বজ্র ড্রাগনের দেশ হিসেবে পরিচিত হিমালয় পর্বতমালার পূর্বাংশে অবস্থিত ভুটানের আনুষ্ঠানিক নাম 'কিংডম অব ভুটান'। পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত স্থলবেষ্টিত দেশটির প্রায় ৭০ ভাগ অঞ্চল অরণ্যাবৃত। ৩৮,৩৯৪ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের দেশটি উত্তরে চীনের তিব্বত অঞ্চল, পশ্চিমে ভারতের সিকিম প্রদেশ ও তিব্বতের চুম্বি উপত্যকা, পূর্বে ভারতের অরুণাচল প্রদেশ এবং দক্ষিণে ভারতের আসাম প্রদেশ দ্বারা পরিবেষ্টিত।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে ভুটানের সাথে ভারতের এক ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৬৮ সালের ৮ জানুয়ারি ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ভারতের বিশেষ কূটনীতিক দফতর স্থাপনের মধ্য দিয়ে দেশ দুটোর মধ্যে সরাসরি আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্কের যাত্রা শুরু। পূর্বে সিকিমে অবস্থিত একটি রাজনৈতিক দফতরের মাধ্যমে ভারত ভুটানের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখছিল। ২০১৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে দেশ দুটোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীগণ সরাসরি আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং সেই বছরের ২রা ফেব্রুয়ারি ভুটান সরকার আসামের গুয়াহাটিতে দেশটির দ্বিতীয় কনস্যুলেট ভবন স্থাপন করে। ভারতে ভুটানের প্রথম কনস্যুলেট ভবন কলকাতায় অবস্থিত।
১৮৬২ সালের ১১ জুন জন্মগ্রহণ করা উগিয়েন ওয়াংচুক ভুটানে ওয়াংচুক রাজবংশের শাসনের প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি 'দ্রুক গিয়ালপো' বা ড্রাগন রাজা উপাধি গ্রহণ করে ১৯০৭ সালের ১৭ ডিসেম্বর সিংহাসনে আরোহন করেন। এজন্য প্রতিবছর ১৭ ডিসেম্বর ভুটানের জাতীয় দিবস হিসেবে পালিত হয়। উগিয়েন ওয়াংচুক বিভিন্ন রাজ্যে বিভক্ত ভুটানকে ঐক্যবদ্ধ করে জনগণের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করেন।
১৯১০ সালের ৮ জানুয়ারি ভুটানের রাজা উগিয়েন ওয়াংচুক এবং ব্রিটিশ ভারতের মধ্যে ভুটানের তৎকালীন রাজধানী পুনাখায় একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়; সেখানে ব্রিটিশ ভারত ভুটানের স্বাতন্ত্র্য বৈশিষ্ট্য কাঠামোর স্বীকৃতি প্রদান করেছিল। প্রকৃতপক্ষে 'পুনাখা চুক্তি' ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন পরবর্তী স্বাধীন ভারতের সাথে ভুটানের কূটনৈতিক সম্পর্কের আনুষ্ঠানিক ভিত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। ভারতের স্বাধীনতা অর্জনের পর ১৯৪৮ সালে ভুটানের একটি প্রতিনিধি দল দেশটি সফর করে ব্রিটিশ ভারতের সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলো পর্যালোচনার উদ্যোগ গ্রহণ করে।
এরপর ১৯৪৯ সালের ৮ আগস্ট দার্জিলিংয়ে ভারত ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত 'মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি'র মাধ্যমে নতুন আঙ্গিকে দেশ দুটোর মধ্যে এক দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্কের সূচনা হয়। উক্ত চুক্তির মাধ্যমে দেশ দুটো চিরস্থায়ী শান্তি ও বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়। এই চুক্তির ২য় অনুচ্ছেদে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়- ভুটানের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ভারত কোনোপ্রকার হস্তক্ষেপ করবে না; কিন্তু ভারতের দিকনির্দেশনার মাধ্যমে ভুটানের সকল বৈদেশিক নীতি নির্ধারণের ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়। অর্থাৎ সামগ্রিকভাবে এই 'মৈত্রী ও সহযোগিতা চুক্তি' অনুসারে ভুটানের প্রতিরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি বা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ভারতের একধরনের বলিষ্ঠ মতামত দেওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত ছিল। ১৯৫৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জওহরলাল নেহরু ভুটান সফর করেন। উক্ত সফরে তিনি দুই দেশের মধ্যকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও সংহত করার আহ্বান জানান।
ভৌগোলিক দিক বিবেচনায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডোকলাম মালভূমির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভুটানের সাথে চীনের বিরোধ দীর্ঘদিনের; চীনে এটি ডিক্ল্যাং বা ডনল্যাং কাওচং নামে পরিচিত। অন্যদিকে কৌশলগত কারণে ভারতের নিকটও ডোকলাম মালভূমি গুরুত্বপূর্ণ; কারণ এই এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিতে পারলে ভারতের স্বাধীনতাকামী উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রদেশসমূহের সংযোগস্থল শিলিগুড়ি করিডোর বা 'চিকেন’স নেক'-এর উপরে সহজে নজরদারি চালানো সম্ভব। সেজন্য চীনের নিয়ন্ত্রণ থেকে ডোকলাম মালভূমি রক্ষায় ভুটানের সাথে ভারত অত্যন্ত নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
২০১৭ সালের ১৬ জুন চীনা সৈন্যরা রাস্তাঘাট নির্মাণের সরঞ্জাম নিয়ে ডোকলাম মালভূমির দক্ষিণমুখী একটি সড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহণ করলে দেশ দুটোর মধ্যে তীব্র সামরিক উত্তেজনা শুরু হয়। এরপর ১৮ জুন প্রায় ২৭০ জন ভারতীয় সৈন্য সিকিম সীমান্ত অতিক্রম করে ডোকলামে প্রবেশ করে চীনা সৈন্যদের সড়ক সম্প্রসারণের কাজে বাধা প্রদান করে। চলমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে ২৯ জুন ভুটান সরকার এক বিবৃতিতে চীন যে স্থানে সড়ক সম্প্রসারণের উদ্যোগ নিয়েছিল সেটিকে ভুটানের নিজস্ব ভূমি হিসেবে দাবি করে চীন এবং ভারত দুই পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের জন্য আহবান জানায়। এরপর ভারত ও চীনের মধ্যকার কূটনীতিক আলোচনা এবং সমঝোতার মাধ্যমে দেশ দুটো ২৮ আগস্ট সেই বিতর্কিত স্থান থেকে নিজেদের সৈন্য প্রত্যাহার করে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আঞ্চলিক আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং সীমান্তবর্তী বিভিন্ন বিতর্কিত অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী ভারত এবং চীন মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে। ২০২০ সালের ৫ মে এর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে বিতর্কিত অঞ্চলসমূহের উপর নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জন্য লাদাখের প্যাংগং হ্রদের নিকট, গালওয়ান উপত্যকার একটি পার্বত্য অঞ্চলে, সিকিমের নাথু লা পাসের কাছে এবং আরও কয়েকটি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসব সংঘর্ষে দুই পক্ষের অনেক সৈন্য হতাহত হয়, দুটো দেশই পরস্পরের বিরুদ্ধে ১৯৬২ সালে যুদ্ধের পর প্রতিষ্ঠিত 'প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা' লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিল। ডোকলাম মালভূমির নিকটে ২০২০ সালের ২৮ অক্টোবর মার্কিন মহাকাশ প্রযুক্তি সংস্থার তোলা স্যাটেলাইট ছবিতে নতুন করে তৈরি করা গ্রাম এবং রাস্তার উপস্থিতি দাবি করা হয়। তবে নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভেটসপ নামগিয়েল চীনা সংশ্লিষ্টতার কোনো কিছুর উপস্থিতির এই অভিযোগ প্রত্যাখান করেন।
প্রথম দফা নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০১৪ সালের ১৫ জুন প্রথম বৈদেশিক ভ্রমণে ভুটান সফর করেন। এমনকি ভারতের বর্তমান পররাষ্ট্র মন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর প্রথম বৈদেশিক সফরে ভুটানকে বেছে নেন। ভারতের সাথে ভুটানের গভীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে; জলবিদ্যুৎ থেকে শুরু করে ভুটানের বিভিন্ন বড় বড় প্রকল্পে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় বিনিয়োগ রয়েছে। ভারতের বৈদেশিক সাহায্যের এক বড় অংশ ভুটানে করে থাকে। ভারত সরকারের অনুরোধে ভুটান দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থানরত ভারতের আসাম প্রদেশের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমনে ২০০৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর থেকে ২০০৪ সালের ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত 'Operation All Clear' নামে একটি সফল সামরিক অভিযান পরিচালনা করে।
অত্যন্ত গভীর বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কে আবদ্ধ থাকা সত্ত্বেও ১৯৫০ সালের পর থেকে ভুটান স্বাধীন সত্তা বজায় রাখার লক্ষ্য অর্জনে ভারতের উপর নির্ভরশীলতা হ্রাসের চেষ্টা চালাতে থাকে। এমনকি বলা হয় যে, ১৯৬২ সালে চীন এবং ভারতের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে তৎকালীন ভুটান সরকার ভারতকে সেই দেশের ঘাঁটি ব্যবহার করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। ভুটান ১৯৭১ সালের ২১ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সদস্যপদ অর্জন করে। এরপর ১৯৭৯ সালে ভুটানের তৎকালীন রাজা জিগমে সিংয়ে ওয়াংচুক উল্লেখ করেন, পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণে ভারতের পরামর্শ মেনে চলা ভুটানের জন্য আর বাধ্যতামূলক নয়।
২০০৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লিতে নতুন করে 'ভারত-ভুটান মৈত্রী চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়। নতুন মৈত্রী চুক্তির ২য় অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ভুটান ও ভারত সরকার দুই দেশের জাতীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নিবিড়ভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করবে এবং কোনো সরকার তার রাষ্ট্রীয় সীমানায় অপর রাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা ও স্বার্থের বিঘ্ন ঘটায় এমন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ব্যবহার করতে বাধা দেবে।
২০১৫ সালের ১৫ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালের সড়ক পরিবহন মন্ত্রীদের এক বৈঠকে দেশ চারটির মধ্যে অবাধ মোটরযান চলাচলের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ভারত সরকারের প্রবল আগ্রহ থাকা সত্ত্বেও নিজেদের সার্বভৌমত্ব এবং পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব বিবেচনায় ভুটান সরকার ২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল The BBIN Motor Vehicles Agreement (MVA) নামে পরিচিত চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়। ভুটান ভ্রমণে ভারতীয় পর্যটকদের জন্য কর আরোপের ছাড় দেওয়া হতো, সম্প্রতি ভুটান সরকার সেই সুবিধা প্রত্যাহার করার ঘোষণা দিয়েছে।
বর্তমান বিশ্বের গুটিকয়েক রাষ্ট্রের মধ্যে ভুটান একটি, যার সাথে চীনের কোনো আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক নেই। চীনের সাথে ভুটানের উত্তর দিকে প্রায় ৪৭০ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। চীন সবসময়ই ভুটানের সাথে কূটনীতিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করে এসেছে। ২০১২ সালের ২১ জুন ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত Rio+20 সম্মেলনে অংশ নিয়ে ভুটানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জিগমে ওয়াই থিনলে এবং চীনের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাও একটি ঐতিহাসিক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হন। উক্ত বৈঠকে চীনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক চালু করা এবং সীমান্ত বিরোধ নিরসনের প্রস্তাব দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে রাশিয়াতে অনুষ্ঠিত ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল বাছাইপর্বের এক ম্যাচে ২০১৫ সালের ১৬ জুন ভুটানের রাজধানী থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে ভুটান এবং চীনের ফুটবল দল মুখোমুখি হয়; এই ম্যাচও চীন এবং ভুটানের মধ্যে পারস্পরিক কূটনীতিক সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করে।
২০০৮ সালের ২৪ মার্চ ভুটানে প্রথম গণতান্ত্রিক সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে দেশটি নিরঙ্কুশ রাজতন্ত্র থেকে একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। এখন ভুটানে দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট পার্লামেন্ট রয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী দেশটির সরকার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে ভুটানের জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল ভারতের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচিত হয়। ভুটানের নতুন প্রজন্মের একটি অন্যতম অংশ দেশটিতে ভারতীয় ঋণের প্রভাব নিয়ে কিছুটা উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কূটনীতিক সম্পর্ক না থাকলেও চীনের সাথে দেশটির পর্যটন এবং বাণিজ্য ক্ষেত্রে সহযোগিতার সম্পর্ক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।
১৯৫০ সালের ৬-১৯ অক্টোবর চলা চামদোর যুদ্ধে জয়ী চীনা বাহিনী তিব্বত অঞ্চল দখল করে নেয়। সম্প্রতি চীনের ক্রমবর্ধমান সম্প্রসারণ নীতি ভুটান সরকারের কাছে সতর্কভাবে বিবেচনা বিষয় হয়ে উঠেছে। ভারতের সাথে ভুটানের সম্পর্ক বহুমাত্রিক। চীনের প্রভাববলয়ের কারণে ভারতের সাথে ভুটানের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কিছুটা প্রভাব পড়েছে। সাম্প্রতিককালের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিবেচনায় ভুটান ভারতনির্ভরতা কমিয়ে আনতে চায়, তারা নিজেদের কৌশলী কূটনীতি বজায় রেখে ভারতের প্রভাব থেকে দূরে থেকে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে কি না- তা সময়ই নির্ধারণ করবে।
This Bengali article discusses different steps of Bhutan to get as far as possible of the influence of India.
Reference:
01. Treaty of Friendship between India and Bhutan
02. INDIA-BHUTAN FRIENDSHIP TREATY
03. India-Bhutan Relations: Past, Present and Future
04. Is India Losing Its Grip on Bhutan?
05. As India, Bhutan Mark 50 Years Of Ties, Resolve To Further Advance Relations
06. How Bhutan Came to Not Be a Part of India
07. The Doklam crisis ends: A diplomatic victory for India
08. Satellite images appear to show China developing area along disputed border with India and Bhutan
09. Bhutan Drawing Closer China and What Can India Do About
10. Govt. drops BBIN agreement
11. When the small dragon met the big one
12. From absolute monarchy to parliamentary democracy
Feature Image: AFP Photo