Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

স্মার্ট টিভি: বদলে যাচ্ছে মানুষের টিভি দেখার অভিজ্ঞতা

বর্তমান যুগে সবাই চায় স্মার্ট হতে। আর তাদেরকে স্মার্ট করে তুলতে একটি বড় ভূমিকা পালন করছে আধুনিক প্রযুক্তি। মোবাইল ফোন শিল্পে এই স্মার্টনেসের এতটাই বিপ্লব ঘটেছে যে, আজকাল সবার হাতে হাতেই স্মার্টফোন দেখতে পাওয়া যায়। স্মার্টফোনের আধিপত্যের কারণে বাটন বা ফিচার ফোন ক্রমশই বিলুপ্তির পথে। তাই এ কথা অনেকটা নিশ্চিত করেই বলা যায় যে, স্মার্টফোন ইতিমধ্যেই বাজার দখলের কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করে ফেলেছে।

এবং এখন প্রযুক্তির অন্য আরেকটি শাখাতেও স্মার্টনেস বিপ্লব দেখা যাচ্ছে। সেটি হলো টেলিভিশন শিল্প। স্মার্ট টিভি শব্দটি আজকাল হরহামেশাই শোনা যাচ্ছে। মধ্যবিত্ত আয়ের কেউও যদি আজকাল নতুন টেলিভিশন সেট কেনার পরিকল্পনা করেন, তার আশেপাশের প্রযুক্তিবিশারদদের বলতে শোনা যায়, “কী টিভি কিনবে? স্মার্ট টিভি নিশ্চয়ই!”

যারা এখনও স্মার্ট টিভির ব্যাপারে খুব একটা অবগত নন, তাদেরকে স্মার্ট টিভি সম্পর্কে বিশদে জানিয়ে দেয়াই হলো এই লেখার উদ্দেশ্য। তাই আর দেরি কেন, চলুন শুরু করা যাক!

স্মার্ট টিভির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে; Image Source: Tom’s Guide/Shutterstock

স্মার্ট টিভি কী?

আজ আমরা যেসব টিভিকে স্মার্ট টিভি বলে জানি, শুরু থেকেই কিন্তু তারা এই নামে পরিচিত ছিল না। তাদের প্রাথমিক নাম ছিল কানেক্টেড টিভি। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, যেসব টিভিতে ওয়েব ২.০ সংযোগ তথা ইন্টারনেট কানেকশনের মাধ্যমে গান ও ভিডিও স্ট্রিম করা যায়, ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যায় এবং ছবি দেখা যায়, সেগুলোই হলো কানেক্টেড টিভি। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে স্যামসাং, এলজির মতো ব্র্যান্ডগুলো প্রথম কানেক্টেড টিভিকে স্মার্ট টিভি হিসেবে অভিহিত করা শুরু করে, এবং স্মার্টফোনের মতোই সাধারণ মানুষ স্মার্ট টিভি শব্দ যুগলকেই লুফে নেয়। এখন তাই কানেক্টেড টিভি শব্দ দুটির জায়গা পাকাপাকিভাবে দখল করে নিয়েছে স্মার্ট টিভি।

তবে অনেকেই স্মার্ট টিভিকে ইন্টারনেট টিভি, আইপি টিভি বা ওয়েব টেলিভিশনের সাথে তালগোল পাকিয়ে ফেলতে পারেন। বাস্তবে প্রতিটিই কিন্তু আলাদা আলাদা জিনিস। ইন্টারনেট টিভি বলতে বোঝায় টেলিভিশন কনটেন্ট চিরাচরিত ব্যবস্থাগুলোর (টেরেস্টেরিয়াল, ক্যাবল ও স্যাটেলাইট) পরিবর্তে ইন্টারনেটের মাধ্যমে গ্রহণ করা। আইপি টিভি অর্থ হলো ইন্টারনেট প্রটোকলের মাধ্যমে কনটেন্ট গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া। আর ওয়েব টেলিভিশন বলতে বোঝায় ইন্টারনেট টিভিতে প্রচারের জন্য নির্মিত কনটেন্ট বা অনুষ্ঠানমালা।

স্মার্ট টিভিতে রয়েছে অসংখ্য অ্যাপ্লিকেশন; Image Source: Techopedia

স্মার্ট টিভিতে কী কী সুবিধা পাওয়া যায়?

স্মার্টফোনের মতো স্মার্ট টিভির সুবিধাগুলোও সব গড়ে উঠেছে ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করেই। স্মার্ট টিভিতে ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে ওয়েব সার্ফ করা যায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউব ব্যবহার করা যায়, বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন যেমন আমাজন, হুলু, নেটফ্লিক্স, এইচবিও প্রভৃতির মাধ্যমে বিভিন্ন এক্সক্লুসিভ কনটেন্ট দেখা যায়, আইপি টিভির মাধ্যমে বিশ্বের হাজার হাজার টিভি চ্যানেল দেখা যায়, সেট টপ বক্স সংযোগের মাধ্যমে দেশ বিদেশের বিভিন্ন চ্যানেল দেখা যায়, ভিডিও গেমস খেলা যায়, গান শোনা যায়, ছবি দেখা যায় ইত্যাদি।

পাশাপাশি সাধারণ টিভিতে যেমন টেরেস্টেরিয়াল, ক্যাবল বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিভিন্ন চ্যানেল দেখা যায়, কিংবা ভিডিডি, ডিভিডি চালানো যায়, সেগুলোও এই টিভিতে সম্ভব। অর্থাৎ সাধারণ টিভির সবকিছু তো স্মার্ট টিভিতে করা যায়ই, পাশাপাশি এতদিন যেসব কাজ কেবল আমরা মোবাইল বা কম্পিউটারেই করা যায় বলে ভেবে এসেছি, সেগুলো সবও স্মার্ট টিভিতে করা যায়।

এছাড়া অনেক স্মার্ট টিভিতে ভয়েস কন্ট্রোলের মাধ্যমে রিমোট কন্ট্রোল ব্যবহার ছাড়াই চ্যানেল পরিবর্তন থেকে শুরু করে ইন্টারনেটে বিভিন্ন কনটেন্ট খোঁজা, সবই করা যায়। কিছু কিছু স্মার্ট টিভিতে স্মার্টফোনের সাথে মিররিংয়ের মাধ্যমে স্মার্টফোনে থাকা ছবি, গান বা ভিডিও চালানো যায়, আবার স্মার্ট টিভিকে ঘরের অন্যান্য সেন্সর যেমন লাইট, ডোর লক প্রভৃতির সাথেও যুক্ত করা যায়।

স্মার্ট টিভির জন্য কি ইন্টারনেট সংযোগ আবশ্যক?

ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া যেমন স্মার্টফোন আর স্মার্ট থাকে না, স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও কিন্তু স্মার্টফোন চলে ঠিকই, কিন্তু অধিকাংশ ফিচারই কাজ করে না। স্মার্ট টিভিতেও ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়া অধিকাংশ ফিচার কাজ করে না। কিন্তু যেসব ফিচার কাজ করতে ইন্টারনেটের প্রয়োজন পড়ে না, সেগুলো ঠিকই কাজ করে। যেমন ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াও আপনি স্মার্ট টিভিতে সাধারণ চ্যানেলগুলো দেখতে পারবেন সেট টপ বক্স, ক্যাবল, টেরেস্টেরিয়াল বা স্যাটেলাইটের মাধ্যমে। বিল্ট ইন গেমসগুলো খেলতে পারবেন, যাতে ইন্টারনেট সংযোগ দরকার নেই। যেসব ছবি, ভিডিও বা গান স্টোর করে রেখেছেন, সেগুলোও চালাতে পারবেন। স্মার্টফোন থেকে মিররিংও করতে পারবেন। ভিসিডি, ডিভিডিও চালাতে পারবেন।

স্মার্ট টিভির স্মার্টনেসের মূল রহস্য ইন্টারনেট; Image Source: Tom’s Guide/Shutterstock

ইন্টারনেট সংযোগ দেবেন কীভাবে?

স্মার্ট টিভিতে মূলত দুভাবে ইন্টারনেট সংযোগ দেয়া যায়। একটি হলো তারের ইথারনেট ব্যবহার করে, অন্যটি ওয়াইফাই ব্যবহার করে। আজকাল অনেক স্মার্ট টিভিতেই বিল্ট-ইন ওয়াইফাই থাকে, সেটিকে কেবল আপনার বাসা বা অফিসের ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত করে নিলেই চলে। কিন্তু যেসব স্মার্ট টিভিতে বিল্ট-ইন ওয়াইফাই নেই, সেগুলোর জন্য আলাদা করে রাউটার কিনে নিতে হয়। বর্তমান সময়ে অধিকাংশ স্মার্ট টিভিতেই ৮০২.১১এসি ওয়াইফাই সাপোর্ট করে, তবে কিছু কিছু স্মার্ট টিভিতে আগেকার ৮০২.১১এন স্ট্যান্ডার্ডও ব্যবহৃত হয়ে থাকে।

স্মার্ট টিভির অ্যাপ্লিকেশনও কি অপারেটিং সিস্টেমের উপর নির্ভরশীল?

স্মার্টফোনের মতো স্মার্ট টিভিতেও অ্যাপ্লিকেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস। অ্যাপ্লিকেশন না থাকলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেও তো কোনো লাভ নেই। অধিকাংশ স্মার্ট টিভিতেই সাধারণ কিছু অ্যাপ্লিকেশন বিল্ট-ইন অবস্থায় থাকে, যেমন: নেটফ্লিক্স, হুলু, আমাজন প্রাইম ভিডিও, প্যান্ডোরা ইত্যাদি। কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরও অসংখ্য স্মার্ট টিভি অ্যাপ্লিকেশন আছে, যা সব ধরনের স্মার্ট টিভিতে থাকে না, আবার অ্যাপ স্টোর থেকেও ডাউনলোড করা যায় না।

এক্ষেত্রে স্মার্ট টিভির অপারেটিং সিস্টেম একটি বড় ভূমিকা পালন করে। এলজি ও স্যামসাং এখনও নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছে, যেখানে সব ধরনের অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায় না। আমাজন ফায়ার টিভিতে আমাজনের বিশেষ কিছু অ্যাপ্লিকেশন পাওয়া যায়। রোকু টিভি ছাড়াও হাইসেন্স, টিসিএল প্রভৃতি রোকুর সহজে ব্যবহারযোগ্য ইন্টারফেস ব্যবহার করে, যাতে হাজারো স্টিমিং সার্ভিস পাওয়া যায়।

স্মার্ট টিভিতে অপারেটিং সিস্টেম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়; Image Source: TCL

গুগল টিভি ছাড়াও সনি, শার্প, ওয়েস্টিংহাউজ প্রভৃতি ব্র্যান্ডে অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্ট করে, যার কারণে এতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অ্যাপ্লিকেশন তো পাওয়া যায়ই, পাশাপাশি গুগলের বিশেষ সুবিধাগুলোও পাওয়া যায়। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আমাজন বেস্ট বাইয়ের সাথে জুটি গড়ে ফায়ার এডিশন টিভি বাজারে এনেছে, আর তোশিবা, ইনসিগনিয়া টিভিতে অ্যালেক্সা সুবিধাসম্পন্ন স্মার্ট অপারেটিং সিস্টেম পাওয়া যাচ্ছে। আবার অ্যাপলের নিজস্ব অ্যাপ্লিকেশনগুলো, যেমন- আইটিউন্স, কেবল অ্যাপল টিভিতেই সাপোর্ট করে।

স্মার্টফোন কেনার ক্ষেত্রে যেমন ক্রেতারা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম বেছে নেন, স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে আজকাল স্মার্ট টিভির নামে বাজার বিভিন্ন কম দামি নন-ব্র্যান্ড টিভিতে সয়লাব হয়ে গেছে, যেগুলোতে আলাদা করে নতুন অ্যাপ্লিকেশন ডাউনলোডের সুযোগ নেই, কেবল সাধারণ অ্যাপ্লিকেশনগুলোই তাতে পাওয়া যায়।

স্মার্ট টিভিতেও কি অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেট হয়?

কম্পিউটার ও স্মার্টফোনে যেমন কিছুদিন পরপর অপারেটিং সিস্টেম ও সফটওয়্যার আপডেট হয়, তেমনটি স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। কোনো সফটওয়্যারই পুরোপুরি বাগমুক্ত নয়। তবে টিভি কোম্পানিগুলো প্রতিনিয়ত বাগগুলো দূর করে অ্যাপ্লিকেশন দ্রুতগতির ও ঝামেলামুক্ত করার চেষ্টা চালায়। রোকু ও অ্যান্ড্রয়েড চালিত স্মার্ট টিভিগুলোতে নিয়মিতই আপডেট আসে, এবং নতুন চ্যানেল ও অ্যাপ্লিকেশন যোগ হয়। তবে সামগ্রিকভাবে অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট কালেভদ্রে হয়ে থাকে।

স্মার্ট টিভিও কি ক্রাশ করে বা হ্যাং হয়?

অবশ্যই। স্মার্ট টিভিতে ভিডিও প্রসেসিংয়ের জন্য কম্পিউটার চিপ ব্যবহৃত হয়। তাছাড়া একাধিক স্ক্রিনে দেখা ও ইন্টারনেট সংযোগের ফলেও স্মার্ট টিভি ধীরগতির হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া স্মার্ট টিভিতে নিজস্ব মেমোরিও থাকে। গ্রাফিক উন্নতির জন্য অতিরিক্ত প্রসেসিং পাওয়ারও কাজে লাগানো হয়। সব মিলিয়ে স্মার্টফোন যেমন এখন কম্পিউটারেরই ছোট সংস্করণ, তেমনই স্মার্ট টিভিও আসলে কম্পিউটারেরই একটি সম্প্রসারণ। তাই কম্পিউটার যেমন মাঝেসাঝেই ক্রাশ করে বা হ্যাং হয়, সেটি স্মার্ট টিভির ক্ষেত্রেও হয়ে থাকে। হঠাৎ হঠাৎ কোনো নির্দিষ্ট একটি অ্যাপ্লিকেশন ফ্রিজ হয়ে যেতে পারে, বন্ধ হয়ে যেতে পারে, এমনকি পুরো স্মার্ট টিভিটিও বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে স্মার্ট টিভির মানোন্নয়নের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছে উৎপাদনকারী কোম্পানিগুলো। অনেক স্মার্ট টিভিতেই এখন কোয়াড কোর প্রসেসর থাকে, যার ফলে সেগুলোতে এমন বিড়ম্বনা কম দেখা দেয়।

স্মার্ট টিভিতেই এখন পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহারের স্বাদ; Image Source: Samsung

স্মার্ট টিভি কি হ্যাক হতে পারে বা ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে?

এক্ষেত্রেও উত্তরটি, দুর্ভাগ্যজনকভাবে, হ্যাঁ। ইন্টারনেট সংযোগ যেহেতু রয়েছে, তাই এগুলো অসম্ভব নয়। কোনো পাকা হ্যাকার চাইলেই আপনার স্মার্ট টিভির ভিতর ঢুকে আপনার অ্যাকাউন্টগুলো হ্যাক করতে পারে, পাসওয়ার্ড চুরি করতে পারে, আপনার গতিবিধির উপর নজর রাখতে পারে, চ্যানেল পরিবর্তন করে ফেলতে পারে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্য জেনে নিতে পারে। এমনকি আপনার স্মার্ট টিভিতে ভাইরাস ঢুকিয়ে দিয়ে সেটিকে সাময়িকভাবে বিকল করে দেয়াও সম্ভব। তাছাড়া ইন্টারনেট ব্যবহারের সময়ে নিজে থেকেও স্মার্ট টিভিটি ভাইরাস আক্রান্ত হতে পারে। আর সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও চাইলে একটি স্মার্ট টিভির যাবতীয় তথ্য ও কার্যক্রমে নজরদারি করতে পারে।

শেষ কথা 

বছর পাঁচেক আগেও আমাদের দেশে স্মার্ট টিভির প্রচলন এত বেশি ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গেছে। এর পেছনে প্রধান কারণ হলো স্বল্পমূল্য। আগে যেখানে সাধারণ এলইডি টিভি কিনতেও ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হতো, সেখানে বর্তমানে এই দামেই মোটামুটি ভালো মানের স্মার্ট টিভি পাওয়া যাচ্ছে। তাছাড়া অনেক অনলাইন শপে তো ১৩-১৪ হাজার টাকাতেই নন-ব্র্যান্ডের স্মার্ট টিভি পাওয়া যাচ্ছে। ব্রডব্র্যান্ড ইন্টারনেটের ব্যবহারও দেশব্যাপী বেড়ে চলেছে। সবকিছু মিলিয়ে মোবাইল ফোন ও কম্পিউটারের পাশাপাশি এখন টিভিতেও ইন্টারনেট ব্যবহার ও অন-ডিমান্ড কনটেন্ট দেখার ব্যাপারে মানুষ উৎসাহী হয়ে উঠছে। ২০২০ সাল নাগাদ পশ্চিমা বিশ্বের বেশিরভাগ পরিবারেই অন্তত একটি করে স্মার্ট টিভি থাকবে। আমাদের দেশে এত তাড়াতাড়ি না হলেও, ২০৩০ সালের আগেই নিঃসন্দেহে দেশের সিংহভাগ বাড়িতে স্মার্ট টিভির উপস্থিতি দেখা যাবে। 

এই বিষয়ে আরও জানতে পড়ুন এই বইগুলো

১) টিভি রিপোটিং
২) মফস্বলে টিভি সাংবাদিকতা

চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/

This Bangla article is about Smart TV, how it functions, and how it is changing people's TV watching experience. Necessary references have been hyperlinked inside.

Featured Image © Tom's Guide/Shutterstock

Related Articles