Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

সংখ্যায় সংখ্যায় যুবরাজ সিংয়ের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

শিরোপা পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে ভারতীয় ক্রিকেট দল এখন অবস্থান করছে ইংল্যান্ডে। বিশ্বকাপ জয়ের মিশনের মাঝপথে মুম্বাই থেকে খবর আসে ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার যুবরাজ সিংয়ের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর খবর। তার অসাধারণ নৈপুণ্যের সুবাদেই ভারত ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের পর ২০১১ সালের শিরোপা ঘরে তোলে।

যুবরাজ সিং পুরো ক্যারিয়ার জুড়েই ছিলেন বড় আসরের ক্রিকেটার। তিনি অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলেন ২০০০ সালে। ঐ আসরে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ভারতকে প্রথমবারের মতো যুব বিশ্বকাপ জেতানোর পাশাপাশি টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন যুবরাজ। আসরে তিনি ২০৩ রান করার পাশাপাশি ১২ উইকেট শিকার করেছিলেন।

মুম্বাইতে এক সংবাদ সম্মেলনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান যুবরাজ সিং; Image Source: Wordswork

ভারত প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ঘরে তোলে ২০০২ সালে। ঐ আসরের ফাইনাল বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হলে শ্রীলঙ্কা এবং ভারতকে যৌথভাবে চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়েও যুবরাজ সিং বড় অবদান রাখেন। আসরের সেমিফাইনালে ৬২ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলার পাশাপাশি তিনটি ক্যাচ তালুবন্দী করেছিলেন তিনি। এর ভারত আরও দুটি বড় আসরের শিরোপা ঘরে তোলে। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। এই দুই আসরেও ভারতের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছিলেন তিনি। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ম্যাচসেরার পুরস্কার জেতেন এবং ২০১১ সালের বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরার অ্যাওয়ার্ড জেতেন বড় আসরের ক্রিকেটার যুবরাজ সিং।

ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত নৈপুণ্য প্রদর্শন করে ভারতকে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জেতানোর পর তার শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যান্সার। ক্যারিয়ারের সেরা সময়ে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে জীবন যুদ্ধে জিতলেও ক্রিকেটের মাঠে আর সেভাবে ফেরা হয়নি যুবরাজের। ২০১৭ সালের জুনে শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন অনেকটা নীরবেই।

২০১১ সালের বিশ্বকাপ হাতে সতীর্থদের সাথে উদযাপন করছেন যুবরাজ ; Image Source: Getty Images

আজকের লেখায় থাকছে সংখ্যায় সংখ্যায় যুবরাজ সিংয়ের দুর্দান্ত ক্রিকেট ক্যারিয়ার।

– যুবরাজ সিং একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ছয়টি ছক্কা হাঁকান। প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকিয়েছেন ছয়জন ক্রিকেটার। তারা হলেন, গ্যারি সোবার্স, রবি শাস্ত্রী, হার্শেল গিবস, যুবরাজ সিং, রস হোয়াইটলি এবং হযরতুল্লাহ জাজাই।

– এখন পর্যন্ত মাত্র দুজন অলরাউন্ডার এক ওয়ানডে সিরিজে তিন শতাধিক রান তোলার পাশাপাশি ১৫ বা এর অধিক উইকেট শিকার করেছেন। তাদের মধ্যে একজন হলেন যুবরাজ সিং। তিনি ২০১১ সালের বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ৩৬৩ রান করার পাশাপাশি ১৫ উইকেট শিকার করেছিলেন। এর আগে ১৯৮০-৮১ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার গ্রেগ চ্যাপেল এক ওয়ানডে সিরিজে ৬৮৬ রান করার পাশাপাশি ২২ উইকেট শিকার করেছিলেন।

২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে ফাইনালে ওঠানোর ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছিলেন যুবরাজ সিং; Image Source: Associated Press

– যুবরাজ সিং টেস্ট ক্রিকেটে মোট তিনটি শতক হাঁকিয়েছিলেন। তিনি তিনটি শতকই হাঁকিয়েছিলেন চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিপক্ষে। যুবরাজ ভারতের হয়ে ৪০ টেস্টে ৩৩.৯২ ব্যাটিং গড়ে ১,৯০০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। টেস্ট ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ৩৩.৯২ হলেও পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ব্যাটিং গড় ৬৩.৫৫।

– যুবরাজ সিং ওয়ানডে ক্রিকেটে মিডল-অর্ডারে ব্যাট করে সবচেয়ে বেশি রান তোলার দিকে চতুর্থ স্থানে অবস্থান করছেন। তিনি চার থেকে ছয় নাম্বার ব্যাটিং পজিশনে ব্যাট করতে নেমে ৮,২৫৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন। মিডল-অর্ডারে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন ইনজামাম-উল হল, মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি। মিডল-অর্ডারে শতক হাঁকানোর দিক থেকেও তিনি অনেক কিংবদন্তি ব্যাটসম্যানের চেয়ে এগিয়ে আছেন। তিনি মিডল-অর্ডারে ব্যাট করে ১৩টি শতক হাঁকিয়েছিলেন। তার উপরে আছে শুধুমাত্র এবি ডি ভিলিয়ার্স (২১টি) এবং রস টেইলর (১৮টি)।

টেস্ট ক্রিকেটে যুবরাজ তিনটি শতকের সবক’টি করেছেন পাকিস্তানের বিপক্ষে; Image Source: Getty Images

– ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারত জয় পেয়েছে এমন ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান সংগ্রহের দিক থেকে যুবরাজ সিং ৫ম স্থানে অবস্থান করছেন। তিনি ভারতের হয়ে ৩০১টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। যার মধ্যে ভারত জয় পেয়েছে ১৭১ ম্যাচে। যুবরাজ ১৭১ ম্যাচের মধ্যে ১৫৩ ইনিংসে ব্যাট করে ১১টি শতক এবং ৩৯টি অর্ধশতক হাঁকিয়ে ৫০.১৩ ব্যাটিং গড়ে ৫,৯১৬ রান সংগ্রহ করেছিলেন। ভারতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে জয় পাওয়া ম্যাচে তার চেয়ে বেশি রান করেছিলেন শচীন টেন্ডুলকার, বিরাট কোহলি, সৌরভ গাঙ্গুলী এবং মহেন্দ্র সিং ধোনি।

ওয়ানডেতে জয় পাওয়া ম্যাচে যুবরাজ মোট করেছেন ৬,০০৮ রান। তিনি এশিয়া একাদশের হয়ে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিতেই জয়ী দলে ছিলেন এবং ৯২ রান করেছিলেন।  

– ওয়ানডেতে ছয়জন ভারতীয় ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিংয়ের চেয়ে বেশি রান সংগ্রহ করেছিলেন। তিনি ওয়ানডেতে ৩০৪ ম্যাচে ১৪টি শতক এবং ৫২টি অর্ধশতকের সাহায্যে ৩৬.৫৫ ব্যাটিং গড়ে ৮,৭০১ রান সংগ্রহ করেছিলেন। যার মধ্যে ভারতের হয়ে করেছেন ৮,৬০৯ রান। অবশিষ্ট ৯২ রান করেছিলেন ২০০৭ সালে এশিয়া একাদশের হয়ে। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি রান করেছেন শচীন টেন্ডুলকার, সৌরভ গাঙ্গুলী, বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রাহুল দ্রাবিড় এবং মোহাম্মদ আজহারউদ্দীন।

ওয়ানডেতে যুবরাজের প্রিয় প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড; Image Source: Associated Press

– বিশ্বকাপে মাত্র সাতজন ক্রিকেটার ব্যাট হাতে ৫০০ রান এবং বল হাতে ২০ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন। তাদের মধ্যে একজন যুবরাজ সিং। তিনি বিশ্বকাপের মোট তিনটি আসরে ২৩ ম্যাচ খেলে ৫২.৭১ ব্যাটিং গড়ে ৭৩৮ রান করেন এবং ২৩.১০ বোলিং গড়ে ২০ উইকেট শিকার করেন। বিশ্বকাপের ইতিহাসে মাত্র দুজন ক্রিকেটারের শতক এবং ইনিংসে পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড রয়েছে। তার মধ্যে যুবরাজ সিং একজন। তার স্বদেশী এবং ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেবও এই কীর্তি গড়েছিলেন।

– যুবরাজ সিং তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মোট সাতবার সিরিজসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। ওয়ানডে ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি ম্যান অব দ্য সিরিজের অ্যাওয়ার্ড জয়ী ক্রিকেটারদের তালিকায় তিনি রিকি পন্টিংয়ের সাথে যৌথভাবে ৫ম স্থানে রয়েছেন। তার উপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার (১৪), সনাৎ জয়াসুরিয়া (১১), ক্রিস গেইল (৮) এবং শন পোলক (৮)।

২০১১ সালের বিশ্বকাপে টুর্নামেন্ট সেরা অ্যাওয়ার্ড জেতেন যুবরাজ; Image Source: AFP

– ওয়ানডেতে মাত্র নয়জন ক্রিকেটারের আট হাজার রান করার পাশাপাশি শতাধিক উইকেট শিকারের রেকর্ড রয়েছে। তাদের মধ্যে যুবরাজ সিং একজন। তিনি ৩০৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে ৩৬.৫৫ ব্যাটিং গড়ে ৮,৭০১ রান সংগ্রহ করেছেন এবং ৩৮.৬৮ বোলিং গড়ে ১১১ উইকেট শিকার করেছেন। তিনি ছাড়া আরও দুই ভারতীয় ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকার এবং সৌরভ গাঙ্গুলীর এই কীর্তি রয়েছে।

১২ – যুবরাজ সিং ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে স্টুয়ার্ট ব্রডের ওভারে ছয় ছক্কার হাঁকানোর সময় মাত্র ১২ বলে অর্ধশতক পূর্ণ করেন, যা এখন পর্যন্ত সবধরনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দ্রুততম অর্ধশতক হাঁকানোর রেকর্ড হিসাবে অক্ষুণ্ণ রয়েছে। সবধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও যুবরাজের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড কেউ টপকাতে পারেনি।

ছয় বলে ছয় ছক্কা হাঁকানোর পথে মাত্র ১২ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছিলেন যুবরাজ সিং; Image Source: Getty Images

১৮ – যুবরাজ সিং তার ক্যারিয়ারের সেরা সময় অতিবাহিত করেছিলেন ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত। এই সময়ে তিনি ১৮ ম্যাচে ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। ঐ নির্দিষ্ট সময়ে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেনি আর কোনো ক্রিকেটার। মহেন্দ্র সিং ধোনি, শেন ওয়াটসন এবং শহিদ আফ্রিদি ঐ সময়ে ১৫ বার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। ১৮ ম্যাচে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জয়ের পাশাপাশি সাতবার সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। ঐ সময়ে তার চেয়ে বেশি সিরিজ সেরার পুরস্কার জিততে পারেনি আর কোনো ক্রিকেটার। যুবরাজ সিং তার সেরা সময়ের প্রতি নয় ম্যাচ অন্তর একবার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। পুরো ক্যারিয়ারে গড়ে ১৬ ম্যাচ পরপর তিনি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন।

২৭ – যুবরাজ সিং ওয়ানডে ক্রিকেটে মোট ২৭ বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছিলেন। সবমিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতা ক্রিকেটারদের মধ্যে তিনি যৌথভাবে ১৩ তম স্থানে অবস্থান করছেন। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তার অবস্থান চতুর্থ। তার উপরে আছেন শচীন টেন্ডুলকার (৬২), বিরাট কোহলি (৩২) এবং সৌরভ গাঙ্গুলী (৩১)। তিনি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জিতেছেন সাতবার। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি এই অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন বিরাট কোহলি (১০) এবং রোহিত শর্মা (৮)।

বিশ্বকাপে শতক হাঁকানোর পর উদযাপন করছেন যুবরাজ; Image Source: AFP

৪২.৯৩ – যুবরাজ সিং ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত মোট ১৫৪ ইনিংসে ব্যাটিং করে ৪৩ বার পঞ্চাশোর্ধ্ব রানের ইনিংস খেলেছেন, যার মধ্যে ১১টি শতক। এ সময়ে যেসব ব্যাটসম্যান তিন হাজারের অধিক রান করেছেন তাদের মধ্যে যুবরাজের ব্যাটিং গড় দশম সর্বোচ্চ। ২০০৫ সালের আগে ৯৮ ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৯.৮৬ এবং ২০১১ সালের পর ২৬ ইনিংসে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৭.০৬। তার মানে ২০০৫ সালের আগে ও ২০১১ সালের পরে তার ব্যাটিং গড় ছিল ২৯.২৬ এবং মাঝখানে তার ব্যাটিং গড় ছিল প্রায় ৪৩।

৫৭.২৫ – যুবরাজ সিং ২০০৫ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত জয় পাওয়া ম্যাচগুলোতে ৫৭.২৫ ব্যাটিং গড়ে রান করেছিলেন। এই সময়ে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে (কমপক্ষে ১,৫০০ রান) তার চেয়ে বেশি গড় ছিল শুধুমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি এবং বিরাট কোহলির। শতক হাঁকানোর দিক থেকে তার নয়টি শতকের চেয়ে বেশি শতক হাঁকিয়েছিলেন রিকি পন্টিং ১৩টি ও এবি ডি ভিলিয়ার্স এবং উপুল থারাঙ্গা ১০টি।

ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ফেরার পর আর নিজেকে সেভাবে মেলে ধরতে পারেননি যুবরাজ; Image Source: Getty Images

৫২.৭১ – যুবরাজ সিং বিশ্বকাপে ৫২.৭১ ব্যাটিং গড়ে ৭৩৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। বিশ্বকাপে ভারতের ছয়জন ব্যাটসম্যান পাঁচ শতাধিক রান করেছেন ৫০ এর বেশি ব্যাটিং গড়ে, তাদের মধ্যে যুবরাজ সিং একজন।

৩০৪ – যুবরাজ সিং মোট ৩০৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছিলেন। কিন্তু তিনি কখনও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেননি। ওয়ানডেতে তার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন এবং কখনও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেননি এমন ক্রিকেটারের সংখ্যা মাত্র একজন। শ্রীলঙ্কার অফস্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন ৩৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলে কখনও অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেননি।

বল হাতেও বেশ কার্যকরী ছিলেন যুবরাজ। বিশ্বকাপে তার পাঁচ উইকেট শিকারের কীর্তি রয়েছে; Image Source: Associated Press

১,৫২৩ – যুবরাজ সিং ওয়ানডেতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৬ ইনিংসে চারটি শতক এবং সাতটি অর্ধশতকের সাহায্যে ৫০.৭৬ ব্যাটিং গড়ে ১,৫২৩ রান সংগ্রহ করেছেন। ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ারের নির্দিষ্ট একটি দলের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান এবং সবচেয়ে বেশি শতক হাঁকিয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই। ইংল্যান্ড যে তার প্রিয় প্রতিপক্ষ সেই উদাহরণ বেশ কয়েকবার রেখেছেন। ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার সেরা ১৫০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। এই ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই তিনি এক ওভারে ছয় ছক্কা হাঁকানোর রেকর্ড গড়েছিলেন।

This article is in Bangla language. It is about the Yuvraj Singh's International career in numbers. Please click on the hyperlinks to check the references

Featured Image: AFP

Related Articles