।

ত্রিভুজ প্রেমের এই গল্পে চন্দ্রমুখী সবসময়ই ফাঁকির খাতায় থেকেছে। দেবদাসের সঙ্গ পেয়েও সে কখনো তার জন্য ‘একমাত্র’ কিংবা ‘প্রথম’ হতে পারেনি। ওদিকে পারু আর দেবদাস স্মৃতিময় প্রেমে এতটাই আচ্ছাদিত যে দূরত্ব, সামাজিক বন্ধন কিছুই তাদের মন থেকে সেই চিরপ্রেমের অনুভূতি সরাতে পারেনি। তবু চন্দ্রমুখী নিজেকে দেবদাসের কাছে সঁপে দিয়ে শুদ্ধ হয়েছে। তার মনে হয়েছে একজন বাইজীর জীবনে এটাই সর্বোচ্চ প্রাপ্তি।

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়; Source: theindependentbd.com

শরৎচন্দ্রের ট্র্যাজিক উপন্যাস ‘দেবদাস’। বেশ কিছু ভাষায় অনূদিত হয়েছে এটি, একাধিকবার এ থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রও। এর রচনা ১৯০১ সালে ও প্রকাশিত হয় ১৯১৭ সালে। প্রথম চলচ্চিত্ররূপটি ছিল নির্বাক, ১৯২৮ সালে। বিরহের জন্য খ্যাত এর কাহিনী ও চরিত্রগুলো। বিরহের দুটো মাত্রা এখানে দেখতে পাই, দূরে থেকে দেবদাস ও পার্বতীর এবং কাছে থেকেও বিরহব্যথায় জর্জরিত চন্দ্রমুখীকে। বিরহের মাত্রা সর্বোচ্চ হবার পরই উপন্যাসটির ইতি ঘটে। তালসোনাপুর গ্রামের চিত্রকল্পে সাজানো বাল্যকালের প্রেম, কলকাতা শহরের আধুনিক যুবা দেবদাস, পার্বতীর জমিদারি সংসার কিংবা চন্দ্রমুখীর সুরা ও সঙ্গীতে ঘেরা জীবনে ভক্তির গভীর ছায়া- সবকিছুই কিছুটা ব্যক্ত, কিছুটা অব্যক্ত করে প্রকাশিত হয়েছে। গভীরতায় চরিত্রগুলো অতল, প্রেমে অসীম, বিরহে প্রচণ্ড কাতর। উনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি মধ্যবিত্ত হিন্দুসমাজের সংস্কার, প্রথা আঁকড়ে ধরার রীতি এবং সেইসাথে বিলেতি কায়দার প্রতি একধরনের আকর্ষণ, জমিদারদের বাইজী নাচের প্রতি দুর্বলতা সব মিলিয়ে ‘দেবদাস’ উপন্যাসটি একটি স্পষ্ট ছবি দেওয়ার চেষ্টা তখনকার সময় ও সমাজ সম্পর্কে। সংস্কারের প্রাচীন দেয়াল ভেঙে অসম প্রেম মাথাচাড়া দিয়ে উঠলেও তাকে চাপা পড়তে হয় পরম্পরার বোঝার নিচে। ভাগ্যে লেখা থাকে শুধুই বিরহ ও স্মৃতিমেদুরতা।

ফিচার ইমেজ- Edited by writer

Related Articles