১৭৮০’র দশকে রাজা ফুত্তায়োতফা চুলালোক, তথা প্রথম রমা থাইল্যান্ডের বিখ্যাত চাকরি রাজবংশের শাসন শুরু করেন, যা চলছে আজ অবধি। সিংহাসনে আরোহণ করেই তিনি অনুভব করেন যে, রাজবংশের রাজকীয় গাম্ভীর্য ধরে রাখতে একটি নতুন রাজপ্রাসাদের প্রয়োজন। ১৭৮২ সালের অক্টোবর মাসে তার নির্দেশে থাইল্যান্ডের ব্যাংককে শুরু হয় গ্র্যান্ড প্যালেসের নির্মাণকাজ। ১৮০০ সাল নাগাদ রাজা প্রথম রমা এর নির্মাণকাজ সমাপ্ত ঘোষণা করে এতে বসবাস শুরু করেন। তবে এরপরেও বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রাজারা এ প্রাসাদের অগণিত সংস্কার কাজ করেছেন, নতুন নতুন অবকাঠামো যোগ করেছেন, ভেঙেছেন পুরাতন কিছু। সব মিলিয়ে আজকের গ্র্যান্ড প্যালেস এই রূপে আসতে শত বছরের বেশি সময় লেগেছে।
চাও ফ্রায়া নদীর অদূরে অবস্থিত থাইল্যান্ডের সুবিখ্যাত চায়নাটাউন। এ শহর সৃষ্টির পেছনে রয়েছে গ্র্যান্ড প্যালেসের অবদান। যখন গ্র্যান্ড প্যালেস নির্মাণের পরিকল্পনা করলেন রাজা প্রথম রমা, তখন এই প্রাসাদটি যেখানে অবস্থিত, সেখানে বসবাস ছিল চীনা মানুষের একটি সম্প্রদায়। কিন্তু নদীর ধারে এ স্থানটিকে প্রাসাদের জন্য সর্বোত্তম বলে মনে হলো রাজার। আর তাই তিনি সেই চীনা সম্প্রদায়টিকে অনেকটা বলপ্রয়োগে সেই স্থান থেকে উচ্ছেদ করলেন। পুরো সম্প্রদায়টি শহরের অদূরে যে স্থানে নতুন করে বাস করতে শুরু করলো, সেটি আজকের চায়নাটাউন।
যা-ই হোক, থাইল্যান্ডের পর্যটন ব্যবস্থা বেশ উন্নত। আর এই পর্যটন ব্যবস্থার কেন্দ্রে রয়েছে গ্র্যান্ড প্যালেস। এটি কেবল একটি-দুটি ভবনের বড় একটি প্রাসাদ নয়, বরং ভিন্ন ভিন্ন কাজে ব্যবহারের জন্য একাধিক রাজকীয় স্থাপনা একে করেছে অনন্য। থাইল্যান্ডে ভ্রমণে আগ্রহীদের তাই এই আলিশান প্রাসাদ সম্পর্কে জানা জরুরি।
টেম্পল অব দ্য এমারল্ড বুদ্ধ
‘ওয়াট ফ্রা কেও’ বা ‘টেম্পল অব দ্য এমারল্ড বুদ্ধ’, এককথায় থাইল্যান্ডের গ্র্যান্ড প্যালেসের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। এর প্রবেশপথেই দেখা মেলে ভয় পাইয়ে দেয়ার মতো দুটি দৈত্যাকার মূর্তি। অতন্দ্র প্রহরীর মতো দাঁড়িয়ে থাকা মূর্তিদ্বয় এই মন্দিরের আধ্যাত্মিক প্রকৃতি আর ঐতিহ্যবাহী স্থাপত্যশিল্প থেকে সম্পূর্ণই ভিন্ন প্রকৃতির। কারণ, এ মূর্তিগুলো থাইল্যান্ডেরই নয়। মধ্যযুগে চীনা বণিকরা বাণিজ্য করতে এসে রাজাকে উপহারস্বরূপ প্রদান করেছিল এই মূর্তি দুটি। এই দ্বাররক্ষীদ্বয়কে পেছনে ফেলে সামনে পা বাড়ালে চোখে পড়বে চোখ ধাঁধানো কিছু ম্যুরাল আর সাদা মার্বেলে খোদাই করা রাজা পঞ্চম রমার বিভিন্ন উক্তি। কারণ এ অংশটি নির্মিত হয় তার আমলেই।
মন্দিরের ভেতরে অবস্থান করছে এর সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ, তথা বুদ্ধ মূর্তি। এক মিটারেরও কম উচ্চতাসম্পন্ন ছোট এবং চোখধাঁধানো এ মূর্তিটি বসে আছে মিটারখানেক উঁচু বেদীর উপর। আর মূর্তিটির উপরে আছে বাহারি রঙের নয় স্তর বিশিষ্ট শামিয়ানা। এই মূর্তিটি কে তৈরি করেছিল, কোথায় তৈরি করেছিল, সে সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা যায়নি। শ্রুতিকথা অনুযায়ী, মূর্তিটি তৈরি হয়েছিল প্রাচীন ভারতের পাটালিপুত্রে। আবার কিছু উৎসের দাবি, নজরকাড়া এ মূর্তি তৈরি হয়েছে বার্মায় (বর্তমান মিয়ানমার)। তবে যেখানেই এই মূর্তির জন্ম হোক না কেন, থাইল্যান্ড পর্যন্ত আসার কাহিনী বেশ মজার।
চুন আর সুরকির পলেস্তারায় আবৃত কিছু একটা বস্তু সিলন (বর্তমান শ্রীলংকা) থেকে থাইল্যান্ড হয়ে কম্বোডিয়া যাচ্ছিল। আরো বেশ কিছু প্রত্নতত্ত্বের সাথে এই বস্তুটি থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চলে পৌঁছে ১৪৩৪ সালে। সেখানে কোনো একদিন দুর্ঘটনাবশত ভেঙে যায় বস্তুটি। উপরের আবরণ খসে যেতেই ভেতর থেকে উঁকি দেয় ঝকঝকে এক বুদ্ধমূর্তি! ব্যস, সেটি আর থাইল্যান্ডের বাইরে যেতে দিলেন না রাজা। তবে বুদ্ধ মূর্তিটির ব্যাংকক আগমন ঘটে ১৭৭৮ সালে। তারপর থেকে মূর্তিটি পুরো ব্যাংকক শহরের প্রধানতম আকর্ষণ। বছরে তিনবার থাইল্যান্ডের রাজা নিজ হাতে এর পোশাক পরিবর্তন করে দেন।
ফ্রা মণ্ডপ
বুদ্ধ মন্দিরের পেছনের স্থাপনাটিই ফ্রা মণ্ডপ। যেকোনো বাড়িঘর বা স্থাপনা মোজাইক করা হলে তার সৌন্দর্য বেড়ে যায় বহুগুণে। কিন্তু ফ্রা মণ্ডপের সৌন্দর্য, অনায়াসে অন্য সব মোজাইকের সৌন্দর্যকে ছাড়িয়ে যায়। কারণ এটি মোজাইক করা হয়েছে ছোট ছোট কাঁচের টুকরো দিয়ে! এর প্রবেশপথের সামনেও দাঁড়িয়ে আছে দুটি অতিকায় প্রহরী মূর্তি, যারা ভারি সাজসজ্জায় সজ্জিত। এখানেই সংরক্ষিত আছে বৌদ্ধধর্মের পবিত্র গ্রন্থ ত্রিপিটক। চমৎকার কাঁচের সেলফে রাখা হয়েছে ত্রিপিটকের অনেক পুরাতন কপি। আর পুরো ঘরটির মেঝে তৈরি হয়েছে কয়েক ইঞ্চি পুরু রূপায়!
ফ্রা ভিহার্ন ইয়ট
ত্রয়োদশ শতকে থাইল্যান্ডের রাজা ছিলেন রাম খামহায়েং। তিনি সিংহাসন হিসেবে ব্যবহার করতেন একটি খাঁজকাটা পাথর। সেই পাথরটি যে স্থানে সংরক্ষিত, তার নাম ফ্রা ভিহার্ন ইয়ট। গ্র্যান্ড প্যালেসে সংরক্ষিত সকল প্রত্নতত্ত্ব ও দ্রব্যসামগ্রীর মধ্যে সবচেয়ে পুরাতন এবং মূল্যবান এই পাথরটিই। রাজা চতুর্থ রমা, যিনি রাজা মোংকাট নামে পরিচিত, তার প্রাথমিক জীবনে সন্ন্যাসী হিসেবে ঘুরে বেড়িয়েছেন বেশ কয়েক বছর। তিনিই এই সিংহাসন আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রাসাত ফ্রা দেবিদোর্ন
‘প্রাসাত ফ্রা দেবিদোর্ন’কে অনেক সময় প্যানথিয়নও বলা হয়। দেবতাদের মন্দির হিসেবে ব্যবহৃত এ মন্দির বর্তমানে চাকরি রাজবংশের রাজাদের মূর্তির বাসস্থান। চাকরি রাজবংশের প্রথম আটজন রাজার প্রমাণ আকারের মূর্তি সংরক্ষিত আছে এই মন্দিরে। ২০১৬ সালে মৃত্যুবরণ করা নবম চাকরি রাজা ভূমিবলের মূর্তি নির্মাণের কাজও চলছে। তবে এই মন্দিরটি বছরে কেবল একটি দিনই সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ‘চাকরি দিবস’ হিসেবে পরিচিত ৬ এপ্রিল দিনটিতেই চাকরি রাজবংশ রাজ্যক্ষমতায় আরোহণ করেছিল।
আংকোর ওয়াট
পৃথিবীর বৃহত্তম ধর্মীয় স্মৃতিস্তম্ভ ও স্থাপনার অবস্থান কোথায়, জানা আছে তো? কম্বোডিয়ার আংকোর ওয়াট ধর্মীয় প্রত্নতত্ত্ব আর স্থাপনার জন্য সবদিক থেকেই শ্রেষ্ঠ। আর এই আংকোর ওয়াটেরই এক টুকরো কেটে এনে যেন বসানো হয়েছে থাইল্যান্ডের গ্র্যান্ড প্যালেসে। রাজা চতুর্থ রমার আমলেই এর নির্মাণকাজ শুরু হয়। সে সময় কম্বোডিয়া ছিল থাইল্যান্ডেরই একটি সামন্ত প্রদেশ। কম্বোডিয়ার সেই চমৎকার ধর্মীয় স্থাপনা দেখে রাজা ভাবলেন, নিজের প্রাসাদেও তেমন কিছু করবেন। অবশ্য নির্মাণশৈলী আর ঐতিহ্যের দিক থেকে গ্র্যান্ড প্যালেসের আংকোর ওয়াট, প্রকৃত আংকোর ওয়াটের ধারেকাছেও নেই।
বরমাবিমান হল
উদারতা, মালিকানা, ত্যাগ, ক্ষমা, বিনয়, সচেতনা, ক্রোধহীন মস্তিষ্ক, সন্দেহ মুক্ত থাকা, ধৈর্য এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেবার দক্ষতা; বরমাবিমান হলে প্রবেশ করলে সর্বপ্রথম চোখে পড়বে পাথরের ফলকে খোদাই করা এই দশটি গুণ, যেগুলো ‘রাজধর্ম’ বলেই পরিচিত। রাজার বাৎসরিক ‘গার্ডেন পার্টি’র বাগানের পাশেই এই ভবনের অবস্থান। মূলত গ্র্যান্ড প্যালেস দেখাশোনার যাবতীয় কাজ এখান থেকেই সম্পন্ন হয়। যেকোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের থাইল্যান্ডে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে যখন রাজার সাথে সাক্ষাৎ করতে যান, তখন বরমাবিমান হলে অনুষ্ঠিত হয় তাদের বৈঠক।
দ্য গ্রেট চাকরি প্যালেস
‘দ্য গ্রেট চাকরি প্যালেস’ হচ্ছে থাইল্যান্ডের রাজার সরকারি বাসভবন। যদিও রাজা ভূমিবল এই প্রাসাদে নামেমাত্র বাস করেছেন। তিনি তার নিজস্ব ‘চিত্রালাদা রেসিডেন্স’ এ বসবাস করেছেন। বর্তমান রাজা, ভূমিবলের পুত্র মাহা ভিজরালংকর্নও এখানেই বাস করেন। তথাপি চাকরি প্যালেসের আকর্ষণ কমেনি এতটুকুও। প্রাথমিকভাবে একজন ব্রিটিশ স্থপতি ইতালিয়ান রেনেসাঁর নির্মাণশৈলী অবলম্বনে এর নকশা প্রণয়ন করেছিলেন। তবে রাজা পঞ্চম রমার আদেশে ঐতিহ্যবাহী ‘সিয়ামিজ’ তথা থাইল্যান্ডের নিজস্ব নির্মাণশৈলীর মিশ্রণ ঘটানো হয়। বিশেষ করে এর ছাদ নির্মাণ করা হয় সম্পূর্ণ থাই ঘরনার, সাথে রাখা হয় মণ্ডপ। গ্র্যান্ড প্যালেসের যেকোনো স্থাপনার চেয়ে চাকরি প্যালেস আধুনিকতায় এগিয়ে থাকবে, এগিয়ে থাকবে এর জাঁকালো নির্মাণশৈলীর জন্যও। আর এর ভেতরকার সাজসজ্জা অত্যন্ত বিলাসবহুলও বটে।
অমরিন্দ্রা ভিনিচাই
এ ভবনটিতে একসময় রাজার সিংহাসন ছিল। বর্তমানে এখানে যেকোনো রাজকীয় আদেশ এবং ঘোষণা পাঠ করা হয়। এর বাইরে এ ভবনের ব্যবহার উৎসবমুখী। যেকোনো রাজকীয় উৎসবে, বিশেষ করে আগের রাজাদের স্মৃতিচারণ এবং রাষ্ট্রীয় ও বিদেশী সরকারপ্রধানদের নিয়ে ভোজন সম্পন্ন হয় এখানে।
দুসিত মাহা প্রাসাত
এ ভবনটি রাজা প্রথম রমা থেকে শুরু করে রাজা ৪র্থ রমা পর্যন্ত অতিথিদের অভ্যর্থনা এবং আপ্যায়নের জন্য ব্যবহার করতেন। আপ্যায়নের বিশাল হলরুমটি বর্তমানে দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকে, যেখানে দেখতে পাওয়া যায় রাজা প্রথম রমার সিংহাসনটি। তাছাড়া এখানে রয়েছে চাকরি বংশের অন্যান্য রাজাদের ম্যুরাল।
এমফর্ন ফিমক প্রাসাত
এটি সম্ভবত গ্র্যান্ড প্যালেসের সবচেয়ে কম ব্যবহৃত স্থান। এখানে একদা রাজারা দর্শনার্থীদের সামনে যাবার পূর্বে পোশাক পরিধান করতেন, নিজেদের সাজিয়ে নিতেন।
যেখানে থাকবেন
থাইল্যান্ডে ভ্রমণে গেলে দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দই ব্যাংকক। আর ব্যাংকক ঘুরে দেখতে হলে সেখানে একাধিক রাত্রিযাপন করা আবশ্যক। সেক্ষেত্রে, কেবল গ্র্যান্ড প্যালেসের সৌন্দর্য উপভোগ করতে হলেই আপনাকে পুরো একটি দিন হাতে নিয়ে বের হতে হবে। তাই ব্যাংককে, বিশেষ করে গ্র্যান্ড প্যালেসের আশেপাশে দর্শনার্থীদের জন্য গড়ে উঠেছে বেশকিছু উন্নতমানের হোটেল। বাজেট সমস্যা না থাকলে ফাইভস্টার হোটে ‘দ্য সিয়াম’ এর নাম চলে আসে সবার আগে। আর অল্প খরচে থাকতে চাইলে ‘রিভা সুরিয়া’ এবং ‘ভিলা ফ্রা’ মন্দ নয়।
যেভাবে যাবেন, যা পরবেন
‘উইজেডটসচারি গেট’ বা ‘দ্য গেট অব গ্রেট ভিক্টরি’ হচ্ছে গ্র্যান্ড প্যালেসে প্রবেশের প্রধান ফটক। এই ফটকের প্রবেশপথে বিদেশি পর্যটকদের পাসপোর্ট/ভিসা চেক করা হয়। এখান থেকেই টিকিট ক্রয় করে হেঁটে হেঁটে প্রাসাদের ভেতর দিকে যেতে হয়। টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য বাংলাদেশি টাকায় ১,২৫০ টাকার মতো। প্রথমেই চোখে পড়বে সরকারি অফিস আর প্রশাসনিক ভবনসমূহ। এগুলো পার হলেই তবে গ্র্যান্ড প্যালেসের রাজকীয় দালানগুলো নজরে আসবে। আরেকটা ব্যাপার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তা হলো পোশাক। গ্র্যান্ড প্যালেসের ভেতরে যথাসম্ভব পরিমিত শালীন (শালীন শব্দটির অর্থ যদিও আপেক্ষিক, তথাপি রাজদরবারের ড্রেস কোডে এ শব্দটি লেখা আছে) পোশাক পরে যেতে হবে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে কাঁধ থেকে হাঁটু পর্যন্ত যথাযথভাবে ঢাকা থাকতে হবে। পুরুষদের শার্ট-প্যান্টে সমস্যা নেই, তবে হাফপ্যান্ট নিষিদ্ধ। যদি কোনো দর্শনার্থীর পোশাক গার্ডদের নিকট অপর্যাপ্ত মনে হয়, তাহলে তাদেরকে ‘সারং’ নামক একধরনের ঢিলেঢালা গাউন পরতে দেয়া হয়, যা পুরো শরীর ঢেকে রাখবে!
২ লক্ষ ১৮ হাজার বর্গ মিটার আয়তনের বিশাল জায়গার স্থাপিত নয়নাভিরাম গ্র্যান্ড প্যালেস। এই আড়ম্বরপূর্ণ রাজপ্রাসাদকে সুরক্ষা দিচ্ছে একে ঘিরে থাকা ১.৯ কিলোমিটার দীর্ঘ দেয়াল। আর পুরো কম্পাউন্ডের বিভিন্ন কোনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ১৭টি দুর্গ, যেগুলো গ্র্যান্ড প্যালেসের নিরাপত্তা প্রদানে নিয়োজিত থাকে। ২০০ বছরের অধিক কালের ইতিহাস, ঐতিহ্য আর রাজকীয় সব ঘটনাবলীর সাক্ষী এই প্রাসাদ তাই পুরো থাইল্যান্ডের মাঝে সবচেয়ে নিরাপদ স্থান। যেকোনো দেশের পর্যটকরা যখন থাইল্যান্ডে যায়, গ্র্যান্ড প্যালেস এজন্যও তাদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
This article is written in Bangla language. It's about the official residence of Thailand's monarch, the Grand Palace. To know more about the topic, check the hyperlinks inside the article.
Featured Image: vounajanela.com