
শ্বাসতন্ত্রে আক্রমণকারী করোনাভাইরাসের মহামারি আকার ধারণের সাক্ষী বর্তমান পৃথিবীর প্রায় ৭০০ কোটি মানুষ। আমাদের ধারণার চেয়েও ক্ষিপ্র গতিতে একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষের দেহে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি এখনও।
বলা হচ্ছে, সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায় হলো সচেতনতা। গবেষকরা জানাচ্ছেন, মানুষের হাঁচি-কাশি থেকে ছড়ায় এই রোগ। বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই ভাইরাসের সংস্পর্শ এড়াতে যেখানে সেখানে স্পর্শ না করা এবং চোখ-নাক- মুখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকাই এখন সবচেয়ে জরুরি।
কিন্তু দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে তা সবসময় মেনে চলা হয়তো সম্ভব হয় না। একারণে কোনো কিছু স্পর্শ করার পর অন্তত ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধোয়ার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
স্বাভাবিকভাবেই জরুরি পরিস্থিতি আমাদেরকে বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে বাধ্য করে তুলছে। করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে গিয়ে বারবার এভাবে হাত ধোয়ার ফলে আমাদের হাতের ত্বকের ওপর পড়ছে বাড়তি চাপ। এর ফলে আবার দেখা দিচ্ছে হাতের ত্বকে নানান জটিলতার আশঙ্কা। অনেকের হাতে দেখা দিতে পারে সাদা সাদা ভাব, এর ফলে হাতের ত্বককে দেখা যাবে ফ্যাকাশে।
কিছুক্ষণ পরপর হাত ধোয়ার ফলে অনেকের হাত জ্বলতে পারে; যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। যাদের ত্বকে ছত্রাকজনিত সংক্রমণের (ফাঙ্গাল ইনফেকশন) আশঙ্কা আছে, তাদের ক্ষেত্রে ঘন ঘন হাত ধোয়ার ফলে প্রবল চুলকানি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় আঙুলে সংক্রমণ হতে পারে। বারবার সাবান পানি ব্যবহারের ফলে কারও কারও ক্ষেত্রে নখ ফেটে যাওয়ার ঘটনাও ঘটতে পারে। মূলত স্পর্শকাতর ত্বক যাদের আছে, তাদের ক্ষেত্রেই এমন সব অসুবিধার সম্ভাবনা তৈরি হয়।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, অতি দ্রুত করোনা মহামারি থেকে মানব জাতির রক্ষা নেই। প্রতিষেধক হাতে পৌঁছানোর আগে কিংবা তার পরেও ঘন ঘন হাত ধোয়া চালিয়ে যেতে হবে, তা বলাই বাহুল্য। এই অবস্থায় অনেকেই ইতোমধ্যে হাতের ত্বকের নানান সমস্যায় ভুগতে শুরু করেছেন। অনেকেরই হাতের ত্বক হয়ে গেছে রুক্ষ এবং শুষ্ক। শিশু থেকে শুরু করে বৃদ্ধ পর্যন্ত সকল বয়সের মানুষই এর ভুক্তভোগী হতে পারেন।
এধরনের সমস্যাগুলোর সমাধানের কথা ভেবেই সেপনিল নিয়ে এসেছে ফ্রুটি স্যানিটাইজিং হ্যান্ডওয়াশ। ত্বকের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এই হ্যান্ডওয়াশ বেশ কার্যকর। এটি দিয়ে হাত ধোয়ার পর দীর্ঘসময় বজায় থাকে হাতের আর্দ্রতা। একইসাথে ভোক্তাদের রুচির কথা মাথায় রেখে সেপনিল তৈরি করছে দুই ধরনের ফ্রুটি স্যানিটাইজিং হ্যান্ডওয়াশ। যার একটিতে থাকছে কমলার সুগন্ধি আর অন্যটিতে থাকছে আপেলের সুগন্ধি।
বারবার হাত ধুতে গিয়ে সবার মধ্যে হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহারে একধরনের একঘেয়েমি তৈরি হয়েছে। সেপনিলের এই ফ্রুটি স্যানিটাইজিং হ্যান্ডওয়াশ সেই একঘেয়েমি দূর করবে তো বটেই, সাথে দেবে মন সতেজ করা সুঘ্রাণ। হাতের শুষ্কতাকে দূরে রেখে অনেকটা সময় হাতের কোমলতা ধরে রাখার কারণে স্বাভাবিক কাজেও যোগ হবে গতি।
আরেকটি জরুরি বিষয়ও মাথায় রেখেছে সেপনিল। সেটি হলো শিশুদের সচেতনতা। করোনাকালে শিশুদেরও হাত পরিষ্কার রাখতে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হচ্ছে, যাতে সবচেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে অভিভাবকদের। এক্ষেত্রে কমলা এবং আপেলের সুগন্ধিযুক্ত হ্যান্ডওয়াশ শিশুদের মনে আনন্দের সঞ্চার করবে নিশ্চয়ই, যার কারণে তারা আগ্রহী হবে এই অভ্যাসটি গড়ে তুলতে।
যেকোনো সংকটের ক্ষেত্রেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সংকটকে চিহ্নিত করে সমাধান করার মাধ্যমেই প্রকৃত অর্থে সংকটকে মোকাবেলা করা হয়। এক্ষেত্রে সেপনিল বরাবরই প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এর আগে আমরা যেমন কথা বলেছিলাম তাদের এক দারুণ উদ্যোগ ‘ট্রলি ডিসইনফেকশন কিট’ নিয়ে। এখন নতুন ধরনের হ্যান্ডওয়াশ নিয়ে আসার মাধ্যমে তারা বারবার হাত ধোয়ার মতো একটা একঘেয়ে কাজকে কিছুটা স্বস্তিদায়ক কাজে পরিণত করার উদ্যোগ নিয়েছে। সময়ের প্রয়োজনে এই দারুণ উদ্যোগকে নিশ্চয়ই স্বাগত জানানো যায়!

This article is written on various skin problems due to wash hands frequently and two perfumed sanitizing handwash from Sepnil, named Sepnil Fruity Sanitizing Handwash.
Featured Image Source: Sepnil