Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কেউ কেউ ডানহাতি আবার কেউ কেউ বামহাতি কেন হয়?

সারা পৃথিবীতেই মানুষের মধ্যে জাতিগত, বর্ণগত কিংবা অভ্যাসগত পার্থক্য আছে। এসব মুখ্য পার্থক্যের পাশাপাশি কিছু সূক্ষ্ম পার্থক্যও আছে। মানুষের ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়ার পার্থক্যও এরকমই একটি। পরিসংখ্যান বলছে মানুষের প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশই ডানহাতি। তাহলে সাধারণ গণিতের হিসেবে বাকি ১০-১৫ শতাংশ বামহাতি হওয়ার কথা।

প্রাচীন যুগ থেকেই মানব সমাজে ডানহাতি মানুষ যেমন ছিল, কিছু সংখ্যক বামহাতি মানুষও ছিল। যদিও বামহাতি হওয়ার কারণে তাদের অনেককেই পোহাতে হয়েছে নানা ধরনের অত্যাচার। কারণ কোনো ব্যক্তি বামহাতি হলে ধারণা করা হত যে, ওই ব্যক্তি শয়তানের দ্বারা প্ররোচিত। কারণ বিভিন্ন সময়ে শয়তানকে বামহাতি হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে ‘Sinister’ বা ‘অশুভ’ শব্দটি এসেছে ‘Left’ শব্দটি থেকে।

৮৫-৯০ শতাংশ মানুষ ডানহাতি, বাকিরা বামহাতি হয়; Source: catholiccharities-sbc.org

মধ্যযুগে বামহাত দিয়ে কোনো ব্যক্তিকে লিখতে বা খাবার খেতে দেখলে তাকেও শয়তানের দ্বারা আক্রান্ত, কিংবা শয়তানের বন্দনাকারী হিসেবে আখ্যায়িত করা হতো। আধুনিক যুগ যদিও শিক্ষা-সংস্কৃতিতে অনেকদূর এগিয়ে গেছে এবং কুপ্রথা ও কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে এসেছে, তথাপি বামহাতি ব্যক্তিদের প্রতি সবারই আলাদা একপ্রকার মনোভাব আছে।

তো এই যে, মানুষের মাঝে ডানহাতি কিংবা বামহাতি বৈশিষ্ট্যের দেখা মেলে, এই বৈশিষ্ট্যের মূল রহস্য কী? কেন মানুষ হয় ডানহাতি অথবা বামহাতি হয়? 

মানুষের ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়ার পেছনে বিজ্ঞানী ও গবেষকগণ প্রধানত দুইটি তত্ত্বের কথা বলেন। প্রথমটি প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব এবং অপরটি জিন-তত্ত্ব। যদিও দুইটি তত্ত্ব কিছুটা ভিন্নরকম মতামত দেয়, কিন্তু দুইটি তত্ত্বের কোনো একটিকে ভুল প্রমাণ করার মতো তথ্য-উপাত্ত এই মুহূর্তে নেই। অর্থাৎ দুইটি তত্ত্বই তাদের ‘পয়েন্ট অফ ভিউ’ থেকে সঠিক। এদেরকে একে অপরের পরিপূরকও বলা চলে।

প্রাকৃতিক নির্বাচন তত্ত্ব অনুসারে, মানুষের ডানহাতি কিংবা বামহাতি বৈশিষ্ট্যের উদ্ভব হয়েছে মূলত মানুষের ভাষা ও কথা বলার ক্ষমতার কারণে। দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আসতে পারে যে ভাষা কিংবা সেই ভাষায় কথা বলার কারণে মানুষের ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়ার কী সম্পর্ক! সম্পর্ক আছে, বরং আরো বলা চলে ভাষা এবং সেই ভাষায় কথা বলা ছাড়াও লেখার ক্ষমতার কারণে এই ডানহাতি-বামহাতি স্বভাব সম্পূর্ণ হয়। কিন্তু কীভাবে?

একজন ডানহাতি মানুষের মস্তিষ্কের গঠন; Source: guernseydonkey.com

মানুষ তার আদি থেকে যোগাযোগের জন্য সংকেত ব্যবহার করতো। সেই সংকেত কালক্রমে ভাষায় রূপান্তরিত হয়েছে। আধুনিক মানুষের ভাষা বাস্তবে কিছু ধ্বনি বা সংকেত ছাড়া আর কিছুই নয়। প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ অনুসারে বেশিরভাগ মানুষের মস্তিষ্কের বাম অংশ ভাষা বা সংকেত প্রক্রিয়াকরণ করে। বাম মস্তিষ্ক আবার একই সাথে ডান হাতের পেশী নিয়ন্ত্রণ করে। কেবল ডান হাতের পেশীই নয়, ডান চোখ, ডান কান, ডান পা-ও নিয়ন্ত্রণ করে বাম মস্তিষ্ক।

ফলাফল দাঁড়াচ্ছে এই যে, ভাষা যেমন বলার সময় প্রথমে মস্তিষ্কে প্রক্রিয়াকরণ হয়, তারপর মুখে আসে, তেমনি লেখার সময় ভাষা প্রথমে মস্তিষ্কে প্রক্রিয়াকরণ হয় তারপর হাতে আসে। তাহলে, যাদের ভাষার প্রক্রিয়াকরণ হয় বাম মস্তিষ্কে, তাদের ডানহাত হবে কার্যকরী হাত। কারণ লেখার সময় ডান হাতের উপরই থাকবে লেখার ভার।

আগেই হিসেব দেওয়া হয়েছে যে, প্রায় ৮৫-৯০ শতাংশ মানুষ ডানহাতি। অর্থাৎ, এই ৮৫-৯০ শতাংশ মানুষের বাম মস্তিষ্কে ভাষার প্রক্রিয়াকরণ হয়। বাকি ১০-১৫ শতাংশের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ডান অংশে ভাষার প্রক্রিয়াকরণ হয়। এবং ডান মস্তিষ্ক বাম হাতের পেশী নিয়ন্ত্রণ করে। অর্থাৎ, তাদের ক্ষেত্রে বামহাতই হয় মুখ্য হাত। প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ অনুসারে মস্তিষ্কে ভাষার প্রক্রিয়াকরণের উপরই নির্ভর করে ব্যক্তি ডানহাতি হবে নাকি বামহাতি হবে।

বামহাতি মানুষের ডান মস্তিষ্কে ভাষার প্রক্রিয়াকরণ হয়; Source: webmd.com

জিন তত্ত্ব, মানুষের শারীরিক কিংবা মানসিক সকল প্রকার বৈশিষ্ট্যের ধারক এবং বাহক হচ্ছে জিন। কারো চোখ কালো, কারো আবার বাদামী, কারো সাদা অথবা কারো চুলের রঙ কালো, কারো লাল, কারো আবার সোনালী কিংবা কেউ নীল রঙ পছন্দ করে, কেউ সবুজ ইত্যাদি- এইসব শারীরিক বা মানসিক বৈশিষ্ট্যের মূল কারণ আলাদা আলাদা জিন।

মানুষের ডানহাতি বা বামহাতি হওয়ার ক্ষেত্রেও এ ধরনের কোনো জিনের অবদান আছে বলে বিজ্ঞানী এবং গবেষকরা মনে করেন। এক্ষেত্রে জেনেটিক মিউটেশন বা জিনগত পরিবর্তন অন্যতম ভূমিকা পালন করে।

সাধারণত একটি লোকেশনে একটি জিনের দুইটি অনুলিপি থাকে। এই অনুলিপিদ্বয়ের একটিকে অপরটির ‘অ্যালীল’ (allele) বলা হয়। ডান-বাম অসমতার ক্ষেত্রে একটি অ্যালীলকে বলা হয় D জিন। এই D এসেছে ‘Dextral’ শব্দ থেকে, যার অর্থ ‘Right’। অপর অ্যালীলটিকে বলা হয় C জিন। C এসেছে ‘Chance’ শব্দ থেকে। অ্যালীল জিন কীভাবে কাজ করে সেটি আগে জানা প্রয়োজন। একটি উদাহরণের সাহায্যে বিষয়টি বোঝা যাক।

ধরা যাক, কোনো মানুষের চোখের মনি বাদামী হওয়ার পেছনে একটি জিন কাজ করে। এর জিনোটাইপ ধরা যাক (Bb)। এখানে বাদামী বর্ণের জন্য দায়ী B জিনটি, কালো বর্ণের জন্য দায়ী b জিনের উপর প্রকট। বাদামী বর্ণের জন্য দায়ী জিন এসেছে পিতার জনন কোষ থেকে এবং কালো বর্ণের জন্য দায়ী জিন এসেছে মাতার জনন কোষ থেকে। তাহলে এই দুইটি জিন হচ্ছে একে অপরের অ্যালীল। এখানে যেহেতু B জিনটি প্রকট এবং b জিনটি প্রচ্ছন্ন, তাই সন্তানের চোখের মণির বর্ণ হয়েছে বাদামী।

ঠিক একইভাবে ডানহাতি হওয়ার ক্ষেত্রে প্রকট জিন হচ্ছে D জিন। বেশিরভাগ ডানহাতি মানুষের ক্ষেত্রে ডানহাতি হওয়ার জন্য মূলত এই D জিনের ভূমিকা থাকে। বামহাতিদের ক্ষেত্রে থাকে C জিনের ভূমিকা। তবে মানুষের মধ্যে D জিনের প্রকটতা বেশি থাকায় অধিক সংখ্যক মানুষ ডানহাতি হয়ে থাকে। তবে আধুনিক গবেষণা বলছে যে, কেবল C জিন প্রকট থাকলেও সেখানে বামহাতি হওয়ার সম্ভাবনা ৫০-৫০।

ডানহাতি বা বামহাতি হওয়ার জিনগত তত্ত্ব; Source: Edited

এখানে আরো একটি হাইপোথিসিস আছে। প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদ অনুসারে আমরা জানি যে, মানুষের মস্তিষ্কের যে অংশ ভাষা প্রক্রিয়াকরণ করে, তার বিপরীত হাত হয় মানুষের কর্তৃত্বপূর্ণ হাত। অর্থাৎ, বাম মস্তিষ্ক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ করলে মানুষ হয় ডানহাতি। এখানে জেনেটিক মিউটেশনের কিছু ব্যাপার আছে।

ডিসলেক্সিয়া নামক একপ্রকার রোগ আছে। সহজ কথায় এই রোগের উপসর্গ হচ্ছে কোনো কিছু পড়ার অক্ষমতা। কথা বলার ভাষার সাথে বর্ণ এবং অক্ষরের সামঞ্জস্য বুঝতে না পারাটাই হচ্ছে ডিসলেক্সিয়া রোগীর বৈশিষ্ট্য। কারণ ডিসলেক্সিয়া রোগটি মস্তিষ্কের সেই অংশকে আক্রান্ত করে যে অংশ ভাষার প্রক্রিয়াকরণ করে।

সাধারণ মস্তিষ্ক বনাম ডিসলেক্সিয়াগ্রস্ত মস্তিষ্ক; Source: brainconnection.brainhq.com

এই রোগের কারণ মূলত জেনেটিক মিউটেশন। অ্যালীল সম্বন্ধে জিন তত্ত্বে আলোচনা করা হয়েছে। প্রতিটি অ্যালীল জিনের ক্ষেত্রে দুইবার মিউটেশনের সুযোগ থাকে। জিনের এই মিউটেশনের পর অনেক ক্ষেত্রেই আসল বৈশিষ্ট্য পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে।

যেহেতু ডিসলেক্সিয়া মস্তিষ্কের ভাষা প্রক্রিয়াকরণ অংশে আক্রমণ করে, ফলে ব্যক্তির ডানহাতি বা বামহাতি হওয়ার ক্ষেত্রেও এর কোনো ভূমিকা থাকতে পারে। ডিসলেক্সিয়া রোগের জন্য পিসিএসকে-৬ (PCSK-6) নামক একটি জিনকে দায়ী করা হয়। মানুষের ডানহাতি বা বামহাতি হওয়ার ক্ষেত্রে এই বিশেষ জিনের কোনো ভূমিকা আছে কিনা তা নিয়ে গবেষকরা অনেক গবেষণা করেছে।

গবেষকরা বলছে যে, ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়ার জন্য পিসিএসকে-৬ জিনকে এককভাবে দায়ী করা যায় না, বরং এর সাথে সহযোগী হিসেবে আরো কতিপয় জিনের অবদান আছে। একত্রে এসব জিন মানুষের ডান-বাম অসমতার জন্য দায়ী। যেহেতু এখানে মিউটেশনের ব্যাপার আছে। কাজেই সর্বশেষ মিউটেশনের পরেই জানা যায় যে, আসলে ডান অংশ প্রধান, নাকি বাম অংশ।

এখানে আরো কিছু উল্লেখযোগ্য ব্যাপার আছে। ডান-বাম অসমতার জন্য দায়ী জেনেটিক প্রক্রিয়া যখন কোনো কারণে বিঘ্নিত হয়, তখন গুরুতর কিছু শারীরিক পরিবর্তনও ঘটতে পারে। যেমন, মানব শরীরের ডান অংশের অঙ্গ বা অঙ্গাণুগুলো বাম অংশে অবস্থান নিতে পারে এবং এর বিপরীত ঘটনাও ঘটতে পারে।

এই ঘটনাকে বলা হয় সাইটাস ইনভার্সাস (Situs Inversus)। এই জিনগত পরিবর্তনের ফলেই অনেকের হৃৎপিণ্ড শরীরের বামপাশের পরিবর্তে ডানপাশে অবস্থান করে। এখন যদি ডানহাতি বা বামহাতি হওয়ার ঘটনা শারীরিক অসমতার ফলাফল হয়, সেক্ষেত্রে সাইটাস ইনভার্সাসকে দায়ী করা যেতে পারে। কিন্তু এটি এখনো একটি হাইপোথিসিস এবং এটি নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে।

সাইটাস ইনভার্সাস; Source: healthjade.net

আধুনিক গবেষণা আরো তথ্য দিচ্ছে আমাদের। যেমন আধুনিক গবেষকরা বলছে যে, ডানহাতি বা বামহাতি হওয়ার ক্ষেত্রে মানুষের মস্তিষ্ক নয় বরং স্পাইনাল কর্ডই দায়ী। মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্স অঞ্চলে হাত ও পায়ের সঞ্চালন প্রক্রিয়া শুরু হয়। মোটর কর্টেক্স এই সিগন্যাল স্পাইনাল কর্ডে প্রেরণ করে। স্পাইনাল কর্ড তখন এই সিগন্যালকে পেশী সঞ্চালন রূপান্তরিত করে।

মানুষ যখন মায়ের গর্ভে থাকে, তখন থেকেই কিন্তু এই ডান-বাম অসমতা লক্ষ্য করা যায়। গর্ভবতী মায়েদের উপর আল্ট্রাসনোগ্রাফির দ্বারা পরীক্ষা করে জানা যায় যে, গর্ভে থাকা অবস্থায় প্রায় ১৩ সপ্তাহ পর থেকেই বাচ্চার মধ্যে হাত চোষার প্রবণতা দেখা যায়। অর্থাৎ, কোনো বাচ্চা ডান হাত চোষে, কোনো বাচ্চা চোষে বাম হাত।

কিন্তু ১৫ সপ্তাহের আগে মস্তিষ্কের মোটর কর্টেক্স এবং স্পাইনাল কর্ডের মধ্যে কোনো যোগসূত্র তৈরি হয় না। তাহলে কীভাবে ১৩ সপ্তাহের বাচ্চার মধ্যে ডান-বাম অসমতা লক্ষ্য করা যায়?

গবেষকদের গবেষণায় উঠে আসে সেই তথ্য। স্পাইনাল কর্ডের জিনগত বৈশিষ্ট্যই মূলত এখানে দায়ী। স্পাইনাল কর্ডের জিনের কার্যক্রমের কারণেই ডান-বাম অসমতার সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ, তাদের গবেষণা মতে মস্তিষ্ক নয় বরং স্পাইনাল কর্ডের জিনগত বৈশিষ্ট্যই ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়ার ক্ষেত্রে মূখ্য ভূমিকা পালন করে।

ডান-বাম অসমতা অর্থাৎ, ডানহাতি কিংবা বামহাতি হওয়া ছাড়াও ‘Ambidextrous’ বা সব্যসাচী বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষের সন্ধানও পাওয়া যায়। যদিও এই সংখ্যা খুবই নগণ্য। ১ শতাংশেরও কম মানুষের ক্ষেত্রে এই বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। যেটি আসলে একপ্রকার ব্যতিক্রম ঘটনা এবং খুবই দুর্লভ।

‘Ambidextrous’ মানুষের দুই হাতই সমান কর্তৃত্বপূর্ণ; Source: britannica.com

Ambidextrous বা সব্যসাচী বলতে বোঝায়, যেসব মানুষের ডান-বাম অসমতা নেই। অর্থাৎ যারা তাদের দুইটি হাতই সমানভাবে এবং কার্যকরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম, তারাই সব্যসাচী। যদি প্রাকৃতিক নির্বাচন মতবাদের নিউরোলজিক্যাল ব্যাখ্যা দেয়া হয়, সেক্ষেত্রে সব্যসাচী মানুষের ক্ষেত্রে তাদের মস্তিষ্কের ডান এবং বাম অংশ উভয়ই সমানভাবে কার্যকর।

যদিও ডানহাতি বা বামহাতি কিংবা উভয়হাতি অর্থাৎ সব্যসাচী হওয়ার ক্ষেত্রে তত্ত্ব ও হাইপোথিসিস দেয়া হয়েছে বেশ, তথাপি এক্ষেত্রে কোন তত্ত্বটি সঠিক বা কোনটি নয় সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। কখনো কখনো গবেষকরা বলছেন যে, উভয় তত্ত্বই সঠিক। তত্ত্বগুলো একে অপরের পরিপূরক। হয়তো অদূর ভবিষ্যতে বিস্তারিত জানা যাবে এদের সম্পর্ক।

Related Articles