আর্জেন্টিনার প্রাণোচ্ছ্বল এক শহর বুয়েন্স আয়ার্স। এর মতো জীবন্ত শহর পৃথিবীতে আর দ্বিতীয়টি নেই। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে এই একটি শহরেই ইউরোপীয় সংস্কৃতি এবং পরিবেশের ব্যাপক প্রভাব দেখা যায়। শুধু ইউরোপীয়ই নয়, শহরের যত্রতত্র আর্জেন্টিনার নিজস্ব সংস্কৃতিরও পরিচয় মেলে।
দিয়েগো মারাদোনা, লিওনেল মেসি আর বোকা জুনিয়র্সের জন্য ফুটবলের শহর বলে পরিচিত বুয়েন্স আয়ার্স দক্ষিণ আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ও আর্জেন্টিনার রাজধানী। শহরটি আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবেও পরিচিত। শহরের মানুষের উচ্ছ্বলতার মাঝে পর্যটকরা এতটাই মশগুল থাকেন যে এখানকার দর্শনীয় স্থানগুলো দেখার কথা অনেকেরই মনেই থাকে না।
প্রথমবার আসা পর্যটকদের অনেকেই অবাক হয়ে যান কীভাবে এই বড় শহরটি তার পুরনো ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে চলেছে। শহরের প্রতিটি অলিগলিতে যেমন ছড়িয়ে রয়েছে তার নিজস্ব এক স্বকীয়তা, তেমনি রয়েছে উনিশ শতকের চোখ ঝলসানো আকর্ষণীয় উঁচু ভবন। ঐতিহ্য আর আধুনিকতার মিশেলে সাজানো এই শহরে ঘোরার আর দেখার আছে অনেক কিছু। থিম পার্ক থেকে পৃথিবী বিখ্যাত স্টেডিয়াম, রাতের আলোয় উজ্জ্বল রাষ্ট্রপতি ভবনসহ আরো কত কী!
উপভোগ করার মতোই এ শহরের রাতের রঙিন জীবন এবং বর্ণিল ট্যাঙ্গো নাচ। বুয়েন্স আয়ার্সের জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে পালেরমো, রিকোলেটা, বেলগ্রানোর মতো অঞ্চলগুলোর প্রশস্ত ম্যানশন, বিলাসবহুল বিল্ডিং আর বড় বড় পার্কগুলোতে সাজানো, পরিচ্ছন্ন বৃক্ষরাজির সমাহার। এছাড়াও সান টেলমো আর লা বোকার রঙিন শৈল্পিক উজ্জ্বলতা কিংবা প্লাজা ডি মায়োর প্রাচীন ঐতিহ্যের হাতছানি যেকোনো পর্যটককে মুগ্ধ না করে পারে না।
লা বোকা
বুয়েন্স আয়ার্সের পুরনো বন্দরের ঠিক পাশেই রঙ-বেরঙে সেজে থাকা বাড়ির অঞ্চল লা বোকা। রিও দে লা প্লাতা নদীর ধারে পুরনো শহরতলিতে অবস্থিত লা বোকার চমৎকার রঙিন বাড়িগুলো যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা কোনো ক্যানভাস। উনবিংশ শতকে ইউরোপ, বিশেষত ইতালি থেকে বহু মানুষ এ শহরে বসবাস করতে শুরু করেন।
এখনও ইউরোপীয়ানদেরই সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। ইতালীয়দের সৌজন্যে এখানের দোকানগুলোতে চমৎকার সব ইতালীয় খাবার পাওয়া যায়। বর্ণিল বাড়িঘর আর নাইট ক্লাবের উত্তেজনা উপভোগ করতে অনেকেই এই শহরে ভিড় করেন।
প্লাজা দ্য মায়ো
বুয়েন্স আয়ার্সের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হলো প্লাজা দ্য মায়ো। এ অঞ্চলটির আর্জেন্টিনার রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। চারদিকে গাছের সারি। রয়েছে ফোয়ারা। চত্বরের একধারে রয়েছে বসার জায়গা। আর একদিকে রয়েছে বিস্তৃত খোলা প্রান্তর। একে ‘জিরো গ্রাউন্ড’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়। ১৮১০ সালে সংগঠিত বিপ্লব থেকে শুরু করে ১৯৭০ সালের স্বৈরশাসন বিরোধী আন্দোলনের মতো দেশটির ঐতিহাসিক সব আন্দোলনের সাক্ষী এই স্থান।
১৮১০ সালের মে মাসে আর্জেন্টিনায় যে বিপ্লব সংঘটিত হয়েছিল তার সূচনা এখান থেকেই হয়েছিল। যাবতীয় দাবি-দাওয়া, বিপ্লবের মিছিল এ স্থানে এসে জড়ো হয়। ১৮১৮ সালে স্পেনের কাছ থেকে স্বাধীনতা পায় আর্জেন্টিনা। তখন এ স্থানের আরো একটি নাম দেয়া হয় ‘মে স্কোয়ার’। প্লাজা দ্য মায়োর আশেপাশে বেশ কয়েকটি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। দেশের রাষ্ট্রপতির সরকারি আবাস ও প্রশাসনিক দপ্তর এ অঞ্চলেই অবস্থিত। ঔপনিবেশিক যুগে নির্মিত সিটি কাউন্সিল বিল্ডিং প্লাজা দ্য মায়োর একেবারে কেন্দ্রেই অবস্থিত। স্বাধীনতা প্রাপ্তির স্মরণে স্থানটিতে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ, যার নাম ‘পিরামিডো দ্য মাজে’।
কাসা রোসাডা
প্লাজা দ্য মায়োর সেরা আকর্ষণ প্রেসিডেন্টের আবাস ও প্রশাসনিক দপ্তর- কাসা রোসাডা, বুয়েন্স আয়ার্সের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন ও ঐতিহ্যবাহী এক প্রাসাদ। বর্তমান প্রেসিডেন্ট এই প্রাসাদে এখন অবস্থান না করলেও তার দপ্তরের যাবতীয় কাজকর্ম এখান থেকেই পরিচালিত হয়।
আগের সব রাষ্ট্রপতি অবশ্য এখানেই থাকতেন। প্রাসাদের এক ব্যালকনি থেকেই ১৯৮২ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ফকল্যান্ড যুদ্ধের ঘোষণা করা হয়েছিল। রাতের বেলা আলোয় ভেসে যায় এই ঐতিহাসিক ভবনটি। এই প্রাসাদের পেছনে রয়েছে প্রেসিডেনশিয়াল মিউজিয়াম। জাদুঘরে দেশের সকল রাষ্ট্রপতির আবক্ষ মূর্তি এবং দেশটির নানা ইতিহাসের কথা লেখা রয়েছে।
রেকোলেটা
স্থানটি শহর থেকে কিছুটা দূরে অবস্থিত। স্থানটি ঐতিহাসিক স্থাপত্যকলার এক চমৎকার নিদর্শন। স্থানটিতে ৬৪০০ এর উপর ভাস্কর্য রয়েছে, যার অধিকাংশই ইতালি থেকে আনা হয়েছিল। এর মধ্যে ৯০টি ভাস্কর্যকে জাতীয় ঐতিহাসিক নিদর্শন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। রিকোলেটা সমাধিস্থল হিসেবেও বিখ্যাত। এ অঞ্চলটিকে অনেকে তাই ‘সিটি অফ ডেথ’ বা মৃতদের শহরও বলে থাকেন।
১৮২২ সালে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। তবে এটি কোনো সাধারণ সমাধিস্থল নয়। আর্জেন্টিনার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট থেকে শুরু করে দেশটির সেনানায়ক, বিখ্যাত রাজনৈতিক নেতা ও সমাজের নামকরা ব্যক্তিরা এই স্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত রয়েছেন। একের পর এক সুন্দরভাবে সাজানো চমৎকার মার্বেল পাথরের সমাধি এবং দৃষ্টিনন্দন ভাস্কর্যের কারণে কোনো ট্যুরিস্টই এই জায়গায় না এসে পারেন না।
পালেরমো
বিদেশ থেকে আগত ভ্রমণার্থীদের থাকার জন্য এক আদর্শ স্থান। এখান থেকেই বুয়েন্স আয়ার্সের যেকোনো স্থানে যাওয়া যায়। এজন্য সব ধরনের যানবাহনের ব্যবস্থাও রয়েছে। থাকার জন্য সজ্জিত অ্যাপার্টমেন্টে থেকে শুরু করে বিলাসবহুল রিসোর্ট কিংবা বিভিন্ন মানের হোটেল পাওয়া যাবে। এই স্থানের আশেপাশে ছড়িয়ে রয়েছে প্রচুর নাইট ক্লাব ও রেস্তোরাঁ। খাবারের স্বাদ পেতে কিংবা হৈ-হুল্লোড় পছন্দ করেন এমন পর্যটকদের কাছে পালেরমো এক সেরা ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন।
মিউজিয়াম অফ লাতিন আমেরিকান আর্ট অফ বুয়েন্স আয়ার্স
বুয়েন্স আয়ার্স শহরের সাংস্কৃতিক সব নিদর্শন দেখতে চাইলে একবার ঢুঁ মেরে আসতে হবে এখানকার জনপ্রিয় মিউজিয়াম অফ লাতিন আমেরিকান আর্ট অফ বুয়েন্স আয়ার্স, যাকে সংক্ষেপে বলা হয় মালবা। ২০০১ সালে জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর নির্মাণশৈলী চোখে পড়ার মতো। বসার বেঞ্চ থেকে সমস্ত দ্রষ্টব্য জিনিসের মধ্যেই রয়েছে বৈচিত্র।
জাদুঘরে আসা দর্শনার্থীরা শুধু আর্জেন্টিনার বিভিন্ন যুগের প্রখ্যাত শিল্পীদের কাজই দর্শন করেন না, তার সাথে উপরি পাওনা হিসেবে ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, উরুগুয়ে প্রভৃতি দেশের শিল্পীদেরও শিল্পকলাও উপভোগ করতে পারেন। অতীত ও বর্তমান শিল্পীদের নান্দনিক সব শিল্পকর্ম দর্শকদের সামনে উপস্থাপন করাই এ জাদুঘরের প্রধান উদ্দেশ্য। একবার এই মিউজিয়ামটি ঘুরে না গেলে বুয়েন্স আয়ার্স দেখা অসম্পূর্ণ থেকে যাবে।
বোটানিক্যাল গার্ডেন
উনিশ শতকের গোড়ার দিকে ফরাসি শিল্পী কার্লোস থাইস বুয়েন্স আয়ার্সে আসেন। তখন তার বয়স ৪০ বছর। তার ঐকান্তিক চেষ্টায় এই শহরের চেহরার পরিবর্তন ঘটতে থাকে। মূলত তার তত্ত্বাবধানে শহরে বেশ কয়েকটি দৃষ্টিনন্দন পার্ক তৈরি হয় এবং পুরনোগুলোর সংস্কার কাজ শুরু হয়। তবে বোটানিক্যাল গার্ডেনটি ছিল তার পরম লালিত একটি প্রকল্প।
এই নান্দনিক উদ্যানটি পালেরমোতে অবস্থিত। শহরের কোলাহল থেকে কিছুক্ষণের ছুটি নিতে আর প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় কাটানোর জন্য এর চেয়ে আদর্শ জায়গা আর হতে পারে না। ১৭০ বছরের পুরনো জাতীয় স্মৃতিসৌধ, ৫০০ এর উপর বিভিন্ন প্রজাতির উদ্ভিদ, অপূর্ব ফুলের সমারোহ আর দৃষ্টিনন্দন সব ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো এই সুন্দর বোটানিক্যাল গার্ডেনটি।
রিলিজিয়াস থিম পার্ক তিয়েরা সান্তা
বুয়েনস আয়ার্সের আরও একটি আকর্ষণীয় স্থান বিশ্বের প্রথম রিলিজিয়াস থিম পার্ক তিয়েরা সান্তা। বিশ্বের আর কোথাও এমন ধর্মীয় পার্ক নেই। শহরের উপকন্ঠে এই পার্কটি গড়ে উঠেছে। নানা ভাস্কর্যের মাধ্যমে যিশু খ্রিস্টের জীবনকাহিনী এবং বাইবেলের নানা কাহিনী তুলে ধরা হয়েছে ।
ভাস্কর্যগুলো দেখলে মনে হবে একেবারে জীবন্ত। পার্কের পরিবেশটিকে নিউ টেস্টামেন্টের যুগের মতো করে সাজানো হয়েছে। এখানকার কর্মচারীরাও সে যুগের পোশাক পরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এমনকি পার্কের রেস্তোরাঁতে যে খাবার পাওয়া যায়, তাতেও পুরনো দিনের ছোঁয়া পাওয়া যায়। পুরো পার্ক যেন সারাক্ষণ আনন্দ ও শান্তির এক বাতাবরণ মেলে ধরে আছে। সারাদিন এ পার্কে বসেই কাটিয়ে দেয়া যায়।
কংগ্রেস প্যালেস
কংগ্রেস প্যালেস বুয়েন্স আয়ার্সের আরও একটি দৃষ্টিনন্দন প্রাসাদ। ১৯০০ সালের দিকে এটি নির্মিত হয়। এই প্যালেসটি বুয়েন্স আয়ার্সের এক ব্যস্ততম অঞ্চলে অবস্থিত। তবে বেশ নিরিবিলি ও শান্ত। নান্দনিক ধূসর পাথরে বিল্ডিং, চমৎকার মোজাইকে মোড়া প্রাসাদটিকে স্থানীয়ারা কংগ্রেসো বলেও পরিচয় দিয়ে থাকেন। কংগ্রেস প্যালেসের চারপাশে বেশ কয়েকটি স্মৃতিবিজড়িত ঐতিহাসিক মনুমেন্ট ও ভাস্কর্য রয়েছে। তাকে ঘিরে গড়ে উঠেছে একটি পার্কও।
স্থানটি আর্জেন্টাইনদের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তম রাজনৈতিক ভেন্যু। বহু ঐতিহাসিক প্রতিবাদের শুরু ও শেষ হয়েছে এখানেই। কারণ স্থানটি প্লাজা দ্য মায়োর খুব কাছেই অবস্থিত। আর্জেন্টাইনরা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। কোনো অন্যায়, অবিচার কিংবা রাজনৈতিক ভ্রষ্টাচারের বিরুদ্ধে দলবদ্ধ প্রতিবাদ করতে ভালবাসে। প্রতিবাদের জন্য তারা প্লাজা দ্য মায়োর মতোই এ স্থানটিতে প্রায়শ জড়ো হয়। পর্যটকরা সময় পেলেই এখানে একবার ঢুঁ মেরে যান। এখানকার আশেপাশের এলাকাগুলোতে প্রতিদিন বসে বিকিকিনির হাট। মধ্যবিত্তদের কেনাকাটার জন্য এটি এক আদর্শ স্থান।
রিভার প্লেট ও বোকা জুনিয়র্স স্টেডিয়াম
মারাদোনা-মেসির দেশ আর্জেন্টিনা ফুটবলপ্রেমীদের দেশ হিসেবেই পরিচিত। শহরের যত্রতত্র ফুটবল নিয়ে আলোচনা চলে। ফুটবল যেন এখানকার মানুষেদের রক্তের সাথে মিশে আছে। ফুটবলপ্রেমের সগৌরব প্রকাশ- রিভার প্লেট ও বোকা জুনিয়র্স স্টেডিয়াম। এখানকার মানুষদের আবেগের সাথে জড়িয়ে আছে এই দুটি ক্লাব ও স্টেডিয়াম।
শহর থেকে ৯ কি.মি. দূরে রিও লা প্লাতা নদীর ধারে অবস্থিত রিভার প্লেট স্টেডিয়ামে প্রায় ৮০ হাজারের মতো আসন আছে। লা বোকা অঞ্চলে অবস্থিত বোকা জুনিয়র্স স্টেডিয়ামের আসন সংখ্যা ৫০ হাজারের কাছাকাছি। শহর থেকে এই দুটি স্টেডিয়ামে যাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে। ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এই দুটি স্টেডিয়াম তীর্থস্থানস্বরূপ।
ফ্লোরিডা স্ট্রিট
বুয়েন্স আয়ার্সের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান দেখার পর পর্যটকরা শপিং বা কেনাকাটার জন্য বিখ্যাত ফ্লোরিডা স্ট্রিট থেকে একবার হলেও ঘুরে আসেন। এই অঞ্চলে কোনো গাড়ি চলাচল করে না।
রাস্তার দু'পাশে রয়েছে অসংখ্য দোকান আর শপিংমল। দাম খুব বেশি নয়। আত্মীয়-পরিজনদের উপহার দেওয়ার জন্য স্থানীয়ভাবে তেরি অসংখ্য উপহার সামগ্রী এখানে পাওয়া যাবে।
ট্যাঙ্গো নাচ
আর্জেন্টিনার সংস্কৃতির সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে আছে ট্যাঙ্গো নাচ। আর্জেন্টাইনদের কাছে এ নাচ একান্তই তাদের নিজস্ব। সেই নাচ না দেখলে দেশটির সংস্কৃতির একটা অংশ অধরাই থেকে যাবে। বড় বড় ক্লাব বা রেস্তোরাঁয় যেমন এই নাচ উপভোগ করা যায় তেমনই বুয়েন্স আয়ার্সের রাস্তাতে হঠাৎই দেখতে পাওয়া যায় ট্যাঙ্গো শিল্পীদের নাচ।
গিটার আর ব্যান্ডোনিয়ন ছন্দের তালে তাল মিলিয়ে চলে এই নাচ। আর্জেন্টিনার মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে যেন মিশে আছে এই ট্যাঙ্গো নাচ, এটা তাদের ছবি নয়, লাইফস্টাইল।
এ শহর যেন সারাক্ষণ জেগে আছে। মেতে আছে আনন্দ, উল্লাসে। এখানকার মানুষদের যেন কিছুতেই ক্লান্তি নেই। এই শহর রাতে রাতে ঘুমোয় না, যৌবনের উচ্ছ্বাসে রাত যেন দিনের আলোর মতো উজ্জ্বল। এমন মায়াময় শহরের আবেগে যেকোনো পর্যটকেই মোহিত হয়ে যাবেন তা বলাই বাহুল্য।
This article is a Bengali article. This story is about tourist Attractions in Buenos Aires, South America's second largest city. Buenos Aires is the political, economic, and cultural capital of Argentina. More than 400 years old, the city is famous for its outstanding cultural life and its European-influenced architecture. All the sources are hyperlinked inside the article.
Featured Image: lonelyplanet.com