Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

একজন ভ্রমণপিপাসু গিটারবাদকের জন্য যা যা দরকার

চলো না ঘুরে আসি অজানাতে
যেখানে নদী এসে থেমে গেছে!

লাকী আকন্দের লেখা এবং সুর করা এই গানের কলি দুটি শোনেনি এমন মানুষ অন্তত বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া মুশকিলই বটে। কেননা, এখনো অনেক ভ্রমণপিপাসু মানুষকেই দেখা যায়, কোথাও ঘুরতে যাওয়ার সময়ে অথবা নির্দিষ্ট গন্তব্যে যাওয়ার পর সবাই মিলে সন্ধ্যায় খোলা আকাশের নীচে বসে এই গানের সুরে নিজেদের গলা মেলাতে। আর যদি সৌভাগ্যক্রমে ভ্রমণপিপাসু দলের কেউ একজন গিটার নামক বাদ্যযন্ত্রে পারদর্শী হয়, তাহলে তো সব মিলিয়ে একদম সোনায় সোহাগা অবস্থা। গিটার বাজানোর কৌশল রপ্ত করাটা যদিও কষ্টসাধ্য বিষয়, কিন্তু তার চাইতেও কষ্টসাধ্য বিষয় হচ্ছে গিটার থেকে উৎপন্ন শব্দের সুর ঠিক রাখা।

কেননা, এটা কেবলমাত্র গিটার শেখার ব্যাকরণেই আবদ্ধ নয়, বরং এটা গিটারের ক্ষেত্রে আরো অন্যান্য আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতির সাহচর্যের ব্যাপার। যেমন, গিটার বাজাতে পিকসের দরকার পড়ে, যা তিন কোণাকৃতির, তবে সম্পূর্ণ কোণ না-ও হতে পারে, মাঝে মধ্যে অনেক পিকস ডিম্বাকৃতির বা পানপাতাসদৃশও হয়ে থাকে। যা-ই হোক, প্লাস্টিকের এই বস্তুটি গিটারের ফ্রেট বোর্ডে থাকা নাইলনের ছয়টি তারে ছোঁয়ানোমাত্রই স্পষ্ট এবং মধুর সুর সৃষ্টি করে।

ছবিতে ক্লাসিক্যাল, ইলেকট্রিক ও অ্যাকুইস্টিক গিটার; Image Source: wixsite.com

যদিও গিটারের প্রকারভেদ করতে গেলে লেখাটা মূল প্রসঙ্গ অতিক্রম করে, তবুও অতি সংক্ষেপে গিটারগুলোর সাথে পরিচিত হয়ে নেইয়া যাক। গিটার মূলত তিন প্রকারের হয়ে থাকে-

  • স্প্যানিশ গিটার: সহজ ভাষায় বলতে গেলে সাধারণত আমরা যে গিটারগুলো লোকেদের বাজাতে দেখি, তা-ই স্প্যানিশ গিটার। তবে আরেকটু ভালো করে বললে, স্প্যানিশ গিটারে ফ্রেট বোর্ড থাকে।
  • হাওয়াইন গিটার: হাওয়াইন গিটারে সাধারণত ফ্রেট বোর্ড থাকে না আর রিদম দিয়েও বাজানো যায় না। কোলের উপর শুইয়ে দিয়ে স্লাইডিং মেটাল বার দিয়ে বাজানো হয়ে থাকে।
  • বেইজ গিটার: উপরোক্ত গিটারদ্বয়ে ছয়টি করে তার বা স্ট্রিং থাকলেও বেইজ গিটারে মূলত চারটি তার বা স্ট্রিং থাকে। এবং এই তার বা স্ট্রিংগুলো সাধারণ গিটারের চাইতে অনেক বেশি মোটা ও ভারী এবং গম্ভীর শব্দ সৃষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়।

উপরোক্ত তিন প্রকার গিটারই আবার অ্যাকুইস্টিক এবং ইলেকট্রিক এই দুই রকমের হয়ে থাকে।

কয়েক ধরনের গিটার; Image Source: sqaurespace.com
  • অ্যাকুইস্টিক গিটার: অ্যাকুইস্টিক গিটারে গোল আকৃতির একটি ফাঁকা অংশ থাকে, যাকে সাউন্ড হোল বলে। ফলে নিজের আঙ্গুল বা পিকসের সাহায্যে গিটারের তারে কম্পন সৃষ্টি হলে তা গিটারের বডিতে প্রতিধ্বনিত হয় এবং সাউন্ড হোলের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এছাড়াও, অনেক অ্যাকুইস্টিক গিটারের ভেতর পিক-আপ থাকে, যা এম্পের সাহায্যে আরো উচ্চস্বরে বা উচ্চ আওয়াজে বাজানো সম্ভব। গিটার শেখার শুরু এবং নিয়মিত অনুশীলনের জন্য এই গিটারের জনপ্রিয়তা সবচাইতে বেশি।
  • ইলেকট্রিক গিটার: গিটারের নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে এটি বৈদ্যুতিক উপায়ে চালিত। এই গিটারের ক্ষেত্রে তারের কম্পনটা ইলেকট্রিক সিগন্যালে রূপান্তরিত হয়, এরপর এম্প নামক আরেকটি যন্ত্রের সাহায্যে তা সুর সৃষ্টি করে, যা লাউড স্পিকার দিয়ে প্রকাশ পায়। গিটার শেখার মধ্যবর্তী পর্যায়ে দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য ও নিত্যনতুন সুর তৈরি করতে এবং বৃহৎভাবে সুরের প্রকাশের ক্ষেত্রে এই গিটারের জনপ্রিয়তা আছে। তবে ইলেকট্রিক গিটার বাজানোর জন্য শুধুমাত্র পিকস নয়, বরং আনুষাঙ্গিক আরো অনেক টুকিটাকি যন্ত্রপাতির দরকার পড়ে। যেমন- প্রসেসর, এম্প, গিটার ক্যাবল, সাউন্ডবক্স বা হেডফোন, টিউনার, রিগ ইত্যাদি।

এখন কথা হচ্ছে, আপনি ঘুরতে যাবেন আবার সাথে গিটারও নেবেন তাহলে ব্যাপারটা কেমন ঝামেলার মনে হচ্ছে না? কেননা, ঘুরতে গেলে সাধারণত আমরা চেষ্টা করি যতটা হালকা থাকা যায়, কিন্তু গিটারের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতিসমূহের বর্ণনা শুনে ব্যাপারটা এখন বেশ ঝামেলারই মনে হচ্ছে। কেননা, সাধারণত অনেক অ্যাকুইস্টিক গিটারের শব্দ বিশেষ ক্ষেত্রে অনেকটা রুক্ষ আর ভারী শোনায়; আবার ইলেকট্রিক গিটারের ক্ষেত্রে সাথে করে আপনাকে একটা এম্প বহন করতে হবে। তাই, আজকের এই লেখাটি ভ্রমণপিপাসু গিটারবাদকের জন্য সবচাইতে জরুরি এবং সহজে বহনযোগ্য গিটারের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি বা কিটসমূহের বর্ণনা নিয়েই।

ভ্রমণোপযোগী গিটার

গত ৫০ থেকে ১০০ বছরের মধ্যে বিশেষ করে অ্যাকুইস্টিক গিটারের মডেলগুলো প্রায় একই রকমেরই আছে। তবে নিত্যনতুন মডেলের গিটার দেখা যায় ইলেকট্রিক গিটারের ক্ষেত্রে। এছাড়াও, বর্তমানে গিটারের বিকল্প হিসেবে উকুলেলের প্রচলনও বেড়েছে। এছাড়াও, বিশ্বের সব নামীদামী গিটার কোম্পানিগুলোও ভ্রমণের কথা চিন্তা করে নিত্যনতুন এবং সহজেই বহনযোগ্য গিটার নির্মান করছে। এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন আকার, আকৃতি এবং বিভিন্ন ডিজাইনের গিটার আছে। ইলেকট্রিক গিটারের ক্ষেত্রেও আনা হয়েছে নানা বৈচিত্র্য।

মার্টিন স্টিল স্ট্রিংস ব্যাকপ্যাকার ট্রাভেল গিটার; Image Source: Amazon.com

সহজে বহনযোগ্য এবং আকারেও ছোট এমন গিটারের কথা বলতে গেলে সবার প্রথমেই বলতে হয় মার্টিন স্টিল স্ট্রিং ব্যাকপ্যাকার ট্রাভেল গিটার। এই গিটারটি দেখতে অনেকটাই আমাদের দেশীয় বাদ্যযন্ত্র দোতারের মতো। ১৫ ফ্রেটের এই গিটারটিও ছয়টি তারের সমন্বয়েই তৈরি। এছাড়াও, অ্যামিগো ব্র্যান্ডের এএমটি১০ মডেলের গিটারটির কথাও বলা যায়। এই গিটারটিও তুলনামূলকভাবেই ছোট আকৃতির এবং শুধুমাত্র ভ্রমণপিপাসু গিটারবাদকদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি করা হয়েছে। ওয়াশবার্নের আরও১০ রোভার স্টিল, ক্লসের কার্বন ফাইবার ট্রাভেল গিটার এবং করডোভা মিনি ট্রাভেল নাইলন স্ট্রিং গিটার; উল্লেখিত গিটারগুলো অ্যাকুইস্টিক গিটারের ক্ষেত্রে বেশ ভালো এবং জনপ্রিয়।

ইলেকট্রিক গিটারের ক্ষেত্রে বলতে গেলে বলতে হয় ফেন্ডারের একদম নতুন তৈরি করা অ্যাকুইস্টোসনিক টেলিকাস্টার ইলেকট্রিক গিটারের কথা। মেহগনি কাঠ দিয়ে তৈরি ২২ ফ্রেটের এই গিটারটি দেখতে অ্যাকুইস্টিকের মতো দেখালেও এটি আসলে ইলেকট্রিক গিটার। এর জনপ্রিয়তার কারণ হচ্ছে একইসাথে অ্যাকুইস্টিক এবং ইলেকট্রিক গিটার বাজানোর স্বাদ পাওয়া যায়। এছাড়াও রকস্মিথ, এস্কেপ মার্ক ৩, শ্রেডনেড ট্রাভেল গিটার এবং হফনারের সিটি সিরিজ সহজে বহনযোগ্য এবং আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতির ঝামেলা থেকে মুক্ত ইলেকট্রিক গিটারগুলো বেছে নিতে পারেন।

ফেন্ডার অ্যাকুইস্টোসনিক টেলিকাস্টার ইলেকট্রিক গিটার; Image Source: shoplightspeed.com

এই গিটারগুলো দেখতে অনেক ভারী মনে হলেও, যখন আপনি এটি ধরবেন ঠিক তখনই বুঝতে পারবেন যে এটা কতটা হালকা। আবার একই সাথে এটাও বুঝবেন যে গিটারটা আসলে এতটাও পাতলা নয় কিংবা বাজেও নয়। তাছাড়া এই গিটারগুলো শুধুমাত্র ভ্রমণপিপাসুদের কথা মাথায় রেখে বানানোর ফলে এগুলো থেকে উৎপন্ন সুরও খুব ভারীও না, আবার খুব পাতলাও নয়, বরং মাঝামাঝি অবস্থানে থেকেও পরিপূর্ণ। এই গিটারগুলোতে সাধারণত বিল্ট-ইন পিকআপ এবং সুর অনেকাংশে নির্ধারিতই করা থাকে। রিচার্জেবল ব্যাটারিও থাকে অনেকক্ষেত্রে।

অ্যাম্প

চলতি পথে অ্যাম্প সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে আছে পকেট/মিনি-অ্যাম্প। ভক্সের এপি২এসি এএম প্লাগ ২ খুব বেশি হলে ৩০০/৩৫০ গ্রাম ওজনের হবে, এবং আকারে হবে একটি বাবল গাম প্যাকেটের সমান; তাই আপনার সুটকেসে জায়গা না হলেও অন্তত আপনার পকেটে অনায়াসেই এই অ্যাম্পের জায়গা হয়ে যাবে। দুটি এএএ বা ট্রিপল ব্যাটারি দিয়ে এই অ্যাম্পে টানা সতেরো ঘন্টার মতো চার্জ থাকে- এবং অ্যাম্পটি সরাসরি আপনার গিটারেই প্লাগ করা যাবে, কেননা এটি তৈরি করা হয়েছেই এমনভাবে; আলাদাভাবে ক্যাবল ব্যবহার করার দরকার পড়বে না।

ভক্সের এএম প্লাগ ২ অ্যাম্প; Image Source: musicradar.com

অ্যাম্প থেকে সঠিক সুর পাওয়ার জন্যে এতে রয়েছে তিনটি ভলিউম কী- একটি গেইনের জন্য, একটি টোনের জন্য এবং আরেকটি ভলিউমের জন্য। আর এই মিনি-অ্যাম্প গিটারে লাগিয়ে নিয়ে আপনি চাইলেই বেজ, ব্লুজ, ক্লাসিক রক, লীড অথবা মেটাল রক অনায়াসেই বাজাতে পারবেন। এই অ্যাম্প থেকে একইসাথে সাউন্ডবক্স ছাড়া হেডফোনও ব্যবহার করতে পারবেন।

রিগ

ধরুন, ভ্রমণের শুরুতেই হঠাৎ করে একটি সুর মস্তিষ্কে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে, কিন্তু আপনি তো ভ্রমণরত অবস্থায় আছেন এবং আপনার সাথে গিটারের আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতিও নেই, তখন কী করবেন? হ্যাঁ, এই মুহুর্তে আপনার মাথায় ভক্সের অ্যাম্প প্লাগের কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু অ্যাম্প দিয়ে তো আর আপনি প্যাডেল, টোন, লেভেল অথবা গেইনের কাজ একসাথে করতে পারবেন না; এমনকি সুরটা রেকর্ডও তো করতে পারবেন না, তাই না?

আইরিগ ইউএ আপনাকে এই ধরনের সমস্যা থেকে মুক্তি দেবে। মজার বিষয় হচ্ছে, এর সাথে থাকা ইউএসবি ক্যাবল প্লাগ দিয়ে আপনি খুব সহজেই আপনার এন্ড্রয়েড ফোনে এর সমস্ত সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আপনার ল্যাপটপের মতো ভারী কিছু বহন করার দরকারও পড়বে না। এই রিগের এন্ড্রয়েড অ্যাপ্স বিনামূল্যে দেয়া হয়, যেটা দিয়ে আপনি অ্যাম্প, প্যাডেল এবং বিভিন্ন সুরের সুবিধা নিতে পারবেন। যেহেতু এটা আপনার এন্ড্রয়েড ফোন থেকেই চার্জ নিয়ে চলবে, তাই মিনি-অ্যাম্পের মতো এর ব্যাটারি কিংবা চার্জ নিয়ে দুঃশ্চিন্তা করার কিছু নেই।

আইরিগ ইউএ; Image Source: keymusic.com

আপনি যখন আপনার গিটারটাকে আইরিগের সাথে সংযুক্ত করবেন তখন এটা আপাতদৃষ্টিতে অডিও প্রসেসরের কাজ করবে। যদিও অডিওর বিশেষ বিশেষ কাজ এটা দ্বারা হয়তো করা সম্ভব নয় কিন্তু এতটুকু নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন যে, গিটার বাজানো এবং সেটা থেকে উৎপন্ন সুরের মধ্যে কোনো শূন্যস্থান থাকবে না। অর্থাৎ, রিগ কোনোভাবেই সুর আর বাজানোর মধ্যবর্তী স্থানে কোনো ফাঁকা তৈরি করবে না, বরং দুটোর সংমিশ্রণ করবে। তাই বলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোনটি কিন্তু একটি অডিও প্রসেসরের কাজ করবে না, বরং এটা এমন একটা জায়গা তৈরি করবে রিগটার জন্যে যেখান থেকে আপনি অতি সহজেই প্যাডেল এবং বিভিন্ন সুরের সুবিধা ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে উপভোগ করতে পারবেন।

আইরিগের আরেকটি সুবিধা হচ্ছে আপনি চাইলেই আপনার পছন্দের গান চালিয়ে সেটার সাথে সাথে তাল মিলিয়ে গিটারে সুর তুলতে পারবেন। এক্ষেত্রে আইরিগের অ্যাপ্সও কোনো সমস্যা করবে না।

হেডফোন/সাউন্ডবক্স

ভ্রমণের ক্ষেত্রে হেডফোনই সবচাইতে উপযুক্ত, কিন্তু বর্তমানে সহজে বহনযোগ্য এবং বৈদ্যুতিক ঝামেলাহীন বেশ কিছু সাউন্ডবক্স আছে। সেগুলোও অ্যাম্প বা রিগের সাথে ব্যবহার করা সম্ভব। হেডফোন এবং সাউন্ডবক্স দুটোই দরকারি। তাই আপনি চাইলে নিজের ফোনের হেডফোন কিংবা ভালো মানের হেডফোন ব্যবহার করতে পারেন। অথবা খুব ভালো মানের সাউন্ডবক্সের উপর ভরসা করতে পারেন।

Image Source: Amazon.com

পোর্টেবল টিউনার

আপনি যদি ভ্রমণোপযোগী গিটারগুলোর মধ্য থেকে সবচেয়ে সেরাটাই বেছে নেন, তবুও ঐ গিটারের সুর বা বাজনা আপনার পছন্দ না-ও হতে পারে; আর এর প্রধান কারণ হলো গিটার সঠিকভাবে টিউন করা না থাকা। যদিও বর্তমানে এন্ড্রয়েড বা আইএসও এর ফোনগুলোতে টিউনার অ্যাপ্স পাওয়া যায়, তবুও বেশিরভাগ মিউজিশিয়ানই পোর্টেবল বা মিনি টিউনার ব্যবহার করে থাকেন।

পোর্টেবল টিউনার; Image Source: thegearpage.com

এই ধরনের টিউনারগুলো গিটারের তারের কম্পনের মাত্রাকে শনাক্ত করে, যার ফলে অতিরিক্ত কোলাহলময় পরিবেশেও এসব টিউনার দিয়ে উপযুক্ত টিউন করা সম্ভব। এই টিউনারগুলোতে মোটামুটি বড় ডিসপ্লে থাকে, ফলে দেখা যায় কখন কোন টিউনের পরিবর্তন হচ্ছে এবং একইসাথে ডিসপ্লেটি অতি সহজেই উপর-নিচ এবং ডানে-বামে ঘোরানো যায়। গিটার ছাড়াও বেইজ, ভায়োলিন এবং উকুলেলে মোডও দেয়া থাকে এই টিউনারগুলোতে।

প্যাডেল কেস

বিশেষ করে একজন ইলেকট্রিক গিটারবাদকের জন্য প্যাডেল কেসের বিকল্প কিছু নেই। প্রসেসরের ভার, একগাদা ক্যাবলের ঝামেলা থেকে বাঁচার জন্যই মূলত গিটারবাদকেরা প্যাডেল কেস ব্যবহার করে থাকেন। ৯ ভোল্টের এই প্যাডেল কেসে পাঁচটি আলাদা প্যাডেল থাকে; যেগুলোতে আবার বিল্ট-ইন টোন দেয়া থাকে। খুব বেশি ওজনদার না, আবার খুব বেশি হালকা কিছুও না।

গ্যাটর গিটার প্যাডেল কেস; Image Source: Amazon.com

পিক হোল্ডার

পিক হারিয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। ছোট এই বস্তুটি পকেট কিংবা ব্যাগ থেকে পড়ে গেলেও টের পাওয়া যায় না। আর যখন তখন যেখানে সেখানে তো আর পিক পাওয়া যায় না, তাই ভ্রমণপিপাসু গিটারবাদকদের জন্য পিক হোল্ডার অপরিহার্য। দেখতে ছোটখাট এই ধরনের পিক হোল্ডারে ১২টি পর্যন্ত পিক রাখা যায়।

পিক হোল্ডার; Image Source: theguitarcenter.com

This article is in Bangla language. This is about the best lightweight setup for a traveling guitarist. 
Necessary references have been hyperlinked inside the article.

Feature Image: hearthemusicplay.com

Related Articles