Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

রদ্রিগো দুতার্তে-পরবর্তী ফিলিপাইনে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা

১০ কোটি মানুষের দেশ ফিলিপাইন গঠিত হয়েছে সাত হাজারেরও বেশি দ্বীপ নিয়ে। পাহাড় আর সমুদ্রের দেশ ফিলিপাইনের একপাশে দক্ষিণ চীন সাগর, আরেকপাশে প্রশান্ত মহাসাগর। ভৌগলিক অবস্থান আর বাজার অর্থনীতির বিস্তারের সুযোগে ইউরোপীয় বণিকরা পাড়ি জমায় ফিলিপাইনে, দেশটিতে স্প্যানিশ শাসকদের উপনিবেশ ছিল তিন শতাব্দী ধরে। স্প্যানিশ শাসনের পরে ফিলিপাইন ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপনিবেশ, সেই সূত্রে ফিলিপাইনে রয়েছে স্পেন আর যুক্তরাষ্ট্রের গভীর প্রভাব।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরে স্বাধীনতা পাওয়া দেশটিতে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতির বিকাশ সুষম হয়নি, দেশটি একটা বড় সময় ছিল স্বৈরশাসকদের অধীনে। একবিংশ শতাব্দীতেও নির্বাচনের মাধ্যমে ফিলিপাইনে যেসব শাসক আসছেন, তারাও কর্তৃত্ববাদী আচরণ করছেন, নিয়মিত তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে মানবাধিকার লঙ্ঘন আর দুর্নীতির।

Image Source: Euronews.

রদ্রিগো দুতার্তের যুগে ফিলিপাইন

ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ছয় বছর, চার বছরের বেশি প্রেসিডেন্সি করা কেউ দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করতে পারে না সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী। রদ্রিগো দুতার্তে ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ২০১৬ সালে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের রাজনীতিতে এরপর থেকেই আলোচিত আর সমালোচিত নাম ছিলেন দুতার্তে। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর মাদকবিরোধী অভিযান শুরু করেন দুতার্তে, যাতে সাত হাজারেরও অধিক মানুষকে বিনা বিচারে হত্যা করে নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। পুরো শাসনকালে রুদ্রিগো সমালোচিত ছিলেন বিভিন্ন বক্তব্যের কারণে, তাকে তুলনা করা হতো যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে।

Image Source: Getty Images/BBC.

রদ্রিগো দুতার্তে ফিলিপাইনের রাজনৈতিক সংস্কৃতির আলোকে ব্যতিক্রম কোনো শাসক ছিলেন না। ফিলিপাইনের রাজনীতিতে শক্তিশালী রাজনৈতিক দল নেই, সেখানকার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করে ক্ষমতাশালী পরিবারগুলো। ফিলিপাইনে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব হয় পরিবারগুলোর মধ্যে, পরিবারগুলোকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে পেট্রোনেজের মেশিন। রাজনৈতিক সহিংসতা উৎপাদন আর বন্ধের চাবিও থাকে ক্ষমতাশালী পরিবারগুলোর হাতেই, ভোটব্যাংকও নিয়ন্ত্রণ করে তারাই। রাজনৈতিক দলগুলো সাধারণত ক্ষমতাশালী পরিবারগুলোকে কেন্দ্র করেই কার্যক্রম পরিচালনা করে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পরিবারগুলোই নিজেদের রাজনৈতিক দল গড়ে তুলে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।

পরিবারকেন্দ্রিক রাজনৈতিক কাঠামোকে কাজে লাগিয়েই দুতার্তের পরে ক্ষমতাসীন হয়েছেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র। মার্কোস জুনিয়র ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস সিনিয়রের ছেলে, স্বৈরশাসক হিসেবে যিনি পৃথিবী জুড়েই নিন্দিত হয়েছিলেন। বাবার আমলের স্বৈরশাসনের সেই ভয়াল স্মৃতিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে বদলে দিয়েছেন মার্কোস জুনিয়র, স্বৈরশাসক বাবাকে উপস্থাপন করছেন মহান শাসক হিসেবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাম্পেইনের ফলে ঐতিহাসিক ন্যারেটিভগুলো বদলে দিতে পারছেন মার্কোস জুনিয়র, মার্কোস জুনিয়রের গুজব ক্যাম্পেইনকে পরিচালনার সুযোগ দিয়েছিলেন তখনকার প্রেসিডেন্ট দুতার্তেই।

Image Source: Francis R. Malasig/Pool via REUTERS

প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের উত্থান

রদ্রিগো দুতার্তের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দীর্ঘ অভিযোগ রয়েছে, প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরে দুতার্তে বিনা বিচারে হত্যা করেছেন সাত হাজারের বেশি মানুষকে। এদের বেশিরভাগের বিরুদ্ধেই মাদক সম্পর্কিত অভিযোগ থাকলেও জাতিরাষ্ট্রের প্রাথমিক সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী তাদের নিরপেক্ষ বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে, রয়েছে আত্মপক্ষ সমর্থনের অধিকার। বিনা বিচারে হত্যা মানবাধিকারের লঙ্ঘন, একইসাথে লঙ্ঘন সংবিধানেরও। দুতার্তের প্রেসিডেন্সি ছাড়ার আলোচনায় প্রথমেই এসেছে এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিচারের প্রশ্ন। সম্ভাব্য যেকোনো ধরনের বিচারিক কার্যক্রম এড়িয়ে যেতে দুতার্তে চাচ্ছিলেন নিজেই প্রেসিডেন্ট হিসেবে থাকতে, অথবা নিজের বিশ্বস্ত কাউকে শীর্ষ পদে রেখে যেতে।

অন্যদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্যাম্পেইন করে নিজের অবস্থান পোক্ত করছিলেন মার্কোস জুনিয়র। রদ্রিগো দুতার্তের বাবা ছিলেন মার্কোস জুনিয়রের বাবার কেবিনেটের সদস্য। দুই প্রভাবশালী পরিবারের মধ্যে রাজনৈতিক সমঝোতার ব্যবস্থা করেন সাবেক প্রেসিডেন্ট গ্লোরিয়া ম্যাকাপাগ্লা আরোয়ো, সমঝোতা প্রক্রিয়াতে যুক্ত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসেফ এসট্রাডাও। সমঝোতার আলোকে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন মার্কোস জুনিয়র, ভাইস-প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হন রদ্রিগো দুতার্তের মেয়ে সারা দুতার্তে।

Image Source: Manila Times.

নির্বাচনের ফলাফলের আলোকে বলা যায়, প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিবারগুলোর মধ্যে সমঝোতা নির্বাচনে কাজ করেছে। নির্বাচনে ৫৫ মিলিয়ন ভোটের মধ্যে ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র ৩১ মিলিয়ন ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন, ৩২ মিলিয়ন ভোট পেয়ে ভাইস-প্রেসিডেন্ট হন সারা দুতার্তে। পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো, সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিত লেনি রবেদো যথারীতি পরাজিত হয়েছেন প্রেসিডেন্ট পদে, যদিও তিনি পেয়েছেন ৪০ শতাংশের মতো ভোট।

অস্থিতিশীল রাজনৈতিক সংস্কৃতি

প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কোস জুনিয়র দায়িত্ব নিয়েই প্রত্যাশা জানিয়েছিলেন একটি ‘কার্যকর সরকার’ প্রতিষ্ঠার। কিন্তু, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির তীর্থভূমি ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্ট পরিবারের বাইরেও রয়েছে অনেকগুলো শক্তিশালী পরিবার, অনেকের রয়েছে নিজস্ব অস্ত্রধারী ক্ল্যান। একটি কার্যকর সরকার তৈরি করে, কার্যক্রমে যুক্ত করা সবসময়ই কঠিন। ফিলিপাইনের ৮০ শতাংশ গভর্নর এসেছেন ক্ষমতাশালী পরিবারগুলো থেকে, হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের ৬৭ শতাংশ সদস্য আর মোট মেয়রের ৫৩ শতাংশ এসেছে ‘ফ্যাট ডায়নাস্টি’গুলো থেকে।

এমন দেশে ক্যাবিনেট হয় পরিবারগুলোর মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে, যেখানে ক্যাবিনেটের সদস্যরা নিজেদের পরিবারের স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করেন। রাষ্ট্রীয় সম্পদের বরাদ্দকে কেন্দ্র করে এমন ক্যাবিনেটে সংঘাত খুবই স্বাভাবিক, মার্কোস জুনিয়রের ক্যাবিনেটেও সেটিই ঘটছে। প্রথম কয়েক মাসের মধ্যেই বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ক্যাবিনেট ছেড়েছেন।

Image Source: RTI.

এর মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত পদত্যাগের ঘটনাটি ঘটেছে এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ভিক রদ্রিগেজের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে। ফিলিপাইনে এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির পদটি পরিচিত ‘লিটন প্রেসিডেন্ট’ হিসেবে, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি সামরিক আর বেসামরিক আমলাতন্ত্রে মনোনয়নের ক্ষেত্রে নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেন অনেক ক্ষেত্রে, প্রেসিডেন্টকে বিভিন্ন পদে পদায়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ মতামত দেন এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি। প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব নিয়ে মার্কোস জুনিয়র এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি হিসেবে মনোনয়ন দেন ভিক রদ্রিগেজকে, যিনি ছয় বছর ধরে মার্কোস জুনিয়রের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন।

সেপ্টেম্বরে পদত্যাগ করেন ভিক রদ্রিগেজ। পদত্যাগের কারণ হিসেবে পরিবারকে আরো বেশি সময় দেওয়ার কথা জানালেও, পরবর্তী ঘটনা প্রবাহ একটি অস্থিতিশীল সময়কেই নির্দেশ করে। পরবর্তী মাসেই তাকে মার্কোস জুনিয়রের রাজনৈতিক দল পিএফপি (ফেডারেল পার্টি অব ফিলিপাইন) থেকে বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের কারণ হিসেবে বলা হয়, ভিক রদ্রিগেজ পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে যোগ্য নন, তিনি সরকারের কার্যক্রমে দলীয় বিষয়গুলোর প্রতিনিধিত্ব করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। পাশাপাশি, প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র তার প্রতি যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছিলেন, সেটি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন ভিক রদ্রিগেজ।

Image Source: Manila Times.

পার্টি থেকে বহিষ্কারাদেশের জবাবে ভিক রদ্রিগেজ বলেছিলেন, তিনি অযোগ্য কাউকে দলীয় সুপারিশ থাকার পরেও নিয়োগ দিতে পারেন না। সেপ্টেম্বরেই ভিক রদ্রিগেজের জায়গায় দায়িত্ব নেন নতুন এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি, যিনি ধীরে ধীরে বাতিল করছেন ভিক রদ্রিগেজের দেওয়ার হাজার দেড়েক মনোনয়ন।

সামরিক বাহিনীর প্রধান পরিবর্তন

ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের পদত্যাগ, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারির পদত্যাগের পরে নতুন বছরে বড় বিস্ময় হয়ে এসেছে সামরিক বাহিনীর প্রধানে পরিবর্তনের ঘটনা, জন্ম দিয়েছে ফিলিপাইনে সামরিক অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা। আর্মড ফোর্সেস অব ফিলিপাইনের প্রধানের পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে জেনারেল আন্দ্রেস সেন্টিনোকে, অবসরে পাঠানো হয়েছে চিফ অব স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোকে।

২০২২ সালের জুনের শেষ দিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র, যিনি বংবং মার্কোস নামেও পরিচিত। দায়িত্ব নেওয়ার দেড় মাসের মধ্যেই পরিবর্তন আনেন সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদে, জেনারেল আন্দ্রেস সেন্টিনোকে সরিয়ে সামরিক বাহিনীর প্রধান পদে আগস্টের ৮ তারিখ নিয়ে আসেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোকে। সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদটি প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর মধ্যে শীর্ষ পদ, এই পদে সাধারণত জেনারেল র‍্যাংকের অফিসাররাই নিয়োগ পান। জেনারেল সেন্টিনোকে সরিয়ে যখন লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোকে নিয়ে আসা হয়, তখন এই নিয়োগের সমালোচনা রাজনৈতিকভাবে যতটা হয়েছে, তারচেয়ে বেশি হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলার জায়গা থেকে।

লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোক; Image Source: Manila Bulletin

যদিও লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোকে ছিলেন জেনারেল সান্টিনোর ব্যাচমেট, কিন্তু একজন লেফটেন্যান্ট জেনারেল র‍্যাংকের অফিসারকে শীর্ষপদে নিয়ে আসায় সামরিক বাহিনীর পদের বন্টনে একটি নতুন বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। প্রচলিত আছে, এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি ভিক রুদ্রিগেজের পরামর্শেই সামরিক বাহিনীতে এই অদলবদল করেন প্রেসিডেন্ট মার্কোস জুনিয়র। জেনারেল সান্টনোকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভারতে।

জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবার নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোকে সরিয়ে আবার সামরিক বাহিনীর প্রধানের পদে ফিরিয়ে আনা হয়েছে জেনারেল সান্টিনোকে, চিফ অব স্টাফ হিসেবে ১৫১ দিনের দায়িত্ব শেষে অবসরে পাঠানো হয়েছে লেফটেন্যান্ট জেনারেল বার্তোলোম বাকারোকে। এই রদবদল সামরিক বাহিনীতে অভ্যুত্থানের সম্ভাবনা তৈরি করেছে, অভ্যুত্থানের আলোচনাকে ত্বরান্বিত করেছে ভারপ্রাপ্ত সামরিক সচিবের পদত্যাগের ঘটনা।

৬ জানুয়ারি সামরিক বাহিনীর প্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠান হয় একটি বিচ্ছিন্ন পরিবেশে, যেখানে নিয়মিত আনুষ্ঠানিকতাগুলোর প্রায় কিছুই ছিল না। পরের দিন সকালেই পিলিপাইন ন্যাশনাল পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থার পরিপত্র জারি করে বাহিনীর সদস্যদের প্রতি, পুলিশের কিছু সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়া হয় সামরিক বাহিনীর সদস্যদের উপর নজরদারির, নজর রাখতে বলা হয় সামরিক বাহিনীতে অস্থিতিশীলতা তৈরির সম্ভাব্য কোনো প্রচেষ্টার উপর। যদিও, পরবর্তীতে পুলিশের মুখপাত্র সতর্কতা পরিপত্র জারির সাথে সামরিক বাহিনীর প্রধানের পরিবর্তন এবং অস্থিতিশীলতা তৈরির শঙ্কার সম্পর্ক অস্বীকার করেন।

জেনারেল সান্টিনো; Image Source: Manila Bulletin

পুলিশের মধ্যেও অস্থিরতা চলছে। সপ্তাহখানেক আগেই ডিপার্টমেন্ট অব ইন্টেরিয়র এন্ড লোকাল গভর্মেন্টের সেক্রেটারি বেঞ্জামিন আবালস ৪২৯ জন পুলিশ জেনারেল আর কর্নেলকে পদত্যাগের আহবান জানান, যাদের অনেকের বিরুদ্ধেই তোলেন দুর্নীতির অভিযোগ। পদত্যাগের এই আহবানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বর্ণনা করেন সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধের অংশ হিসেবে। এর মধ্যে উদাহরণ তৈরির অংশ হিসেবে সবার আগে পদত্যাগ করার কথা পুলিশ প্রধানের। বর্তমানে পুলিশে ২৯৩ জন কর্নেল, ১০৮ জন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল, ১৯ জন মেজর জেনারেল, ৮ জন লেফটেন্যান্ট জেনারেল এবং একজন জেনারেল রয়েছে। এদের মধ্যে ৪২৯ জনের পদত্যাগ পুলিশ বাহিনীকে নতুনভাবে একটি নেতৃত্বশূন্যতার দিকে নিয়ে যেতে পারে।

মার্কোস জুনিয়র ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার সিদ্ধান্তহীনতা আর দুর্বলতা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সামনের দিনগুলোতে এই অস্থিতিশীলতা তার সরকারকে আরো অকার্যকর করে দিতে পারে।

This article is written in Bangla about post-Duterte regime in Philippines. All the necessary links are hyperlinked inside.

Related Articles