Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

এক সোনালি প্রজন্মের আক্ষেপ এবং…

“২৩ মিলিয়ন মানুষের চেয়ে ২৩ জনকে বোঝানো আমার জন্য বেশি সহজ।”

১৯৭৮ বিশ্বকাপে ২৫ জনের দলে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বয়সের অজুহাতে ম্যারাডোনাকে দলে নেননি লুইস মেনোত্তি। তাতে করে উত্তাল হয়ে উঠা জনতার উদ্দেশ্যে প্রথম বাক্যটি ছুড়ে দিয়েছিলেন এই বিশ্বকাপজয়ী কোচ। ম্যারাডোনা বলেছিলেন, তিনি কখনোই ক্ষমা করবেন না মেনোত্তিকে। আর সেই জেদেই কি না ঠিক ১ বছর পর জাপানে অনুষ্ঠিত হওয়া অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপটি নিয়ে আসেন নিজ দেশে, জিতে নেন গোল্ডেন বল। আর্জেন্টিনার ইতিহাসে সেটিই ছিল প্রথম বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপ জয়। পরবর্তীতে সেটি তারা জিতে নেয় সর্বোচ্চ ৬ বার।

২০০৪ কোপা আমেরিকা ফাইনাল হারের পর বিয়েলসা ছেড়ে দিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার কোচের পদটি। তার জায়গায় সেই সময়ে যোগ্য উত্তরসূরী ছিলেন হোসে পেকারম্যান। আর্জেন্টিনাকে ৩টি অনূর্ধ্ব-২০ শিরোপা জেতানো পেকারম্যান ততদিনে বেশ নামকরা কোচ। তার দায়িত্বেও বেশ ভালোই করছিল আলবিসেলেস্তেরা। দায়িত্বে নেওয়ার পরের বছরেই কনফেডারেশন কাপ ফাইনালে তোলেন আর্জেন্টিনাকে। যদিও শেষ পর্যন্ত আবারও ফাইনালে হেরে যায় আর্জেন্টিনা। তবে দল নিয়ে তার দুর্দান্ত কাজে বেশ সন্তুষ্ট ছিল ফেডারেশন। তারও এক বছর পর জার্মানি বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা গিয়েছিল বিশ্বকাপের অন্যতম দাবিদার হিসেবে। পরীক্ষিত সৈনিক রিকেলমে, আইমার, স্যাভিওলা, আয়ালা, ক্যাম্বিয়াসো, ক্রেসপো ছাড়াও দলে ছিলেন ম্যাক্সি রদ্রিগেজ, মাশ্চেরানো, মেসি, তেভেজদের মতো তরুণ তুর্কিরাও। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে স্বাগতিক জার্মানির বিপক্ষে ১-০ গোলে এগিয়ে থাকার পরও পেকারম্যান রিকেলমেকে তুলে মেসিকে না নামানোয় পড়েন তুমুল সমালোচনায়, যার জন্য ছেড়ে দেন কোচের পদটি। আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের অনুনয়ও কানে তোলেননি।

২০০৫ অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ ফাইনালের পর আর্জেন্টিনা; Image Source : Getty Images

কিন্তু ১৮ বছরের লিওনেল মেসি কেমন ছিল তখন?

তার জন্য আমাদের আবার চলে যেতে হবে অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপে। জার্মানি বিশ্বকাপের এক বছর আগেই নেদারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হওয়া বয়সভিত্তিক সেই বিশ্বকাপটি ছিল একান্তই মেসির। গোল্ডেন বুটসহ বলটিও বগলদাবা করেছিলেন এই বিস্ময়বালক। সেটি ছিল আর্জেন্টিনার ইতিহাসে ৫ম অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ শিরোপা।

তবে প্রশ্ন আসতে পারে, সবে তো মাত্র বয়সভিত্তিক দল। তার সাথে কি আর বিশ্বকাপের তুলনা চলে! বার্সেলোনার জার্সিতেও সবেমাত্র দুর্দান্ত শুরু হওয়াটাও কারণ ছিল না। কারণ ছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। কারণ আর্জেন্টিনার হয়ে ম্যারাডোনাও যে পুরোদস্তুর লাইমলাইটে এসেছিলেন অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ দিয়েই। ফুটবল-ঈশ্বরের হাত ধরেই প্রথম বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপটি জিতেছিল আর্জেন্টিনা। আর লিওনেল মেসিকে সেই সিংহাসনে বসানোর তোড়জোড় চলছিল আর্জেন্টিনায়।

মেসির দুই বছর পর সেই একই মঞ্চে নায়ক ছিলেন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সার্জিও আগুয়েরো। সেই দলে আরো ছিলেন ডি মারিয়া, বানেগা, রোমেরো, পাপু গোমেজরাও। বন্ধু মেসির মতো গোল্ডেন বল ও বুট দুটোই জিতেছিলেন আগুয়েরো। তার ১ বছর পর এই দুই দলের খেলোয়াড়েরা মিলে জিতেছেন বেইজিং অলিম্পিকের স্বর্ণপদক। এই খেলোয়াড়েরাই পরবর্তীতে শাসন করেছেন ফুটবল-বিশ্ব, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তারপরও দেশের অর্জনের বেলায় সবার ডালিই শূন্য। থেকে গেছে এক সোনালি প্রজন্মের আক্ষেপ ও হাহাকার।

এক ঝাঁক আর্জেন্টাইন তারকা; Image Source: Getty Image 

ভাগ্যের দোহাই দিতে পারেন আপনি। হিগুয়াইনের সেই শিশুসুলভ মিস কিংবা টাইব্রেকারে স্বয়ং মেসির পেনাল্টি মিসের কথা বলতে পারেন। বলতে পারেন টানা দুই ফাইনালে ডি মারিয়ার দর্শক হয়ে থাকার আক্ষেপের কথা। কিন্তু স্রেফ ভাগ্যের কারণেই এক সোনালি প্রজন্মের খালি হাতে ফেরা?

২০১০ বিশ্বকাপ কিংবা ২০১১ কোপা আমেরিকার কথা বাদ দিতেই পারেন। স্বয়ং ফুটবল-ঈশ্বর ম্যারাডোনার ১৯৮২ বিশ্বকাপ শেষ হয়েছিল লাল কার্ড দেখে। ২২-২৩ বছরের তরুণ দল নিয়ে সেবার ডাগআউটে থাকা ম্যারাডোনা যে বেশি দূর যাবেন না, সেটা ২০১০ বিশ্বকাপের আগে জ্যোতিষী না হয়েও আপনি বলে দিতে পারতেন। জার্মানির কাছে ভরাডুবির পর গতানুগতিকভাবেই মিউজিক্যাল চেয়ারের মতো কোচের চেয়ারটিতে পালাবদল গেছে। শেষ পর্যন্ত স্থায়ী হয়েছিলেন আলেহান্দ্রো সাবেলা।

আর্জেন্টিনার ফরোয়ার্ড লাইন নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল না কস্মিনকালেও। মাঝমাঠ কোনোভাবে চালিয়ে নেওয়া গেলেও ডিফেন্সের অবস্থা ছিল যাচ্ছেতাই। ২০১০ বিশ্বকাপ ভরাডুবি হয়েছিল এই দুর্বল রক্ষণের জন্যই। সাবেলা সবার আগে তাই হাত দিলেন রক্ষণদূর্গ ঠিক করার কাজে। সেই কাজটি সাবেলা করলেন বেশ সফলভাবেই। বাছাইপর্বে সবার আগে থেকে ব্রাজিল বিশ্বকাপের টিকেট কেটে নেয় আর্জেন্টিনা। মেসি, মারিয়া, আগুয়েরো, হিগুয়াইন, মাশ্চেরানোরা ক্যারিয়ারের তুঙ্গে। বলা হয়ে থাকে, ২৬-২৭ বছর ফুটবলারদের জন্য সবচেয়ে আদর্শ সময়। মাঝমাঠের সমস্যার সমাধানে ডি মারিয়া হয়ে উঠলেন ‘এঞ্জেল’। মাদ্রিদের হয়ে সদ্যই চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে এলেন বিশ্বকাপে। মঞ্চ তৈরিই ছিল। মারাকানা স্টেডিয়াম… মেসি… বিশ্বকাপ… কিংবা আর্জেন্টিনার তৃষ্ণার্ত কাকের মতো চাওয়া একটি ট্রফি!

কিছুই হলো না। স্বপ্নভঙ্গে কাঁদলেন আগুয়েরো-মারিয়া-লাভেজ্জিরা। তবে তখনো যদি তারা জানতেন, স্বপ্নভঙ্গের বেদনার শুরুমাত্র সেই ম্যাচ দিয়ে!

বিশ্বকাপ ফাইনালের পর মেসি; Image Source: Getty Images

সাবেলা ব্যর্থতার ভার মাথায় নিয়ে চলে গেলেন। যদিও খেলোয়াড় বোর্ড দুই দলই চেয়েছিলো সাবেলাকে। কিন্তু ভদ্রলোক থাকেননি। তার জায়গা নেন টাটা মার্টিনো। টিম কম্বিনেশন ধরে রাখেন মার্টিনোও। এক দুর্দান্ত প্রতিভাবান প্রজন্ম ক্লাবের হয়ে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রতিনিয়ত। মেসিকে দূরে রাখুন, আগুয়েরো-হিগুয়াইনরাও প্রতিনিয়ত গোল পাচ্ছেন মুড়ি-মুড়কির মতো। ডি মারিয়া-মাশ্চেরানো-লাভেজ্জিরাও একই পথের যাত্রী। দেখতে দেখতে এক বছর পরই কোপা আমেরিকার আগমন। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ব্রাজিলের নখদন্তহীন অবস্থায় টুর্নামেন্টে একমাত্র পরিষ্কার ফেভারিট আর্জেন্টিনাই।

সেই শিরোপা তারা খুইয়েছিল টাইব্রেকার নামক এক ভাগ্যের লটারিতে। পরের বছরের বিশেষ আয়োজিত শতবর্ষী কোপায়ও চিত্রনাট্যের হেরফের হয়নি। শুধুমাত্র পেনাল্টি মিসে পরিবর্তন হয়েছে নাম, হিগুয়াইনের জায়গায় মেসি। সেদিন ম্যাচশেষে সবাইকে চমকে দিয়ে মেসি বলে উঠলেন, আর না! জাতীয় দলকে তার দেওয়ার আর কিছুই নেই। আর্জেন্টিনা ও তার এক সোনালী প্রজন্মের ব্যর্থতার ষোলকলাও পূর্ণ হয়েছিল যেন সেদিন।

কোপা ফাইনাল হারের পর আর্জেন্টিনা; Image Credit: Getty Images

ফাইনালে এসে প্রতিনিয়ত খেই হারিয়ে ফেলাকে আপনি কোনোভাবেই ভাগ্যের সাথে মিলাতে পারবেন না। আপনি যতই আর্জেন্টিনার গুণগাণ গেয়ে তাদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, অজান্তেই আপনার মনে চলে এসেছিল হয়তো, ‘ইশ! মেসি যদি একটা গোল করতে পারত!” তবে আপনি যদি দোষটা বোর্ডের উপর চাপান, তাহলে বোধ করি কেউ প্রশ্ন তুলবে না।

২০১৪ বিশ্বকাপ শেষেই আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হওয়ার কথা। সেটি বেশ কিছুদিন পেছালেও ২০১৫ সালে ভোট নেওয়া শুরু হয়। ৭৫ সদস্যের ভোটের ফলাফল গণনা করতে গিয়ে দেখা গেল, দুই প্রার্থীই পেয়েছেন ৩৮ করে ভোট। মানে মোট ভোটদাতা ৭৬ জন! কারচুপির অভিযোগে তুমুল অনিয়ম আর বিশৃঙ্খলার মধ্যে ১ বছরের বেশি সময় আর্জেন্টিনা ফুটবল ফেডারেশন ছিল প্রেসিডেন্টবিহীন। সাবেলা-পরবর্তী সময়ে প্রতিনিয়িত পত্রিকাগুলোয় বিস্তর আলোচনা হতো সিমিওনে, পচেত্তিনো, গ্যালার্দো, সাম্পাওলিদের নিয়ে। অথচ ডাগআউট তো পরের চিন্তা, ফেডারেশনের ভেতরের অবস্থাই তখন টালমাটাল। দুর্নীতিতে ছেয়ে থাকা ফেডারেশন ভালো কোচ বহন করার খরচ যে দিতে পারবে না, তা মেসিরা ভালো করেই জানতেন। এমনকি ফেডারেশনের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মকর্তাদের বেতনও খেলোয়াড়েরা দিয়েছিলেন নিজেদের পকেট থেকে।পরবর্তীতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর সাম্পাওলি ডাগআউটে আসলেও ততদিনে বেশ দেরি হয়ে গেছে। সোনালী প্রজন্মের শেষের শুরু। বুড়িয়ে যাওয়া মাশ্চেরানো, গ্যাগো, বিলিয়া, ডি মারিয়া, হিগুয়াইনরা তাই নিজেদের হারিয়ে খুঁজেছেন রাশিয়া বিশ্বকাপে।

মেসি ও আগুয়েরো; Image Source : Martin Meissner/AP

তবে সমস্যা শুধু এতটুকুতে সীমাবদ্ধ থাকলেও চলতো। সমস্যা আরো গভীরে প্রোথিত। লিওনেল মেসির উত্তরসূরী আর্জেন্টিনা পাবে, সেটি অনেকটা স্বপ্নের মতোই। কিন্তু মাশ্চেরানোর ফেলে যাওয়া স্থানেরও এখনো বিকল্প খুঁজে পায়নি আলবিসেলেস্তেরা। এমনকি গ্যারাই, ডেমিচেলিসদের ফেলে যাওয়া জায়গাতেও বেশ কয়েক বছর ধরে খেলছেন গড়পড়তা মানের খেলোয়াড়েরা। কিন্তু দোষ দিবেন কাকে?

দিনকে দিন ফুটবল পরিবর্তন হয়েছে বড়সড় আকারে। জার্মানি কিংবা স্পেনের দিকে তাকালেই দেখতে পারবেন, যুব প্রকল্পে তাদের পরিকল্পনা বিস্তর। তাই প্রতিনিয়তই প্রতিভাবান খেলোয়াড় উঠে আসছে সেখান থেকে। তাদের থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে ইংল্যান্ডও সে পথে, দারুণ সব ফুটবলার উঠে আসছে তাদেরও। শুধুমাত্র ঐতিহ্য কিংবা প্রকৃতপ্রদত্ত প্রতিভা দিয়ে আধুনিক ফুটবলে আর যা-ই করা যায়, ট্রফি জেতা যায় না। তা না হলে মাত্র ৩ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দার দেশ আইসল্যান্ড ইউরোর কোয়ার্টার ফাইনাল খেলত না। কিংবা নেদারল্যান্ড-ইতালিকে টপকে জায়গা করে নিতে পারত না বিশ্বকাপে।

ঠিক এই জায়গাটাতেই ভীষণভাবে পিছিয়ে আর্জেন্টিনা, আরো একটু বড় পরিসরে ভাবলে লাতিন ফুটবল। গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তী হোর্হে ভালদানো বলেছিলেন,

“আমরা টাকাপয়সা, অর্গানাইজেশন, সুদূরপ্রসারী চিন্তাভাবনা – সব দিক দিয়ে এমনিতেই পিছিয়ে। তার পাশাপাশি অহমিকা এবং বেশি আত্মবিশ্বাস আরো নিচে ঠেলে দিচ্ছে আমাদের।”

একটা সময় নিজেদের উঠে আসা তরুণ খেলোয়াড়দের নিয়ে গর্ব করার জায়গাটুকু হারাচ্ছে আর্জেন্টিনা। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০৭ সাল — এই ১২ বছরে অনুষ্ঠিত হওয়া ৭টি অনুর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপের ৫টিই গিয়েছিল আর্জেন্টিনার ঘরে। সেখানে গত ১৪ বছরে এই বয়সভিত্তিক বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার সেরা সাফল্য একবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা। টম ভিকারি দোষ দিয়েছিলেন বোর্ডকে। তিনি বলেছিলেন,

“তারা প্রকৃতপ্রদত্ত প্রতিভায় এতটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে যে ভেবে বসে আছে যে এই প্রতিভাবান ফুটবলারদের যোগান কখনোই থামবে না।”

বর্তমান আর্জেন্টিনা দল; Image Source : Mundo Albiceleste

রাশিয়া বিশ্বকাপে এলান স্মিথ আর্জেন্টিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন “Comically front-loaded”। আগুয়েরো-দিবালারা বেঞ্চ গরম করছেন, এদিকে মার্কাদো-রোহোর মতো সাধারণ খেলোয়াড়রা সামলাচ্ছেন রক্ষণভাগ। তরুন আর্জেন্টাইনদের মধ্যে ‘আয়ালা’ কিংবা ‘প্যাসারালা’ হওয়ার চেয়ে ‘ম্যারাডোনা, ‘মেসি’, ‘বাতিস্তুতা’ হওয়ার প্রবণতা বেশি, সেটি থাকাও স্বাভাবিক। কিন্তু এক্ষেত্রে যেখানে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বোর্ডের, সেই পদক্ষেপ তারা নিচ্ছে কই!

তবে সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট তাপিয়া বেশ আশার আলো দেখাচ্ছেন। যুব প্রকল্পের দায়িত্ব দিয়েছেন হুয়ান সেবাস্তিয়ান ভেরনের উপর। রক্ষণ নিয়ে কাজ করছেন আয়ালা ও ওয়াল্টার স্যামুয়েল। স্কালোনিও বেশ গুছিয়ে এনেছেন দল। তার অধীনে আর্জেন্টিনা মেসি-নির্ভরতা কাটিয়ে উঠেছে অনেকখানিই। তবে এখনও স্পেন-জার্মানিদের তুলনায় ঢের পিছিয়ে আর্জেন্টিনা। তবে স্বপ্ন দেখতে তো কোনো বাধা নেই। আর্জেন্টাইনরাও তাই আবার স্বপ্নে বুক বাঁধছেন। স্বপ্ন দেখছেন, ২০২২-এ যেন পরপারে পাড়ি দেওয়া ম্যারাডোনার আত্মা অলৌকিকভাবে ভর করে মেসির উপর। ডিপল, পারেদেস, লাউতারোরা যেন একেকজন হয়ে ওঠেন ক্যানিজিয়া-বাতিস্তা-বুরুচাগা। কারণ, একটি বিশ্বকাপই যে তাদের ভুলিয়ে দিতে পারে এক সোনালি প্রজন্মের আক্ষেপ!

This is an article about the regret of Argentina's golden generation in football & future. Necessary links are hyperlinked in the article. 

Image Source : Popsugar

Related Articles