Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বার্লিন এবং লন্ডন পেশেন্ট: এইচআইভি জয় করা দুই ব্যক্তির গল্প

মরণব্যাধি, শব্দটি শোনার সাথে সাথেই আমাদের সকলের মনে যে রোগটির কথা উঁকি দেয়, তা হলো এইডস। আর এইডস ছড়ায় এইচআইভি ভাইরাসের মাধ্যমে। মানবদেহে এইচআইভি ভাইরাস সর্বপ্রথম শনাক্ত করা হয় ১৯৬৯ সালে, কঙ্গোর এক নাগরিকের রক্তে। যদিও এর আগে থেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম এইচআইভি ভাইরাস শনাক্ত করা হয় ১৯৮৯ সালে। তবে আশির দশকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এইডস তার সর্বগ্রাসী রূপটি দেখিয়েছিল। রীতিমতো মহামারীর আকার ধারণ করেছিল। 

এইচআইভি ভাইরাস শনাক্তকরণের পর থেকেই ডাক্তার, বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রতিষেধক খুঁজতে বা আবিষ্কার করতে বছরের পর বছর ল্যাবরেটরিতে কাটিয়ে দিয়েছেন। এখনও কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত না হলেও, এইচআইভি ভাইরাস থেকে মুক্তির একটি পথ বের করতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।

HIV 3d model
এইচআইভি ভাইরাসের থ্রিডি মডেল; Image Source: visual-science.com

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব মতে, বর্তমানে পৃথিবীতে এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি। এই ৪ কোটি মানুষের মধ্যে মাত্র দুজন ভাগ্যবান ব্যক্তি এইডস থেকে আরোগ্য লাভ করতে পেরেছেন। প্রথমজন বার্লিন পেশেন্ট হিসেবে খ্যাত টিমোথি রে ব্রাউন। আর দ্বিতীয়জনের নাম এবং ছবি এখনো গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় তাকে লন্ডন পেশেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে। প্রথমে টিমোথির এইচআইভি এইডস কীভাবে জয় করলেন সেই গল্পই জানা যাক।

টিমোথির এইচআইভি জয়ের গল্প  

বার্লিন পেশেন্ট হিসেবে পরিচিত টিমোথি রে ব্রাউনের জন্ম ১৯৬৬ সালে। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে জন্ম নেয়া টিমোথি তার জন্মস্থান ওয়াশিংটনে এইচআইভি এবং যৌন সচেতনতা নিয়ে কাজ করতেন। তিনি কখনো কল্পনাও করতে পারেননি, যে মরণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে তিনি কাজ করতেন, সেই এইচআইভি ভাইরাসই তার শরীরে বাসা বাঁধবে! টিমোথির শরীরে সর্বপ্রথম এইচআইভি ভাইরাস ধরা পড়ে ১৯৯৫ সালে।

এইচআইভি ধরা পড়ার পর তিনি ওয়াশিংটন ছেড়ে বার্লিনে চলে যান। কারণ ওয়াশিংটনে তিনি নিজেকে সমাজের বোঝা হিসেবে ভাবতে শুরু করেছিলেন। তার দিকে মানুষের তির্যক দৃষ্টিভঙ্গি তিনি সহ্য করতে পারেনি। তিনি বার্লিনে এমন একটি কমিউনিটি খুঁজে পেয়েছিলেন যেখানে তাকে কেউ এইচআইভি আক্রান্ত বলে খারাপ চোখে দেখেনি। বার্লিনেই তিনি প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় থেকেছেন। এই দশ বছরে তিনি এন্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ সেবন করে তার দেহে বাসা বাঁধা এইচআইভিকে নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলেন। এই ওষুধ কেবল এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তিকেই গ্রহণে পরামর্শ দেয়া হয়। এটি এইচআইভি ভাইরাসকে নিশ্চিহ্ন করতে পারে না। তবে এর বৃদ্ধি ঠেকাতে পারে।

২০০৬ পর্যন্ত বার্লিনেই বসবাস করেছেন টিমোথি। ২০০৬ সালে তিনি একটি বিয়ের দাওয়াতে অংশ নিতে নিজের দেশ যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে গিয়েছিলেন। নিউ ইয়র্কে গিয়েই তিনি কিছুটা অসুস্থ বোধ করতে থাকেন। বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করে আবারো বার্লিনে ফিরে গিয়ে ডাক্তার দেখান। ডাক্তাররা প্রথমে ভেবেছিলেন আকাশপথে ভ্রমণের কারণে জেট ল্যাগ থেকে তার অসুস্থতা অনুভব হতে পারে। কিন্তু কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষার পর তিনি জানতে পারলেন তিনি লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন! একে তো এইচআইভি আক্রান্ত তার উপরে লিউকেমিয়া! মানে ব্লাড ক্যান্সার! টিমোথির মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়লো। কিন্তু এই লিউকেমিয়াই তার জন্য সৌভাগ্যের বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছিল।

বার্লিন পেশেন্ট তথা এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভ করা প্রথম ব্যক্তি টিমোথি রে ব্রাউন; Image Credit: T.J. Kirkpatrick/Getty Images

লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত জেনে টিমোথির ডাক্তাররা সিদ্ধান্ত নিলেন, তারা টিমোথির শরীরের পুরো ইমিউন সিস্টেমকে (রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা) সম্পূর্ণরূপে প্রতিস্থাপন করে নতুন ইমিউন সিস্টেম সৃষ্টি করবেন। এজন্য টিমোথিকে রেডিয়েশন এবং কয়েক ধাপের শক্তিশালী কেমোথেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। প্রথম কেমোথেরাপি তিনি বেশ ভালোভাবেই পার করতে পেরেছিলেন। দ্বিতীয় কেমোথেরাপির পর তিনি ফাঙ্গাল নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। আর তৃতীয় কেমোথেরাপির পর একেবারে কোমায় চলে গিয়েছিলেন।

একদিন পর কোমা থেকে ফিরে এসে তিনি ইতালি চলে যান বেড়াতে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় টিমোথির ডাক্তার হিসেবে তত্ত্বাবধানে ছিলেন ডক্টর হিউয়েটার। তিনি টিমোথির জন্য বার্লিন স্টেমসেল ব্যাংকে স্টেম সেল ডোনার খুঁজতে থাকেন। তিনি ভাবলেন, যেহেতু বোনম্যারো অপারেশনের মাধ্যমে পুরো ইমিউন সিস্টেমই বদলে ফেলা হবে, তাই এমন একটি স্টেম সেল খুঁজে বের করতে হবে, যার মিউটেশন প্রকৃতি এইচআইভি প্রতিরোধী। তাহলে টিমোথির শরীর থেকে এইচআইভি ভাইরাস নির্মূল হয়ে যেতে পারে।

অনেক খুঁজে খুঁজে তিনি এই ধরনের একটি স্টেম সেলসমৃদ্ধ বোনম্যারোর সন্ধানও পেয়েছিলেন। এই স্টেমসেলকে বলা হয় সিসিআর৫ ডেল্টা ৩২ মিউটেশন। এই সিসিআরফাইভ এক ধরনের জিন, যা কোষের ভেতর এইচআইভি ভাইরাস ঢুকতে সাহায্য করে থাকে। অর্থাৎ এই সিসিআর ফাইভ মিউটেন্ট সেল (অর্থাৎ যেই সেলে সিসিআর ফাইভ জিন নেই) যদি টিমোথির শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে পুরোপুরিভাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে তাহলে তিনি এইচআইভি থেকে সম্পূর্ণরুপে মুক্তি পাবেন।

এর মধ্যে টিমোথি ইতালি থেকে ছুটি কাটিয়ে আবারো বার্লিনে আসেন। ইতোমধ্যে তার লিউকেমিয়াও অনেকটা ভালোর দিকে। টিমোথিকে যখন তার ডাক্তার বোনম্যারোর স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের কথা জানান, তখন টিমোথি এই ঝুঁকি নিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ স্টেমসেল ট্রান্সপ্লান্টেশনের সফলতার হার তেমন একটা বেশি না। আর নিজেকে তিনি ডাক্তারি গবেষণার গিনিপিগ হিসেবে ব্যবহার হতে দিতে চাননি। কিন্তু ভাগ্যে যার সুফল লেখা হয়ে গেছে, সেই লেখা কি আর বদলানো যায়?

সিসিআর ফাইভ জিনের অনুপস্থিতি কোষের মধ্যে এইচআইভি ভাইরাসের প্রবেশে বাঁধা দেয়; Image Source: Parent’s Guide to Cord Bloodmutation 

২০০৬ সালের শেষ দিকে টিমোথি আবারো লিকেমিয়ায় আক্রান্ত হন। এবার তিনি বুঝতে পারলেন তার আসলে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন ছাড়া ভালো হবার আর কোনো উপায় নেই। ডাক্তারের সাথে কথা বলে তিনি প্রথম স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্ট করান ২০০৭ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি। টিমোথির মতে,

এদিন আমি নতুন করে জন্ম লাভ করেছিলাম।

ডাক্তারের পরামর্শে ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের আগে টিমোথি এইচআইভিরোধক এন্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ খাওয়া বন্ধ করেছিলেন। প্রথম স্টেম সেল ট্রান্সপ্ল্যান্টেশনের ৩ মাস পর তার রক্ত পরীক্ষা করে আর এইচআইভির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। এরপর তিনি তার দৈনন্দিন জীবনযাপন করতে শুরু করেন। জিমে ভর্তি হয়ে ফিটনেস বৃদ্ধি করতে থাকেন, যা এইচআইভির জন্য আগে সম্ভব ছিল না। কিন্তু সে বছরের শেষে ক্রিসমাস পালন করতে আবারও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। এবং আবারো লিউকেমিয়ায় আক্রান্ত হন।

এই পর্যায়ে তার ডাক্তার দ্বিতীয়বারের মতো একই স্টেম সেল ডোনারের কাছ থেকে স্টেম সেল নিয়ে দ্বিতীয় ট্রান্সপ্ল্যান্টের পরামর্শ দেন। এবার টিমোথি আর আপত্তি করেননি। তার সম্মতিক্রমের আবারো স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে তাকে চিকিৎসা দেয়া হয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয়বার অপারেশনের পর বেশ বিপদেই পড়েছিলেন তিনি। প্যারালাইজড হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। বেশ কিছুদিন দৃষ্টিহীন অবস্থায় হাসপাতালে কাটিয়েছেন। এরপর পক্ষাঘাতগ্রস্তদের জন্য বিশেষ চিকিৎসা কেন্দ্রে থেরাপি নিয়ে তিনি আবারো হাঁটাচলা করতে পেরেছিলেন। এরপর তার শরীরে আর এইচআইভির উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জার স্টেম সেলের গঠন; Image Source: stemcells.nih.gov

তার এই চিকিৎসা প্রক্রিয়া চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের মধ্যে বেশ সমালোচনার ঝড় তুললেও জনসম্মুখে তার নাম প্রচার করা থেকে বিরত ছিলেন। অবশেষে ২০১০ সালে টিমোথি এইচআইভি থেকে আরোগ্য লাভ করা প্রথম ব্যক্তি হিসেবে গণমাধ্যমে নিজের পরিচয় প্রকাশ করেন।

টিমোথির এক যুগ পর এইচআইভি মুক্ত হলেন লন্ডন পেশেন্ট

বার্লিন পেশেন্ট তথা টিমোথি রে ব্রাউনের পর দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে ব্রিটেনের একজন নাগরিক এইচআইভি থেকে মুক্ত হয়েছেন বলে খবরে প্রকাশ করা হয়েছে। তার নাম, ছবি এবং পরিচয় প্রকাশ না করা হলেও তাকে লন্ডন পেশেন্ট হিসেবেই গণমাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। গত ৫ মার্চ, ২০১৯ তারিখে, নেচারের স্বাস্থ্য বিষয়ক ম্যাগাজিনে এই নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ হবার পরই খবরটি সকলের চোখে পড়ে। লন্ডন পেশেন্ট নামক এই ব্যক্তির শরীরে ২০০৩ সালে এইচআইভি ধরা পড়ে।

টিমোথির মতো লন্ডন পেশেন্টেরও ক্যান্সারের প্রতিকার হিসেবে বোনম্যারো বা স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাকেও কয়েক ধাপ কেমোথেরাপির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। স্টেম সেল প্রতিস্থাপনের পর, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর থেকে প্রায় ১৮ মাস ধরে তিনি এন্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ সেবন থেকে বিরত ছিলেন। অর্থাৎ এইচআইভি ঠেকাতে তার কোনো ওষুধর খাওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। লন্ডন পেশেন্টের শরীরে যে স্টেম সেল প্রতিস্থাপন করা হয়েছে, সেটিও বার্লিন পেশেন্টের মতো সিসিআর ফাইভ ডেল্টা ৩২ মিউটেশন যুক্ত। অর্থাৎ এই স্টেম সেলের সিসিআর ফাইভ জিনটি এইচআইভি রিসেপ্টর হিসেবে কাজ করে না। তাই এর মধ্যে এইচআইভি প্রবেশ করতে পারে না।

অর্থাৎ যে উপায়ে টিমোথি এইচআইভি থেকে মুক্ত হয়েছিলেন, অনেকটা একই উপায়ে এই লন্ডন পেশেন্ট আরোগ্য লাভের পথে রয়েছেন। তবে তিনি পুরোপুরি এইচআইভি মুক্ত হয়েছেন কি না তা জানার জন্য আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। তার এন্টিরেট্রোভাইরাল ওষুধ খাওয়া ছাড়ার পর যদি এইচআইভি আর তার শরীরে বাসা না বাঁধে তবেই বলা যাবে তিনি এইচআইভি মুক্ত হতে পেরেছেন।  

তাহলে কি এইচআইভি প্রতিষেধক পেয়ে গেল পৃথিবী?

প্রথমে বার্লিন পেশেন্ট, তারপর একইভাবে লন্ডন পেশেন্ট এইচআইভি থেকে মুক্তির স্বাদ গ্রহণ করলেন। জনমনে এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, তাহলে কি মানবজাতি এইচআইভি ভাইরাসের প্রতিকার আবিষ্কার করেই ফেলল? এই প্রশ্নের উত্তর সোজাসুজিভাবে দেয়াটা বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। এমনকি ডাক্তার এবং বিজ্ঞানীরাও এই পদ্ধতিটিকে এইচআইভির প্রতিকার হিসেবে মানতে নারাজ।

লন্ডন পেশেন্টকে নিয়ে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের সাথে যুক্ত প্রধান চিকিৎসক রবীন্দ্র কে. গুপ্ত রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন,

ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো এইচআইভি নির্মূলের এই খবর যেন এইচআইভির প্রতিকার হিসেবে প্রচারিত না হয়।

প্রফেসর রবীন্দ্র গুপ্ত, লন্ডন পেশেন্টের এইচআইভি মুক্তির গবেষণার প্রধান গবেষক; Image Source: Africa Health Research Institute

এই গবেষণার সাথে যুক্ত আরেক চিকিৎসক ব্রুস ওয়াকার জানান,

বার্লিন বা লন্ডন পেশেন্ট যার কথাই ধরুন না কেন, তাদের ক্ষেত্রে এইচআইভি প্রতিকারের বিষয়টি শুধুমাত্র গবেষণার খাতিরে ব্যবহার করা হয়েছে। এখন দেখার বিষয় এই গবেষণালব্ধ ফলাফল জনসাধারণের জন্য কতটা কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।

রবীন্দ্র গুপ্ত আরো বলেন, লন্ডন এবং বার্লিন পেশেন্টের ঘটনা থেকে আমরা দেখলাম, যদি কোনো ব্যক্তির ইমিউন সিস্টেম থেকে সিসিআর ফাইভ জিন রিসেপ্টরকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়া হয়, তাহলে হয়তো সেই ব্যক্তি এইচআইভি আক্রমণ থেকে মুক্তি পাবেন। কিন্তু এজন্য প্রত্যেক এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তির স্টেম সেল প্রতিস্থাপন যেমন ব্যয়বহুল, তেমনি ঝুঁকিপূর্ণ। আর সিসিআর ফাইভ মিউটেন্ট স্টেম সেলও সহজলভ্য নয়। তবে জিন থেরাপির মাধ্যমে সিসিআর ফাইভ রিসেপ্টরকে নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। একমাত্র তখনই বলা যাবে, এইচআইভি ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এখনও এই প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

This is the Bangla article about only two HIV cured persons in human history. 
All the Sources are hyperlinked in the Article.
Feature Image: Reuters

Related Articles