ইংলিশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আক্ষেপের নাম কী?
হয়তো এই প্রশ্ন শুনলে প্রশ্নকর্তার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাবেন অনেকে। তবে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের ভক্ত হলে দীর্ঘ এক নিঃশ্বাস ছেড়ে আপনি উত্তরটা ‘মাইক গ্যাটিং’ দেবেন বলেই বিশ্বাস!
প্রথম কারণ তো নিশ্চয়ই অনবদ্য ফার্স্ট ক্লাস রেকর্ডকে টেস্ট ম্যাচে অনূদিত করতে না পারা। তবে মূল কারণ বোধহয় ১৯৮৭ বিশ্বকাপের সেই পাগলাটে রিভার্স সুইপ, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ না জিততে পারার কারণ ছাপিয়ে যা অমরত্বের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে বেশ আগেই।
এরপর ক্রিকেট সাদা পোশাকের দিন পেরিয়ে রঙিন হয়েছে, লাল-সাদা পেরিয়ে গোলাপি বল এসেছে, মাঝে ৩২ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। তবু গল্পটা সেই একই আছে, ইংল্যান্ডের আর পঞ্চাশ ওভারি বিশ্বকাপ জেতা হয়নি।
হয়নি বলে যে আর হবে না, ব্যাপারটি তো এমনও নয়। ইংল্যান্ডও তাই আশা ছাড়ছে না। বরং, গত বিশ্বকাপের পর আমূল বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডকে মানা হচ্ছে এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম সেরা দাবিদার। সেই দাবি পূরণের জন্যে স্বপ্নসারথি হতে যাচ্ছেন কারা? কারাই বা হতে যাচ্ছেন সেরা পনেরো?
দলে সুযোগ পাওয়াটা নিশ্চিত যাদের
১. ইয়োন মরগান
দলের অধিনায়ক, তাকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার সুযোগটা কোথায়! সুযোগ থাকতো, যদি দলকে ঠিকঠাক নেতৃত্ব দিতে ব্যর্থ হতেন। কিন্তু ২০১৫ বিশ্বকাপ পরবর্তী সময়ে খেলা ২০টি দ্বিপাক্ষিক সিরিজের ১৪টিতেই জয়ী দলের নাম যখন ইংল্যান্ড, তখন তো আর নেতৃত্বদানে সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা যায় না! এরপরও সুযোগ থাকতো, যদি নিজের ব্যাটিংটা ঠিক যুতসই না হতো। কিন্তু ইয়ান বেলকে টপকে একদিনের ক্রিকেটে ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন দিনকয়েক আগেই, সদ্য সমাপ্ত উইন্ডিজ সফরে দুই ফিফটি আর এক সেঞ্চুরিতে ২৫৬ রান সংগ্রহ করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি বিশ্বকাপের জন্যে পুরোপুরিভাবেই প্রস্তুত।
২. জেসন রয়
গত বিশ্বকাপের পর থেকে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল বদলে গিয়েছে আমূল। এ সময়ে ইংল্যান্ডের রান ৩৫০ ছাড়িয়েছে ১৩ বার, যেখানে ২০১৫ বিশ্বকাপ-পূর্ববর্তী যুগে এই সংখ্যা কেবল দুই। আর এই বদলের সুর বেঁধে দেন যিনি, তিনি জেসন রয়। মেলবোর্নের সেই ১৮০, কিংবা সদ্য সমাপ্ত উইন্ডিজ সফরে রেকর্ড রান তাড়া করা ম্যাচে ৬৫ বলের শতকে জানিয়ে দিয়েছেন হাইস্কোরিং ম্যাচে নিজের প্রয়োজনীয়তা। ইংল্যান্ডের দুই ওপেনারের একজন হওয়াটাও তাই অবধারিতই জেসন রয়ের।
৩. জো রুট
বদলে যাওয়া ইংল্যান্ডের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যার স্ট্রাইক রেট নব্বই ছোঁয়নি। আর ছোঁয়নি বলেই হয়তো দলের ব্যাটিংয়ের সবচেয়ে বড় নির্ভরতার নামটি জো রুট। ৮৬.৬৯ স্ট্রাইকরেটধারী এই ব্যাটসম্যানের কাজটাই তো এমন, চারপাশের মারমার কাটকাট ক্রিকেটের মাঝে অনায়াসে প্রান্ত বদল করা, কখনো বা দলের প্রয়োজনে আলতো ছোঁয়ায় বাউন্ডারি আদায়। কঠিন কিংবা সহজ, যেকোনো উইকেটে তার মতো বৈচিত্র্য তো আর কেউ দিচ্ছে না ইংল্যান্ডকে!
৪. বেন স্টোকস
ইংল্যান্ড দলে এখন অলরাউন্ডারের ছড়াছড়ি। দলের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান জো রুট হতে শুরু করে এগারো নাম্বারে নামা আদিল রশিদ, প্রত্যেকেই যেন একেকজন মিনি অলরাউন্ডার। তবে এতজনের ভিড়ে সত্যিকার অলরাউন্ডার তো একজনই, বেন স্টোকস। দলের প্রয়োজনে চালিয়ে খেলা, ফিল্ডিংয়ে নিজেকে উজাড় করে দেয়া, কিংবা দলের জন্যে ব্রেক-থ্রু এনে দেয়া, বেন স্টোকসের নামটাই বারেবারে ঘুরেফিরে আসবে।
যদিও ব্রিস্টলের নৈশক্লাব ঘটনার পর ব্যাটিং ফর্মটা কিছুটা পড়তির দিকে, তবে ইংল্যান্ড দলের প্রাণ হয়েই বিশ্বকাপে যাবেন বেন স্টোকস।
৫. জস বাটলার
‘ধোনি ঠিক আগের ধোনি নেই’, সমালোচনায় মুখর গোটা ভারতীয় ক্রিকেট পাড়া। ইনিংসের শেষভাগে ঝড় বইয়ে দেয়া মহেন্দ্র সিং ধোনির দেখা নেই অনেকদিন, ফিনিশার মাহিও যেন কোথায় হারিয়েছেন! অবশ্য বাকি বিশ্বের সে নিয়ে ভাবতে বয়েই গেছে। জস বাটলার আছেন যে!
আইপিএলের মঞ্চে টানা পাঁচ ফিফটি, টেস্ট দলে ডাক পেয়েই স্বীয় ব্যাটিং সামর্থ্যের প্রমাণ, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খাদের কিনারা থেকে সেঞ্চুরি করে দলকে জয়ের বন্দরে ভেড়ানো... জস বাটলার ইংল্যান্ডের প্রথম পছন্দের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হতে পারেন অনেক কারণেই। তবে ২৬তম ওভারে উইকেটে নেমে যদি কেউ ৭৮ বলে দেড়শ' রানের ল্যান্ডমার্ক ছুঁয়ে মাঠ ছাড়েন, তবে দলে তার জায়গা নিশ্চিত করতে এই একটি কারণই যথেষ্ট!
৬. আদিল রশীদ
লেগ স্পিন যেন তার হারানো গৌরব ফিরে পেতে শুরু করেছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে হওয়া গত বিশ্বকাপের পর থেকে। প্রায় প্রতিটি দলই এখন মাঠে নামছে অন্তত একজন লেগ স্পিনারকে একাদশে সঙ্গী করে। ইংল্যান্ডেও একজন আছেন, আদিল রশীদ!
এক দশক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কাটিয়ে ফেললেও ইংল্যান্ড দলে জায়গাটা পাকা করেছেন গত কয়েক বছরে। আগের মতো বাজে বল দেন না তেমন, বোলিংয়ে বৈচিত্র্যও বেড়েছে আগের চেয়ে বহুগুণে। তার চেয়েও বড় কথা, সেই ভ্যারিয়েশন বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা, বিশেষ করে ক্রিজে আসা নতুন ব্যাটসম্যানরা কিংবা লেজের ব্যাটসম্যানরা। সবচেয়ে বড় কথা, ইয়োন মরগানের আক্রমণাত্মক অধিনায়কত্বে, যেখানে প্রতি বলেই বিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে বল সীমানাছাড়া করার জন্যে প্রলুব্ধ করা হয়, সেখানে একজন আদিল রাশিদের কার্যকারিতা তো গ্রানাডাতেই প্রমাণিত।
আদিল রশীদ তাই বিশ্বকাপে যাচ্ছেন, নিশ্চিতভাবেই!
৭. মঈন আলি
দলে কখনো তিনি অপরিহার্য, কখনো তার চেয়ে বড় বোঝা আর হয় না। মোটা দাগে ইংল্যান্ডের হয়ে মঈন আলির ক্যারিয়ার অনেকটা এমনই। মাত্রই শেষ হওয়া উইন্ডিজ সফরে এক উইকেটও পাননি, ওভারপ্রতি রান দিয়েছেন ছয়ের চেয়ে ঢের বেশি। এই খেলোয়াড় বিশ্বকাপে যাবার স্বপ্ন দেখেন কী করে!
দেখেন, কারণ সেই তিনিই দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের একজন, এবং ইনিংসের মাঝামাঝি সময়টাতে দলের অন্যতম সেরা ভরসা। আর খেলাটা যখন নিজভূমে, তখন তিনি স্বপ্ন দেখতেই পারেন। ইয়োন মরগানের দলে তার কার্যকারিতা তো বহু আগেই প্রমাণিত!
একাদশে সুযোগ পেতে পারেন আরও যারা
১. জনি বেয়ারেস্টো
২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি সেমিফাইনালের পর থেকে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলের ওপেনিং স্পটটা অনেকটা নিজের করে নিয়েছিলেন জনি বেয়ারেস্টো। জেসন রয়ের সাথে মিলে উড়ন্ত সূচনা এনে দেয়া, পাওয়ারপ্লে'র ফিল্ড রেস্ট্রিকশন কাজে লাগানো, কিংবা ঝড়ো শতক, ইংল্যান্ডের চাওয়ামতো সবকিছুই করছিলেন বেয়ারেস্টো। কিন্তু হঠাৎই যেন লয়টা কেটে গেল, সর্বশেষ ১১ ইনিংসে পঞ্চাশের দেখা পেয়েছেন মোটে একবার। তবুও অ্যালেক্স হেলসকে টপকে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় পছন্দের ওপেনার হবার দৌঁড়ে এখনও বেয়ারেস্টোই এগিয়ে।
২. ক্রিস ওকস
যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে, তবে ইংল্যান্ডের বোলিং আক্রমণের নেতৃত্ব থাকার কথা তারই হাতে। কিন্তু ওই যে, ‘যদি’।
ফিটনেস ঘাটতিতে ভুগছেন বেশ নিয়ম করেই। সর্বশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও খেলতে পেরেছিলেন মোটে এক ম্যাচ। হাঁটুর চোটে ভুগেছেন গত শীতে, দলে জায়গা নিশ্চিত হলেও খেলাটা তাই নিশ্চিত নয়। বল হাতে ধারাবাহিক, ব্যাট হাতেও দারুণ কার্যকর এই বোলিং অলরাউন্ডার নিঃসন্দেহে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপগামী দলে সুযোগ পাওয়ার যোগ্য।
৩. মার্ক উড
‘ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস’।
কেবল এই কারণেই গত চার বছর ধরে ইংল্যান্ড মার্ক উডকে খেলিয়ে গিয়েছে। অবশেষে তিনি প্রতিদানও দিতে শুরু করেছেন তার প্রতি রাখা আস্থার। বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাওয়াটা নিশ্চিত, কিন্তু ক্রিস ওকসের মতোই চোটপ্রবণ এই 'এক্সপ্রেস' ফাস্ট বোলার।
পনেরোতে জায়গা পেতে পারেন যারা
১. অ্যালেক্স হেলস
অন্য যেকোনো দল যেখানে একজন অ্যালেক্স হেলসকে পেলে বর্তে যায়, সেখানে এই ইংল্যান্ড দলে বোধহয় বেঞ্চ গরম করাটাই তার নিয়তি। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রেকর্ড ৪৮১ রানের ম্যাচে, কিংবা সদ্যই শেষ হওয়া উইন্ডিজ সিরিজে যখনই সুযোগ পেয়েছেন, জানান দিয়েছেন ব্যাটের ধার। তবে জেসন রয় আর জনি বেয়ারেস্টোর ভিড়ে অ্যালেক্স হেলসের পরিচয়টা ‘বিকল্প ওপেনার’।
২. লিয়াম প্লাংকেট
এক বছর আগে হলে একাদশটা তাকে দিয়েই পূরণ হতো। মাঝের ওভারগুলোতে ‘হিট দ্য ডেক’ বোলিংয়ে নিয়মিত বিরতিতে প্লাংকেটের উইকেটপ্রাপ্তি, ইংল্যান্ডের গত কয়েক বছরের সাফল্যের পেছনের কারণ ছিল অনেকটা এটাই। তবে দিনকয়েক আগেই চৌত্রিশে পা দিয়েছেন, শরীরটাও আর আগের মতো সায় দিচ্ছে না, পারফরম্যান্সের গ্রাফটাও নিম্নমুখী। নাহ, লিয়াম প্লাংকেটের একাদশে জায়গা পাওয়াটা এখন আর ততটা অনিবার্য নয়!
৩. জোফরা আর্চার:
যার কাছে প্লাংকেট জায়গা হারাতে পারেন বলে শোর উঠেছে, সেই জোফরা আর্চার এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা ফেলেননি। তবে পা দেবার আগেই তিনি সুপারস্টার বিশ্বব্যাপী দাপিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে বেড়ানোর কারণে।
বারবাডিয়ান বংশোদ্ভূত এ ক্রিকেটারের নামটাই অবশ্য দৃশ্যপটে এসেছে ধূমকেতুর মতো। নিয়মনীতি সব আগের মতো থাকলে এ মুহূর্তে যে তার নাম ভাবনাতেও আসতো না।
গত বছর নভেম্বরের আগ পর্যন্ত ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার শর্ত ছিল, ১৮ বছরের বেশি বয়সী কোনো অভিবাসী যদি ইংল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলতে চান, তবে তাকে অন্তত সাত বছর ব্রিটেনে পাকাপাকিভাবে থাকতে হবে। কিন্তু গত বছর নভেম্বরে সে নিয়ম খানিকটা শিথিল করা হয়েছে, এখন খেলতে চাইলে ব্রিটেনে তিন বছর থাকলেই চলবে। জোফরা আর্চারের জন্যে সেই তিন বছরও পূরণ হচ্ছে এ বছরের মার্চে। আর সদ্যই উইন্ডিজ সফর শেষ করা ইংল্যান্ডের পরবর্তী সিরিজ মে'তে।
দেড়শ' কি.মি. গতি ছাড়াচ্ছেন অবলীলায়, ইনিংসের যেকোনো পরিস্থিতিতে বল করার সামর্থ্য, শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তোলার ক্ষমতা, সাথে যোগ করুন দুর্দান্ত ফিল্ডিং, জোফরা আর্চারকে একাদশে নেবার অনেক কারণই আছে। এ কারণে ১৪টি লিস্ট-এ ম্যাচ খেলা এই খেলোয়াড়কে দলে অন্তর্ভুক্ত করতে মে পর্যন্ত অপেক্ষা করতে রাজি ইংরেজ নির্বাচকেরাও।
৪. ডেভিড উইলি
ক্রিকেট বলটা এখন আর আগের মতো সুইং করছে না, এই অভিযোগ অনেকের। তবে যে গুটিকয়েক বোলার এখনও সুইংয়ের উপর ভরসা করেই ক্রিকেটটা খেলে যাচ্ছেন, ডেভিড উইলি তাদেরই একজন। তবে সমস্যা হচ্ছে, বল একটু পুরোনো হলেই ডেভিড উইলিকে আর দরকার পড়ছে না, যে কারণে পুরো দশ ওভারের বোলিং কোটা তিনি পূরণ করছেন খুব কমই। ইংল্যান্ডের এই একাদশে তাই তার প্রয়োজনীয়তাও খুব একটা অপরিহার্য নয়।
তবুও, বাঁহাতি পেসার হিসেবে এই বৈচিত্র্যের জন্যই স্কোয়াডে জায়গা পেয়ে যেতেই পারেন উইলি।
ইঁদুরদৌঁড়ে আছেন যারা
১. স্যাম বিলিংস
উইন্ডিজ সফরেই দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আশির বেশি রানের ইনিংসে জানান দিয়েছেন স্বীয় সামর্থ্য। দারুণ টেকনিক, সাথে ইম্প্রোভাইজ করার ক্ষমতা, যেকোনো দলেই হতে পারতেন অটোচয়েস। তবে ইংল্যান্ডে জায়গা পেতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে কারও ইনজুরিতে পড়া অব্দি।
২. জো ডেনলি
মূলত ব্যাটসম্যান। তবে বিশ্বকাপ দলে জায়গা যদি পেয়েই যান, সেটা পাবেন মূলত তার খন্ডকালীন লেগ স্পিনের জন্যে। এক্ষেত্রে তার অনুপ্রেরণা হতে পারেন জেমি ডালরিম্পল। অবশ্য সেই ইংল্যান্ড আর এই ইংল্যান্ডের মাঝের ফারাকটা যে আকাশ-পাতাল, সেটা তো বলার আর অপেক্ষা রাখে না!
৩. লিয়াম ডসন
হ্যাম্পশায়ারের নির্ভরতা ডসন হতে পারেন ইংল্যান্ডের কার্যকরী স্পিনিং অলরাউন্ডার। মাঝের ওভারগুলোতে রানের চাকা আটকে রাখা, ব্রেক-থ্রু এনে দেয়া, কিংবা ব্যাট হাতে শেষ দিকে কিছু বাউন্ডারি, লিয়াম ডসন পূরণ করতে পারেন এর সবই। কিন্তু মঈন আলিও যে একইরকম কাজটা আরও বহুদিন ধরে করে চলেছেন। যে কারণে লিয়াম ডসন এখনও দৌড়াচ্ছেন।
আরও যারা বিকল্প রয়েছেন
ক্রিস জর্ডান, ইংল্যান্ডের টি-২০ দলের বেশ কার্যকর সদস্য। কিন্তু কোনো এক অজানা কারণে একদিবসী ক্রিকেট দলে জায়গা পাচ্ছেন না বহুদিন। মাত্রই শেষ হওয়া উইন্ডিজ সফরে বল হাতে দারুণ পারফরমেন্সে জানান দিয়েছেন, 'চাইলে নিতে পারো আমাকেও!'
কিংবা কারেন ভ্রাতৃদ্বয়। স্যাম কারেন তো এখন ইংল্যান্ড টেস্ট দলের নিয়মিত সদস্য, টম কারেনও ওয়ানডে খেলছেন নিয়ম করে। তবে দু'জনের কোনো একজন বিশ্বকাপ দলে জায়গা পাচ্ছেন কি না, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।
অপেক্ষা করতে হচ্ছে তো আরও অনেককে নিয়েই। জেমস ভিন্স কিংবা ডেভিড মালানকে নিয়ে, শ্রীলংকা সফরে আগুন ঝরানো ওলি স্টোনকে নিয়ে। এ অপেক্ষার পালা শেষ হবার কথা ২৩ এপ্রিলের মাঝে, বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করার শেষ দিন যে ওটাই। ততদিন অব্দি আপনিও অপেক্ষায় থাকুন, এই লেখকও অপেক্ষায় থাকছেন!
This article is in Bangla language. ICC cricket world cup is knocking at the door. Teams are busy in finding the right combination and right players. How an England team will look like in the world cup?
Featured Image © Gareth Copley/Getty Images