Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website. The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে বেড়াতে গেলে

মসজিদ শব্দটি মুসলিম সম্প্রদায়ের কাছে খুবই পরিচিত। মুসলমানদের কাছে এটি পবিত্র প্রার্থনার ঘর। বাংলাদেশে রয়েছে চমকপ্রদ স্থাপত্যশৈলীতে নির্মিত বেশ কিছু মসজিদ, রয়েছে সেসবের জানা-অজানা অনেক ইতিহাস। প্রার্থনার পাশাপাশি আকর্ষণীয় স্থাপত্যশৈলী ও ইতিহাসকে ঘিরে মসজিদগুলো হয়ে উঠছে নতুন নতুন ভ্রমণ স্থান। আজকে তেমনই একটি মসজিদ নিয়ে আলোচনা করবো যার অবস্থান পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে। বলছি বিশ্বের দশম বৃহত্তম ও বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের কথা। রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানের কিছুটা নিকটবর্তী পল্টনে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পাশেই মসজিদটির অবস্থান।

মূল ভবনের বাইরের একখণ্ড দৃশ্যপট এবং বাম দিকের বিশাল প্রাচীরের ওপাশে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম; Image Credit: Author

মসজিদের ইতিহাস থেকে জানা যায়, পাকিস্তানি সামরিক শাসনামলে ১৯৫৯ সালে তৎকালীন পাকিস্তানের বাওয়ানি পরিবার ঢাকার অভ্যন্তরে অনেক মুসল্লির ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি মসজিদ নির্মাণের পরিকল্পনা নেন। তখন বাওয়ানি জুট মিলস গ্রুপের স্বত্বাধিকারী হাজী আবদুল লতিফ বাওয়ানি পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক শাসক মেজর জেনারেল ওমরাও খানের সাথে বিষয়টি আলাপ-আলোচনা করেন। এবং ওমরাও খান সরকারি অর্থায়নের সহযোগিতার ভরসা দেন। সেই বছরের ২৭ এপ্রিল তৎকালীন বিশিষ্ট শিল্পপতি জি এ মাদানী, হাজী আবদুল লতিফ বাওয়ানি, ইয়াহিয়া আহমদ বাওয়ানি, মেজর জেনারেল ওমরাও খানসহ প্রমুখ ব্যক্তিদের নিয়ে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করে এবং ‘বায়তুল মোকাররম মসজিদ সোসাইটি’ গঠনের মাধ্যমে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।

১৯৬০ সালের ২৭ জানুয়ারি পুরান ও নতুন ঢাকার মিলনস্থল পল্টনে ৮.৩০ একর আয়তনের একটি পুকুর ভরাট করে সেখানে পাকিস্তানের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফিল্ড মার্শাল মোহাম্মদ আইয়ুব খান কর্তৃক মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় নির্মাণ কাজ। দীর্ঘ আট বছর চলমান থেকে ১৯৬৮ সালে নির্মাণকাজ শেষ হয়। ১৯৬৩ সালে মসজিদের প্রথম পর্বের নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর একই বছরের ২৫ জানুয়ারি রোজ শুক্রবার জুম’আর প্রথম জামাত এবং ২৬ জানুয়ারি রোজ শনিবার প্রথম তারাবিহ’র সালাত আদায় করা হয়।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের মূল ভবনের প্রধান নামাজ কক্ষের দৃশ্য; Image Credit: Author

দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদের নকশার কাজে নিযুক্ত ছিলেন প্রকৌশলী আব্দুল হোসেন থারিয়ানি। নকশায় শুধু মসজিদকেই রাখা হয়েছিল এমনটা নয়, সাথে ছিল অফিস, লাইব্রেরি, ছোট-বড় দোকান এবং গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও। এছাড়া মসজিদ নির্মাণকাজের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন প্রকৌশলী মঈনুল হোসেন। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দিকে প্রবেশ করার বারান্দার উপর দুইটি ছোট গম্বুজ থাকার কারণে মূল ভবনের উপর গম্বুজ না থাকার বিষয়টি দর্শনার্থীদের খুব কমই দৃষ্টিগোচর হয়ে থাকে। মক্কার কাবা শরীফের ধাঁচে নির্মাণকৃত মসজিদের অংশবিশেষ মুসল্লিসহ দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ মর্যাদাসম্পন্ন একটি  স্থান হয়ে উঠেছে।                               

মুখ্য ভবনের সম্মুখে লেখক; ছবি: মো: আতিক হাসান শুভ

২৬৯৪.১৯ বর্গ মিটার আয়তনের এই মসজিদটি সর্বমোট আট তলা। মসজিদের নিচতলায় রয়েছে গুদাম ঘর, কাপড় ও বই-পুস্তকের ছোট বড় নানান দোকানপাট। দোতলা থেকে শুরু হয়ে ছয়তলা পর্যন্ত সালাত আদায় করার সুযোগ রয়েছে তবে খতিব বা ইমাম নামাজ পড়িয়ে থাকেন দোতলা থেকে। পুরুষদের পাশাপাশি নারীদের জন্যেও সালাত আদায় করার ব্যবস্থা রয়েছে এই মসজিদে। তিন তলার উত্তর পাশে ৬ হাজার ৩৮২ বর্গ ফুট আয়তনের নামাজকক্ষ রয়েছে যেখানে একসঙ্গে এক হাজার পাঁচশত নারী নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদে পুরুষদের জন্য প্রথম দুইটি তলা এবং মহিলাদের জন্য তিন তলায় রয়েছে ওজুখানা ও ইস্তেঞ্জা করার স্থান।

মূল ভবনের অভ্যন্তরে নামাজরত মুসল্লিদের দৃশ্যপট; Image Courtesy: Wikipedia

৯৯ ফুট উচ্চতার এই মসজিদে প্রবেশ করার জন্য উত্তর, দক্ষিণ ও পূর্ব দিকে উঁচু কয়েকটি প্রবেশপথ রয়েছে। ২০০৮ সালে সৌদি সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় মসজিদটিকে বর্ধন করা হয়। নির্মাণের পর মসজিদের ধারণক্ষমতা ত্রিশ হাজার হলেও ২০০৮ সালে বর্ধনের পর ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে দাড়ায় চল্লিশ হাজারে। ঢাকার মধ্যে সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বিশাল এই মসজিদটির সবচেয়ে বড় গম্বুজের উচ্চতা ৩০.১৮ মিটার। মূল ভবনের প্রধান নামাজ কক্ষের মিহরাবটি আয়তাকার। মসজিদের দক্ষিণ পাশে একটি  মিনার থাকলেও পরিকল্পনা অনুযায়ী বর্তমানে নতুন করে দুইটি মিনার যুক্ত হয়েছে। তবে মসজিদ বর্ধনে যুক্ত করা হয়নি নতুন কোনো গম্বুজ। সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবারের জুমার সালাত এবং মুসলিমদের বাৎসরিক দুটি পবিত্র উৎসব ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার সালাতে মুসল্লিদের সংখ্যা হয় অগণিত। নামাজ কক্ষ ছাড়াও মসজিদ কমিটি ৩৯,৮৯৯ বর্গ ফুট  আয়তনের মাত্রাধিক্য জায়গা বরাদ্দ রেখেছে, যাতে জায়গার সংকটে দাড়িয়ে থাকা মুসল্লিরা সেখানে নামাজ আদায় করতে পারে।

বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক মসজিদটি নিয়ন্ত্রণাধীন। তবে ১৯৭৫ সালের ২৮ মার্চ থেকে মসজিদের সম্পূর্ণ পরিচর্যার দায়িত্বভার গ্রহণ করে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ। মসজিদটির একটি বিশেষ দিক হলো ‘ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ’ এর অর্থায়নে এখানে প্রতিবছর রমজান মাসের প্রথম রোজা থেকেই আয়োজন করা হয় ইফতারের। নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত সকল শ্রেণির মানুষজন এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে থাকেন। তাছাড়াও ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে প্রতি বছর একটা নির্দিষ্ট সময়ে ইসলামিক বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বায়তুল মোকাররম মসজিদের সম্মুখে আয়োজিত ইসলামিক বই মেলা, সাথে বই পড়ছেন লেখক; ছবি: মো: আতিক হাসান শুভ

প্রত্যক্ষভাবে বায়তুল মোকাররম মসজিদের খেদমতে মোট আটাশ জন জিম্মাদারিগণ (খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও খাদেমগণ) নিয়োজিত রয়েছেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে মসজিদের প্রথম খতিবের দায়িত্বে ছিলেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন মাওলানা আবদুর রহমান কাশগরি (রহ.) এবং বর্তমান খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন প্রফেসর মাওলানা মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন (অবসরপ্রাপ্ত)। হাফেজ মাওলানা মুফতি মিজানুর রহমান সিনিয়র ইমাম এবং হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিবুল্লাহিল বাকী নাদভি, হাফেজ মাওলানা মুফতি এহসানুল হক ও হাফেজ মাওলানা মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমী ইমামের দায়িত্ব পালন করছেন। মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে আছেন ক্বারী মাওলানা কাজী মাসুদুর রহমান, ক্বারী মাওলানা হাবিবুর রহমান মেশকাত ও ক্বারী মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক। রয়েছেন মোট ২০ জন খাদেম। এছাড়াও মসজিদের খুঁটিনাটি দেখাশোনার কাজে মাইক অপারেটর ১ জন এবং ৫ জন গার্ড নিয়োজিত রয়েছেন।

এই মসজিদের ইতিহাস নিয়ে দেশের অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিরা বিভিন্ন বইও লিখেছেন। মসজিদটিকে দর্শনের পাশাপাশি সময়ের সাথে সুযোগ মিলে গেলে দেশি-বিদেশি বহু দর্শনার্থীরা প্রার্থনাও করে যান। দেশের বৃহত্তম এই মসজিদের উন্নতি, বর্ধন ও শোভাবর্ধনের কাজ এখনও চলমান।

মসজিদের অভ্যন্তরে বসে বই পড়ছে একজন পাঠক; Image Courtesy: Wikipedia

কীভাবে যাবেন

বায়তুল মোকাররম মসজিদে যেকোনোভাবে, যেকোনো পথ দিয়ে আসা যায়। এটি পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকার মিলনস্থলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে আসার জন্য একাধিক পথ রয়েছে। তবে নিম্নে তিনটি পথ নিয়ে আলোচনা করছি।

প্রথমত, বাংলাদেশের যেকোনো জায়গা থেকে সর্বপ্রথম সড়কপথে কিংবা রেলপথে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন আসতে হবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে যেতে পারবেন বায়তুল মোকাররম মসজিদে। সময় লাগবে ২৫ থেকে ৩০ মিনিট। অথবা রিক্সায় চড়েও যেতে পারবেন, এক্ষেত্রে গুনতে হবে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

দ্বিতীয়ত, ঢাকার শাহবাগ এলাকায় আসতে হবে। সেখান থেকে বাসে ১০ থেকে ২০ টাকার বিনিময়ে চলে যান গুলিস্তানের গোলাপ শাহ মাজার। মাজার থেকে ১০ থেকে ১৫ মিনিটের পথ পায়ে হেঁটে কিংবা কিছু অর্থের বিনিময়ে রিক্সায় চড়ে চলে যান দেশের বৃহত্তম সেই মসজিদে।

তৃতীয়ত, বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে ঢাকার গুলিস্তান, মতিঝিল কিংবা পল্টন এলাকায় আসতে হবে। সেখান থেকে পায়ে হেঁটে কিংবা রিক্সায় চড়ে যেতে পারবেন জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে, রিক্সায় গুনতে হবে সর্বনিম্ন ১৫ থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা।

নিকটস্থ জনপ্রিয় খাবার

খাবারের জন্য ঢাকার বেশ সুনাম রয়েছে। ঢাকার খাবারের তালিকা সম্পর্কে বলতে গেলে লাইনটা বেশ বড় হয়ে যাবে। তাই নিকটস্থ খাবারের তালিকার মধ্যে রয়েছে নয়াপল্টনে অবস্থিত হোটেল ভিক্টরি যেখানে ৭০ পদের খাবারের বুফে রয়েছে, পুরানা পল্টনে অবস্থিত খানা বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ ও ভাই ভাই রেস্টুরেন্টের কাচ্চি, চকবাজারে অবস্থিত আলাউদ্দিনের ভাজি পুরি, শাহ সাহেবের বিরিয়ানি, আরমানিটোলা এলাকায় অবস্থিত জুম্মন মামার চটপটি, লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন, নয়াবাজারে অবস্থিত করিমের বিরিয়ানি, পুরান ঢাকায় অবস্থিত মদিনা হোটেলের লুচি-ডাল। পুরান ও নতুন ঢাকার সবখানে হাজী বিরিয়ানির বেশ নাম রয়েছে। এছাড়াও গুলিস্তান, চকবাজার ও পুরান ঢাকার ভ্রাম্যমাণ খাবারের দোকানগুলোতে মজাদার বিভিন্ন খাবার রয়েছে।

নিকটস্থ দর্শনীয় স্থান

ঢাকার প্রতিটা জায়গাতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে দর্শনীয় স্থান, ঐতিহাসিক ও প্রত্নতত্ত্ব নিদর্শন। বায়তুল মোকাররম থেকে পায়ে হেঁটে কিংবা কিছু অর্থের বিনিময়ে রিক্সায় বা বাসে চড়ে গুলিস্তানের জিপিও এর ভেতরে ডাক অধিদপ্তরের তৃতীয় তলায় অবস্থিত ডাক জাদুঘর, পুরান ঢাকার গোপীবাগ এলাকায় অবস্থিত রোজ গার্ডেন, পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় অবস্থিত দৃষ্টিনন্দন তারা মসজিদ, শাহবাগ এলাকায় অবস্থিত জাতীয় জাদুঘর, চারুকলা ইনস্টিটিউট, শিশু পার্ক, রমনা পার্ক, জাতীয় শহীদ মিনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল, সেগুন বাগিচায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, গুলিস্তানের নগর ভবন ও সচিবালয় সংলগ্ন ওসমানী উদ্যানে অবস্থিত বিবি মরিয়ম কামান, নগর ভবনের ছয় তলায় অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী নগর জাদুঘর, সদরঘাট এলাকার ইসলামপুরে অবস্থিত প্রাচীন ঐতিহাসিক নিদর্শন আহসান মঞ্জিল এবং পুরান ঢাকার লালবাগ এলাকায় অবস্থিত মুঘল আমলের একমাত্র ঐতিহাসিক নিদর্শন লালবাগ কেল্লা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। এছাড়াও বায়তুল মোকাররম মসজিদের খুব নিকটে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম ও মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়াম থেকেও এক ঝলক উঁকি দিয়ে আসতে পারেন।

সতর্কতা

মসজিদ মুসলমানদের পবিত্র ঘর। সুতরাং যেকোনো মসজিদেই নিম্নোক্ত সতর্কতাগুলো মেনে চলা উচিত।

  • মার্জিত ও পরিচ্ছন্ন জামা-কাপড় পরিহিত অবস্থায় প্রবেশ করুন। 
  • উচ্চস্বরে কথাবার্তা, গান-বাজনা থেকে দূরে থাকুন।
  • অশালীন মন্তব্য থেকে বিরত থাকুন এবং মসজিদে শালীনতা বজায় রাখুন।
  • মসজিদের নামাজ কক্ষে অযথা ঘোরাঘুরি থেকে বিরত থাকুন।

Related Articles