Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

বেলজিয়াম বনাম ইতালি: থামবে কার জয়রথ?

ইউরো শুরু হওয়ার আগেই বেলজিয়াম ছিল ‘হট ফেভারিট’। এমনই দুর্দান্ত এক দল, সেটাকে ফেভারিটের তালিকায় না ফেলাটাই হতো পাপ। সাথে যোগ করুন র‍্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় থাকার ব্যাপারটাও। মিডফিল্ডে ডি ব্রুইনা, সামনে লুকাকু-আজার; সাইডলাইনে ‘গুরু’ হয়ে থাকছেন রবার্তো মার্টিনেজ। সর্বশেষ ১৩ ম্যাচে হারেনি বেলজিয়াম। কে ঠেকাবে এই দলকে?

এমনই এক পরিস্থিতিতে ইতালির সঙ্গে খেলতে নামছে তারা। র‍্যাঙ্কিংয়ে সাতে আছে তারা। গত ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে তাদের সুযোগ হয়নি, টুর্নামেন্ট শুরুর আগে অনেকেই তাদেরকে ফেভারিটের তালিকাতেও রাখেনি।   

ভাবছেন ইতালি ছেড়ে কথা বলবে? আজ্জুরিদেরও যে হার নেই শেষ ৩১ ম্যাচ ধরে! তবে দুই দলের যেকোনো এক দলের জয়রথ থামতে চলেছে হয়তো আজকেই। মিউনিখে আজ ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি দুই ইউরোপিয়ান জায়ান্ট ইতালি ও বেলজিয়াম। ‘হয়তো’ বলার কারণ অবশ্য ওই টাইব্রেকার, যে লটারিতে খেলা গড়ালে রেকর্ড বইয়ে ম্যাচটি ড্র-ই লেখা থাকবে। তাতে হয়তো ‘আনবিটেন রান’টা জারি থাকবে, তবে দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েও বাড়ি ফেরার টিকেট ধরতে হবে যেকোনো এক দলের। এই জিভে জল আনা ম্যাচের আগ মুহূর্তে চলুন দেখে আসা যাক দুই দলের সাম্প্রতিক ফর্ম ও যাবতীয় খুঁটিনাটি জিনিস।

মুখোমুখি পরিসংখ্যান

সর্বশেষ ইউরোর ম্যাচে দুই দল; Image Source : Getty Images

মুখোমুখি হওয়ার আগে এক দারুণ জায়গায় দাঁড়িয়ে দুই দল। বাছাইপর্ব মিলিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ প্রতিযোগিতায় বেলজিয়াম ও ইতালি দুই দলই জিতেছে টানা ১৪টি ম্যাচ, যেটি কি না জার্মানির সাথে যৌথভাবে বিশ্বরেকর্ডও। আর এক ম্যাচ জিতলেই এককভাবে সেই বিশ্বরেকর্ড হবে ইতালি কিংবা বেলজিয়ামের। সেই বিশ্বরেকর্ড করবে কোন দল?

পরিসংখ্যান অবশ্য কথা বলছে ইতালির হয়ে। এখন পর্যন্ত দুই দল মুখোমুখি হয়েছে ২২ বার, যাতে ইতালির জয় ১৪টিতেই। বেলজিয়াম জিতেছে সর্বসাকুল্যে চারবার। আর বাকি চার ম্যাচ ড্র।

প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচেও ইতালিরই ঐতিহাসিক আধিপত্য। মুখোমুখি ৬ ম্যাচে ইতালির জয় ৩টিতে আর বেলজিয়ামের একটিতে। সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে এই দলের খেলা হয়েছিল এই ইউরোর মঞ্চেই। ২০১৬ সালের গ্রুপপর্বের সেই ম্যাচে ইতালি জিতেছিল ২-০ গোলে। আর প্রীতি ম্যাচে ২০১৯ সালের অক্টোবরে শেষ দেখায় ইতালি জিতে নেয় ৩-১ গোলে।

ইতিহাস থেকে অবশ্য বেলজিয়াম আশার আলো দেখাতে পারে ১৯৭২ ইউরো থেকে। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ইতালি বাদ পড়েছিল এই বেলজিয়ামের কাছে হেরেই। ইউরোর ইতিহাসে ইতালি টাইব্রেকার বাদে ওই একবারই কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বাদ পড়ে। এবার বেলজিয়ামের সামনে সুযোগ রয়েছে সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি ঘটানোর।

ইতালির পারফরম্যান্স

‘এলাম, দেখলাম, জয় করলাম।’

মানচিনিকে নিয়ে বললে একটুও অতিরঞ্জিত মনে হবে না। ইতালিয়ান ফুটবলের গোধূলিলগ্নে আগমন। এরপর ‘ভোজবাজি’র মতো খোলনলচে বদলে গেল দলের অবস্থা। শুধু জয়ই নয়, নিজেদের চিরায়ত রক্ষণাত্মক ঘরানা থেকে বের হয়ে এসে মনোমুগ্ধকর ফুটবলের জন্যও মানচিনি বাহবার যোগ্য।

দুর্দান্ত খেললেও টুর্নামেন্ট শুরুর আগে নিজেদের ফেভারিট মানতে নারাজ ছিলেন মানচিনি। বলেছিলেন,

“সেমিফাইনাল খেলতে পারাটাই আমাদের মূল লক্ষ্য।”

সেজন্যই কি না ইতালিকে কেউই শিরোপার প্রধান দাবিদার হিসেবে ধরেনি। অথচ প্রথম ম্যাচেই ‘ডার্ক হর্স’-খ্যাত তুরস্ককে স্রেফ ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় আজ্জুরিরা। সাথে সাথে নড়েচড়ে বসে ফুটবলপণ্ডিতরাও। দুর্দান্ত ফ্লুইড পাসিংয়ে দুই ফ্ল্যাংকে প্রতিপক্ষকে বেশ ব্যতিব্যস্ত রেখেছেন মানচিনির শিষ্যরা। সেই পারফরম্যান্স বজায় থাকে দ্বিতীয় ম্যাচেও। এবার প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড হলেও ইতালির পারফরম্যান্সে হেরফের হয় না। ৩-০ গোলেই আবার জয় তুলে নেয় ইতালি। শেষ ম্যাচে পুরো ভিন্ন দল নামালেও ওয়েলসকে ১-০ গোলে হারিয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট নিয়েই নকআউট রাউন্ডে আগমন ইতালির।

দুর্দান্ত ইতালিকে থামাবে কে?; Image Source: 90 min.

নকআউট রাউন্ডে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিতে ইতালিকে অবশ্য বেগ পেতে হয়েছে। অতিরিক্ত সময়ে  ২-১ গোলে জয় পাওয়া সেই ম্যাচে অবশ্য ইতালি নিজেদের ভাগ্যকেও দোষ দিতে পারে। মোট ২৭ সুযোগ তৈরি করেও নির্দিষ্ট ৯০ মিনিটে গোল আদায় করে নিতে পারেনি তারা। তবে ইতালির জন্য তার চেয়ে দুঃখের বিষয় ছিল যে টানা ১১ ম্যাচে ক্লিনশিট রাখার পর অবশেষে ইতালির জালে কেউ বল জড়াতে সক্ষম হলো।

নজরকাড়া পারফরমেন্সের কথায় অবশ্য ইতালির বেশ কিছু খেলোয়াড়েরই নাম আসবে। রক্ষণভাগের সব পারফর্মারদের মধ্যে আলাদা করে বলতে হবে লেফটব্যাক স্পিনাৎজোলার কথা। মাঝমাঠে বারেল্লা বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি এবারের সিরি-আ’র অন্যতম সেরা মিডফিল্ডার। তরুণ লোকাতেল্লি এবং পোড় খাওয়া ভেরাত্তিও নিজেদের জাত চিনিয়েছেন একই সাথে।

বেলজিয়ামের পারফরম্যান্স

ইতালির যদি থাকে রবার্তো মানচিনি, তাহলে বেলজিয়ামের আছেন একজন রবার্তো মার্টিনেজ। ২০১৬ ইউরো শেষে বেলজিয়ামের দায়িত্ব নেওয়ার পর ৪৭ ম্যাচে জয়লাভ করেছেন তিনি। তার দল এই সময়ে গোল করেছে ১৭৫টি, যা যেকোনো ইউরোপিয়ান দল থেকে বেশি। ইতালির মতোও ইউরো বাছাইয়ের ১০টি ম্যাচের সবক’টি জিতেই ইউরোর মূলমঞ্চে আগমন বেলজিয়ামের।

সেই ফর্ম ইউরোতে টেনে আনতে বেগ পোহাতে হয়নি বেলজিয়ামের। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লুকাকুর জোড়া গোলে রাশিয়াকে তারা হারায় ৩-০ গোলে। পরবর্তী ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে শুরুতে চাপে পড়লেও বদলি নেমে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন বেলজিয়ামের সেরা খেলোয়াড় কেভিন ডি ব্রুইনা। ২-১ গোলে ডেনমার্ককে হারানোর পর শেষ ম্যাচে দুলকি চালে ফিনল্যান্ডের সাথেও ২-০ গোলে জয় তুলে নেয় রবার্তো মার্টিনেজের শিষ্যরা।

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে বেলজিয়াম দ্বিতীয় রাউন্ডে মুখোমুখি হয় পর্তুগালের। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেই কোয়ার্টার ফাইনালে আসে বেলজিয়ানরা।

বর্তমানে র‍্যাঙ্কিংয়ে চূড়ায় বেলজিয়াম; Image Source : Al Jazeera

দলের দুই মহীরুহ আজার ও ডি ব্রুইনাকে ছাড়াই বেশ সময় মাঠে কাটিয়েছে বেলজিয়াম। অথচ তাদের অভাব তেমন একটা বুঝতেই দেননি রোমেলু লুকাকু। আসরে এখন পর্যন্ত ৩টি গোল করে ফেলেছেন তিনি। লুকাকুর পাশাপাশি আজারের নামও আসতে বাধ্য। এই আজার অবশ্য ‘ছোট আজার’, থরগান। পর্তুগালের বিপক্ষে একমাত্র গোলটি করা ছাড়াও মাঠে দুর্দান্ত সময় কাটিয়েছেন তিনি।

ইতালির সম্ভাব্য ট্যাকটিকস ও ফর্মেশন

মানচিনি দলকে পুরো ইউরোতেই খেলিয়েছেন ৪-৩-৩ ফর্মেশনে। তবে শেষ ম্যাচে অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে উইংব্যাকদের আক্রমণে কাজে লাগালেও ফাইনাল থার্ডে তারা বল পাঠাতে পেরেছেন খুবই কম। বিশেষ করে ডমিনিক বেরার্দি পুরো ম্যাচে রাইট সাইড দিয়ে একবারও ডেভিড আলাবাকে কাটিয়ে বের হতে পারেননি। বরঞ্চ তার বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচের ভাগ্য ঠিক করে দিয়েছেন ফেদেরিকো কিয়েসা। সেক্ষেত্রে আজকের ম্যাচে শুরু থেকেই দেখা যেতে পারে কিয়েসাকে।

রক্ষণভাগে রাইটব্যাকে ফ্লোরেঞ্জির বদলে ডি লরেঞ্জোই মূল দলে থাকার দাবিদার। অন্যদিকে বাকি তিন ডিফেন্ডারের মধ্যে স্পিনাৎজোলা আর বোনুচ্চির দলে থাকাটা নিশ্চিত। অন্য জায়গায় মানচিনির হাতে অপশন হিসেবে রয়েছে কিয়েল্লিনি, আসারবি আর রাফায়েল টলয়। তবে শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করা আসারবিকেই দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।

বারেল্লা ও জর্জিনহোর দিকে তাকিয়ে মানচিনি; Image Source : AFP/Getty Image

মাঝমাঠ নিয়ে বেশ মধুর সমস্যায় আছেন মানচিনি। বেশ ভালো কিছু অপশন থাকায় বেশ নির্ভারই থাকবেন তিনি। প্রথম দুই ম্যাচে ভেরাত্তির অনুপস্থিতিতে খেলেছিলেন ম্যানুয়েল লোকাতেল্লি। দুর্দান্ত খেলা এই তরুন তুর্কিকে তবুও হয়তো বসতে হবে বেঞ্চেই।

ভেরাত্তি-জর্জিনহো-বারেল্লা; এই তিনজনের একজনকেও বাদ দিয়ে মানচিনির মাঝমাঠ সাজানোর সম্ভাবনা শূন্যের কোটায়। তবে বদলি নেমে ম্যাচের লাগাম টেনে ধরার জন্য তুরুপের তাস হবেন মাত্তেও পেসিনা। ইতঃমধ্যেই ৩ গোল করে ফেলেছেন এই আটালান্টার মিডফিল্ডার। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে লেইট রান দিয়ে ডিফেন্সকে এলেমেলো করে দিয়েছেন তিনি বেশ কয়েকবারই। 

সম্ভাব্য একাদশ

ডোনারুম্মা, ডি লরেঞ্জো, বোনুচ্চি, কিয়েল্লিনি, স্পিনাৎজোলা, বারেল্লা, জর্জিনহো, ভেরাত্তি, কিয়েসা, ইমোবিলে, ইনসিনিয়ে

বেলজিয়ামের সম্ভাব্য ট্যাকটিকস ও ফর্মেশন

প্রতি-আক্রমণে খেলা বেলজিয়ামের মূল অস্ত্র হতে যাচ্ছে এটিই। অস্ট্রিয়া প্রতি-আক্রমণে বেশ ভুগিয়েছে ইতালিকে। দুই বয়স্ক সেন্টারব্যাক নিয়ে খেলতে নামা ইতালিকে এই জায়গা দিয়েই ঘায়েল করতে চাইবেন রবার্তো মার্টিনেজ। সেক্ষেত্রে তার ট্রাম্পকার্ড হবেন লুকাকু।

তবে মানচিনির মতো স্বস্তিতে নেই মার্টিনেজ। দলের দুই প্রাণভোমরা ডি ব্রুইনা আর আজারকে পাবেন না এই ম্যাচে। বিশেষ করে ডি ব্রুইনার শূন্যস্থান বেশ ভালোভাবেই ভোগাবে বেলজিয়ামকে।

পর্তুগালের বিপক্ষে ৩-৪-২-১ ফর্মেশনে নেমেছিল বেলজিয়াম। তিন সেন্টারব্যাকের সাথে দুই উইংব্যাক হিসেবে খেলেছিলেন মুনিয়ের ও থরগান আজার। আর হোল্ডিং মিডফিল্ডার হিসেবে ছিলেন উইটসেল ও টিয়েলমান্স। সামনে হ্যাজার্ড ও ডি ব্রুইনা সুযোগ বুঝে যেকোনো একজন ফ্রি-রোলে আক্রমণে যোগ দিতেন লুকাকুর সাথে, যার ফলে প্রতি-আক্রমণে বারবার ভয়ংকর হয়ে উঠেছিল বেলজিয়াম। এর পাশাপাশি পর্তুগালের ন্যারো ডিফেন্সিভ লাইনকে কাজে লাগিয়ে বারবার আক্রমনে গিয়েছেন দুই উইংব্যাক থরগান ও মুনিয়ের।

ডি ব্রুইনা ও হ্যাজার্ডের অনুপস্থিতি ভোগাবে কতটুকু?; Image Source : Sky Sports

তবে ইতালির সাথে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ওই ডি ব্রুইনা আর আজারের অনুপস্থিতিই। জোর সম্ভাবনা হলো, এই দুই জায়গায় খেলতে নামবেন দ্রিস মার্টেন্স আর ইয়ানিক কারাসকো। সংবাদ সম্মেলনে এসে মার্টেন্স বলেছেন,

“ইতালি এই ইউরোর এখন পর্যন্ত সেরা দল। তাই আমাদের সবটুকু উজাড় করে দিতে হবে মাঠে।”

মার্টেন্স আত্মপ্রত্যয়ী হলেও এই ইউরোতে বেশ বিবর্ণ কারাসকো। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ফর্ম টেনে আনতে পারেননি তিনি। এই দুই পরিবর্তন বাদ দিলে পর্তুগালের সাথে খেলা বেলজিয়াম দলকেই দেখা যাবে কোয়ার্টার ফাইনালে।

সম্ভাব্য একাদশ

কোর্তোয়া, ভার্তোঙ্ঘেন, অল্ডারওয়াইরেল্ড, ভারমায়েলেন,টিয়েলমান্স, উইটসেল, মুনিয়ের, থরগান, কারাসকো, মার্টেন্স, লুকাকু

ট্রিভিয়া

  • ইউরোতে কখনোই টানা ৫ ম্যাচ জিততে পারেনি ইতালি।

  • সাম্প্রতিককালে মেজর টুর্নামেন্টে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ (৪) খেলেও ইতালির বিপক্ষে জয় নেই বেলজিয়ামের।

  • মেজর টুর্নামেন্টে সর্বশেষ ১৮ ম্যাচের ১ ম্যাচ বাদে কোনোটিতেই একটির বেশি গোল হজম করেনি ইতালি।

  • ইউরোর বাছাইয়ে সবচেয়ে বেশি গোল করা দল বেলজিয়াম। ১০ ম্যাচে তাদের গোল ৪০টি।

  • এই ইউরোতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল বেলজিয়াম। তাদের ৫ জন খেলোয়াড় রয়েছে যারা কি না জাতীয় দলের হয়ে খেলেছেন কমপক্ষে ১০০টি ম্যাচ।

  • অ্যালেক্স মেরেট বাদে দলের বাকি ২৬ জনকেই এখন পর্যন্ত মাঠে নামিয়েছেন রবার্তো মানচিনি।

লড়াই দুই কোচেরও; Image Source : Getty Images

লড়াইটা হবে দুই উইংব্যাকের। মুনিয়ের-থরগান বনাম স্পিনাৎজোলা-ডি লরেঞ্জো। তাছাড়াও লড়াইটা হওয়ার কথা ছিলো মাঝমাঠেও। ডি ব্রুইনা-আজার না থাকায় তাই এখন মাঝমাঠের দখলটা হবে ট্যাকটিক্যাল লড়াই – মানচিনি বনাম মার্টিনেজ। ২০১৩ সালেও তারা একবার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেবার এফএ কাপ ফাইনালে মানচিনির ম্যানসিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছিল মার্টিনেজের উইগান অ্যাথলেটিক। সেটি ছিল উইগানের একমাত্র শিরোপাও। এবারও একই জায়গায় দাড়িয়ে মার্টিনেজ। বেলজিয়ামের প্রথম শিরোপা জয়ের পথে অন্যতম এক কাঁটা এই ইতালি। শেষ হাসিটা হাসবেন কে? মানচিনি, নাকি মার্টিনেজ?

This article is about the quarter final between Italy and Belgium in 2021 euro. Necessary references are hyperlinked in the article. 

Feature Image: Arko Saha

Related Articles