ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড থেকে মাথাটা বেশ নিচু করেই বিদায় নিলেন স্পেশাল ওয়ান। তিন বছরে একটি করে ইউরোপা সুপার কাপ, ইংলিশ সুপার কাপ ও ইংলিশ লিগ কাপ জিতলেও দল কাঙ্ক্ষিত সাফল্যের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হয়নি। প্রিমিয়ার লিগের সেরা চারেও সবসময় থাকতে পারেনি রেড ডেভিলরা। ফলে হাত থেকে ফসকে গেছে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলার সুযোগও। রিয়াল মাদ্রিদ, ইন্টার মিলান ও চেলসির মতো বড় দলে বিস্তর সাফল্য পাওয়া জোসে মরিনহো ফুটবলবোদ্ধাদের রোষানলে পড়লেন খুব দ্রুত। স্পেশাল ওয়ান নাকি ফুরিয়ে গেছেন। তার পুরনো কৌশল এই আধুনিক ফুটবলে কাজে লাগে না। মরিনহোও একগুয়ে প্রকৃতির মানুষ। তাই পুরনো কৌশল বদলে বর্তমান ফুটবলের সাথে মানিয়ে না নিলে বর্তমান ফুটবলের আদতে তৈরি হওয়া ক্লাবগুলোর ডাগআউটে দাঁড়ানো সৌভাগ্য আর হবে না।
মরিনহো সম্পর্কে এমন কট্টর সমালোচনার পর তিনি ফুটবল থেকে বেশ কিছুদিন দূরে ছিলেন। আসলে তখন যেমন পরিস্থিতি ছিল, এই সমালোচনা অনুমেয়ই ছিল। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে তার বেশ কিছু ট্যাকটিক্স, সিদ্ধান্ত যুতসই ছিল না। বর্তমানে ওলে গানার সলশায়ের যেভাবে খেলোয়াড় কেনার সুবিধা পাচ্ছেন, মরিনহো তেমন পাননি। তার অধীনে বেশ কিছু খেলোয়াড়ও তাদের সেরা ফর্ম খুঁজে পায়নি।
বেশ কিছুদিন ফুটবল থেকে দূরে থাকার পর মরিনহো যখন আবার টটেনহ্যাম দিয়ে প্রিমিয়ার লিগে ফেরত আসলেন, সাথে পুরনো সমালোচনাগুলো আবার ফেরত এলো। ফুটবলবোদ্ধাদের এক কথা, তিনি অতিরিক্ত রক্ষণাত্মক ফুটবল খেলাতে চান, কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবলে তার বেশ অনীহা। আর এমন ঘরানার ফুটবল ঠিক প্রিমিয়ার লিগের সাথে যায় না। মরিনহো পারেননি প্রথম মৌসুমেরই সকল সমালোচনার জবাব দেবার মতো ফুটবল টটেনহ্যামকে খেলাতে। তার পক্ষে সম্ভবও ছিল না। আগের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলা টটেনহ্যাম পরের মৌসুমে পুরোদমে মনোবল হারিয়ে ফেলেছিল মরিনহো আসার অনেক আগেই। তাই একটি সময়সাপেক্ষ পরিবর্তনের প্রয়োজন ছিল।
পরিবর্তনের পাশাপাশি নিজের ফুটবল দর্শন অনুযায়ী খেলোয়াড়ও চেয়েছিলেন স্পেশাল ওয়ান। এমন আবদার যেকোনো কোচই করতে পারেন। ফুটবলের যত শ্রেষ্ঠ ট্যাক্টিশিয়ানই হন না কেন, নিজের দর্শন অনুযায়ী পর্যাপ্ত ফুটবলার ছাড়া এই আধুনিক ফুটবলের সাথে খাপ খাওয়ানো যায় না। বিপরীতে পচেত্তিনোর ফুটবল দর্শনের সাথে মরিনহোর দর্শনে আকাশ-পাতাল তফাত। ৫-৩-২ বা ৩-৫-২ ছকে খেলে থাকা পচেত্তিনোর মতো পাঁচজন ডিফেন্ডার অথবা উপযুক্ত উইংব্যাক মরিনহোর ট্যাকটিসের সাথে যায় না। তাই প্রয়োজন ছিল কিছু বদলের ও নতুন ফুটবলারের।
মরিনহো একদম তার ঘরানার ফুটবলার খুঁজে আনলেন। মধ্যমাঠের রক্ষণাত্মক মিডফিল্ডার পজিশন গত মৌসুমেই ভুগিয়েছিল তাকে। মৌসা দেমবেলে দল ছেড়ে গেছেন। ভিক্টর ওয়ানিমা বা এরিক ডায়ারও তেমন সুবিধা করতে পারছেন না। তিনি বুঝেছিলেন, এই পজিশনে খেলোয়াড় ছাড়া চলবে না। তাই টটেনহ্যাম সাউদাম্পটন থেকে কিনল ড্যানিশ মিডফিল্ডার হোইবার্গকে। অধিকাংশ সময়ে ৪-২-৩-১ ছকে দলকে খেলাতে অভ্যস্ত মরিনহোর একাদশে দুজন প্রথাগত ফুলব্যাক জুটিকে থাকতে হবেই। ক্লাবে পূর্বে থাকা সার্জ অরিঁয়ে, ডেভিস বা ড্যানি রোজের উপর পূর্ণ ভরসা তিনি করতে পারেননি; তার প্রয়োজন ছিল একজন আক্রমণাত্মক রাইটব্যাক, যিনি ডান প্রান্থ থেকে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে থাকার স্ট্রাইকার বা লেফট-উইঙ্গারকে ক্রস করে গোল করার সুযোগ করে দেবার কাজে পটু। এবং অন্যজন লেফটব্যাক, যিনি আক্রমণে খুব অসাধারণ কেউ না হলেও উভয় দিকেই বেশ পারদর্শী। এজন্য দলে এসেছেন স্প্যানিশ ফুলব্যাক রেগুইলন এবং গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সেরা উইংব্যাকের তকমা পাওয়া ম্যাট ডোহার্টি। মূলত এই মৌসুমে এই তিন তারকা মরিনহোর গত মৌসুমের অভাবকে ঘুচিয়ে দিতে পেরেছে।
কিন্তু এরপরও ইনজুরির বাধা আছে। ডোহার্টি সেভাবে নিয়মিত নামতে পারেননি। অল্ডারভেইরাল্ড বা ডেভিনসন সানচেজও অনিয়মিতভাবে খেলছেন। করোনাভাইরাসের থাবা মাঝে কেড়ে নিয়েছিল সন হিউং মিনকেও। কিন্তু মরিনহো তার পুরনো ফর্মেশন ৪-২-৩-১ রোলেই ফেরত গেলেন। চার ডিফেন্ডারের উপরে ডাবল পিভট রোলে সিসোকো ও হোইবার্গ। গ্যারেথ বেল এখনও নিয়মিত নন। তবে সনের মতো খেলোয়াড়ের সাথে বার্গউইনের মতো প্রতিভাকে সুযোগ দেওয়াই যায়। এবং স্ট্রাইকাররূপে গ্যারেথ বেল অনবদ্য। কিন্তু আসল টোটকা তিনি খাটালেন এনদমবেলেকে দিয়ে। ফরাসি এই মিডফিল্ডার পচেত্তিনোর আমলেই স্পার্সে এসেছিল। তবে তিনি পচেত্তিনোর একাদশে নিয়মিত মুখ হতে পারেননি। মরিনহো এসে তাকে নামিয়ে দিলেন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডাররূপে। কিন্তু তার দায়িত্ব আলাদা।
কাগজে কলমে স্ট্রাইকারের ঠিক নিচে নামলেও তিনি আসলে বক্স-টু-বক্স মিডফিল্ডারের রূপে খেলেন। ডাবল পিভটে সিসোকো ও হোইবার্গের ঠিক উপরে। হোইবার্গ নিজেও পুরো মাঠ দাপিয়ে খেলেন, কারণ তিনিও একজন প্রথাগত বক্স-টু-বক্স মিডফিল্ডার। তবে দুইজন একসাথে কখনও নিজের পজিশন ছেড়ে যান না। একজন কাউন্টার অ্যাটাকের সময় বলের সাথে উপরে গেলে অপরজন মধ্যমাঠের আশেপাশে থাকার চেষ্টা করেন, যাতে প্রতি-আক্রমণে দল একদম খেই হারিয়ে না ফেলে। এনদমবেলেকে মরিনহো আবার মাঝে মাঝে বেঞ্চেই রাখেন। অথবা দ্বিতীয়ার্ধে পরিবর্তন করে আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোকে খেলান। চেলসো নামার পর আবার স্পার্সের কৌশল ভিন্ন এক রূপ নেয়। যেখানে হোইবার্গ ও সিসোকো একদম আদর্শ ডাবল পিভটের খেলোয়াড় এবং লো সেলসো সম্পূর্ণ আক্রমনাত্মক রূপে।
স্পার্সের ফর্মেশন, খেলোয়াড় রোটেশন এবং পজিশন এখন পর্যন্ত বেশ পরিষ্কার। মরিনহো নতুন যেকোনো ক্লাবের দায়িত্ব নিয়ে এভাবেই শুরু করেছেন। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে তার টোটকা কাজে দেয়নি, খেলোয়াড়ও পর্যাপ্ত ছিল না। কিন্তু যে বিখ্যাত ট্যাকটিক্সের জন্য তার নাম হয়েছিল 'স্পেশাল ওয়ান', সেই পুরনো ও কার্যকরী ট্যাকটিক্স স্পার্সের জন্য মরিনহো ফেরত আনতে পেরেছেন।
'মাছের তেলে মাছ ভাজা' নামক একটি প্রবাদ বেশ জনপ্রিয়। বাস্তব জীবনে এই প্রবাদের ব্যবহার তেমন না হলেও ফুটবলে এর দুর্দান্ত প্রয়োগ রয়েছে। পাশাপাশি এই কাজে দারুণ পটু জোসে মরিনহো। মরিনহোর নিজস্ব কৌশল সবসময় থাকে, ম্যাচের অবস্থা বুঝে তা পরিবর্তন সবসময় হয়! বড় দলের বিপক্ষে শেষ সময়ে গোল দিয়ে শুধুমাত্র রক্ষণে মনোযোগ দিতেও তার সমস্যা নেই। কিন্তু তিনি সবসময় প্রতিপক্ষের কৌশলকে তাদেরই বিপক্ষে প্রয়োগ করে ম্যাচ আদায় করে নিয়েছেন; যা একসময় কাজ করেছে পোর্তোয়, ইন্টার মিলান, রিয়াল মাদ্রিদ বা চেলসিতে। কিন্তু ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ছিল উল্টোরথ।
এভারটনের বিপক্ষে হেরে শুরু করলেও মরিনহোর স্পার্স এ মৌসুমে বড় জয় পায় সাউথহ্যাম্পটনের বিপক্ষে। রালফ হাসেনহুটেল সবসময় ৪-৪-২ (মতান্তরে ৪-২-২-২) ছকে পজেশনভিত্তিক পাসিং ফুটবল খেলতে অভ্যস্ত। এমন ফুটবল দর্শনে মাঠে থাকা প্রত্যেক ফুটবলারকে ছোট ছোট পাস দিয়ে খেলা গড়তে হয়। এদিকে একটা সমস্যা থাকে ডিফেন্ডারদের বেশি উপরে উঠে আসা। এতে মাঝমাঠ থেকে কোনোভাবে লং বল ডি-বক্সে চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে। মরিনহো রীতিমতো হাসেনহুটেলের ফুটবল দর্শনকে তার বিপরীতে প্রয়োগ করে তাকে হারিয়ে দিয়েছেন। এ ম্যাচে প্রথাগত ৪-২-৩-১ ফর্মেশন ছেড়ে তিনি ব্যবহার করেছেন ৪-৩-৩ ফর্মেশন। আর আক্রমণের দুই পাশে গতির ঝড় তোলা দুই উইঙ্গার লুকাস মৌরা ও হিউং মিন সন। হ্যারি কেইনও প্রথাগত স্ট্রাইকার ভূমিকা পালন করেননি, বারবার নিচে নেমে এসে শূন্যস্থান তৈরি করেছেন। আর মধ্যমাঠ থেকে বলের যোগান দিয়েছেন এনদমবেলে ও হোইবার্গরা। সন এবং মৌরা উইং দিয়ে দৌড়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েছেন, আর মাঝমাঠ থেকে আসা বলকে তাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন কেইন। ফলাফল, স্পার্সের ৫-১ গোলের বিশাল জয় এবং সনের ৪ গোল, যেখানে চার গোলেই অ্যাসিস্ট করেছেন কেইন।
নিজেদের মাঠে রেড ডেভিলদের বিধ্বস্ত হবার দিনে সলশায়েরের ট্যাকটিক্স বুমেরাং হয়ে এসেছিল তাদের কাছেই। সলশায়ের চেয়েছিলেন মাতিচ ও পগবাকে ব্যবহার করে ডাবল পিভট তৈরি করে স্পার্সের আক্রমণ থামাতে। আর মরিনহো চেয়েছিলেন সরাসরি কাউন্টার অ্যাটাকিং ফুটবল খেলা। এখানে উল্লেখ্য, এরিক লামেলা মরিনহোর দলের নিয়মিত মুখ নন। ইনজুরিতে জর্জরিত লামেলাকে এখন কালেভেদ্রে দলে দেখা যায়। কিন্তু এদিন হুট করে তাকে একাদশে থাকার কারণ একমাত্র উইংজুড়ে গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষকে ভড়কে দেয়া। কিন্তু তাদের নড়বড়ে রক্ষণ প্রথমেই কেইন ও সনের আক্রমণ ঠেকাতে পারেনি। পরবর্তীতে ২৮ মিনিটে রাশফোর্ডের লাল কার্ডের পর ১০ জনে পরিণত হওয়া দলের আদতে কোনো ট্যাকটিক্সই ছিল না।
স্পার্সে মরিনহো তার ফুটবল দর্শন কতটা মানিয়ে নিতে পেরেছেন, তার উপযুক্ত উদাহরণ সদ্য ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ম্যাচটি। মরিনহো বনাম গার্দিওলা। তাদের কৌশল, ফুটবল দর্শন দুটোই ভিন্ন। গার্দিওলা চান পজেশনভিত্তিক ফুটবল, বিপরীতে মরিনহো একদম সুযোগের সদ্ব্যবহার করে খেলতে চাওয়া কোচ। মরিনহো জানতেন, গার্দিওলা যথারীতি ৪-৩-৩ ছকে পজেশনভিত্তিক ফুটবল খেলাবেন। ম্যানসিটির খেলোয়াড়রা পাস দেবে বেশি। ছোট ছোট পাসে বল নিজেদের ভেতর বেশি রাখবে। আর এই পাসগুলো হবে স্পার্সের ডি-বক্সের হাফ স্পেস নামক স্থানে। সে ম্যাচে পেপ গার্দিওলার সিটি এভাবেই খেলার চেষ্টা করেছে। হাফ স্পেস থেকে বিল্ডআপ করার চেষ্টা করে গেছেন কেভিন ডি ব্রুইন, বার্নাদো সিলভা ও রিয়াদ মাহরেজ।
কিন্তু গার্দিওলার এই হাফ স্পেস থেকে খেলা গড়ে দেবার ট্যাকটিক্সকে তাদের কৌশলেই রুখে দিয়েছেন মরিনহো। ৪-৩-২-১ ফর্মেশনে ডাবল পিভটে থাকা হোইবার্গ ও সিসোকো শুধু মধ্যমাঠেই থাকেননি, নেমে এসেছিলেন হাফ স্পেস অংশ। ফলে মূলত নিজেদের ডি-বক্স ও আশেপাশের অঞ্চলে প্রায় ৬ জন খেলোয়াড়কে দিয়ে রক্ষণ গড়েছেন মরিনহো। শুধু তাই নয়, বক্স-টু-বক্স এবং মাঝে মাঝে সেকেন্ড স্ট্রাইকার বনে যাওয়া এনদমবেলে এবং কেইন টানা প্রেস করে যাচ্ছিলেন সিটির ডিফেন্ডার ডিয়াস ও লাপোর্তকে। কিন্তু সিটির চারজনের রক্ষণ দূর্গ তৈরি করায় তাদের প্রেসিং তেমন কাজে আসেনি।
মরিনহো জানতেন, হাফ স্পেসে সুবিধা না করতে পেরে সিটিজেনরা ডি-বক্সের বাইরে থেকে অতর্কিত শট নেবে; কিংবা দুই ফুলব্যাক তাদের নিজস্ব পজিশন ছেড়ে উপরে উঠে আসবে আরও বেশি গোল সুযোগ তৈরি করার জন্য। এক্ষেত্রে সিটিজেনদের রক্ষণে বিশাল শূন্যস্থান তৈরি হবেই। আর সময়ের সদ্ব্যবহার করে এই সকল শূন্যস্থানে গতিকে কাজে লাগিয়েছেন কেইন-সন। এ ম্যাচে হ্যারি কেইন যতটুকু না স্ট্রাইকার ছিলেন, তার থেকে বেশি ছিলেন নাম্বার টেনের ভূমিকায়। বারবার তিনি নিচে নেমে এসেছেন, তাকে পাহারা দিতে সিটির ডিফেন্ডারও সাথে এসেছে আর আরও বেশি তৈরি হওয়া শূন্যস্থানে গতির ঝড় তুলেছেন সন। দ্বিতীয়ার্ধে যে কাজটা করেছেন লো সেলসো। আর বলের যোগান? সে কাজের জন্য নিচে নেমে যাওয়া হ্যারি কেইন তো আছেনই, যিনি প্রথাগত স্ট্রাইকার হলেও দলের প্রয়োজনে তিনি হয়ে গেছেন একজন আদর্শ প্লে-মেকার।
মরিনহোর 'স্পার্স' লিগে ছয় ম্যাচে জয় পেয়েছে সাথে দু'টি ড্র। তার পুরনো কৌশল ভালোভাবে কাজে লাগছে বলে টটেনহ্যাম বিরাট কিছু করে ফেলেছে, বিষয়টি এমন নয়। সামনে অনেক বড় পথ পাড়ি দিতে হবে তাদের। সে পথে করোনাভাইরাস, ইনজুরির মতো বাঁধা আসবে পদে পদে। মরিনহো রোটেশনে আগ্রহী হলেও টটেনহ্যামের বেঞ্চ সমৃদ্ধ নয়, রক্ষণের সমস্যা এখনও সেভাবে দূর হয়নি। তাই বিপদের সময়ে রোটেশন না করতে পারলে বা একদিন ডিফেন্ডারদের খারাপ পারফরম্যান্স থাকলে পয়েন্ট হারাতে বেশি বেগ পেতেও হবে না।
নতুন মৌসুমে স্পার্সে মরিনহো তার ফুটবল কৌশল বেশ সফলতার সাথে প্রয়োগ করতে পেরেছেন। আপাতত এটাই স্পার্স সমর্থকদের কাছে সব থেকে স্বস্তির বিষয় হওয়া উচিত। 'স্পেশাল ওয়ান' যে কী করতে পারেন, সেটা তো গোটা বিশ্বের জানাই আছে!
This article is in Bangla language, which is about Jose Mourinho and his coaching masterclass.
Feature Image Source: Getty Images
Background Image Source: Getty Images