২০১৭ সালে জার্মানির বিখ্যাত এক প্রসাধনী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান মধ্যপ্রাচ্যে তাদের নির্দিষ্ট একটি পণ্যের প্রচারের জন্য বিজ্ঞাপন নির্মাণ করে। যার স্লোগান ছিল, সাদাই বিশুদ্ধতার প্রতীক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিজ্ঞাপনটি প্রচারের সাথে সাথেই মধ্যপ্রাচ্যসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। অভিযোগ আনা হয়- স্লোগানটির মাধ্যমে বর্ণবৈষম্যকে প্ররোচিত করা হয়েছে। ব্যাপক প্রতিবাদ আর পণ্য বর্জনের কারণে একসময় বিজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। একে নিছক ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি ক্ষমা প্রার্থনা করে।
বিশ্ব অর্থনীতির বড় একটি অংশ দখল করে আছে এসব প্রসাধনী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, যাদের ব্যবসার অন্যতম মূল উপজীব্য হলো ‘গায়ের রং’। প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্যের প্রসারের জন্য ব্যবসায়িক নীতিবর্জিত বিজ্ঞাপন নির্মাণ করছে। ফলে বিশ্বব্যাপী বৃদ্ধি পেয়েছে ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনীর চাহিদা। তৈরি হয়েছে কয়েক বিলিয়ন ডলারের মার্কেট। কিন্তু এর বিপরীতে পরোক্ষভাবে উস্কে দেয়া হচ্ছে বর্ণবৈষম্যকে। উপরের ঘটনাটি তারই একটি উজ্জ্বল উদাহরণ মাত্র।
বর্ণবৈষম্যের অভিযোগে বেশ কয়েকবার বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং পণ্য বর্জন করা হলেও, এই সমস্যার শিকড় মূলত অনেক গভীরে। কয়েক শতাব্দীব্যাপী ইউরোপীয় দেশগুলো বিভিন্ন দেশে তাদের সাম্রাজ্যবাদ সম্প্রসারণের সময়কাল থেকে সাদা-কালো বিভাজনের ধারণাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের মতে, কালো চামড়া দারিদ্র্যের প্রতীক। দীর্ঘদিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ প্রখর রোদে কাজ করেন বলে তাদের গায়ের রং তামাটে বা তথাকথির 'কালো' রং ধারণ করে। আর সাদা আভিজাত্যের প্রতীক। ক্রমান্বয়ে, সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিতে আসতে থাকে নেতিবাচক পরিবর্তন। পাশাপাশি সামাজিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয় কিংবা বিরাজমান কুসংস্কারের কারণেও সমাজে প্রকট হতে থাকে সাদা এবং কালো চামড়ার মধ্যকার বিভাজন।
বর্তমানে সারা পৃথিবীব্যাপী, বিশেষ করে আফ্রিকা এবং এশিয়ার দেশগুলোতে, প্রাত্যহিক জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ামক হয়ে দাঁড়িয়েছে গায়ের রং। একটি শিশুর জন্মের পর থেকেই শুরু হয় তার গায়ের রং নিয়ে আলোচনা। সেক্ষেত্রে, গায়ের রং যদি হয় বাদামী বা কালো, তবে তা আরো বিব্রতকর। তাদের মনে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হয় এক ভ্রান্ত ধারণা, সামাজিক, অর্থনৈতিক কিংবা পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয়ে সফলতার অন্যতম নিয়ামক উজ্জ্বল ত্বক। অচিরেই তাদের মনে সৃষ্টি হয় উজ্জ্বল ত্বকের প্রতি সুপ্ত কিংবা তীব্র আকাঙ্ক্ষা।
এই দুর্বলতাকে পুঁজি করে প্রথম শুরু হয়েছিল ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনীর উৎপাদন এবং বিপণন ব্যবস্থা। সময়ের পরিক্রমায় যা এক বিশাল বাজারে পরিণত হয়েছে বিশ্বব্যাপী। এবং প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে অস্বাভাবিক হারে। এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০২৪ সালের মধ্যে ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনীর উৎপাদন এবং বিক্রয় প্রায় তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে। এখানে উল্লেখ্য, ঢালাওভাবে সব ব্র্যান্ডকে এই অভিযোগের আওতায় ফেলা না হলেও, অধিকাংশ বিখ্যাত ব্র্যান্ড এই নীতি বহির্ভূত বাজারের অংশীদার।
বর্তমানে এসব প্রসাধনী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সবচেয়ে বড় বাজার তৈরি হয়েছে আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে। প্রতি বছর প্রায় ১৭% হারে এই বাজার বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই, প্রশ্ন এসে যায়, ভারতই কেন প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলোর প্রথম পছন্দ?
প্রথমত, দীর্ঘদিন ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের অধীনে থাকায় এখানকার মানুষের মনেও বর্ণবৈষম্যের বীজ ঢুকে গেছে। তাছাড়া, বহুকাল ধরে প্রচলিত সামাজিক কিংবা ধর্মীয় কুসংস্কার, অশিক্ষার প্রাদুর্ভাব এবং অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার কারণে মানুষের মন হয়ে গিয়েছে আরো সংকীর্ণমনা।
তথাপি, ভারতীয় উপমহাদেশ সহ পৃথিবীর অন্যান্য আরো অনেক দেশেই একই সমস্যা বিরাজমান থাকলেও, ভারতকে বেছে নেওয়ার মূল কারণ এখানকার বিশাল জনগোষ্ঠী। এই জনগোষ্ঠীর বিশাল চাহিদাকে সামনে রেখে ধীরে ধীরে এখানে বাড়তে থাকে প্রসাধনী উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা। নামিদামী সব ব্র্যান্ড ধীরে ধীরে প্রবেশ করতে থাকে ভারতের বিশাল বাজারে। তাদের ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনীর প্রচারের জন্য বানানো হয় ভিন্নধর্মী বিজ্ঞাপন। বিখ্যাত তারকাদের অংশগ্রহণ আর আকর্ষণীয় নির্মাণকৌশলের ফলে এসব বিজ্ঞাপন খুব সহজেই পায় দর্শকপ্রিয়তা। যেখানে সুকৌশলে দেখানো হয় চাকরি, পদোন্নতি, বিয়ে কিংবা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ যেকোনো অবস্থানে উজ্জ্বল গায়ের রং একটি মুখ্য বিষয়।
ফলে, অধিকাংশ মানুষ একসময় বিশ্বাস করতে থাকে এসব পণ্যের কার্যকারিতার উপর। তাদের দৈনন্দিন জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে যায় এসব ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনী। আর ভারতের বাজারে বাড়তে থাকে এসব ব্র্যান্ডের চাহিদা। ভারতে এই অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে 'ওমেন অফ ওর্থ' নামের একটি এনজিও। ২০০৯ সালে এনজিওটি সর্বপ্রথম শুরু করে 'ডার্ক ইজ বিউটিফুল' প্রচারণা। এই সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা কবিতা এমানুয়েল তাদের প্রচারণার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন,
আমাদের আন্দোলন সাদা চামড়ার বিরুদ্ধে নয়, বরং আমাদের উদ্দেশ্য সবাইকে অনুধাবন করানো যে, সৌন্দর্য ত্বকের রঙের উপর নির্ভরশীল নয়।
সংগঠনটি মিডিয়ার মাধ্যমে সবার মাঝে তাদের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এছাড়াও কর্মশালা এবং প্রচারণামূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে দেশব্যাপী সচেতনতা তৈরির পদক্ষেপ নেয় তারা। পাশাপাশি, স্কুল কিংবা কলেজভিত্তিক প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে ছাত্রছাত্রীদের মনে কোনো নির্দিষ্ট গায়ের রঙের প্রতি দুর্বলতা দূর করার লক্ষ্যেও কাজ করে যাচ্ছিলো তারা। কারণ, শিশুদের এই ক্ষুদ্র মানসিকতা তৈরির ক্ষেত্রে পরিবারের পর সবচেয়ে বেশি অবদান স্কুল-কলেজ এবং এখানে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থার। এছাড়াও সংগঠনটি বিভিন্নভাবে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে আসছিলো প্রচলিত এই কুসংস্কারের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
এ আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করার জন্য সমাজের বিখ্যাত ব্যক্তিদের এতে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়। সর্বপ্রথম এই আন্দোলনের সাথে যুক্ত হন বলিউড অভিনেত্রী নন্দিতা দাস। অন্যান্য অভিনেত্রীর মতো তথাকথিত গ্ল্যামারাস চেহারার অধিকারী না হলেও অভিনয়ের সময় তিনি অপ্রয়োজনীয় মেকআপ নিতে পছন্দ করতেন না। ফলে, মাঝে মাঝেই তাকে গায়ের রং নিয়ে শুনতে হতো আপত্তিকর মন্তব্য। এ কারণে তিনি অনেক বিখ্যাত সিনেমা থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন। নিজের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে নন্দিতা দাস লড়াই শুরু করেন সমাজে গুণগত পরিবর্তন আনার জন্য। এই প্রচারণা সম্পর্কে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন,
ম্যাগাজিন, টেলিভিশন কিংবা সিনেমা, সর্বত্র উজ্জ্বল ত্বককে সৌন্দর্যের প্রতীক হিসেবে দেখানো হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন,
ভারতে সাদা চামড়ার প্রতি এই দুর্বলতা মূলত একটি কুসংস্কার, যা অনেক তরুণীকে আত্মহত্যার দিকে ঠেলে দিয়েছে।
পরবর্তীতে, সারা দেশ থেকে অসংখ্য তরুণীর চিঠি আসতে থাকে তার কাছে। যেখানে শুধুমাত্র কালো হওয়ার কারণে সমাজে তাদের প্রতিটি পদক্ষেপে বৈষম্যের কথা ফুটে ওঠে এবং অনেকেই একসময় আত্মহত্যার মতো জঘন্য চিন্তা করতে বাধ্য হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন। আশ্চর্জনকভাবে, অনেক তরুণও এ বিষয়ে তাদের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে চিঠি পাঠায় নন্দিতার কাছে।
অতি দ্রুত তিনি 'ডার্ক ইজ বিউটিফুল' প্রচারণার গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে যান। মিডিয়ার অংশগ্রহণের ফলে এই প্রচারণা পায় ভিন্ন মাত্রা। ভারতে সেসময় জনপ্রিয় প্রসাধনী ব্র্যান্ডগুলো পরোক্ষভাবে নানা প্রতিকূলতা তৈরি করলেও সামনের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে এই আন্দোলন। সমাজের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং সংস্থা এগিয়ে আসে এই প্রচারণার সমর্থনে।
সুফল আসতে থাকে দ্রুতই। ফেসবুক, টুইটারসহ অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে চলে ব্যাপক প্রচারণা। নিজ নিজ ক্ষেত্র থেকে আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে সবাই চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকেন পরিবর্তনের লক্ষ্যে। ধীরে ধীরে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয় এ ব্র্যান্ডগুলোর নেতিবাচক রূপ। পত্রিকা, ম্যাগাজিন কিংবা অন্যান্য মিডিয়ায় প্রথিতযশা চিকিৎসকরা এসব ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনীর মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের কুফল তুলে ধরেন। তাদের মতে, তুলনামূলক বাদামি কিংবা কালো রঙের ত্বকে মেলানিনের পরিমাণ বেশি থাকে, যা ত্বকের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়ক। কিন্তু অতিরিক্ত মাত্রায় এসব প্রসাধনীর ব্যবহার মেলানিন তৈরিতে বাধা সৃষ্টি করে, যা ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। ফলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি ভোক্তারা পড়ছেন স্বাস্থ্যগত ঝুঁকিতে।
তবে সংগঠনটি সবচেয়ে বড় সফলতা অর্জন করে ২০১৪ সালে। ভারতের ‘বিজ্ঞাপন নির্মাণ সংস্থা’ গায়ের রংকে অবজ্ঞা করে, এমন ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করে। ভবিষ্যতে এই ধরনের বিজ্ঞাপন নির্মাণের উপর নিষেধাজ্ঞা স্থাপন করেন। একইসাথে, তারকাদের এ ধরনের বিজ্ঞাপনে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক হওয়ার আহবান জানানো হয়। বলিউড অভিনেতা অভয় দেওলসহ আরো অনেকে এ ধরনের নীতিবর্জিত ধারণাকে পুঁজি করে পণ্যপ্রচারে অংশগ্রহণ না করার জন্য সহ-অভিনেতাদের অনুরোধ করেন।
সম্মিলিত প্রচেষ্টায়, ধীর গতিতে হলেও ভারতে আশাব্যঞ্জক পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। সমাজে কমে আসছে বর্ণবৈষম্যের প্রকটতা। গায়ের রং নিয়ে প্রচলিত মানসিকতায় এসেছে পরিবর্তন। ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনীর ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কিছুটা কমে গেলেও ভারতের বাজারে এখনো তার শক্তিশালী অবস্থান ধরে রেখেছে। যদিও পণ্যের প্রচারের ক্ষেত্রে ব্র্যান্ডগুলো এনেছে ইতিবাচক পরিবর্তন। ওমেন অব ওর্থ (Women of Worth) সংগঠনটির এই সাফল্য সম্পর্কে এর প্রতিষ্ঠাতা কবিতা এমানুয়েল বলেন,
মানুষজন পূর্বের চেয়ে এখন বেশ সচেতন এবং আমি আশাবাদী পরবর্তী প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি হবে সম্পূর্ণ ভিন্ন। আর এই পরিবর্তন শুধু ভারতে না, সমগ্র পৃথিবী জুড়ে হবে।
কবিতা এমানুয়েলের এই আশাবাদ ক্রমান্বয়ে বাস্তবে পরিণত হয়েছে। ভারতের পাশাপাশি পৃথিবীর অনেক দেশেই শুরু হয়েছে পরিবর্তনের হাওয়া। ২০১৩ সালে পাকিস্তানী তরুণী ফাতিমা লোদি সেই দেশে শুরু করেন একই ধরনের প্রচারণা, ‘ডার্ক ইজ ডিভাইন'। তাছাড়া, ২০১৬ সালে হলিউড অভিনেত্রী এমা ওয়াটসন ঘোষণা করেন, তিনি এমন কোনো পণ্যের প্রচারে অংশগ্রহণ করবেন না যা নারীর বৈচিত্র্যময় রূপকে প্রতিফলিত করে না।
ত্বক উজ্জ্বলকারী প্রসাধনী সহ অন্যান্য প্রসাধনীর বিশাল বাজারকে একেবারেই বন্ধ করা কিছুটা অসম্ভব। ঠিক যেমন কঠিন সমাজ তথা রাষ্ট্র থেকে বর্ণবৈষম্যের কুসংস্কার সমূলে নির্মূল করা। তবুও আমরা স্বপ্ন দেখি এমন এক ভবিষ্যৎ পৃথিবীর, যেখানে থাকবে না সাদা রঙের প্রতি অকারণ মোহ আর কালোর প্রতি অবজ্ঞার দৃষ্টিভঙ্গি। আর এ স্বপ্ন পূরণে ভারতের মতো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে হবে 'ডার্ক ইজ বিউটিফুল' প্রচারণা।
The Bangla article is about a famous campaign in India called 'Dark is Beautiful' started in 2009. The purpose of the campaign was to eradicate the old negative concept about dark skin color.
Necessary references have been hyperlinked inside the article.
Feature Image: Loic Venance/AFP/Getty Images