১৯৭৯ সালের ১৬ জুলাই, ইরাক তথা মধ্যপ্রাচ্যের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী দিন। এদিন ইরাকের প্রেসিডেন্ট আহমেদ হাসান আল-বকর পদত্যাগ করেন, বলা ভালো পদত্যাগে বাধ্য হন; এবং নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতায় আসীন হন তৎকালীন ভাইস প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হুসাইন। পরবর্তী প্রায় দুই যুগ ধরে মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধ আর সংঘাতের মাধ্যমে উত্তেজিত করে রাখেন তিনি। যদিও ইরাকের উন্নয়নের পেছনে তার অবদান অপরিসীম, তারপরও ইরাকের ধ্বংসের জন্যও তার আচরণ ও উচ্চাভিলাষকেই দায়ী করা হয়। তার মৃত্যুর এতদিন পরেও সাদ্দাম ইস্যুতে ইরাক স্পষ্টতই দু'ভাগে বিভক্ত। অনেকের কাছে তিনি যেমন নিন্দিত, তেমনি অনেকের কাছে নন্দিতও।
ক্ষমতা গ্রহণের ১ বছরের মাথায় প্রতিবেশী দেশ ইরানে অতর্কিত হামলা করে পরবর্তী প্রায় ন'বছর মধ্যপ্রাচ্যকে অস্থিতিশীল করে রাখেন। এই যুদ্ধে দুই দেশের একত্রে প্রায় ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বেশি অর্থ নষ্ট হয়েছে আর কয়েক লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। ইরান-ইরাক যুদ্ধ শেষ হতে না হতেই ১৯৯০ সালে ইরাক কুয়েতে অতর্কিত হামলা করে কুয়েত দখল করে নেয়, ফলশ্রুতিতে গাল্ফ ওয়ারের সূচনা হয়। এভাবে একের পর এক যুদ্ধবাজ নীতির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যকে নরকে পরিণত করেন সাদ্দাম!
গাল্ফ ওয়ার শেষে সাদ্দামের নেতৃত্বে ইরাক আবারও পুনর্গঠিত হতে থাকে। সেনাবাহিনীকে পুনর্গঠন করা হয়। ইরাকের এই উত্থানে শঙ্কিত হয়ে এবং পুনরায় মধ্যপ্রাচ্যে আগ্রাসন চালানোকে নাকচ করতে পশ্চিমা দেশগুলোর যোগসাজশে জাতিসংঘ তাদের উপর অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপ করে ।
২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ বিমান হামলা ইরাকের জন্য যুগান্তকারী এক ঘটনা ছিল। এই হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের ঘোষণা দেন এবং ইরাককে সন্ত্রাসের মদতদাতা হিসেবে অভিযুক্ত করেন। প্রেসিডেন্ট বুশ ইরাককে আল কায়েদাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেন, এবং একইসাথে তাদেরকে গণবিধ্বংসী ও রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি ও মজুদের জন্য দায়ী করেন।
পশ্চিমা দেশগুলোর ক্রমবর্ধমান চাপের মুখে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ২০০২ সালের ৮ নভেম্বর রেজ্যলুশন ১৪৪১ পাস করে, যাতে ইরাকের সন্দেহজনক অস্ত্রাগারগুলোতে আন্তর্জাতিক পরিদর্শক দল পাঠানোর অনুমতি দেয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু ইরাকের বিরুদ্ধে দলটিকে অসহযোগিতার অভিযোগ করা হয়। ফলে ২০০৩ সালের ১৭ মার্চ জাতিসংঘকে পাশ কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাকের সাথে সকল প্রকার কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। প্রেসিডেন্ট বুশ সাদ্দাম হুসাইনকে ইরাক ত্যাগের আল্টিমেটাম দেন। সাদ্দাম হুসাইন ইরাক ত্যাগ করতে অস্বীকৃতি জানান। ফলে ২০ মার্চ সকাল থেকে মিত্রবাহিনী ইরাকে আক্রমণ শুরু করে। এই অপারেশনের নাম দেওয়া হয় অপারেশন ইরাকি ফ্রিডম। মাত্র এক মাসের মধ্যে বাগদাদসহ প্রায় সমগ্র ইরাকের পতন ঘটে। এরপর সাদ্দাম হুসাইন আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর শুরু হয় একজন মানুষকে ধরার জন্য ইতিহাসের অন্যতম উল্লেখযোগ্য এক অপারেশন। এটি পরিচালনার দায়িত্ব চতুর্থ পদাতিক ডিভিশনের প্রথম ব্রিগেড কমব্যাট টিমকে দেয়া হয়, যার নেতৃত্বে ছিলেন মেজর জেনারেল রেমন্ড ওডেরানো। চতুর্থ পদাতিক ডিভিশনের কর্নেল জেমস হিকির নেতৃত্বে স্পেশাল অপারেশন টিম টাস্কফোর্স ১২১ (একটি অভিজাত এবং গোপন বিশেষ যৌথ অপারেশনাল টিম) পরিচালিত হয়। তারা সাদ্দামের খোঁজ জানার জন্য সাদ্দাম-প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ধরে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। ২০০৩ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে তারা সন্দেহভাজন ৬০০টি স্থানে হামলা পরিচালনা করে এবং ৩০০ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু কেউই সাদ্দামের সঠিক অবস্থানের সন্ধান দিতে পারেনি।
চতুর্থ পদাতিক ডিভিশন সাদ্দামের পারিবারিক বাড়ি তিকরিত ও আশেপাশের অঞ্চলটি দখল করে নেয়। ২০০৩ সালের গ্রীষ্মে মার্কিন সেনাবাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদকারী, কাউন্টার ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট এবং দোভাষীদের সমন্বয়ে বেশ কয়েকটি কৌশলগত হুমিন্ট টিমও পুরো অঞ্চল জুড়ে মোতায়েন করা হয়। স্থানীয় ইরাকি নাগরিকদের সাথে এই দলগুলোর নিয়মিত কথোপকথনের ফলে সাদ্দামের পারিবারিক নেটওয়ার্ক সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়।
প্রাথমিকভাবে সাদ্দামের সন্ধানে সেসব উচ্চপদস্থ নেতার দিকে দৃষ্টিপাত করা হয় যারা মোস্ট ওয়ান্টেড ও ব্ল্যাক লিস্টে ছিল। তাদেরকে হাই ভ্যালু টার্গেট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। ২০০৩ সালের জুন মাসের মাঝামাঝিতে সাদ্দাম প্রশাসনের প্রেসিডেন্ট সেক্রেটারিসহ বেশ কয়েকজন ইরাকি নেতা ধরা পড়ার মতো প্রাথমিক সাফল্য আসে। তবে মার্কিন বাহিনী যখন হাই ভ্যালু টার্গেটদের ধরছিল, তখন সেই নেতারা সাদ্দামকে ধরার মতো কাছাকাছি ছিল না, কারণ সাদ্দামের শাসনামলের পতনের সময় তার রাজনৈতিক শক্তির ভিত্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সাদ্দামের আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর তার সাথে নেতাদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বুঝতে পেরেছিল- সাদ্দামকে ধরার জন্য রাজনৈতিক নেতারা সেরা উপায় না।
এই পর্যায়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তারা মনে করেন রাজনৈতিক নেতাদের ধরার পরিবর্তে তাদের উচিত সাদ্দামের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্কগুলোতে মনোনিবেশ করা। চতুর্থ পদাতিক ডিভিশনের গোয়েন্দা বিশ্লেষকগণ এবং প্রথম ব্রিগেড কমব্যাট টিম একত্রে এমন প্রায় পাঁচটি পরিবারের উপর ভিত্তি করে একটি 'থ্রি টায়ার স্ট্র্যাটেজি' তৈরি করে যারা তরুণকাল থেকেই সাদ্দামকে চিনত। প্রথম ব্রিগেড কমব্যাট টিম এবং স্পেশাল অপারেশন্স টাস্ক ফোর্স ১২১ সহ সেনা গোয়েন্দা কর্মকর্তারা সাদ্দামের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক দেখে একটি লিংক অ্যানালাইসিস ডায়াগ্রাম তৈরি করে।
কর্মকর্তারা সর্বপ্রথম সাদ্দামের নিকটতম কয়েকজনকে টার্গেট করে যারা তার বিশ্বাসী ছিল এবং তার পরিবারের সদস্যদের সাথে যাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক ছিল তাদের দিয়ে শুরু করে। যে ক'জন ব্যক্তি ধরা পড়ে বা আটক হয় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আরও কয়েকটি সংযোগের কথা উঠে আসে। এদের সবাইকে অ্যানালাইসিস ডায়াগ্রামের মধ্যে রাখা হয়। তাদের নিয়ে নতুন করে কৌশল সাজানো হয়। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের বাড়িতে অভিযানের মাধ্যমে আরো অতিরিক্ত তথ্য ও প্রমাণ পাওয়া সম্ভব হয়।
বিভিন্ন উৎস থেকে পাওয়া তথ্যের এই বিশাল ভান্ডার বিশ্লেষণ করে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা আল-মুসলিত ভাইদের দিকে মনোনিবেশ করে যারা সাদ্দামের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে অন্যতম। আল-মুসলিত পরিবার দীর্ঘদিন ধরে সাদ্দামের পারিবারিক দেহরক্ষীর দায়িত্ব পালন করে আসছিল। এরপর তারা আল-মুসলিত পরিবারের এক সদস্য ওমর আল মুসলিতের বাড়িতে একটি অভিযান চালায় এবং প্রচুর তথ্য উদ্ধার করে।
২০০৩ সালের ১১ অক্টোবর আল-মুসলিত ভাইদের একজন ধরা পড়ে এবং তাকে চতুর্থ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনে স্থানান্তর করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় কনিষ্ঠ মুসলিত ভাই বাসিম লতিফ নামক এক ড্রাইভারের সন্ধান দেন যিনি ইব্রাহিম আল-মুসলিতের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ইব্রাহিম আল মুসলিত সাদ্দামের বিশ্বাসভাজন ব্যক্তিদের অন্যতম। তিনি সাদ্দামের ডান হাত নামে খ্যাত ছিলেন।
২০০৩ সালের ১ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে বাসিম লতিফও ইব্রাহিম আল মুসলিতের নাম প্রকাশ করে এবং তার সম্ভাব্য অবস্থান বলে দেয়। মার্কিন সৈন্যদের কাছে ইব্রাহিম আর মুসলিতের ছদ্মনামে ছিল 'দ্য সোর্স' এবং 'দ্য ফ্যাটম্যান'। পরবর্তী দুই সপ্তাহ জুড়ে ইব্রাহিমের খোঁজ চলে। এই সময় ইব্রাহিমের পরিবারের ৪০ জন সদস্যকে তার অবস্থান জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কিন্তু তারা কোনো সঠিক তথ্য দিতে পারেনি।
পূর্বে জিজ্ঞাসাবাদকৃত ও মুক্তি পাওয়া বাসিম লতিফকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফেরত আনা হয়। পুনরায় জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে তিনি অবশেষে ইব্রাহিম আল-মুসলিতের অবস্থান জানিয়ে দেন।
২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভোরে টাস্কফোর্স ১২১ বাসিমের জানানো এক স্থানে অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম আল-মুসলিতকে বন্দী করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময় অবশেষে ইব্রাহিম জানান যে সাদ্দাম তিকরিতের দক্ষিণে আদ-দ্বারের একটি খামারে লুকিয়ে আছেন। পরে সন্ধ্যায় অপারেশন রেড ডনের অংশ হিসেবে প্রথম ব্রিগেড কমব্যাট টিম এবং টাস্ক ফোর্স ১২১ টাইগ্রিস নদীর ধারে দুটি খামারবাড়ি লক্ষ্য করে। তারা আদ-দ্বার শহরের বাইরে 'উলভেরিন-১' এবং 'উলভেরিন-২' নামক দুটি জায়গায় অনুসন্ধান করে, কিন্তু সেখানে সাদ্দামকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
তবে দুটি সহযোগী হুমিন্ট সূত্র অবশেষে তার লুকানোর নতুন একটি জায়গার নাম প্রকাশ করে। অপারেশনাল টিম নতুন প্রকাশিত স্থানে স্থানান্তরিত হয় এবং টাস্কফোর্স ১২১ একটি গোপন গর্ত খুঁজে পায় যেখানে সাদ্দাম হুসাইন লুকিয়ে ছিলেন। যখন টাস্কফোর্সের সৈন্যরা গর্ত থেকে ঢাকনাটি সরিয়ে নেয় এবং একজন সৈন্য গর্তটিতে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করতে উদ্যত হয়, ঠিক তখনই গর্ত থেকে দাড়িওয়ালা একজন হাত বাড়িয়ে বলে, "আমি সাদ্দাম হুসাইন। আমি ইরাকের রাষ্ট্রপতি, এবং আমি আলোচনা করতে প্রস্তুত আছি।" কমান্ডো নেতা শান্তভাবে গর্তের ঢাকনা সরিয়ে জবাব দিলেন, "রাষ্ট্রপতি বুশ তার শুভেচ্ছা প্রেরণ করেছেন।"
সাদ্দাম হুসাইন বিনা প্রতিরোধে আত্মসমর্পণ করেন। সেখান থেকে তাকে যথাযথভাবে শনাক্তকরণের পর এমএইচ-৬০কে ব্ল্যাকহক হেলিকপ্টারে তিকরিত থেকে বাগদাদ এয়ারপোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সুরঙ্গ থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল এবং ৭,৫০,০০০ মার্কিন ডলার উদ্ধার করা হয়। সাদ্দাম হুসাইনের সাথে থাকা আরও দুই ব্যক্তিকেও গ্রেফতার করা হয়। এ অভিযানে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অভিযানের সাথে জড়িত বাহিনীতে বিভিন্ন ডিভিশনের প্রায় ৬০০ সৈন্য ছিল। সাদ্দাম হুসাইনকে ধরার জন্য যে অপারেশনটি পরিচালিত তার নাম দেওয়া হয়েছিল ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত 'রেড ডন' নামক হলিউড চলচ্চিত্রটির নামানুসারে।
সাদ্দামকে গ্রেফতার করার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের প্রতিক্রিয়া জানায়। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জর্জ বুশ বলেন, ইরাকের ইতিহাসে একটি অন্ধকার এবং বেদনাদায়ক যুগ শেষ হয়েছে। একটি আশাবাদী দিন সামনে এসেছে ।
ইরাকের অন্তর্বর্তীকালীন গভর্নিং কাউন্সিলের প্রধান আব্দুল আজিজ আল হাকিম বলেন, এটি ইরাকের সন্ত্রাসীদের কাছে বড় ধাক্কা। মানবতা ও ইরাকি জনগণের জন্য এটি একটি অসাধারণ দিন।
সাদ্দামকে গ্রেফতার করার পর গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সন্ধান দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অবশেষে ২০০৫ সালে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সাদ্দামের বিরুদ্ধে বিচারকার্য শুরু হয়। বিচারে তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়। এরপর ২০০৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সাদ্দামের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
যে অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ইরাক আক্রমণ করেছিল আর সাদ্দামকে গ্রেফতার করা হয়, সেই গণবিধ্বংসী অস্ত্রের সন্ধান শেষপর্যন্ত ইরাকে পাওয়া যায়নি এবং কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের সাথে ইরাকের সম্পৃক্ততাও প্রমাণিত হয়নি।
This bengali article discusses the Operatin Red Dawn that was conducted to capture the late Iraqi President Saddam Hussain.
Refernce:
1. Operation RED DAWN nets Saddam Hussein
2. OPERATION RED DAWN: THE MISSION THAT SNARED SADDAM HUSSEIN
3. Intelligence Planning and Methods Employed: Operation Red Dawn - The Capture of Saddam Hussein 4. Saddam Hussein captured
Feature Image: BBC