Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

কেন আত্মহত্যা করছে মার্কিন সৈন্যরা?

যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীগুলো ২০১৮ সালটা শেষ করেছে খুবই উদ্বেগজনক একটি পরিসংখ্যান সাথে নিয়ে; অন্তত ছয় বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দায়িত্বে কর্মরত সদস্য আত্মহত্যা করেছে গত বছর।

একমাত্র মার্কিন আর্মি ২০১৮ সালের শেষ তিনমাসে তাদের কতজন সদস্য আত্মহত্যা করেছে সে তথ্য প্রকাশ করেনি। এছাড়া যে তথ্য পাওয়া গেছে তা থেকে দেখা যাচ্ছে, সর্বমোট ২৮৬ জন দায়িত্বে কর্মরত সদস্য নিজ হাতে তাদের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে, এর মধ্যে ৫৭ জন মেরিন সদস্য, ৬৮ জন নেভির সদস্য, ৫৮ জন এয়ার ফোর্সের এয়ারম্যান, এবং ১ অক্টোবর পর্যন্ত ১০৩ জন সেনাসদস্য।

২০১৭ সালেও সমানসংখ্যক সামরিক বাহিনীর দায়িত্বে কর্মরত সদস্য আত্মহত্যা করেছিল। কিন্তু যেহেতু মার্কিন আর্মি শেষ তিনমাসের তথ্য প্রকাশ করছে না, তাই অনেকেরই ধারণা, এই তিনমাসে হয়তো অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। সেক্ষেত্রে পুরো ১২ মাসজুড়ে, সব সামরিক বাহিনী মিলিয়ে মোট আত্মহত্যার সংখ্যা ২০১২ সালের রেকর্ড ৩২১টি আত্মহত্যাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার প্রবণতা উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে; Image Source: Flickr/ The US Army

দায়িত্বে কর্মরত সদস্যদের এমন আত্মহত্যার প্রবণতা পেন্টাগন ও মার্কিন সামরিক বাহিনীগুলোর সামনে একটা বিশাল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা বিভিন্ন প্রকল্প ও কার্যক্রম শুরু করেছে সদস্যদের জীবন বাঁচানো, তাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তাদের সমস্যার কার্যকরী সমাধান খুঁজে বের করার লক্ষ্যে কাজ করছে।

মেরিন

মেরিন কর্পসের কমান্ড্যান্ট জেনারেল রবার্ট নেলার মেরিনের তার ২০১৯ সালের নির্দেশাবলীতে মেরিন সদস্যদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন যেন তারা “একটি সাময়িক সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান” খুঁজে বের করার সর্বগ্রাসী প্রভাবগুলো চিন্তা করে দেখে। তিনি লিখেছেন,

আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ববোধ করি যে আমরা নিজেদেরকে মানসিকভাবে শক্ত, কষ্টসহিষ্ণু, প্রাণোচ্ছ্বল ও মিশন-ফোকাসড মেরিন হিসেবে গড়ে তুলেছি। তবে আমরা এজন্যও গর্ববোধ করি যে, আমরা আমাদের নিজেদের যত্ন নিতে পারি। যেকোনো সমস্যায় সাহায্যের প্রয়োজন পড়লে তাতে অসম্মানের কিছু নেই, কিন্তু হাল ছেড়ে দেয়ায় অবশ্যই কোনো সম্মান নেই। মেরিনরা কখনোই পরস্পরের উপর হাল ছেড়ে দেয় না!

কিন্তু এমন মনোভাব সত্ত্বেও, ২০১৮ সালে ৫৭ জন কর্মরত মেরিন সদস্য আত্মহত্যা করেছে, যা ২০১৭ সালের চেয়ে পুরো ২৫% বেশি। একইসাথে এই সংখ্যাটি ২০০১ সাল থেকে এখন সর্বোচ্চ। উল্লেখ্য, ২০০১ সালেই প্রথম মেরিন কর্পস তাদের সদস্যদের আত্মহত্যার সংখ্যা রেকর্ড করা শুরু করে।

এছাড়া মেরিন কর্পস ২০১৮ সালে তাদের ১৮ জন সংরক্ষিত সদস্যকেও হারিয়েছে, যা ২০১৬ সালের (১৯ জন) পর সর্বোচ্চ। তারা ২০১২ সাল থেকে সংরক্ষিত সদস্যদের আত্মহত্যার সংখ্যা রেকর্ড করা শুরু করেছে।

নেভির নাবিকদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে; Image Source: U.S. Navy

নেভি

২০১৮ সালে মার্কিন নেভির ৬৮ জন কর্মরত নাবিক আত্মহত্যা করেছে, যেখানে ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করেছিল ৬৫ জন। হঠাৎ করেই নেভির সদস্যদের মধ্যেও আত্মহত্যার প্রবণতা বেড়ে গেছে। পাঁচ বছর আগেও বছরে মাত্র ৪১ জন নাবিক আত্মহত্যা করেছিল। সে সময় প্রতি ১০ হাজারে ১২.৭ জন আত্মহত্যা করতো। এখন প্রতি ১০ হাজারে ২০ জন আত্মহত্যা করছে। উল্লেখ্য, নেভিই হলো যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র সামরিক বাহিনী, যারা সরাসরি অনলাইনে আত্মহত্যার হারসহ সকল তথ্য প্রকাশ করে।

এয়ার ফোর্স

মার্কিন এয়ার ফোর্সের কর্মকর্তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০১৮ সালে ৫৮ জন দায়িত্বে কর্মরত এয়ারম্যান আত্মহত্যা করেছে, এবং আরো তিনজন সংরক্ষিত সদস্য নিজ হাতে তাদের জীবন কেড়ে নিয়েছে। তবে এয়ার ফোর্সের সদস্যদের আত্মহত্যার প্রবণতা বিগত বছরগুলোর তুলনায় কিছুটা কমেছেই বলা যায়। ২০১৫ ও ২০১৭ সালে আত্মহত্যা করেছিল ৬৩ জন করে, আর ২০১৬ সালে ৬১ জন। তারপরও সদস্যদের আত্মহত্যাকে একটি বড় সমস্যা বলছেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাইকেল মার্টিন।

আমরা আত্মহত্যা হ্রাসের এই হার নিয়ে সন্তুষ্ট নই। এয়ার ফোর্স একটি ব্যাপক, নেতৃত্ব-পরিচালিত কৌশল নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেটির চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো এয়ারম্যান ও তাদের পরিবারকে প্রয়োজনের মুহূর্তে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সাহায্য করা। আমরা আত্মহত্যার কারণে আর একজন এয়ারম্যানকেও হারাতে চাই না।

আর্মি

এদিকে মার্কিন আর্মি তাদের সদস্যদের শেষ তিন মাসের আত্মহত্যার সংখ্যা প্রকাশে অসম্মতি জানিয়েছে, এবং বিস্তারিত তথ্যের জন্য ডিফেন্স সুইসাইড প্রিভেনশন অফিসের দ্বারস্থ হতে বলেছে। কিন্তু তারাও পুরো বছরের মোট সংখ্যা জানায়নি।

বিবেকের দংশনে জর্জরিত মার্কিন সৈন্যরা; Image Source: U.S. Air Force illustration/Kathryn R.C. Reaves

DoDSER এর প্রতিবেদন

প্রতি বছর সামরিক বাহিনীগুলোর কতজন সদস্য আত্মহত্যা করল, সে হিসাবের একটি সার্বিক চিত্র প্রকাশের দায়িত্বে রয়েছে ডি-ও-ডি সুইসাইড ইভেন্ট রিপোর্ট বা DoDSER। তারা সর্বশেষ ২০১৬ সালে তাদের বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল, যেখান থেকে জানা গিয়েছিল, মার্কিন সামরিক বাহিনীগুলোতে দায়িত্বে কর্মরত সদস্যদের মধ্যে গড়ে প্রতি ১০ হাজার জনের মধ্যে ২১.১ জন আত্মহত্যা করে।

সে বছর প্রতিটি বাহিনীভেদে আত্মহত্যার হার

  • এয়ার ফোর্সে প্রতি ১০ হাজারে ১৯.৪; মোট ৬১টি আত্মহত্যা
  • আর্মিতে প্রতি ১০ হাজারে ২৬.৭; মোট ১২৭টি আত্মহত্যা
  • নেভিতে প্রতি ১০ হাজারে ১৫.৩; মোট ৫০টি আত্মহত্যা
  • মেরিন কর্পসে প্রতি ১০ হাজারে ২১; মোট ৩৭টি আত্মহত্যা

ওয়ার ভেটেরানদের আত্মহত্যার ঝোঁক

এতক্ষণ তো বলছিলাম কেবল সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে দায়িত্বে কর্মরতদের মধ্যে আত্মহত্যার চিত্র। ইতিপূর্বে যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, কিন্তু বর্তমানে অবসর জীবনযাপন করছে, এমন ওয়ার ভেটেরানদের মধ্যে আত্মহত্যার ঝোঁক বহুগুণে বেশি। ২০০৮ সাল থেকে প্রতিবছর ৬,০০০-এর বেশি ভেটেরান আত্মহত্যা করছে। ২০০৫ সালের তুলনায় ২০১৫ সালে ভেটেরানদের আত্মহত্যার হার বেড়েছিল ২৫.৯%। এরপর ২০১৫ ও ২০১৬ সালে এ হার কিছুটা কমলেও এখন আবার তা বাড়ছে।

যুদ্ধের ময়দানের নৃশংসতা দীর্ঘস্থায়ী ছাপ ফেলে যায় সৈন্যদের মনে; Image Source: Military Times

সর্বশেষ প্রকাশিত ইরাক ও আফগানিস্তান যুদ্ধে অংশ নেয়া ওয়ার ভেটেরানদের এক জরিপের ফলাফল থেকে জানা যাচ্ছে, ২০১৮ সালে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তখন ৪৩%-ই বলেছিল যে সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়ার পর থেকেই তাদের মাথায় আত্মহত্যার চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে। অথচ ২০১৪ সালে একই জরিপে মাত্র ৩১% ওয়ার ভেটেরান এমন কথা বলেছিল। সব মিলিয়ে ৭৭% ওয়ার ভেটেরানই মনে করে, সামরিক বাহিনীগুলো এ সমস্যা দূরীকরণে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

কেন আত্মহত্যা বাড়ছে?

এখন আমাদের প্রশ্ন হলো, সামরিক বাহিনীতে বর্তমানে কর্মরত কিংবা অতীতে কাজ করেছে, এমন দুই শ্রেণীর মধ্যেই আত্মহত্যার প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে কেন? এ প্রশ্নের জবাবে যুদ্ধ-সম্পর্কিত সম্ভাব্য চারটি ধারণা উঠে এসেছে।

  • যুদ্ধে হার: সরাসরি হয়তো যুক্তরাষ্ট্র সাম্প্রতিক যুদ্ধগুলোতে হারছে না, কিন্তু সৈন্যদের মনে যে লক্ষ্যের কথা ঢুকিয়ে দিয়ে তাদেরকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পাঠানো হয়েছিল, যুদ্ধের ময়দানে গিয়ে সেসব লক্ষ্যের বেশিরভাগই তারা পূরণ করতে পারেনি। সেক্ষেত্রে মানসিকভাবে তারা যুদ্ধে হেরেই গেছে। ফলে যুদ্ধ শেষে দেশে ফিরে আসার পরও তাদের মনে একপ্রকার হতাশা ও শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে, বিবেকের দংশন তাদেরকে কুরে কুরে খাচ্ছে, যা তাদেরকে আত্মহত্যার মতো চরম সিদ্ধান্ত গ্রহণে উদ্বুদ্ধ করছে।
  • মৃত্যুকে স্বাভাবিক মনে হওয়া: যারা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, তারা নিজ চোখের সামনে এত বেশি মৃত্যু দেখেছে যে, মৃত্যুকে তাদের কাছে আর অস্বাভাবিক কিছু বলে মনে হয় না। বরং তাদের মনে এমন ধারণা জন্মে গিয়েছে যে, মৃত্যুই পারে যেকোনো সমস্যার চিরস্থায়ী সমাধান বয়ে আনতে। আর যেহেতু সামরিক বাহিনীতে কাজ করার সুবাদে তাদের মনোবল গড়পড়তা মার্কিন নাগরিকদের তুলনায় অনেক বেশি দৃঢ়, তাই আত্মহত্যার সিদ্ধান্তের বাস্তব প্রয়োগ ঘটাতে তাদের খুব বেশি বেগ পেতে হয় না।
  • মস্তিষ্কে চোট: চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, একজন মানুষের মস্তিষ্কের পক্ষে সর্বোচ্চ একটি বা দুটি নিকটবর্তী বিস্ফোরণের চাপ সহ্য করা সম্ভব। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যে যারা যুদ্ধ করতে গিয়েছিল, তারা প্রায় সকলেই এর অনেক বেশি নিকটবর্তী বিস্ফোরণের সাক্ষী হয়েছে, যা তাদের মস্তিষ্ককে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। বারবার বিস্ফোরণের চাপ সহ্য করায় তাদের মস্তিষ্ক হয়তো স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে, যে কারণে তারা ভালো-মন্দ চিন্তা না করে আত্মহত্যা করে ফেলছে।
  • যুদ্ধভীতি: একবার যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে, যুদ্ধের ভয়াবহতা তাদের মনে তীব্র ছাপ ফেলে গেছে। তাই তারা যদি ভবিষ্যতে আরো বেশি যুদ্ধের সম্ভাবনায় আতঙ্কিত হয়, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যেহেতু অনেক গণমাধ্যমে বারবার উত্তর কোরিয়ার সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য যুদ্ধের পূর্বাভাস দেয়া হচ্ছে, তাই আরো একটি যুদ্ধের ভয় থেকেও অনেকে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
ডিপ্রেশনে ভোগে সৈন্যরাও; Image Source: Military.com

যুদ্ধই নয় একমাত্র কারণ

তবে যুদ্ধই যে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার পেছনে একমাত্র কারণ, এমনটাও জোর দিয়ে বলার উপায় নেই। কেননা ২০১৩ সালে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার এমন কিছু প্যাটার্ন উঠে এসেছিল, যার সাথে কেবল যুদ্ধই সংস্লিষ্ট নয়। সেরকম কিছু প্যাটার্ন হলো:

  • নারীদের চেয়ে পুরুষদের আত্মহত্যার সম্ভাবনা দ্বিগুণ;
  • ডিপ্রেশন বা বিষন্নতা সাধারণ মানুষের মতো সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যেও আত্মহত্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ বাড়িয়ে দেয়;
  • অতিরিক্ত অ্যালকোহল পানেও আত্মহত্যার ঝুঁকি দ্বিগুণ বেড়ে যায়;
  • সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে যারা কখনো যুদ্ধে অংশ নেয়নি, যারা যুদ্ধে অংশ নিয়েছে কিন্তু সামনাসামনি কোনো প্রাণঘাতি লড়াই দেখেনি, আর যারা যুদ্ধে অংশ নিয়ে চোখের সামনে মৃত্যু দেখেছে, তাদের সবার মাঝেই আত্মহত্যার প্রবণতা সমান।

শেষ কথা

গোটা বিশ্বব্যাপী আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। তাই আলাদা করে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের আত্মহত্যার প্রবণতা নিয়ে আলোচনা অনেকের কাছেই অপ্রাসঙ্গিক মনে হতে পারে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না, যেকোনো সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দৃঢ়চেতা তো হয়ই, পাশাপাশি মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ মানের প্রশিক্ষণও লাভ করে থাকে। অন্যান্য দেশের তুলনায় তারা যেকোনো প্রয়োজনে অনেক দ্রুতই সাহায্য লাভ করতে পারে। কিন্তু এরপরও কেন তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা কমার বদলে বেড়েই চলেছে, এ বিষয়টি সত্যিই কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলতে বাধ্য। এখনও হয়তো কার্যকারণ সুস্পষ্টভাবে খুঁজে বের করা যায়নি, তবে যখন তা হবে, নিঃসন্দেহে তা সামগ্রিক হিউম্যান সাইকোলজির ক্ষেত্রেই একটি বিশাল বড় উদ্ভাবন হিসেবে বিবেচিত হবে।

চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কে: roar.media/contribute/

This article is in Bengali language. It is about why US military members and war veterans are taking their life. Necessary links have been hyperlinked inside.

Featured Image © AP Photo/Jane Hahn

Related Articles