আর্মেনীয়–আজারবাইজানি সংঘাত: নতুন একটি যুদ্ধের সূচনা? ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ০০:০৫ মিনিটে আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যে নতুন করে সামরিক সংঘাত আরম্ভ হয়েছে।
যুদ্ধের প্রাক্কালে রাশিয়ার জনগণের উদ্দেশ্যে জেলেনস্কির ভাষণ আমাদের যুদ্ধের দরকার নেই। স্নায়ু যুদ্ধ বা তপ্ত যুদ্ধ কোনোটারই না।
কেন ভ্লাদিমির পুতিন ইতোমধ্যেই যুদ্ধে হেরে গেছেন? ভ্লাদিমির পুতিন একটা ঐতিহাসিক পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন…
পুতিন ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারেন কিন্তু তিনি আমার দেশ কেড়ে নিতে পারেন না বিষ্যুদবার ভোরে কিয়েভে একটা বিকট শব্দ শুনে আমার ঘুম ভাঙল…
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (শেষ পর্ব) রোমানভ, বলশেভিক আর স্ট্যালিনপন্থীদের মতো নভোরাশিয়ার প্রবক্তারাও মনে করে ইউক্রেনের স্বাধীনতা ছিল একটা ভুল সিদ্ধান্ত। তারা ইউক্রেনের জনগণ বা সংস্কৃতিকে আলাদা করে দেখে না। এমনকি ইউক্রেনের অস্তিত্বই স্বীকার করে না। তারা শুধু রাশিয়াতেই বিশ্বাস করে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ৭) রাশিয়াকে দেওয়ার মতো খুব বেশি কিছু নেই দোনবাসের। এই অঞ্চলের কয়লা বা শিল্পের কোনো প্রয়োজন নেই রাশিয়ার। সম্ভবত ক্রেমলিন দোনবাসের সরকারি খাতের বাজেট কিংবা এখানকার মানুষজনের অবসর ভাতার বোঝা টানতে চায় না। ক্রিমিয়ার মতো এই অঞ্চল আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে কোনো কৌশলগত গুরুত্বও বহন করে না রাশিয়ার জন্য। এখানে কোনো সমুদ্রসৈকতও নেই। এটা ইউক্রেনকে ভয় প্রদর্শন করার একটা ক্ষেত্র ছাড়া কিছুই না।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ৬) চেকপয়েন্টের ইউক্রেন অংশে মানুষজনের ভিড় দেখা গেল, যারা এলপিআরে প্রবেশের অপেক্ষা করছে। তবে বেশিরভাগ লোকই ছিল এলপিআর থেকে ইউক্রেনে আসার পথে। তারা আসছিল পরিবারের খোঁজ নিতে, তাদের সম্পত্তির খোঁজ নিতে, কেউবা আসছিল কেনাকাটা করতে। ইউক্রেন অংশে পণ্যের দাম কম, মানেও তুলনামূলক ভালো।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ৫) আমরা জানতাম না কারা বিচ্ছিন্নতাবাদী। আমরা সবাইই এক ছিলাম। তারপর একদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি মানুষজন রাস্তায় নেমে এসেছে। এদেরকে বলা হলো বিচ্ছিন্নতাবাদী। আর আমাদের যে কোন দলে ফেলা হলো ঈশ্বরই জানেন ভালো। এখন তারা(বিচ্ছিন্নতাবাদীরা) হয়ে গেল আমাদের শত্রু। আর্মি এসে বলে, ‘তোমরা এখানের সবাইই বিচ্ছিন্নতাবাদী’।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ৪) রাশিয়া যখন গত বছর সীমান্তের কাছে সেনা পাঠায়, তখন তাদের উদ্দেশ্য ছিল অস্পষ্ট। এটা কি আমেরিকার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেওয়া বাইডেনকে দেওয়া কোনো সতর্ক বার্তা ছিল? নাকি ইউক্রেনকে বার্তা দেওয়া রাশিয়া যেকোনো সময় ইউক্রেন দখল করে নিতে পারে? কিছু সেনা সরিয়ে নিলেও ডিপিআর ও এলপিআর বাহিনী পুরো গ্রীষ্ম জুড়েই আক্রমণ চালিয়ে যেতে থাকে। তাদের উদ্দেশ্যও দুদিক দিয়েই অস্পষ্ট ছিল। সেনারাও মারা যাচ্ছিল, বেসামরিক নাগরিকরাও আক্রমণের শিকার হচ্ছিল।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ৩) ক্রিমিয়া দখলের ব্যাপারে পুতিনের কোনো রাখঢাক নেই। তবে তিনি যুদ্ধের শুরুতে পূর্ব ইউক্রেনে রুশ গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের উপস্থিতি স্বীকার করলেও দোনবাসের ক্ষেত্রে রাশিয়ার আনুষ্ঠানিক সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে অস্বীকার করেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলে থাকেন, রুশ স্বেচ্ছাসেবকরা সীমানা অতিক্রম করে আদিবাসীদের বিদ্রোহে সহায়তা করতে গিয়েছে। একইসাথে তারা “রুশ সংস্কৃতি”-ও রক্ষা করছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ২) দোনবাসের যুদ্ধ আরেকটি দিক দিয়েও হাইব্রিড যুদ্ধ। এটা একই সাথে বহিঃশত্রুর আক্রমণ আবার বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনও। এখানে আক্রমণাত্বক শত্রুর অনুপ্রবেশের পাশাপাশি গৃহযুদ্ধও বিরাজ করছে। ডিপিআর ও এলপিআরের বিদ্রোহ এতদিন ধরে স্থায়ী হওয়ার কারণ হচ্ছে এটা ইউক্রেনীয় সমাজ ব্যবস্থার দুর্বলতা উন্মোচন করে দিয়েছে। এটা আঞ্চলিক যুদ্ধ হলেও এর সম্মুখ সমর পুনরুজ্জীবিত করে তুলেছে রাশিয়া ও পশ্চিমা বিশ্বের দ্বন্দ্বকে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সঙ্কট (পর্ব | ১) প্রায় ১৩,০০০ ইউক্রেনীয় সেনা ও বেসামরিক জনগণের প্রাণ গিয়েছে এ যুদ্ধে। কিন্তু বর্তমানে যুদ্ধ একটা অচলাবস্থার মধ্যে আছে। কয়েক বছর ধরে ফ্রন্টের অবস্থানের তেমন পরিবর্তন হয়নি। ইউক্রেন কোনো নমনীয়তা দেখাচ্ছিল না। একইসাথে হারানো ভূখণ্ডগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপও নেয়নি। একইসাথে অপরপক্ষও নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করেনি।