Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

একই ইনিংসে দুই ভাইয়ের সেঞ্চুরির কীর্তি গাথা

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই দলে দুই সহোদরের খেলার ঘটনা ঘটেছে অনেকবার। কিন্তু একই ইনিংসে দুই সহোদরের শতক হাঁকানোর ঘটনা খুব বেশিবার ঘটেনি। চ্যাপেল ব্রাদার্স হতে শুরু করে মার্শ ব্রাদার্স পর্যন্ত মোট পাঁচ জোড়া ভাইয়েরা একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন।
একই ইনিংসে দুই ভাইয়ের শতক হাঁকানো সম্পর্কে জেনে আসা যাক।

ইয়ান চ্যাপেলগ্রেগ চ্যাপেল

চ্যাপেল ভাইয়েরা সত্তরের দশকে বেশ প্রভাবশালী ক্রিকেটার ছিলেন। ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল দুজনই নিজেদের সময়কার অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ছিলেন।
এই দুই ভাই তিনবার একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছেন। একই টেস্ট ইনিংসে দুই ভাইয়ের সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকানোর তালিকায় তারা সবার উপরে আছেন।

১৯৭২ সালের ১০ই আগস্ট, লন্ডনে অ্যাশেজ সিরিজের ৫ম টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলো ইংল্যান্ড। ব্যাট করতে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড ২৮৪ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে অ্যালেন নট সর্বোচ্চ ৯২ রান করেন।
জবাবে অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে ৩৪ রানের মধ্যে দুই ওপেনারের উইকেট হারায়। এরপর জুটি বাঁধেন দুই ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল। এই দুইজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২০১ রান যোগ করেন।

দুই ভাই গ্রেগ চ্যাপেল এবং ইয়ান চ্যাপেল; Image Source: Icc-Cricket.com/Twitter

দলীয় ২৩৫ রানের মাথায় গ্রেগ চ্যাপেল ১১৩ রান করে এবং ২৯৬ রানের মাথায় ইয়ান চ্যাপেল ১১৮ রান করে ফিরে গেলে শেষপর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ৩৯৯ রান সংগ্রহ করে।
১১৫ রানে পিছিয়ে থেকে ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৬ রান সংগ্রহ করে। যার ফলে জয়ের জন্য অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ছিলো ২৪২ রানের। শেষপর্যন্ত পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।

আন্তর্জাতিক টেস্ট ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত এক ম্যাচে দুই ভাইয়ের জোড়া শতক হাঁকানোর ঘটনা ঘটেছে মাত্র একবার। ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল ১৯৭৪ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটন টেস্টে এই কীর্তি গড়েন।
১৯৭৪ সালের পহেলা মার্চ ওয়েলিংটনে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল।
ব্যাট করতে নেমে ৫৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর জুটি বাঁধেন দুই ভাই ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল। এই দুইজন তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৬৪ রান যোগ করেছিলেন। যা এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার দুই ভাইয়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রানের জুটি। বিশ্ব ক্রিকেটে দুই ভাইয়ের সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ডটি অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং গ্রান্ট ফ্লাওয়ারের দখলে।

ইয়ান চ্যাপেল হেলমেট ছাড়াই প্রায় পেসারদের মোকাবেলা করতেন, যাতে করে পেসাররা তার বিপক্ষে শর্ট বল করেন এবং তিনি তার প্রিয় পুল শট খেলতে পারেন; Image Source: PA Photos

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ২৬৪ রান যোগ করার পর ইয়ান চ্যাপেল ১৪৫ রান করে থেমে গেলেও গ্রেগ চ্যাপেলকে থামানো যায়নি। অস্ট্রেলিয়া ৬ উইকেটে ৫১১ রান সংগ্রহ করার পর অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল ইনিংস ঘোষণা করেন। তখন গ্রেগ চ্যাপেলের রান সংখ্যা ২৪৭*। যা প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস।

অস্ট্রেলিয়ার পাহাড়সম রানের জবাব নিউজিল্যান্ড ভালোভাবেই দিয়েছিল। স্বাগতিকরা তাদের প্রথম ইনিংসে ৪৮৪ রান সংগ্রহ করেছিল।
অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় ধাপে ব্যাট করতে নামলে আবারও দুই ভাইয়ের ব্যাট কথা বলা শুরু করে। প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও তারা শতক হাঁকান। ইয়ান চ্যাপেল করেন ১২১ রান এবং গ্রেগ চ্যাপেল করেন ১৩৩ রান।
ইয়ান চ্যাপেল এবং গ্রেগ চ্যাপেল, দুইজনেই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান ছিলেন। সেসময়ে তারা অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইনআপের ভিত্তি ছিলেন। ইয়ান চ্যাপেল খুব ভালো হুক শট খেলতে পারতেন। সেইজন্য তিনি হেলমেট ছাড়াও ব্যাট করতেন। যাতে করে বোলাররা তাকে বেশি বেশি বাউন্সার মারেন এবং তিনি তার ফেভারিট হুক শট খেলতে পারেন।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ইয়ান চ্যাপেল ৭৫টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৪২.৪২ ব্যাটিং গড়ে ৫,৩৪৫ রান করেছিলেন। আর তার ছোটভাই গ্রেগ চ্যাপেল ৮৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ৫৩.৮৬ ব্যাটিং গড়ে ৭,১১০ রান করেছিলেন।

গ্রেগ চ্যাপেল; Image Source: Cricket.com.au

স্টিভ ওয়াহ – মার্ক ওয়াহ

যমজ দুই ভাই মার্ক ওয়াহ এবং স্টিভ ওয়াহ টেস্ট ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়া হয়ে প্রায় ১৯ হাজার রান এবং ৫২টি শতক হাঁকিয়েছেন। যার মধ্যে স্টিভ ওয়াহ ৩২টি এবং মার্ক ওয়াহ ২০টি টেস্ট শতক হাঁকিয়েছেন। তারা দুইজন দুইবার একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছিলেন।
১৯৯৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংস্টনে এবং ২০০১ সালে লন্ডনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একই ইনিংসে মার্ক এবং স্টিভ ওয়াহ শতক হাঁকিয়েছিলেন।

কিংস্টনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজের চতুর্থ এবং শেষ টেস্টে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ম্যাচটি ১৯৯৫ সালের ৩রা মে অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক রিচি রিচার্ডসনের ১০০ রানের উপর ভর করে ২৬৫ রান সংগ্রহ করেছিলো। জবাবে অস্ট্রেলিয়া নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৭৩ রানের মধ্যে টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানের উইকেট হারিয়েছিলো। এরপর স্টিভ ওয়াহ এবং মার্ক ওয়াহ জুটি বাঁধেন।

স্টিভ ওয়াহ এবং মার্ক ওয়াহ; Image Source: Espn Cricinfo

এই দুজন চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২৩১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মার্ক ওয়াহ ১২৬ রান করে সাজঘরে ফিরে গেলেও স্টিভ ওয়াহ ক্যারিয়ার সেরা ২০০ রানের ইনিংস খেলেন।
দুই জমজ ভাইয়ের জোড়া শতকের উপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান সংগ্রহ করে। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৬৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ২১৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। যার ফলে কিংস্টন টেস্টে ইনিংস ও ৫৩ রানের ব্যবধানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া।

ওয়াহ ব্রাদার্স ২০০১ সালে লন্ডনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছিলেন। তারা দুইজন দ্বিতীয়বার এই ঘটনা ঘটিয়েছিলেন। ২০০১ সালের ২৩শে আগস্ট অ্যাশেজ সিরিজের ৫ম টেস্ট ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ।
তার সিদ্ধান্তকে যথার্থ প্রমাণ করে উদ্বোধনী উইকেট জুটিতে ১৫৮ রান যোগ করেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার এবং ম্যাথিউ হেইডেন।
হেইডেন ৬৮ রান করে ফিরে গেলে রিকি পন্টিংয়ের সাথে জুটি বাঁধেন ল্যাঙ্গার। তিনি ১০২ রান করে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দলীয় ২৯২ রানের মাথায় রিকি পন্টিং ৬২ রান করে ওরমন্ডের শিকারে পরিণত হলে বাইশ গজে একসাথ হন দুই ভাই মার্ক ওয়াহ এবং স্টিভ ওয়াহ।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে তারা ১৯৭ রান যোগ করেন। মার্ক ওয়াহ ১৭৬ বলে ১২০ রান করে বোল্ড হয়ে গেলে এই জুটি ভাঙ্গে।
পায়ের ইনজুরি নিয়ে স্টিভ ওয়াহ শেষপর্যন্ত ১৫৭ রানে অপরাজিত থাকেন। তিনটি শতক এবং তিনটি অর্ধশতকের উপর ভর করে অস্ট্রেলিয়া চার উইকেটে ৬৪১ রান সংগ্রহ করেছিলো।

মার্ক ওয়াহ এবং স্টিভ ওয়াহ; Image Source: Icc-Cricket.com/Twitter

অস্ট্রেলিয়ার পাহাড়সম রানের জবাবে মার্কের ১৩৩ রানের উপর ভর করে ভালোই জবাব দিচ্ছিলো ইংল্যান্ড। কিন্তু শেন ওয়ার্ন সাত উইকেট তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডকে ফলো-অনে এড়াতে দেননি। মাত্র দশ রানের জন্য ফলো-অন এড়াতে না পারা ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৮৪ রানে গুটিয়ে যায়। যার ফলে লন্ডন টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ইনিংস ও ২৫ রানের ব্যবধানে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড।

অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারগ্রান্ট ফ্লাওয়ার

জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন দুই ভাই অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। সেইসময়ে জিম্বাবুয়ে বড় দলগুলোর বিপক্ষে সমানে সমানে লড়াই করার সামর্থ্য রাখতো।
দুই সহোদরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রানের জুটি গড়ার রেকর্ডটিও এখনও তাদের দখলে। ১৯৯৫ সালে হারারে টেস্টে পাকিস্তানের বিপক্ষে চতুর্থ উইকেট জুটিতে তারা ২৬৯ রান যোগ করেছিলেন।
১৯৯৫ সালের ৩১শে জানুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে হারারে টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৪২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে বসে জিম্বাবুয়ে। এরপর চতুর্থ উইকেট জুটিতে অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং গ্রান্ট ফ্লাওয়ার ২৬৯ রান যোগ করে দলকে বড় সংগ্রহের পথ গড়ে দেন।
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ১৫৬ রান করে আউট হয়ে গেলে গাই হুইটলের সাথে জুটি বাঁধেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। হুইটলের সাথে ৫ম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২৩৩ রানের জুটি গড়েন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার।

অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং গ্রান্ট ফ্লাওয়ার; Image Source: Twitter

জিম্বাবুয়ে চার উইকেটে ৫৪৪ রান সংগ্রহ করলে অধিনায়ক অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার ইনিংস ঘোষণা করেন। তখন ক্রিজে থাকা দুই ব্যাটসম্যান-ই তিন অংকের রান সংগ্রহ করেছিলেন। গাই হুইটল ১১৩ রানে এবং ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকিয়ে ২০১ রানে অপরাজিত ছিলেন গ্রান্ট ফ্লাওয়ার। তিনি বেশিরভাগ সময় মিডল অর্ডারে ব্যাট করলেও এদিন ইনিংস উদ্বোধন করেছিলেন।

জিম্বাবুয়ের ৫৪৪ রানের জবাবে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে ৩২২ রানে অল আউট হয়ে ফলো-অনে পড়ে। পাকিস্তানি দ্বিতীয় ধপা ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৫৮ রানে গুটিয়ে গেলে জিম্বাবুয়ে ইনিংস ও ৬৪ রানের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।
দুই ভাইঅ্যান্ডি ফ্লাওয়ার এবং গ্রান্ট ফ্লাওয়ার যৌথভাবে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন।

মুশতাক মোহাম্মদসাদিক মোহাম্মদ

পাকিস্তানের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হানিফ মোহাম্মদের আরও চার ভাই টেস্ট ক্রিকেট খেলেছিলেন। তারাও বেশ সফল ব্যাটসম্যান ছিলেন। মোহাম্মদ ভাইয়েরা গত শতকের বেশিরভাগ সময় পাকিস্তানের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট সামাল দিয়েছিলেন। ১৯৬৯ সালে হানিফ মোহাম্মদ যখন নিজের শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলতে মাঠে নামেন তখন টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার ভাই সাদিক মোহাম্মদের। করাচীতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঐ ম্যাচে তাদের আরেক ভাই মুশতাক মোহাম্মদও খেলেছিলেন।

কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান হানিফ মোহাম্মদ পাকিস্তানের হয়ে ১২টি টেস্ট শতক হাঁকালেও তার সাথে একই ইনিংসে আর কোনো ভাই শতক হাঁকাতে পারেননি। তবে তার দুই ভাই সাদিক মোহাম্মদ এবং মুশতাক মোহাম্মদ একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর কীর্তি গড়েছিলেন। তারা দুইজন ১৯৭৬ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হায়দ্রাবাদে এই কীর্তি গড়েন।

সাদিক মোহাম্মদ এবং মুশতাক মোহাম্মদ; Image Source: EMPICS

হায়দ্রাবাদে ১৯৭৬ সালের ২৩শে অক্টোবর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান। ব্যাট করতে নেমে সাদিক মোহাম্মদের অপরাজিত ১০৩ রান এবং মুশতাক মোহাম্মদের ১০১ রানের ইনিংসের উপর ভর করে পাকিস্তান প্রথম ইনিংসে আট উইকেটে ৪৭৩ রান সংগ্রহ করে ইনিংস ঘোষণা করে।
জবাবে নিউজিল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসে ২১৯ রানে সবকটি উইকেট হারিয়ে ফলো-অনে পড়ে। ফলো-অনে পড়ে ব্যাট করতে নেমে ইনিংস পরাজয় এড়ালেও পাকিস্তানকে জয়ের জন্য মাত্র এক রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় সফরকারীরা। দশ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছে যায় মুশতাক মোহাম্মদের দল।

শন মার্শমিচেল মার্শ

দুই সহোদরের একই ইনিংসে শতক হাঁকানোর কীর্তি সর্বশেষ ঘটেছে চলতি বছরের শুরুতে।
২০১৮ সালের চৌঠা জানুয়ারি অ্যাশেজ সিরিজের ৫ম টেস্টে এই কীর্তি গড়েন শন মার্শ এবং মিচেল মার্শ।
সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনের ৫ম বলে কাঙ্ক্ষিত দুই রান সংগ্রহ করে শন মার্শ তার ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এবং মিচেল মার্শ পানি পানের বিরতি পরেই তার ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতক হাঁকান।

শন মার্শ এবং মিচেল মার্শ; Image Source: News Corp Australia

শন মার্শ এবং মিচেল মার্শ তাদের ক্যারিয়ারে চতুর্থবার একসাথে জুটি বেঁধে প্রথমবারের মতো শতরানের জুটি গড়েন। তারা ৫ম উইকেট জুটিতে ১৬৯ রান যোগ করেছিলেন।
সিডনিতে সিরিজের ৫ম টেস্টে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ৩৪৬ রান সংগ্রহ করেছিল। এই টেস্টের আগেই ৩-০ তে অ্যাশেজ জিতে নেওয়া অস্ট্রেলিয়া ব্যাট করতে নেমে উসমান খাঁজার ১৭১ রান, শন মার্শের ১৫৬ রান এবং মিচেল মার্শের ১০১ রানের উপর ভর করে সাত উইকেটে ৬৪৯ রান সংগ্রহ করেছিলো। ইংল্যান্ড তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ১৮০ রানে সবকটি উইকেট  হারিয়ে ইনিংস ও ১২৩ রানে পরাজিত হয় ইংল্যান্ড।

ফিচার ইমেজ: Getty Images

Related Articles