সিটির হোঁচট, লিভারপুলের লাভ
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমের সবচেয়ে বড় অঘটনটি বোধহয় ঘটে গেল ক্রিসমাস ব্রেকের ঠিক আগেই। নিজেদের ঘরের মাঠে ক্রিস্টাল প্যালেসের কাছে ৩-২ ব্যবধানে হেরে বসেছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবং এর মাধ্যমে লিভারপুলের সাথে পেপ গার্দিওলার শিষ্যদের পয়েন্টের ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ালো চারে। অর্থাৎ ক্রিসমাসের দিন সকালে ইয়ুর্গেন ক্লপ কেবল সাময়িক লিগ লিডার হিসেবেই ঘুম থেকে উঠবেন না, দেখবেন এবার কারা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা ঘরে তুলবে এমন বাজির দরেও তার দলই এখন পরিষ্কার ফেভারিট!
মাত্র একদিন আগেই, শুক্রবার, প্রতিকূল আবহাওয়া জয় করে, উলভারহ্যাম্পটনকে ২-০ ব্যবধানে হারিয়ে এসেছিল লিভারপুল। স্কোরশিটে নাম তুলেছিলেন মো সালাহ ও ভার্জিল ফন ডাইক। দ্বিতীয় গোলটিতেও ছিল ইজিপশিয়ান কিং-এর অবদান। তার ম্যাচজয়ী পারফরম্যান্সের সুবাদে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রেখেছিল তার দল।
স্বাভাবিকভাবেই ম্যানচেস্টার সিটির উপর চাপ আরও বেড়ে গিয়েছিল। সমীকরণটি এমন যে, জিতলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে ক্রিসমাস উদযাপন করা যাবে না, কিন্তু পয়েন্ট হারালেই পরের বছরের জন্য কাজটা আরও কঠিন হয়ে যাবে। কিন্তু যেহেতু নিজেদের ঘরের মাঠে ম্যানচেস্টার স্টেডিয়ামে ম্যাচ, যেখানে তারা আগের নয়টি ম্যাচই জিতেছে এবং নিজেরা ৩৩ বার প্রতিপক্ষের জালে বল জড়ানোর বিপরীতে হজম করেছে মাত্র ছয় গোল, তাই সকলেরই আশা ছিল দিনশেষে পুরো তিন পয়েন্টই অর্জন করবে আকাশী নীল জার্সিধারীরা।
ম্যাচের শুরুতেও দেখা মিলেছিল তেমনি কিছুরই ইঙ্গিত। ১৫ তম অবস্থানে থাকা প্যালেস একদমই সুবিধা করে উঠতে পারছিল না। গতি আর ছন্দের মিশেলে তাদের উপর ছড়ি ঘুরিয়ে চলেছিল স্বাগতিকরা। সেই ধারাবাহিকতায় ২৭তম মিনিটে জার্মান মিডফিল্ডার ইলকে গুন্দোগানের গোলে এগিয়েও যায় তারা। এ পর্যন্ত চিত্রনাট্য নিখুঁত ছিল। কিন্তু প্রথমার্ধ শেষের আগে তিন মিনিটের এক ঝড়েই উল্টে যায় পাশার দান।
৩৩ তম মিনিটে খেলার ধারার ৩৬০ ডিগ্রি বিপরীতে গিয়ে, বাঁ পায়ের কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল সিটির জালে জড়ান ঘানার ডিফেন্ডার জেফরি শ্লুপ। এর মিনিট দুই পরের গোলটি ছিল আরও বিস্ময় জাগানিয়া। প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে ভলির মাধ্যমে লক্ষ্যভেদ করেন অ্যান্ড্রোস টাউনসেন্ড। পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে গড়ায় দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর ছয় মিনিটের মাথায় পেনাল্টি স্পট থেকে লুকা মিলিভোজেভিচ ব্যবধান ৩-১ করলে। বদলী হিসেবে মাঠে নেমে ৮৫ তম মিনিটে এক গোল করে ব্যবধান কমান বটে কেভিন ডি ব্রুইন, কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি।
নিঃসন্দেহে এই জয়ের স্মৃতি দীর্ঘদিন হাসি ফোটাবে ক্রিস্টাল প্যালেসের বর্ষীয়ান ম্যানেজার রয় হজসনের মুখে। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিজয়ী অবশ্যই লিভারপুল। ১৮ ম্যাচ শেষে এই প্রথমবারের মতো সিটির সাথে ইঁদুর-বিড়াল লড়াই থেকে সাময়িক মুক্তি পেল তারা। এদিকে শনিবার চেলসিও নিজেদের ঘরের মাঠে লিস্টার সিটির কাছে হেরে যাওয়ায় এটিও নিশ্চিত হয়ে গেছে যে, এবারের প্রিমিয়ার লিগ জয়ের লড়াইটা সীমাবদ্ধ থাকবে কেবল রেড ও স্কাই ব্লুদের মধ্যেই। লেস্টার সিটির কাছে হারের ফলে তৃতীয় অবস্থানে থাকা টটেনহামকে পেছনে ফেলতে ব্যর্থ হয়েছে চেলসি। অন্যদিকে টটেনহাম নিজেরাও রেডদের চেয়ে পিছিয়ে আছে ৯ পয়েন্টে।
শনিবারের অঘটন দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলতে পারে সিটির উপর। যেহেতু লিভারপুলের সাথে ৫ গোল ব্যবধানে এগিয়ে আছে তারা, তাই প্যালেসের কাছ থেকে ১টি পয়েন্ট আদায় করতে পারলেও চলতো তাদের। সেক্ষেত্রে ৩ জানুয়ারি লিভারপুলের বিপক্ষে ম্যাচে জিততে পারলেই টেবিলের শীর্ষে উঠে যেত তারা। কিন্তু এখন আর তা সম্ভব নয়। লিভারপুলকে যদি তারা পরাস্ত করতে পারেও, তবু দ্বিতীয় অবস্থানেই থাকতে হবে তাদেরকে।
এদিকে সুবর্ণ সুযোগ রেডদের জন্য। তারা যদি আরও কিছুদিন বর্তমান অবস্থান ধরে রাখতে পারে, তাহলে ২৯ বছরে প্রথমবারের মতো লিগ শিরোপা জয় খুবই সম্ভব। শেষবার তারা যখন লিগ শিরোপা জিতেছিল, নামের আগে 'প্রিমিয়ার' শব্দটি তখনও বসেনি। প্রিমিয়ারশিপের যুগে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ১৩ বার শিরোপা ঘরে তুললেও, লিভারপুলের ট্রফিকেস শূন্য। এবার যদি ঘোচে সেই বন্ধ্যাত্ব!
ভয়টা যেখানে
তবে লিভারপুল সমর্থকদের প্রতি বিনীত আহবান থাকবে, এখনই যেন তারা খুব বেশি উত্তেজিত হয়ে না পড়েন। আমরা যদি সাম্প্রতিক অতীতের দিকে চোখ বুলাই তবে দেখতে পাব, গত দশ মৌসুমে টেবিলের শীর্ষে থেকে ক্রিসমাস পালন করা দলগুলোর মধ্যে আটটিই শেষ পর্যন্ত লিগ জিতেছে। এর ব্যতিক্রম ঘটেছে কেবল ২০০৮/০৯ ও ২০১৩/১৪ মৌসুমে। এবং দুবারই হতভাগা দলটির নাম লিভারপুল!
২০০৮/০৯ মৌসুমে লিভারপুল মাত্র দুটি ম্যাচ হেরেছিল, যা চূড়ান্ত চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের চেয়ে দুটি কম। এমনকি মৌসুমের শেষভাগে ওল্ড ট্রাফোর্ডে গিয়ে ৪-১ ব্যবধানে জিতেও এসেছিল তারা। তারপরও কেন শিরোপা জিততে পারল না তারা? কারণ অনেক বেশি ম্যাচ ড্র করা ও পয়েন্ট হাতছাড়া করা। শেষ পর্যন্ত গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকা ও দুই ম্যাচ কম হারার পরও, লিভারপুল মৌসুম শেষ করেছিল অ্যালেক্স ফার্গুসনের দলের চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে।
২০১৪ তো আরও বেশি 'কুখ্যাত' হয়ে আছে লিভারপুলের শীর্ষস্থান ছুঁড়ে ফেলে আসার কারণে। সেবার প্রায় পুরো মৌসুমজুড়েই পয়েন্ট টেবিলের নেতৃত্ব দিয়েছিল তারা। এবং এপ্রিলে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে জয় তুলে নিয়ে লিগ জেতাকে অনেকটা 'সময়ের ব্যাপারে'ও পরিণত করে ফেলেছিল। কিন্তু এর সপ্তাহ দুয়েক পরেই তারা চেলসির বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে হেরে বসে। এটি যদিও বা মানা যায়, পরেরটি তো একদমই নয়। ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকার পরও ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ৩-৩ ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
তাই শীর্ষে থেকে ক্রিসমাস ব্রেকে যাওয়া হচ্ছে বলে উত্তেজনায় টগবগ করছে যেসব লিভারপুল সমর্থক, নিজেদের মনের লাগাম তারা টেনে ধরলেই বোধহয় ভালো হবে।
এই লিভারপুল একদমই আলাদা
অবশ্য কেউ যদি তা করতে না চায়, সেটির পিছনেও বেশ ভালো কিছু যুক্তিকেই অস্ত্র হিসেবে কাজে লাগাতে পারবে তারা। বেশ কিছু কারণে এই লিভারপুল অতীতের যেকোনো লিভারপুলের চেয়ে আলাদা। কারণগুলো হলো:
- ১৮ ম্যাচ শেষে লিভারপুলের দখলে আছে ৪৮ পয়েন্ট। ইতিপূর্বে মাত্র দুটি দলই ১৮টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ শেষে এর চেয়ে বেশি পয়েন্ট লাভ করেছিল- ২০০৫/০৬ মৌসুমে চেলসি (৪৯), আর গত মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি (৫২)।
- টানা ১০টি অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত রয়েছে লিভারপুল (৮ জয়, ২ ড্র)। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এটিই তাদের সেরা রেকর্ড। সর্বশেষ তারা ১৯৯১ সালের অক্টোবর থেকে ১৯৯২ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১০টি অ্যাওয়ে ম্যাচে অপরাজিত ছিল।
- লিভারপুল বস হিসেবে মুখোমুখি হওয়া সব ব্রিটিশ ক্লাবকেই হারানোর অভিজ্ঞতা হয়ে গেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের। সাম্প্রতিকতম ম্যাচের আগে উলভরাই ছিল একমাত্র দল যাদেরকে ক্লপ হারাতে ব্যর্থ হয়েছিলেন। তাদের সাথে সর্বশেষ দেখা হয়েছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে, এফএ কাপে। সেখানে ক্লপের অধীনে হেরে গিয়েছিল রেডরা।
- ২০১৮ সালে ২৫টি লিগ ম্যাচ জয় করেছে লিভারপুল, যা ১৯৯০ সালের পর এক ক্যালেন্ডার ইয়ারে তাদের সর্বোচ্চ। সেবারও ২৫টি ম্যাচই জিতেছিল তারা।
- আর উপরের একটি পয়েন্টও যদি কারও ভালো লেগে না থাকে, তাহলে তাদের জন্য মোক্ষম অস্ত্রটি হলো এই তথ্য- ফর্মে ফিরেছেন মো সালাহ!
ফিট সালাহ, ইন-ফর্ম সালাহ
"ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, ক্লাস ইজ পার্মানেন্ট" উক্তিটি প্রথম কে ব্যবহার করেছিলেন, জানেন? তিনি লিভারপুলের সাবেক ম্যানেজার বিল শ্যাঙ্কলি। এবং সেই উক্তিটি কী দারুণভাবেই না মিলে যাচ্ছে লিভারপুলেরই বর্তমান খেলোয়াড় মো সালাহর সাথে!
মো সালাহ অ্যানফিল্ডে বাজে মৌসুম কাটিয়েছেন, এমনটি বলার উপায় আসলে কখনোই ছিল না। কিন্তু বিষয়টি হলো, ২০১৭-১৮ মৌসুমে তিনি এতটাই অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছিলেন যে, সে তুলনায় তার এ মৌসুমের পারফরম্যান্স অনেকের কাছেই ফিকে মনে হচ্ছিল। নিজেকে গত মৌসুমে সালাহ এমন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন যে, এখনও সবাই তাকে সেই স্ট্যান্ডার্ডেই বিচার করতে চায়। তাই তো মৌসুমের শুরুর দিকে বেশ 'মডারেট' পারফরম্যান্স উপহার দিলেও, তাতে বাহবা না দিয়ে অনেকেই বলছিল, সালাহ নাকি নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন! খেলতে পারছেন না নিজের সেরা খেলাটা। অবশ্য তার এমন 'ধীরগতির সূচনা'র পেছনে ভালো একটি অজুহাতও প্রস্তুত ছিল তাদের হাতে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পাওয়া চোটটাই নাকি কাল হয়েছে তার জন্য।
কিন্তু গত শুক্রবার মলিনিউক্সের বর্ষাস্নাত মাঠে সালাহ যে খেলাটা খেললেন, তারপর নিন্দুকদের মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নেই যে, সালাহর কাল গত হয়েছে। কেনই বা মেনে নেবে না বলুন, এমন 'হতাশাজনক' একটি মৌসুম পার করেও যে ১১ বার লক্ষ্যভেদের বদৌলতে সালাহ এখন লিগের গোলদাতাদের তালিকায় সবার উপরে। এর পাশাপাশি তার নামের পাশে আছে পাঁচটি অ্যাসিস্টও।
অনেকেই অভিযোগ করতে পারেন, গত মৌসুমে তো সালাহর লিগে গোল ছিল ৩২টি। সাথে অ্যাসিস্টও ১০টি। সে তুলনায় এ মৌসুমে তিনি আলবৎ পিছিয়ে আছেন। যারা এমনটি ভাবছেন তাদের এই তথ্যটিও জেনে নেয়া দরকার যে, গত মৌসুমেও কিন্তু প্রথম ১৮ ম্যাচ শেষে সালাহ মাত্র ১৪টি গোল পেয়েছিলেন। সে তুলনায় এবার কি তিনি খুব বেশি পিছিয়ে আছেন?
তাছাড়া আরও একটি বিষয় হলো, ব্যক্তিগত অসাধারণত্বের চেয়ে দলীয় সাফল্যের মহিমা সবসময়ই অনেক বেশি। গত মৌসুমের দ্বিতীয়ার্ধে ১৮টি লিগ গোল করে বাদবাকি সবাইকে বড় ব্যবধানে পেছনে ফেলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কী লাভটা হয়েছিল তাতে? চ্যাম্পিয়ন্স লিগে লিভারপুল ফাইনাল খেলেছে ঠিক আছে, কিন্তু যে প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে আমরা কথা বলছি, সেখানে তো লিভারপুল চতুর্থ অবস্থানের উপরে উঠতে পারেনি।
চলতি মৌসুমে সালাহর যত কীর্তি
- এই মুহূর্তে ১১ গোল নিয়ে চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা সালাহ।
- নিজের শেষ দুই অ্যাওয়ে ম্যাচে চারটি গোল পেয়েছেন তিনি।
- প্রিমিয়ার লিগে নতুন উত্তীর্ণ হয়েছে এমন দলের বিপক্ষে খেলা ছয়টি ম্যাচেই গোল পেয়েছেন তিনি। এবং প্রতিটি ম্যাচেই করেছেন একটি করে গোল।
- গত মৌসুমের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত প্রিমিয়ার লিগে খেলা ২২টি প্রতিপক্ষের মধ্যে ২০টির বিরুদ্ধেই গোল পেয়েছেন তিনি। ব্যর্থ হয়েছেন কেবল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও সোয়ানসি সিটির সাথে।
ভরসা রাখুন সালাহতেই
নিঃসন্দেহে ক্লপের অস্ত্রাগারের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলেন সালাহ। তাকে ক্লপ কীভাবে ব্যবহার করবেন, এর উপরই অনেকাংশে নির্ভর করছে দল হিসেবে লিভারপুলের সাফল্য-ব্যর্থতা। এই মুহূর্তে সালাহকে সেন্ট্রাল স্ট্রাইকার হিসেবে খেলাচ্ছেন ক্লপ। এবং এই ভূমিকায় প্রতিনিয়ত উন্নতি ঘটছে তার। সর্বশেষ ম্যাচেই যেমন তার অসাধারণ গতি ও মুভমেন্টের কাছে নাস্তানাবুদ হয়েছে উলভের রক্ষণ।
তবে অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো সালাহর ফিট থাকা। তার ফিট থাকা মানে এখন কেবল লিভারপুলের মাঠের শক্তিতেই এগিয়ে থাকা নয়, পাশাপাশি নিজ দলের খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকা ও প্রতিপক্ষকে চাপে রাখাও বটে। তাই সালাহ কয় গোল পেলেন, কতগুলো অ্যাসিস্ট করলেন, এসবের আগে নিশ্চিত করতে হবে মাঠে তার উপস্থিতি। তাহলেই সাফল্যের পথে অনেকখানি এগিয়ে থাকবে রেডরা।
কেননা ফর্ম ইজ টেম্পোরারি, 'ফিট সালাহ' ইজ পার্মানেন্ট!
চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/
This Bangla article is about how Liverpool are aiming first Premier League title in 29 years, and Mo Salah's role behind it. Necessary references have been hyperlinked inside.
Featured Image © Getty Images