সাকিব আল হাসান! কে ভেবেছিল? ১৯৮৭ সালে ২৪ মার্চ মাগুরা জেলায় জন্ম নেওয়া এই ছেলেটি বাংলাদেশকে বিশ্ব মানচিত্রে আলোকিত করে তুলবেন। তালিকার শীর্ষস্থানে অবস্থান করে বিশ্ব ক্রিকেটে রাজত্ব করবেন দীর্ঘদিন অবধি!
যার ঝুলিতে অসংখ্য রেকর্ডের ছড়াছড়ি। তিনি যেন প্রতিটি ম্যাচেই খেলতে নামেন রেকর্ড করার জন্যই। এই বিশ্বকাপেই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বেশ ক'টি রেকর্ড গড়েন সাকিব আল হাসান।
দেশের জার্সিতে দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে ১১ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তিনি এবং দ্বিতীয় বাংলাদেশী বোলার হিসেবে তুলে নিয়েছেন ২৫০ উইকেট। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয় ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই ৫০০ উইকেট শিকার ও ১১ হাজার রানের ক্লাবে নাম লিখিয়েছেন অনেক আগেই। এছাড়াও একদিনের ক্রিকেটে সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ৫,০০০ রান ও ২৫০ উইকেট শিকারের তালিকায় নাম আছে তার।
এমনকি একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে ওয়ানডেতে অলরাউন্ডার র্যাংকিংয়ে শীর্ষে থেকেই তিনটি বিশ্বকাপ আসরে খেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। সর্বশেষ সেদিনের সাউথ আফ্রিকা ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করার মাধ্যমে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টানা চারটি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচে হাফসেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেছেন আমাদের সাকিব আল হাসান। আমাদের আজকের আলোচনায় থাকছে সেই চারটি ম্যাচ এবং পাশাপাশি চলতি বিশ্বকাপে সাকিবের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
বিশ্বকাপ ২০০৭
একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাকিবের অভিষেক হয়েছিল ২০০৬ সালের শেষের দিকে। পরের বছরের মার্চ মাসেই বসে বিশ্বকাপের আসর। সাকিব ততোদিনে দেশের হয়ে খেলেন মোট ২০টি ম্যাচ। সেই ম্যাচগুলোতেই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সবারই নজরে এসেছিলেন তিনি। বিশ্বকাপের আগের ২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৫২.২৫ গড়ে করেছিলেন ৬২৭ রান এবং বল হাতে তুলে নিয়েছিলেন ২২টি উইকেট। এমনকি সর্বশেষ ম্যাচটিতেও বল হাতে ২ উইকেটের পাশাপাশি ক্যারিয়ার সেরা ১৩৪ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
এমন একজন অলরাউন্ডারকে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে দলে কে না রাখতে চায়? ডাক পেলেন বিশ্বকাপ দলে। এবং বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ভারতের বিপক্ষে একাদশে জায়গা করে নেন সাকিব। টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। মাশরাফি, রাজ্জাক ও মোহাম্মদ রফিকদের বোলিং তান্ডবে ১৯১ রানেই গুড়িয়ে যায় ভারতের ইনিংস। সাকিব আল হাসান ১০ ওভার বল করে বিনা উইকেটে ৪৪ রান দিয়েছিলেন।
সাকিব সেদিন বল হাতে নজরকারার মতো কোনো প্রভাব না ফেললেও, ব্যাট হাতে দলের জয়ে অসাধারণ অবদান রেখেছিলেন। দলের বিপর্যয়ে মুশফিকুর রহিমের সাথে গড়েছিলেন ৮৪ রানের এক অনবদ্য জুটি। এরই মাঝে বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ম্যাচেই প্রথম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাকিব। ৮৬ বল মোকাবিলা করে ৫টি চার ও ১টি ছয়ের বিনিময়ে মোট ৫৩ রান করে আউট হোন তিনি। তবে দল ততক্ষণে জয়ের ঠিক দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। ৫ উইকেটের জয় পেয়েছিল সেদিন বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার সাথে হারের ফলে সেবার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে ভারত। সাকিবের পাশাপাশি সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের হাফসেঞ্চুরিও দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
বিশ্বকাপ ২০১১
২০১১ সালের বিশ্বকাপে স্বাগতিক দল হিসেবেই অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশ। ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো। উদ্বোধনী ম্যাচসহ মোট ৮টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয় বাংলাদেশে। উদ্বোধনী ম্যাচে মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে ভারতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ।
সাকিব ততোদিনে ব্যাটিং ও বোলিং নৈপুণ্যে বিশ্ব ক্রিকেটে সুপরিচিত মুখ। ওয়ানডে ক্রিকেটে নিজের নামের পাশে লাগিয়েছেন বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের তকমা। ইনজুরির কারণে মাশরাফি খেলতে না পারায়, অধিনায়কত্বের দায়ভার পড়ে সাকিবের কাঁধে। তার নেতৃত্বেই নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে লড়ে বাংলাদেশ।
টসে জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণে জানান সাকিব। ব্যাট করতে নেমে বীরেন্দ্র শেওয়াগ ও বিরাট কোহলির অনবদ্য সেঞ্চুরিতে ৩৭০ রানের বিশাল স্কোর গড়ে ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো করলেও দলকে জয়ী করতে পারেনি সেদিন টাইগাররা। সাকিব সেই ম্যাচে তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের সাথে ছোট দুটি জুড়ি গড়েন। ব্যক্তিগত ভাবে ৫০ বল খেলে ৫টি চারে ৫৫ রান করেছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮৩ রান করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। ফলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ৮৭ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
বিশ্বকাপ ২০১৫
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে যৌথ আয়োজক দেশ ছিল অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের হয়ে নেতৃত্ব দেন মাশরাফি মর্তুজা। ২০১১ সালের মতো এই বিশ্বকাপেও বিশ্বের এক নম্বর অলরাউন্ডার হিসেবে ও দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে ছিলেন সাকিব আল হাসান।
২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরায় নিজের প্রথম ম্যাচে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামার পর শুরুটা খুব বেশি ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। ১০২ রানেই টপ অর্ডারের তিনজন ব্যাটসম্যান প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে উইকেটে আসেন সাকিব আল হাসান। এর একটু পরেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হলে মুশফিকুর রহিমের সাথে ৯৩ বলে ১১৪ রানের চমৎকার এক জুটি গড়ে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দেন। ৫১ বল মোকাবিলা করে ৬টি চার ও ১টি ছক্কার বিনিময়ে মোট ৬৩ রান করেন সেদিন সাকিব। সেই ম্যাচ মুশফিকুর রহিমও হাফসেঞ্চুরি করেছিলেন। ৫০ ওভার শেষে সবকটি উইকেট হারিয়ে সর্বমোট ২৬৭ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
জবাবে বাংলাদেশ বোলিং দাপটে প্রথমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় আফগানিস্তান। গুটিয়ে যায় মাত্র ১৬২ রানে। ফলে ১০৫ রানের বড় জয় দিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে সাকিব ৮.৫ অভার বল করে ৪৩ রান দিয়ে ২টি উইকেট শিকার করেছিলেন।
বিশ্বকাপ ২০১৯
ইংল্যান্ডে চলছে বিশ্ব ক্রিকেটে শ্রেষ্ঠত্ব লড়াইয়ের ১২তম আসর। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপ আসরে প্রথমবারের মতো অংশগ্রহণ করা বাংলাদেশের ষষ্ঠ বিশ্বকাপ আসর এটি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে কোয়াটার ফাইনাল ও ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনালে খেলা বাংলাদেশকে নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে অনেক ক্রিকেট বোদ্ধারাই বেশ আশাবাদী। আবার অনেকে ছোট দল হিসেবে সম্বোধন করে উপহাস করতেও ভুলেননি।
তবে টাইগার বাহিনী দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা দল নিয়ে তাদের সেরাটা দেওয়ার লক্ষ্যেই পাড়ি জমিয়েছে ইংল্যান্ডে। অপরদিকে গতবছর ওয়ানডে ক্রিকেটে অলরাউন্ডারের তালিকা হতে নিজের স্থান হারানো সাকিব আল হাসান বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগ মুহূর্তে নিজের আসনে বসেই শুরু করেন এবারের বিশ্বকাপ যাত্রা।
গত ২ জুন চলতি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে শুভসূচনা করেন বাংলাদেশের দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। তবে দলীয় ৭৫ রানের মধ্যেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান সাজঘরে ফিরে যান। কিন্তু থেমে থাকেনি রানের চাকা। অসাধারণ এক জুটি গড়ে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। এর মধ্য দিয়ে সাকিব আল হাসান চলতি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত প্রথম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন মুশফিকুর রহিমও। পরে সাকিব ৮৪ বল খেলে ৮টি চার ও ১টি ছয়ে ৭৫ রান করে আউট হয়ে যান। সাকিব ও মুশফিকের ১৪১ বলে ১৪২ রানের জুটিটি ছিল বাংলাদেশের বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
সাকিব ও মুশফিকের পর ইনিংসের শেষে এসে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মোসাদ্দেক সৌকতের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ৩৩০ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। যা তখন পর্যন্ত ছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান। জবাবে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩০৯ রানের মাথায় থেমে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা ইনিংস। ২১ রানের জয় নিয়ে বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয় বাংলাদেশের। সাকিব ১০ অভার বল করে ৫০ রান দিয়ে ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন। সেদিনের পারফরম্যান্সে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন সাকিব।
এরপর বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ে বাংলাদেশ। সেই ম্যাচেও বাংলাদেশ ব্যাটিংয়ে খুব বেশি ভালো করতে না পারলেও সাকিব আল হাসান তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। ৬৮ বল খেলে ৭টি চারের সুবাদে ৬৪ রান করেন তিনি। যদিও ম্যাচটি নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটের ব্যবধানে জয়ী হয়। নিউজিল্যান্ডের সাথে হারের পর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের প্রতি পাহাড় সম টার্গেট ছুড়ে দেয় ইংল্যান্ড৷ ৩৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে প্রথমেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে এ ম্যাচেও সাকিব আল হাসান ছিলেন অপ্রতিরোধ্য। তুলে নেন বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি৷ ১১৯ বল মোকাবিলা করে ১২টি চার ও ১টি ছয়ে ১২১ রান করেন সাকিব। তার অনবদ্য সেঞ্চুরির বিপরীতে বাংলাদেশের অন্যান্য ব্যাটসম্যানরা ছিলেন নিষ্প্রভ। ফলে ১০৬ রানের বড় ব্যবধানে হেরে যায় বাংলাদেশ।
টানা দুই ম্যাচে হার ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হবার কারণে বেশ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচটিতে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না। তবে তাদের দেওয়া ৩২২ রানে লক্ষ্য তাড়া করাটা বেশ কঠিনই মনে হচ্ছিল। কিন্তু তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকারের শুভসূচনা এবং সাকিব আল হাসানের 'ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি'র সাথে লিটন দাসের অনবদ্য ৯৪ রানের অপরাজিত ইনিংসের সুবাদে ৫১ বল হাতে রেখে ৭ উইকেটের সহজ জয় পায় বাংলাদেশ।
এরপরের ম্যাচটি ছিল এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেবারিট অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ম্যাচটিতে ডেভিড ওয়ার্নারের ১৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংসের পাশাপাশি অ্যারন ফিঞ্চ ও উসমান খাজার হাফসেঞ্চুরির সুবাদে ৫ উইকেটে ৩৮১ রানের বিশাল স্কোর গড়ে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে বেশি রান তুলতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সাকিব ও তামিম ৭৯ রান তুলেন। এরপর সাকিব আল হাসান ৪১ বল থেকে ৪১ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। তারপর লিটন দাস দ্রুত আউট হলে মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ শতরানের একটি জুটি গড়েও দলকে জেতাতে পারেননি। তবে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ৬৯ এবং মুশফিকুর রহিমের অপরাজিত ১০২ রানের সুবাদে ৮ উইকেটে ৩৩৩ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। যা বর্তমানে ওয়ানডে ক্রিকেট ইতিহাসে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান।
সেমিফাইনালে টিকে থাকার লড়াইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিও ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সে ম্যাচে আফগানদের যেন সাকিব একাই বশ করে ফেলেছিলেন। ব্যাট হাতে ৫১ রান এবং বল হাতে ২৯ রান দিয়ে ৫টি উইকেট তুলে নেন, যা সাকিবের ওয়ানডে ক্রিকেট ও বিশ্বকাপে সেরা বোলিং ফিগার। সাকিবের অলরাউন্ডিং পারফর্ম ও মুশফিকের অসাধারণ ব্যাটিংয়ে ৬২ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। এই জয়ে এখন পর্যন্ত ৭ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের পঞ্চম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের লড়াইয়ে টিকে থাকতে হলে পরের দুটি ম্যাচও জিততে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারবে কিনা তা সময়ই বলে দিবে, কিন্তু একক লড়াইয়ে ৬ ম্যাচে ব্যাট হাতে ৪৭৬ রান ও বল হাতে ১০ উইকেট নিয়ে এখনো টুর্নামেন্টে সেরা সাকিব আল হাসান।
This is a bangla article. It's about four half centuries in four world cups of Shakib Al Hasan. Necessary references have been hyperlinked inside the article.
Featured Image: imgur.com