Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আমার মূল কাজ বিশ্বাস তৈরি করা: শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন

বব উলমার গত হয়েছেন এক যুগ আগে। জীবিত অবস্থায় ক্রিকেটে কম্পিউটার প্রযুক্তির ব্যবহার দেখিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় ‘ল্যাপটপ কোচ’ হিসেবে কত টীকা-টিপ্পনী শুনতে হতো উলমারকে। অথচ আধুনিক ক্রিকেটে এখন ল্যাপটপ, তথা প্রযুক্তি যেন অবিচ্ছেদ্য অংশ। শুধু জাতীয় দলগুলোই নয়, ক্রিকেট বিশ্বের আনাচে-কানাচে হওয়া ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটেও দলগুলোর সঙ্গী একজন করে কম্পিউটার অ্যানালিস্ট। এমন দৃশ্য দেখে ওপার থেকে নিশ্চয়ই অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার এবং পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক কোচ উলমার।

গত এক বছর ধরে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কম্পিউটার অ্যানালিস্ট হিসেবে কাজ করছেন শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন, ‘শ্রী’ নামেই যিনি দলের সবার কাছে পরিচিত। অবশ্যই ভারতের নিন্দিত ক্রিকেট প্রশাসক শ্রীনিবাসনের সঙ্গে মুম্বাইয়ের ছেলে শ্রী’র কোনো যোগসূত্র নেই।

বব উলমার; Getty Images

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বড় ডিগ্রি থাকলেও তার জীবন জড়িয়ে গেছে ক্রিকেটের সঙ্গে। ২২ গজে ক্রিকেটারদের লড়াইয়ের কারিকুরি নিয়ে কম্পিউটারের স্ক্রিনে সফটওয়্যারের মাধ্যমে গবেষণা, বিশ্লেষণের নেশাই বদলে দিয়েছে তার জীবনের চিত্রপট। ২০১৮ সালে যুক্ত হয়ে এখন বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার নাম শ্রী। এই গত এশিয়া কাপে শর্ট মিড উইকেটে বাজপাখির ন্যায় উড়ে মাশরাফি বিন মুর্তজার নেয়া শোয়েব মালিকের ক্যাচ, কিংবা আফগানিস্তানের রশিদ খানকে সামলাতে ইমরুল কায়েসকে উড়িয়ে নেয়া – সবই শ্রী’র পরামর্শে।

ভারতীয় ঘরোয়া ক্রিকেটে রঞ্জি থেকে শুরু করে সব টুর্নামেন্টে কাজ করেছেন ২৮ বছর বয়সী এই তরুণ। তাতেই এই পেশায় তার সুনাম ছড়িয়ে যায় চারদিকে। তারপর আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংস – কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স হয়ে বর্তমানে রংপুর রাইডার্সে কাজ করছেন শ্রী। পিএসএলে ‘মুলতান সুলতান’-এর কম্পিউটার অ্যানালিস্টও তিনি। শুধু এই দলগুলো নয়, হালের দুনিয়ার হাজারো ক্রিকেটারের তথ্য জমা আছে শ্রী’র ল্যাপটপে। ঢাকায় বিপিএলের প্রথম পর্ব চলাকালীন একান্ত আলাপে শ্রী জানিয়েছেন, ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে তার ক্রিকেটে জড়িয়ে যাওয়ার গল্প। বলেছেন, বাংলাদেশ দলটাকে নিয়ে তার স্বপ্ন-ভালোবাসার কথা। অ্যানালিস্ট হতে চাইলে কী করণীয়, আগামীর তরুণদের জন্য মূল্যবান পরামর্শও দিয়েছেন শ্রী।

Image Credit: Ittefaq

যতটুকু জানি একটা কোম্পানি থেকে আপনার যাত্রা শুরু। ভারতে অ্যানালিস্টদের নিয়ে গঠিত কতগুলো কোম্পানি আছে?

ভারতে তিন-চারটি অ্যানালিস্ট কোম্পানি আছে। এদের মধ্যে ১০-১৫ জনের মতন অ্যানালিস্ট কাজ করে থাকে। তারা তাদের সফটওয়্যার ও কোডিং নিজেদের চাহিদামতো তৈরি করে নেয়। তবে ডেটাগুলো প্রায় সব জায়গায়ই একই। ছোটোখাটো পার্থক্য আছে, এছাড়া সব একই।

কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং ছেড়ে অ্যানালিস্ট হওয়ার পথে আসলেন কীভাবে?

আমি ডিভিশনের পর্যায়ে এক দলের হয়ে খেলছিলাম। আমার কোচ এসে বলেন, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পর তোমার পরিকল্পনা কী? আমি বলেছি, আমার কোন ধরণের আইডিয়াই নেই। যাই হোক না কেন, আমি স্পোর্টস সম্পর্কিত কোনো জায়গায় কাজ করতে চাই। শুধু ক্রিকেটে নয়, অন্য স্পোর্টসেও নজর ছিল আমার। তখন তিনি আমাকে বলেছেন, একটা কোম্পানি আছে। তুমি সেখানে গিয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছো না কেন? তখন আমি ইন্টারভিউ দিলাম, এবং সবকিছু ঠিকমতো হয়ে গেল। এরপর আমরা রঞ্জি ট্রফিতে কাজ করা শুরু করলাম। সেই বছর আমরা ভারতের সব ডোমেস্টিক টুর্নামেন্ট জয় করেছি। পরপর দুই বছর এভাবে কাজ করেছি, সাফল্যের সাথে। মানুষজন তখন আমাকে চিনতে শুরু করে। এরপর সানরাইজার্স হায়দরাবাদে যোগ দেই। সেই বছর হায়দরাবাদও আইপিএল জিতে। এরপর বিপিএলে যোগ দেই, বিপিএলও আমরা জিতি।

বিপিএলে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের নেপথ্যেও রয়েছে তার অবদান; Image Credit: Cricwizz

মাশরাফি বলে থাকেন, আপনি অন্য সব অ্যানালিস্টদের চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে। কোনো ক্রিকেটারের তথ্য বের করে দিতে আপনার ২-৩ মিনিট সময় লাগে মাত্র…

আমি বিষয়টিকে প্রশংসা হিসেবে নেবো। আর আমি যেহেতু ক্রিকেট খেলেছি, আমি নিজেই একজন ক্রিকেটার ছিলাম, সুতরাং ক্রিকেট আমার জন্য প্যাশনের মতন… প্রায় ১৫-২০ বছর ধরে। আমি সব কিছুর খোঁজ রাখি। মনে করেন, আমি এখন বিপিএলের সাথে আছি, আমি শুধু বিপিএল দেখি না। আমি চেষ্টা করি সারা বিশ্বের ক্রিকেটের খোঁজখবর রাখতে, সব ধরনের তথ্য রাখতে। আর প্লেয়ারদের সাথে আমার বিশ্বাস ও আস্থার বিষয় আছে। আমি যখন বিশ্বাসটা তৈরি করতে পারি, তখন তারা বুঝতে পারে কী করা উচিত, কী করা উচিত না। তখন আপনি পরিকল্পনা করে সফল হতে পারবেন। আর ম্যাশ খুবই সহযোগিতাপরায়ণ। সে যেহেতু জাতীয় দল ও রংপুরের অধিনায়ক, আমার তার সাথে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। আমি যেই জিনিসটাই মনে করি শেয়ার করার মতন, আমি সেটা তাকে জানাই এবং সে ভালোভাবেই তা গ্রহণ করে।

অনেক ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে কাজ করেন। তার মাঝে বাংলাদেশের মতো টেস্ট দলের সঙ্গে কাজ করা নিশ্চয়ই অনেক গৌরবের…

হ্যাঁ, অবশ্যই। আমি শুধু ম্যাশ ও আরও কয়েকজনই নয়, বাকি সবার সাথেই খুবই ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। এখানকার সাপোর্ট স্টাফ খুবই সহযোগিতাপরায়ণ। আমরা অনেকটা পরিবারের মতোন। শুধু ক্রিকেটীয় সম্পর্ক নয়, ক্রিকেটের বাইরেও অনেক বিষয় আমরা একে অন্যের কাছে শেয়ার করে থাকি, অনেকটা বন্ধুর মতো। আমি ব্যক্তিগতভাবে অনেক খুশি ছিলাম, যখন আমি বাংলাদেশ দলের হয়ে ডাক পেয়েছিলাম। আমি আশা করছি, আমি নিয়মিত বাংলাদেশ দলের হয়ে কাজ করতে পারবো। আমি মুখিয়ে আছি আরও সামনের বছরগুলোতে বাংলাদেশের হয়ে কাজ করে যাওয়ার জন্য।

নিজের খেলা নিয়ে কথা বলতে, খুঁটিনাঁটি দিক জানতে বাংলাদেশের তরুণ ক্রিকেটারদের মধ্যে কে আপনার কাছে বেশি আসে?

প্রায় সবাই এটা করে। সবাই করে থাকে। এখন এত বেশি প্রযুক্তি আছে, তাদেরকেও প্রতিদিন উন্নতি করে যেতে হবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে টিকে থাকতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, মুস্তাফিজের নাম নেয়া যায়। সে যখন এসেছিলো, তার যেই কাটার ছিল, সেগুলো ব্যাটসম্যানদের জন্য আনপ্লেয়েবল ছিল। এক বছর পর সবাই তার বোলিং বুঝে উঠতে পারে। সবাই ততক্ষণে বুঝে গেছে, ফিজ কী করতে পারে। এখন ফিজের কাজ, কীভাবে সে বাকিদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে থাকতে পারে। অনেকেই আছে এমন। মনে করেন লিটন দাসের মতো একজন, তারা আমার কাছে আসে। কিন্তু এটা এমন না যে সবসময় তারাই আমার কাছে আসবে, মাঝে মাঝে তাদেরকে আমার জানানো দরকার হয় তারা ঠিক কাজটা করছে কিনা।

ধাওয়ান-রাহুলদের সঙ্গে নিয়মিতই কাজ করেন শ্রী; Image Credit: PTI 

ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনেও নাকি আপনার প্রভাব রয়েছে। বিশেষ করে শিখর ধাওয়ান ও কেএল রাহুলের ব্যাটিং নিয়ে নিয়মিত কাজ করেন আপনি…

আমার ধাওয়ান ভাইয়ের সাথে ভালো সম্পর্ক। রাহুল আমার খুব কাছের বন্ধুদের একজন। যেই দলেই যাই না কেন, যেখানেই কাজ করি না কেন, তারা যদি আমাদের বিশ্বাস করে, তাহলে তারা আমার সাজেশনগুলো গ্রহণ করে। যখন তারা বুঝতে পারে, ‘ওকে, সে কিছু জানে ক্রিকেট সম্পর্কে’, তখন আপনি আপনার ভিউ শেয়ার করতে পারবেন। বাংলাদেশ কিংবা ভারতীয় যেই দলের প্লেয়ারই হোক না কেন, আপনি তাদের কাছে গিয়ে বলবেন না যে এটাই ঠিক, এটাই করুন। বরং এটা গুরুত্বপূর্ণ যে, সেই বিশ্বাসটা তৈরি করা। তারা আমার সাজেশন গ্রহণ করবে নাকি করবে না, সেটা তাদের বিষয়। আর সমাধান করা সহজ না। ওরা নেটে গিয়ে চেষ্টা করবে আমি যা বলেছি সেটা নিয়ে কাজ করতে। তারা যদি ফলাফল পায়, তখন এটা আমার জন্য সাফল্যের। প্লেয়াররা যদি চিন্তাও করে আমার সাজেশন নিয়ে, সেটাও আমার জন্য সাফল্যের।

এশিয়া কাপে আপনার পরামর্শেই শর্ট মিড উইকেটে শোয়েব মালিকের ক্যাচ নিয়েছিলেন মাশরাফি। সেই পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাই।

টিম মিটিংয়ে আমাদের কথা হয়েছিলো, মালিকের সময় শর্ট মিড উইকেটে ফিল্ডার রাখার জন্য। তবে ম্যাশের ক্যাচটা অবিশ্বাস্য ছিল। আমি চিটাগং ভাইকিংসে ছিলাম এখানে (রংপুর) আসার আগে। এশিয়া কাপের আগে পিএসএলে মুলতান সুলতান দলে ছিলাম আমি। আমি মালিককে খুব কাছ থেকেই দেখেছি, কীভাবে সে ইনিংস বড় করে সেটাও দেখেছি। আমি প্রতিপক্ষের দিকে না দেখে নিজেদের শক্তির দিকে আগে নজর দেই। এটা আমাকে গেইম প্ল্যান তৈরি করতে সাহায্য করে। এর মধ্যেই আমি খুঁজে পেয়েছি, সে কীভাবে ইনিংস বড় করে। বাংলাদেশের হয়ে কাজ করার সময় এটা আমাকে সাহায্য করেছে। তখন আমি ম্যাশকে বলেছিলাম, এরপর সে অবিশ্বাস্য ক্যাচটি নিয়েছে।

মাশরাফির সেই দুর্দান্ত ক্যাচের পিছনেও ছিল শ্রী’র অবদান; Image Credit: Getty Images

এখন তো সিরিজ বাই সিরিজ কাজ করছেন। বিসিবির সাথে দীর্ঘ মেয়াদে কাজ করতে চান না?

অবশ্যই চাই। কখনো ছুটি নিয়ে দেশে গেলে এক সপ্তাহ পরেই মনে হয়, আমি কিছু একটা মিস করছি। আসলে এখানে ম্যাশ, তামিমের সাথে আমার সম্পর্কটা অন্যরকম। এছাড়া জুনিয়রদের সাথেও আমার সম্পর্ক ভালো।

২০১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলকে নিয়ে দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনেক উঁচুতে। অ্যানালিস্ট হিসেবে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ আপনি। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কেমন সম্ভাবনা দেখেন?

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ দারুণ সফল হয়েছে। সর্বশেষ চার এশিয়া কাপের তিনটাতেই ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ। এরপর বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল। সর্বশেষ এশিয়া কাপে আমরা ফাইনালে খেলেছি। আমি জানি না, বিশ্বকাপে বাংলাদেশ কতদূর যাবে। আমি এভাবে দেখি যে, আমরা ট্রফি জয় থেকে এক বল দূরে ছিলাম। কয়েকটি ফাইনাল আমরা শেষ বলে হেরেছি। এই ছোট ছোট ব্যাপারগুলোই পার্থক্য গড়ে দেয়।

প্রতিটি দলেরই এখন নিজস্ব অ্যানালিস্ট আছে। নতুন কেউ এই পেশার প্রতি আগ্রহী হতে চাইলে তার জন্য আপনার পরামর্শ কী?

প্রথম যে বিষয়টা বেশি দরকার, তা হলো খেলার প্রতি তীব্র আকর্ষণ থাকতে হবে। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সবাই মনে করে যে, সফটওয়্যারই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আসলে তা নয়। আসল ব্যাপার হলো, খেলার বিষয়ে আপনার জ্ঞান। আপনি যখন এই বিভিন্ন লিগ অনুসরণ করবেন, তখন কিন্তু একজন খেলোয়াড় সম্পর্কে আপনার ধারণা বেড়ে যাবে। আর সেই খেলোয়াড়ের বিপক্ষে যখন আপনি খেলতে যাবেন, বা আপনার দল খেলতে যাবে, তখন কিন্তু তার সম্পর্কে আপনার ধারণাও বেড়ে যাবে। মূল কথা হলো, খেলাটা আরো বেশি করে মনোযোগ দিয়ে ফলো করা। টিভি স্ক্রিনে খেলা দেখে আপনি অনেক কিছু বুঝতে পারবেন না। আপনাকে তাই চিন্তা করতে হবে। ভাবতে হবে, একজন খেলোয়াড় কেন এটা করছে, কেন ওটা করছে। কেন অধিনায়ক অমুককে বল দিলো, কেন অমুককে বল দিলো ইত্যাদি।

বিশ্বাস অর্জনই তার কাছে মূল চ্যালেঞ্জ; Image Credit: Sunrisers Hyderabad

একজন অ্যানালিস্টের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কি?

একজন অ্যানালিস্টের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো খেলোয়াড়দের সাথে ক্লোজ হওয়া। মিটিংয়ে নিজের কথার পক্ষে যুক্তি দাঁড় করাতে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে চিন্তাটা তুলে ধরা। এটা খুব কঠিন, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

ম্যাচ হারলে খেলোয়াড় বা কোচের সাথে অ্যানালিস্টেরও কি জবাবদিহি করতে হয়?

আসলে আমরাও কিন্তু সাপোর্ট স্টাফ। কোচ এবং অ্যানালিস্ট কিন্তু সাপোর্ট স্টাফদেরই অন্তর্ভুক্ত। কেউ কিন্তু কোনো ম্যাচ হারতে চায় না। তারপরও যদি কেউ হেরে যায়, তাহলে সেটাই মনে নিতে হয়। কখনো কখনো প্রতিপক্ষ অসাধারণ কিছু করে ফেলে। যেমন, নিদাহাস ট্রফিতে দিনেশ কার্তিক দারুণ খেলে বাংলাদেশকে হারিয়ে দেয়। এ ধরনের কিছু হলে তা মেনে নিতে হয়। ক্রিকেটে এরকম হয়।

এমন নিশ্চয়ই হয়েছে যে, আপনি হয়তো একটা প্ল্যান করেছেন, কিন্তু সেটা মাঠে কাজে লাগেনি। এরকম ক্ষেত্রে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন কীভাবে?

দেশ, কন্ডিশন বা উইকেটের কারণে অনেক কিছু হয়। অনেক সময় দেখা যায়, একটা প্ল্যান নিয়ে আমরা খেলা শুরু করি, কিন্তু একটা ওভার পরেই দেখা যায় কন্ডিশন আমাদের ধারণার মতো নয়। তখন সাথে সাথে ‘প্ল্যান বি’ প্রয়োগ করার নির্দেশনা পাঠানো হয়। সবসময়ই প্ল্যান এ, প্ল্যান বি থাকে। সুতরাং পরিস্থিতি অনুসারে ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করতে হয়।

This article is in Bangla language. It is an interview on Shrinivas Chandrasekaran, the famous cricket analyst. He is working with Bangladesh Cricket Board for almost a year. 

Featured Image: Sunrisers Hyderabad 

Related Articles