Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

আত্তাহপাই সাইতার: নতুন ঝর্ণায় অভিযাত্রীদল

ভ্রমণপ্রিয় আমরা চব্বিশজন এবার বান্দরবন এসেছি তিনাপ সাইতার দেখতে। বহুল আকাঙ্ক্ষিত তিনাপ ঝর্ণা দেখতে সকাল সকালই বেরিয়েছিলাম সদলবলে। প্রকৃতি আমাদের হতাশ করেনি। ভরা বর্ষায় পূর্ণ যৌবনা তিনাপের রূপ আমাদের মুগ্ধ করেছে। কিন্তু এর সাথে যে একই দিনে আরও চমক অপেক্ষা করে ছিল, সেটা আমরা অনেকেই আশা করিনি। তাই তিনাপ দেখে ফিরে আসার সময় যখন দলনেতা বললেন পাড়ার কাছেই আত্তাহপাই ঝর্ণার কথা, সবাই নতুন উদ্যমে পা বাড়ালাম। কিন্তু পাইন্দু খাল পেরিয়ে যে দীর্ঘ পাহাড় বেয়ে পাড়ায় যেতে হয়, তাতে দলের অনেকেই বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। পাড়ায় আসতে আসতেই তাই দল একরকম ভাগ হয়ে গেল। কারা কারা যাচ্ছি নতুন ঝর্ণা দেখতে।

রুমা থেকে তিনাপ ঝর্ণা দেখতে এসে আমরা উঠেছি আত্তাহপাড়ায়। এই আত্তাহপাড়া থেকে অল্প দূরে লুকিয়ে থাকা ঝর্ণাটির আরেক নাম তিন ধাপ ঝর্ণা। কিন্তু এই ঝর্ণার বিষয়ে এর আগে আমরা কিছুই শুনিনি। আমাদের কাছে একদম নতুন এই ঝর্ণার খোঁজ পাওয়া রোমাঞ্চের চেয়ে কোনো অংশে কম ছিল না।

পাহাড় থেকে দেখা আত্তাহপাড়া; ছবিয়াল: সম্রাট

পাড়ায় ফিরে বেশি দেরি না করে ঘণ্টা দুয়েকের মাঝেই আমরা ক’জন রওনা হলাম নতুন ঝর্ণার উদ্দেশ্যে। কী দেখতে যাচ্ছি কোনো ধারণাই নেই। পাড়ার গির্জা পেরিয়ে কিছুদূর গেলেই ডানে পাহাড়ি রাস্তা নেমে গেছে। সেই পথে সোজা নেমে যেতে হবে নিচে। কিন্তু শুরুতেই বিপত্তি বাঁধাল বৃষ্টি। খাড়া পথ ধরে যতই নামছি বৃষ্টিও যেন পাল্লা দিয়ে দ্বিগুণ উৎসাহে বেড়ে চলছে। পাড়া থেকে ভিজতে ভিজতে সোজা গিয়ে নামলাম পাহাড়ের নিচে ঝিরি পথে। পথ এখানে দু’ভাগ হয়ে গেছে। পাড়ার গাইড রকির কথা মত আমরা সবাই ডানের পথ ধরলাম। অল্পদূর যেতে না যেতেই সহযাত্রী রোকন বলল ফিরে যাবে, এমন বৃষ্টিতে পাহাড়ী পিচ্ছিল পথে ভরসা করতে পারছে না। এমনিতেই সবাই কে নিয়ে আসা হয়নি, তার উপর কমে গেল আরও একজন।

ঝিরি পথ শেষ করে আবার খাড়া জুমের রাস্তা ধরে ওঠার পালা। বৃষ্টি কিছুটা কমে এসেছে। কিন্তু এমন বৃষ্টিতে যা হওয়ার ছিল তাই হলো। শুকনা পাহাড়ি রাস্তা হয়ে গেলো কর্দমাক্ত, পিচ্ছিল। এভাবে প্রায় ২০ মিনিট খাড়া ট্রেইল পাড়ি দিয়ে যখন জুম ঘরটায় পৌঁছালাম, সারাদিনের ক্লান্তি আর দুপুরের ভাতঘুমটা তখন একেবারে জেঁকে ধরেছে বলা যায়। সময় বয়ে চলেছে, সন্ধ্যার আগেই পাড়ায় ফিরে যেতে হবে। কিন্তু যত হিসাবই করি না কেন, জুমঘরে কয়েকজন চাষিকে জিরিয়ে নিতে দেখে আমরাও মাচায় গা এলিয়ে দিলাম।

পাহাড়ে ঘুরতে এসে অনেক জুমঘরই দেখেছি, তবে সেদিনের অনুভুতি যে বিশেষ সেটা মানতেই হবে। পশ্চিমে মুখ করা জুমঘরটার মাচায় বসে চারপাশের প্রকৃতি দেখছি, সামনে উল্টো দিকে টেবিল পাহাড়ের রেঞ্জ পড়ন্ত বিকেলের হালকা সোনালি আভায় বেশ লাগছে। মেঘের ফাঁক দিয়ে এক চিলতে রোদ সরাসরি আমাদের জুমঘরটাকে রাঙিয়ে দিচ্ছে আর মনটাকে সে রোদে সেঁকে সবাই একটু উষ্ণতা ভাগ করে নিচ্ছি। কিন্তু এত সুখ কপালে বেশিক্ষণ থাকে কী করে! বেরসিক দলনেতার তাড়ায় প্রকৃতি প্রেম বাদ দিয়ে মানে মানে উঠে পড়লাম।

বিকেলের সোনালি আভায় জুমঘরে অভিযাত্রী দল; ছবিয়াল: রিদুয়ানুল কবির

বৃষ্টি কিছুক্ষণ আগেই থেমে গেছে। কিন্তু চোখের সামনে যে পথটা দেখা গেলো সেটা বেশ ঢালু, আর বিশেষ রকম পিচ্ছিল তো বটেই। নিচে তাকালে রাস্তা দেখা যায় না, এমনই এক পাহাড়ি ঢাল দেখিয়ে রকি বলল এ পথে আরও ২০ মিনিট নেমে গেলে দ্বিতীয় আরেকটা জুমঘর, সেখান থেকে আর ৫ মিনিটের পথ নামলে পাহাড়ের একেবারে নিচে দেখা পাওয়া যাবে কাঙ্ক্ষিত ঝর্ণার। শুরু হল নিচের দিকে নামা। এমনিতেই এ পথে নামা বেশ কঠিন মনে হচ্ছিল, তার উপর সামনে রাস্তা আরও সরু। অনেকেরই পা পিছলে পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। সামনেই কিছু জুম চাষি পাহাড়ি সবজির ঝুড়ি আর কাঁধে কলার কাঁদি নিয়ে এদিকেই আসছিল। ঠিক যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা পাহাড়ি জীবনের স্থিরচিত্র বাস্তব হয়ে চোখের সামনে ধরা দিলো। হঠাৎ করে এমন দৃশ্য দেখলে নিজেদের ব্যস্ত জীবন ভুলে এমন একটা সহজ সরল জীবনের ইচ্ছেটা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।

এই এলাকায় জুম চাষ হয় বলে পথ অনেকটা ধাপে ধাপে কাটা। সে রাস্তা ধরে এখন আমরা শুধু নেমেই চলেছি, এ পথের শেষ যেন আর নেই। সামনে রাস্তা আবারও দু’ভাগ হয়ে যাওয়ায় বামের রাস্তা ধরে এগোতে গিয়ে দেখি এদিকে মাটি খুবই নরম। পা রাখতে না রাখতেই নিচের দিকে হড়কে যাচ্ছে। চারপাশের ঝোপঝাড় আর নিজের পায়ের উপর ভরসা করে নিচে নেমে যাচ্ছি, আর কাছাকাছি ধুপ-ধাপ শব্দ করে কেউ কেউ আছাড় খাওয়ার জানান দিচ্ছে। এমন পিচ্ছিল বিপজ্জনক পথ পাড়ি দিচ্ছি আর একটু করে ভাবছি। আজকেই তিনাপ সাইতার দেখলাম। তিনাপ, সে এক ভালবাসার নাম। সত্যিই মনোমুগ্ধকর। অন্তত আজ কী আর অন্য কিছু দেখে মন ভরবে! এসব সাত-পাঁচ ভাবতে ভাবতেই দেখি সামনে ঠিক নিচেই জুমঘর। আর তার নিচে গাছের আড়ালে লুকিয়ে থাকা আত্তাহপাই ঝর্ণা। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে কষ্ট বিফলে যাচ্ছে না এবারও। সব বাঁধা ভুলে এক ছুটে হাজির হলাম জুমঘরে।

বেশ জোরালো আওয়াজে দূর থেকেই নিজের অস্তিত্ব সগর্বে জানান দিচ্ছে আত্তাহপাই সাইতার। মেঘলা আকাশ, পড়ন্ত বিকেলে আবছা আঁধার যেন পাহাড়কে গ্রাস করতে চাইছে। তার মাঝে মুগ্ধ চোখে তাকিয়ে দেখা ঝর্ণার মাথা থেকে অনাবিল ধারায় সুর তুলে নামছে ফেনিল জলরাশি। সত্যি একদিনে এমন দুই রূপসীর দেখা পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।

প্রথম দর্শনে আত্তাহপাই; ছবিয়াল: সোহেল পপাই

সাধারণত জুমঘরগুলো থাকে ন্যাড়া জুম পাহাড়ের চূড়ায় অথবা উপরের দিকে। সেদিক থেকে এই জুমঘরটা একেবারেই আলাদা, একদম পাহাড়ের পাদদেশে লম্বা লম্বা গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে যেন আত্মগোপন করে আছে। চারপাশে সবজি আর মসলার ক্ষেত। জুমঘরের ঠিক নিচ দিয়েই বয়ে চলেছে আত্তাহপাই ঝর্ণা থেকে নেমে আসা পানির স্রোতধারা।

হঠাৎ করে আকাশের মেঘ সরে গিয়ে বিকালের হলদে আলোয় পাহাড়ের চুড়া ঝলমলিয়ে উঠলো। সামনে জুমঘর বরাবর আত্তাহপাইয়ের একটানা নেশা লাগা শব্দের সাথে অবিরাম জলের ঝড়ে পড়ার দৃশ্য। পাহাড়ের নিচের আবছা আঁধারে বসে দেখলাম প্রকৃতির এই অদ্ভুত চোখ ধাঁধানো রূপের খেলা।

পাহাড়ে রাত নামে ঝুপ করে। গাইডের বলা দেড় ঘন্টার পথ মাত্র চল্লিশ মিনিটে পাড়ি দিয়ে দলের বাকি সবাই যখন জুমঘরে পৌঁছল, বোঝাই যাচ্ছিল হাতে সময় আছে বেশ অল্প। তাই আর দেরি না করে ঝর্ণার দিকে যাত্রা শুরু করলাম। বলে রাখা ভালো, এই জুমঘরটি আসলে এক আদিবাসী কিশোরের ব্যক্তিগত সম্পত্তি। তাই এদিক দিয়ে সামনে আর কোনো রাস্তা নেই। পাড়ার লোকেরা ঝর্ণায় যেতে হলে পিছনে ফেলে আসা ডানের রাস্তা ধরে ঘুরপথে যায়। ফলে সময়ও অনেকটা বেশি লাগে। যা-ই হোক, আমাদের হাতে সময় কম থাকায় আগেই অনুমতি নিয়ে আমরা এ পথে এসেছি। গাইড রকি এবার আমাদের নিয়ে একটি কলাবাগানে ঢুকে পড়লো। এখানে কোনো রাস্তা না থাকায় সে নিজেই পায়ের সামনে ঝোপঝাড়, লতা-পাতা কেটে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু দু-একবার চারপাশে পড়ে থাকা মরা কলাগাছে পা দিতেই বোঝা গেলো এখানে আসল খলনায়ক লতা পাতা নয়, লাল পিঁপড়া! মরা কলাগাছে পা পড়তেই লাল পিঁপড়া কলোনি ভেঙে হুড়মুড়িয়ে গায়ে উঠে পড়ছে। সবার তখন পিঁপড়ের ভয়ে তাড়া খাওয়া অবস্থা। অনেকটা দৌড়ে লাফিয়ে সবাই কলাবাগান পেরিয়ে এলাম।

আর বেশি নয়, দুই তিন মিনিটের পথ। যতই নামছি ততই জোরালো হচ্ছে ঝর্ণার আওয়াজ। ঠিক সামনেই বিশাল এক ঝোপ দৃষ্টিসীমা আর পথ– দু’টোই আগলে দাঁড়িয়ে আছে। এবার সেই ঝোপের মাঝখানে গাইড রাস্তা করে সামনে নামছে, পিছনে সার বেঁধে আমরা। আশেপাশে মোটা মোটা লতা যেন টারজানের দড়ি। ঝোপটা পেরিয়ে খোলা জায়গায় বেরোতেই সবার মুখে একটাই শব্দ – ওয়াও! সিনেমার পর্দার মত চোখের সামনে থেকে সব বাঁধা সরিয়ে প্রথমবারের মত আমাদের সামনে সম্পূর্ণ রূপে উন্মুক্ত হল বিশাল আত্তাহপাই ।

অবশেষে পেলাম আত্তাহপাই সাইতার; ছবিয়াল: সোহেল পপাই

ঝর্ণার এমন রূপ দেখে লাফিয়ে পড়লাম – একেবারে আক্ষরিক অর্থেই। এক লাফে ঝোপের নিচের ৬-৭ ফুট উঁচু পাথরটা পেরিয়ে ঝর্ণার নিচের বালিমাটিতে নামলাম। অনেকে তো পাথরে বসেই ঝর্ণা দর্শনে মজে গেলো। হিসেব করে দেখলাম হাতে সময় আছে মাত্র আধা ঘন্টার মতো, এরপরেই আলো কমে যাবে। কিন্তু যতবারই ঝর্ণার দিকে মুখ তুলে তাকাই ততবারই তন্ময় হয়ে যেতে হয়।

আত্তাহপাই ঝর্ণা উচ্চতায় প্রায় ৬০-৭০ ফুট। পায়ের নিচে বালু-কাকড় ভরা জমি, চারপাশে বড় বড় পাথর ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আত্তাহপাইয়ের তিন পাশে পাহাড় ঘেরা। এত উঁচু থেকে লাফিয়ে পড়ে ঝর্নার পানি বাতাসে শিশির বিন্দুর মত ছড়িয়ে পড়ছে। আবছা আলোয় এ যেন এক স্বর্গীয় অনুভূতি। ঝটপট মন মতো কিছু ছবি তুলে যখন ঝর্নার সামনে বসলাম, সে এক অন্য রকম প্রশান্তি। ঝর্ণার চূড়ায় তাকিয়ে থাকাটা মনে কেমন একটা নেশার ভাব জাগায়। হুট করে মনে হবে যেন শূন্য থেকে লাফিয়ে নামছে স্বচ্ছ মুক্তোর দানা কিংবা লুকিয়ে রাখা কোনো অমৃত ধারা।

পাহাড়ের একদম নিচে হওয়ায় খুব দ্রুত অন্ধকার নেমে আসছিল। এ বেলায় যদি রওনা না দেই তাহলে পাড়ায় ফিরতে রাত হয়ে যাবে। তাই ফিরতি পথ ধরলাম যেদিক থেকে এলাম সেদিকেই। পাহাড়ী কিশোরের জুমঘরে রাতটা কাটানোর ইচ্ছে না চাইতেও বলেই ফেললাম। রাতের আঁধারে ঝর্নার একটানা কলতান, সাদা ফেনীল পানির অস্পষ্ট অবয়ব সাথে হয়তো দু-এক লাইন গান। এ যেন স্বপ্নের চারণভূমি। সবার মনই তখন ঘর বিবাগী। তবু বাস্তবতার তাড়ায় পা ফেলে চলে এলাম সামনে। সবার মন কিছুকাল সেখানেই পড়ে রইল।

মেঘের আড়ালে ডুবন্ত সূর্য; ছবিয়াল: মাহফুজুর রহমান

নামার সময় যে পথ ছিল ঢালু ও কঠিন, সেটাই উপরে উঠতে আর আগের মত কঠিন রইল না। সবার মাথায় এখন নতুন লক্ষ্য প্রথম জুমঘরে বসে সূর্যাস্ত দেখা। পাহাড়ে নামার চেয়ে উঠাই সবসময় সহজ। তাই বেশ ক্ষিপ্রতার সাথে আগের চেয়ে প্রায় অর্ধেক সময়েই চলে এলাম প্রথম জুমঘরে। সূর্য তখন দিগন্ত রেখায় পৌঁছে গেছে, প্রস্তুত হয়ে গেছে শূন্যে বিলীন হতে। জুমঘরে বসে দেখা সে এক অনন্য সূর্যাস্ত। খুব দ্রুতই দিনের শেষ আলোর চুম্বন দিয়ে সে হারিয়ে গেলো কোন এক পাহাড়ের আড়ালে।

আমরাও উঠে পড়লাম ফিরব বলে। নিভে আসা প্রদীপের মত চারপাশে আলো কমে গেছে। দ্বিগুণ গতিতে প্রায় দৌড়ে আসা শুরু করলাম। একটাই কারণ, আমাদের বেশির ভাগের কাছেই টর্চ নেই। ঝিরিতে চলে আসতে খুব বেশি সময় লাগলো না। ঝিরির পানিতে কয়েকজন জুমচাষী সারাদিনের ক্লান্তি ধুয়ে নিচ্ছিল। পানির নিবিড় ধ্বনি, চারপাশে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, তবুও চারপাশে এক অদ্ভুত নীরবতার বাস- এই হলো এখানকার জীবনের মাধুর্য।

পাহাড়ে সূর্যাস্ত; ছবিয়াল: সম্রাট

ঝিরি পেরিয়ে পাড়ার পথ ধরে উঠছি, আঁধারের রাজ্যে প্রবেশ করে প্রায় অনুমানে পা ফেলছি আবছা মেঠো পথে। রাত বাড়ছে আর বাড়ছে নিশাচর পোকার ডাক। কেমন যেন আধো-ভৌতিক পরিবেশ। বেশ জোরে পা চালিয়ে এক সময় দেখলাম অল্প দূরে সোলারের আলো পাড়ার জানান দিচ্ছে।

আকাশে একটা দুটো করে তারা ফুটে উঠছে। গির্জা পেরিয়ে বায়ে মোড় নিতেই পাড়ার সবচেয়ে বড় চায়ের দোকান। যারা ঝর্ণায় যায়নি ইতিমধ্যেই চায়ের আসরে জমায়েত হয়ে গেছে। আমাদের দেখেই যেন হুল্লোড় পড়ে গেলো। ঝর্ণার ছবি হাত বদল হতেই যারা যায়নি তারা আফসোস করছিলো। হাতে চায়ের কাপ, মুখে ঝর্ণার গল্প, মনে আনন্দ – বৃত্ত বন্দী আমাদের আসর। জীবনে প্রাপ্তির খাতায় যোগ হয়ে গেল আরও একটি সন্ধ্যা।

তিনাপ ভ্রমণের আদ্যোপান্ত পড়তে ঘুরে আসুন এখানে…

কৃতজ্ঞতা: শেখ ফয়সল আহমেদ

ফিচার ইমেজ: সম্রাট

Related Articles