Welcome to Roar Media's archive of content published from 2014 to 2023. As of 2024, Roar Media has ceased editorial operations and will no longer publish new content on this website.
The company has transitioned to a content production studio, offering creative solutions for brands and agencies.
To learn more about this transition, read our latest announcement here. To visit the new Roar Media website, click here.

তৃতীয় বিশ্বের দেশ: কারা এবং কেন?

‘তৃতীয় বিশ্ব’ খুবই জনপ্রিয় একটি পরিভাষা। জেনে কিংবা না জেনে, বুঝে কিংবা না বুঝে অনেকেই প্রাত্যহিক জীবনে প্রয়োগ ঘটিয়ে থাকেন পরিভাষাটির। জানলে বা বুঝলে তো ভালোই, কিন্তু যারা জানেন না বা বোঝেন না, তারাও মূলত এই পরিভাষার দ্বারা স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোকেই নির্দেশ করে থাকেন। অর্থাৎ যেসব দেশ অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে পশ্চাৎপদ।

কিন্তু আসলেই কি তৃতীয় বিশ্বের অর্থ এটি? মোটেই না। বরং এই পরিভাষাটির রয়েছে একদম ভিন্ন একটি অর্থ, যেটির ব্যাপারে আজকের দিনে অনেকেই অবগত নন। এই পরিভাষাটির সূচনা ঘটেছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী স্নায়ুযুদ্ধের সময়ে, যখন বিশ্ব প্রধানত পুঁজিবাদ ও সাম্যবাদ এই দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এই দুই ভাগের বাইরেও অবস্থান ছিল অনেক দেশের। সেগুলোকে সংজ্ঞায়িত করতেই প্রথম প্রয়োগ ঘটেছিল তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির। সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তির সাথে সাথে অবশ্য এই পরিভাষাটিরও ব্যবহার কমে গেছে, এবং প্রচলিত অর্থেও বেশ ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে।

কারা তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত? Image Source: BFG Images/ Vetta/ Getty Images

কেন তৃতীয় বিশ্ব?

সংখ্যায়নের মাধ্যমে কেন তৃতীয় বিশ্ব নামকরণটি হলো, এবং এ দ্বারা কী অর্থ বোঝানো হতো, সে প্রসঙ্গে যেতে আগে আমাদের জানতে হবে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্ব সম্পর্কে।

প্রথম বিশ্ব বলতে বোঝানো হতো যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পুঁজিবাদী (তথাকথিত গণতান্ত্রিক) রাষ্ট্রসমূহকে। এই রাষ্ট্রসমূহ আবার ন্যাটোর (উত্তর আটলান্টিক নিরাপত্তা জোট) সদস্যও ছিল, পাশাপাশি ছিল শিল্পোন্নতও। প্রথম বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল উত্তর আমেরিকা ও পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এবং জাপান, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো।

দ্বিতীয় বিশ্ব দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হতো সোভিয়েত ইউনিয়নের নেতৃত্বাধীন সাম্যবাদী-সমাজতান্ত্রিক দেশগুলোকে। এরা ওয়ারশ চুক্তি করেছিল, এবং প্রথম বিশ্বের মতো এই দেশগুলোও ছিল শিল্পক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে। দ্বিতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন, পূর্ব ইউরোপ, চীন, কিউবার মতো দেশগুলো।

তাহলে বুঝতেই পারছেন, প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত ছিল না যে দেশগুলো, তারাই ছিল তৃতীয় বিশ্বের সদস্য। এই দেশগুলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সরাসরি পুঁজিবাদ বা সাম্যবাদ কোনোটিকেই গ্রহণ করতে চায়নি, ফলে প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বেও প্রবেশ করতে পারেনি তারা। আফ্রিকা, এশিয়া, ওশেনিয়া এবং লাতিন আমেরিকার অধিকাংশ স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশই ছিল এমন। এই দেশগুলো নিজেদের মধ্যে ন্যাম (জোট নিরপেক্ষ আন্দোলন) গড়ে তোলে, যেখানে অগ্রগণ্য ছিলেন ভারতের জওহরলাল নেহেরু, ইন্দোনেশিয়ার সুহার্তো এবং যুগোস্লাভিয়ার জোসিপ ব্রজ টিটোর মতো নেতারা।

জোট নিরপেক্ষ আন্দোলনের অগ্রগণ্য নেতারা; Image Source: Wikimedia Commons

কার মাধ্যমে এমন নামকরণ?

তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির প্রথম প্রয়োগ এবং সংজ্ঞায়নের পেছনে ভূমিকা ছিল ফরাসি জনতত্ত্ববিদ ও ইতিহাসবিদ আলফ্রেড সউভির। ১৯৫২ সালের ১৪ আগস্ট ফরাসি ম্যাগাজিন L’Observateur-এ তিনি এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে তিনি নির্দেশ করেছিলেন সেই দেশগুলোকে, যারা স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে সাম্যবাদী সোভিয়েত ব্লক কিংবা পুঁজিবাদী ন্যাটো ব্লক কারো সাথেই যোগ দেয়নি।

এখানে ‘তৃতীয়’ দ্বারা সউভি ইঙ্গিত করেছিলেন ফরাসি বিপ্লব পূর্ববর্তী ও চলাকালীন সময়ে ফ্রান্সের সাধারণ মানুষকে, যারা পাদ্রীবর্গ কিংবা অভিজাত শ্রেণী কোনোটিরই অংশ ছিল না। তখনকার দিনে ফ্রান্সে পাদ্রীবর্গকে প্রথম এস্টেট, আর অভিজাত শ্রেণীকে দ্বিতীয় এস্টেটের অংশ মনে করা হতো। এদের বাইরে সাধারণ মানুষ যারা ছিল, তাদেরকে বিবেচনা করা হতো তৃতীয় এস্টেটের অন্তর্ভুক্ত হিসেবে।

সউভি লিখেছিলেন,

“এই তৃতীয় বিশ্ব অনেকটাই ফ্রান্সের তৃতীয় এস্টেটের মতো অবহেলিত, নিগৃহীত, নিষ্পেষিত, যারা নিজেরা কিছু করতে চায়, কিছু হতে চায়।”

তাহলে বোঝাই যাচ্ছে, এখন অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে তৃতীয় বিশ্বকে বোঝানো হলেও, আদতে এর উদ্ভব ঘটেছিল রাজনৈতিক শ্রেণীবিন্যাস থেকে।

তৃতীয় বিশ্ব নামকরণের উদ্ভব ফরাসি তৃতীয় এস্টেট থেকে; Image Source: Etching by L-F. Couché after J. L. David.

তৃতীয় বিশ্ব বনাম তিন বিশ্ব

মাও সেতুঙ প্রণীত ‘তিন বিশ্ব তত্ত্ব’ খুবই জনপ্রিয় এবং বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। কিন্তু আমরা যে তৃতীয় বিশ্ব নিয়ে কথা বলছি, তার সাথে ওই তত্ত্বটির কিছু গুণগত ভিন্নতা রয়েছে।

যেমন: আমরা যে পশ্চিমা তিন বিশ্ববাদ নিয়ে আলোচনা করছি, সেখানে যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এবং সোভিয়েত ইউনিয়ন দ্বিতীয় বিশ্বের অন্তর্গত ছিল। কিন্তু মাও সেতুঙ-এর তিন বিশ্ব অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন উভয়ই ছিল প্রথম বিশ্বের অন্তর্গত। কারণ যুক্তরাষ্ট্রে প্রচলিত ছিল সাম্রাজ্যবাদ, আর সোভিয়েত ইউনিয়নে সামাজিক সাম্রাজ্যবাদ।

আবার পশ্চিমা তত্ত্ব মতে চীন ও ভারত ছিল যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্গত। কিন্তু মাও সেতুঙ-এর তত্ত্ব মতে, চীন ও ভারত উভয়ই ছিল তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্গত, কেননা দুটিই ছিল শোষিত রাষ্ট্র।

কেন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর অধিকাংশই স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল?

আগেই আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি যে, তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির উৎপত্তি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক ভিত্তিতে। এখানে অর্থনীতির সরাসরি কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না। তারপরও কেন তৃতীয় বিশ্ব আর স্বল্পোন্নত-উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রায় সমার্থক হয়ে উঠেছে? এর উত্তর পেতে আমাদের আরেকটু গভীরভাবে চিন্তা করতে হবে।

তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশই স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল; Image Source: Borgen Project

খেয়াল করে দেখবেন, তৃতীয় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশই আগে ছিল অন্য কোনো বড় ঔপনিবেশিক সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মাত্রই তারা স্বাধীনতা লাভ করেছিল। ফলে অর্থনৈতিক ও অবকাঠামোগত দিক দিয়ে তারা স্বভাবতই অনেক পিছিয়ে ছিল। এবং এই দেশগুলোই দীর্ঘদিন অন্যের অধীনে থাকার কারণে, পুনরায় যুক্তরাষ্ট্র বা সোভিয়েত ইউনিয়নের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার চেয়ে জোট নিরপেক্ষ থাকাকে শ্রেয় বলে মনে করেছিল।

এবার দুটি ভিন্ন বিষয়কে এক সূত্রে গাঁথলেই বোঝা যাবে, কেন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো অধিকাংশই উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত। তবে এমনটি মনে করার কারণ নেই যে পুঁজিবাদী বা সাম্যবাদী ব্লকে গেলেই তাদের অর্থনীতি চাঙ্গা হয়ে উঠত। যেহেতু এরা প্রায় সকলেই দীর্ঘদিন ধরে পরাধীন উপনিবেশ ছিল এবং নিজেদের কোনো রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ছিল না, তাই প্রথম বা দ্বিতীয় বিশ্বের অংশ হলেও তাদের অর্থনৈতিক অবস্থার খুব একটা হেরফের হতো না।

যেভাবে ঘটল অর্থের পরিবর্তন

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মাধ্যমে স্নায়ুযুদ্ধের সমাপ্তি ঘটে, আর সেই সাথে হ্রাস পায় তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির ব্যবহার। কেননা প্রথম আর দ্বিতীয় বিশ্বের যদি কোনো শ্রেণীভেদই না থাকে, তাহলে তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটি কীভাবেই বা ভিন্ন অর্থ বহন করবে! এ কারণেই এখন আর তৃতীয় বিশ্ব দ্বারা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে জোট নিরপেক্ষ দেশগুলোকে বোঝানো হয় না।

তবে যেহেতু শুরু থেকে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোর একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে যে তারা অর্থনৈতিকভাবে উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত, তাই বর্তমান সময়ে তৃতীয় বিশ্ব দ্বারা সেটিকেই বোঝানো হয় বেশি। অর্থাৎ প্রকৃত অর্থ এটি না হলেও, এতদিন আপনি যেটি জেনে এসেছেন এই পরিভাষার অর্থ হিসেবে, আসলেও এখন এটির প্রচলিত অর্থ এমনটিই দাঁড়িয়েছে। তবে যারা বেশি নির্দিষ্ট অর্থ প্রকাশে ইচ্ছুক, তারা শুধু ‘তৃতীয় বিশ্ব’ না বলে, ‘তৃতীয় বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশ’ কথাটিও বলে থাকে।

সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন; Image Source: Alexander Nemenov/AFP/Getty Images

গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণ

বর্তমানে তৃতীয় বিশ্ব পরিভাষাটির আরেকটি নতুন পরিভাষা হিসেবে অনেকেই ব্যবহার করছেন গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণকে। তারা মূলত বিশ্বকে সমান দুটি অর্ধে ভাগ করেছে। তাদের মতে ভূ-গোলার্ধে বিষুবরেখার দক্ষিণ দিকের দেশগুলো গ্লোবাল সাউথ বা বৈশ্বিক দক্ষিণ, আর ভূ-গোলার্ধে বিষুবরেখার উত্তর দিকের দেশগুলো গ্লোবাল নর্থ বা বৈশ্বিক উত্তর। এবং তারা মনে করছে, বৈশ্বিক উত্তর বা উত্তর গোলার্ধেই মূলত বিশ্বের ধনী দেশগুলোর অবস্থান, আর বৈশ্বিক দক্ষিণ বা দক্ষিণ গোলার্ধে দরিদ্র দেশগুলোর বাস।

তবে এমন শ্রেণীবিন্যাসের প্রধান সমস্যা হলো, এখানে অতিসাধারণীকরণ হয়ে যাচ্ছে। বৈশ্বিক উত্তরের সব দেশই ধনী নয়। এখানে রয়েছে হাইতি, আফগানিস্তান কিংবা উত্তর আফ্রিকার অনেক উন্নয়নশীল দেশ। আবার বৈশ্বিক দক্ষিণের সব দেশও দরিদ্র নয়। সেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা বা অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশও রয়েছে।

বৈশ্বিক উত্তর ও বৈশ্বিক দক্ষিণ; Image Source: Shutterstock

চতুর্থ বিশ্ব

মজার ব্যাপার হলো, আলফ্রেড সউভি প্রণীত প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিশ্বের বাইরে চতুর্থ বিশ্ব নামেও একটি পরিভাষা প্রচলিত রয়েছে, যার উদ্ভব সেই ১৯৭০-এর দশকে। এই পরিভাষাটির প্রথম ব্যবহার করেন তানজানিয়ান হাই কমিশনের প্রথম সেক্রেটারি এমবুতো মিলান্দো।

ন্যাশনাল ইন্ডিয়ান ব্রাদারহুডের প্রধান জর্জ ম্যানুয়েলের সাথে আলাপকালে মিলান্দো কোনো দেশের অভ্যন্তরে বসবাসরত আদিবাসীদের নির্দেশ করতে তিনি এই পরিভাষাটি ব্যবহার করেছিলেন। এরপর ম্যানুয়েল ১৯৭৪ সালে The Fourth World: An Indian Reality নামে একটি বই প্রকাশ করেন, যার মাধ্যমে চতুর্থ বিশ্ব পরিভাষাটি জনপ্রিয়তা লাভ করে।

বর্তমানে রাষ্ট্রহীন, দরিদ্র এবং প্রান্তিক জাতিগুলো চতুর্থ বিশ্বের সমার্থক হয়ে উঠেছে। এরা প্রতিনিয়ত বৈষম্য, বঞ্চনা ও নিপীড়নের শিকার হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে এদের সার্বভৌমত্ব থাকে না, এমনকি এই জাতির মানুষরা কোনো নির্দিষ্ট দেশের নাগরিকত্বও লাভ করে না। এরা হয়ে থাকে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগোষ্ঠী। বর্তমানে রোহিঙ্গা জাতিগোষ্ঠীর যে অবস্থা, তাতে তাদেরকে চতুর্থ বিশ্বের অন্তর্গত হিসেবে ধরা যেতে পারে।

রোহিঙ্গারা চতুর্থ বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত; Image Source: Allison Joyce/Getty Images

বর্তমানে তৃতীয় বিশ্ব নির্ধারণের কিছু সূচক

জোট নিরপেক্ষতা দ্বারা এখন আর তৃতীয় বিশ্ব নির্ধারণ করা যায় না। বেশিরভাগ মানুষ অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকেই স্বল্পোন্নত বা উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তৃতীয় বিশ্বের দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। এক্ষেত্রে যে বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেয়া হয় সেগুলো হলো স্থূল জাতীয় আয় এবং দারিদ্র্যের হার। এছাড়া চাইলে আরো কিছু সূচক দ্বারা তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে চিহ্নিত করা যেতে পারে। তাদের মধ্যে রয়েছে মানব উন্নয়নের হার, রাজনৈতিক অধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা।

বলাই বাহুল্য, এসব সূচক অনুযায়ীও তৃতীয় বিশ্বের দেশ হওয়ার দৌড়ে এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার দেশগুলোই ‘এগিয়ে’ রয়েছে। সেজন্যও প্রধানত রাজনীতিকেই দায়ী করতে হবে। রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণেই এই দেশগুলো আজও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা লাভ করতে পারেনি। একই সমান্তরালে তারা পিছিয়ে রয়েছে মানব উন্নয়ন, নাগরিক স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার দিক থেকেও।

বিশ্বের চমৎকার সব বিষয়ে রোর বাংলায় লিখতে আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন এই লিঙ্কেঃ roar.media/contribute/

This article is in Bengali language. It is about the third world countries. Necessary references have been hyperlinked inside.

Featured Image © Borgen Project

Related Articles