Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারজয়ী ক্রিকেটাররা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা (আইসিসি) বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটারদের পুরস্কার দেওয়া শুরু করে ২০০৪ সাল থেকে। তবে শুরু থেকেই সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার দেওয়া হয়নি। অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু করার তিন বছর পর টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর বাইরের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা ক্রিকেটারকে আলাদাভাবে পুরস্কার দেয় আইসিসি।

এই অ্যাওয়ার্ডটির নাম দেওয়া হয় অ্যাসোসিয়েট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার বা আইসিসির সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার। ২০০৭ সালে সর্বপ্রথম সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারকে পুরস্কার দেওয়া হয়। এই পুরস্কার সর্বোচ্চ তিনবার নিজের করে নিয়েছেন নেদারল্যান্ডের রায়ান টেন ডেসকাট। এছাড়া আর কোনো ক্রিকেটার একবারের বেশি এই অ্যাওয়ার্ড জিতেননি।

২০০৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হওয়া ক্রিকেটারদের নিয়েই আজকের লেখা।

টমাস ওদোয়ো, ২০০৭ সাল (কেনিয়া)

২০০৭ সালের সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড হাতে টমাস ওদোয়ো ; Image Source: Getty Images

প্রথমবারের মতো সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার দেওয়া হয় ২০০৭ সালে। ঐ বছর অ্যাসোসিয়েট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ারের পুরস্কার জেতেন কেনিয়ার অলরাউন্ডার টমাস ওদোয়ো। বর্তমানে কেনিয়া ক্রিকেট দলের অবস্থান অনেক নিচের দিকে থাকলেও একসময় বিশ্ব ক্রিকেটে বেশ শক্ত অবস্থানে ছিল আফ্রিকার দেশটি। সেইসময় তাদের সাফল্যের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন টমাস ওদোয়ো। এই অলরাউন্ডার ২০০৭ সালে ১৮ ম্যাচে ৫৪.০০ ব্যাটিং গড়ে ক্যারিয়ারের একমাত্র শতক হাঁকিয়ে ৪৩২ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়া বল হাতে ৩২.১৫ বোলিং গড়ে ১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন।

তিনি তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের একমাত্র শতকটি হাঁকিয়েছিলেন ২০০৭ সালের ১৮ই অক্টোবর। কানাডার বিপক্ষের দলের বিপর্যয়ের মুখে তিনি শতকটি হাঁকান। কানাডার দেওয়া ২৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪৯ রানে পাঁচ উইকেট হারায় কেনিয়া। তখন দলের হাল ধরতে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন ওদোয়ো, সেখান থেকে ১১৩ বলে ১১টি চারের মারে অপরাজিত ১১১ রানের ইনিংস খেলে দলকে চার উইকেটের জয় এনে দেন তিনি। দুর্দান্ত এই শতকটির কারণে তাকে ২০০৭ সালের সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জিতেন তিনি।

টমাস ওদোয়ো ;  Image Source: Getty Images

রায়ান টেন ডেসকাট, ২০০৮ সাল (নেদারল্যান্ড)

বিপিএলের চলতি আসরে চিটাগাং ভাইকিংস বনাম কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে একটি বৈধ বলকে ‘নো’ বল দিলে কুমিল্লার ক্রিকেটাররা আপত্তি জানায়। তখন আম্পায়ার নাদির শাহ বলেন, এর আগে একটি ‘নো’ বল দেননি। সেটির সাথে শোধবোধ করে দিয়েছেন। যা শুনে রীতিমত চমকে গিয়েছিল কুমিল্লার ক্রিকেটাররা।

রায়ান টেন ডেসকাট ; Image Source: AFP

২০০৮ সালে রায়ান টেন ডেসকাটের সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জেতা নিয়ে যে কেউ বলবে, আইসিসি হয়তো শোধবোধ করে দিয়েছে। ২০০৮ সালে ডেসকাট দু’টি ওয়ানডে এবং তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। দুই ওয়ানডেতে ৪৭ রান এবং পাঁচ উইকেট শিকার করেছিলেন। এছাড়া তিনটি টি-টোয়েন্টিতে ৮৪ রান এবং ছয় উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি।

কিন্তু ২০০৭ সালে ১১টি ওয়ানডের দশ ইনিংসে একটি শতক এবং দু’টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫৯.৩৩ ব্যাটিং গড়ে ৩৫৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বল হাতে মাত্র ১৭.৬৯ বোলিং গড়ে ২৩ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। ঐ বছর সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত না হলেও ২০০৮ সালে তিনি এই পুরস্কার জিতে নেন।

উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড, ২০০৯ সাল (আয়ারল্যান্ড)

উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ; Image Source: Getty Images

আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক উইলিয়াম পোর্টারফিল্ড ২০০৯ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জেতেন। এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ২০০৯ সালে মাত্র আটটি ওয়ানডে খেলে দু’টি শতক এবং দু’টি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫৯.১৪ ব্যাটিং গড়ে ৪১৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন, যার ফলে ২০০৯ সালে এই অ্যাওয়ার্ড জিততে তার কোনো অসুবিধা হয়নি। তিনি বছরটা শুরু করেছিলেন স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৮৯ বলে ১০১ রানের ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে। এর এক ম্যাচ পরে কানাডার বিপক্ষে খেলেন অপরাজিত ১০৪ রানের ইনিংস। তার নেতৃত্বেই আয়ারল্যান্ড ওয়ানডে ক্রিকেটে নিয়মিত জয়ের মুখ দেখে, যার ফলে বর্তমানে তারা টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে একটি।

রায়ান টেন ডেসকাট, ২০১০ সাল (নেদারল্যান্ড)

অভিষেকের পর থেকেই ধারাবাহিকভাবে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছিলেন ডেসকাট। ২০০৯ সালে পুরস্কার না জিতলেও পোর্টারফিল্ডের বড় প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তিনি। ঐ বছর মাত্র পাঁচটি ওয়ানডেতে একটি শতক এবং তিনটি অর্ধশতকের সাহায্যে ১২১.৩৩ ব্যাটিং গড়ে ৩৬৪ রান করেছিলেন। বল হাতেও নয় উইকেট তুলে নিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। ২০০৯ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত না হলেও ২০১০ সালে মাত্র তিনটি ওয়ানডেতে একটি শতক ও একটি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ১০৪ ব্যাটিং গড়ে ২০৮ রান করার পাশাপাশি চার উইকেট শিকার করে এবং  চারটি টি-টোয়েন্টিতে ৪৭.০০ ব্যাটিং গড়ে ৯৪ রান এবং তিন উইকেট শিকার করে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জিতে নেন।

রায়ান টেন ডেসকাট ; Image Source: Peter Della Penna

রায়ান টেন ডেসকাট, ২০১১ সাল (নেদারল্যান্ড)

রায়ান টেন ডেসকাট নেদারল্যান্ডের হয়ে সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১১ সালের বিশ্বকাপে। ২০১১ সালের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৯ রান এবং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। এছাড়া স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষেও অপরাজিত ৫৩ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ঐ আসরে তিনি ছয় ম্যাচে ৬১.৪০ ব্যাটিং গড়ে ৩০৭ রান করার পাশাপাশি সাত উইকেট শিকার করেছিলেন। যার স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ২০১১ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর আর আন্তর্জাতিক একদিনের ম্যাচ খেলেননি তিনবার ‘অ্যাসোসিয়েট প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কার জেতা এই অলরাউন্ডার।

রায়ান টেন ডেসকাট ; Image Source: Peter Della Penna

জর্জ ডকরেল, ২০১২ সাল (আয়ারল্যান্ড)

আয়ারল্যান্ডের বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনার জর্জ ডকরেল ২০১২ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হয়েছিলেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সে আয়ারল্যান্ডের হয়ে অভিষেক ঘটে তার। এরপর মাত্র ২০ বছর বয়সেই আইসিসির অ্যাওয়ার্ড জেতেন।

তিনি ২০১২ সালে চারটি ওয়ানডেতে পাঁচ উইকেট শিকার করেন এবং ১২টি টি-টোয়েন্টিতে তুলে নিয়েছিলেন ১৫ উইকেট। এই ১২ টি-টোয়েন্টিতে ওভারপ্রতি গড়ে ৫.৯৭ রান করে দিয়েছিলেন ডকরেল।

জর্জ ডকরেল ; Image Source: Associated Press

কেভিন ও’ব্রায়েন, ২০১৩ সাল (আয়ারল্যান্ড)

অভিষেকের পর থেকেই আয়ারল্যান্ডের হয়ে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করছেন অলরাউন্ডার কেভিন ও’ব্রায়েন। ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের অতিমানবীয় ইনিংস, নিজেদের ইতিহাসের প্রথম টেস্টে অসাধারণ শতক হাঁকানোসহ বহু ঐতিহাসিক মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন তিনি। এই অলরাউন্ডার তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৩ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।

২০১৩ সালে তিনি সাতটি ওয়ানডের ছয় ইনিংসে ব্যাট করে একটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩৬.৮০ ব্যাটিং গড়ে ১৮৪ রান করেছিলেন। বল হাতে ১৮.২৩ বোলিং গড়ে ১৩ উইকেট শিকার করেছিলেন। ঐ বছর তিনি মাত্র দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছিলেন, যাতে তিনি ৫১ রান সংগ্রহ করেছিলেন।

কেভিন ও’ব্রায়েন ; Image Source: PA Photos

প্রেস্টন মমসেন, ২০১৪ সাল (স্কটল্যান্ড)

স্কটল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক প্রেস্টন মমসেন ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে দলকে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা জেতান। বাছাইপর্বে কেনিয়ার বিপক্ষে ৭৮ রানের ইনিংস খেলার পর ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩৯ রানের ইনিংস খেলে দলকে জয় এনে দেন তিনি। এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান ২০১৪ সালে সাতটি ওয়ানডেতে ৫৫.২০ ব্যাটিং গড়ে ২৭৬ রান করেন, যার কারণে ২০১৪ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জেতেন তিনি।

প্রেস্টন মমসেন ; Image Source: Peter Della Penna

খুররাম খান, ২০১৫ সাল (সংযুক্ত আরব আমিরাত)

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাবেক অধিনায়ক খুররাম খান ৪৪ বছর বয়সে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন ২০১৫ সালে। ঐ বছর ব্যাটে-বলে তার পারফরমেন্স আহামরি কিছু না থাকলেও সব দিক বিবেচনার পর তার হাতেই অ্যাওয়ার্ড উঠে। তিনি ২০১৫ তে ছয়টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ২৫.৮৩ ব্যাটিং গড়ে ১৫৫ রান করেছিলেন। তবে ২০১৪ সালে ব্যাটে-বলে দারুণ ছন্দে ছিলেন তিনি। ৪৩ বছর ১৬২ দিন বয়সে আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১৩২ রানের ইনিংস খেলে সবচেয়ে বেশি বয়সে ওয়ানডে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছিলেন। মূলত এই শতকের কল্যাণেই ২০১৫ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি।

খুররাম খান ; Image Source: ICC

মোহাম্মদ শাহজাদ, ২০১৬ সাল (আফগানিস্তান)

আফগানিস্তানের মারকুটে উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ২০১৬ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছিলেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শারজাহ’তে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি সিরিজে দুর্দান্ত ব্যাটিং করার ফলে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড জেতেন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দু’টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ২০১৫ সালে। এর মধ্যে দ্বিতীয় ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ২৯শে ডিসেম্বর। ঐ ম্যাচে তিনি ১৩৩ বলে অপরাজিত ১৩১ রানের ইনিংস খেলেন। এছাড়া ২০১৬ সালের শুরুতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অপরাজিত ১১৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন।

মোহাম্মদ শাহজাদ ; Image Source: Associated Press

তিনি ২০১৬ সালে ১৫টি টি-টোয়েন্টিতে ৩৭.১৪ ব্যাটিং গড়ে এবং ১৫২.৯৪ স্ট্রাইক রেটে ৫২০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন ১২টি। এই ১২ ম্যাচে তিনটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩৭.৭৫ ব্যাটিং গড়ে ৪৫৩ রান করেছিলেন শাহজাদ।

রশিদ খান, ২০১৭ সাল (আফগানিস্তান)

বর্তমানে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে বিশ্বসেরা স্পিনারদের একজন রশিদ খান। তার ঘূর্ণি জাদুতে কুপোকাত হচ্ছে বিশ্বের নামকরা সব ব্যাটসম্যান। এই লেগস্পিনার ২০১৭ সালে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। তার বোলিংয়ের বদৌলতে আফগানিস্তান বিশ্বের বড় দলগুলোর বিপক্ষে জয়ের দেখা পেতে শুরু করেছে। ২০১৭ সালে তার একক নৈপুণ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচ জিতেছিলো আফগানিস্তান, মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে সাত উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি। একই বছর টি-টোয়েন্টিতেও ক্যারিয়ারসেরা বোলিং করেছিলেন রশিদ খান। মাত্র তিন রান খরচায় আয়ারল্যান্ডের পাঁচ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফেরত পাঠিয়েছিলেন তিনি।

রশিদ খান ; Image Source: AFP

রশিদ খান ২০১৭ সালে ১৬টি ওয়ানডেতে মাত্র ১০.৪৪ বোলিং গড়ে ৪৩ উইকেট শিকার করেছিলেন। তার স্ট্রাইক রেট ছিল মাত্র ১৬.৪। টি-টোয়েন্টিতেও দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন তিনি। ১০ ম্যাচে ৯.৪১ বোলিং গড়ে ১৭ উইকেট তুলে নিয়েছিলেন। গড়ে ওভারপ্রতি খরচ করেছিলেন মাত্র ৪.৫৭ রান। এমন অসাধারণ মৌসুম কাটানোর পর তার হাতেই ওঠে ২০১৭ সালের সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।

ক্যালাম ম্যাকলিওড, ২০১৮ সাল (স্কটল্যান্ড)

ক্যালাম ম্যাকলিওড ; Image Source: Peter Della Penna

২০১৮ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জিতেছেন স্কটল্যান্ডের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ক্যালাম ম্যাকলিওড।

গত বছর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৪ বলে ১৬টি চার এবং তিনটি ছয়ের মারে অপরাজিত ১৪০ রানের ইনিংস খেলে স্কটল্যান্ডকে ঐতিহাসিক জয় এনে দেন তিনি। এছাড়া আফগানিস্তানের বিপক্ষে অপরাজিত ১৫৭ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন ২০১৮তে। ম্যাকলিওড ২০১৮ সালে ১১টি ওয়ানডেতে ৫৯.৩৩ ব্যাটিং গড়ে ৫৩৪ রান এবং ছয়টি টি-টোয়েন্টিতে ২৮.২৫ ব্যাটিং গড়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এতে করেই ২০১৮ সালে সহযোগী দেশের বর্ষসেরা ক্রিকেটারের অ্যাওয়ার্ড জেতেন তিনি।

This article is in Bangla language. It is about ICC Associate Player of the Year winners. Please click on the hyperlinks to look for references.  

Featured Image: Getty Images

Related Articles