জনি বেয়ারস্টো টেস্ট খেলছেন না। যত অবহেলে আপনি এ কথা পড়ে ফেললেন, ইসিবির নির্বাচকেরা ভাবছেন, তাকে বাদ দেবার সিদ্ধান্তটিও তারা এমন অবলীলাতেই নিতে পারতেন! কেভিন পিটারসেন, ইয়ান বেলদের ছুঁড়ে ফেলার পর অ্যালেস্টার কুকেরও অবসরে এমনিতেই ইংল্যান্ডের ব্যাটিং লাইনআপ হয়ে উঠেছে তাসের ঘর, এমন অবস্থায় ৭০ টেস্ট খেলা এক ক্রিকেটারকে বাদ দেবার সিদ্ধান্তটি সহজ ছিল না নিশ্চয়ই।
তবে বাদ না দিয়ে আর উপায়ই বা কী ছিল! ২০১৮ সাল থেকেই তার ব্যাটে চলছে রানখরা, শেষ ৩২ টেস্টে বেয়ারস্টোর ম্যাচপ্রতি রান ২৭.৯৮। টপ-অর্ডারের ভাঙন সামলে দলকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিতে তিনি ব্যর্থ হয়েছেন বারবার। বারবার একই আউটের শিকার হয়ে জাগিয়েছেন প্রশ্ন, আঙুল তুলবার সুযোগ দিয়েছেন টেকনিকে গলদের দিকে। টেস্ট দলে বেয়ারস্টোর অনুপস্থিতি অবশ্য ইঙ্গিত করছে আরও বড় এক সমস্যার দিকে। বেয়ারস্টোর ব্যক্তিগত লোকসান ছাপিয়ে যে কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ক্রিকেটই।
***
মোটা দাগে বেয়ারস্টোর ক্যারিয়ারকে ভাগ করা চলে তিন পর্বে। অভিষেকের পর থেকে ২০১৪ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত খেলা ১৪ ম্যাচকে রাখা যায় এক ঘরে। সে ম্যাচগুলোতে ২৬.৯৫ গড়ে ৫৯৩ রান করে বাদ পড়েছিলেন দল থেকে। টেকনিকে বেশ খানিকটা পরিবর্তন এনে দলে ফিরেছিলেন পরের বছরের জুলাইতে। টেকনিকের বদলেই যেন বদলে গিয়েছিল ক্যারিয়ারের মোড়। পরবর্তী দু'বছরে টেস্টে ১,৮১২ রান করেছিলেন প্রায় পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই গড়ে।
টেকনিকে কী বদল এনে বেয়ারস্টো পাচ্ছেন সাফল্য, তা বোঝাতে ২০১৬ সালে ইসিবি তাদের ইউটিউব চ্যানেলে তুলেছিল এক ভিডিও। ব্যাটিং-কৌশল নিয়ে ভাঙচুরের রহস্য বেয়ারস্টো নিজেই জানিয়েছিলেন সেখানে।
ওপরের বাঁ পাশের ছবিটি নেয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বেয়ারস্টোর অভিষেক টেস্ট ম্যাচ থেকে। বেয়ারস্টো তখন মেনে চলতেন কুঁজো হয়ে নেয়া স্ট্যান্স, আর নিচু ব্যাকলিফটের শাস্ত্রীয় ব্যাটিং কৌশল। বেয়ারস্টো জানাচ্ছেন, এই স্ট্যান্স তার ভেতরে সহজাত ছিল না কোনোকালেই। নিচু ব্যাকলিফটে তার সামনের হাতে চলে আসতো জড়তা। আর সামনের হাত শক্ত হবার কারণে বুক-পিঠ সবকিছুতেই এসে পড়তো কাঠিন্যের ভাব। হাত-বুক-পিঠ সব ঠিক রাখতে গিয়ে যেন হারিয়ে ফেলেছিলেন নিজের ব্যাটিং শৈলী, বল খেলে ফেলছিলেন বেশ কিছুটা আগে। আর বল আগেভাগে খেলে ফেলবার কারণে উইকেটও হারাচ্ছিলেন খুব সহসাই।
এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২-১৪ সময়কালে উনি বোল্ড আউটের শিকার হয়েছিলেন ৩৩ শতাংশ। সমসাময়িক অন্যান্য টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের চাইতে যা ছিল ১৩ শতাংশ বেশি। এমনকি সে সময়টায় বোলাররা স্ট্যাম্পে বল করলে উনি রান করেছিলেন ৯.৬৬ গড়ে, অন্যদের চাইতে যা ছিল শতকরা ১১.৫১ ভাগ কম।
দল থেকে ছিটকে পড়বার পরে ঘরোয়া ক্রিকেটে বেয়ারস্টো কাজ করেছিলেন এই সমস্যা সমাধানেই। আরও একবার রানবন্যা বইয়ে দিয়ে ফিরেছিলেন জাতীয় দলে। ওপরে ডানের ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সালে ইংল্যান্ড দলে ফেরার পর অন্য এক বেয়ারস্টোকে। ব্যাটিং করছেন আগের চাইতে লম্বাটে ধরনের এক স্ট্যান্স নিয়ে, সাথে সাথে ব্যাটকেও তুলে ধরেছেন বেশ খানিকটা ওপরে। এই বদলে যা হয়েছিল, উঁচু ব্যাকলিফটের কারণে বল খেলতে ব্যাটের পাড়ি দিতে হচ্ছিল আগের চাইতে বেশি পথ। ফলে সময়ের প্রয়োজন পড়ছিল খানিকটা বেশি। সময়ের আগেই বল খেলে ফেলা নিয়ে যে সমস্যায় ভুগছিলেন ক্যারিয়ারের শুরুতে, উঁচু ব্যাকলিফটে এই সমস্যা কাটিয়ে ফেলেছিলেন অনেকটাই।
পরিসংখ্যানেও পাওয়া যায় এর প্রমাণ। ক্যারিয়ারের ঊষালগ্নে ব্যাট-বলের সংযোগ ঘটাতেন স্ট্যাম্প থেকে ১.৭৯ মিটার আগে, টেকনিক বদলাবার পর সেই গড়ই কমে হয়ে গিয়েছিল ১.৬৪ মিটার। আর নিচ থেকে ওপরে ব্যাট তুলে আবার ব্যাট নামানোর ঝঞ্ঝাট না থাকায় বল খেলবার জন্যে সময়ও পাচ্ছিলেন আগের চাইতে বেশি। দু'য়ে মিলে ফল দিয়েছিল বেশ দারুণভাবেই, টেস্ট ক্যারিয়ারের স্বর্ণালী সময় হিসেবে বেয়ারস্টো উল্লেখ করবেন একেই।
টেস্টের ওই রানবন্যার সময়েই সুযোগ মিলেছিল ওয়ানডে দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান হবার। জনি বেয়ারস্টো দেখা পেলেন তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় প্রহরের।
***
২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পূর্ব অব্দি বেয়ারস্টো ওয়ানডে খেলতেন মধ্যভাগের ব্যাটসম্যান হয়েই। তবে মরগান-স্টোকস-বাটলার-মঈন আলীতে ঠাঁসা মিডল অর্ডারে সু্যোগ মিলতো কালেভদ্রে। জেসন রয়ের অফ-ফর্ম তাকে সুযোগ করে দিয়েছিল ওপেনিংয়ে, আর পড়ে পাওয়া সুযোগ পায়ে ঠেলবার বিলাসিতা বেয়ারস্টো দেখাননি। উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের খাতায় নাম লেখাবার পর থেকে মাত্র চারজন ব্যাটসম্যানই রান করেছেন তার চাইতে বেশি, এবং কেউই তার চাইতে দ্রুতগতিতে নয়। একদিবসী ক্রিকেটের সাফল্যে সুযোগ পেয়েছিলেন আইপিএলের দল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে। ১০ ম্যাচ খেলে তাতেই করেছিলেন ৪৪৫ রান, একবারেই শুরুতেই বাজিমাত যাকে বলে। জেসন রয়ের সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছেন দারুণ এক জুটি, ৩৫ ইনিংস ব্যাট করে দু'জনে মিলে সাড়ে ৬৭ গড়ে রান তুলেছেন ২,৩৬৩ রান। এই সময়কালে তাদের চাইতে বেশি রান নেই অন্য কোনো জুটির। রান তোলার চাইতেও দু'জনে স্বকীয় হয়ে রয়েছেন অবশ্য রান তোলার ধরনে। ওভারপ্রতি ৭.০৮ করে রান তুলেছেন এখন অব্দি কমপক্ষে ১১ ইনিংস একত্রে ব্যাট করা ব্যাটসম্যানদের ভেতরে যা সর্বোচ্চ।
তবে ইংল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের শুরুর দশ ওভারে যত বেশি সম্ভব রান তোলার চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে বেয়ারস্টোকে টেকনিকে বদল আনতে হয়েছিল আবারও, এবারে অবশ্য একদমই সূক্ষ্ম। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩০ গজি বৃত্তের বাইরে ফিল্ডার থাকেন মোটে দুইজন, বেশিরভাগ সময়েই যাদের ঠাঁই হয় থার্ডম্যান আর ফাইন লেগে। ফাঁকা অফ-সাইডের পূর্ণ সুবিধা কাজে লাগাতে বেয়ারস্টো তাই ক্রিজে দাঁড়াতে শুরু করেছিলেন কিছুটা লেগ-সাইডে সরে গিয়ে। ব্যাটিং অর্ডার বদলানোর সঙ্গে সঙ্গে বেয়ারস্টোর স্ট্যান্সের পার্থক্যও ধরা পড়ে নিচের ছবিতে।
উঁচু ব্যাকলিফটের মতো এই লেগ-সাইডে চেপে যাওয়া স্ট্যান্সও যে বেয়ারস্টোকে এনে দিয়েছে কাঙ্ক্ষিত ফল, তা তো পরিসংখ্যানেই প্রমাণিত। যে লক্ষ্যে লেগ-স্ট্যাম্পের দিকে চেপে যাওয়া, দুই সময়ের বেয়ারস্টোর ওয়াগন হুইলের তুলনা করলে সিদ্ধি প্রমাণিত হয় তাতেও।
লেগ-সাইডে সরে যাওয়াতে ঝুঁকি অবশ্য ছিল খানিকটা। দু'পাশ থেকে দুই নতুন বলের কারণে শুরুর দিকে পেসারদের সুইং সামলানোই ছিল সবচেয়ে বড় ঝক্কি। কাকতালীয়ই বলতে হবে, বেয়ারস্টো উপরে উঠবার সঙ্গে সঙ্গেই যেন পেসাররা হারিয়ে ফেলেছেন সাদা বলে সুইং আর সিমিংয়ের ধারও। ২০১১-১৭ সময়কালে সাদা বলে সুইং হচ্ছিল গড়ে ০.৭৯° করে, ২০১৭ থেকে যা কমে গিয়েছে ০.০৯°। অতীতে বলপ্রতি পাওয়া ০.৬২° সিম মুভমেন্টের বিপরীতে এখন বোলাররা পাচ্ছেন ০.৫৭°।
লেগ-সাইডে চেপে গেলেও বেয়ারস্টোকে তাই সমস্যা পোহাতে হয়নি সাদা বলে, যা হচ্ছে একই সময়ে খেলা সাদা পোশাকের ক্রিকেটে।
***
যে সময়ে রঙিন পোশাকের ক্রিকেটে বেয়ারস্টো খুঁজে পেয়েছেন নিজেকে, ঠিক একই সময়েই তিনি হারিয়ে ফেলেছেন লাল বলের ক্রিকেটের ফর্ম। একদিবসী ক্রিকেটের নিয়মিত ওপেনার হবার থেকে টেস্টে তার গড় মাত্র ২৮।
রানখরার চাইতেও বড় দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে অতীতের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বলে। শুরুর অধ্যায়টি বাদ দিলে স্পিনারদের মোকাবেলা করতে খুব একটা সমস্যা তার কখনোই হয়নি, মধ্যলগ্নে তো স্পিন বলে ব্যাট করেছেন ৫৩ ছাড়ানো গড়ে। শেষ দুই বছরে ব্যাটিং গড় ২৮ হলেও স্পিনারদের বিপক্ষে তা ৪৪.১৮। জনি বেয়ারস্টোর জন্যে পেস বোলিংই তাই হয়ে রয়েছে ঘুলঘুলিয়া, দুশ্চিন্তা বাড়িয়ে বোল্ড আউটই আবার হয়ে উঠেছে তার হন্তারক।
স্ট্যান্স বদলে মাঝপ্রহরে দ্রুতগতির বোলারদের খেলেছিলেন বেশ সাবলীলভাবেই। টেস্ট দলে ফেরার আর একদিবসী ক্রিকেটে ওপেনার হবার মাঝের সময়ে পেসারদের বিপক্ষে তার গড় ছিল পঞ্চাশ ছুঁইছুঁই। ওয়ানডেতে নিয়মিত ওপেনার হবার পর থেকে যেই কি সেই। ক্যারিয়ারের প্রথম ১৪ টেস্টে পেসারদের বিরুদ্ধে গড় ছিল ২৪.৮৬, তৃতীয় পর্বে তা আরও খারাপ হয়ে নেমেছে ২৪.১০-য়ে।
যে স্ট্যাম্প বরাবর করা বলগুলো নিয়ে ছিল মূল বিপত্তি, তা-ও ফিরে এসেছে আবার, এবং এসেছে আরও বাজেভাবে। প্রথমভাগে স্ট্যাম্প বরাবর করা বলগুলোতে বেয়ারস্টো রান করেছিলেন ৯.৬৬ গড়ে, এখন তা নেমে দাঁড়িয়েছে ৬.৫৩ অব্দি। বোল্ড হবার পরিমাণও দুই শতাংশ বেড়ে হয়েছে ৩৫। একই সময়ে কমপক্ষে হাজার বল খেলেছেন, এমন ব্যাটসম্যানদের ভেতরে তা সর্বোচ্চ।
প্রশ্ন তাই জেগেছে আবারও, প্রথমবার দল থেকে বাদ পড়বার পরে টেকনিক সংশোধন কেন কাজে আসছে না আর? মাঝে ব্যাটে রানের জোয়ার কেন থেমে গেল ওয়ানডে দলের ওপেনার হবার পরপরই?
***
একটা উত্তর হতে পারে, টেস্ট বোলারদের মান বেড়েছে সাম্প্রতিককালে। টেস্ট ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বোলিং গড় তো ২০১৭ থেকে এখন পর্যন্ত সময়েই। জনি বেয়ারস্টো তো খেলেছেন ব্যাটিংয়ের জন্যে দুর্গম কিছু উইকেটেও। কিন্তু অমন নিদারুণ ব্যর্থতার ঢাল হিসেবে এসব যুক্তি অজুহাতের মতোই শোনায়।
লেগ-সাইডে সরে গিয়ে একদিবসী ক্রিকেটে সাফল্য মিললেও একই টেকনিক টেস্ট ক্রিকেটে তার জন্যে হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষফোঁড়া। ২০১৭ থেকে সাদা বলের চাইতে লাল বল সুইং করেছে ২১ শতাংশ বেশি, সিম মুভমেন্টের ক্ষেত্রে যে পার্থক্য ২৩ শতাংশ। যে টেকনিক নিয়ে তাই খুব সহজেই খেলে যাচ্ছেন সাদা বলের ক্রিকেট, বলের দুই দিকের মুভমেন্ট বেশি হবার কারণে লাল বল সে টেকনিকেই হয়ে উঠেছে বিভীষিকা।
সাদা বলের সঙ্গে সঙ্গে লাল বলের সুইং কমে গেলেও সিম মুভমেন্ট বেড়ে গিয়েছে সম্প্রতি। ২০১৫-১৭ সময়ের চাইতে যা বেড়েছে ০.১৬°। সুইংয়ের চাইতে সিম মুভমেন্ট বোঝা যায় দেরিতে, বেয়ারস্টোর মতো হ্যান্ড-আই কো-অর্ডিনেশন নির্ভর ক্রিকেটারের জন্যে তাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে এর মুখোমুখি হওয়া।
ওডিআইতে সাফল্য-বুভুক্ষু হয়ে টেস্ট ব্যাটিংয়ের কি ভয়ানক ক্ষতি করে ফেলেছেন বেয়ারস্টো, তা আরও পরিষ্কার হবে মার্নাস ল্যাবুশেনের সঙ্গে তুলনায়। নিচে প্রদত্ত শট দুইটি বেছে নেবার কারণ, বল দু'টি স্ট্যাম্প পেরোতো প্রায় একই লাইনে - মিডল স্ট্যাম্পের যথাক্রমে ২৪ সে.মি আর ২২ সে.মি বাইরে দিয়ে। বাঁ পাশে বেয়ারস্টোকে দেখা যাচ্ছে অফ ড্রাইভ খেলতে, অফ স্ট্যাম্প দেখা যাচ্ছে পুরোপুরি, আবছাভাবে দেখা যাচ্ছে মিডল স্ট্যাম্পও। ডান পাশে মার্নাস ল্যাবুশেন যেন নেমেছেন কোচিং ম্যানুয়াল খুলে, খেলছেন স্ট্রেইট ড্রাইভ, চোখ বলের লাইনে, দেখা যাচ্ছে না স্ট্যাম্পের টিকিটিও, একেবারে কপিবুক ক্রিকেট যাকে বলে।
দুটি শটেই তাদের নামের পাশেই যুক্ত হয়েছে চার রান, দু'জন ক্রিকেটার কখনোই একইরকম হবেন না, সমস্ত যুক্তি মাথায় রেখেও বলতে হচ্ছে, বাঁপাশের জনের ক্রিকেট আবর্তিত হচ্ছে একদিবসী ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে, ডানের জনকে তা এখনো ছুঁতে পারেনি। এই বলে পার পেয়ে গেলেও বেয়ারস্টো টেস্ট ক্রিকেটে যে ভুগছেন ওয়ানডে ক্রিকেটের টেকনিক অনুসরণ করতে গিয়েই, তার প্রমাণ তো পাওয়া যায় পরিসংখ্যানেই।
প্রশ্নটা তাই জাগছে, সব ফরম্যাটের ক্রিকেট সমানতালে খেলা ক্রিকেটারদের দিন কি তবে ফুরিয়েছে? জনি বেয়ারস্টো তো উদাহরণমাত্র; জেসন রয়, অ্যালেক্স হেলস, লোকেশ রাহুল কিংবা এরও আগের মার্টিন গাপটিল - সীমিত ওভারের ক্রিকেটের চাপে টেস্টে ব্যর্থ হওয়া ব্যাটসম্যানদের তালিকা কিন্তু লম্বা হচ্ছেই।
This article is in Bangla language. This is on Jonny Bairstow's curious journey in international cricket. Necessary hyperlinks are attached inside.
Featured image © Getty Images.