Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

মার্টিন ব্রেথওয়েটের ‘বিতর্কিত’ ট্রান্সফারের নেপথ্যে…

সময়টা ২০২০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি। কোনোরকম আগাম বার্তা ছাড়াই হঠাৎ করে বার্সেলোনা ঘোষণা দেয় তাদের নতুন খেলোয়াড়ের ক্লাবে যোগ দেয়ার কথা। ক্লাবগুলো মাঝে মাঝে এইভাবে মৌসুমের মাঝপথে খেলোয়াড়দের দলে ভেড়ায়, কিন্তু তা পরের মৌসুমের জন্য। কিন্তু বার্সেলোনা তাদের এই খেলোয়াড়কে নিয়ে আসে ওই মৌসুমের জন্যই। ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ থাকা সত্ত্বেও এইভাবে হুট করেই ক্লাব পরিবর্তন করে অন্য ক্লাবে একজন খেলোয়াড় কীভাবে খেলবে, তা নিয়ে বিভ্রান্তিতে ছিল অনেকেই। বিষয়টি পরিস্কার করে বার্সেলোনা এই চুক্তিকে প্রকাশ করে ‘ইমার্জেন্সি ট্রান্সফার’ হিসেবে। ব্রেথওয়েটের এই ‘ইমার্জেন্সি ট্রান্সফার’ বেশ কিছু বিতর্ক সৃষ্টি করে এই নিয়মটি নিয়ে। কিন্তু এই ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের ব্যাপারটি কী?

বার্সেলোনার হয়ে মাঠে মার্টিন ব্রেথওয়েট; Image Credit: Alex Caparros

আমাদের প্রাত্যাহিক জীবনে ‘ইমার্জেন্সি’ শব্দটি আমরা কখন ব্যবহার করি? কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে তাৎক্ষণিক তার একটা সমাধানকে আমরা ‘ইমার্জেন্সি সলিউশন’ তথা ‘জরুরী সমাধান’ বলি। পুরোপুরি সমস্যাটির সমাধান না হলেও কাজ চালানোর মতো একটা প্রাথমিক সমাধান পাওয়া যায় তাতে।

ফুটবলে বাধ্যতামূলক ট্রান্সফার উইন্ডোর আবির্ভাব ঘটে ২০০২-০৩ মৌসুমে। খেলোয়াড় নিয়ে ক্লাবগুলার মধ্যকার চলমান ঝামেলা দূর করা আর খেলোয়াড় নিবন্ধনের বিশুদ্ধতা ধরে রাখতে ইউরোপীয় কমিশনের সাথে আলাপ করে ফিফা এই সিদ্ধান্ত নেয়। আসলে ট্রান্সফার করা যাবে পুরো মৌসুমের যেকোনো সময়েই। কিন্তু কোনো একটি লিগে বা টুর্নামেন্টে রেজিস্ট্রেশন ছাড়া খেলোয়াড় খেলাতে পারবে না কোনো ক্লাব। এই রেজিস্ট্রেশনের জন্য আলাদা একটা সময়সূচি নির্ধারণ করে দিয়ে খেলোয়াড়দের বিভিন্ন ক্লাবে খেলার অনুমতি দেয় কর্মকর্তারা। তো এই উইন্ডোতে আসলে টাকার সাথে ক্লাবগুলো খেলোয়াড়দের রেজিস্ট্রেশন বিনিময় করে থাকে।

উল্লেখযোগ্য কয়েকটি দেশের ট্রান্সফার উইন্ডোর শিডিউল; Statistics Credit: FIFA

ট্রান্সফার উইন্ডোর ইতিহাস ঘাঁটলে যেতে হবে অনেক পেছনে, যখন ইংল্যান্ডে কেবল মাত্র পেশাদার ফুটবলের শুরু হয়। এফএ’র কর্তৃক প্রকাশিত ১৮৮৫ সালের নীতিমালায় এ নিয়ে বিস্তারিত দেয়া হয়, যা যুগের সাথে তাল মিলিয়ে প্রতিনিয়তই পরিবর্তিত হচ্ছে। সেখানে বলা হয় সকল খেলোয়াড়কে গভর্নিং বডির মাধ্যমে নিবন্ধভুক্ত হতে হবে যেকোনো ক্লাবের হয়ে কোনো টুর্নামেন্টে খেলার জন্য। আর এই জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেয়া হয়ে যাতে করে কোনো খেলোয়াড় হুট করে এক ক্লাব থেকে অন্য ক্লাবে চলে যেতে না পারেন, কিংবা কোনো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগমুহূর্তে কোনো ক্লাবে যোগ দিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। যত যা কেনাবেচা, সব এই সময়ের মধ্যেই হবে।

এই নিবন্ধন প্রক্রিয়ার জন্য ফিফা প্রতি মৌসুমে ২ টি করে ট্রান্সফার উইন্ডো রাখার প্রস্তাব করে। একটি একদম মৌসুমের শুরুতে, আর অন্যটি মৌসুমের মাঝামাঝি।  মৌসুমের শুরুর ট্রান্সফার উইন্ডোটি সর্বোচ্চ ১২ সপ্তাহ বা ৩ মাসের হতে পারবে। লম্বা এই সময়টিকে বলা হয় সামার ট্রান্সফার উইন্ডো। আর পরের ট্রান্সফার উইন্ডোটি আগেরটির চাইতে তুলনামূলক ছোট। মাত্র এক মাস সময় দেওয়া হয় দলগুলোকে ছোটখাটো মেরামতের জন্য, যাতে আগের ৪ মাসে তারা যেসব সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল তার একটি সমাধান আনতে পারে। একে বলা হয় উইন্টার ট্রান্সফার উইন্ডো। বছরের কোন মাসের কত তারিখ থেকে এটি শুরু হবে, তা ঠিক করে দেয় দেশগুলোর ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। এইজন্য বিভিন্ন দেশেই নানারকম কিছু ঘটনা ঘটে এই আলাদা ট্রান্সফার নিয়মনীতির জন্য।

এর মধ্যে অদ্ভুত একটা নিয়ম হল স্পেনের প্রথম সারির ফুটবল লিগ লা লিগার ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের নিয়ম।

লা লিগার নিয়ম কী বলে? যদি একজন খেলোয়াড় ৫ মাসের চাইতে বেশি সময়ের জন্য ইনজুরিতে পরে, তবে ২০ দিনের মধ্যে ক্লাব নতুন একজন খেলোয়াড়কে দলে ভেড়াতে পারবে ইমার্জেন্সি সাইনিং রুলে। এই ট্রান্সফারটি হতে হবে স্পেনের প্রথম দুই সারির লিগের কোনো ক্লাব থেকে বা কোনো একজন ফ্রি এজেন্টকে। অন্য কিছু লিগে এই নিয়মটির অস্তিত্ব রয়েছে, তবে সেখানে যদি কোনো গোলক্ষক খেলানোর মতো না থাকে, তখন তারা শুধু একজন গোলরক্ষককে আনতে পারবে।

তবে এ চুক্তি সম্পূর্ণ হওয়ার আগে লা লিগার কর্তৃক দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিকেল টিমকে দিয়ে এই ইনজুরি যে পাঁচ মাসের, তা নিশ্চিত করাতে হবে। যদি ডাক্তাররা এটির অনুমোদন দেয়, তবে সেই ইনজুরিতে পড়া খেলোয়াড়ের জায়গায় নতুন আনা খেলোয়াড়কে লা লিগার নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধন করাতে হবে। এতে একটি ক্লাব একজন মূল খেলোয়াড়ের অভাব কিছুটা হলেও মেটাতে পারবে। কিন্তু এই সমাধান আনতে গিয়ে এটি বেশ কিছু সমস্যারও সৃষ্টি করেছে।

কেমন সেই সমস্যাগুলো?

যে খেলোয়াড় ইনজুরিতে পড়বে তার পরিবর্তে যেকোনো একজন খেলোয়াড়কে নিতে পারবে। সেখানে বিবেচনা করা হবে না যে ঐ খেলোয়াড় কোন পজিশনে খেলেন কিংবা ঐ খেলোয়াড় আগের খেলোয়াড়ের চাইতে ভাল খেলেন না খারাপ। এইটা পুরোপুরিই ক্রেতা ক্লাবের ইচ্ছাধীন। ২০২০ সালে সেল্টা ভিগোর দ্বিতীয় গোলরক্ষক সার্জিও আলভারেজ হাঁটুর মেনিসকাস ইনজুরিতে পড়ে একটা দীর্ঘসময়ের জন্য মাঠের বাইরে চলে যান। তখন তারা ইমার্জেন্সি ট্রান্সফার নিয়মের সুবিধা নিয়ে দলে ভেড়ায় নোলিতোকে, যে কি না মূলত একজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড়।

এর চাইতে বড় সমস্যা দেখা দেয় অন্য জায়গায়। লা লিগায় একটা বাধ্যতামূলক নিয়ম হলো – সকল খেলোয়াড়ের চুক্তিতেই রিলিজ ক্লজ থাকতে হবে। রিলিজ ক্লজ হচ্ছে খেলোয়াড়ের চুক্তিতে থাকা একটি নির্দিষ্ট টাকার পরিমাণ যা পরিশোধ করলে ক্লাব সেই খেলোয়াড়কে ছেড়ে দিতে বাধ্য থাকবে। রিলিজ ক্লজ থাকাটা বড় বড় ক্লাবগুলোর জন্য একটা বড় সুবিধা। কারণ শুধুমাত্র খেলোয়াড় রাজি থাকলেই তারা রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে খেলোয়াড়কে নিজেদের ক্লাবে নিয়ে আসতে পারবে। খেলোয়াড়ের বর্তমান ক্লাবের মতামত সেখানে মোটেও গ্রহণযোগ্য হবে না। আবার গত কয়েক দশকে লা লিগার গুটিকয়েক ক্লাবের যেভাবে টাকা বেড়েছে, সেখানে তারা চাইলেই রিলিজ ক্লজ পরিশোধ  করে নিচের দিকের যেকোনো ক্লাব থেকেই খেলোয়াড় নিয়ে আসতে পারবে। আরো নির্দিষ্ট করে বললে – রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা। ফলে দেখা যাচ্ছে যেকোনো ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের প্রয়োজনে তারা টাকা খরচ করে সহজেই টেবিলের নিচের দিকের কোনো ক্লাবের টপ খেলোয়াড়কে নিয়ে আসতে পারবে বছরের যেকোনো সময়েই।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ক্লাবগুলো কেন তাহলে রিলিজ ক্লজ বেশি দিয়ে রাখে না চুক্তিপত্রে? কারণ, রিলিজ ক্লজ ঠিক করার সময় সেখানে ওই খেলোয়াড়ের মতামতও থাকে। কোনো খেলোয়াড়ই চায় না বেশি রিলিজ ক্লজ দিয়ে রেখে সহজভাবে অন্য ক্লাবে যাওয়ার সুযোগ হারাতে কিংবা পুরোপুরি নিজের ক্যারিয়ারকে ঐ ক্লাবের অধীনে দিয়ে দিতে।

২০২০ সালে বার্সেলোনা এই ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের সুযোগটি নেয়। লুইস সুয়ারেজের হাঁটুর ইনজুরির জন্য বার্সেলোনা পুরো ট্রান্সফার উইন্ডো পার করে একজন ফরোয়ার্ডের খোঁজে, যাকে দিয়ে মৌসুমের বাকি সময় ঠেকা কাজ চালানো যাবে। সুয়ারেজ মাঠের বাইরে গিয়েছিলেন ৪ মাসের জন্য। জানুয়ারিতে তারা চেষ্টা করে বেইজিং গুয়ানের সেদরিক বাকাম্বু এবং ভ্যালেন্সিয়ার রদ্রিগো মরেনোকে দলে আনতে। এই ট্রান্সফারের টাকা যোগাড়ের জন্য তারা লোনে পাঠায় কার্লোস পেরেজ এবং আবেল রুইজকে। কিন্তু দুইজনের একজনকেও তারা কিনতে পারেনি। কিন্তু তখনও বার্সার জন্য ব্যাপারটা এতটা গুরুতর হয় নি। কারণ তখনও তাদের কাছে আক্রমণভাগে অপশন ছিলেন উসমান দেমবেলে, আঁতোয়া গ্রিজমান ও লিওনেল মেসি। একাডেমি থেকে আনসু ফাতি তখন মাত্রই মূল দলে উঁকি দিচ্ছিলেন। জানুয়ারির উইন্ডো বন্ধ হওয়ার মাত্র এক সপ্তাহ পর খবর আসে উসমান দেমবেলের ইনজুরি নিয়ে। প্র্যাকটিসের সময় তার হ্যামস্ট্রিং পেশি ছিঁড়ে যায় এবং সেখানে সার্জারির প্রয়োজন পড়ে। ফলাফল: এবার তিনি ৬ মাসের জন্য মাঠের বাইরে। বার্সার হাতে তখন মাত্র তিনজন আক্রমণভাগের খেলোয়াড় ছিল।

২০২০ সালের ২৪ শে ফেব্রুয়ারি লা লিগার পয়েন্ট টেবিল; Image Credit: Sportsmonks

বাটে পড়ে বার্সেলোনা এবার ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের আবেদন করে লা লিগার কাছে, ফেব্রুয়ারির ১৭ তারিখ, লা লিগা এই আবেদন গ্রহণ করে অনুমোদন দেয় তাদের। সবুজ সংকেত পেয়ে তারা কপাল পোড়ায় রেলিগেশন এলাকায় থাকা লেগেনেসকে। লেগেনেসের স্টার ফরোয়ার্ড তখন মার্টিন ব্রেথওয়েট, যিনি কি না ঐ মৌসুমে লেগেনেসের টপ স্কোরার। পুরো মৌসুমে লেগেনেস গোল করে ১৪টি, যার মধ্যে ৬টিই ছিল ব্রেথওয়েটের। ব্রেথওয়েটের রিলিজ ক্লজ ছিল মাত্র ২০ মিলিয়ন ইউরো। এই রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে বার্সেলোনা তার সাথে যুক্তি করে সাড়ে চার বছরের জন্য।

২০ মিলিয়ন হাতে পেলেও তখন ট্রান্সফার উইন্ডো বন্ধ থাকায় লেগেনেস কোনো বিকল্প আনতে পারেনি ব্রেথওয়েটের। লেগেনেসের অবস্থা এতে আরো বাজে হয়। সদ্য শেষ হওয়া জানুয়ারি ট্রান্সফার উইন্ডোতে তারা সেভিয়ার কাছে হারায় তাদের আরেক স্টার ফরোয়ার্ড ইউসেফ এন-নেসিরিকে। সেভিয়াও এন-নেসিরিকে এভাবে রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করে নিয়ে যায়। ২০১৯-২০ মৌসুমের শেষে লেগেনেস রেলিগেটেড হয়ে যায়। মাত্র ১ পয়েন্টের জন্য তারা লা লিগায় টিকে থাকতে পারেনি। এই নিয়ে নিজেদের হতাশা মোটেও লুকায়নি লেগেনেস। এই নিয়মের বিরোধিতা করে তারা সরাসরি নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে।

২০১৯-২০ মৌসুম শেষে লা লিগার পয়েন্ট টেবিল; Image Credit : Google

শেষ অব্দি লাভ কিন্তু বার্সেলোনারও হয়নি। এমনিতেও শুধু লা লিগায় ব্রেথওয়েটকে খেলানোর অনুমোদন ছিল, ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের নিয়মটি চ্যাম্পিয়নস লিগের জন্য প্রযোজ্য হবে না। কোভিড-জর্জরিত মৌসুম শেষে তারা ঠিকই শিরোপা হারায় রিয়াল মাদ্রিদের কাছে, চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেয়। আর অন্যদিকে তাদের হয়ে ৪০৩ মিনিট খেলে মোটে একটি গোল করেন ব্রেথওয়েট। শেষমেষ বার্সেলোনার হয়ে ৪৪টি ম্যাচে ৫ গোলের পর এই মৌসুমের শুরুতে বার্সেলোনা থেকে বিদায় নেন ব্রেথওয়েট। এটি এমন একটি ট্রান্সফার চুক্তি ছিল যেখানে কোনো বিজয়ী ছিল না, ছিল স্রেফ দুর্ভাগ্য। গত পহেলা সেপ্টেম্বর বার্সেলোনা সরাসরি ব্রেথওয়েটের চুক্তি বাতিল করে দেয়। দুইদিন পরেই ব্রেথওয়েট ফ্রি’তে যোগ দেন আরেক কাতালান ক্লাব এসপানিওলে। এসপানিওলের হয়ে অভিষেকেই গোল করে এখন অব্দি ৩ ম্যাচ খেলে ২ গোল করেছেন তিনি।

অবশেষে সাড়ে চার বছরের চুক্তি আড়াই বছরেই সমাপ্তের ঘোষণা; Image Credit; Barcelona FC

এই কুখ্যাত চুক্তির পরেই ফিফা আর স্প্যানিশ ফুটবল এসোসিয়েশন এই অদ্ভুতুড়ে নিয়ম বাতিলের সুপারিশ করে। কিন্তু লা লিগা কর্তৃপক্ষ তা সরাসরি নাকচ করে দেয়। অন্তত আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এর কোনো আশু সমাধান আসছে না। কিন্তু একটি প্রকল্প চলছে যে ইমার্জেন্সি ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে রিলিজ ক্লজ পরিশোধ করলে চলবে না, সেখানে বিক্রেতা ক্লাবের সাথে অবশ্যই আলোচনা করতে হবে; তারা যদি বেশি টাকা চায়, তা-ই দিতে হবে।

তবে সব কিছুরই ভালো-খারাপ দুই দিকই রয়েছে। লা লিগার এমন কিছু নিয়ম, যেমন এই ইমার্জেন্সি ট্রান্সফার, বাধ্যতামূলক রিলিজ ক্লজ – এইসব যেমন অনেকের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ, অনেকের জন্য সেই নিয়মটাই অভিশাপস্বরূপ। ব্রেথওয়েটকে নিয়ে না গেলে হয়তো বা লেগেনেসকে সেই মৌসুমে রেলিগেশন হতে হতো না। এই নিয়মগুলো বাতিল করলে হয়তো বা তেমন উল্লেখযোগ্য দৃশ্যমান কোন পরিবর্তন আসবে না। কিন্তু অন্যান্য প্রথম সারির লিগগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই নিয়ম করা উচিত। তাতে অন্তত এইসব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় থাকে।

Related Articles