২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬ এর ম্যাচে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে লড়বে জুভেন্টাস। ম্যাচের উত্তাপ ছাপিয়ে এ ম্যাচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর জন্য। কারণ, রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় জানিয়ে জুভেন্টাসে পাড়ি দেবার পর এই প্রথম তিনি মাদ্রিদ শহরে ফিরছেন । এ শহরটি খুব আপন তার। ক্যারিয়ারের প্রায় সবকিছুই অর্জন করেছিলেন এ শহরের ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের হয়েই। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ ও তাদের মাঠ এস্তাদিও ওয়ান্দা মেট্রোপলিটানো তার হাতের তালুর মতো চেনা। কত স্মৃতি, কত রেকর্ড তৈরি করেছেন তিনি এখানে। তার ফেরা তো সবাই ভিন্নভাবে নেবেই!
রোনালদোর নতুন স্পর্শ পেলো ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানো। কারণ তিনি এসেছেন জুভেন্টাসের কালো জার্সি গায়ে চাপিয়ে, ভিন্ন এক রূপে। চ্যাম্পিয়নস লিগে এ ক্লাবটির বিপক্ষে তার রেকর্ড ভালো। তাই ভয় তো আছেই, তিনি আবার কী ইতিহাস লিখে ফেলেন! কিন্তু রোনালদো থাকলেন নিষ্প্রভ। ইয়ান অবলাকের দিকে পুরো ম্যাচে শট নিলেন মাত্র একটি। ৯০ মিনিট তাকে দেখা গেলো বিমর্ষ, মুখে-চোখে হতাশার ছাপ। গোল সুযোগ মিস করে মাথায় হাত দিয়ে কখনও মাঠে বসে পড়ছেন, কখনও রাগে ক্ষোভে ফেটে পড়ছেন। ১০ মিনিটের ভেতর ২ গোল করে ফেললো সিমিওনের শিষ্যরা। গ্যালারিতে তাদের সমর্থকদের বাঁধভাঙা উল্লাস। এসব কিছুর মাঝে রোনালদো তাকিয়ে আছেন হতাশা ও ক্লান্ত চোখে। জুভেন্টাসে পাড়ি জমিয়েছিলেন নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে। কিন্তু সেদিন কিছুই করতে পারলেন না তিনি। তবে কি রোনালদোর সময় ফুরিয়ে এলো?
অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম জুভেন্টাস ম্যাচের আগের দিনের ম্যাচের ঘটনা। বার্সেলোনা খেলবে ফরাসি ক্লাব অলিম্পিক লিঁও'র বিপক্ষে। শক্তি ও সাফল্যে লিঁও বার্সেলোনার ধারেকাছেও নেই। তবুও অদৃশ্য এক চিন্তা এসে জুড়েছে বার্সেলোনার কাঁধে। চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনা যে বরাবর ছোট দলের বিপক্ষে হোঁচট খায়! এ ম্যাচে চাপের মুখে লিওনেল মেসি। বর্তমান বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় তিনি, তবুও তার খুঁত নিয়ে নিয়মিত সমালোচনা হতে থাকেন। তিনি নাকি বড় দলের বিপক্ষে বা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বিপরীতে খেলার চাপ সামলাতে পারেন না। যদিও এ প্রশ্নটা উঠেছে কোপা আমেরিকায় পেনাল্টি মিসের পর থেকে। তারপর রোমার বিপক্ষে হেরে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ, বা বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর থেকে এই সমালোচনা প্রকট রূপ ধারণ করে।
তবে অলিম্পিক লিঁও'র বিপরীতে জ্বলে উঠতে পারলেন না মেসি। তার একটি শটও লিঁও'র জাল খুঁজে পেলো না, দুর্বল শটগুলো রুখে দিলেন গোলরক্ষক অ্যান্থোনি লোপেজ। তার খারাপ দিনে পুরো দলও নিভে রইলো। উসমান ডেমবেলে বা লুইস সুয়ারেজও ব্যর্থ। মেসির হতাশা, আক্ষেপ মাঠেই প্রমাণ হয়ে গেলো। একবার তো গোল সুযোগ নষ্ট করে মাথা নিচু করে পড়ে রইলেন সাইডবারের উপর। বার্সেলোনা কোনো অ্যাওয়ে গোল পেলো না। মাথায় বয়ে নিয়ে চলা চাপের ওজন আরও বৃদ্ধি পেলো। আর মেসি? আরও একবার সমালোচনার তীর তার দিকে। তাকে নিয়ে প্রশ্নের ঝড় বয়ে চললো। তারও সময় শেষ। মেসি ম্যাচের চাপ নিতে পারছেন না, তিনি নিভে যাচ্ছেন।
১৩ মার্চ। চ্যাম্পিয়নস লিগ ফের ফিরছে। 'তুরিনের বুড়ি'দের ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকোর বিপক্ষে ম্যাচ। জিততে হলে করতে হবে ৩ গোল। আর যদি ডিয়েগো সিমিওনের শিষ্যরা কোনোভাবে গোল করে ফেলে, তাহলে মহা সর্বনাশ। কে এনে দেবে এমন শক্ত ম্যাচে জয়?
চোখ রোনালদোর দিকে। একমাত্র তিনিই পারেন জুভেন্টাসকে খাদের কিনারা থেকে রক্ষা করতে। রোনালদোও আশ্বাস দিলেন, রূপকথা লেখার দায়িত্ব তিনিই নেবেন।
তার জীবনজুড়ে ছিল যুদ্ধ। লড়াই করে উঠে এসেছেন এ মঞ্চে। ঈশ্বরপ্রদত্ত ফুটবলার তিনি নন। তার পরিশ্রম, সাধনা ও আত্মবিশ্বাস তাকে পরিণত করেছে বিশ্বসেরায়। রোনালদো আরও একবার নিজেকে প্রমাণ করার করলেন। ৩৪ বছর বয়সী একজন ফুটবলার ক্ষিপ্রতার সাথে লাফিয়ে পরপর হেডে গোল করলেন ২টি। ২-২ সমতার সময় পেলেন পেনাল্টি। তাতে রোনালদো বনে গেলেন ঠান্ডা মাথার খুনি। খুব সহজেই অবলাককে পরাস্ত করে মত্ত হলেন বুনো উল্লাসে, যে উদযাপনের সাথে জুভেন্টাসের সমর্থকেরা পূর্বপরিচিত। একসময় রোনালদোই তো রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে তাদের বিপক্ষে মেতে উঠতেন জয়ের আনন্দে!
ন্যু ক্যাম্পে দ্বিতীয় লেগের খেলা। বার্সেলোনা এ মাঠে প্রায় অজেয়। শেষবার কাতালানরা বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরেছিলো এ মাঠে, সেটাও বেশ কয়েক বছর হয়ে গেছে। তাই ন্যু ক্যাম্পে এসে অলিম্পিক লিঁও'র মতো দল তাদের হারিয়ে দেবে, তা ভাবাটাও রীতিমতো কষ্টসাধ্য। কিন্তু বার্সেলোনা যদি ১-১ বা ২-২ করে ড্র করে ফেলে! বার্সেলোনা হারলো না বটে, কিন্তু সব মিলিয়ে সেই ড্র যে পরাজয়ের সমান! তাই একটিমাত্র গোল হজম করা মানেই খেলা শেষ। এসব চিন্তার পর সবার চোখ মেসির দিকে। প্রথম লেগে কোনো গোল করতে পারেননি, পারেননি বার্সেলোনাকে জেতাতে। এ ম্যাচে কী করতে পারবেন তিনি বার্সার জন্য? প্রথম পেনাল্টিতে ঠান্ডা মাথার গোল, তিনজন ডিফেন্ডারকে বোকা বানিয়ে তৃতীয় গোল। রক্ষণচেরা পাস দিয়ে গোল করালেন উসমান ডেমবেলে ও জেরার্ড পিকের মাধ্যমে। বার্সেলোনা জিতলো ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে। আর মেসি? ২ গোল ও ২ অ্যাসিস্ট দিয়ে লিঁওকে বড় ব্যবধানে হারানোর পেছনে মূল কারিগর তো তিনিই।
একে অপরকে ধরের ফেলার চিরন্তন লড়াইয়ে দু'জন মেতে আছেন গত এক যুগ ধরে। এর মাঝে কত প্রতিভা আসলো, আবার হারিয়েও গেলো। কিন্তু এই দুইজনের লড়াইয়ে ভাগ বসানো তো দূরের কথা, তাদের রেকর্ড স্পর্শ করার মতো কারো দেখাও মেলেনি। কিন্তু তারা দু'জন তো আজীবন খেলবেন না, সবসময় দলকে খাদের মুখ থেকে উদ্ধার করার জন্য এদের পাবে না তাদের ক্লাব। তখন কে হাল ধরবেন?
হাল ধরার মতো কারো আবির্ভাব এখনও হয়নি। রিয়ালের প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ বুড়ো রোনালদোকে বিক্রি করে গ্যারেথ বেলকে দলের ভার তুলে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তার এ পরিকল্পনার ব্যর্থ ফল তিনি হাতেনাতে পাচ্ছেন। বার্সেলোনায় মেসির স্থান কে নেবে? তা এখনও ধোঁয়াশা। মেসি হয়তো আরও ৪ থেকে ৫ বছর খেলে যাবেন। কিন্তু তারপর? সেজন্যই সময় থাকতে বার্সেলোনা বোর্ড তাদের কাজ শুরু করে দিয়েছে। যদি কিছু একটার ব্যবস্থা হয়ে যায়! কিন্তু মূল কথা হলো, মহাতারকার স্থান পূরণ করার বিষয় নিয়ে ভেবে কূল পাওয়া যাচ্ছে না। সেখানে তাদের সাথে অনেকেই ব্যর্থ তুলনা করে ফেলেন যোজন যোজন দূরত্বে থাকা কিছু খেলোয়াড়ের।
যেমনটা অ্যাটলেটিকোর আতোঁয়া গ্রিজমান। হতে পারে, গ্রিজমান বিশ্বকাপজয়ী ফুটবলার। হতে পারে, অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের শিরোপা জয়ের তারকাও তিনি। তবে দলের কঠিন সময়ে তিনি কি সবসময় পাশে থাকতে পেরেছেন? রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিনি ছিলে নিষ্প্রভ। জুভেন্টাসের মাঠে রোনালদো যখন দলে ধীরে ধীরে নিয়ে যাচ্ছেন কোয়ার্টার ফাইনালের মঞ্চে, গ্রিজমান শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখে গেলেন।
রোনালদো ও মেসির পর নাকি তাদের রেখে যাওয়া শূন্যস্থান নেবেন বর্তমানে বিশ্বের সব থেকে কাঙ্ক্ষিত তরুণ প্রতিভা কিলিয়ান এমবাপে। কিন্তু ইনজুরিতে জর্জরিত হওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড যখন অ্যাকাডেমির তরুণদের নিয়েই পিএসজির মূল দলকে হারিয়ে দিলো, তিনি ছিলেন দর্শক হয়ে। লিগ ওয়ানে গোলের পর গোল করা এমবাপে ঠিকই ইউরোপ সেরা হওয়ার লড়াইয়ে হেরে গেলেন।
একসময় নেইমারকে ভাবা হতো ফুটবল বিশ্বের তৃতীয় সেরা খেলোয়াড়। নেইমার হয়তো এবার ইনজুরির কারণে মাঠের বাইরে ছিলেন। কিন্তু গতবার চ্যাম্পিয়নস লিগেও তার পরিণতি এমবাপের মতোই ছিল। লিগে বা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে নিয়মিত গোল করলেও গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে এসে তারা কেন যে্ন বেশিরভাগ সময়েই নিভে যান। অথচ মেসি বা রোনালদো অবলীলায় গোলের পর গোল করে যান, ফুটবল-সৌন্দর্যের পসরা সাজান। এখানেই এ দুই মহা তারকার সাথে বাকি সবার পার্থক্য। ভালো খেলোয়াড় হলেও টানা ভালো খেলার দক্ষতা সবার হয় না।
হালের মোহাম্মদ সালাহ। যিনি লিভারপুলে এসে গত মৌসুমে বিস্ময়কাব্য রচনা করেছিলেন একের পর এক গোলের বন্য বইয়ে। প্রিমিয়ার লিগের শক্তিশালী ক্লাব বা প্রতিপক্ষের কঠিন মাঠ, কোনো কিছুর বাধা তিনি মানেননি। এক মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড ভেঙে গতবার লিভারপুলকে নিয়ে গিয়েছিলেন উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে। ব্যালন ডি'অরের সেরা তিনেও জায়গা হয়েছিলো তার। তাই সব মিলিয়ে সেরাদের কাতারে তালিকায় নিজের নাম বেশ এগিয়ে এনেছিলেন তিনি। মেসি ও রোনালদোর পরে সেরা খেলোয়াড়, এমনটাও ধারণা করা হচ্ছিলো। কিন্তু মোহাম্মদ সালাহ গত মৌসুমের ফর্ম এ মৌসুমে টেনে আনতে পারেননি। হঠাৎ আবিষ্কৃত হলো, শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সেই গোলক্ষুধা নেই তার। তাই প্রিমিয়ার লিগ হোক অথবা চ্যাম্পিয়নস লিগ, বড় দলের বিপক্ষে নিজের ছায়া হয়ে থাকছেন সালাহ।
বিপরীতে, রোনালদো রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যারা পর ওই পরিবেশের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সময় নিয়েছেন মাত্র কয়েক ম্যাচ। রূপকথা রচনা করে জুভেন্টাসকে কোয়ার্টার ফাইনালে তুললেন। সিরি আ'তে টানা ২৭ ম্যাচ হারের মুখ দেখেনি তার দল। একমাত্র হার কিছুদিন আগে জেনোয়ার বিপক্ষে ম্যাচে, সে ম্যাচে মাঠে ছিলেন না তিনি। শুধুমাত্র দলকে এগিয়ে রেখে নয়, লিগে অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে গোলযুদ্ধেও নেমে গেছেন। এ মৌসুমেই নতুন পরিবেশে আসা ৩৪ বছর বয়সী পর্তুগিজ উইঙ্গারের লিগে গোলসংখ্যা ১৯। কারণ, তিনি চ্যালেঞ্জ নিতে জানেন, চ্যালেঞ্জ জিততে জানেন। অনেকেই তা পারেন না।
গতবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ব্যালন ডি'অর জয়ী ফুটবলার লুকা মদ্রিচ এই দু'জনের থেকে কতটা এগিয়ে? কতটা ধারাবাহিকতা রয়েছে তার ভেতরে? অথচ একটি দলের জন্য সব থেকে বেশি প্রয়োজন ধারাবাহিকতা। জিনেদিন জিদানের অধীনে মদ্রিচ ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তার খেলার ধরনই বলে দিচ্ছে, বয়সের কাছে হার মানতে চলেছেন তিনি। অন্যদিকে রোনালদো ও মেসি কিন্তু সেসবের তোয়াক্কা করছেন না। গত মৌসুমে খেলা শেষ করেছিলেন গোলবন্যায় ভাসিয়ে, এ মৌসুমটাও শুরু করেছেন একইভাবে। যেমনটা তাদের বিরামহীন গোল করার দক্ষতায়, কিংবা তারকাদ্যুতিতে সবাই হার মেনে এসেছে গত এক যুগ ধরেই।
ফুটবল বিশ্বের এ দুই মহাতারকা নিজেদের যতটুকু প্রমাণ করা যায়, করে ফেলেছেন। আর কোনো প্রমাণ করার উপাদান বাকি নেই। এখন তাদের শেষ মুহূর্তে উপভোগ করার সময়। তবে ভুল হয় তখনই, কারও এক মৌসুমের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে, অথবা যোগ্যতা যাচাই করেই মেসি বা রোনালদোর স্থানে বসিয়ে দেওয়া হয়। কিন্ত তিক্ত হলেও সত্য, বর্তমান বিশ্বের ফুটবলে এমন কোনো খেলোয়াড় নেই, যিনি রোনালদো বা মেসির সমকক্ষ, কিংবা তাদের সমতুল্য অতিমানবীয় ফুটবল খেলতে পারেন।
মেসি ও রোনালদোর ফুটবলগ্রহে বাকি সব রঙই ফিকে। তারা যখন স্বেচ্ছায় অবসরগ্রহণ করবেন, তখন তাদের অনুপস্থিতি তৈরি করবে এক অপূরণীয় অপূর্ণতা। ভবিষ্যতের সে সময়ে তখন হয়তো কেউ তাদের আসন পূরণ করলেও করতে পারেন, কিন্তু তাদের কাছ থেকে মহাতারকার আসন ভাগাভাগি করে নেবার মতো সক্ষমতা বর্তমান ফুটবল বিশ্বে কারও নেই। কারণ ভালো খেললেও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার দক্ষতা এবং ধারাবাহিকতার পরাকাষ্ঠা স্থাপন করাটা সবার ঠিক হয়ে ওঠে না। যারা সেটা পারেন, তারাই এক যুগ ধরে নিজেদের সেরার আসন আঁকড়ে ফুটবল বিশ্বকে শাসন করতে পারেন।
This article is about how distinctly Messi and Ronaldo set their mark as the greatest footballers of the time, and no one even matches their skills and continuity in performance.
Feature Image Source: AFP/Getty Image & Sportsnet